বেখায়ালি ভালোবাসা পর্ব-৩৩

0
2511

#বেখেয়ালি_ভালোবাসা,
#পর্ব_৩৩
#লেখাঃসাবেরা_সুলতানা_রশিদ
.
সারাদিন বাইরে ঘোরাঘুরি করে মেঘ সন্ধ্যায় হোটেলে ফিরে আসে । পিছন পিছন সৈকত ও দুরত্ব বজায় রেখে হোটেলে ঢোকে ।
মেঘ নিজের রুমের সামনে এসে দাড়াই ।
সৈকত বলেঃ
— কি ব্যাপার দাড়িয়ে কেন??
—আমার ইচ্ছা তাই দাড়িয়ে আছি তাতে আপনার কি??
—আমার কি মানে!!?
—হুম
—ভিতরে চলো কথা আছে।
—মোটেও না ।
—মানে কি??
—মানে খুব সহজ আপনি আমার রুমে ঢুকবেন না।
—এটা তোমার রুম !!? কে বললো?এটা এখন আমার ও রুম।
—দেখুন রাগাবেন না । আপনি আপনার রুমে যান। আমি সারাদিন ঘুরাফিরা করে অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়েছি । এখন আমি বিশ্রাম নিব।
—ক্লান্ত আমিও কারো থেকে কম নই। কথা না বলে দরজা খোল।
—আপনি আপনার রুমে যান।
—তাহলে তুমি ও চলো ।
—না ,আমি যাবো না।
—তাহলে আমিও যাচ্ছি না। নিজের বউ থাকতে এই শীতে আমি কেন আলাদা রুমে থাকবো ??বলেই সৈকত দুই তিনটা হাচি দেয় । দেখছো কেমন ঠান্ডা লেগেছে তোমার জন্য।
—আমার জন্য!?কেন ?আমি কি আপনাকে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করিয়েছি না ঐ সমুদ্র সৈকতে চুবিয়েছি??
—তার থেকে আরোও বেশী কিছু করেছ।
হাবু ডুবু খাওয়াছো সর্বক্ষন
তোমার মনের সাগরে ।
—থাক থাক হয়েছে আর এতো ইয়ে করা লাগবে না ।
—ইয়ে করছি মানে??এই তোমার কোন ধারনা আছে আমার সম্পর্কে ??
আমার সম্পর্কে তোমার কোন ধারনাই নাই তাই বলছো । আমার ভাবতেও অবাক লাগছে আমি সৈকত গতরাত্রে তোমার জন্য সারারাত এই খানে এই শীতে দরজার কাছে দাঁড়িয়ে ছিলাম । কিন্তু তুমি একটা বারের জন্যেও দরজা খুলে দেখ নি ,আদেও আমি আছি না চলে গেছি ।
মেঘ সৈকতের কথা শুনে একটু অবাক হয় । মেঘ জানতোই না যে সৈকত সারারাত্রিব্যাপী এখানে এই ভাবে দাড়িয়ে ছিল।
কারণ মেঘ ছাদ থেকে নেমে এসে কান্নাকাটি করে ঘুমের ওষুধ খেয়ে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ছিল তা মেঘের মনে নেই ।
ও বাড়ি থেকে আসার পর থেকে প্রতি রাতে মেঘ কে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাতে হয় তাছাড়া মেঘের কিছুতেই রাতে ঘুম হয় না।
আর রাতে সৈকত সবার সামনে যে ভাবে মেঘকে —-
তারপর তো মেঘ —
ভাগ্যে ভাল যে মেঘের কাছে দুইটার বেশি ঘুমের ওষুধ গতকাল ছিল না ।সৈকতের উপর এতটাই রাগ হয়েছিল যে, যদি আরোও বেশি ওষুধ থাকতো তাহলে হয়তো মেঘ সব গুলো খেয়ে নিত।
আর এতক্ষন মেঘ এই সৌরজগত ছেড়ে ওপারে পাড়ি জমাতো।
মেঘ আর কোন কথা না বলে চাবি বের করে রুমের দরজা খোলে ।
সৈকত সাথে সাথে রুমে প্রবেশ করে বিছানার উপর শুয়ে শরীর এলিয়ে দেয় ।
—এই কি করছেন ??
