বাঁধিব হৃদয়ে তোমায় পর্ব-৪

0
1534

#বাঁধিব_হৃদয়ে_তোমায়
#পর্ব_০৪
#সুমাইয়া মনি।

কুয়াশা ঢেকে আছে পথঘাট। পূর্বদিগন্ত থেকে সূর্যের রশ্মি উদিত হতেই ধীরে ধীরে কুয়াশার রেশ বিলিন হয়ে যায়।
ক্ষণে ক্ষণে সূর্যের তাপমাত্রা তীব্র হতে থাকে। রৌদ পোয়াতে অনেকেই ছাদে কিংবা বারান্দায় উপস্থিত হয়েছে।
বিভা ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসে। সকাল সকাল কলেজে যাওয়ার ফলে গোসল করতে হয় তাকে। শরীর হাত-পা উষ্ণ গরম করার জন্য খাটে বসে গায়ে কাঁথা জড়িয়ে নেয়। কাঁপা-কাঁপি করার মুহূর্তে আবিরদের বারান্দার কথা মনে পড়ে। একবার নিজের ঘরের দিকে নজর বুলিয়ে নেয়। চার কোণাচে টিন দিয়ে তৈরি একটি ঘরে তারা বসবাস করে। ঘরটি এতটাও বড়ো নয়। সঙ্গে এডজাস্ট বাথরুম ও ছোট্ট একটা রান্নাঘর। গরমের দিনে যেমন তীব্র গরম অনুভব হয়, শীতের সময়ও তেমনি ঠান্ডা দ্বিগুণ লাগে। এইটুকু ঘরের ভাড়া চার হাজার টাকা। যদি কোনো বড়োলোক ঘরে জন্ম হতো। এতক্ষণ বিছানার মধ্যে থেকে গরম কফির মজা নিতো। তবে বিভা আফসোস করে না।
কাঁথা সরিয়ে তৈরি হয়ে নেয় কলেজে যাওয়ার জন্য।

হেঁটেই তাকে কলেজে যেতে হয়। ববির কাছ থেকে রোজ বিশ টাকা নেয়। সেটা রেখে দেয় রিকশা দিয়ে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার জন্য। কারণ এখান থেকে আফিনদের বাড়ি দুই কিলোমিটারের কাছাকাছি। কলেজে এসে মোহনার সঙ্গে দেখা হয়। ক্লাসরুমে একদম লাস্টের বেঞ্চে উদাস মনে বসেছিল। যখন থেকে পরিচয় হয়েছে এভাবে উদাস হতে দেখেনি মোহনাকে। বিভা পাশে বসে। উপস্থিতি টের পেয়েও মোহনা একই ভাবে বসে আছে, অদ্ভুত! বিভা কাঁধে হাত রেখে ‘মন খারাপ.. ‘ বাক্যটি শেষ করার আগেই মোহনা ওঁকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলে। বিভা অবাক হয়ে যায়। এক নজরে পর্যবেক্ষণ করে নেয় সকলের দিকে। আপাতত কেউ বিষয়টি খেয়াল করেনি। বিভা মোহনার পিঠে হাত বুলিয়ে বলে,
‘কাঁদছিস কেন? কি হয়েছে বল?’

কান্নার গতিবেগ যেন আরো বেড়ে যায় মোহনার। বিভা কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়ে,
‘এভাবে কাঁদিস না। সবাই দেখলে প্রশ্ন তুলবে। চুপ কর। বাহিরে চল। কি হয়েছে মাঠে গিয়ে শুনবো।’

মোহনা কান্না থামায় না। বিভা এক প্রকার টেনে বাহিরে নিয়ে আসে। গাছের নিচে বসে চোখ মুছিয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করে পুনোরায়। মোহনা হেঁচকি তুলে বলে,
‘সাকিব আমার সঙ্গে ব্রেকআপ করেছে।’

বিভা সরু চোখে তাকায়। এর আগে সাকিবের কথা ওঁকে বলেনি। হঠাৎ বলাতে বিভা মেকি রাগ দেখায়। মোহনা কান্না কণ্ঠে বলে উঠে,
‘স্যরি! সাকিবের কথা আমি তোকে বলিনি।’
‘তাহলে এখনো বলার দরকার নেই।’ বলে বিভা প্রস্থান করে।
মোহনা আরো জোরে জোরে কাঁদতে থাকে। কিছুটা পথ গিয়েও থেমে যায় বিভা। ফিরে এসে মোহনার হাত ধরে টেনে তুলে সান্ত্বনা দেয়। বুঝিয়ে সুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
মনঃক্ষুণ্ন রেখে তো আর ক্লাসে মন দেওয়া যায় না।

