ফেরারি প্রেম পর্ব-৩৮

#ফেরারি_প্রেম
#পর্ব_৩৮
#নিশাত_জাহান_নিশি

“জিজু বলল আপনাকে পিক করতে।”

রূপলের উত্তম-মধ্যম মারের চোটে শাফকাত ব্যথায় আর্তনাদ করতে লাগল! ডানপিটে রূপলকে কোনোভাবে থামাতে না পেরে শাফকাত করুন গলায় রূপলকে অনুরোধ করে বলল,

“ভাই ভাই প্লিজ ছেড়ে দিন। এবারের মত আমাকে মাফ করে দিন।”

আক্রমনাত্নক রূপল যেন কিছুতেই শাফকাতের অনুনয়ে বিনয়ে ক্ষান্ত হচ্ছিলনা। বরং শাফকাতকে পুরোপুরি আ’হ’ত করাটা তার এই মুহূর্তে লক্ষ্য হয়ে দাড়িয়েছিল! বর্বর রূপ নিয়ে রূপল তর্জন গর্জন করে বলল,

“শাট আপ। জাস্ট শাট আপ। আগের বারও ছাড় দিয়েছিলাম তোকে। তবে এবার আর নয়। বার বার এভাবে ছাড় দিতে থাকলে তো তুই পেয়ে বসবি। পরের বার আরও বেশী ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবি। সাহস বেড়ে যাচ্ছে তোর দিন দিন। বেশী উড়ে গেলে সেই পাখা কীভাবে ছাটাই করতে হয় রূপলের বেশ ভালোভাবেই জানা আছে।”

এলোপাথাড়ি কি’ল ঘু’ষি’তে শাফকাতের নাক-মুখ থেকে গড়গড়িয়ে রক্ত পরছিল। নির্জীব হয়ে আসছিল তার দেহ। মাটিতে লুটিয়ে পরার মত অবস্থা। এই পর্যায়ে এসে নীহারিকা বেশ ভয় পেয়ে গেল! রূপলকে থামানোর চেষ্টা করল সে। শরীরের সমস্ত শক্তি কাজে লাগিয়ে সে রূপলকে পেছন থেকে টেনে আনার অভিপ্রায়ে লিপ্ত হলো। ভীরু গলায় বলল,

“প্লিজ মিস্টার রূপল ছাড়ুন তাকে। সামান্য মশা মেরে নিজের হাত নোংরা করে কোনো লাভ আছে বলুন?”

পিছু ফিরে রূপল রাগী দৃষ্টিতে নীহারিকার দিকে তাকালো। উত্তেজিত গলায় বলল,

“তার সাহসটা একবার চিন্তা করে দেখুন। আপনি আমার রিলেটিভ জানা সত্ত্বেও তার সাহসে কীভাবে কুলালো দ্বিতীয় বার আপনার ক্ষতি করার?”

“শান্ত হোন প্লিজ। নেক্সট টাইম আর এমন ভুল করবেনা সে। যদি লাজ লজ্জার বালাই থাকে তো। ভয়ভীতি তার মধ্যে কাজ করে তো।”

রূপলের শক্তির সাথে পেরে উঠছিলনা নীহারিকা। তবুও নীহারিকা চেষ্টা করল রূপলকে টেনে হেছড়ে বাইকের দিকে নিয়ে যাওয়ার। ছাড়া পেয়ে শাফকাত যেন বাঘের মত গর্জন করে উঠল! নাক-মুখ থেকে গড়িয়ে পরা রক্তগুলো সে মুছে নিলো। নীহারিকাকে উদ্দেশ্য করে বিদ্রুপের স্বরে বলল,

“দেখব তোকে কোন শালা বিয়ে করে! কালো হয়েও দেমাগ কমেনা! তোর সাত কপালের ভাগ্য যে আমার মত একটা স্মার্ট ছেলে তোকে বিয়ে করতে চেয়েছিল! আজীবন তোকে কুমারী হয়ে থাকতে হবে। পাড়ায় থেকে বুড়ি হবি তুই!”