—দেখতে পারছো না কি করছি?
—হ্যা পাচ্ছি ।
—তাহলে আর কোন কথা বলো না।
—এই কথা বলবো না মানে?আপনি বাইরে থেকে এসে এভাবে ফ্রেশ না হয়ে বিছানার উপর কেন??নামুন নামুন বলছি।
—পরে এখন একটু আরাম করতে দাও ।
—আগে ওয়াশরুমে যান ফ্রেশ হোন তারপর।
—এখন পারবো না । আমার শরীরে আর একটুও এন্যার্জী নেই । যদি তুমি আমাকে তুলে নিয়ে যেতে পারো তাহলে আমি ফ্রেশ হতে পারি । একা যেতে পারবো না ।
—আমি আপনাকে !!?সখ কত!!
—কেন !!? অলটাইম তো ছেলেরা মেয়েদের কোলে তোলে আজ না হয় উল্টা কিছু হলো। আমার বউ আমাকে কোলে নিয়ে যাবে ।
—দেখুন বাজে কথা না বলে তাড়াতাড়ি উঠুন ।
—আচ্ছা তুমি আগে ফ্রেশ হয়ে এসো তারপর আমি যাচ্ছি । ততোক্ষনে একটু আরাম করে নিই।
—ওকে ।
কিছুক্ষন পরে মেঘ ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে বলে এবার তো যান!!
—আচ্ছা যাচ্ছি।
তাড়াতাড়ি করে ফ্রেশ হয়ে আসুন । খুব ক্ষুদা পেয়েছে ।
—অর্ডার করে দাও খাবারটা ওরা রুমেই পৌছে দিবে ।
—তার আর কোন দরকার নেই ।
আজ ওদের কারো সঙ্গে আমার দেখা হয়নি । আপনার উপর রাগ করে আমি আজ ওদের কাউকে কিছু না জানিয়ে বাইরে গিয়েছিলাম । জানিনা ওরা কিছু মনে করেছে কিনা??
—কি মনে করবে ??ওরা জানে তাদের বান্ধবী একা নেই সাথে তার পার্টনার ও আছে ।
—হু । এটাই তো প্রবলেম।
—কি !!আমি প্রবলেম??
—আপনি যেটা ভাবছেন আমি সেরাকম কোন কিছু মিন করিনি । আমি ওদের সবার সঙ্গে ঘুরতে এসেছি ওদের সঙ্গে মজা করতে এসেছি । গতকাল সারাদিন ওদের সঙ্গে ছিলাম।
কিন্তু আজ——!??
ওরা হয়তো ভাববে আপনি আছেন তাই আমি ওদের সঙ্গে এমন করছি ।
কিন্তু তা তো না ।
—তাহলে কি??
—কিছু না। আর কথা না বাড়িয়ে এবার ফ্রেশ হয়ে নিন।
সৈকত নিজের কাছে রাখা মেঘের ফোনটা বের করে মেঘের হাতে তুলে দেই ।
মেঘ ফোনটা হাতে পেয়ে অবাক হয়ে বলে আপনি এটা কোথাই পেলেন??আমি তো এটা ভুল করে বাড়িতে ফেলে এসে ছিলাম।
—মহারানী অনুমতি দিলে আগে ওয়াসরুম থেকে আসি তারপর না হয় বলবো ?
—ওকে
সৈকত ওয়াসরুমে ঢুকতেই ।
মেঘ ফোন নিয়ে আগে ঝিনুকের সঙ্গে কথা বলে ।
তারপর নিজের বাড়িতে ফোন করে।
হঠাৎ দেখে সৈকত বাথরুমের দরজা খুলে মাথা বের করে উকি দিচ্ছে ।
মেঘ দেখতে পেয়ে বলেঃ
—কি হয়েছে কোন প্রবলেম?
