বান্ধবীর ভাই যখন বর 💗পর্ব-৩০

0
2465

💗 বান্ধবীর ভাই যখন বর 💗
Part – 30
________________________
3 দিন আগে,,,,
নীলের আর্জেন্ট কল আসায় নীলের মুখে বেশ খানিকটা প্রাপ্তির রেখা ফুটে উঠলো।
হয়তো এমন কিছু যার জন্য নীল অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলো।
পরি নীলের দিকে তাকিয়ে ভাবছে মানুষটা একটা ফোন কলে এতো খুশি কেন ?
নীল পরির দিকে চোখ মেলে তাকিয়ে দীর্ঘ একটা শ্বাস নিলো।
মিষ্টি হেসে বলল
– পরি আমাকে একটা জায়গায় যেতে হবে।
ফিরতে কয়েকদিন লাগতে পারে ,,,, আর নেটওয়ার্ক না থাকলে হয়তো ফোন দিতে পারবো না।
তুমি চিন্তা করো না ,,,,,,

নীলের যাওয়ার কথা শুনে পরির চোখ বেয়ে আপনা আপনি স্রোত নেমে গেল।
নীল স্তব্ধ হয়ে পরির দিকে তাকিয়ে রইলো।
এই মেয়েটা কেন যে একটু তেই কেঁদে ফেলে।
যদি ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তাদের কে আলাদা হয়ে যেতে হয় তখন পরি কি করে থাকবে ?
পরি যে শেষ হয়ে যাবে ,,,,

পরির শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ভাবতেই নীলের শরীর কাঁপনি দিয়ে উঠলো।
এ কি ভাবলো সে ?
পরি কেন শেষ হবে ,,, নাহ নাহহ এমন টা হতে পারে না।
পরির কিছু হলে নীল নামের এই মানুষ টা নিজেকে শেষ করে দিবে।

নীলের বুকের ভেতর অসহ্য যন্ত্রণা হতে লাগলো।
মন টা পুরছে ,,, কিন্তু পরির সামনে দূর্বল হওয়া যাবে না কিছুতেই নাহহ।

নীল কোনো মতে নিজেকে সামলে নিলো।
নীল মুচকি হেসে পরি কে জড়িয়ে বলল
– এই বোকা মেয়ে আমি তো কয়েকটা দিনের জন্য যাচ্ছি।
এমন কাঁদলে আমি কি ঠাক ঠাক যেতে পারবো ?
আল্লাহ না করুক যদি কিছু একটা হয়ে যায়।

নীলের এই কথাটা শুনে পরি আরো হুরমুরিয়ে কেঁদে উঠলো।
নীল কে দু হাতে আঁকড়ে ধরে অস্পষ্ট স্বরে বলল
– আপনি এতো বাজে কেন ?
কেন এইসব বাজে কথা বলেন ?
আমাকে কাদিয়ে মজা পান আপনি?

পরির কথা শুনে নীল মুচকি হাসলো।
পরির মাথায় আলতো হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল
– তাহলে তুমি কান্না করো কেন ?
তুমি কাঁদলে আমি বুঝি মন দিয়ে কাজ করতে পারবো ?
আমার কষ্ট হবে না ?

নীলের কথাতে পরি চোখের পানি দু হাত দিয়ে মুছে নিলো।
তারপর মলিন হেসে বলল
– আর কাঁদবো না আমি।
আপনি আর ঐ সব বাজে কথা বলবেন না।
নীল মুচকি হেসে বলল
– ওকে বিবি জান বলবো না।
হ্যাপি ?

নীলের কথাতে পরি ফিক করে হেসে বলল
– হুমমম হ্যাপি।

নীল মুচকি হেসে পরির দিকি স্থির দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো।
নীল কে এভাবে এক ধ্যানে তাকিয়ে থাকতে দেখে পরি অপ্রস্তুত বোধ করলো।
পরি কাঁচুমাচু করছিলো যা নীলের চোখ এড়াতে পারে নি।
নীলের মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি চাপলো।
নীল ঠোঁটের কোনে ডেবিল মার্কা হাসি ঝুলিয়ে পরির দিকে ঝুকতে ঝুকতে বলল
– পরি আমার নাহহহ এখন ,,, এই মূহুর্তে ,,, তোমাকে

নীলের এমন খাপছাড়া কথা শুনে আর কাহিনী তে পরির শুকনো ঢোক গিলে নিলো।
ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে বলল
– কি বলছেন ?