আর এক সেকেন্ডও জায়গায় দাড়ালোনা শাফকাত। গাড়িতে ওঠে জায়গা পরিত্যাগ করল। চোখ দুটো ছলছল হয়ে উঠল নীহারিকার! শুধু গড়িয়ে পড়ার অপেক্ষা। শাসিয়ে উঠল রূপল। শাফকাতের যাওয়ার পথে তাকিয়ে যতটুকুনি সম্ভব চিৎকার করে বলল,

“ইউ ব্লা’ডি, বি’চ। নেক্সট টাইম হাতের কাছে পেয়ে নিই তোকে। এবার তোকে আমি মা’র্ডা’র করেই ছাড়ব!”

কান্না বেশিক্ষণ চেপে রাখতে পারলনা নীহারিকা। হেচকি ওঠে গেল তার! আচ্ছন্ন দৃষ্টিতে রূপল পাশ ফিরে নীহারিকার দিকে তাকালো। নীহারিকার কান্নার ঢল দেখে রূপল উদ্বিগ্ন হয়ে উঠল! ফিচেল স্বরে বলল,

“হেই নীহারিকা? আপনি কাঁদছেন কেন? একটা ফা’ল’তু ছেলের কথা শুনে আপনি কাঁদছেন?”

মাথা নুইয়ে নিলো নীহারিকা। ফুঁপিয়ে কেঁদে বলল,

“ছেলেটা ফা’ল’তু হলেও সে যা বলেছে মোটেও মন্দ কিছু বলেনি! আমিও বিশ্বাস করি আমার লাইফে কখনও এমন কেউ আসবেনা যে আমার সকল দুর্বলতাগুলো মেনে নিয়ে আমাকে গ্রহণ করবে!”

“আমি সবসময় ভাবতাম আপনি মেয়েটা খুব লজিক্যাল! কিন্তু এই সময়টাতে এসে মনে হচ্ছে আপনি পুরো বাচ্চা স্বভাবের একটি মেয়ে! জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে তিনটিই কিন্তু বিধাতার লিখন। ইভেন আল্লাহ্ জোড়া ছাড়া পৃথিবীতে কাউকে পাঠাননি! শুধু ধৈর্য্য নিয়ে সঠিক সময়ের অপেক্ষা করতে হয়। যে যাই বলুক কারো কথা গাঁয়ে মাখালে চলবে না। আশা করছি বিষয়টা আপনাকে বুঝাতে পেরেছি?”

রূপলের কথায় যদিও নীহারিকা স্বস্তি খুঁজে পেল তবে এই মুহূর্তে নিজের আবেগকে সংযত করতে পারছিলনা সে। প্রতিনিয়ত সমাজের করা কটাক্ষ তার শ্বাস রুদ্ধ করে দিচ্ছিল। এই সময় শান্তনার বাণীও নিছক অবান্তর মনে হচ্ছিল। কান্নারত অবস্থাতেই নীহারিকা ভরাট গলায় রূপলকে বলল,

“আমি বাড়ি যাব।”

“হ্যাঁ। বাড়িতো যাবই। তবে আগে আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দিন তো? এত ভালো করে বুঝানোর পরেও আপনি কাঁদছেন কেন? আমার কথায় ট্রাস্ট হচ্ছেনা আপনার?”

চোখ ভর্তি জল নিয়ে নীহারিকা নিশ্চল দৃষ্টিতে রূপলের দিকে তাকালো। হীনমন্যতায় ভুগে জনাজীর্ণ গলায় বলল,

“শুধু যে আজই আমার গাঁয়ের রঙ নিয়ে আমাকে বিদ্রুপের মুখে পরতে হয়েছে তা কিন্তু নয় মিস্টার রূপল। বরং প্রতিদিন, প্রতিটা মুহূর্তে আমাকে সমাজের কাছে, প্রতিবেশীদের কাছে, আত্নীয়-স্বজনদের কাছে খোঁটা শুনতে হয়েছে ইভেন এবং হচ্ছেও! কতদিন আর নিজের পেশেন্স ধরে রাখব বলুন? আমিও তো মানুষ। আমারও কষ্ট হয়। কান্না পায়। আমিও ভেঙে পড়ি।”

