বেখায়ালি ভালোবাসা পর্ব-৫

0
3125

#বেখায়ালি_ভালোবাসা,
#পাট_৫
লেখিকা:#সাবেরা_সুলতানা_রসিদ
.
সৈকত মেঘের কাছে এসে বললো এই তুমি কি বললে?
—বললাম এই কুকুরটা এখানে কি করছে?
—এই খবরদার কুকুর বলবে না।(রেগে)
—কুকুরকে কুকুর বলবো নাতো কি গাধা বলবো!!?
—এই এর নাম টমি।আজ থেকে টমি বলে ডাকবে।
—উুহঃ কুকুরের নাম নাকি টমি!!পারবোনা,কুকুরকে কুকুরই বলবো।
—খুব খারাপ হবে বলে দিচ্ছি।
—নতুন করে আর কি খারাপ হবে শুনি?
এই তোরা থামবি!!?ছোট্ট বাচ্চাদের মত ঝগড়া করছিস পাশ থেকে রোজি এগিয়ে এসে বলে।
—আচ্ছা ভাবি তুমি বলো কুকুর কে কেন নাম ধরে ডাকতে হবে?
—এই আবার??(সৈকত রেগে)
—মেঘ চুপ কর।সৈকত যা বলে সেটা বলবি।কারণ আমরা সবাই ওকে টমি বলে ডাকি।সৈকত ওকে ছোট্ট থাকতে এ বাড়িতে এনেছে।ওর টেককেয়ার করা,
খাওয়ানো,ওর সাথে খেলাকরা সব সৈকতই করছে।তাই দুজনের ভাব খুব গভীর।
টমি বলে ডাকলে যেখানেই থাকুক না কেন দৌড়ে আসে।
—ভাবি আমি কুকুর খুব ভয় পায়।
—টমি কিছু বলবে না।তোকে আজ নতুন দেখছে তাই একটু এরাকম করছে।আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।পরে দেখবি তোর সাথেও ওর খুব ভাল বন্ধুত্ব হয়ে যাবে।
—হলেই ভাল বলে মেঘ সৈকতের দিকে তাকিয়ে একটু মুখ ভেঙচি দিয়ে রোজির সাথে চলে আসে।
————**——**——**————
রাতের খাবার শেষ করে সবাই যার যার মত ঘুমাতে চলে গেছে।মেঘ রুমে ঢুকতেই চোখ কপালে উঠলো।কি দেখছে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেনা।বিছানায় মেঘের জায়গায় সৈকতের পাশে ঐ কুকুরটা শুয়ে আছে।
—কি হচ্ছে এটা?
সৈকত ম্যাগাজিনের পাতা উল্টাতে উল্টাতে বললোঃ
—কি হচ্ছে!!?কিছুইনা।
—এই কুকুরটা আমার জায়গায় কি করছে?
—এই তুমি আবার ওকে টমি না ডেকে কুকুর বললে?
—আচ্ছা ভুল হইছে।এখন বলেন এটা এখানে কেন?
— ও এখানে থাকবে।
—এখানে থাকবে মানে?আমি কোথায় ঘুমাবো ?
—সকালেই বলছি এবাড়িতে অনেক খালি রুম আছে,যেকোন একটাই গিয়ে শুয়ে পড়।
—না।
—না কেন।
—আমি এখানে ঘুমাবো।পারলে আপনার টমিকে এখান থেকে বিদায় করুন।
—একদমই না। সবসময় টমি আমার সাথে ঘুমায়।গতকাল ওর জীবনে প্রথম ও আমাকে ছাড়া আলাদা শুয়েছিল তাও শুধুমাত্র তোমার জন্য।
মেঘ মনে মনে রেগে ফেটে পড়ছে আর বলছে একটা কুকুরের প্রতি এত ভালবাসা আর নিজের বৌয়ের বেলায়!?ভালবাসাতো দূরে থাক, বলে কিনা তার কোন দায়দায়িত্ব নেই আমার প্রতি!!।
মেঘ কন্ঠটা একটু নরম করে বলেঃ
—দেখুন আমি একা ঘুমাতে পারবোনা আজ।
সৈকত অবাক হয়ে বলে কেন!কি হয়েছে?
