বউ (১১) #শেষপর্ব

#বউ (১১)
#শেষপর্ব
.

মেহু কথাটা শুনে ভ্রু কুঁচকে ব্যালকনির দিকে যায়।
–“কি বললেন?আবার বলুন তো”?
–“মেঘের বউ বলেছি।”
–“কোথেকে উড়ে এসেছেন?বললেই হলো।আমি এসব বিশ্বাস করিনা।”
–“বিশ্বাস না করলে সেটা আপনার ব্যপার।”

মেহু কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে বলল–“আপনি যে বউ কি প্রমাণ?”
–“প্রমাণ দেখাতে আমি বাধ্য নই।”
–“তাই নাকি?তাহলে লাগবে না।মেঘের বউ হয়ে কি লাভ যদি কাছেই না থাকেন।মেঘের ঘরে তো আর থাকছেন না।আহারে..!”
–“আমি আসছি তো ভাগ বসানোর জন্য।কালকেই আসছি।”
–“টেং ভেঙ্গে রেখে দিবো মেহুকে ত চিনেন না?”

এই বলে কলটা কেটে দিলো।

মেহু রেগে বোম হয়ে রুমে ডুকতেই মেঘকে দেখলো।আর ধুম করে বিছানায় ফোন টা ফেলে দিলো।
মেঘ তখন জিজ্ঞেস করলো,
–“হঠাৎ কি হলো?এত রেগে আছো যে?”

মেহু তখন বলে–“আপনার বউ কল করেছিলো।কালকেই আসছে নাকি।”

মেঘ আকাশ থেকে পড়েছে এমন ভাব ধরেছে।তারপর বলে,
–“বউ!কিসের বউ।আমার বউ তো শুধুই তুমি।”

মেহু ফ্লোরে বসে ই কেঁদে দিলো।
–“এই ছিল মনে।শেষমেশ আরেকটা বিয়ে?জানি আপনাকে ভালবাসি বলিনি।তাই বলে আবার বিয়ে করে ফেলবেন?”

মেঘ মেহুকে কি বলবে কিছুই বুঝছে না।তারপর বলে–“দেখি নাম্বার টা?”

মেঘ ফোন নিয়ে নাম্বার টা দেখে হু হু করে হেসে উঠে।

মেহু যেন বোকা বনে গেলো এমন ব্যপার।মেহু ভ্রু নাচিয়ে বলে,
–“কি হলো?”

মেঘ হাসি থামিয়ে বলে,
–“এটা আমার কাজিনের নাম্বার।আমার খালাতো বোন।বিদেশে থাকে হাসবেন্ড সহ।ও একটু ফানি টাইপের।আমাদের সম্পর্ক টা বন্ধুত্ব প্লাস ভাইবোনের।নিশ্চয় তোমাকে রাগানোর জন্য ই মজা করে এমন বলেছে।কাল আসলে দেখিও।”

মেহু এবার উঠে দাঁড়ায়।
–“সত্যি তো?”
–“তুমি ই বলো।আমাকে দেখে কি এমন মনে হয়?যে আমি আরেকটা বিয়ে করব তাও তোমাকে না জানিয়ে?আমার জন্য একটা বউ ই যতেষ্ট।”

মেহু এবার চুপ হয়ে যায়।সত্যি যে মানুষ ভালবেসে অন্য মেয়ের দিকে তাকায় নি সে বিয়ে করবে এটা মানা যায় না।

মেঘ ফোন টা নিয়ে মেহুর সামনেই অই নাম্বারে কল করে।
তারপর বলে–“কতদূর আসলি?”
–“এইতো ভাইয়া চলে আসছি।সকালেই বাসায় আসবো”।
–“সাবধানে আয়।”

মেহু লজ্জা পেয়ে সেখান থেকে তাড়াতাড়ি চলে যায়।যাওয়ার পানে মেঘ তাকিয়ে ই থাকে।
______

পরের দিন সকালে মেঘের কাজিন লামিয়া,তার মা,তার হাসবেন্ড আসে।লামিয়ার একটা ছোট বাচ্চা ও আছে।

মেঘের মা অনেকদিন পর বোনকে দেখে অনেক খুশি হয়।ভোর থেকে মেহু নাস্তা বানিয়েছে নতুন মেহমানদের জন্য।মেহু তো এখন অসুস্থ তাই মেঘের মা এসব করতে নিষেধ করেছে।কিন্তু কার কথা কে শুনে?