ছুটির পর একা একা প্রাইভেটে আসতে হয় তাকে। পড়ার কক্ষে এসে কাউকে না দেখতে পেয়ে বারান্দায় যাওয়ার কথা ভাবে। কিন্তু আইরিন ম্যামও বাসায় ছিল না বিধায় যায় না। বই বিয়ে পড়তে আরম্ভ করে। কিছুক্ষণ বাদে একজন, দু জন করে স্টুডেন্ট হাজির হয়। তখন আফিনও চলে আসে।
ম্যাথ করাতে থাকে। পড়ার মাঝে বিভার কালকের কথা মনে পড়ে। আবিরের যন্ত্রণায় বিভা না পড়েই বাড়িতে চলে এসেছিল। দিনটাই যেন মাটি করে দিল এমনটা মনে হতে থাকে তার।

‘বিভা..’
আফিনের ডাক শুনে বিভার ভাবনা কেঁটে যায়। তড়িঘড়ি করে উঠি দাঁড়িয়ে বলল,
‘বলুন স্যার।’
‘তুমি কি আম্মুর রুম থেকে সাইনপেন নিয়ে আসবে? এটির কালি শেষ হয়ে গেছে। আম্মু কলেজ থেকে এসেছে। চাইলেই দিবে।’
‘জি আনছি স্যার।’ বলে বিভা বের হতে নিলে আফিন পিছন থেকে আবার বলল,
‘আম্মুর রুম তুমি তো চিনো?’
‘হ্যাঁ!’
‘তাহলে যাও।’
বিভা ওপরে আসে। আবিরের রুমের পাশের রুমটি আইরিন বেগমের। বিভা সরাসরি সেই রুমে নক করে প্রবেশ করে। আইরিন বেগম তখন শাড়ির পিন খুলছিল। বিভাকে দেখে মিষ্টি করে হেসে জিজ্ঞেস করে,
‘নিশ্চয় আফিন পাঠিয়েছে তোমাকে সাইনপেন বা কলমের জন্য?’
বিভা কিছুটা অবাক হয়ে চুপ করে রয়। আইরিন বেগম ঠোঁটের হাসি চওড়া করে বলল,
‘আফিন প্রায় স্টুডেন্টদের সাইনপেন, কলমের জন্য আমার কাছে পাঠায়। একটু ওয়েট করো দিচ্ছি।’ বলে তিনি তার টেবিলের দিকে এগিয়ে গেলেন। ঢয়ার খুলে দেখলেন সাইনপেনের প্যাকেট নেই। তিনি ফিরে এসে বললেন,
‘বোধহয় আবির নিয়েছে। ওর রুমে গিয়ে চাও দিয়ে দিবে।’
কথাটা শুনে বিভা বিরক্ত হলো। কিন্তু সেটা তার সামনে প্রকাশ করল না। নেতিবাচক মাথা নাচিয়ে বের হয়ে এলো।
‘এখন আবির পাঠার রুমে যেতে হবে ভেবেই রাগ লাগছে বাল।’ আবিরের রুমের সামনে দৃষ্টি নত রেখে দাঁড়ায়। সে আরো ভাবে তাকেই কেন পাঠানো হলো। অন্য কেউকে তো পাঠাতে পারতো। সব সময় তাকেই কেন বাঁশের চিপায় পড়তে হয়। এখন রাগ হয় আফিনের ওপর।
আপাতত এসব সাইডে রেখে পর্দা সরিয়ে দরজায় নক করে।
‘আসতে পারি?’
‘মোটেও না।’ ভেতর থেকে জবাব আসে আবিরের।
‘আফিন স্যার সাইনপেনের জন্য পাঠিয়েছে। সাইপেন নাকি আপনার কাছে আইরিন ম্যাম বলল।’
‘কাম!’
বিভা বড়ো একটা নিশ্বাস ফেলে এগিয়ে গেল। ভেতরে ঢুকে দেখে আবির বিছানায় চিৎ হয়ে ফোন ঘাটছে। পরনে সাদা রঙের সিল্কের গেঞ্জি আর কালো ফুল প্যান্ট। পর্যবেক্ষণ করার পর নজর সরিয়ে নেয়। আবির ফোন রেখে উঠে দাঁড়ায়। বিভার দিকে তাকিয়ে আগাগোড়া দেখে নেয়। বলে,
‘সাইনপেন নিতে হলে ট্যাক্স দিতে হবে।’
বিভা ভ্রু কুঁচকে আবিরের দিকে তাকিয়ে বলল,
‘এমন কোনো নিয়ম নেই। আর পেন আমার নয় স্যার চেয়েছে।’
‘যে-ই চাক’না কেন। ট্যাক্স দিতে হবে।’
‘আচ্ছা স্যারকে গিয়ে বলছি।’
‘এই না দাঁড়াও দিচ্ছি।’
‘লাইনে এসেছে ট্রেন।’ মনে মনে বলে বিভা।
আবির এক ডজন সাইনপেন আলমারি থেকে বের করে বিভার দিকে এগিয়ে দেয়। বিভা সাইনপেন নিতে নিলে আবির শক্ত করে ধরে রাখে। নজর আবিরের দিকে ফেলতেই দুষ্টু হাসি ঠোঁটে দেখতে পায়। বিভা কন্ঠে তেজ এনে বলে,
