বদ্ধ হৃদয়ের অনুভুতি পর্বঃ১০

0
3878

#বদ্ধ_হৃদয়ের_অনুভূতি
#পর্বঃ১০
লিখাঃতাজরিয়ান খান তানভি

দুপুরের লাঞ্চ শেষ করে মাহাদ এর ঘরেই মুখ গোমড়া করে বসে আছে আম্বের।কাউচে বসে আছে পাশাপাশি।মাহাদ গাঢ় গলায় জিঙ্গেস করলো—

“কী হয়েছে মিস সুগন্ধি !এনি থিংক রং?

আম্বের ভীত চোখে তাকিয়ে উদ্বিগ্ন গলায় বললো–

“বাবা সে সকালে বেরিয়েছে।এখনো ফিরলো না।”

মাহাদ সহজভাবে বললো—

“কল করেন।”

আম্বের হতাশ গলায় বললো–

“বাবা তো মোবাইল নিয়ে যায় নি।”

“ও আচ্ছা।চিন্তা করবেন না।হয়তো কোনো কাজে আটকে গেছে তাই দেরি হচ্ছে।চলে আসবে।”

আম্বের তবুও তার মনের শংঙ্কা দুর করতে পারলো না।ভীতসন্ত্রস্ত গলায় বললো–

“আমার ভয় হচ্ছে।বাবা কোথায় যেতে পারে!

মাহাদ আম্বের এর মন পরিবর্তন করার জন্য ল্যাপটপে কিছু একটা দেখার জন্য বলে।সরস গলায় মাহাদ বললো—

“এইটা আপনার কলেজ।”

আম্বের ক্ষনকালে উচ্ছ্বাসিত হয়ে দেখে।কিন্তু পরক্ষনেই মিইয়ে যাওয়া গলায় বললো–

“এতো অনেক বড় কলেজ!এখানে তো অনেক খরচ।”

মাহাদ দৃঢ় গলায় বললো–

“নাহ।আপনার বাবার সেলারির মধ্যে হয়ে যাবে।আর এই কলেজের প্রিন্সিপ্যাল আমার পরিচিত।আপনার কোনো সমস্যা হবে না।”

আম্বের গম্ভীর গলায় বললো—

“আমি আগেই বলেছি আপনার কোনো দান….।”

“আপনার লাগবে না।তাই তো!
দান কোথায় দিচ্ছি।এই যে আপনি আমার জন্য রান্না করেন।এইটাও তো একটা জব।”

“হু।”

মাহাদ সরস গলায় বললো—

“দেখেন,আর কোনো ইনফরমেশন লাগবে কিনা!ফ্রম তো জমা দিয়েছেন?

আম্বের ঝুমঝুমিয়ে বললো–

“হুম।বাবা দিয়েছে।”

আম্বের কিছুক্ষন ল্যাপটপে কলেজ সম্পর্কে কিছু ইনফরমেশন কালেক্ট করতে লাগলো।মাহাদ সরব গলায় বললো—

“কফি খাবেন?

আম্বের ল্যাপটপে চোখ রেখেই মাথা নাড়িয়ে না বোধক সম্মতি দেয়।মাহাদ কিঞ্চিৎ কপাল ভাঁজ করে বললো–

“আমার যে খেতে ইচ্ছে করছে।”

আম্বের চোখ বাঁকিয়ে তাকায়।স্বাভাবিক গলায় অনুযোগ করে বললো–

“আপনি খাবেন?

“হুম।”

“আচ্ছা আমি বানিয়ে আনছি।”

তখনই ল্যাপটপে একটা শব্দ হয়।তাতে একটা ভিডিও ক্লিপ শো করে।আম্বের তা দেখেই ধপাস করে ল্যাপটপের সাটার বন্ধ করে দেয়।আম্বের লজ্জায় ঠোঁট কামড়ে বললো—

“ছিঃ!
এইসব কি!