তারপর জোর করে মেহুকে রুমে পাঠায় যাতে একটু রেস্ট নেয়।

এই ফাঁকে এরা চলে এসেছে।
মেঘতা মেঘ ঘুম থেকে অনেক আগে উঠে। মেঘ মেঘতাকে ফ্রেশ করিয়ে মেহমানদের সামনে আসে।লামিয়া ভাইকে সালাম দেয়।মেঘ খালামনিকে সালাম করে।মেঘের দেখাদেখিতে মেঘতা ও সালাম করে।

মেঘের খালামনি মেঘের মায়ের মতো ই ভালো।মেঘতাকে কোলে নিয়ে জড়িয়ে ধরে।
আর জিজ্ঞেস করে–“নাম কি?”
–“তাসমিয়া মেঘতা।”
–“মাশ আল্লাহ,সুন্দর নাম তো।”

মেঘতা এদিকটা তাহুর মতো হয়েছে।শান্ত হয়ে সবার সাথে মিশে।কথা বলে।তারপর লামিয়া মেহুকে খুঁজে।

মেঘ ভ্রু কুঁচকে বলে–“কাল যেন কি বলছিলি?”

লামিয়ে এবার জিহ্বায় কামড় বসিয়ে বলে–“সরি ভাইয়া।ভাবি হিসেবে একটু মজা করেছিলাম।”

মেঘের মা বলে–“কি হয়েছে?”
লামিয়া সব খুলে বলে।তারপর মেহু কি কি বলেছে সেসব শুনে সবাই হেসে উঠে।

হাসির শব্দ কানে আসতেই মেহুর ঘুম ভাঙ্গে।আস্তে আস্তে উঠে চোখেমুখে পানি দিয়ে মেহমানদের সামনে যায়।
তারপর খালামনিকে সালাম করে।লামিয়া তার বরকে সালাম দেয়।
.
লামিয়া তারপর বলে–“দেখেন ভাবি আপনার কথামত ভাগ নিতে এসেছি।তবে বাড়ির ভাগ।আপনি মেঘভাইয়ার বউ ছিলেন,আছেন,বউ হয়েই থাকবেন।”

মেহু লজ্জা পায়।কালকে বেশি রেগে গেছিলো।

মেহু তখন কথা কাটিয়ে মেঘের মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে–“আম্মু আমি নাস্তা নিয়ে আসতেছি।”

তখন মেঘের মা বলে,
–“সকলে একটু ফ্রেশ হয়ে নিক।বাইরে থেকে আসলে ফ্রেশ হয়ে নেওয়াটা উত্তম।”
.
.
সবাই ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে বসে।মেঘের বাবা ও আসে।সবাই একপ্রকার খেতে খেতে আড্ডা দেয়।হৈ হুল্লোড়ে পরিবারটা মেতে উঠে।

লামিয়ারা একমাস থেকে আবারো বিদেশে চলে যাবে।গত দশবছর পর্যন্ত তারা বিদেশে ই থাকে।
_______

কয়েকদিন পর তারা সবাই পিকনিকের আয়োজন করে।লামিয়া আর মেহু টুকটাক হেল্প করে।বাকি রান্নাবান্না মেঘের মা আর খালামনি করে।

মেঘতা লামিয়ার বাচ্চার সাথে থাকে।বাচ্চাটা যদি কেঁদে উঠলেই মেঘতা চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে মেহুকে ডাক দেয়–“মাম্মাম দেখো বাবু কাঁদছে।”

