ফেরারি প্রেম পর্ব -৩০

#ফেরারি_প্রেম
#পর্ব_৩০
#নিশাত_জাহান_নিশি

“সানি বলছিলাম! তোমার বেলকনিতে একটু আসতে পারবে? আমি তোমার বাড়ির নিচে দাড়িয়ে।”

প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত অবাক হলো নীহারিকা! বিপরীতে সানিকে কোনো প্রত্যত্তুর না করেই সে ছুটে গেল বেলকনিতে। বেলকনির এক পাশের পর্দা সরিয়ে বাড়ির নিচের দিকে দৃষ্টিপাত করতেই দেখল সানি ফোন হাতে নিয়ে দাড়িয়ে। দূরদৃষ্টি তার নীহারিকার বেলকনিতে! দেখতে হতাশ এবং অপেক্ষায়মান সানিকে এক নজর দেখামাত্রই নীহারিকা হুড়োহুড়ি করে বেলকনির পর্দাটা টেনে দিলো! কিছুতেই সানির সাথে মুখোমুখি হতে চায়না সে। দ্রুত পায়ে হেঁটে সে রুমের ভেতর ঢুকে গেল। নীহারিকার মৌনতা উপলব্ধি করা মাত্রই সানি গলা ঝাকালো। পুনরায় কুর্ণিশ গলায় বলল,

“কী হলো নীহারিকা? কিছু বলছ না যে? আসবে না তুমি?”

সানির নত হয়ে যাওয়াটাও যেন নীহারিকার কাছে নাটক মনে হলো! মেজাজ তুঙে ওঠে গেল তার সানির এসব নাটুকে কথাবার্তা শুনে। বিছানার উপর ধপ করে বসল সে। সোজাসাপটা গলায় বলল,

“না আসব না! তোমার সাথে তো আমার সব সম্পর্ক চুকেই গেছে। সেই জায়গায় তুমি কীভাবে আশা করো আমি তোমার কথা শুনে তোমার সাথে আবারও দেখা করতে যাব?”

“সত্যিই কী আমাদের মধ্যে সব সম্পর্ক চুকে গেছে নীহারিকা?”

“তা আবার বলতে বাকী কী? ভাঙা জিনিস জোড়া লাগাতে আমি পছন্দ করিনা। জিনিসটা যতই দামী হোক না কেন তা আমি জোড়া লাগাতে নয় বরং আরও ভেঙেচুরে ছুড়ে ফেলে দিতে পছন্দ করি! অতীত ভুলে যাইনি আমি। আমার চেয়ে বেটার কাউকে পেয়ে আমাকে ছেড়ে যাওয়া, কাঁচের টুকরোর মত আমার মনটাকে ভেঙে দেওয়া, আমার বিশ্বাসের সুযোগ নেওয়া, তোমার প্রতিটা অসহিষ্ণু আচরণ, কারণে অকারণে আমাকে এড়িয়ে চলা, তোমার প্রতিটা কাজ আমার এখনও অক্ষরে অক্ষরে মনে আছে সানি! হোপ সো ভবিষ্যতেও মনে থাকবে। জীবন থেকে পাওয়া শিক্ষা কী কখনও ভুলা যায়? আজকের পর থেকে তুমি আমাকে কোনো রকমভাবে ডিস্টার্ব করবেনা সানি। এরপর থেকে তোমার মুখটাও আমি দেখতে চাইনা। আর এটাই আমার শেষ কথা। বায়।”

তেজ দেখিয়ে নীহারিকা কলটি কেটে দিলো! রাগে ফোঁস ফোঁস করে সে একই জায়গায় প্রায় দুই থেকে তিন মিনিট বসে রইল। সানি চলে গেল কী-না তা শিওর হওয়ার জন্য সে পা টিপে টিপে হেঁটে বেলকনিতে গেল। বেলকনির পর্দা সরিয়ে নিচে তাকাতেই দেখল সানি হতাশ হয়ে তার বাড়ির সামনে থেকে হেঁটে চলে যাচ্ছে! তা দেখে স্বস্তির শ্বাস ফেলল নীহারিকা। চোখ বুজে বুকে হাত রেখে বলল,

