#বউ (০৪)
মেঘ কখন যে তাহুকে ভালবেসে ফেলে বুঝেনাই।একদিন না দেখলে মনে হয় কতবছর দেখা হয়নি।দেখতে দেখতে পরীক্ষা শেষ।মেঘ তাহুর সাথে তেমন কথা বলেনা।
হ্যা কথা বলে ডায়েরির সাথে।মেঘের একটা ডায়েরি আছে সেটা সে সবসময় কাছে কাছে রাখে।যখনি তাহুকে দেখে তখনি তাকে নিয়ে দুইলাইন লিখে।মেয়েটাকে দেখার পর সে কবি ও হয়েছে বটে।মেঘ নিজে নিজেই হাসে।লুকিয়ে তাহুর একটা ছবি তোলে নেয়।
মেঘ টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছিলো।মেঘের বাবা তখন বাইরে।মেঘ ফোন বের করে গ্যালারি তে ডুকে একটা ছবি ওপেন করে।
–“আম্মু একটা ছবি দেখবে?”
মেঘের মা ভ্রু কুঁচকে বলে–“কিসের ছবি?”
মেঘ তখন ফোন টা মায়ের দিকে এগিয়ে দেয়।
–“দেখোতো এ মেয়েটা কেমন?”
মেঘের মা ভাল করে দেখে বলে–“ভাল তো দেখতে।কিন্তু কে সে?”
–“ওর নাম তাহু।আমাদের ভার্সিটিতেই পড়ে।মেয়েটার বোকা বোকা চাহনি আমার মনে গেতে গেছে।কখন যে ওকে ভালবেসেছি নিজেও জানিনা।”
মেঘের মা অবাক হয়।
–“কি শুনছি আমি?মেয়েটা জানে?”
–“না বলিনি।কারণ সে যেমন মেয়ে ছেলেদের থেকে একহাত দূরে থাকে।আমার মনে হয়না সে প্রেম সম্পর্কে জড়াবে?”
–“আচ্ছা তবে?”
–“আমি পড়ালেখা শেষ করে জব করবো তারপর ডিরেক্ট বিয়ে করে নিবো।”
–“ততদিনে যদি বিয়ে হয়ে যায়?ভালবাসার কথা চেপে রাখতে নেই।”
মায়ের কথায় মেঘ কিছুই বলেনা।তাহুকে কি বলবে নিজের মনের কথা।যদি রিজেক্ট করে দেয় তখন তো আরো বেশি কষ্ট হবে।যে করেই হোক একটা চাকরি যোগাড় করতেই হবে।
মেঘ খাওয়া শেষে পড়ার টেবিলে বসে।তারপর ডায়েরির প্রথম পৃষ্ঠায় লিখে–“তাহু মেঘ!”
তারপর একটা লাভ একে দিয়ে নিচে লিখে–”
মেঘতা!মেঘের মেঘ তাহুর তা মিলেই মেঘতা।তাদের বাচ্চার নাম রাখবে।কি সাংঘাতিক বাচ্চার নাম ও সিলেক্ট করে ফেলেছে?
মেঘ ডায়েরি টা সবসময় লুকিয়ে রাখে।নয়ত নিজের কাছে রাখে কখনো যদি কারো হাতে পড়ে তো সমস্যা।
______________
সামনে আবার ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা।সবাই নিয়মিত ক্লাস করতেই ব্যস্ত।মেঘ আজ ভার্সিটি যাচ্ছে।তবে ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছে না।একটা খাতা একটা বই আর বইয়ের ভিতর ডায়েরি টা নিয়েছে।
ভার্সিটি তে ডুকতেই সেই কাঙ্খিত মানুষ টা।তাহুকে দেখে ই মেঘ কেমন আছে জিজ্ঞেস করে।তাহু সালাম দেয়।ভাল আছে বলেই চলে যায় সে।
আর কোনো কথা বলে না।বলতে গেলে বলার সুযোগ ই দেয়না।চুপচাপ শান্ত প্রকৃতির কেমন যেন।মেয়ে মানুষ সারাদিন কথা বলবে তা না।
.
এভাবে তারা ফাইনাল পরীক্ষা দেয়।দুজনে রেজাল্ট ভাল করে।মেঘ উঠে থার্ড ইয়ারে আর তাহু সেকেন্ড ইয়ারে।
.
.
একদিন মেঘ ক্লাস শেষে বের হতেই প্রিন্সিপাল স্যার কি দরকারে ডাক দেয়।সামনে তাহু পড়তেই খাতা আর বই তাহুকে দিয়ে বলে–“একটু এগুলো রাখো প্লিজ!আমি স্যারের সাথে দেখা করে আবার নিয়ে যাবো।”
তাহু চুপচাপ বই খাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।বই খাতা কাত করে নিতেই টুস করে ডায়েরি টা পড়ে যায়।আর প্রথম পৃষ্টা উলটে যায়।তাহু নিচে বসে ডায়েরি টা নিতেই নাম গুলো চোখে পড়ে।ভ্রু কুঁচকে যায়।তার নাম কেন এ ডায়েরি তে।আর মেঘতা ই বা কে?
