বান্ধবীর ভাই যখন বর 💗পর্ব-১৬-১৭

0
3044

💗 বান্ধবীর ভাই যখন বর 💗
Part – 16 & 17
_______________________________
16,,,,,,
সামনেই জিএসসি পরীক্ষা পরি মোটামুটি ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।
এখন প্রায় সময় ই পরি নীলের সাথে ফোনে কথা বলে।
হুট হাট যখন তখন নীল কে কল দেওয়া পরির অভ্যাসে পরিনত হয়ে গেছে ।
আজকাল নীল ছাড়া কিছুই ভাবতে পারে না,,,,, সিরিয়ালে কোনো রোমান্টিক সিন আসলে পরি সেখানে নিজের সাথে নীল কে কল্পনা করে ফেলে।
পরবতীর্তে নীল কে কল্পনা করে নিজেই লজ্জা পায়।
আজকাল দিনের 20 ঘন্টাই নীল কে নিয়ে হাজারো স্বপ্ন বুনে ফেলে পরি।
ভাবতে ভাবতে কখন যে কি করে ,,,,, তা পরি নিজে ও জানে না।
মোট কথা পরি শুধু নীল কেই দেখতে পায়।
কিন্তু সরাসরি নীল কে মাত্র তিন চারবার দেখেছে পরি ,, কখনো সরাসরি কথা ও হয় নি ওর সাথে।
তাহলে নীলের কল্পনা কে কেন এতো বাস্তব মনে হয় ওর।
মনে হয় নীল ওর চোখের সামনেই আছে।
পরি কিছু ভাবতে গেলে ও সেখানে নীল কে দেখতে পায়।
একেই বুঝি ভালোবাসা বলে ?
ভালোবাসা তে বুঝি এতো পাগলামি থাকে ?
এতো শত যন্ত্রণা ও হয় ,,,,,, বার বার তাকে দেখতে ইচ্ছে করে।
পরি হাজারো ছন্দ মেলাতে থাকে ,,,,,,
কিন্তু শেষ টা কি হয় তা পরি জানে না।
সদ্য কিশোরী বয়সে পা দেওয়া এক ছোট্ট পবিত্র ফুলের মাঝে কাউকে পাওয়ার জন্য বাসনা জেগেছে।
সে খুব করে চায় নীল কে,,,, ইসসস নীল যখন পরি কে বিয়ে করে ঘরে তুলবে তখন পরির কি খুব লজ্জা হবে ?
নীলের জামা কাপড় নিজ হাতে ওয়াস করে দিবে পরি।
নীলের জামাতে লেগে থাকা ঘামের গন্ধ টা ও শুধু পরি উপভোগ করবে।
হ্যা হ্যা নীল কে শুধু পরি উপভোগ করবে।
হাজারো ভাবনা গড়ে পরি নিজেই লজ্জা পায়।
আহহ হাজারো ফোন কল কতো শত কথা নীলের সাথে।
এই ছোট্ট মনের মাঝে লুকিয়ে রাখা হাজারো কথা যদি নীল শুনতো ,,তাহলে কি নীল তাকে না ভালোবেসে পারতো।
কি জানি কবে নীল কে ভালোবাসার কথা বলতে পারবে।
আচ্ছা নীল কি ওর ভালোবাসা বুজে না।
এই যে এতো শত অপেক্ষা আকুলতা,,,, হাহাকার নীলের মন কে কেন বুঝাতে পারে না।
আচ্ছা শেষ মেশ পূর্নতা পাবে তো ওর ভালোবাসা?
পরি যে ওকে ভালোবেসে নিশ্বেষ হয়ে যাচ্ছে।
পরি এই সব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লো তা পরির ভাবনা তে আসলো না।
রোজ নীলের সাথে ঘর করার স্বপ্ন দেখে পরি।
স্বপ্নে রোজ দেখা হয় নীলের সাথে।পরি বোধহয় খুব তাড়াতাড়ি নীল কে ভালোবেসে পাগল হয়ে যাবে।
তবে কি পরি কে ভালোবাসা তে পাগলি নামক কোনো উপাধি দেওয়া হবে ?
ইসসস যদি দেওয়া হতো,,,, সারা বিশ্ব কে জানাতো সে আমি নীল কে ভালোবেসে পাগল।
________________________

বিকেলে পরি নিজের রুমে বসে ছিলো,,,,,,,
মূলত পড়াশুনা নিয়েই ভাবছিলো,,,, পড়াশোনা তে বিন্দু মাত্র মন নেই তার।
কি করবে সে নীল কে ছাড়া কিছু ভাবতে ও পারে না যে।
আশে পাশে তাকিয়ে দেখে নিলো কেউ আছে কি না।
কেউ নেই দেখেই পরি বিশ্ব জয়ের হাসি দিলো।
ফোন হাতে নিতেই আমান এসে হাজির,,,,,,
পরি বিরক্তি নিয়ে তাকিয়ে বলল
– কি হয়েছে বল ?