মাহাদ স্মিত হাসে।আম্বের উঠে গিয়ে কিচেনে যায়।আম্বের এর মাথাটাও কেমন ঝিমঝিম করছে।তাই কফির বদলে চায়ের জন্য পানি ফুটতে দেয়।আম্বের গাঢ় দৃষ্টিতে পলকহীন ভাবে পানির দিকে তাকিয়ে আছে।আহমেদ এর চিন্তা কোনোমতেই মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারছে না।আম্বের এখানে আসার পর আহমেদ প্রাতঃভ্রমন এ গেলেও আম্বের কে বলে যেতো।এতো সময়ও কখনো নিতো না।কিন্তু আজ!

বিড়াল পায়ে কিচেনে আসে মাহাদ।কিচেন ক্যাবিনেটের সাথে হেলান দিয়ে পকেটে দু হাত গুঁজে বাম পায়ের গোড়ালির উপর ডান পায়ের পাতা দিয়ে শক্ত হয়ে দাঁড়ায়।গভীর গলায় বললো—

“কী ভাবছেন মিস সুগন্ধি?

আম্বের হতাশ শ্বাস ফেললো।কাতর গলায় বললো–

“বাবা যে এখনো এলো না!

“চলে আসবে চিন্তা করবেন না।
একটা কথা বলবো?

আম্বের অস্ফুটভাবে বললো–

“হু।”

“আপনার বাবা বললো আপনার নাকি মডেলিং করার শখ ছিলো?

“ছিলো।এখন নেই।”

মাহাদ ভ্রু কুঞ্চি করে বললো–

“কেন?

আম্বের স্বাভাবিক গলায় বললো–

“বাবা বলেছে মিডিয়ার মানুষ ভালো হয় না।”

গা দুলিয়ে হেসে উঠে মাহাদ।ব্যস্ত গলায় আম্বের বললো–

“হাসছেন কেন?

মাহাদ অনুযোগের সুরে বললো–

“আর সেই আপনার বাবা আমার বাসায় কাজ করে।”

আম্বের বিরক্তিকর মুখভঙ্গি করে।মাহাদ বুঝতে পেরে মৃদু হাসে।সরস গলায় বললো–

“আপনার সকালের লোকটার কথা মনে আছে?

আম্বের আলতো করে মাথা হেলায়।মাহাদ আবার বললো–

“সে একজন প্রডিউসার।আমাকে একটা ফিল্ম অফার করেছে।”

আম্বের ঝরা হাসে আর বললো–

“প্রডিউসার হয়ে নিজে আপনাকে ফিল্ম অফার করলো!স্ট্রেঞ্জ!

মাহাদ ধীর গলায় রহস্য করে বললো–

“এইটাতো আর নর্মাল ফিল্ম না।”

মাহাদ আম্বের এর কানের কাছে গিয়ে নিচু গলায় বললো–

“অ্যাডাল্ট ফিল্ম।”

আম্বের ঝট করে করে নাক ছিটকে বললো–

“ছিঃ!

মাহাদ ভ্রু নাচিয়ে বললো–

“এখানে ছিঃ এর কী আছে।বিনোদন দু’প্রকার।সুস্থ আর অসুস্থ।ওটাও এক ধরনের বিনোদন।”

আম্বের কালক্ষেপন করে।সে চুপ করে ভাবে।নম্র গলায় আরেকটু আবেগ ঢেলে বললো–

“আপনি করবেন?

মাহাদ সাথে সাথে জবাব না দিয়ে আম্বের এর দিকে নির্বিকারভাবে তাকিয়ে রইলো।আম্বের এর চোখে এক অদ্ভুত মায়া,স্নিগ্ধতা,দুরদর্শিতা।মাহাদ বিগলিত গলায় বললো–

“নাহ।মানা করে দিয়েছি।”

আম্বের স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো।চকচক করে উঠে তার চোখ।আম্বের ক্ষীন গলায় প্রশ্ন করলো–

“কেন?

“হিরোইন পছন্দ হয়নি আমার।”

আম্বের বিরক্তিকর গলায় রাগ মিশ্রন করে বললো–

“পছন্দ হলে করতেন!

