#ফেরারি_প্রেম
#পর্ব_৪৬
#নিশাত_জাহান_নিশি
“তুই এক্ষণি আমাকে সবিতার কাছে নিয়ে যাবি! সকাল থেকেই তাকে আমি ফোনে পাচ্ছিনা। মনে হয়না সে বাড়িতেও আছে বলে। ইদানিং তাকে বাড়িতে খুঁজে পাওয়া যায়না। হৃদিকেও কাল রাতে সবিতা আমাদের বাড়ি থেকে নিয়ে গেছে। আমি আমার ভাইজির ব্যাপারে কোনো কম্প্রোইজ করব না!”
ঐপাশ থেকে লোকটির কোনো সাড়া শব্দ পেলনা রূপল। পাবেই বা কী করে? লোকটি তো বলল সে বোবা! কথা বলতেই পারেনা। তার থেকে উত্তর কীভাবে আশা করা যায়? নিজেই নিজের উপর বিরক্ত হলো রূপল। লোকটির হুডির কলার টেনে ধরে সে হাঁটা থামিয়ে জায়গায় দাড়িয়ে পরল। পিছু ফিরে আ’হ’ত এবং রাগে ক্রোধান্বিত লোকটির দিকে তাকিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করে বলল,
“ধ্যাত। কাকে কী বলছি আমি? তুইতো বোবাই। আমার প্রশ্নের উত্তর দিবি কীভাবে?”
এই বলে রূপল কিছু একটা ভেবে পুনরায় লোকটির দিকে প্রশ্ন ছুড়ল,
“সবিতা এখন কোথায় আছে সেই জায়গার নাম, ঠিকানা তুই আমাকে লিখে দিতে পারবি?”
লোকটি মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বুঝালো। পাশের টং দোকান থেকে একটি খাতা কলম নিয়ে রূপল লোকটির হাতে ধরিয়ে দিলো। দ্রুত গলায় বলল,
“নে। জায়গার নাম, ঠিকানাটা লিখে দে।”
লিখার সময় অসম্ভব হাত কাঁপছিল লোকটির। কলমটা বার বার হাত থেকে পরে যাচ্ছিল। কাঁপা কাঁপা হাতে যেন সে খাতায় লতাপাতা আঁকছিল। মাথা গরম হয়ে গেল রূপলের। লোকটি যে অভিনয় করছে তা বুঝতে বেশী বেগ পেতে হলোনা তার। রাস্তা থেকে একটি অর্ধভাঙা ইট কুড়িয়ে রূপল লোকটির হাতের আঙুল বরাবর জোরে একটি ছেঁচা দিতেই লোকটি মাগো মা বলে চিৎকার করে উঠল! তাজ্জব বনে গেল রূপল। হতবাক দৃষ্টিতে সে লোকটির দিকে তাকিয়ে রইল। অবিশ্বাস্য গলায় শুধালো,
“এই তুই এতক্ষণ নাটক করছিলি আমার সাথে?”
আর এক সেকেন্ডও দাড়ালো না লোকটি! পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ খুঁজে পেল। প্রাণপণে উল্টো দিকে দৌড়োতে লাগল সে। পেছন ফিরে লোকটি শ্লেষাত্মক গলায় রূপলকে উদ্দেশ্য করে বলল,
“পারলে আমাকে ধরে দেখা!”
নিজের জেদকে সংযত করতে পারলনা রূপল। কেউ তার দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলে সে ততক্ষণ অবধি শান্তি পায়না যতক্ষণ অবধি সে চ্যালেঞ্জে না জিততে পারে! আক্রমনাত্নক হয়ে রূপল লোকটির পেছনে দৌড়াতে লাগল। রুদ্রাক্ষের ন্যায় রক্তবর্ণ ধারণ করে লোকটিকে বলল,
“আমার হাত থেকে পালাতে পারিস কী-না তা আগে ভেবে দেখ।”
দুজনের মধ্যে দৌড়োদৌড়ি শুরু হয়ে গেল। ঘণ্টা খানেক সময় পার করে লোকটি তার প্ল্যানিং অনুযায়ী এখান থেকে ওখানে দৌড়োদৌড়ি করে রূপলকে নিয়ে একটি ভাঙাচোরা বাড়িতে চলে এলো! বাড়িটি দেখতে যেমন স্যাঁতস্যাঁতে ছিল তেমনি অত্যন্ত নির্জন একটি জায়গায় ছিল। তাদের পাশের এলাকায় যে এমন একটি ঘন, নিরিবিলি, ভূতুড়ে জায়গা আছে তা জানা ছিলনা রূপলের। উপর থেকে এই একতলা বিশিষ্ট বাড়িটি দেখতে দুর্গন্ধযুক্ত, কুৎসিত, ভাঙাচোরা হলেও ভেতরটা মানুষের বসবাসযোগ্য। এইটুকুনি আন্দাজ করতে রূপলের খুব একটা ভাবতে হয়নি।