নীল পরির আর ও কাছে এসে বলল
– কেন তুমি বুঝতে পারছো না আমি কি বলতে চাচ্ছি ?
আমি তোমাকে,,,, এই মূহুর্তে,,,,

পরি শুকনো ঢোক গিলে বলল
– কি বলছেন কি?

নীল পরির একদম কাছে এসে ডেবিল হাসি দিতেই পরি চোখ খিচে বন্ধ করে নিলো।
পরির এমন কান্ডে নীল হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেতে লাগলো ।

নীলের হাসির শব্দ শুনতে পেয়ে পরি চোখ খুলে নিলো ।
নীলকে খাম খেয়ালি ভাবে হাসতে দেখে পরি চোখ মুখ কুঁচকে নিলো।
নীল হাসতে হাসতে বলল
– তুমি এতো ভয় পাচ্ছো কেন ?

পরি গোমড়া মুখ করে বলল
– আপনি ই তো ,,,,

পরি কে বলতে না দিয়ে নীল বলল
– আমি তো বলছিলাম এই মূহুর্তে তোমাকে দেখে আমার কাছে মনে হচ্ছে তুমি স্টার জলসার নাইকা গুলো কে ও হার মানাবে।
যখন তখন কান্না করে বসছো।

এই টুকু বলেই নীল হাসতে লাগলো।
পরি কিছুক্ষণ নীলের দিকে তাকিয়ে থেকে বলল
– ফাজিল ,, আমি আপনার সাথে আর কথাই বলবো না।

পরি কে রাগ করে উঠে যেতে দেখে নীল পরির হাত ধরে নিলো।
টান মেরে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে বলল
– আমার সাথে কথা বলবে না ?
বললেই হলো ? একদম বেঁধে রেখে দিবো।
নিজের অন্তরে মিশিয়ে নিবো।

নীলের কথাতে পরির চোখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো।
নীল কে জড়িয়ে বলল
– আমি ও আপনাকে ছেড়ে থাকতে পারবো না।
শেষ হয়ে যাবো,,, একদম পুড়ে যাবো।

নীল মুচকি হেসে বলল
– পাগলি মেয়ে আমাকে ছাড়তে বলেছে কে?

আমরা তো একে অন্যের অস্তিত্ব
অস্তিত্ব ছাড়া কি কেউ থাকতে পারে।
পারে না তো ?
আমরা ও থাকতে পারবো না।
আর দেখে নিও আল্লাহ তায়লা ও আমাদের এক সঙ্গে বেঁধে রাখবেন।
আমরা ইহকাল পরকাল দু জনমেই একে অন্যের হয়ে থাকবো।
নীল কে শক্ত হাতে জড়িয়ে নিলো পরি।
এই বুকের মাঝেই পরির সমস্ত সুখ নিহীত।
দুজনের ই পার্থনা সৃষ্টিকর্তা যেন তাদের এক সাথেই বেঁধে রাখেন।
_______________________

⛔ আমি দুঃখিত ছোট পার্ট এর জন্য। কালকে আমার এসাইনমেন্ট এর শেষ তারিখ। কিন্তু এখনো আমার 2 টা বিষয় কমপ্লিট হয় নি।
যার জন্য লিখার সুযোগ পায় নি। একটু আগে রেস্ট টাইম এ এই টুকু লিখলাম।
কালকে স্কুল থেকে ফিরে কতোটুকু লিখতে পারবো জানি না।
কাল কে ও হয়তো ছোট পার্ট দিবো।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে পরশু থেকে নিয়ম করে গল্প দিবো ইনশআল্লাহ

New top riders

1.Nazia sultana.
2.Sra Roza.
3.Farjana AfRoj Nafisa.
4.Salim Reja.

সবাই কে অসংখ্য ধন্যবাদ। এভাবেই পাশে থাকুন সবার জন্য অফুরন্ত ভালোবাসা রইলো।

( আসসালামুআলাই রির্ডাস। গল্প কেমন হচ্ছে জানাবেন প্লিজ। সবার মতামত আশা করছি।
আমার লেখা গল্প পেতে পেজ এ লাইক ফলো আর বন্ধুদের ইনভাইট দিয়ে পাশে থাকুন )

বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাপ করবেন।

💙 হ্যাপি রিডিং 💙

চলবে
ফাতেমা তুজ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here