আমান বেডে দু হাত মেলে দিয়ে শুইয়ে বলল
– কিছুই না,,,,, বাসার সবাই তো নেহা খালামনিদের বাসাতে গেছে ,,,,,, শুনলাম নেহা খালামনির নাকি সমন্ধ এসেছে।
পরি ছোট্ট করে বলল
– ওহহহ।

বেশকিছুক্ষন কেটে যাওয়ার পর ও আমান যাচ্ছে না দেখে পরির বেশ বিরক্ত লাগছে।
পরি নানা রকমের বুদ্ধি কসতে লাগলো ।
ভালো লাগছে না ,,,, কিছুতেই কিছু মেলাতে পারছে না।
সন্ধ্যা হতে আর কিছুক্ষণ বাকি ,,, পরির চটজলদি মাথায় বুদ্ধি খেলে গেল।
পরি বই গোছাতে গোছাতে বলল
– আমান এক বক্স আইক্রিম নিয়ে আয় না।
হালকা ঠান্ডা পড়েছে দেখে আম্মু তো আর আইসক্রিম ও খেতে দেয় না।
যাহহহ এখন গিয়ে লুকিয়ে নিয়ে আয়।

আমানের মুখের ভঙ্গিতেই পরি বুঝতে পারলো আমান বেশ খুশি হয়েছে।
হাতে 250 টাকি ধরিয়ে দিয়ে বলল
– স্ট্রবেরি ফ্লেবারের টা আনবি বুঝেছিস।
আর অন্য কোনো ব্রেন্ড এর টা আনবি না ,,,,,

আমান মাথা ঝাঁকিয়ে দোকানের দিকে দৌড় দিলো।
আমানের আসতে কম হলে ও দশ মিনিট সময় লাগবে পরি তড়িঘড়ি করে নীল কে ফোন লাগালো।
কিছুক্ষণ পর ই নীল ফোন রিসিপ করলো
নীল – হ্যালো।

– হুমমম কি করছেন ?

নীল – তেমন কিছুই না।
জাস্ট একটু আড্ডা দিচ্ছি তুমি?

– আমি তো আপনার সাথে ই কথা বলছি।

নীল – হাহাহা আমার উত্তর টা ও সেইম ই হওয়া উচিত ছিল।
বাট মাই মিস্টেক

ফোনের পাশ থেকে বেশ কিছু কন্ঠের হাসির শব্দ শুনতে পেল পরি।
পরি ভ্রু আপনা আপনি ই কুঁচকে গেল।
পরি একটু রেগে বলল
– আপনি আপনার বন্ধুদের আমার কথা শোনাচ্ছিলেন তাই না?

পরি আর কিছু না বলেই ফোন টা কেটে দিলো।

নীল আবার কল দিতেই পরি বলল
– ওনারা সবাই আমার কথাতে হাসছিলো?

নীল – আহহহ রাগ করো কেন পরি।
পাশে থাকলে তো শুনতে পাবেই ।
আচ্ছা বলো আমার এই ভুলের জন্য কি করতে হবে।

নীলের কথা তে পরির ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটে উঠলো ।
পরি নিজে কে সামলে নিয়ে বলল
– সরি বলতে হবে ।

নীল মৃদু হেসে বলল
– আচ্ছা।

– হুমমম

নীল দীর্ঘ একটা নিশ্বাস নিয়ে অতি ঠান্ডা কন্ঠে বলল
– পরি আম সরি।

নীলের এই কন্ঠস্বরে পরি কেঁপে উঠলো।
পরি ফোন টা বুকে চেপে কতো গুলো গভীর নিশ্বাস নিলো।
হাত থেকে ফোন পড়ে গেল কিন্তু পরির এতে কোনো ধ্যান ই নেই ।
পরি স্তব্ধ হয়ে আছে ,,,,, নীলের এই ভয়ঙ্কর কন্ঠস্বরে পরি আঁতকে উঠলো।
বার বার সেই কন্ঠে রেকডের মতো কানে বাজছিলো।
পরির হাত পা ঠান্ডা হয়ে কাঁপছিল,,,,,
বুকের ভেতর ধুকপুক করছিলো।
পরি সোজা হয়ে বেডে শুইয়ে পড়লো,,,,,, সিলিং এর দিকে তাকিয়ে থাকলে ও পরির ভাবনা অন্য কোথাও ছিলো।
______________________