—আকাশে মেঘ করছে ঝড়ের মত বাতাস বইছে।এ ঝড় বৃষ্টির রাতে আমি একা শুতে পারবোনা।আমার খুব ভয় করে।
মেঘের কথা শুনে সৈকত হো হো করে হেসে ওঠে।এই তুমি কি বাচ্চা নাকি??
এসব নাটক বন্ধ কর।টমি ঘুমাচ্ছে এখন আমাকেও ঘুমাতে দাও বলে হাত থেকে ম্যাগাজিনটা রেখে পাশ ফিরে শুইয়ে পড়ে।
মেঘ অবাক হয়ে যায় সৈকতের আচারণে।সৈকত মেঘের কথার কোন পাত্তা না দিয়ে নিজের মত শুইয়ে পড়লো।
এদিকে ঝড় বৃষ্টির মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে।
মেঘ কি করবে বুঝতে পারছেনা।ভয়ে গুটিয়ে যাচ্ছে তারপর আস্তে পায়ে সৈকতের কাছে যেয়ে বললো আপনি কি ঘুমাচ্ছেন?
এইযে শুনছেন।
তিনবার ডাকার পর সৈকত রাগাম্বিত হয়ে বললোঃ
—কি হয়েছে এত ঘ্যানঘ্যান করছো কেন?তোমার জন্য কি রাতে ঘুমাতেও পারবোনা??
—মেঘ কাপা কাপা কন্ঠে বলে আমার সত্যিই খুব ভয় করছে।
—তুমি যদি মনে করো যে আমি তোমার কথায় ভুলে তোমাকে আমার পাশে ঘুমাতে দেব তারপর তোমার ভয় ভাঙ্গানোর জন্য জড়িয়ে ধরে অন্য দম্পতির মত রোমান্স করবো তাহলে ভুল ভাবছো।
সৈকত মেঘের কথা না জেনে যে এরাকম কথা বলবে মেঘ ভাবতেও পারেনি।সৈকতের উপর আগে রাগছিল আর এখন তার এ কথায় কেন জানি মেঘের মনে খুব ঘৃণা জন্মনিল।
কারণ একটা মানুষতার অসহায়তার কথা বলছে আর সেকিনা————
ছিঃ
মেঘ এমনিতে খুব জেদী।সৈকতের এ কথা শোনার পর মেঘের মনে জিদ ভর করলো।আজ যা হয় হবে।নিজের ভয়টাকে আজ সে নিজেই জয় করবে।হয় জিতবে আর না হয় হারবে।
মধ্যে রাতে বজ্রপাতের শব্দে সৈকতের ঘুমটা ভেঙ্গে গেল।কাছে কোথাও বজ্রপাত হয়েছে শব্দটা খুব জোরেই হয়েছে।হঠাৎ সৈকতের মেঘের কথা মনে পড়ে তাড়াতাড়ি করে বেডসুইচ অন করে লাইট জ্বালিয়ে রুমের চারিদিকে চোখ বুলায়।
না রুমে কোথাও নেই।
তাহলে কি সত্যিই অন্য রুমে গিয়ে ঘুমিয়েছে!?
বসে ভাবে একটু দেখে আসি কোথায় সে।আবার ভাবে কি দরকার?আমি কেন শুধুশুধু তার কথা ভাবছি?
