বান্ধবীর ভাই যখন বর 💗পর্ব-৩৬

0
2349

💗 বান্ধবীর ভাই যখন বর 💗
Part – 36
__________________________

নীল লন্ডনে চলে গেছে আজ ছয় দিন হয়ে গেল।
প্রথম তিন দিন তো পরি নীলের সাথে ফোনে কথা বলার সময় অঝোরে কেঁদেছে।
আর নীল বেচারা পরি কে সান্ত্বনার বানী শুনিয়েছে।
কিন্তু পরির কান্না থামতো ই নাহহহ,,,
আর তখন নীল উপায় অন্তর না পেয়ে বলতো আচ্ছা আজকেই এয়ার টিকেট কেটে চলে আসবো।
তখন পরি কান্না থামিয়ে বলতো নাহহহ আর সে কাঁদবে না।
এ ভাবেই বিপন্নতার মাঝে কেটে যায় ছয় ছয় টি দিন।

পরি মাত্র সাওয়ার নিয়ে এসেছে,,, চুল গুলো আধ ভেজা।
জানালা ছাপিয়ে মিষ্টি রোদ এসে পরির গাল দুটো রাঙিয়ে দিয়ে যাচ্ছে।
শীতের দুপুরে এক চিলতে রোদ যেন স্বর্গীয় অনুভূতি।
ইসসস সাথে যদি থাকতো প্রিয় মানুষটি,,,,,
তখনি পরির ফোন বেজে উঠলো,,, একরাশ আনন্দ নিয়ে পরি ফোন রিসিপ করলো । তারপর ঠান্ডা স্বরে বলল
– হ্যালো,,,,,

– বউ ,,, ভালো লাগছে না।
এতো কাজের চাপ,,,,,

– ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করেন না তাই নাহ ?

– তুমি না খাইয়ে দিলে ভালো করে খাই কি করে ?

– আপনার এই খামখেয়ালিপনা আমার একদম ভালো লাগছে না।

– আহহহ কি এমন করেছি বলো।
মাথা ব্যথা করছিলো তাই কল দিলাম একটু চিল করার জন্য ।

– কিহহ মাথা ব্যথা করছে ,
আর আপনি ফোনে আমার সাথে বক বক করছেন।

– এমন করো কেন ?
দিন রাত ভরেই তো ঐ সাদা চামড়ার পাবলিক গুলোর সাথে বক বক করতেই হয়।
প্রচুর কাজ,,,, তাই ভাবলাম তোমার সাথে কথা বলে রিলাক্স হই।

নীলের কথাতে পরির ভ্রু কুঁচকে গেল।
পরি একটু চড়া গলায় বলল
– রাত মানে ?

পরির কথাতে নীল বোকা হয়ে গেল।
এই মেয়ে জাতি একটা ছোট্ট কথা কে ও ধরে নেয়।
তিল কে তাল বানিয়েই ছাড়বে,,,,

নীল দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল
– রাত মানে তুমি যেটা ভাবছো সেটা নয় পরি ।
আমার কম্পানির 80% স্টাফ ছেলে।ডোন্ট ওরি,,,
আর আমাদের রাত দশ টা অব্দি অফিসে কাজ করতে হচ্ছে ।
আর বাসায় এসে ও ফাইল হাতে বসে পড়তে হয়।
যদি ও চোখে ঘুম নামক বস্তু টা উবে গেছে তবু ও শরীর বেশ ক্লান্ত হয়ে যায়।

পরি মুখ কাঁচুমাচু করে বলল
– দিন গুলো শেষ হচ্ছে না কেন?
আপনাকে কতো কষ্ট করতে হচ্ছে ,,,আপনি যদি ঠিক ঠাক না খান না তো আমি ও খাবো না কিন্তু।
আপনি অসুস্থ হয়ে গেলে আমি কিন্তু আপনার সাথে কথাই বলব নাহহ।

