#ফেইরিটেল
#Arishan_Nur (ছদ্মনাম)
Part–59
সমুদ্রের বিশালতার মাঝে, কড়া রোদে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুটিং দেখছে মিরা। সাগরের ঢেউয়ের শব্দ কানে ভাসছে৷ খুব বিলাসবহুল একটা রিসোর্টে তারা উঠেছে। রিসোর্টের নিজস্ব বা প্রাইভেট বীচ আছে। যার জন্য নির্জন সমুদ্রের পাড়ে শুটিং করা সম্ভব হচ্ছে। আজ শুক্রবার হওয়ায় লাবনী বীচে উপচে পরা ভীড়৷ সমুদ্র সৈকতে এই প্রথম ফটোশুট হতে দেখছে মিরা। ভীষন চমৎকার এক অভিজ্ঞতা। একপাশে সমুদ্রের উত্তাল – পাতাল ঢেউ অপরদিকে, ক্যামেরা-ফ্লাশ লাইট নিয়ে মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। মেকাপ ঠিক করা হচ্ছে। ন্যান্সি ম্যাডামকে এদিক থেকে ওদিক ছুটে যেতে দেখা যাচ্ছে৷ স্পটে ইমান নেই। এখানে ওর কোন কাজ নেই বলা চলে। ফটোশুট শুরু হলো৷ বিশটা নিউ কালেকশনের উপর ফটোশুট হবে। কাজ শেষ হতে অনেকক্ষণ সময় লাগবে৷ আজকের ফটোশুটের মডেলদের পরনে বেশিরভাগ-ই তার ডিজাইন করা শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ৷ তার নিজস্ব ডিজাইন করা ড্রেস কেউ পরলে খুব আনন্দ লাগে!
মিরা হাঁটতে লাগলো। কিছুদূর ধীরগতিতে পায়ে হেঁটে নিরিবিলি সমুদ্রের সঙ্গে যেন সে মিশে যাচ্ছে। পেছনে ফেলে যাচ্ছে সেটের মানুষ-জনকে৷ নিস্তব্ধ, নির্জন একপাশে এসে থামলো সে। সমুদ্রের ছোট ছোট ঢেউ তার পায়ের গড়ালি অব্দি ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে প্রচুর বাতাস বইছে৷ ওড়না কাঁধে থাকতে চাইছে না। বারবার নিচে পরে ভিজে যাচ্ছে। চুল এলোমেলো হচ্ছে বাতাসের দমকা হাওয়ায়। সে সমুদ্র ও আকাশের রঙের সঙ্গে ম্যাচিং করে ওসেন ব্লু রঙের সালোয়ার আর সাদা ওড়না পরেছে। সবাই তার জামার প্রশংসা করেছে। বীচের এইধারে আবার বসার জন্য জায়গা বানানো হয়েছে৷রোদ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য উপরে ছাতার ব্যবস্থা রাখা আছে। সে স্বচ্ছ সাগরের পানির দিকে তাকিয়ে রইল৷ কতক্ষণ কেটে গেল সে হিসাব রাখলো না। বালিতে হাঁটু গেড়ে বসে একদম আনমনে বালিতে দাগ কাটছে আর আজকের ভোরের কথা ভাবছিল। ইমানের সঙ্গে বাস ভ্রমণটা সে উপভোগ করেছে। ফিমেইল ওয়াশরুমে ঢুকে পরার পর ইমানের চেহারাটা চোখে ভাসতেই মিরা ফিক করে হেসে দেয়৷ তখনই পেছন থেকে পরিচিত কণ্ঠে বলে উঠে, ” ম্যাডাম, আপনি এখানে! আর আপনাকে খুঁজতে খুঁজতে আপনার সৈনিক হয়রান।”
মিরা পেছনে ঘাড় ফিরিয়ে দেখল, ইমান সাদা ধবধবে শার্ট পরে বুকের উপর দু’হাত ভাঁজ করে তার দিকে চেয়ে আছে। চোখে সানগ্লাস পরে আছে। একদম নায়ক-নায়ক ভাব, শুধু নায়িকার অভাব যেন৷ ইমান তার কাছে এসে বসল। দু’জনই চুপ আছে এবং একদৃষ্টিতে সমুদ্রের পানে তাকিয়ে থাকে৷
ইমান নরম গলায় বলে, ” মনের অজান্তেই আমাকে আরেকবার ভালোবেসে ফেলেছো মিসেস খান।”
মিরা চমকে উঠে বলে, ” সর্যি?”