“থ্যাংকস গড। আপদ বিদেয় হলো।”

শান্ত মেজাজ নিয়ে নীহারিকা রুমে ঢুকল। ফোনটা বিছানার উপর রেখে চলে গেল সোজা রান্নাঘরে। গিয়ে দেখল চায়ের পাতিলে এক কাপ পরিমাণ চা রয়ে গেছে। বুঝতে বেশী বেগ পেতে হলোনা তার মা চা টা তার জন্য রেখে গেছে। হয়ত তাদের প্রতিবেশীদের জন্য চা টা বানিয়েছিলেন তিনি। সেই চা থেকেই তার জন্য চা টা রয়ে গেল। চা টা হালকা গরম করে নীহারিকা চা খেতে খেতে বাড়ির ড্রয়িং রুমে গেল। তার মা ছাড়া ড্রয়িং রুমে আর কেউ নেই। ব্যাপারটায় বেশ অবাক হলো নীহারিকা। সোফায় তার মায়ের পাশে বসে সে চিন্তিত গলায় প্রশ্ন ছুড়ল,

“কী হলো মা? তুমি একা যে? আন্টিরা কী চলে গেছেন?”

অমনি গাঁ ঝারা দিয়ে জায়গা থেকে ওঠে গেলেন মারজিনা বেগম! চোখেমুখে রাগী ভাব তার। তেঁতে ওঠে তিনি জায়গা থেকে প্রস্থান নিতে নিতে বললেন,

“হ্যা চলে গেছে। নেক্সট টাইম এই মহিলাদের আর আমাদের বাড়িতে জায়গা দিবি না!’

বেকুব হয়ে নীহারিকা তার মায়ের যাওয়ার পথে তাকিয়ে রইল। তার মায়ের এহেন উদ্ভট আচরণে সে চা খেতেও ভুলে গেল! ঠোঁট উল্টে নির্বোধ গলায় বলল,

“ব্যাপারটা কী হলো? মা হঠাৎ এতটা রিয়েক্ট করল কেন? তাদের এই বাড়িতে জায়গা দিতেও বা না করল কেন? হলোটা কী তাদের মধ্যে?”

মারিজনা বেগমকে এখনই কোনো প্রশ্ন করতে চাইল না নীহারিকা। কিছুক্ষণ তার মাকে একা থাকতে দিলো। এতে রাগটা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে হলো তার। গরম গরম কোনো কিছুই ভালো নয়। সবকিছুতেই একটুখানি সময় দিতে হয়। সেই ফাঁকে চা টা খেতে খেতে নীহারিকা রূপলের ঘড়িটি খুঁজতে লাগল। অমনি তার সূক্ষ্ণ দৃষ্টি গেল টি টেবিলের নিচে। দেখল ঘড়িটি ওখানেই পড়ে আছে। হাত বাড়িয়ে নীহারিকা ঘড়িটি তুলল। হাতের মুঠোয় ঘড়িটি নিয়ে সে সোজা তার রুমে চলে গেল।

বিছানার উপর থেকে ফোনটি হাতে তুলতেই সে কিছুক্ষণের আগের আসা প্রথম রং নাম্বারটি থেকে আবারও অনেকগুলো কল পেল! কপাল কুঁচকে নীহারিকা নাম্বারটির দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল। নাম্বারটি কার হতে পারে? কে তাকে এভাবে কল করে জ্বালাচ্ছে? তাছাড়া ঐ সময়ের পুরুষালি চিৎকারটিই বা কার ছিল? কে তাকে নিয়ে মজা করছে? সেই বিধ্বংসী চিৎকারের আওয়াজটি এখনও তার কানে বাজছে! মনোযোগ দিয়ে সেই আওয়াজটি অনুভব করতে গেলে তার প্রাণবায়ু বের হয়ে আসার মত অনুভূতি হচ্ছে!