মাহাদ ঝমঝম করে হাসে।ফিচেল গলায় বললো–

“এখন মনে হচ্ছে করা উচিত।পেমেন্টও সাধারণ এর চেয়ে দ্বিগুন দিবে।”

“এতো টাকা দিয়ে কী করবেন যখন নিজের সম্মান ই থাকবে না।”

মাহাদ বিদ্রুপপূর্ণভাবে হাসে,বললো–

“আমার আবার মান সম্মান!

আম্বের ফিকে গলায় বললো–

“নতুন হিরোইন নিবেন?

“হুম।আপনাকে।ভালো হবে না বলেন!আপনি হলে ফেইক ফিলিংস এরও প্রয়োজন পড়বে না।রিয়েল ফিলিংস উইথ স্ট্রং ইউমিনিটি।”

কথা শেষ করেই বিশ্রিভাবে হাসে মাহাদ।
মাহাদ এর কথা শেষ হতেই রাগে গা রি রি করে উঠে আম্বের এর।ডান হাত থরথর করে কাঁপছে সেই হাতেই ধরা ছিলো চিনির কৌটা।আম্বের চট করে পুরো চিনি ভর্তি কৌটা উপুর করে দেয় মাহাদ এর মাথায়।এক লাফ মেরে উঠে মাহাদ ব্যস্ত গলায় বললো–

“আরে,আরে এইটা কী করলেন!এতোদিন তো মেয়েরা খেতে চাইতো এখন তো পিপঁড়াও ছাড়বে না।”

“একদম ঠিক হবে।এতো বাজে কথা বলেন কেন!

মাহাদ হাত দিয়ে মাথা ঝাড়তে থাকে।কেমন চটচটে লাগছে সব।খিলখিলিয়ে হাসতে থাকে আম্বের।মাহাদ চোখ তুলে তাকিয়ে ব্যস্ত পায়ে আম্বের এর কাছে গিয়ে ওর গালে ঘষা মারে নিজের গাল দিয়ে।আম্বের হা হুতাশ করে বললো–

“এইটা কী করলেন!

“এই শীতের মধ্যে আমি একা কেন গোসল করবো! আপনি শীতের মজা নেন।”

“আপনি একটা শয়তান।”

“ইশ!
মিষ্টির সাথে আপনার ঘ্রান মিশে তো আমাকে পাগল করে দিচ্ছে প্রজাপতি।”

মাহাদ আম্বের থেকে এক হাতের চেয়ে কিছু কম দুরত্বেই
দাঁড়িয়ে ছিলো।আম্বের তার ডান হাতের তর্জনী মাহাদ এর বুকের উপর ধরে তাকে ধীরে ধীরে হালকা ধাক্কা দিতে থাকে।মাহাদ তার সুগভীর চোখ দুটো আবদ্ধ করে রেখেছে আম্বের এর চোখে।আর আম্বের এর দুর্বল ধাক্কায় একটু একটু করে পা পিছিয়ে নিচ্ছে।আম্বের দৃঢ় গলায় বললো–

“আগে নাকের ডক্টর দেখান মি.ফিল্মস্টার।”

মাহাদ দুর্বোধ্য হাসে।গাঢ় গলায় বললো—

“আছে নাকি পরিচিত ডক্টর!তাহলে বলেন নাকের সাথে সাথে চোখটাকেও ঠিক করে নেই।”

ঝুমঝুমিয়ে হাসে আম্বের।মাহাদ আম্বের কে জড়িয়ে ধরে।হিসহিসিয়ে বললো—

“ঘোর লাগা চোখে,মন ভাঙা নদী যদি দেখা যায়
বুঝে নিও তুমি এই জনমে শুধু তোমায় আমি চাই।”