পরির কথাতে নীল বেচারার অবস্থা খারাপ।
পরি কে বলাই ভুল হয়েছে,,, নীল দীর্ঘশ্বাস টেনে বলল
– আচ্ছা খাবো,,,,
আর আমার পিচ্ছির জন্য অলয়েজ সুস্থ সবল থাকবো।

পরি মুচকি হেসে বলল
– দ্যাটস লাইক এ মাই হাসবেন্ড।

পরির কথাতে নীল হেসে উঠলো।
মেয়েটা পারে ও বটে,,,,

নীল হাসি থামিয়ে বলল
– আর শুনো বিডির সময় রাত দুইটার দিকে কল দিবো,,, তোমার কি খুব অসুবিধা হবে বউ ?
আসলে ঐ টাইমে ফ্রি টাইম আর স্পেস পাবো।

পরি মুচকি হেসে বলল
– একটু ও নাহহ।
আপনি এতো কষ্ট করবেন আর আমি এই টকু পারবো না।
যদি ও অতো রাতে কথা বললে আম্মু আব্বু রেগে যাবে আর আমি ও ওদের কে জানিয়ে কথা বলতে গেলে লজ্জা পাবো। বাট আই কেন ম্যানেজ ।

– হাউ ?

পরি একটু ভাব নিয়ে বলল
– আবার কিভাবে লুকিয়ে লুকিয়ে,,, ব্যালকনির কোনাতে গিয়ে চুপিচুপি কথা বলব।

পরির কথাতে নীল হাসতে হাসতে শেষ।

নীলের হাসির শব্দ পেয়ে পরি বলল
– এই এই আপনি হাসছেন কেন ?

নীল হাসি থামিয়ে বলল
– আর কি করবো বউ।
এই প্রথম কোনো বউ তার হাসবেন্ড এর সাথে লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করবে।
আহহহ ইতিহাস গড়া প্রয়োজন।

নীলের কথাতে পরি ও হাসতে লাগল।
হাসি হাসি স্বর নিয়েই বলল
– হুমম বিয়ের আগে হয় নি তো প্রেম,,,
বিয়ে করে লুকিয়ে লুকিয়ে জমিয়ে হবে প্রেম।

পরির কথা শুনে নীল হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।
পরি যে এতো টা দুষ্ট তা বোঝা দায়।

পরি আদৌ আদৌ কন্ঠে সুর তুলল

চুপিচুপি বলো কেউ জেনে যাবে,,,জেনে যাবে কেউ জেনে যাবে।
ধ্যাত গান টাই ভুলে গেছি।

নীল একটু অভিমানী কন্ঠে বলল
– পরি তুমি না সেই আগের মতো দুষ্টুমি করছো।
বি ডি তে থাকতে একটু ও দুষ্টুমি করো নি কেন?
তুমি জানো কতো মিস করেছি তোমার দুষ্টুমি।

পরি মিটিমিটি হেসে বলল
– কারন আমি দেখতে চেয়েছিলাম আমার বর টা কতোটা দুষ্ট মি করতে পারে।

– আচ্ছা ,,তাহলে বলছে তো বিডিতে আসলে এবার দুজন ই দুষ্ট মি করবো।

– অবশ্যই পুরো দুষ্টু মিষ্টি প্রেম চলবে।

নীল হাসতে হাসতে বলল
– তো মিসেস নীল রেডি থাকবেন কিন্তু।
এবার আর কোনো ছাড় দিবো না ,,,, সোজা সুজি

নীল কে আর বলতে না দিয়ে পরি বলল
– এই আপনি থামুন তো ।
সব সময় আজে বাজে চিন্তা ভাবনা।

নীল বুকে হাত দিয়ে বলল
– ইসসসস বউ লজ্জা পায় বুঝি।
এবার এসে সব লজ্জার অবশান ঘটিয়ে দিবো।
দেখবো আমার লজ্জাবতী পরি কতো টা লজ্জা পেতে পারে।

পরি নীলের এই সামান্য কথা গুলো শুনে লজ্জা তে কুকরে যাচ্ছিলো।
কিছু বলতেই পারছিল না।