–” আজকে তোমার নতুন রুপ উন্মোচন করলাম। তুমি সমুদ্রের চাইতেও মোহনীয়। প্রথম দর্শনে যেমনটি করে সাগরের দিক থেকে চোখ ফেরানো যায় না, তেমনই তোমার দিকে তাকালে চোখ আটকে যায়। তুমি আজ থেকে সমুদ্রকন্যা। আমার সমুদ্রকন্যা। আর আমি তোমার বুকে বাস করা এক ভাসমান দ্বীপ। যার অস্তিত্ব তোমার উপর নির্ভর করে। তুমি চাইলেই আমাকে ভাসিয়ে দিতে পারো অতলে আবার চাইলে আগলে রাখতে পারবে।”
মিরা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের সাহিত্যিক দিকটা তার দারুণ লাগে।
সে মৃদ্যু হেসে ইশারায় বালুর দিকে তাকাতে বলে৷ মিরা সেদিকে তাকাতেই লজ্জায় মিইয়ে পরে৷ আয়হায়! সে বালুতে আঁকা-আঁকি করার সময় মনের ভুলে বড় করে ইংরেজিতে “ইমান” লিখেছে। ইশ! এই মূহুর্তে তার লজ্জা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দৌঁড়ে পালাতে মন চাইছে। ইমান তার হাত ধরে। সে শিউরে ওঠে। তার হাতের উপর হাত রাখল সে। আংঙুলে আংগুলে রেখে বালিতে মিরা নামটা লিখলো মাঝে প্লাস চিহ্ন বসালো। এরপর নাম দু’টোকে কেন্দ্র করে, লাভ শেইপ ড্র করে।
সে বলে, ” নাস্তা খাওয়ার জন্য সবাই হোটেলে গেছে। তোমাকে নিতে এসেছি৷”
তারা উঠে দাঁড়াতেই একটা বড় ঢেউ এসে লেখাটা মিশিয়ে নিয়ে গেল৷ মিরা অবাক হয়ে মিশে যাওয়া বালুর দিকে তাকিয়ে থাকলে ইমান মৃদ্যু হেসে বলে, ” সমুদ্রের বুকে তোমার-আমার ভালোবাসা জমে থাকুক।”
ইমাদের স্কুল ছুটি হলো মাত্র। সে ব্যাগ ঘাড়ে ঝুলিয়ে হাঁটা ধরল। বাম হাতে ক্যাপ্টেন ব্যাচটা সে ইচ্ছা করে উপরে তুলল যেন সকলে সহজেই দেখে। ইমাদ নিজে স্কুলে আসার কথা ভুলে যেতে পারে কিন্তু ক্যাপ্টেন ব্যাচ আনার কথা ভুলবে না৷ স্কুল ছুটির পর দেখা গেল ক্লাসরুমে অনেকেই বসে আছে। সবাই সৃজাকে কেন্দ্র করে বসে বা দাঁড়িয়ে আছে৷ ইমাদ দৌঁড়ে এসে সব লাইট-ফ্যান বন্ধ করে দিয়ে গম্ভীরমুখে বলে, ” তোমরা ছুটির পরও ক্লাসরুমে কী করছো?
সৃজা বলে উঠে, ” এই ক্যাপ্টেন তুমি ফ্যান কেন বন্ধ করে দিলা? তুমি একটা পঁচা ক্যাপ্টেন।”
ইমাদ মুখ কালো করে বলে, ” তোমরা আমাকে ছাড়া কেন গল্প করছো?”
সৃজার সবচেয়ে ভালো ফ্রেন্ড বলল, ” বাইশ তারিখ সৃজার জন্মদিন। আমরা বার্থডে পার্টি নিয়ে কথা বলছি।”
সৃজা ইমাদকে উদ্দেশ্য করে বলে, ” তোমাকে ইনভাইটেশন দিলাম ইমাদ৷ আমার বার্থডে পার্টিতে আসবে কিন্তু। আমার আম্মু তোমার আম্মুকে আজকে কল দিবে।”
ইমাদ মনে মনে দারুণ খুশি হলো জন্মদিনের দাওয়াত পেয়ে। কিন্তু সে গম্ভীরমুখে বলে, ” না, আমি যাব না তোমার জন্মদিনে।”
তাদের আরেক ক্লাসমেট নাম আয়ান, সে বলে উঠে, ” কেন রে ইমাদ? তুই আসবি না কেন?”
সে গম্ভীরতা বজায় রেখে বলে, ” ইনভাইটেশন দেওয়ার স্টাইল ভালো লাগেনি।”
আয়ান হচ্ছে তাদের ক্লাসের সবচেয়ে দুষ্টু প্লাস পঁচা কথা বলা ছেলে। সে হেসে কুটি কুটি হয়ে বলে,” সৃজা কী তোর বউ ইমাদ? আমাদের থেকে আলাদাভাবে তোকে দাওয়াত দিবে কেন? ”
সবাই আয়ানের কথায় হোহো করে হেসে উঠে। কেবল ইমাদ হাসল না। সে গম্ভীরমুখে নিজের বাম হাতের ব্যাচ ঠিক করতে করতে বেরিয়ে আসে ক্লাসরুম থেকে। স্কুল মাঠে চাচ্চুকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সে খুশিতে লাফ মারে৷ তাকে স্কুল থেকে রিসিভ করতে চাচ্চু এসেছে!