হাতে থাকা চা টা শেষ করে নীহারিকা নিজেকে স্থির করল। কপাল থেকে গড়িয়ে পরা ঘামগুলো মুছে তার মস্তিষ্ককে অন্যদিকে ঘুরানোর চেষ্টা করল। এই একই জিনিস নিয়ে ভাবতে গেলে তার নিজেরই ক্ষতি হচ্ছে। তাই এই মুহূর্তে নিজেকে ঠিক রাখার জন্য তার অন্য চিন্তাভাবনা ঘুরানোর পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।

ঘড়িটি হাতে রেখে রূপলের নাম্বারে কল করল নীহারিকা। প্রথম কলটি বেজে যাওয়ার পর দ্বিতীয় কলটি তুলল রূপল। টাওয়াল দিয়ে ভেজা চুল মুছতে মুছতে রূপল প্রশ্ন ছুড়ল,

“কে কল করেছিল?”

“সানি।”

“আপনার এক্স?”

“হুম।”

“কী বলল?”

“ফিরে আসতে চাইল।”

“আপনি কী বললেন?”

“বললাম ভাঙা জিনিস ফেলা দেওয়াই ভালো।”

“গুড!”

“জানি। এখন বলুন আমাকে কত টাকা দিবেন?”

অবাক হলো রূপল। চুল থেকে টাওয়াল সরিয়ে কৌতূহলী গলায় প্রশ্ন ছুড়ল,

“মানে? কীসের টাকা?”

“বা রে। হারিয়ে যাওয়া জিনিসটা খুঁজে দিলাম যে তার কমিশন চাইব না?”

“ঘড়িটা খুঁজে পেয়েছেন?”

“হুম। এখন টাকা দিলেই তবে ঘড়িটা হাতে পাবেন! এর আগে নয়।”

ব্যগ্র হেসে রূপল বলল,

“ওকে! আপনি বরং ঘড়িটা আপনার কাছেই রেখে দিন! কারণ, ওই ঘড়িটা আমি এমনিতেও ফেলে দিতাম।”

হতাশ হলো নীহারিকা। বিস্মিত গলায় প্রশ্ন ছুড়ল,

“এহ্! মানে কী? তাহলে বললেন যে ঘড়িটা খুঁজে রাখতে?”

“ভেবেছিলাম ঘড়িটা পেলে নিজের হাতে আমি ভেঙে গুড়িয়ে দিব! কিন্তু এখন যেহেতু ঘড়িটা টেক্স ছাড়া পাচ্ছিনা সো আমার কোনো প্রয়োজন নেই টাকা ওয়েস্ট করে ঘড়িটা নেওয়ার!”

“আরে আরে আরে। এসবের মানে কী। এমন জানলে তো আমি এত খাটাখাটুনি করে ঘড়িটা খুঁজতাম না।”

“ইট’স ইউর প্রবলেম! নট মাই প্রবলেম।”

রূপলের অগোচরে মনে মনে অভিসন্ধি কষিয়ে নীহারিকা বলল,

“আচ্ছা লোকটা আবার টাকা দেওয়ার ভয়ে ঘড়িটাকে নিতে অস্বীকার করছেনা তো? ভাবতে পারে ঘড়িটা নিতে অস্বীকার করলে হয়ত আমি তাকে ঘড়িটা এমনি এমনি দিয়ে দিব? এটাও তো একটা ট্রিক হতে পারে তাইনা? আমি কী একবার তাকে বাজিয়ে দেখব?”

যে ভাবা সেই কাজ। গলাটা খাকিয়ে নীহারিকা মিচকে হেসে বলল,

“তাহলে এক কাজ করি। ঘড়িটা আমি বেচে দিয়ে টাকা উসুল করে ফেলি!”

“এজ ইউর উইশ। ঐ ঘড়ির প্রতি আমার কোনো ইন্টারেস্ট নেই! একটু আগে বললেন না? ভাঙা জিনিস ফেলা দেওয়াই ভালো? এই ঘড়ির অবস্থাটাও ঠিক তাই!”