যেখানে ঘুমিয়ে আছে সেখানে ঘুমাক।
এবাড়িতে তার কথা ভাববার অনেক লোক আছে।আমি না ভাবলেও চলবে।
সৈকত উঠে একটু হাটাহাটি করে আর ভাবে তখন ওভাবে কথাগুলো বলা উচিত হয়নি।হতেও তো পারে যে মেঘ সত্যিসত্যিই এই ঝড়বৃষ্টি খুব ভয় পায়।আমি যেমন আগুন দেখলে এখনও ভয় পায় তেমনি কোন কারণে মেঘও হয়তো—
সৈকতের মনের ভিতর কেমন যেন অস্থিরতা কাজ করতে শুরু করে।
না,দাড়িয়ে থাকলে চলবেনা।
দেখে আসি মেঘ কোথায়।সৈকত দরজার কাছে এসে যখনই দরজা খোলার জন্য হাত দিল ঠিক তখনই দমকা হাওয়ায় বেলকনির দরজা খুলে হুপ করে এক ঝাটকা ঠান্ডা বাতাস এসে সৈকতের গায়ে লাগলো।
উুহঃ এই দরজা আবার কে খুলে রেখেছে?আমি নিজেইতো এ দরজা বন্ধ করে ছিলাম।নিশ্চয় এটা ওরই কাজ সব সময় আমার রুমে এসে উল্টাপাল্টা কাজ করে।
একরাশ বিরক্তি নিয়ে বেলকনির দরজা আটকে দিতে এগিয়ে যায় সৈকত।আকাশে থেকে-থেকে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে বৃষ্টির পরিমান একটু কমেছে কিন্তু বাতাসের গতি কমেনি।
হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকানোর আলোয় সৈকতের মনে হয় বেলকনিতে কিছু একটা ঝাপসা দেখা গেল।সৈকত মনের সন্দেহ দূর করার জন্য লাইট অন করতেই দেখে মেঘ বেলকনিতে পড়ে আছে।
সৈকত ছুটে মেঘের কাছে যেয়ে ডাকতে থাকে।কিন্তু মেঘের কোন সাড়া নেই।সৈকত মেঘের শরীরে হাত দিয়ে দেখে ছিটেআসা বৃষ্টির পানিতে শরীর ভিজে ঠান্ডা হিম হয়ে আছে।মেঘের ঙ্গান নেই।
সৈকত তাড়াতাড়ি করে মেঘকে কোলে তুলে এনে সোফার উপর শুইয়ে দেয়।
সকালে তীব্র মাথাব্যথা নিয়ে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে মেঘ নিজেকে আবিষ্কার করে কোম্বলের নিচে সৈকতের বুকের মধ্যে । চোখ মেলতে পারছে না মনে হচ্ছে মাথার শিরা গুলো ছিড়ে যাচ্ছে।
তারপরও অতি কষ্টে একটু চোখ মেলে দেখে সৈকত ওকে ছোট্ট বাচ্চাদের মত দু’হাতে জড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে।
মেঘের রাতের কথা মনে পড়ে সৈকতর উপর রাগ করে ঝড়ের মধ্য বেলকনিতে গিয়ে দাড়িয়ে ছিল হঠাৎ দুরে একটা বজ্রপাতের শব্দ হয় তারপর আর মনে নেই।
মেঘ সৈকতের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে আর ভাবে কি নিষ্পাপ দেখাচ্ছে ওকে। দেখলে মনে হয় কি শান্ত, বুকের ভিতরটাই ভালবাসায় পরিপূর্ণ কিন্তু !!সম্পূর্ণ তার উল্টো।
একটুও ভালবাসতে চায় না ,আর ভালবাসা নিতেও চাইনা ।
সবসময় কেমন যেন দুর দুর করে ।
নিজেকে আমার থেকে দূরে সরিয়ে রাখে।
মেঘ দেখে ওর শরীরের রাতের ভেজা কাপড় গুলো পাশে টেবিলের উপর রাখা। আর এখন সৈকতের একটা টি-শার্ট পরানো। ভাবতেই লজ্জা পায় মেঘ।
এক অদ্ভুত রকমের ভাল লাগা কাজ করে মনের মধ্যে ।