—তানভি
,
,
,
বিকেলে স্বপ্নমহল থেকে ফিরে গোসল করে আম্বের।পুরো শরীরে চিনি মাখামাখি।বিকেল শেষে গোসল করায় কাঁপন দিয়ে উঠে আম্বের এর শরীর।দাঁতের সাথে দাঁত লেগে কিড়কিড় আওয়াজ হচ্ছে।শরীরের লোম যেনো মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।বিছানায় একটা কাঁথা গায়ে গুটিসুটি মেরে বসে আছে আম্বের।ক্ষনকাল পরপর অধর ছড়িয়ে হাসছে সে।এক অদ্ভুত শিহরণ হচ্ছে তার মনে।মাহাদ আহমেদ কে দেখা করতে বলেছে।আম্বের এর মনে হচ্ছে মাহাদ নিশ্চয়ই তার আর মাহাদ এর বিয়ের কথা বলবে।
আজ মাহাদ নিজ হাতে আম্বের এর গলায় একটা প্যান্ডেন্ট পড়িয়ে দিয়েছে।আম্বের সেইটা হাতে নিয়ে বার কয়েক চুমু খায়।
বাবা ফেরার যে অধীর আগ্রহ তা আরো বাড়তে থাকলো।এতোক্ষন চিন্তা হলেও এখন তার সাথে ভালোলাগাও কাজ করছে।কখন তার বাবা ফিরবে কখন মাহাদের সাথে কথা বলবে।ভাবতে ভাবতে নিজেই লজ্জায় কুটিকুটি হয় আম্বের।তার জীবনের প্রথম ভালোলাগা আর ভালোবাসা মাহাদ আবইয়াজ।সে কখনো ভাবতেও পারিনি যে প্রফেশন থেকে তার বাবা তাকে সবসময় দুরে রাখতে চেয়েছে সে সেই প্রফেশনের একজন মানুষকেই ভালোবাসবে।

আম্বের ভাবতে থাকে,কী বলবে মাহাদ!সে কী সরাসরি বিয়ের কথা বলবে!নাকি ঘুরিয়ে পেচিয়ে বলবে!বিয়ের কথা বলবে তো!নাকি অন্যকিছু!
আম্বের এর ভাবতে ইচ্ছে হলো না।তার মনের গহীনে সুখপাখি গুলো ডানা ঝাপটাতে শুরু করে।ক্ষনকাল চুপ থেকে আনমনেই হেসে উঠে আম্বের।

সময়ের সাথে সাথে আম্বের এর ভাবনা গভীর হতে থাকে।আর সেই গভীর ভাবনার অতলে ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে যায় আম্বের।

আম্বের এর যখন ঘুম ভাঙে তখন দিন সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত ছুঁয়েছে।চারদিকে নেমেছে শীতের স্নিগ্ধ ধবল কুয়াশা।পশ্চিমের আকাশে জেগে উঠেছে বিশাল চাঁদ।নীলাভকৃষ্ণ আকাশ জুড়ে নেই তারার ঝিকিমিকি।শান্ত,সমাহিত আকাশ।জানালার পর্দা উড়িয়ে শীতল হাওয়া বইছে।ঘরের দরজা খোলা হওয়াতে এক দমকা হাওয়া এসে কাঁপিয়ে তোলে আম্বের কে।আম্বের চোখ কঁচলে উঠে একটা সোয়েটার পড়ে বাইরে এসে দাঁড়ায়।কুসুম রঙের চাঁদ উঠেছে আজ।মনে হচ্ছে একদম ঠিক তার মাথার উপর।আম্বের কিছুক্ষন এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখলো।কিন্তু বাবাকে কোথাও দেখলো না।তার মানে বাবা এখনো ফিরে নি।

আম্বের দেখে মাহাদ স্বপ্নমহল থেকে বের হচ্ছে।দৌড়ে গিয়ে মাহাদ এর সামনে দাঁড়ায়।হাঁপিয়ে উঠা গলায় বললো—

“কোথায় যাচ্ছেন?

মাহাদ শান্ত গলায় বললো–

“আপনাকে বললাম না আমার কাজ আছে।এতো হাঁপাচ্ছেন কেন?

আম্বের উদগ্রীব গলায় বললো—

“বাবা তো এখনো ফিরেনি।আমার ভয় করছে।”

মাহাদ ভ্রু তুলে চোখের পাতা প্রশ্বস্ত করে গাঢ় গলায় বললো–

“ফেরেনি!এখনো আসেনি মি.আহমেদ?