নীহারিকার কষ্ট, যন্ত্রণা, মন খারাপকে প্রশ্রয় দিতে চাইলনা রূপল। বরং হেসে উড়িয়ে দিলো বিষয়টা। এই প্রথম নীহারিকার দিকে স্বাভাবিক দৃষ্টিতে তাকালো রূপল! কোনোরূপ রাগ, বিদ্বেষ, ঘৃণা ছাড়াই! উচ্ছ্বল এক দৃষ্টি। যে দৃষ্টিতে তাকালে অনায়াসে দুঃখ ভুলে থাকা যায়! শিথীল গলায় রূপল নীহারিকাকে বুঝিয়ে বলল,

“সমাজ বলুন প্রতিবেশী বলুন কিংবা আত্নীয় স্বজন বলুন তারা কী আপনাকে খাইয়ে পরিয়ে রাখে যে তাদের কথায় আপনি কষ্ট পাবেন? ভেঙে পরবেন? বরং তখন আপনার কষ্ট পাওয়া উচিৎ যখন দেখবেন আপনার পরিবারের কোনো সদস্য আপনার দুর্বলতা নিয়ে কটাক্ষ করছে! যে পরিবারে আপনি থেকে, খেয়ে, মানুষ হচ্ছেন সেই পরিবারের মানুষদের যেহেতু আপনার গাঁয়ের রঙ নিয়ে অথবা আপনার অন্যান্য দুর্বলতাগুলো নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই সেখানে সমাজের দু’একটা কথায় আপনি এত ভেঙে পরছেন কেন নীহারিকা? হোয়াই?”

রূপলের শীতল দৃষ্টি থেকে দৃষ্টি নামিয়ে নিলো নীহারিকা। সাহস হলোনা সেই আবেদনময় দৃষ্টিতে দৃষ্টি রাখার! বেদনাবিধুর গলায় পুনরায় বলল,

“প্লিজ আমাকে বাড়ি পৌঁছে দিন।”

দীর্ঘশ্বাস ফেলে রূপল নীহারিকার উদ্দেশ্যে বলল,

“ওকে। বাট একটা শর্ত আছে!”

“কী শর্ত?”

“আমাকে প্রমিস করতে হবে যে, বাসায় গিয়ে কোনো রকম কান্নাকাটি করা যাবেনা! যদি আপনি আমার এই শর্তে রাজি হোন তো, তবেই আমি আপনাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসব।”

অমনি ছ্যাত করে উঠল নীহারিকা! রূপলকের বাইক থেকে নেমে পড়ল সে! রাগ দেখিয়ে দাঁত গিজগিজিয়ে বলল,

“আমি পায়ে হেঁটেই বাড়ি যেতে পারব!”

গাঁ ছাড়া ভাব নিলো রূপল। ঘামে ভেজা শার্টের কলারটা পেছনের দিকে এলিয়ে দিলো। বাইকের স্টিয়ারিংয়ে হাত রেখে নির্লিপ্ত গলায় বলল,

“ওকে। বাট দেখবেন মাঝরাস্তায় যেন আবার শাফকাত এসে আপনাকে নিয়ে টানা হেছড়া না করে! পুরুষ মানুষ তো। আমি চিনি তারা কেমন হয়!”

ভয় পেয়ে গেল নীহারিকা! তড়িঘড়ি করে সে রূপলের বাইকের পেছনে ওঠে বসল। অস্থির হয়ে চিন্তিত গলায় বলল,

“বাইকটা ছাড়ুন।”

“কেন? একা যাবেন না? অমনি সাহস সব ফোঁস হয়ে গেল?”