দৌড়াতে দৌড়াতে রূপল বাড়ির এই দিকগুলো খেয়াল করছিল। অমনি তার গাঁ টা কেমন যেন ছমছমে হয়ে উঠল! লোকটি এতক্ষণে বাড়ির পূর্ব দিকে থাকা রুমটির কাঠের দরোজাটি খুলে রুমটির ভেতর ঢুকে পরল। দৌড়ের বেগে রূপলও কিছু না ভেবেচিন্তে-ই লোকটির সাথে সাথে রুমটিতে ঢুকে গেল! রুমটিতে ঢুকা মাত্রই রূপল অবাক হয়ে গেল। দুই তিনটি রুম মিলিয়ে বোধ হয় একটি রুম তৈরী করা হয়েছে। কয়েকটি ভাঙাচোরা খাট পরে আছে রুমটিতে। দামী কোনো আসবাবপত্র না থাকলেও রুমটিতে হকিস্টিক থেকে শুরু করে ছু’রি, চা’পা’তি, লোহা কোনো কিছুরই কমতি ছিলনা! খোলা জানালা দিয়ে আসা সূর্যের আলোয় রূপল এতটুকুনি বেশ ভালোভাবেই আন্দাজ করতে পারল। সব মিলিয়ে খুবই লোমহর্ষক একটি পরিবেশ। রূপল বুঝতে পারছিল সে খুব বড়ো একটি ট্রেপে আটকে গেছে। এই ট্রেপ থেকে বের হয়ে যাওয়াটা এত ইজি নয়!
রুমের ভেতর ঢুকতেই রূপলের মনে হলো তার পেছন থেকে কেউ এসে রুমের দরজাটি লাগিয়ে দিলো! ঝট করে পিছু ফিরে তাকালো রূপল। সবিতাকে হঠাৎ দেখে অবাক হয়ে গেল সে! কদাচিৎ হেসে সবিতা রূপলের দিকে এগিয়ে এলো। বুকের উপর দু’হাত গুজে বেশ খামখেয়ালি স্বরে বলল,
“কী রূপল? খুব অবাক হচ্ছ আমাকে দেখে?”
ভ্রু যুগল কুঁচকালো রূপল। সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকালো সবিতার দিকে। উত্তেজিত গলায় শুধালো,
“তুমি এখানে কী করছ? আর হৃদি কোথায়?”
হাত দুটো ঝেরে বেশ গাঁ ছাড়া ভাব নিয়ে সবিতা বলল,
“বিক্রি করে দিয়েছি তোমাদের হৃদিকে! তাকে আর কোথাও খুঁজে পাবেনা তোমরা!”
অমনি রূপলের মাথাটা ফট করে গরম হয়ে গেল। আগ পাছ না ভেবেই সে প্রখর হিংস্রাত্নক হয়ে সবিতার গালে ঠাস করে এক চড় বসিয়ে দিলো! সঙ্গে সঙ্গেই সবিতা গালে হাত দিয়ে রাগে কটমট করে খানিক চ্যাচিয়ে বলল,
“আকাশ কোথায় তুমি? শিগগির বের হয়ে এসো! রূপল আমার গাঁয়ে হাত তুলেছে!”
হুডির ভেতরে থাকা লোকটির নাম যে আকাশ তা বুঝতে বেশী সময় নিতে হলোনা রূপলকে। হাতে থাকা হকিস্টিকটি ঘুরাতে ঘুরাতে অন্ধকার থেকে বের হয়ে এলো। রূপলের দিকে এক’পা দু’পা করে হেঁটে এসে লোকটি হেয়ালী স্বরে রূপলকে শুধাল,
“কী মিস্টার পার্ফেক্ট? খুব অনুতাপ হচ্ছে তাইনা? কেন চ্যালেঞ্জটা একসেপ্ট করলেন তা নিয়ে?”
রূপল বেশ স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করল। ভয়ভীতির বিষয়টা ঘুনাক্ষরেও বুঝালো না সে। নিজের দুর্বল জায়গা বুঝতে দিলেই তাকে এর মাসুল দিকে হবে। শার্টের কলারটা ঠিক করে রূপল পকেটে দু’হাত গুজে দাড়ালো। ভাবশূণ্য গলায় লোকটির মুখোমুখি দাড়িয়ে বলল,
“তোকে জাস্ট দশ মিনিট সময় দিলাম। এই সময়ের মধ্যে বলে দে নীহুর সাথে তোর কীসের শত্রুতা? কোন কারণে তুই নীহুর ক্ষতি করতে চাইছিস?’