আস্তে করে নিজের ঠোঁট টা সৈকতের ঠোঁটে চেপে ধরে ।
হঠাৎ গরম তাপে সৈকতের ঘুম ভেঙ্গে যায় । সৈকত মেঘের কপালে হাত দিয়ে দেখে জ্বরে মেঘের শরীর পুড়ে যাচ্ছে। সৈকত চোখ বড় বড় করে বলেঃ
—একি তোমার শরীরে তো অনেক জ্বর ।
মেঘ কোন কথা না বলে চুপ করে চোখ বুজে শুইয়ে থাকে।আর ভাবে তার মানে সৈকত বোঝেনি যে তাকে একটা চুমু দিছি। এখন দেখবো সত্যিই তুমি আমাকে মন থেকে ভালবাসো না ঘৃনা করো।
উুহ হঠাৎ আবার মাথার ব্যথাটা তীব্র থেকে তীব্রতর হতে শুরু করেছে । মেঘের মনে হচ্ছে সব কিছু কেমন ঝাপসা হয়ে আসছে। মাথার ভিতর ঝিমঝিম করছে। কানের ভিতরে কেমন ঝিঁ ঝিঁ শব্দ হয়ে চারিদিক টা কেমন নিস্তবদ্ধ হয়ে গেছে।
————**——**——**————
মেঘ চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে ওর আম্মু ছল ছল চোখে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। মেঘ বুঝতে পারছে না স্বপ্ন দেখছে না সত্যি!!?
—এখন কেমন আছিস মেঘ?
—আম্মু তুমি কখন এলে?
—গতকাল
—গতকাল!!?
—হ্যা,তুই তো কিছু জানিস না। জানবিই বা কি করে ?আজ দু দিন পর তোর হুশ ফিরলো।
—কি বলছো?
রোজি কাছে এসে বলে হ্যা সত্যি। তুই তো আমাদের সবাইকে কেমন ভয় পাইয়ে দিয়েছিলি।
মেঘ রুমের চারিদিকে তাকিয়ে বুঝতে পারে যে এ মুহূর্তে ও হাসপাতালের বেডে শুইয়ে আছে ।
সবাই এক এক করে ছুটে আসে মেঘের সুস্থতার কথা শুনে। কিন্তু এত মানুষের মাঝেও মেঘের দু’চোখ শুধু একজন কেই খুজছে। কিন্তু তাকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না।
—কি রে কাকে খুজছিস?
—কই কাউকে না তো।
—আমি বুঝিনা মনে হচ্ছে!!সৈকত কে খুজছিস?
—মেঘ লজ্জায় কোন কথা না বলে মাথা নিচু করে থাকে।
—সৈকত একটু আগে বাসায় গেল। বেচারা! এ দুদিনে খুব খারাপ অবস্থা হয়ে গেছে ওর ।
—কেন ভাবি কি হয়েছে??
—এই দুদিন তো রাত দিন সবসময় ও শুধু তোর পাশে বসে ছিল। ঠিক মত খাওয়া নেই ঘুম নেই। সবাই মিলে অনেক বলে একটু আগে তাকে বাসায় পাঠালাম একটু রেস্ট করার জন্য।
হঠাৎ মেঘের আম্মু বলেঃ
তুই কপাল গুনে এমন একটা স্বামী পেয়েছিস মা। আমার তো জামাই কে নিয়ে প্রথম দিন থেকে ভয় ছিল । কিন্তু এ দুদিনে সব ভুল ভেঙ্গে গেছে। জামাই যে তোর অনেক খেয়াল করে সেটা বুঝতে পারছি।
সবার কথা শুনে মেঘের মুখে হাসি ফুটে ওঠে। কিন্তু সৈকতের উপর অনেক অভিমান জমা হয় । এতট ভালবাসে মনে মনে আবার উপর উপর এমন ব্যবহার করে যে ———-
মেঘের ঙ্গান ফেরার কথা শুনে চৌধুরী সাহেব ছুটে আসে মেঘকে দেখতে ।
খুশিতে তার চোখ দিয়ে দুফোটা অশ্রু ঝরে পড়ে। মেঘের মাথায় হাত দিয়ে বলে এই বুড়ো বয়সে তো তুই আমাকে ভয় ধরিয়ে দিয়ে ছিলিস মা। হঠাৎ করে কি করে এমন অসুস্থ হয়ে পড়লি বলতো??