ডায়েরি টা বইয়ের উপরে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।মেঘ ফিরে আসে–‘ধন্যবাদ কষ্ট দিলাম তোমাকে।”
–“সমস্যা নেই।”
বই নেয়ার সময় মেঘের কপাল ভাজ পড়ে ডায়েরি টা উপরে কি করছে?তাহু সব পড়ে নেয় নি তো?
মেঘ প্রশ্ন করে–“ডায়েরি টা এখানে কেন?তুমি কিছু পড়ো নি তো?”
তাহু তখন বলে–“অন্যের ডায়েরি অনুমতি ছাড়া পড়া অপরাধ।আশা করি আমি তেমন অপরাধ করতে পারি না।ডায়েরি টা বইয়ে আছে যে আমি জানতাম না।নিচে হঠাৎ পড়ে গিয়ে প্রথম পৃষ্ঠা উলটে ছিলো।”
মেঘ চোখ বড় বড় করে বলে–“তার মানে?”
–“আমার নাম কেন ডায়েরি তে?”
মেঘ এবার ননড়েচড়ে সোজা হয়ে দাঁড়ায়।
–“আসো অই দিকে যায়?”
তাহু পিছন পিছন হাটে।মেঘ একটা জায়গায় থামে এখানে শিক্ষার্থীরা বেশ দূরে।
মেঘ বলে–“আমি তোমাকে ভালবেসে পেলেছি তাহু।”
তাহু অবাক হয়।
–“কিন্তু আমি তো বিয়ের আগের ভালবাসা গুলো একদম ই বিশ্বাস করিনা?”
–“এজন্য আমি তোমাকে বলিনি।ভেবেছিলাম যখন চাকরি করব তখন জানাবো যাতে একেবারে বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারি!”
তাহু তখন বলে–“আর মেঘতা?সে কে?”
মেঘ তখন হাল্কা হেসে বলে–“তোমার আমার নাম মিলিয়ে মেঘতা।মানে বাচ্চা যখন হবে…
তাহু এবার আর কথা বাড়ায় না।অন্য প্রসঙ্গে চলে যায়।
–“আপনি জানেন আমার আব্বু আমার বিয়ে ঠিক করেছেন?আব্বুকে আমি বেশ ভয় পাই।”
কথাটা মেঘের বুকে তীরের আঘাতের মতো লাগলো।
–“মানে?”
–“হ্যা,আমার বিয়ে ঠিক করা ই আছে।”
মেঘের চোখ ছলছল করে উঠলো।মেঘের অসহায় মুখ দেখে তাহুর ও খারাপ লাগছে।তার জন্য একটা মানুষ এভাবে কষ্ট পাবে খারাপ লাগে।
তাহু বলে–“আপনি একটা চাকরি নয়ত বউয়ের খরচ চালানোর মতো কিছু করুন।তারপর বিয়ের প্রস্তাব দিন।এর আগে ভালবাসার কথা আমি আব্বুকে কখনো ই বলতে পারবো না।তাছাড়া আমার বিয়ের দিন তারিখ ও ঠিক হয়ে গেছে।এটা আপনাকে জানানো জরুরী যে আমি প্রেমের সম্পর্ক একদম ই পছন্দ করিনা।”
–“তোমার পরিবারে কে কে আছেন?”
–“আম্মু আব্বু আমি।”
তাহু মনে মনে ভাবছে।যে তার জামাই হবে তাকে বিরাট সারপ্রাইজ দেয়া হবে।দুজন বোন একই রকম সেজে দাঁড়িয়ে থাকব চিনবে কিভাবে দেখায় যাবে।তাই মেঘ থেকেও কথাটা লুকাতে হলো।
মেঘ তখন হাসিমুখেই বলে–“ঠিক আছে আমি চাকরির ট্রাই করবো।”
মেঘের যাওয়া দেখে তাহু দীর্ঘশ্বাস ফেলে,তাহু এসব কাউকে কখনো ই বলতে পারবে না।এ ভালবাসাগুলো কেন মানুষের জিবনে আসে?যেগুলোর পূর্ণতায় শত বাধা।আদৌ এ লড়াইয়ে মেঘ কি জিতবে জানা নেই।এদিকে বেকার ছেলেকে কখনো আব্বু বিয়ে দিবেনা।অন্যদিকে মেঘের প্রতি মায়া ও জন্মে গেছে।এসব আবেগে তাহু যে জড়াতে চায়না।অতঃপর দীর্ঘশ্বাস।
.