রাতে আইক্রিম খাওয়া নিয়ে এক দফা লেগে গেল।
তিন ভাই বোন ই যে আইক্রিম এর উপর ক্রাশ খাওয়া আস্বামী ।
অবশেষে ঝগড়া করতে করতেই তিন জন মিলে বড় এক বক্স আইক্রিম কয়েক মিনিটের মধ্যে ই সাবার করে দিলো।
আজকাল পরি একদম ই পড়ছে না,,,,,
আচ্ছা নীল কি তার ভালোবাসা কখনোই বুঝবে না।
এই মূহুর্তে দাড়িয়ে নীল কে ভালোবাসার কথা বলা ও যে যাবে না।
যদি কলেজ এ পড়তো তো ভাবা যেত।
কিন্তু পরি যে মাত্র অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে,,
এই মূহুর্তে নীল কে ভালোবাসি বলা টা নিতান্তই হাস্যকর মনে হবে।
ইসসস নীল যদি পরি কে ভালোবাসতো,,,,,
প্রেম ভালোবাসা থেকে দূরে থাকা মেয়ে টা ও আজ কাল একজনের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য সময় গুনে যাচ্ছে।
পরি নীল কে ভালোবাসে এটি ভাবতেই পরি লজ্জা পেয়ে যাচ্ছে।
একা একা ভালোবাসার মানুষটির কথা ভাবতে কেন লজ্জা লাগছে?
এটা ও কি ভালোবাসার ই কোনো অংশ?

পরি ফোন হাতে নিয়েই নীল কে ম্যাসেজ দিলো।
কথায় কথায় নীল কে তুমি করে ও সম্বোধন করছে পরি।
এমনটাই হয় ,,,,,, কল দিয়েই পরি তুমি করে বলে আবার কখনো কখনো তো তুই ও বলে।
এই তো দু দিন আগের কথা,,
পরি ফোনে নীলের সাথে কথা বলেছিল।
হঠাৎ করেই পরি বলল
– তোর দ্বারা কিছুই হবে না।
এতো জিএফ দিয়ে কি হবে।

পরির কথাতে নীলের ভ্রু কুঁচকে গেল।
নীল বলল
– আমি তোমার বড় অথচ তুমি আমাকে তুই করে বলছো।

পরি কিছুক্ষণ ভেবে বলল
– আপনি ও আমাকে তুই করে বলবেন ঠিক আছে।

নীল হাসতে হাসতে বলল
– উহুমম আমি তুমি করেই বলব,,, তুমি বরং তুই করে বইলো।
পরি বেশ কিছুক্ষণ জোড়াজোড়ি করলো কিন্তু নীল মানতে নারাজ ।
অগত্যা পরি মেনে নিলো,,,, ফোন কেটে দিয়েই পরি ভাবল
– অবশেষে বুঝি লজ্জা টা আমার ই হলো।
ধ্যাততত