সাদ ইমাদকে দেখে এগিয়ে এসে বলে, ” এই যে সুপারম্যানের ছানা-পোনা, স্কুলে সব পড়া পেরেছো তো?”
ইমাদ মাথা নেড়ে বলে, ” একটা অংক পারিনি চাচ্চু।”
সাদ তাকে আইসক্রিম কিনে দিয়ে গাড়িতে উঠল। সে মূলত সুপ্তি বেগমকে ইমপ্রেস করার ট্রাই করছে৷ মা-বাবা বাংলাদেশে আসছে। এছাড়া সেদিন ভাইয়া ভরসা দিয়ে বলেছে ইরা রাজী থাকলে সে সব ধরনের সহযোগিতা করবে। আজকে বাজার করে এনে সে একটু হলেও সুপ্তি বেগমের এটেনশন সিক করেছে৷ উনি বলছিলন,” তোমার মতো এতো ভালো ছেলে আজ-কাল পাওয়াই যায় না।”
বিকেলের দিকে মিরা হোটেল রুমে ঘুমাচ্ছিল। হঠাৎ তার দরজায় যেন ডাকাত পড়ল। সে হুড়মুড় করে উঠে ধাতস্থ হলো আগে। এরপর গেইট খুলে দিতেই ন্যান্সি ম্যাডামকে খুব চিন্তিত ভঙ্গিতে মোবাইল চালাতে দেখা গেল। তিনি মিরাকে দেখে বলে, ” মিরা বিশাল বড় সমস্যা হয়েছে।”
–” কী হয়েছে ম্যাম?”
–” বিকেলের ব্রাইডাল শুটের মডেল লাস্ট মুহূর্তে কাজ করার প্লান ক্যান্সেল করেছে৷ ওর নাকী পারিবারিক সমস্যা। সেট রেডি, ক্যামেরাম্যান দেলোয়ার ভাই বসে বসে বিস্কুট খাচ্ছে৷ অথচ মডেল আপা গায়েব৷ আজকে কাজ শেষ না করলে ঝামেলা হবে৷ ওপেনিংয়ে এইসব ফটোশুট মূল আকর্ষণ।”
–” ভারী বিপদ হলো দেখছি। দেখুন কোনো সমাধান পান কীনা।”
–” সমাধানের জন্যই তোমার দুয়ারে এসেছি। প্লিজ হেল্প মি।”
মিরার চোখ কপালে উঠে গেল৷ ন্যান্সি ম্যাডাম চাচ্ছে সে যেন ব্রাইডাল ফটোশুট করে৷ মিরা বহুবার না করল বাট ন্যান্সি ম্যাডাম নাছোড়বান্দা। সে মিরাকে চেপে বসে। অনুরোধ করতে করতে মুখে ফেনা তুললো৷
অতঃপর দ্বিতীয়বারের মতো নিজের ডিজাইন করা লেহেঙ্গা পরে সে বধূ সাজে। নিজের দিকে তাকিয়ে সে খানিকটা চমকে যায়। ছয় বছর আগে, কোন এক সন্ধ্যারাতে সে এভাবেই বউ সেজেছিল। ওইদিনের মতো অনুভূতি হচ্ছে। ইমান তাকে এই বেশে দেখলে কেমন রিয়্যাক্ট দিবে? পাগলটা নিশ্চয়ই উল্টা-পাল্টা কিছু ভেবে বসবে৷
লাল লেহেঙ্গা পরে সে সমুদ্র সৈকতে গিয়ে দাঁড়ালো। বরাবরের মতো ফটোশুটের টাইমে ইমান নেই৷ ভাগ্যিস নেই। এই বধূরুপে ওর সামনে দাঁড়ালে লজ্জায় কথা বলতে পারবে না।
ফটোগ্রাফার খটখট শব্দ তুলে ছবি তুলে যাচ্ছেন। এংগেল অনুযায়ী দাঁড়ানোর স্টাইল ঠিক করার জন্য আরেকজন স্টাফ আছে৷
সূর্য শেষবেলায় বিদায় জানানোর জন্য প্রস্তুত। সেটের সবার জন্য চা পরিবেশন করা হলো৷ ন্যান্সি ম্যাডাম চা হাতে নিয়ে বলে, ” দুধ ছাড়া চা আর বর ছাড়া বউ– দুইটা কেমন পানসে।”
মিরা অবাক চোখে বললো, ” মানে?”