‘ছাড়ুন।’
‘ছাড়িয়ে নেও।’ মুচকি হেসে।
বিভা অন্য হাত দিকে আবিরের কব্জিতে চিমটি কাটে। ‘আউচ’ শব্দ তুলে কলম ছেড়ে দেয়। বিভা কলম গুলো নিয়ে দ্রুত বের হতে নিলে আবির এক ছুটে বিভার সামনে এসে দাঁড়ায়। যার দরুন বিভা আবিরের বাহুতে জোরে ধাক্কা খেয়ে পিছন দিকে পড়ে যায়। আবির হো হো করে হাসতে শুরু করে। বিভা কটমট চোখে তাকায়। উঠে দাঁড়িয়ে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ফেলে।
আবির হেসে হেসে বলে,
‘অতি চালাকে পায়ে দড়ি।’
‘সরুন সামনে থেকে।’ ঝাড়ি দিয়ে বলে বিভা।
আবির হাসি থামিয়ে হাত টুকু পিছনে নিয়ে বিভার দিকে একটু ঝুঁকে বলে,
‘না সরলে কি করবে?’
বিভা পিছনে সরে গিয়ে বলে,
‘চিৎকার দিবো।’
‘হাহ! মানসম্মান তোমার যাবে আমার না। কারণ এটা আমার বাড়ি, আর তুমি এখন আমার রুমে আছো।’ তাচ্ছিল্য করে বলে।
‘আপনি খারাপ এটা জানতাম, এতটা খারাপ সেটা বুঝি নি।’ ক্ষুব্ধ কন্ঠে বলে।
‘বুঝে নেও, দেখে নেও।’
‘সরুন সামনে থেকে দেরি হয়ে যাচ্ছে।’
‘তাতে আমার গেঞ্জি ছেঁড়া গেল।’
বিভা দরজার ডান দিকে এগিয়ে গেলে হাত রেখে আঁটকে দেয় আবির। বাঁ দিক থেকে যাওয়ার সময়ও আবির একই কাজ করে। দু পাশে হাত দিয়ে খাম্বার মতো দাঁড়িয়ে আছে।
বিভা এবার প্রচণ্ড ক্ষেপে যায়। এমন অহেতুক ফাজলামো তার মোটেও পছন্দ নয়। বলল,
‘এখন কিন্তু বেশি হচ্ছে।’
‘কম হবে, যদি সুন্দর করে স্যরি বলো।’
‘নাহ!’ মুখ ঘুরিয়ে বলে।
‘আমিও নাহ!’ আবিরও উল্টোদিকে মুখ ঘুরিয়ে বলে।
বিভা কপালে হাত রাখে। আবির বিভার কপি করে কপালে হাত রাখে। আপাতত নিজেকে শান্ত স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে। রাগ ফেলে বলে,
‘স্যরি! এবার যেতে দিন।’
‘উঁমম! যাও।’ বলে সরে দাঁড়ায়। বিভা এগিয়ে আসলে আবির পুনরায় দরজার কাছে হাত রাখে। এবার আর নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে না বিভা। হাতে কামড় বসিয়ে দেয়। আবির আস্তে করে চিৎকার দিয়ে বিভাকে ধরতে যাবে ওমনি ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। আবির দু কদম সরে গিয়ে হাত ঝাড়তে শুরু করে। বিভার পালানো দেখে ফিক করে হেসে দেয়। বিভাকে ছোটখাটো টর্চার করে প্রচণ্ড মজা পাচ্ছে আবির।
______
সাথীর অপারেশন কাল সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন তার কাছে ওর মা এবং ববি রয়েছে। মেনেজার কয়েকবার এসে দেখে গিয়েছে। গার্মেন্টসের কর্মচারীরাও এসেছিল। ফলমূল দিয়ে গেছে। ববি বেশ খুশি হয় এই ফ্যাক্টরির মালিকের ওপর৷ তাদের জন্যই সাথীর জীবন বেঁচে গেছে। আল্লাহ রহম করেছে। ববি আরো কিছুক্ষণ থেকে ফ্যাক্টরিতে আসে।
কাজ শুরু করার জন্য। পথিমধ্যে আকবর আলির সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। তাকে দেখে মনে হচ্ছে ববির জন্যই এতক্ষণ অপেক্ষা করেছিল।
‘বেবি শোনো।’
‘ববি!’ বিরক্ত নিয়ে বলে তার নামটি।
‘কি যে করমু কও। খালি ভুইল্লা যাই।’ হেসে বললেন।
‘কিছু বলবেন?’
‘হয়, কইতে তো চাই কত কিছু, তুমি কি হুনবা?’