Part – 17,,,,
কালকে থেকে জি এস সি পরীক্ষা।
পরির বেশ টেনশন হলে ও পড়াতে একটু ও মন নেই।
একটু পর পর ই ফেসবুকে উঁকি ঝুঁকি মারছে ।
নীল অনলাইনে আছে কি না ,,,,, রিপলে দিলো কি না।
এমন হাজারো বিষয় নীল কে ঘিরে।
দীর্ঘ তিন মাস ধরে নীল কে একবার চোখের দেখা ও দেখে নি পরি।
কালকে তো পরীক্ষা ইসসস নীল নিশ্চয়ই আসবে।
কিন্তু কথা তো হবে না ,,,,, পরি কে তো নীল চেনেই না।
তাতে কি নীল কে তো পরি দেখতে পাবেই।
পরির আনন্দের শেষ নেই ,,,, পরীক্ষা নিয়ে সবাই টেনশনে থাকে আর পরি আনন্দে আছে।
নীলের সাথে হালকা কথা বলে পরি অফলাইন হয়ে গেল।
না ঘুম আসছে ,,,,, আর না জেগে থাকতে পারছে।
পরির অবস্থা যেন তেন নয়,, একেবারে গোড়ায় গন্ডগোল।
বেশ কিছুক্ষণ বেডে শুইয়ে চোখ খিচে বন্ধ করে ও পরির চোখে ঘুম আসলো না।
মনের ভেতর প্রিয় কে এক পলক দেখার নানা কল্পনা জল্পনা করতে লাগলো।
রাতে ঘুম হলো না পরির ,,,,,, আর না হলো পড়াশুনা।
ভোর সাড়ে পাঁচ টার দিকে পরির মা পরি কে ডেকে দিলো।
একটু আগেই বোধহয় চোখ টা লেগে ছিলো।
অস্বস্তি হচ্ছে পরির,,,,, কিছুতেই চোখ মেলতে পারছে না।
খুব কষ্ট করে কোনো মতে উঠে বসলো ,,,,,,,,
পড়তে বসে পরি ঝিমুচ্ছে,,, কোনো মতে আট টা অব্দি পড়লো।
তারপর নাস্তা সেড়ে রেডি হয়ে নিলো।
পরীক্ষার কেন্দ্র ছয় কিলোমিটার দূরে আর আজ যেহেতু প্রথম পরীক্ষা তাই পরি কে নিয়ে মিসেস রাহেলা 8’30 তেই বেরিয়ে পড়লেন।
9 টার দিকে পরীক্ষার কেন্দ্রে পৌছে গেল।
হলের গেইট খোলা হয় নি ,,,,, সিট আরো নানান ফরমালিটিস বাকি আছে।
ইংরেজি স্যার সবাই কে এক সাথে জরো করে সিট সহ রোল নম্বর কনফার্ম করছেন।
কেন্দ্রের সামনে বিশাল মাঠ,,,,, পুরো টাই ই একেবারে জনমানব দিয়ে টুইটুম্বর।
দশ বারো টা স্কুলের স্টুডেন্ট সাথে গার্জেন রা আছেন।
একে বারে মেলা বসে গেছে ,,,,,,

একটু পর পর বিভিন্ন ফুড কোড বসেছে।
একটু দূরে ছোট খাটো মেলা ও হচ্ছে।

ইংরেজি স্যার পরির দিকে চেয়ে মিষ্টি করে হেসে একটু উচ্চ শব্দে ই বললেন
– পরি সব কিছু ঠিক আছে তো?

পরি ও বলল
– জি স্যার।

হঠাৎ করেই পেছন থেকে একজন বলল
– পরি ই ইই ।
হাহাহা

নিজের নাম কারো কন্ঠে শুনে পরি পেছন ঘুরে তাকালো।
একি এটা তো নীল হাতে কোন এক টা কাগজ নিয়ে পেছনে দু হাত গুঁজে দাড়িয়ে হাসছে।
পরি নীল কে দেখে পুরো ভ্যাবাচাকা খেয়ে গেল।
এই এতো টা সময় ধরে নীল পরির পিছনেই দাড়িয়ে ছিলো।
আয় হায় ,,,,,,,

পরির অস্বস্তির সাথে লজ্জা ও লাগছিলো।
নীল পরির মাথা তে হালকা করে টোকা মেরে দিলো।
পরি স্থির হয়েই রইলো ,,,,, পরি যখন বিষয় টা বুঝতে পারলো যে নীল তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে,, তৎক্ষনাৎ পরি স্থান ত্যাগ করলো।
পরি পুরো মাঠে চক্কর দিতে লাগলো,,,,,
নীলের সামনে দাড়িয়ে ছিলো ,,,, এতো শত ভাবনা তার মাথা তে হালকা করে বার বার চরাও করতে লাগলো।
পরি নীলের থেকে দূরে সরে আসলো আর এখন আবার নীল কেই খুঁজে চলেছে।
ইসসস আরেকটি বার নীল কে দেখতে ইচ্ছে করছে পরির।
কিন্তু আর হয়ে উঠলো না।
হাফসা আর পরি আলাদা হলে পরেছে ,,,,,,
দুজন দুদিকে পরীক্ষা দিতে চলে গেল।
পরির আজ বাংলা পরীক্ষা,,,,, বাংলা বিষয়টাকে কেউ তেমন গুরুত্ব না দিলেই বাংলা বিষয়টা আসলেই ভয়ঙ্কর।
প্রচুর লিখতে হয় ,,,, সময় সল্পতার জন্য ঠিক ঠাক লেখা হয়ে ই উঠে না।
বাংলা পরীক্ষা বেশ কঠিন হয়েছে ,,,,, পরি দের স্কুল থেকে যে গাইড ফলো করা হয়েছে সেই গাইডের 50% ই আসে নি।
সবার ই যেন তেন অবস্থা হলে ও তুলনা মূলক ভাবে পরির বেশ বাজে অবস্থা।
ভালো স্টুডেন্ট পরি ,,,, এ প্লাস এর স্বপ্ন।
প্রথম পরীক্ষাতেই নিশ্চিত এ প্লাস হাত ছাড়া হয়ে গেছে।
পরি পরীক্ষার হল থেকে কান্না করতে করতে বের হলো।
হলের স্যার রা স্বান্তনা দিলো কিন্তু পরি তাতে শান্ত হলো না।
মেয়েকে হল থেকে এভাবে কান্না রত অবস্থা তে বের হতে দেখে পরির মা এগিয়ে আসলেন।
কি বলবেন ই বা তিনি ,,,,, তার ও চোখে পানি চিক চিক করলো।
ইসসস মেয়ে টার এ প্লাস হাত ছাড়া হয়ে গেল।
ইংরেজি স্যারের মেয়ে ও পরির সাথে পরীক্ষা দিচ্ছে।
ওও তেমন ভালো স্টুডেন্ট নয় ,,,, পাস করলেই এনাফ।
ইংরেজি স্যারের ওয়াইফ পরি কে অনেক আদর করেন।
তিনি বার বার পরি কে বোঝালেন
– দেখো মা একটা পরীক্ষা খারাপ হলেই তো এমন না যে সব পরীক্ষা খারাপ হবে।
তুমি পরের পরীক্ষা গুলো মনোযোগ দিয়ে দিবে।
আর হ্যা আজকের মতো সময় সল্পতা যেন না হয় ,,,,,
একটু আগে পরীক্ষা কমপ্লিট করার চেষ্টা করবো।
সবার এমন হাজারো স্বান্তনা নিয়ে পরি বাসায় ফিরলো।