অমনি পাশ থেকে সবিতা অট্ট হাসল! রূপলকে সে বিদ্রুপ করে বলল,
“কী বললে? নীহু? ইদানিং লক্ষ্য করছি ঐ ধূর্ত মেয়েটার প্রেমে তুমি বেশ ভালোই মজেছ! আমার প্রায় বোনটাকেও ভুলে গেছ।”
সূচালো দৃষ্টিতে রূপল পাশ ফিরে সবিতার দিকে তাকালো। তীক্ষ্ণ গলায় বলল,
“যদি সত্যিই আমি নীহুর প্রেমে মজে থাকি তো আমি বলব হ্যাঁ, বেশ করেছি আমি তার প্রেমে মজেছি! যদি তোমার কথা সত্যি হয়ে থাকে তো আমি জোর গলায় বলব তোমার বোনকে ভুলে যাওয়াটা হবে আমার জীবনের সবচেয়ে বড়ো আশীর্বাদ!”
স্তব্ধ হয়ে গেল সবিতা! রূপলের দিকে অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে তাকালো সে। বলল,
“তুমি সত্যিই আমার বোনকে ভুলে গেছ রূপল?”
“ভুলে যাচ্ছি বলেই নীহুর প্রতি তোমার এত ক্ষোভ তাইনা? ভাবছ নীহুর চালাকির জন্যই তোমার বোন ধরা পরে গেছে? ঐ ছলনাময়ী, মিথ্যাবাদি, ফ্রড মেয়েটা তোমার বোন বলে তুমি তার হয়ে নীহুর থেকে প্রতিশোধ নিচ্ছ?’
প্রত্যত্তুরে সবিতা হাউমাউ করে চিৎকার করে বলল,
“হ্যাঁ নিচ্ছি! কারণ, আমি শান্তি পাচ্ছিনা। প্রতি রাতেই যেন মনে হচ্ছে সুহাসিনী আমার কানে কানে এসে বলছে তাকে তোমার চোখে ছোটো করার শোধ নিতে! তোমার নীহুর থেকে শোধ নিতে! তাছাড়া আমি এমনি এমনি নীহারিকার পেছনে পরিনি! তোমার চোখে নীহারিকা খুব ইনোসেন্ট হলেও অতীতে সে আকাশের সাথে যে পাপ করেছে তার শাস্তি তাকে পেতেই হবে!”
অমনি মনে হলো কেউ রুমের নড়বড়ে দরজাটি খুলে রুমের ভেতর ঢুকে গেল! সবাই দৃষ্টি ফিরিয়ে পেছনে তাকাতেই দেখল কয়েকজন পুলিশসহ নীহারিকাকে! ভয়ে সিঁটিয়ে গেল আকাশ এবং সবিতা! দুজনই চোখেমুখে আতঙ্ক নিয়ে পিছু হটতে লাগল। লাঠি ঘুরাতে ঘুরাতে পুলিশ ইন্সপেক্টর আকাশ এবং সবিতার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলেন। দাঁত চিবিয়ে বললেন,
“বাহ্। ভালো আস্তানাই তো খুঁজে বের করেছিস তোরা! তোদের বুদ্ধিকে বাহবা না দিয়ে পারছিনা আমি।”
রূপলও তখনি পকেট থেকে ফোনটি বের করে কাট করল কলটি! ব্যগ্র হেসে সে বিধ্বস্ত আকাশ এবং সবিতার দিকে তাকিয়ে বলল,
“এখন আর কলটা লাইনে রেখেই বা লাভ কী? কাট করে দিই!”
রূপলের বুদ্ধি ধরতে পেরে আকাশ এবার বেশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠল! রূপলকে উদ্দেশ্য করে সে ঝাঁজালো গলায় বলল,
“তুই আমার জালে আমাকেই ফাঁসিয়েছিস তাইনা? কল লোকেশন ট্রেস করে পুলিশকে এই অবধি নিয়ে এসেছিস?’
ক্রুর হেসে রূপল বলল,
“একটু বুদ্ধি না খাটালে কী চলে বল? আমি যখন বুঝতে পারছিলাম আমি তোর ট্রেপে পা দিয়ে ফেলছি তখনি আমি নীহুকে কল করি! আর কথা না বলে কলটা এভাবেই ফেলে রাখি। আমি জানতাম নীহু খুব চতুর! আমার কলের উদ্দেশ্য সে বুঝতে পারবে। আমার ইশারা বুঝে সে কলটা হোল্ডে রেখেছিল। পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে আমাদের লোকেশন ট্রেস করে এই অবধি পৌঁছেও গেল!”