—সৈকত মাথা নাড়ায় হ্যা।
—মেঘ একটু এগিয়ে যেতেই সৈকত বলে এই একদম কাছে আসবে না। ওখানে দাড়িয়ে থাক।
—কেন কি হয়েছে ?
—চোখ বন্ধ করো ।
—আমি কেন শুধু শুধু চোখ বন্ধ করবো??
—করতে বলছি করো ।
মেঘ চোখ বন্ধ করতেই সৈকত দৌড়ে বিছানায় এসে কম্বল গায়ে দিয়ে শুয়ে পড়ে ।
—এই এটা কি হচ্ছে ??আমি বলছি তো আমার খুদা পেয়েছে আর আপনি—-
—আমি এখন যেতে পারবো না তুমি যাও খেয়ে আসো ।
—মোটেও না। আমি একা যাচ্ছি না। আপনাকেও যেতে হবে । উঠুন
—না ,আমি এ অবস্থায় যাবো না।
—কেন যাবেন না??ও বুঝতে পেরেছি গতরাতের জন্য?আরে ওরা হয়তো এতক্ষন সব ভুলে গেছে । চলুন আর নয়তো জিনিস টা আরোও বেশী অস্বাভাবিক দেখাবে ।
—না ,আমি যেতে পারবো না । তুমি খেয়ে আসো আর আমার খাবার রুমে পাঠিয়ে দিতে বলো।
—বার বার পারবোনা পারবোনা বলছেন কেন !!?রাগ লাগছে কিন্তু ।
—বললাম তো যাবোনা বলে সৈকত মুড়ি দিয়ে নিজের মাথাটাও ঢেকে শুয়ে পড়লো।
মেঘের মেজাজ খারাপটা এবার চরমে পৌছে গেল ।
মনে মনে জিদ করলো যে করেই হোক সৈকত কে নিয়ে যেতেই হবে ।
মেঘ আস্তে আস্তে সৈকতের কাছে যেয়ে কম্বলটা টেনে তুলতেই মেঘ সৈকত কে দেখে হো হো করে হেসে উঠলো ।
সৈকত তাড়াতাড়ি করে কম্বলটা টেনে নিয়ে বললো এই এটা তুমি কি করলে ??
মেঘের হাসি যেন থামছেই না ।
মেঘ বাথরুমে নাইটি রেখে এসেছিল ।
সৈকত নিজের কাপড় রেখে ওটা পরেই শুয়ে আছে !!
সৈকত কে যা লাগছে না !!?
ও মাই গড!!
এই জন্যই তখন বাথরুম থেকে বের হওয়ার আগে উকি মারছিল।
আর আমাকেও চোখ বন্ধ করতে বলেছিল।
মেঘ অনেক কষ্টে হাসি থামিয়ে বলে কি ব্যাপার আপনি এই ড্রেষ পরেছেন কেন??
সৈকত অসহায় ভঙ্গিতে বললো কি আর করবো ??
আসার আগে তো নিজের এক্সটা কোন ড্রেস সাথে আনিনি ।
এটা গত দুদিন যাবত পরে আছি।
আজ সারাদিন এটা পরে ছিলাম আর পরার মতো নেই । তাই ফ্রেশ হওয়ার পরে ওটা পরতে আনইজি লাগছিল।
তাই—
—মেঘ হাসতে হাসতে বললো তাই মেয়ে মানুষের নাইটি পরবেন??
এটা পরে আনইজি লাগছে না?
—এই মেয়ে মানুষের নাইটি কে বললো !?
আমার বউয়ের তা ।
—একবার উঠে এসে দেখুন তো কেমন দেখাচ্ছে আপনাকে ?