লামিয়া তখন হেসে মেঘতাকে কোলে নেয়।
–“নিজেই বাবু আবার অন্যজনকে বাবু বলা হচ্ছে?”
মেঘতা তখন বলে–“আমি অনেক বড় হয়ে গেছি।”

সবাই হেসে উঠে।

____________

একমাস পর ই লামিয়ারা চলে যায়।মেহু মন খারাপ করে।বাড়িটাতে কত হাসিখুশি আড্ডায় থাকত,এখন নিরব হয়ে গেলো।আসলে বাড়িতে মেহমান আসলে অন্যরকম আনন্দ থাকে।আবার মেহমান চলে গেলে খুব খারাপ লাগে।
.
.
দিন যায় মেহুর পেট ভারি হয়।মেহুর বাবা মা বাচ্চা হওয়া পর্যন্ত মেঘেদের এখানেই থাকবে।তাই তারা গ্রামের বাড়ি থেকে চলে আসে।প্রেগন্যান্ট অবস্থায় সবাইকে কাছে পেলে অন্যরকম ভালো লাগে।
.
মেহু মেঘকে জিজ্ঞেস করে–“বাচ্চা হওয়ার সময় সবাই বলে,ছেলে চায় নাকি মেয়ে?আপনি ও বাদ যাবেন কেন?আপনার কি চাই?

মেঘ ভেবে বলে–“মেয়ে চাই।”

মেহু তখন বলে–“আমার ছেলে চাই।আমাকে তো আল্লাহ মেয়ে একটা দিয়েছেন ই।”
–“ওকে ছেলে হোক মেয়ে হোক আমি সন্তুষ্ট।”

মেহু হাল্কা হাসে।মনে মনে ভাবে,
“আজ যদি আপু থাকত আমাকে দেখে কত ই না অস্থির হতো।এটা সেটা বলত।তার অস্থিরতা দেখে আমি খিলখিলিয়ে হাসতাম।”

মেহুকে ভাবতে দেখে মেঘ বলে–“কি ভাবছো?”
–“কিছু না।”

কিছু না বললে ও মেঘ জানে তাহুর কথা ই ভাবছে।অতঃপর একটা লম্বা দীর্ঘশ্বাস।আহ তাহু যদি অন্তত বেচে থাকতো!

_____

দেখতে দেখতে মেহুর ডেলিভারির সময় হয়।মেহুকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয় মেঘতা এসব এই প্রথম দেখছে সে মেহুর জন্য কাদে।

মেহু মেঘতাকে সান্তনা দেয় যে তার খেলার সাথী আনার জন্য আমরা এখানে আসছি।

মেঘ অনেক্ষন মেঘতাকে বুঝায় আর বলে–“তুমি এখন ঘুমিয়ে পড়ো উঠে দেখবে খেলার সাথী চলে এসেছে।”

মেঘতা তারপর মেঘের কাঁধে ঘুমিয়ে পড়ে।তারপর মেঘের মা কোলে নেয়।মেঘ মেহুকে একনজর দেখে কেবিন থেকে বের হতে নিলে মেহু হাত চেপে ধরে।
–“কিছু বলবে?”
–“আমার মেয়েকে দেখে রাখবেন?”
–“সে কি শুধু একা তোমার মেয়ে?আমার নয়।এভাবে কেন বলছো?”

মেহু চুপ করে থাকে।মেঘ মেহুর কপালে চুমু একে বলে–“আল্লাহ চাইলে সব ঠিক হয়ে যাবে।চিন্তার কিছুই নেই।”

তারপর মেঘ বের হয়ে যায়।অনেক্ষন কেটে যাওয়ার পর নার্স দুই হাতে দুইবাচ্চা নিয়ে আসে।মেঘের বাবা মা,মেহুর বাবা মা বসে ছিল তারা দাঁড়িয়ে পড়ে।মেঘকে দেখে হাসিমুখেই নার্সটি বলে,
–“কনগ্রেচুলেশন!আপনার জমজ বাচ্চা হয়েছে।একটা ছেলে একটা মেয়ে।”
–“আর আমার বউ?”