বলেই রূপল কলটি কেটে দিলো। নীহারিকা এতক্ষণে বুঝতে পারল ঘড়িটি নিতে রূপল কেন অস্বীকার করল। রূপলের এই পরিবর্তন দেখে নীহারিকা খুশি হলো! ঘড়িটি সে সযত্নে তার ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারে রেখে দিলো। এসব ছেড়ে নীহারিকা পড়তে বসে গেল। টানা দু/এক ঘণ্টা পড়াশোনার পর সে পড়ার টেবিল থেকে উঠল। রাতের খাবারের জন্য তার মা তাকে ডাকল। ততক্ষণে নিহালও অফিস থেকে বাড়ি ফিরে এলো।

খাবার টেবিলে খাবার খেতে বসেও নিহাল মুখটাকে গম্ভীর করে রাখল। খাবার না খেয়ে বরং খাবারটাকে নাড়াচাড়া করতে ব্যস্ত সে। নিহালের এহেন খামখেয়ালি ভাব দেখে মারজিনা বেগম মুখে খাবার রেখে নিহালের দিকে প্রশ্ন ছুড়লেন,

“কী রে কী হয়েছে? খাবার না খেয়ে শুধু নাড়ছিস কেন?”

দাঁতে দাঁত চেপে এক লোকমা খাবার মুখে নিলো। খাবারের দিকে তাকিয়েই তার মায়ের দিকে প্রশ্ন ছুড়ল,

“পিয়াসা তোমাকে কল করেছিল মা?”

“না তো। কেন? কল দেওয়ার কথা ছিল না-কী?”

“কাল থেকে এই অবধি তোমার কোনো খোঁজ খবর নেয়নি?’

মুখটা কালো করে মারজিনা বেগম বললেন,

“না নেয়নি। হয়ত আমাকে এখনও তোর বউ আপন ভাবতে পারেনি।”

অমনি নিহাল খাওয়া থামিয়ে খাবারের প্লেটটা তার সামনে থেকে সরিয়ে দিলো! চোয়াল উঁচিয়ে রগচটা ভাব নিয়ে বলল,

“আমার মনে হয়না এই সম্পর্কটা আর বেশিদিন টিকবে মা! যত দ্রুত সম্ভব সম্পর্কটাকে ভেঙে দেওয়াই ভালো!”

বলেই নিহাল খাবার টেবিল ছেড়ে ওঠে গেল! মারজিনা বেগম পেছন থেকে নিহালকে অনেক ডাকলেও সে কোনো সাড়া দিলোনা। ছেলের মন খারাপ দেখে নিহালের বাবাও খাবার সম্পূর্ণ না খেয়ে খাবার টেবিল থেকে ওঠে গেলেন। সব দেখে এবং শুনেও নীহারিকা চুপ করে রইল! মারজিনা বেগমও খাবারের প্লেটটা দূরে সরিয়ে হায় হুতাশ করে বললেন,

“আমিই আমার ছেলের জীবনটাকে নষ্ট করলাম! একটা ফা’ল’তু, অহংকারী মেয়ের সাথে ছেলেটার বিয়ে দিলাম। ছেলের জীবনটা তো শেষ করলামই। এখন আমার মেয়েটার ভাগ্যে কী আছে আল্লাহ্’ই ভালো জানেন৷”

পাশ থেকে নীহারিকা শান্ত গলায় তার মাকে বলল,

“আমার জন্য চিন্তা করতে হবেনা মা। তুমি বরং এখন ভাইয়াকে নিয়েই চিন্তা করো।”

“শুধু কী এক দিকেই চিন্তা করলে হবে? সবদিকেই তো চিন্তা করতে হয় আমার। সম্বন্ধ আসে কই তোর জন্য? আজ যা ও একটা এলো তাও আবার গাঁয়ের রঙের দোহাই দিয়ে চলে গেল! ফা’লতু লোক কোথাকার! গাঁয়ে রঙ দেখে আমার মেয়েকে জাজ করতে আসে। এজন্যই আচ্ছেমত ধূয়ে দিয়েছি। লজ্জা থাকলে আমার বাড়ির ত্রি-সীমানা দিয়ে আর আসবেনা!”