নীল ব্যস্ত কন্ঠে বলল
– আচ্ছা পরি রাখছি ,,, একজন ডিলার এর সাথে এপোয়েনমেন্ট আছে। রাতে অপেক্ষা করো,, আর নিজের খেয়াল রেখো।

– আচ্ছা,,, আপনি কিন্তু বেশি ক্ষন না খেয়ে থাকবেন না।
আর রাতে সময় করে ঘুমাবেন।

– আচ্ছা আচ্ছা,,, বউয়ের যেমন ইচ্ছা।
এখন রাখছি আল্লাহ হাফেজ।

পরি মুচকি হেসে বলল
– আচ্ছা,, আল্লাহ্ হাফেজ ।

ফোন রেখেই পরি বেডে উপর হয়ে শুয়ে পড়লো।
নীলের সাথে কথা বললেই ভেতর টা অদ্ভুত প্রশান্তি অনুভব হয় ।
এখন শুধু নীলের ফিরে আশার অপেক্ষা।
পরি নীলের জন্য হাজার বছর ও দিন গুনতে পারবে।
কিন্তু সেই দিন শেষে নীল তার কাছে আসলেই হবে।
বড্ড বেশি ই ভালোবাসে ,,,,,,,,,
______________________

সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বাসার কলিং বেল বাজতেই আমান গিয়ে দরজা খুলে দিলো। রোজিনা বেগম আর হানিফ আহমেদ কে দেখেই আমান সালাম জানালো।
মিসেস রাহেলা সন্ধ্যার নাস্তা তৈরি করছিলেন।
কলিং বেল এর আওয়াজে তিনি গ্যাস অফ করে মেইন ডোরের কাছে আসলেন।
নীলের পরিবারের সবাই কে দেখে ওনার মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠলো।
সবার সাথে কুশল বিনিময় করে মেহমান দের জন্য নাস্তা আনতে গেলেন।
পরি ছাঁদে কাপড় আনতে গিয়েছিল ,,, এক গাঁদা কাপড় হাতে বাসায় ফিরে সবাই কে দেখে বেশ অবাক ই হলো।
সবার সাথে কুশল বিনিময় করে রোজিনা বেগমের পাশে গিয়ে বসলো।
রোজিনা বেগম মিষ্টি হেসে পরির মাথা তে হাত বুলিয়ে বললেন
– কেমন আছিস মা।

– আলহামদুল্লিহ আম্মু আমি ভালো আছি।
তোমরা সবাই কেমন আছো ?

হানিফ আহমেদ মুখ গোমড়া করে বললেন
– বাড়ির মেয়ে বাসায় না থাকলে কি করে ভালো থাকি বল তো?

পরি মিষ্টি হেসে বলল
– আব্বু আমি তো আপনাদের সাথেই আছি।
আর এখানে তো কয়েকটা দিন ,,,,,, আপনি কিন্তু ঔষুধ পত্র ঠিক মতো খাবেন।
আপনার প্রেসার অলয়েজ ই হাই থাকে।

হানিফ আহমেদ মুচকি হেসে বললেন
– জানি রে মা।
আমার ডাক্তার মেয়ে দশ দিনেই আমাকে সোজা বানিয়ে দিয়েছে।
এখন আর কোনো ভুল হয় না।

পরি মুচকি হেসে বলল
– অবশ্যই ঠিক হতেই হবে দেখতে হবে না কার বউ,,,

এই কথা বলেই পরি জ্বিভ এ কামড় দিলো।
নাস্তা আনার বাহানায় দ্রুত গতিতে কিচেনে চলে গেল।
তা দেখে সবাই অট্টহাসি তে ফেটে পড়লো।

হাফসা বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে সেই কখন থেকে অনিকের সাথে কথা বলছে কিন্তু অনিক ছাড়ছেই না।
এখন ই নাকি অনিকের ফ্রি টাইম।
হাফসা তো ভেবেছিল অনিক বুঝি লন্ডনে গিয়ে হাফসা কে ভুলেই যাবে।
কিন্তু এই ছেলে তো মহা ঝামেলা দিচ্ছে।
এতোক্ষন ধরে কথা বলছে সবাই কি ভাববে,,, একে বারে বিচ্ছিরি বিষয় ।

