বদ্ধ হৃদয়ের অনুভুতি পর্বঃ২২

0
3444

#বদ্ধ_হৃদয়ের_অনুভূতি
#পর্বঃ২২
লিখাঃতাজরিয়ান খান তানভি

বসন্তের মৃদু ছন্দের বাতাস বইছে চারপাশে।ফুলে ফুলে ভরে গেছে প্রকৃতি।এক নাম না জানা ফুলের সৌরভ ভেসে আসছে।সূর্যের উত্তাপ অনেকটা কম।ছাদের উপর উন্মনা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মাহাদ।শূন্যে তার দৃষ্টি।দৃষ্টির অগোচরে সে ভেবে চলছে গত কয়েকমাসে হওয়া তার জীবনের সেই অদ্ভুত সব ঘটনা।

আম্বের!
কেনো এলো এই মেয়ে তার জীবনে!গত পাঁচবছর কেনো আসতো সে তার স্বপ্নে!আম্বের এর থেকে হাজার গুন সুন্দরী মেয়ে এসেছে তার জীবনে।কই কখনো তো তাদের ভালোবাসতে ইচ্ছে করেনি।একবার ভুল করে ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করেনি।তাহলে আম্বের কে দেখে এমন কেন হলো!
কেন প্রথম দেখায় তার হৃদয়ের তাকে পাওয়ার তৃষ্ণা জাগলো!কেন সে সেদিন নিজের অজান্তেই তাকে ছুঁইয়ে দিলো!বড় অন্যায় করেছিলো সে সেদিন।কিন্তু!
মন কে মানাতে পারেনি।না পেরেছিলো তার বদ্ধ হৃদয়ের অনুভূতিকে দমিয়ে রাখতে।

আম্বের এর ওই গোলাপী ঠোঁটের হাসি তার কানে বাজতে থাকে অবিরত।ওই চোখের চাহনি যেনো এক মুহূর্তেই তাকে সম্মোহিত করে ফেলে।আম্বের এর শরীরের সেই অদ্ভুত সুগন্ধ!
মনে পড়তেই হাসে মাহাদ।আজকাল তো তার সেই সুগন্ধ ছাড়া ঘুম ই আসে না।আম্বের এর উপস্থিতিতেই যেনো তার প্রানসঞ্চারিত হয়।যতক্ষন আম্বের এর কাছ থেকে দূরে থাকে মনে হয় তার হৃদস্পন্দন থেমে যায়।
কেনো এমন হয়!
একটা সাধারণ মেয়ে কেনো তার জীবন জুড়ে এতোটা রঙ মেশালো।
আকাশের নীলিমায় এক টুকরো মেঘ হয়ে বৃষ্টির আশায় ঘুরে বেরিয়েছে সে এতোটা বছর।কিন্তু আজ যখন তার বুক চিরে সেই বৃষ্টি মাটিতে পতিত হচ্ছে তাহলে তা ফিরে পাওয়ার আশায় মরিয়া কেন হয়ে উঠছে সে!

মাহাদ এর ভাবনার রেশ কাটে আলতাফ এর মৃদু সুরে।

“কী ভাবছেন মাহাদ বাবা!

মাহাদ দু হাত পকেটে গুঁজে সোজা হয়ে দাঁড়ায়।শক্ত হয়ে বললো–

“কিছু না চাচা।
আপনি কিছু বলবেন?

আলতাফ বিগলিত গলায় বললো–

“যা হচ্ছে তা একদম ঠিক হচ্ছে না।বউমনি কে আপনি এভাবে রাখতে পারেন না।”

মাহাদ কঠিন গলায় বললো–

“জানি।কিন্তু আমার করার কিছু নেই।”

“তাহলে কী আমি ধরে নিবো সে আপনার রক্ষিতা?

ফুঁসলে উঠে মাহাদ।দারাজ গলায় বললো–

“চাচা!
আর একবারও তাকে ওই নামে সম্মোধন করবেন না।ভালোবাসি তাকে আমি।”

আলতাফ সহজ ও স্বাভাবিক গলায় বললো—

“তাতো আপনি জানেন।বাকিরা এটাই ভাববে।”

“কারো ভাবনায় আমার কিছু আসে যায় না।”

আলতাফ স্মিত হাসলেন।শান্ত গলায় বললেন—

“হয়তো।আপনি একজন ফিল্মস্টার।আপনার উপর কেউ আঙ্গুল তুলবে না।কিন্তু তাকে কেউ ছাড়বে না।”

“চাচা আমি…।”