‘তাড়াতাড়ি বলুন।’
‘আমি তোমারে প্রথম দিন দেইখা ভালোবাইসা ফালাইছি। বিয়া করতে চাই তোমারে।’
নিমিষেই ববির মেজাজ চড়ে যায়। তবুও নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করে বলে,
‘বাবার বয়সি লোক হয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিতে আপনার লজ্জা করেনা।’
‘লজ্জা করব ক্যা? তুমি কি আমার মাইয়া নাকি। ভাইবা দেখো। আমারে বিয়া করলে রাজরানীর মতো থাকবা।’
‘ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ লাখ টাকার স্বপ্ন আমি দেখিনা। সেখানে রাজরানীর হবার কথা দূর থাক। আর আপনি কীভাবে ভেবে নিলেন আপনার প্রস্তাবে আমি রাজি হবো। সাফসাফ বলে দিচ্ছি, পরর্বতীতে আমাকে বিয়ের কথা বললে পরিণতি ভালো হবে না।’ বলে ববি দ্রুতগতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। আকবর আলি ববির যাওয়ার দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয় ক্রোধ চোখে। বিড়বিড় করে আওড়ায়,
‘পরিণত তোমার ভালো হইবো না, দেইখা নিও বেবি।’
_________________
পড়া শেষে বিভাকে হেঁটে হেঁটে বাড়িতে ফিরতে হয়। কারণ হাতে টাকা নেই। বাহিরে বেশ ঠান্ডা। রৌদের তাপমাত্রা এতটাও প্রখর নয়। লোকজনও তেমন নেই বললেই চলে। ধীরেধীরে হেঁটে চলেছে সে। আবিরের সঙ্গে তখনকার ঘটনার কথা ভেবে ক্ষুব্ধ রাগ জমাট বাঁধে মনে। কেন জানি আবিরকে সে মেনে নিতে পারছে না। সব কিছুতেই তার বাড়াবাড়ি একদম সহ্য হয় না তার। হঠাৎ মাঝপথে বিভার সামনে একটি বাইক এসে থামে। চকিতে তাকায় বিভা। সঙ্গে তীব্র পারফিউমের সুগন্ধ ভেবে আসে। হেলমেট সরানোর পর চেহারা নজরে আসে। আবির! বিভা ইগনোর করে চলে যেতে চাইলে আবির বলে,
‘হেই ব্রাইট কুইন চলো বাসায় নামিয়ে দেই।’
‘দরকার নেই।’ কপট রাগ নিয়ে বলে।
‘হোয়াই ব্রাইট কুইন?’
বিভা আবিরের পানে তাকায়। প্রথম দিনের ঘটনা তার মনে পড়ে। একটু দম নিয়ে শান্ত কন্ঠে বলল,
‘আমি জানি না প্রথম দিনের জন্য আপনি আমার উপর এখনো রেগে আছেন কি-না। তবে সেদিনের জন্য আমি দুঃখিত! আমার ওভাবে বলা উচিত হয়নি। রাগের বশে বলে ফেলেছি। আমার সেই ভুলটি যদি আপনি ধরে রাখেন। এবং ভবিষ্যতে আমার ওপর প্রতিশোধ নেবার চিন্তাভাবনা করেন, আমি বাঁধা দিবো না। এমনটাই হয়ে আসছে। গল্পে, নাটকে, মুভিতে এবং-কি বাস্তবেও। আমি গরীব ঘরের মেয়ে। গরীবদের শুধু বড়োলোক হবার স্বপ্ন থাকে না, বড়ো কিছু হবারও স্বপ্ন তারা দেখে। বড়ো বোন পরিশ্রমের উপার্জিত টাকা ব্যয় করে আমাকে পড়াশোনা করাচ্ছে। তার স্বপ্ন আমি বড়ো কিছু হবো। আমি চাইনা সেই স্বপ্নটা মাঝ পথে কোনো কারণে ভেঙে যাক। আমাকে মাফ করবেন। আমি এটাও চাইনা আমাদের মাঝে কোনো দ্বন্দ্ব থাকুক। আশা করি আমার কথা বুঝতে পেরেছেন। স্যরি।’ কথা গুলো শেষ করে এক মুহূর্ত দাঁড়ায় না। নিজের গন্তব্যে হাঁটতে শুরু করে।
.
.
.
#চলবে?

কার্টেসী ছাড়া কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ।

Sumaiya Moni

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here