ন্যান্সি ম্যাডাম হেসে বলে, ” অপেক্ষা কর নিজেই সব বুঝে যাবে ডিয়ার।”
একটু পর ইমানকে আসতে দেখা গেল। সে এই কোম্পানির সিইও। যখন খুশি আসতে পারে কিন্তু ওর বেশভূষা দেখে মিরার মাথা ঘুরাচ্ছে।পরে যেতে গিয়েও সামলে নেয় নিজেকে। এ্যাশ রঙের তার-ই ডিজাইন করা শেরওয়ানী পরে সে বর সেজেছে। পাগড়ীও মাথায় আছে৷
ন্যান্সি ম্যাডাম হেসে বলে, ” ব্রাইডাল ফটোশুট আর জামাই নাই বিষয়টা আমার ভালো লাগে না। কাপল পিকচার দিয়েই ব্রাইডাল শুটের শোভা বাড়ে। এইজন্য হুট করে সিদ্ধান্ত চেঞ্জ করে কাপল শুট করার প্রস্তুতি নিয়েছি। এজ ইউজাল মেইল কোন মডেল ছিল না। এইজন্য আমাদের সিইও সাহেব নিজে থেকে শুটটা কভার করতে চেয়েছেন। ”
ইমান মিরাকে নিয়ে সমুদ্রের কাছে গিয়ে দাঁড়ায়।
ফটোগ্রাফার বলে, ” ভাইয়া আরেকটু ক্লোজ হন৷ আপু ভাইয়ার ঘাড়ে হাত রেখে চোখে চোখ রাখুন। দারুণ আসছে ছবি গুলো।”
ইমান তার মুখ মিরার মুখের কাছে আনে। মিরা ভীষণ লজ্জা পায়৷ এবং পিছিয়ে আসে। ইমান সবার সামনেই তাকে টান মেরে জোরে জোরে সবাইকে শুনিয়ে বললো, ” আশ্চর্য, নিজের স্বামীর সঙ্গে ছবি তুলতেও এতো লজ্জা কিসের? ”
সেটের সবাই হাসাহাসি করল। ইমান তাদের সামনেই তার কোমড় চেপে ধরে পোজ দিয়ে দাঁড়িয়ে রইল৷
সূর্য ডুবে যাচ্ছে এমন এক মুহূর্তে ইমান মিরার কপালে নিজের অ’ধ’রজোড়ার মাধ্যমে আদুরে পরশ বুলিয়ে দিচ্ছে। মৃদ্যু বাতাসে লেহেঙ্গার ওড়না দুলছে৷ দুলহানের চোখে-মুখে লজ্জার আভা। সমুদ্রের স্রোত আসছে। চমৎকার কিছু ক্লিক করল ফটোগ্রাফার।
সেগুলো সঙ্গে সঙ্গে ফটোগ্রাফি এবং তাদের ফ্যাশন হাউসের পেজ থেকে সোশাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়৷ ক্যাপশন ছিলোঃ” মিষ্টার এন্ড মিসেস খান।”
ছবিটা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়৷ লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারের যেন বন্যা হতে লাগলো। আবেগী সোশাল মিডিয়া ইউজার তাদের দম্পতি জীবনের সুখ চেয়ে প্রার্থনা করলো। মানুষ-জন শেয়ার দিয়ে হেডলাইন দিচ্ছে, ” ভালোবাসা এমনই হওয়া উচিত।” কেউ ফান করে লিখছে, ” আমার বিয়েতে এমম রোমান্টিক পিকচার না আসলে আবার বিয়ে করব৷”
ভাইরাল হওয়া ছবি দেখেই ইমাদ মাকে কল করে জানালো, সে খুব রাগ করেছে। মা-বাবার প্রথম বিয়েতেও সে ছিল না। এবারও তাকে ছাড়াই মা-বাবা বিয়ে করে ফেললো। কাজটা তারা ঠিক করেনি। প্রথমবারও তারা ইমাদকে দাওয়াত দেয়নি। সেকেন্ড টাইমও দেয়নি। তাদের কাছে ইমাদের কোন গুরুত্ব-ই নেই। এরচেয়ে সৃজাই ভালো। এটলিস্ট দাওয়াত তো দেয়।”
চলবে৷
[ বড়জোড় আর দুটো’ পর্ব বাকি আছে। ইতিমধ্যে ঈদের ছুটির পর একাডেমিক নানান ধরনের প্রেশারের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আমি শেষ পর্ব গুলো চাপ নিয়ে লিখতে চাই না। বিধায় এক-দুই দিন লেইট হলে অগ্রীম সর্যি। সবাইকে অনেকগুলো ভালোবাসা। বিশাল লম্বা, দীর্ঘ এই ভ্রমণে আমার সঙ্গে থেকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য। সবার জন্য দোয়া রইল।]