মাহাদ তার কথা শেষ করতে পারেনি।তার আগেই তার মোবাইলে রিং বেজে উঠে।রিসিভ করতেই মাহাদ এর ওষ্ঠাধর প্রশ্বস্ত হয়।কপালে ভাজ পড়ে।ত্রস্ত পায়ে বের হয় স্বপ্নমহল থেকে।আলতাফ ছাদ থেকে দেখলেন।কিন্তু তিনি বুঝতে পারলেন না মাহাদ হঠাৎ এতোটা বিচলিত কেন হলেন!
,
,
,
হসপিটালে থাকতে কার ভালো লাগে!কেমন ভোঁতা ঝিমঝিম শব্দ।ফিনাইলের বিকট গন্ধ।বাতাসে অস্থিরতা।
বেডের উপর মুখ থ্যাবড়া করে বসে আছে আম্বের।তার হাতে প্ল্যাষ্টার করা।হন্তদন্ত হয়ে ভেতরে ঢুকে মাহাদ।আম্বের কে দেখেই তার শরীর কাঁপতে থাকে।মাহাদ কে দেখেই উচ্ছ্বাসিত হাসে আম্বের।মাহাদ দৌঁড়ে গিয়ে আম্বের এর সামনে বসে।দু হাতে তার গাল ধরে একটু উঁচু করে উদ্বেলিত গলায় বললো–

“কী করে হলো এইসব!আপনাকে কতবার বলেছি সাবধানে থাকতে!কেন এমন করেন আপনি!

আম্বের নরম দৃষ্টিতে তাকায় মাহাদ এর দিকে।চোখ গুলো লাল হয়ে আছে।যেনো সে ভয়ংকর কিছু দেখেছে।ফর্সা মুখটা কেমন ফ্যাকাশে রঙ ধারণ করেছে।
আম্বের সহজ গলায় মাহাদ কে আশ্বস্ত করে বললো—

“ভয়ের কিছু নেই।ঘাবড়াবেন না।এই হাতেই একটু ফ্র্যাকচার হয়েছে।”

মাহাদ রেগে উঠে।উতপ্ত গলায় বললো—

“এইটাকে একটু বলছেন আপনি!আর মি.রহিম কোথায়?তাকে কী এইজন্য রেখেছি আমি!

মাহাদ প্রবল বেগে রুম ছেড়ে বেড়িয়ে করিডোরে আসে।রহিম নিম্নমুখী হয়ে অপরাধী মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে।মাহাদ ক্ষেপে তার শার্ট চেপে ধরে।মাহাদ এর এমন আচরণে হকচকিয়ে উঠে রহিম।উগ্র গলায় মাহাদ বললো—

“কীভাবে গাড়ি চালান আপনি?
আপনাকে সাবধানে গাড়ি চালাতে বলেছি আমি। যদি তার কিছু হয়ে যেতো?

“এতে মি.রহিম এর কোনো দোষ নেই।”

রহিম এর পাশেই আরো শক্ত পোক্ত দুটো লোক এসে দাঁড়ায়।মাহাদ দুটোকে কিছুক্ষন উত্তম মধ্যম দিলো।হসপিটালের নার্স আর ডক্টররা স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।মাহাদ ধমকে উঠে সবাইকে।ধীরে ধীরে করিডোর ফাঁকা হয়।মাহাদ গলা চড়িয়ে দুইজন লোককে প্রশ্ন করলো—

“তোরা থাকতে এইসব হলো কী করে?

তাদের মধ্যে একজন নরম গলায় অনুযোগের সুরে বললো—

“আমরা তো পিছনেই গাড়ির সাথে দাঁড়িয়ে ছিলাম।ম্যাম যখন তার গাড়িতে উঠতে গেলো তখন হঠাৎ করে বাইকে করে দুটো ছেলে তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তার স্কার্ফ ধরে টান মারে।ম্যাম টাল সামলাতে না পেরে নিচে পড়ে যায়।আর তাতেই….।”

“তোদের আমি…।”

মাহাদ এর রিং বেজে উঠে।স্ক্রিনে ভেসে উঠে প্রাইভেট নাম্বার লিখা।রিসিভ করতেই একটা মোলায়েম কন্ঠ বললো—

“কেমন আছো মাহাদ আবইয়াজ?

মাহাদ চোয়াল শক্ত করে।দাঁতের সাথে দাঁত নিষ্পেষন করতে থাকে।অধর ছড়িয়ে তপ্ত শ্বাস ফেলতে থাকে।নিজের রাগকে অবদমন করে বললো–

“কেন করলেন আপনি এইরকম?

“তুমি জানো কেন করেছি।”

মাহাদ নিজের গলার স্বর আরো স্বাভাবিক করে বললো—

“আপনি যেমন ভাবছেন তেমন কিছুই নয়।সে শুধুই আমার সার্ভেন্ট এর মেয়ে।”

ওপাশের ব্যক্তি তার মোলায়েম গলায় আরো স্নিগ্ধতা মিশিয়ে বললো—

“শুনেছি মেয়েটা নাকি তোমার স্বপ্নমহলেই থাকে।আমার জানামতে তোমার স্বপ্নমহলে কোনো নারীর পদচিহ্ন রাখা বাড়ন।তাহলে সে কী করে থাকে!