মেঘ বাসায় এসে মা কে সব খুলে বলে।সব শুনে মেঘের মা বলে–“তুই মেয়েটাকে ভুলে যা।এটাই ভালো।”
–“কিন্তু আমি তো তাকে সত্যি ই ভালবাসি আম্মু।তাহলে সে কেন আমার বউ হবে না?”
মেঘের কথায় তিনি চমকান।এ কেমন প্রশ্ন?
–“বিয়ে!তুই কি এখন চাইলেই মেয়েটাকে বিয়ে করতে পারবি?”
–“আমি চাকরি জোগাড় করবো যে করেই হোক।”
–“তারপর সমাধান?তুই জানিস একজন বউয়ের প্রতি স্বামীদের কত দায়িত্ব?একদিকে তোর পড়ালেখা সামলানো অন্যদিকে তুই বেকার নাকি বাবার টাকায় তোর বউকেও খাওয়াতে পড়াতে চাস?”
মেঘ তারপর ও নিজের মন কে বুঝাতে পারেনা।যে করেই হোক তাহুকে ই বউ করবে।সেই মুখ,হাসি না দেখে সে থাকবে কি করে এই আদৌ সম্ভব?
__________________
তিনমাস ধরে মেঘ হন্যে হয়ে চাকরি খুঁজে। কিন্তু ঘুষ ছাড়া কোথাও ভাল চাকরি জুটে না।না পাচ্ছে চাকরি,না পাবে ব্যবসা করার টাকা।চারদিকে অন্ধকার ই দেখছে।অন্যদিকে সে এখনো স্টুডেন্ট।পড়ালেখার খরচ তো আছেই।অবশেষে বাস্তবের কাছে হার মানে মেঘ।
ডায়েরি টা সযন্তে পুকুরে ফেলে দেয়।সবচেয়ে কষ্টের কারণ ডায়েরি টা।তাহুর সব স্মৃতি এখানেই যে।বিচ্ছেদে এত কষ্ট জানলে কখনো কাউকে ভালবাসতাম না।তারপর ও তাহু নামটা আজিবন আমার কাছে সম্মান আর ভালবাসার নাম হয়েই থাকবে।ছেলেরা কতটা অসহায় হলে মুখে হাসি ঝুলিয়ে মনের ক্ষত নিয়ে বাচে।এই ভুল আর কখনো করবো না।দ্বিতীয়বার আর কাউকেই ভালবাসব না।এটাই প্রথম এটাই শেষ।মনে মনে মেঘ এসব ভাবে।
______
তাহু বিশ্ববিদ্যালয় আসলে মেঘ খবর দেয় যাওয়ার সময় যেন মেঘের সাথে দেখা করে যায়।
মেঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুর ঘাটে বসে।তাহু আস্তে পায়ে এগিয়ে আসে।তার ধারণা ছিল মেঘ যে করে হোক চাকরি জোগাড় করেছে।কিন্তু মেঘ যখন ফিরে তাকায় তাহুর দিকে তখনি মেঘের বিষন্ন মুখ আর চোখের কোণায় পানি দেখে তাহু বুঝে যায় চাকরি না পাওয়ার ব্যপার।
–“তাহু!ভালো আছো?”
–“আলহামদুলিল্লাহ।তুমি?”
তুমি শব্দটা শুনে মেঘ ফুফিয়ে কেঁদে উঠে একেবারে বাচ্চাদের মতো করে।তাহুর নাক মুখ লাল হয়ে আছে,কেউ তার সামনে কাঁদলে সে সহ্য করতে পারেনা।মনে হচ্ছে চোখ দিয়ে রক্ত ঝড়ে পড়বে।তুমি সম্বোধন টা মেঘের আবদার ছিলো,তাই তাহু এটা মেনে নিয়েছে।ভালবেসে এই একটা আবদার ই তো করেছিলো মেঘ।
মেঘ অনেক্ষন কিছু বলেনা।তারপর বলে–“আমি পারিনি তোমাকে বউ করতে।সারাজিবন এই আক্ষেপ টা থেকে যাবে।”
তাহু তখন নিজেকে সামলে বলে–“আমি তোমাকে ভালবেসেছি কিনা জানিনা,তবে তোমার কষ্টে আমার ও কষ্ট হয়।তবে আমার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক।আমি বউ হইনি মানে এই,আল্লাহ চান না আমরা এক থাকি।হয়ত এতেই আমাদের ভালো।বিশ্বাস করো একদিন আমার কথা মিলবে আল্লাহ ভালর জন্য ই সব করে।তোমার জন্য যাকে রেখেছেন ভাগ্যে, সে আসবে ততদিন অপেক্ষা করো জিবন সুন্দর লাগবে।তুমি যদি সুন্দর হও তাহলে একদিন সুন্দর কেউ তোমার জিবনে আসবে।তবে ধর্য্য ধরতে হবে।”
–“তোমাকে দেখার পিপাসা আমার সারাজিবন থেকে যাবে।কখনো তোমার হাত ধরার সুযোগ পেলে সেদিন ও আমি তোমার হাত ছাড়বো না।তুমি থাকবে মনের গহীনে।তবে তোমার প্রতি আমার খারাপ চিন্তাধারা নেই।যেখানেই থাকবে অনেক ভাল থেকো।”
তাহু তখন একফোটা চোখের জল ফেলে বলে–“তুমি একদিন আমার চেয়ে ভাল কাউকে পাবে।আল্লাহর উপর ভরসা রাখো।সেদিন দেখবে এসব ভালবাসা মনে পড়বে না।আমি তোমাকে কখনো ভুলবো না আজিবন তুমি সম্মানের চোখে থাকবে।তবে আমি সবচেয়ে বেশি আল্লাহকে ভরসা করি।তিনি ই উত্তম বিচারকারী।”
মেঘ তখন হাসার চেষ্ট করে বলে–“তোমার চেয়ে বেটার কাউকে চায়না,তোমাকে ভুলা কি সম্ভব?”