নার্সটি হাসে,
–“আপনার বউ ও সুস্থ আছে।

তারপর দুই বাচ্চা মেঘের কোলে দেয়।সকলে আনন্দে কেঁদে ফেলে।মেঘতা তখনো ঘুম।
.

মেহুর জ্ঞান ফেরার পর তাকিয়ে দেখে মেঘ দুইটা বাচ্চা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।মেহু আল্লাহর কাছে শুকর জানায়।তারপরে মেঘতাকে খুঁজে।
–“আমার মেয়ে?”

মেঘের মা কেবিনে ডুকে।
–“আপনার মেয়ের যত্নের ত্রুটি রাখিনি।”

মেঘতা চোখ খুলে।মেহুকে দেখে খুশি হয়ে বলে,
–“মাম্মাম!”

তারপর মেহু মেঘতাকে পাশে বসায়।বাচ্চাগুলো কে একটা করে করে কোলে দেয়।মেঘতা দুইভাইবোন কে চুমু দেয়।সে খুব খুশি।

________

কয়েকদিন পর দুজনেরই নাম রাখে।মেঘ,মেহু,আর মেঘতার সাথেই মিল রেখে নাম দেয় মেহের আর মেঘলা।


মেঘ সবসময় মেহুকে সাহায্য করে।দুই বাচ্চা একসাথে কাঁদলে একটা মেঘ নিয়ে বসে থাকে।আরেকটা মেহু নিয়ে বসে থাকে।

মেঘ এই প্রথম এত ছোট বাচ্চা কোলে নেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে।তাই সে বেশি এক্সাইটেড।
.
.
মেহুর বাবা মা কালকে ই গ্রামের বাড়ি চলে যাবে।মেহু মেঘতা,মেহের, মেঘলাকে ঘুম পাড়িয়ে ব্যালকনিতে দাঁড়ায়।দূরে চাঁদ দেখা যায়।চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকে।
মেঘ পিছনে দাঁড়ায়,
–“মেহু।”

মেহু একপলক তাকিয়ে বলে।
–“আপুর কবরের কাছে যেতে মন চায়ছে,নিয়ে যাবেন?”

মেঘ মেহুকে ঘুরিয়ে তারপর জড়িয়ে ধরে–“নিয়ে যাবো।”

____

পরেরদিন পরিবারের সবাই গ্রামের উদ্দেশ্য রওনা হয়।মেহু যেহেতু যাবে সেহেতু মেঘের বাবা মা ও যাবে।একা একা দুইটা বাচ্চাকে দিতে তাদের মন চায়ছে না।
.

মেহু গাড়ি থেকে নেমে মেঘতার হাত ধরে এগিয়ে যায়।মেঘ মেহের কে কোলে নেয়।মেঘলাকে মেহুর বাবা কোলে নেয়।

মেহু তাহু আর আদ্রর কবরের সামনে আসে।কিছুক্ষণ চুপ থেকে কেঁদে উঠে।
–“আপু।তুই কেন চলে গেলি?”

মেঘতাকে সামনে আনে।

–“এই দেখ তোর আমানত আমি আগলে রেখেছি।যতদিন বাঁচবো আগলে রাখবো।
আর আমাদের আরো অতিথি এসেছে,তুই যে কিছুই দেখলি না।সবথেকে বেশি খুশি আজ তুই হতিস।তাইনা বল?”

মেঘতা মেহুকে বলে–“এখানে কে আছে মাম্মাম?কেন কাঁদছ?”