নীহারিকা এতক্ষণে বুঝতে পারল তার মা কেন ঐ সময় এত রাগ দেখাচ্ছিল! তার মানে ভদ্র মহিলা দুজন তার বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে এসেছিল? তবে যেই আসুক না কেন সে জানে কেউ তাকে প্রথম দেখায় পছন্দ করবেনা! এভাবেই একের একের এক সবার কাছে সে রিজেক্টেড হতে থাকবে। যদিও এই নিয়ে তেমন কোনো মাথাব্যথা নেই নীহারিকার! কারণ, সে মেয়েটাই ভাগ্যে বিশ্বাসী। ভাগ্য যদি ভালো থাকে তার, তাহলেই নিশ্চয়ই একদিন না একদিন কেউ তার জন্য আসবে। যা সে আশা করছেনা হয়ত তার চেয়েও ভালো কেউ আসবে!

সেই শান্তনা মনে মনে রেখেই নীহারিকা খাবার টেবিল ছেড়ে ওঠে গেল। হাতটা ভালো করে ধূঁয়ে সে নিহালের ঘরে গেল। গিয়ে দেখল নিহাল মাথার উপর হাত রেখে লম্বা হয়ে বিছানায় শুয়ে আছে। দেখতে বড্ড চিন্তাগ্রস্ত এবং বিষন্ন দেখাচ্ছে তাকে। দীর্ঘশ্বাস ফেলে নীহারিকা নিহালের পাশে এসে বসল। ধীর গলায় নিহালের দিকে প্রশ্ন ছুড়ল,

“ভাবির জন্য বেশী মন খারাপ লাগছে ভাইয়া?’

কপাল থেকে হাতটা সরালো নিহাল। শোয়া থেকে ওঠে বসল। নীহারিকার দিকে ক্লান্ত দৃষ্টি নিক্ষেপ করল। ব্যথীত গলায় বলল,

“সকাল থেকে তোর ভাবি আমার কলটা তুলছে না। হাজারটা কল দেওয়া হয়ে গেছে এই অবধি! আমিও তো মানুষ বল? আমারও খারাপ লাগে।”

“আমি বরং কাল গিয়ে ভাবিকে ঐ বাড়ি থেকে নিয়ে এসো। তুমি গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে।”

“কিছু ঠিক হবেনা! আমার মনে হচ্ছে পিয়াসা আমার সাথে থাকতে চাইছেনা।”

“তুমি একটু বেশীই ভেবে ফেলছ ভাইয়া। সারাদিন অফিসে কাজে কাজে ব্যস্ত ছিলা। তুমি বরং এখন একটু রেস্ট নাও। নিজেকে একটু সময় দাও। দেখবে, সব ঠিক হয়ে গেছে।”

প্রত্যত্তুরে নিহালকে কিছু বলার সুযোগ দিলোনা নীহারিকা। নিহালের রুমের লাইট অফ করে সে দরজাটা বাইরে থেকে বন্ধ করে নিজের রুমে চলে এলো। পিয়াসা এবার সত্যিই বাড়াবাড়ি করছে! বাড়ির সবার সামনে ব্যাপারটাকে নীহারিকা তুচ্ছ মনে করলেও ভেতরে ভেতরে সে ব্যাপারটাকে বড়ো করে দেখছে! মানিয়ে চলতে না পারলে তো সত্যিই সংসারটা টিকবে না। রাগে রি রি করে নীহারিকা রুমে ঢুকেই রূপলের নাম্বারে কল করল! ঐ পাশ থেকে রূপল কলটি তুলতেই নীহারিকা কর্কশ গলায় বলল,

“কী ব্যাপার হুম? বোনের দিকে কী কোনো নজরই নেই আপনার?’

সবেমাত্র সিগারেটটা ধরাচ্ছিল রূপল। এরমধ্যেই নীহারিকার উস্কানিমূলক কথা। হঠাৎ রেগে গেল রূপল! সিগারেটটা হাতে তুলে নিয়ে প্রত্যত্তুরে ঝাঁজালো গলায় বলল,

“মানে? কী বলতে চাইছেন আপনি?”

#চলবে…?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here