মাহাদ সহজ গলায় বললো—

“আপনি ভুল ভাবছেন।মেয়েটির বাবা নেই।তাই আমি ওকে…।”

“রোজার কথা মনে আছে তোমার!মেয়েটা ছোট্ট একটা ভুল করেছিলো।তোমার সাথে নিজের ছবি আপলোড করে রিলেশনশীপ স্ট্যাটাস দিয়েছিলো।
অবশ্য আমি পরে জানতে পেরেছি পুরো বিষয়টা।কিন্তু তার ছোট্ট ভুলে তাকে তার জীবন হারাতে হলো।কিন্তু মেয়েটার বাবা ভাগ্যবান।রোজা ছাড়াও তার আরও একটা মেয়ে আছে।কিন্তু আমার কলিজা তো একটাই ছিলো।তুমি তাকে কেড়ে নিয়েছো।আমি ফিরছি মাহাদ।আমি ফিরছি।এইটা তোমার জন্য ওয়ার্নিং ছিলো।”

কল ডিসকানেক্ট হয়ে যায়।মাহাদ বিচলিত হয়ে হ্যালো হ্যালো করতে লাগলো।কিন্তু ওপাশ থেকে কোনো সাড়া এলো না।

মাহাদ কিড়মিড়িয়ে তার লোকদের দিকে তাকায়।কেবিনের ভেতরে এসে দেখে আম্বের চুপচাপ বসে আছে।মাহাদ তার সামনে গিয়ে বসে।ধরা গলায় বললো—

“আই এম রিয়েলি সরি মিস সুগন্ধি।এইসব কিছুর জন্য আমি দায়ী।”

আম্বের ঝরা হাসে।নম্র গলায় বললো—

“এই জন্যই বুঝি আমার পিছনে লোক লাগিয়ে রেখেছেন!
এতো ভয় কেন আপনার!

মাহাদ এর চোখ থেকে টুপ করে এক ফোটা জল পড়ে।আম্বের বিস্মিত গলায় বললো—

“মাহাদ,আপনি কাঁদছেন?

মাহাদ দুই হাতে ঝাঁপটে ধরে আম্বের কে।তার চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ে অশ্রুজল।নিজের হাত দিয়ে তা মুছে নেয় মাহাদ।স্থির হয়ে বসে সে।

দৃঢ় গলায় বললো—

“চিন্তা করবেন না।আপনার কোনো ক্ষতি আমি হতে দিবো না।”

আম্বের অধর কোনে হাসে।স্মিত আওয়াজ এ বললো—

“আমি জানি।
এখন কী আমাকে এখানেই থাকতে হবে নাকি বাসায়ও নিয়ে যাবেন।আমার এখানে একদম ভালো লাগছে না।”

মাহাদ আম্বের এর কপালে চুমু খেলো।মৃদু গলায় বললো–

“আপনি বসেন আমি ডক্টর এর সাথে কথা বলে আসছি।”

আম্বের চোখ দিয়ে সম্মতি দেয়।
,
,
,
আজ পনেরো দিন ধরে মাহাদ বাড়ির বাইরে যায় না।আম্বের কে এক মুহূর্তের জন্যও চোখের আড়াল করে না।ডক্টর বাসায় এসে তার ট্রিটমেন্ট করেছে।এখন আম্বের অনেকটা সুস্থ।
ঘড়ির কাটা বারোর ঘর ছুঁই ছুঁই করছে।রাত হলে মাঝে মাঝে আম্বের এর সেই হাতে চিনচিনে ব্যথা হয়।আজও তাই।তাই ঘুমে চোখের অক্ষিপুট ভারি হয়ে এলেও জেগে আছে আম্বের।তাকে জড়িয়ে শুয়ে আছে মাহাদ।মাহাদ এর এক হাত আম্বের এর খোলা চুল নিয়ে খেলছে।নিজের মুখ গুঁজে রেখেছে আম্বের এর গলায়।অনবরত ঠোঁট ছুঁইয়ে যাচ্ছে সে।আম্বের বিরক্তিকর গলায় বললো–

“চুমু খাওয়ার আর জায়গা পান না!

মাহাদ বিগলিত গলায় বললো–

“পাই তো।আপনার সারা অঙ্গে।আগে আমার নামের সিলটা তো মেরে নেই।”

আম্বের অসহ্যকর গলায় বললো—

” ইশ!
বিয়এ করার কথা বললেই তো ভিমরতী ধরেন।”

মাহাদ মিষ্টি হেসে আম্বের এর গালে ছোট্ট কামর বসিয়ে বললো–

“আমি ভিমরতী ধরি!