মেঘ কি বলবে বুঝতে পারে না। সত্যিটা কি সবাই জানে??
না জানেনা। আর জানেনা বলেই তার শ্বশুর একথা জানতে চাইছে। সেদিনের রাতের কথা কাউকে কিছু বলা যাবে না। তাহলে সবাই সৈকতকে ভুল বুঝবে।
আর সেদিন রাতে এমন কিছু হয়েছিল বলেই তো সৈকতের বুকে মাথা রাখার সুযোগ পেয়েছিল। আর সৈকতের বুকে যে নিজের জন্য এত ভালবাসা লুকানো আছে তা এমনটা না হলে যে বোঝাই যেত না।
—কি রে মা ,কি ভাবছিস?
—না কিছু না।
হঠাৎ ডাক্তার আসে মেঘ কে চেকআপ করতে।
চৌধুরী সাহেব ডাক্তার কে জিঙ্গাসা করলো মেঘের অবস্থা।
—এখন ভাল আছে,তবে
—তবে কি ডাক্তার ?
—আজকের দিনটা এখানে থাক । আগামীকাল বাসায় নিয়ে গেলে ভাল হবে।
মেঘ মনে মনে ডাক্তার কে ধন্যবাদ দেয় সুযোগ করে দেয়ার জন্য । কারণ মেঘ
আজ নিজে সৈকতের ভালবাসা পরিমান টা দেখতে চাই।
মেঘ বুদ্ধি করতে থাকে কিভাবে সবাইকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে শুধুমাত্র সৈকতকে রাখা যায়।
মেঘের মনের মধ্য হাসফাস করছে সৈকত কে দেখার জন্য।এতক্ষন তো ওর চলে আসার কথা ঙ্গান ফেরার কথা শুনে কিন্তু কই!!??
দুপুরে ঝিনুক আসে মেঘকে দেখতে।
রোজি ঝিনুক কে জিঙ্গাসা করেঃ
—কি রে সৈকত কি করছে? এখনো ঘুমাচ্ছে?
—কিসের ঘুম!!একটু আগে ভাইয়ার কয়েকটা বন্ধু এসেছিল তাদের সঙ্গে বেরিয়েছে।
—মেঘের ঙ্গান ফেরার কথা বলেছিলি?
—হ্যা বলে ছিলাম। শুনে বললো থ্যাঙ্ক গড।
মেঘের মনের মধ্য এতক্ষন যে অনন্দ হচ্ছিল সেটা এক মুহূর্তে ভষ্স হয়ে গেল।
সৈকত মেঘের ঙ্গান ফেরার কথা শুনেও তাকে একবার দেখতে না এসে বন্ধুদের সঙ্গে চলে গেল!!?
মেঘের বুকের ভিতরটায় কেন জানি খুব কষ্ট হচ্ছিল।নিজের চোখের পানি অনেক কষ্টে সংবরণ করে মুখে হাসি ফুটিয়ে বললো এ দুদিন অনেক কষ্ট করেছে আমার জন্য। আজ না হয় একটু বাইরে সময় কাটাক ভাল লাগবে।
কিন্তু মেঘের মনে শুধু একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল সৈকত কেন তার সাথে এমন করে?? সবটুকু বলেও যেন কিছুই বলে না। সব সময় ধরা ছোয়ার বাইরে——-
(চলবে…..)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here