—সৈকত হেসে বললো আর দেখে কাজ নেই । আমি তো আর এটা পরে মেয়ে মানুষ হয়ে যাবো না । তাই দেখার কিছু নেই ।
মেঘ বলে ঠিক আছে তাহলে আপনি রুমে থাকুন আমি আসছি । দেখি কি করা যায়।
মেঘ বাইরে এসে আবিরের কাছে ফোন দেয় ।
আবির বলে সে এখনো বাইরে আছে ।
মেঘ আবির কে বলে দেয় সৈকতের জন্য কিছু ড্রেস নিয়ে আসতে ।
মিতুরা রুমেই ছিল । মেঘ ওদের রুমে গিয়ে কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে কথা বলে সবাই মিলে ডাইনিং হলে যায় খাবার খেতে ।
মিতু মেঘকে বলে কি রে রাগ তাহলে পড়লো??
মেঘ বলে না আছে এখনো। এত তাড়াতাড়ি শেষ হলে কি করে হবে ??
খেলা এখনো অনেক বাকি–
সৈকত চৌধুরী অনেক কষ্ট দিয়েছ আমাকে । কিছুটা হলেও সেই কষ্ট তোমাকে আমি যে করেই হোক উপলব্ধি করাবোই ।
মিতু বলেঃ
—দেখ মেঘ আর কিছু করিস না। এমনিতেই ভাইয়া তার ভুল বুঝতে পেরেছে। আর গতকাল সৈকত ভাইয়াকে দেখে তার সাথে কথা বলে যতটুকু বুঝতে পেরেছি মনে হলো সৈকত ভাইয়া তোকে খুব ভালবাসে । এমনটাও হতে পারে যে সে হয়তো তোর মতো করে প্রকাশ করতে পারে না।
পাশ থেকে ইরা বলে ঠিক বলেছিস মিতু ।
আসলে একেক জনের ভালবাসার প্রকাশ একেক ধরনের। কেউ সেটা অন্যকে বোঝাতে পারে । আবার চেউ বোঝাতে ব্যর্থ হয় ।
মেঘ কিছু বলতে যাবে তখনই কোথা থেকে নীলা উড়ে এসে জুড়ে বসলো।
—হ্যালো এভরিবডি !হাওয়ার ইউ??
নীলাকে দেখেই মেঘের রাতের কথা মনে পড়ে রাগ উঠলো । মনে মনে বললো কি কুক্ষনে যে মেয়েটার সঙ্গে আমার পরিচয় হলো ??কেন যে পরিচিত হতে গিয়েছিলাম কে যানে ?
তারপরও মনের কথা মনে রেখে মুখে একটু হাসি ফুটিয়ে বললো
আমরা ভাল আছি আপনি কেমন আছেন??
— ভাল। তা সৈকত কোথায় ওকে তো কোথাও দেখছিনা।
মেঘ অবাক হয় নীলার কাথাই । একদিন একটু খানি সময়ের মধ্যে সে সৈকতের নাম ধরে কথা বলছে !!?
নীলা কিছুটা মেঘের মুখের এক্সপ্রেশন দেখে বুঝতে পারে মেঘ এখনো হয়তো সৈকতের সাথে নীলার বন্ধুত্বের সম্পর্কের কথা জানেনা।
তাই নীলা আস্তে আস্তে মেঘকে সব খুলে বলে ।
মেঘ নীলার কথা শুনে কিছুটা অবাক হয়ে যায় এই ভেবে যে সৈকত মেঘকে রাগানোর জন্য আর মেঘের মান ভাঙ্গার জন্যই প্লান করেছিল।
কিন্তু আফসোস মেঘ তা বুঝতে পারে নি।
আর সৈকতই বা কেমন যে নিজে প্লান করে আমাকে রাগিয়ে দিয়ে ।
আবার আমাকেই মারলো !!