পরি আর মিসেস রাহেলা সবাই কে নাস্তা দিলো।
মিসেস রাহেলা সোফাতে বসে বললেন
– আপা হাফসা কে তো নিয়ে
আসতে পারতেন।
মেয়েটা কয়েকদিন এখানে থেকে যেতো।

রোজিনা বেগম হালকা হেসে বললেন

– এসেছে তো।

ফোনে কথা বলছিলো তাই বাইরেই আছে।

পরি চোখ মুখ ছোট ছোট করে বলল
– হাফসা কার সাথে এতো কথা বলে আম্মু,,, প্রায় ঘন্টা তো হয়েই গেল।
নিশ্চয়ই দিওনায়ার সাথে ,,,

পরির কথা শেষ হতে না হতে কলিং বেল বেজে উঠলো।
পরি মিষ্টি হেসে বলল
– এসে পড়েছে ,,, আমি দেখছি।

ডোর খুলতেই হাফসা মেকি হাসি দিয়ে বলল
– কেমন আছিস ?

পরি হাফসা কে আগা গোড়া পরখ করে দেখে নিলো ।
পরি চোখ নাচিয়ে বলল
– কি ব্যাপার ?
তুই কোথায় ছিলি ?

হাফসা পরি কে ঠেলে ভেতরে আসতে আসতে বলল
– চুপ কর ,,,, ঘেমে যাচ্ছি আমি কোথায় একটু আদর যত্ন করবি তা না করে প্রশ্ন করে যাচ্ছিস।

পরি ডোর লাগিয়ে চোখ মুখ কুঁচকে বলল
– কিহহহ এই ঠান্ডার মধ্যে তোর ঘাম হচ্ছে।
পাগল টাগল হলি নাকি?

হাফসা মেকি হাসি দিয়ে বলল
– চেপে যাহহহ ,,, সবাই দেখছে।

পরি বিষয়টা বুঝতে পেরে আর কিছু বলল না।
সবাই মিলে সন্ধ্যার নাস্তা সেরে নিলো।
রোজিনা বেগম আর হানিফ আহমেদ সবার জন্য এক গাদা জামা কাপড় আরো এটা সেটা এনেছেন।
পরি তো বেশ অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
পরি মুখ গোমড়া করে বলল
– আম্মু এতো সব কেন ,,, কিসের জন্য ?

রোজিনা বেগম মৃদু হেসে বললেন
– বাহ রে আমার মেয়েটা এতো দিন এখানে থাকবে ওর প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র লাগবে না নাকি ?

মিসেস রাহেলা সোফাতে বসে বললেন
– আপা তাই বলে এতো সব ?

– কি যে বলি আপা ,,,নীল জোড় করে পাঠালো।
জানেন ই তো পরি কে এখানে রাখতে চায় নি ,,, তাই এই সব পাঠালো।

সবাই মিলে আর ও কিছুক্ষন গল্প করলো।
এশার নামায শেষ হওয়ার পর ই আফজাল হোসেন বাসায় ফিরলেন।
সবার সাথে কুশল বিনিময় করে সবাই একসাথে ডিনার শেষ করে নিলো।
অনেক জোর করে সবাই কে রাজি করালো আজকে রাত টা ওনাদের থেকে যেতে হবে।
আর হাফসার এডমিট টেস্ট আশা অব্দি হাফসা এখানেই থাকবে।
কালকে ড্রাইভার দিয়ে হাফসার জামা কাপড় পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

পরি আর হাফসা মিলে কিচেনে চলে গেল প্যান কেক বানাতে।
প্যান কেক এর সাথে চকলেট সিরাম বেশ লাগে খেতে।
প্যান কেক বানানো হলেই কেক এর কয়েকটা ছবি তুলে নিলো তারপর ফেসবুকে পোস্ট করে দিলো।