মেহু তখন মেঘতার গালে চুমু খায়।
–“এখানে আমার মতো আরো একটা বউ ছিল।ভালো বউ ছিল।তোমার মাম্মাম সে।”

–“আমার দুইটা মাম্মাম ছিলো?তাহলে সে এখানে কেন?”
–“অই যে বেশি ভালো ছিল তাই আল্লাহ নিয়ে গেছেন।”
.
মেঘতা মন খারাপ করে মেহুকে জড়িয়ে ধরে।
–“আমি মাম্মাম আছি না?”

মেঘতা মুচকি হাসে।মেঘ এগিয়ে আসে।
আর মেহুকে বলে–“তাহু একদিন বলেছিলো আমার চেয়ে যখন সে আমাকে ভালবাসবে আমি তাহুকে ভুলে যাবো।আমি তাহুকে ভুলিনি,কিছু মানুষকে ভুলা উচিৎ ও না।তারা আজিবন সম্মানিত হয়েই থাকে। কিন্তু আমি তাহুর বলা সে এর সেই ভালবাসায় একেবারে ফেঁসে গেছি।সেই সম্পর্কের মায়ায় গভীরভাবে গেতে গেছি।সেই বউ পবিত্র ভালবাসার সৌন্দর্য্য আমি প্রতিনিয়ত দেখি আর শান্তি অনুভব করি।যা হয়ত তাহুর কথা বিশ্বাস না হলে সম্ভব হতো না।আল্লাহর কাছে সবকিছুর জন্য শুকরিয়া।”

মেহু কিছুক্ষণ চুপ করে কাদে তারপর উঠে দাঁড়ায়।আর চলে আসে।তাহু দেখছে কিনা শুনছে কিনা জানেনা।তারপর ও আপুর কবরের সামনে দাঁড়াতে তার ভাল লাগে।শান্তি পায়।
________

তিনজন কে নিয়ে মেহুর দিন কেটে যায়।সকলেই তিনজনকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে।মেহুর সাথে সাথে মেঘ ও রাতে জেগে থাকে।

মেহু ঘুমাতে বললে ও মেঘ বলে–“আদ্র ভাই যদি নিজের বউকে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত হাত ধরে থাকতে পারে।আমি বউয়ের জন্য এতটুকু করতে পারি না?দশটা না পাঁচটা না একটা ই বউ যে।তুমি মা হলে আমি তিনজনের বাবা।দুজনেই আগলে রাখবো এদের।”

মেঘের কথায় মেহুর খুশিতে চোখে জল চলে আসে।তিনজনকে ঘুম পাড়িয়ে তিনজনের কপালে চুমু দেয়।
তারপর মেঘের পাশে বসে কানে ফিসফিসিয়ে বলে–“ভালবাসি।”

মেঘ তখন বলে–“অবশেষে।”

মেহু ভ্রু কুচকে তাকালে,
–“সারাজিবন ভালবাসবে?”
–“আমি আপনার বউ।সমস্ত পরিস্থিতিতে আপনার সাথেই থাকবো আর ভালবাসবো।”
–“অনেক ভালবাসি বউ।”

মেঘ তখন মেহুকে জড়িয়ে ধরে।মেঘতা নড়েচড়ে উঠে,মেঘ তখন মেহুকে ছেড়ে দিয়ে দুজনেই আস্তে করে উঠে দাঁড়ায়।তারপর দেখে না মেঘতা আবারো ঘুমিয়ে গেছে।

দুজনেই তখন হেসে উঠে…..

(সমাপ্ত)

(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখা উচিৎ)

#তাহরীমা

(আসসলামু আলাইকুম।গল্প শেষ হয়ে গেলো।আমি জানিনা আমি কেমন লিখেছি,আমি সাধারণ মানুষ হয়ত ভাল লিখিনা।তারপর ও আপনারা এত মানুষ পড়েছেন আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।যারা যারা এতদিন পড়েছেন সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আর কারোর যদি ভাল না লাগে এটা আমার ব্যর্থতা আমি খুবই দুঃখিত।সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।পাচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন।আল্লাহ হাফেজ)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here