তাহু মাথা নিচু করে বলে–“হ্যা যেদিন দেখবে তোমার চেয়ে তোমাকে সে বেশি ভালবাসে সেদিন তুমি ভুলে যাবে সব।”
মেঘ বলে–“আমি এই মুখ যে কখনো ই ভুলবো না”।
তাহু চলে আসে।আর আল্লাহকে বলে–“তুমি সবাইকে পবিত্র সম্পর্কে ভালবাসা দাও।অপবিত্র থেকে দূরে রাখো।”
তাহুকে এভাবে যেতে দেখে মেঘ ভাবে অভিমান থেকে মেয়েটা চলে যাচ্ছে নাকি?হয়ত অভিযোগ ও আছে।যা ও ভালবাসার দাবি নিয়ে এসেছিল বাস্তবতায় তাও হারিয়ে গেলো।
কিন্তু তাহুর মনে কিছুই নেই।বরং মেঘের প্রতি আছে শ্রদ্ধা আর সম্মান।
.
.
এরপরে তাহু বদলি হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।তাহুর শশুড় বাড়ি থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয় বেশ দূরে।মেঘের সাথে আর দেখা হয়না।
তারপর থেকে মেঘ একদম পালটে গেলো।আগের মতো হাসে না।চুপচাপ থাকে।পড়ালেখা শেষ করে আর চাকরির ট্রাই করেনা।যে চাকরির জন্য তার ভালবাসা হারাতে হয় সে চাকরির আর দরকার নেই।
বাবার থেকে টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করে।তারপর মেঘের মা অনেক বলেছিলো তাহুর বিয়ে হয়েছে,সুখেই আছে।সে ও যেন বিয়ে করে।
পাঁচবছর এ ও মেঘ তাহুকে ভুলে নি।আর না ভুলবে……!এরপর থেকে আর কোনো মেয়ে তার জিবনে আসেনি।মেঘ আসতে দেয়নি।কাউকে তাহুর মতো ভালো লাগেনি।
তাহু যাওয়ার আগে বলেছিলো–“পবিত্র ভালবাসা,পবিত্র সম্পর্ক পবিত্র সবকিছুই সুন্দর।সেদিনের জন্য অপেক্ষা করো।ধর্য্যের ফল মিষ্টি।”
তার এই কথাটা মনে গেতে আছে।আচ্ছা একতরফা ভালবাসা কি হাস্যেকর?সে না হয় অন্যরকম ভালবাসলো?হ্যা ভালবাসা সুন্দর।পবিত্র সবকিছু ই সুন্দর।
এভাবেই মেঘ ভাল আছে।তাহুর সাথে কাটানো কিছু সুন্দর স্মৃতি নিয়েই সে ভাল ই আছে।যদিও সে অন্যের বউ তাকে ভাবার অধিকার নেই।তারপর ও কিছু স্মৃতি ভাবতে ভাল লাগে হোক না অল্প কিছু দিনের।কেন ভাল লাগে অজানা।
মেঘ ভাবে–“আচ্ছা কোনোদিন কি সেই পবিত্র সম্পর্কের দেখা হবে,দেখা হবে সেই পবিত্র ভালবাসার?
______________________
(বর্তমান)
তাহু এখন তার জিবনে নেই।ভেবেছিল তার হারিয়ে যাওয়া তাহুকে আবার নিজের করে ফিরে পেয়েছে।তবে সে তাহু নয় মেহু, কিন্তু সেই মুখ, হাসি ঠিকই মেঘের সামনাসামনি এখন ঘুরাঘুরি করে………
চলবে…………?
#তাহরীমা
(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখা উচিৎ,গল্পটা ধর্য্য সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো।)