এমনিতেই আকাশ নীহারিকার উপর ক্ষিপ্ত! তার উপর রূপল এবং নীহারিকার এই চালাকী। সব মিলিয়ে আকাশ ফাস্ট্রেটেড হয়ে উঠল! হাতের কাছে একটি হকিস্টিক পাওয়া মাত্রই সে ভীতু নীহারিকার দিকে হকিস্টিকটি ছুড়ে মারার চেষ্টা করল! সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ইন্সপেক্টর ক্ষিপ্র হয়ে এসে পেছন থেকে আকাশকে পেঁচিয়ে ধরলেন। দাঁত কিড়মিড়িয়ে আকাশের কানে কানে বললেন,
“বুকের পাঠা খুব বড়ো তোর তাইনা? পুলিশের সামনেও মা’রা’মারি?’
নীহারিকার উপর রাগ ঝেরে আকাশ তটস্থ গলায় পুলিশকে বলল,
“এই মেয়েটা আমার জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে স্যার! আমাকে পথের ফকির বানিয়ে দিয়েছে। আপনি জানেন সে কী করেছে আমার সাথে?”
তৎক্ষনাৎ নীহারিকা জায়গা থেকে নড়েচড়ে দাড়ালো। রূপলকে উপেক্ষা করে এসে সে কাতর ভঙ্গিতে আকাশের মুখোমুখি দাড়ালো। চোখের জল ছেড়ে সে অনুতপ্ত গলায় আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল,
“বিশ্বাস করুন। সেদিন এ’ক্সি’ডেন্টটা আমার কারণে হয়নি। হয়েছে দিশার কারণে! আমি দিশাকে বলেছিলাম এত স্পিডে স্কুটি না চালাতে। কিন্তু সে আমার কথা শুনেনি। তখন অনেক রাত ছিল। রাস্তাঘাটও প্রায় শুনশান ছিল। তুলির বার্থডে সেলিব্রেট করে বাড়ি ফিরছিলাম আমরা। রাতের আঁধারে হয়ত সে রাস্তাঘাট ভালোভাবে খেয়ালও করেনি। তখনি কোথা থেকে এসে যেন আপনি স্কুটির নিচে পরে গেলেন! বিশ্বাস করুন আমি অনেক চেষ্টা করেছি আপনাকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু দিশা আমাকে সেই সুযোগটা দেয়নি। জোর করে আমাকে এ’ক্সি’ডেন্ট স্পট থেকে টেনে হেছড়ে নিয়ে গেছে। সেদিনের পর থেকে আমি আপনাকে অনেক খুঁজেছি। বিভিন্ন হসপিটালে আপনার সন্ধান করেছি। কিন্তু আপনাকে কোনো হসপিটালে খুঁজে পাইনি।”
নীহারিকা কথা একরত্তিও বিশ্বাস করতে পারলনা আকাশ! ক্ষোভ দেখিয়ে সে বাজখাঁই গলায় চিৎকার করে বলল,
“মিথ্যা বলছেন আপনি হ্যাঁ? মিথ্যা বলছেন? দিশা বলেছে সেদিন স্কুটি আপনি চালিয়েছেন। আর এক্সিডেন্টটা আপনার ভুলের কারণেই হয়েছিল!”
তখনি নীহারিকার পক্ষ নিয়ে আকাশের মুখোমুখি দাড়ালো রূপল। নীহারিকাকে অবাক করে দিয়ে সে সোজাসাপটা গলায় আকাশকে বলল,
“নীহু কখনও মিথ্যা বলতে পারেনা! দিশা মেয়েটা যে মিথ্যা বলছে সেই বিষয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই! আচ্ছা এসব কোনো ব্যাপার না। পুলিশের দু’একটা লা’ঠি’র বারি খেলেই দিশা ফরফরিয়ে মুখ থেকে সব সত্যি কথা বের করে দিবে! এখন বল হৃদি কোথায়? কোন গর্তে লুকিয়েছিস তাকে?”
জবাবে আকাশ কিছু বলার পূর্বেই পুলিশের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সবিতা বলল,
“হৃদি পাশের রুমেই আছে। হয়ত ঘুমুচ্ছে।”
কদাচিৎ হাসল রূপল! চোখ উঁচিয়ে সবিতার দিকে তাকালো। ঠাট্টার স্বরে বলল,
“আহা সবিতা। তুমি এত ভয় পাচ্ছ কেন? পুলিশ দেখে সব হাওয়া কী ফোঁস হয়ে গেল? এতক্ষণ তো পাতানো প্রেমিকের পক্ষ নিয়ে খুব ঝারছিলে আমায়। শুধু তাই নয় খুব সাহসও দেখাচ্ছিলে। এখন কোথায় গেল সেই সাহস? পশ্চাৎপদ দিয়ে বের হয়ে গেল?”
#চলবে…?
[পরীক্ষার খুব চাপ নিয়ে আজকের গল্পটা লিখেছি। তেমন সাজিয়ে গুছিয়ে লিখতে পারিনি। তাড়াহুড়োর জন্য রি-চেইকও করা হয়নি। ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।]