সাহসী ভাব নিলো নীহারিকা! গাঁ ঝারা দিয়ে বসল সে। অবিচল গলায় বলল,

“ভীতু নাকী আমি? যে সাহস সব ফোঁস হয়ে গেল? নেহাত ভাইয়া আপনাকে পাঠিয়েছে আমাকে পিক করার জন্য। তাই ভাইয়ার সিদ্ধান্তকে সম্মান করার জন্যই আমি বাধ্য হয়ে আপনার বাইকে উঠতে রাজি হলাম।”

নাক ঘঁষে রূপল বলল,

“কথায় কেউ হারাতে পারবেনা! যাই হোক, আমার দায়িত্ব আমি পালন করে আসি।”

বাইক স্টার্ট করে দিলো রূপল। কিছুদূর যেতেই মেইন রাস্তার পাশে একটি ফুচকার স্টল দেখা গেল। হুট করেই রূপল স্টলটির সামনে বাইকটি থামিয়ে দিলো। ততক্ষণে জিভে জল চলে এলো নীহারিকার! রূপলের জায়গায় নিহাল থাকলে নীহারিকা সেই অনেকক্ষণ আগেই বাইক থেকে চ্যাচাতো তাকে ফুচকা খাওয়ানোর জন্য! তবে মুখে কিছু বলার আগেই যে রূপলকে জায়গামত বাইক থামিয়ে দিবে বুঝতে পারেনি নীহারিকা৷ এতে বরং ভীষণ অবাক-ই হলো নীহারিকা! হতভম্ব দৃষ্টিতে সে ঘাড় বাঁকিয়ে রূপলের দিকে তাকিয়ে রইল! পিছু ঘুরে তাকালো রূপল। নীহারিকাকে ঐভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে রূপল ভ্রু যুগল কুঁচকালো! প্রশ্ন ছুড়ল,

“এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?”

অবিলম্বেই ঘাড় সোজা করে নিলো নীহারিকা! থতমত গলায় বলল,

“না মানে। হঠাৎ এখানে বাইকটা থামালেন তাই কিউরিসিটি হচ্ছিল।”

“ফুচকা খাবেন?”

এ যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি শুরু হলো! লোভ নিয়ে নীহারিকা খাব বলার ক্ষণেই ভেবে বসল অন্যকিছু! শুকনো গলায় সে রূপলকে শুধাল,

“বিল দিবে কে?”

“কে আবার? আপনি!”

“আমি? কিন্তু আমার কাছে তো কোনো টাকা নেই!”

“তাহলে এখানে বাইকটা থামাতে বললেন কেন?”

“কী? আমি কখন বললাম আপনাকে বাইক থামাতে?”

“ওহ্৷ বলেন নি?”

“না তো!”

“কিন্তু আমিতো ফিল করছিলাম কেউ মনে মনে বলছিল ইশ বাইকটা যদি এখানে কেউ থামাত!”

বোকা বনে গেল নীহারিকা। নির্বোধ ভঙ্গিতে সে মনে মনে বিড়বিড় করে বলল,

“কী আশ্চর্য! লোকটা কী আমার মনের কথা পড়তে পেরেছিল? সত্যিই তো আমি মনে মনে ভাবছিলাম বাইকটা যদি এখানে দাড় করাত। তাহলে তো ফুচকা খেতে পারতাম!”

গলা ঝাকালো নীহারিকা। প্রসঙ্গ পাল্টাতে বলল,

“দেখি বাড়ি চলুন।”

“কেন? ফুচকা খাবেন না?”

“বললাম তো টাকা নেই।”

“তাহলে ধার নিন!”

“আপনি ধার দিবেন?”

“পরে সুদসহ দিবেন। আমি মাইন্ড করবনা!”

এই বলেই ব্যগ্র হাসল রূপল! নীহারিকাকে রাগাতে তার বেশ ভালোই লাগছিল। ভেতরে ভেতরে নীহারিকা রাগে ফুসছিল! এই চল্লিশ-পঞ্চাশ টাকার জন্য লোকটা কী-না তার কাছে ধারের সাথে সুদও চাইল? এত ছ্যাচড়া কেন এই লোক? ফুচকা খাওয়ার লোভের কাছে যেন রূপলের ছ্যাচড়ামিও হার মানল নীহারিকার কাছে! নিরুপায় গলায় সে বলল,

“আচ্ছা সুদও দিব। বিলটা এখন দিয়ে দিবেন প্লিজ।”

এই বলেই নীহারিকা বাইক থেকে নেমে গেল। নীহারিকার উচ্ছ্বলতা দেখে রূপল ফিচেল হাসল! প্রাণোচ্ছ্বল নীহারিকার দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বলল,

“একটুকুতেই কত খুশি মেয়েটা! অথচ এতক্ষণ কেঁদে কেটে ভাসিয়ে দিচ্ছিল! এখন তাকে দেখে কেউ বলবে? যে সে একটু আগেও নিজেকে অপমানিত, ঘৃণিত মনে করছিল?”