সবাই কে প্যান কেক পরিবেশন করে পরি আর হাফসা কাঁচুমাচু হয়ে দাড়িয়ে আছে।
কেমন হয়েছে তা জানার জন্য পরির আর হাফসার মনে হচ্ছে প্রান টাই বেড়িয়ে যাচ্ছে।
সবাই কেক মুখে দিয়ে চুপ করে আছে,,, হাফসা আর পরি একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করছে।
বেশ কিছুক্ষণ চলে যাওয়ার পর সবাই যখন বলল কেক টা অসাধারণ হয়েছে তখন পরি আর হাফসা লাফিয়ে উঠলো।
ওদের কান্ড দেখে সবাই হাসতে হাসতে কেকের স্বাদ নিতে লাগলো।
পরি আর হাফসা প্ল্যাট এ কেক নিয়ে করিডোর দিয়ে লাইব্রেরির রুমে যাচ্ছিলো।
রুম টা বেশ সুন্দর করে গোছানো,,, বিরাট বরো কাঁচের দেয়াল সাথে খোলা বারান্দা তাই ঐ রুমে যাচ্ছিলো।
তখনি হাফসার ফোন বেজে উঠে,,,, অনিকের ফোন দেখেই হাফসা লাফিয়ে উঠে।
কল রিসিপ করতেই দেখতে পায় অনিক আর নীল পিসিতে আছে।
হাফসা ও কল টা পিসির সাথে কানেক্ট করে দিলো তারপর চারজনে কথা বলতে লাগলো।
অনিক আর নীল তো আফসোস করেই যাচ্ছে।
ইসসস বিডি থাকলে স্পেশাল হাতের বানানো প্যান কেক খাওয়া যেত।
পরি আর হাফসা ওদের দেখিয়ে দেখিয়ে প্যান কেক খাচ্ছে,,,, হঠাৎ ই নীল নানা রকমের চকলেট বের করলো।
তারপর নীল আর অনিক ওদের দেখিয়ে চকলেট খেতে লাগলো।
পুরো বাচ্চা দের মতো কাহিনী,,
হাফসা রেগে বম হয়ে যাচ্ছে,,,, হাফসা রাগ দেখিয়ে বলল
– তোরা কি একাই খেতে পারিস।
কালকেই এক গাঁদা চকলেট এনে তদের দেখিয়ে দেখিয়ে খাবো।

অনিক হাসতে হাসতে বলল
– সেকেন্ড হেন্ড ।

পরি চোখ মুখ কুঁচকে বলল
– মোটে ও নাহহহ।
বি ডি তে ও অনেক ভালো চকলেট আছে।
নট সেকেন্ড হ্যান্ড,,,,

নীল চকলেট এ বাইট দিয়ে বলল
– উফফফ কি খেতে ,,,
আহহহ বিডিতে বসে অনেক এই বলে পিউর চকলেট খাচ্ছে।
সব ই ঢপ,,,,
আহহহ অনিক এই সব পেত্নি দের কথা কানে নিস নাহহহ।

পরি তো রেগে আগুন।
ইচ্ছে হচ্ছে নীলের চুল গুলো ছিঁড়ে ফেলতে।
পরি নীলের দিকে রক্তবর্ন চোখে তাকিয়ে ঢপ করে পিসি অফ করে দেয়।

নীল বেচারা ব্যক্কেল হয়ে যায়।
আজ অনিক আর নীল দুজনের ই কপালে শনি আছে।
ভাবতেই দুজন শুকনো ঢোক গিলে নিলো।
_______________________

( আসসালামুআলাই রির্ডাস। গল্প কেমন হচ্ছে জানাবেন প্লিজ।
আমার লেখা গল্প পেতে পেজ এ লাইক ফলো আর বন্ধুদের ইনভাইট দিয়ে পাশে থাকুন )

বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাপ করবেন ।

💙 হ্যাপি রিডিং 💙

চলবে
ফাতেমা তুজ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here