“তা নয় তো কী!সরেন এখান থেকে।”

মাহাদ কে ছাড়িয়ে উঠে বসে আম্বের।বিছানা থেকে পা নামাতেই মাহাদ শক্ত গলায় শাসিয়ে বললো—

“একদম নিচে পা রাখবেন না।তাহলে পা কেটে ফেলবো আপনার।”

আম্বের ধুম করে নিজের পা গুঁটিয়ে নেয়।মাহাদ স্মিত গলায় বললো–

“আসেন।আমার কাছে আসেন।”

আম্বের স্থির হয়ে রইলো।মাহাদ ধমকে উঠে বললো–

“আসেন বলছি।”

আম্বের মাহাদ এর কাছে গিয়ে শুয়ে পড়ে।মাহাদ তার কনুই ভাঁজ করে হাতের তালুতে নিজের মাথা রাখে।আম্বের এর গালে হাত ছুঁইয়ে জিঙ্গেস করলো—

“আপনার মায়ের নাম কি?

আম্বের ভ্রু কুঁচকে বললো—

“কেন?

” আমার শাশুড়ির নাম আমি জানতে পারি না!

“ইশ!
বিয়ে না করেই শাশুড়ি !ঢং।”

মাহাদ দুর্বোধ্য হাসে।গম্ভীর গলায় বললো—

“উত্তর দিন আমার প্রশ্নের।”

“আসমীরা।”

“তার চেহারা মনে আছে আপনার?

“উঁহু।”

মাহাদ ছোট্ট নিঃশ্বাস ফেললো।ফের বললো–

“আপনার বাবা কেন আপনাকে নিজের কাছ থেকে দূরে রেখেছে জিঙ্গেস করেন নি কখনো?

আম্বের নরম গলায় বললো—

“বাবা কাজে ব্যস্ত থাকবে। আমাকে দেখাশোনার কেউ থাকবে না।তাই সে আমাকে হোস্টেলে রেখেছে।”

“ওকে।”

আম্বের চোখের কোণ ক্ষীন করে বললো–

“আপনি এইসব কেন জিঙ্গেস করছেন?

মাহাদ দুষ্টুমিমিশ্রিত গলায় বললো—

“বিয়ে করবো তো কনের বাড়ির খোঁজ নিবো না!

“ঢং।”

মাহাদ স্মিত হেসে আম্বের এর ঠোঁট ছুঁইয়ে ধরে।নিজের মোবাইল ভ্রাইব্রেট করতেই আম্বের কে ছেড়ে বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ায়।আম্বের কে শাসিয়ে বললো যেনো বিছানা থেকে না নামে।

করিডোরে গিয়ে কথা বলা শুরু করে মাহাদ।

“বল।”

“তোকে একটা ছবি পাঠাচ্ছি।ভাবি কে দেখা সে চিনে কিনা!

“লাভ নেই।নিজের মায়ের চেহারা পর্যন্ত মনে নেই।অন্য কাউকে চেনার তো প্রশ্ন আসে না।”

ওপাশের লোক দীর্ঘশ্বাস ফেললো।বললো–

“আই সি।শুনেছি তোর শশুর নাকি ফিরবে?

“বলেছে।কিন্তু কবে তা জানি না।আর হারামি আরেকবার যদি ওই লোকটাকে আমার শশুর বলিস মাটির নিচে গেঁড়ে দিবো তোকে আমি।”

ওপাশের লোক হা হা করে হাসতে থাকে।স্থির গলায় বললো—

“”কুল নায়কবাবু কুল।আচ্ছা রাখছি আমি এখন।ভাবির দিকে কিন্তু এখন আরো বেশি খেয়াল রাখতে হবে।ওই শকুনের চোখ যখন একবার পড়েছে সে যদি শিউর জানতে পারে তাহলে তো..।”

মাহাদ বিরক্তি নিয়ে কল কেটে দেয়।এর পরের শব্দ তার শুনতে ইচ্ছে হলো না।

রুমে এসে দেখে আম্বের লাইট অন করে অদ্ভুতভাবে নড়াচড়া করছে।মাহাদ উদ্বিগ্ন গলায় বললো–

“কী হয়েছে!এমন করছেন কেন?

“আমি ওয়াশরুমে যাবো।”

“তো যান।”

“আপনি ই তো বিছানা থেকে নামতে মানা করলেন।”

মাহাদ এর নাকের ডগায় জমে একরাশ বিরক্তি।বললো–

“আরে ধ্যাত!
গাধি নাকি আপনি!যান ওয়াশরুমে।”

আম্বের ওয়াশরুমে যেতেই বিছানায় বসে মাহাদ।
হতাশ গলায় বললো—

“এ কোন পাগলির পাল্লায় পড়লাম আমি!

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here