এক প্লেটের জায়গায় নীহারিকা দুই প্লেট ফুচকা খেল! পাশের টং দোকানে দাড়িয়ে রূপল সিগারেট ধরালো। নীহারিকার দুই প্লেট ফুচকা শেষ হতে হতে রূপলও নিমিষেই এক প্যাকেট সিগারেট টেনে শেষ করে ফেলল! ইদানিং অতিরিক্ত ধূমপান করছে রূপল। চেয়েও তা কমাতে পারছেনা। হয়ত রক্তের সাথে মিশে গেছে! ধার দেওয়ার বিষয়টা নেহাতই রূপলের মশকরা ছিল! নীহারিকাকে রাগানোর পন্থা। এতে নীহারিকার তো শুধু রাগই হলোনা বরং রূপলের সম্পর্কে তার খারাপ ধারণারও সৃষ্টি হলো! এতে অবশ্য রূপলের কিছু আসে যায়না। কারণ সে জানে ধীরে ধীরে নীহারিকার ভুল ভেঙে যাবে!

রাত এগারোটা নাগাদ রূপল নীহারিকাকে তার বাড়ি পৌঁছে দিলো। পিয়াসা এবং মারজিনা বেগমের অনুরোধে রূপল রাতের খাবারটা তাদের বাড়িতে খেতে বাধ্য হলো। রূপল চলে যাওয়ার পর পিয়াসা কোমর বেঁধে ঝগড়া লেগে গেল নিহালের সাথে! চোয়াল উঁচিয়ে সে নিহালের দিকে প্রশ্ন ছুড়ল,

“এই? কোন সাহসে আপনি আমার ভাইয়াকে অর্ডার করেন আপনার বোনকে পিক করতে? যেখানে আমি এবং আমার মা পছন্দ করিনা ভাইয়া এবং নীহারিকার সম্পর্কটাকে?”

সারাদিনের ব্যস্ততা এবং ক্লান্তির পর নিহাল মাত্র বিছানায় পিঠ লাগিয়েছিল। এরই মধ্যে পিয়াসার অবান্তর কথাবার্তা৷ সব মিলিয়ে নিহাল খিটখিটে মেজাজ নিয়ে বলল,

“সময় গময় বুঝোনা তুমি? কখন কাকে কী বলতে হয় জানো না? তোমাদের প্রবলেম কী রূপল এবং নীহারিকার সম্পর্ক নিয়ে? তারা তো প্রেম করছেনা যে এতে তোমাদের কোনো প্রবলেস হচ্ছে? ফ্রেন্ড হিসেবে তারা একসাথে চলাফেরা করতেই পারে!”

অমনি অট্ট হাসিতে ফেটে পরল পিয়াসা! ঠাট্টার স্বরে বলল,

“প্রেম? তাও আবার আপনার বোন কালীটার সাথে আমার সুদর্শন ভাই রূপলের? হাউ ফানি নিহাল! তা এই জীবনে সম্ভব নয়!”

নিজেকে আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলনা নিহাল! তেড়ে এসে প্রথম বারের মত সে পিয়াসার গালে ঠাস করে একটি চ’ড় বসিয়ে দিলো! দাঁতে দাঁত চেপে বলল,

“নেক্সট টাইম আমার বোন সম্পর্কে আর একটা বাজে কথা শুনব তো তোমাকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য হব আমি! মাইন্ড ইট!”

ট্রে তে করে নীহারিকা গ্লাস ভর্তি দুধ নিয়ে এসেছিল নিহাল এবং পিয়াসার জন্য! দরজায় দাড়িয়ে সে এতক্ষণ সব শুনছিল। পিয়াসার কথায় ভীষণ কষ্ট পেল নীহারিকা। দরজার সামনে ট্রে টি রেখে নীহারিকা কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে তার রুমে চলে গেল!

#চলবে…?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here