বাসায় এসে গোসল করে নিজে কে শান্ত করে নিলো।
সন্ধ্যার আগে লান্স করলো ,,,,,,, পরীক্ষা নিয়ে বেশ মন খারাপ।
কিন্তু নীলের সাথে কথা বলার জন্য ও মন কেমন কেমন করছে।
তাই ফেসবুক লগ ইন করে নীলের সাথে কথা বলে নিলো।
একটু কথা বলতেই মন একদম শান্ত হয়ে গেল।
শরীর যেন বল পেল,,,,,,,

হঠাৎ করেই ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে দেখতে পেল ইংরেজি স্যার আসছেন।
পরি কে অনেক আদর করেন যে ওনি ,,,, আর পরির সব থেকে প্রিয় স্যার ও ওনি।
স্যার কে দেখে পরির ঠোঁটে কিঞ্চিত হাসি ফুটে উঠলো।
স্যারের সাথে এলাকার কিছু ছেলে ও এসেছে।
পরির ই দূর সর্ম্পকের ভাই রা আর কি ।
স্যার সহ সবাই কে হালকা নাস্তা দিলেন মিসেস রাহেলা।
পরি স্যারের পাশে সোফা তে বসে আছে।
স্যার পরির মাথা তে হালকা হাতে হাত বুলিয়ে বললেন
– পরি তোমার আন্টি বললো ,,,,, তুমি নাকি খুব কেঁদেছো।
বার বার বলেছে গিয়ে দেখো মেয়েটার কি হলো।
একটু পরীক্ষা খারাপ হয়েছে বলে এমন করে কেউ ভেঙে পরে বোকা মেয়ে।
মাথা ঠান্ডা রাখবে,,,,,,
স্যারের কথা তে পরি মাথা ঝাঁকিয়ে সম্মতি জানালো।
কিছুক্ষণ স্যার উপদেশ দিয়ে চলে গেলেন আর পরি তো সারাক্ষণ নীল কে নিয়েই পরে আছে।
এখনো মাথা তে নীল ই ঘুরছে,,,,,,,
একটু পড়ছে তো আবার ফেসবুকে নীলের অনলাইন ,, রিপলে দেখছে।
পরির এতেই যেন আনন্দ ,,,,,, পরীক্ষার তেমন কোনো রেশ ই দেখা যাচ্ছে না ওর মাঝে।

👉. New top riders

**F T Z Chouthi**

Sukriya apu…aivbyi pashy thako 💜💜

( আসসালামুআলাই রির্ডাস। আজকের দুই পার্ট এক সাথে দিয়ে দিলাম। আশা করি ভালো লাগবে।
আমার লেখা গল্প পেতে পেজ এ লাইক ফলো আর বন্ধুদের ইনভাইট দিয়ে পাশে থাকুন )

বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাপ করবেন ।

💙 হ্যাপি রিডিং 💙

চলবে
ফাতেমা তুজ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here