“উহু।
আপনি একটু দেখেন না প্লিজ বাবা কোথায় গিয়েছে।”

মাহাদ ব্যস্ত হয়ে তার ঘড়ি দেখে।তাকে এখনই যেতে হবে।কিন্তু…।
মাহাদ ধীর গলায় বললো—

“শান্ত হোন।আমি দেখছি।”

মাহাদ তার মোবাইল নিয়ে আলতাফ কে কল করে।স্বপ্নমহল থেকে গুটি পায়ে বেরিয়ে আসে আলতাফ।মাহাদ তাকে দেখে স্থির গলায় বললো–

“চাচা,আপনি আর মি.রহিম একটু সামনে গিয়ে দেখে আসেন তো মি.আহমেদ কোথায় গিয়েছে।তিনি নাকি এখনো বাসায় ফেরেন নি।”

আলতাফ বিনা বাক্য ব্যয়ে রহিম কে ডেকে নিয়ে এসে বেরিয়ে পড়লেন।রহিম জিঙ্গেস করলে তাকে সবকিছু খুলে বললেন।
আম্বের এর চোখ ছলছল করে উঠে।মনে ভয়ংকর কিছু হওয়ার আভাস পাচ্ছে সে।মাহাদ আম্বের এর গালে হাত দিয়ে আদুরে গলায় বললো–

“প্রজাপতি,ডোন্ট ওয়ারি।আপনার বাবা চলে আসবে।আমার একটা জরুরী কাজ আছে।না হলে আমিই যেতাম।
চাচা আসলে কী হয়েছে আমাকে কল করে জানাতে বলবেন।ঘাবড়াবেন না।”

মাহাদ গাড়ির দরজা খুলতেই কম্পনরত গলায় আম্বের ডেকে উঠে—

“মাহাদ!

আজ প্রথম আম্বের মাহাদ কে তার নাম ধরে ডেকেছে।মাহাদ ফিরে তাকাতেই আম্বের তার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঝরঝর করে কাঁদতে থাকে।মাহাদ আলতো হাত রাখে আম্বের এর মাথায়।আশ্বাসের সুরে বললো—

“চিন্তা করবেন না।সব ঠিক হয়ে যাবে।বিপদ যিনি দেন তিনিই তো রক্ষা করেন।ভরসা রাখেন তার উপর।”

আম্বের মাহাদ এর বুকে মুখ গুঁজে বললো–

“আমার ভয় করছে মাহাদ।”

“আমি আছি তো।”

মাহাদ চলে যাওয়ার পরও আম্বের বাড়ির মেইন ফটকে দাঁড়িয়ে রইলো।প্রায় এক ঘন্টা পর ফিরলো আলতাফ আর রহিম।আশাহত গলায় আলতাফ বললেন—-

“আহমেদ কে কোথাও খুঁজে পেলাম না।”

আম্বের ব্যস্ত হয়ে বললো—

“আপনি মাহাদ কে কল করেন চাচা।তাকে কিছু করতে বলেন।আমার খুব ভয় করছে।”

আলতাফ সময় ব্যয় না করে মাহাদ কে কল করে।কিন্তু মাহাদ এর মোবাইল সুইচ অফ।লাগাতার কল করার পরও বারবার সুইচ অফ জানাচ্ছে অপারেটর।
আম্বের কে বলতেই পুরো দমে ভেঙে পড়ে সে।বুকের বা’পাশটা ভারী হয়ে আসে ক্রমশ।
নিজেকে শূন্য অনুভুত হতে থাকে তার।ধীরে ধীরে হাত পায়ের ভর ছেড়ে নিচে বসে আম্বের।শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সে।যেনো এখনই তার বাবা ফিরে এসে এক ঝাঁপে নিজের মানুষরূপী পরীটাকে জড়িয়ে ধরবে।কিন্তু কেউ এলো না।আম্বের ঠায় বসে রইলো।

রাতের শেষে এক নতুন ভোরের অপেক্ষায় অপেক্ষমান আম্বের।যা তার জীবনের নতুন সূচনা নিয়ে আসবে।

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here