নীলা মেঘদের সঙ্গে অনেকক্ষন সময় কাটিয়ে বিদায় নিয়ে চলে যায় নিজের রুমে ।
মেঘ দরজা খুলে রুমে প্রবেশ করতেই অন্ধকার রুমে এক ঝাঁক গোলাপের পাপড়ি এসে মেঘের মাথার উপর পড়ে । মেঘ কিছুটা ভয় পেয়ে চিৎকার করতেই পিছন থেকে একটা হাত মেঘের মুখটা চেপে ধরে ।
কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলে আমি ভয় নেই ।
মেঘ সৈকতের কথা শুনে মুখ থেকে সৈকতের হাতটা সরিয়ে দেয় ।
—রুমটা অন্ধকার করে রেখেছেন কেন?লাইট অন করুন।
—কে বলেছে অন্ধকার ??!
বলেই সৈকত একটা ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে মেঘের সামনে ধরে ।
—ঘরে লাইট থাকতে সেটা অফ করে ম্যাচ কেন?
—আগুন ধরাবো ।
—কিহ!!?
—হ্যা আগুন ধরাবো ।
—কোথায় !!?
—তোমার মনে আর তোমার শরীরে । বলেই সৈকত হেসে ওঠে ।
তারপর একটু এগিয়ে গিয়ে নিচু হয়ে ফ্লোরে রাখা মোমবাতি জ্বালিয়ে দেয় ।
একটা মোমবাতি জ্বলেতেই মেঘ দেখতে পায় ফ্লোরে অনেক গুলো মোমবাতি রাখা।
সৈকত একটা একটা করে মোমবাতি গুলো জ্বালাতেই মেঘ স্পষ্ট দেখতে পায়
সব মোমবাতি মিলে একটা কিছু লেখা
I love you megh
মেঘের চোখে আনন্দে পানি চিকচিক করে ওঠে ।
সৈকত মেঘের হাত ধরে একটা টেবিলের কাছে এনে দাড় করায় ।
মেঘ দেখে টেবিলের উপর একটা চকলেট কেকের উপর লেখা
happy birthday my queen “megh”
মেঘের নিজেরই মনে ছিল না যে আজ তার জন্মদিন।
কিন্তু সৈকত কি করে জানলো ??
সৈকত কেকের পাশের মোমবাতি গুলো জ্বালিয়ে মেঘকে ইশারা করে সেগুলো নিভানোর জন্য ।
মেঘ ফু দিয়ে নিভায়।
মেঘ সৈকতের হাত ধরে কেক কাটে আর সৈকত বলে
হ্যাপি বার্থডে টু ইউ
হ্যাপি বার্থডে টু মাই ডিয়ার মেঘ।
সৈকত নিজ হাতে মেঘের মুখে এক টুকরো কেক তুলে দেয় ।
হঠাৎ সৈকত রুমের সাউন্ড বক্সের রিমোট নিয়ে একটা গান প্লে করে
Tu hi toh jannat meri, Tu hi mera junoon
Tu hi to mannat meri, Tu hi rooh ka sukoon
Tu hi aakhion ki thandak,
tu hi dil ki hai dastak
Aur kuch na janu mein,
bas itna hi jaanu
Tujh mein rab dikhta haiYaara mein kya karu
Tujh mein rab dikhta hai
Yaara mein kya karu
Sajdhe sar jukhta hai
Yaara mein kya karu
Tujh mein rab dikhta hai
Yaara mein kya karu
Ohhhh hoooo ohh….
Kaisi hai yeh doori,
kaisi majboori
Meine nazron se tujhe choo liya
Oh ho ho Kabhi teri khusboo
Kabhi teri baatein
Bin mange yeh jahan pa liya
Tu hi dil ki hai raunak,
Tu hi janmo ki daulat
Aur kuch na janoo
Bas itna hi janoo
Tujh mein rab dikhta hai
Yaara mein kya karu
Rab Ne… Bana Di Jodi…..haiiiiii
————
মেঘ কেক হাতে নিয়ে সৈকতের মুখের কাছে ধরে
সৈকত মুখ খুলতেই
মেঘ কেকের টুকরো সৈকতের দু চলে ঘষে দেয় ।
সৈকত বলে ওঠে “তবেরে দাড়াও দেখাচ্ছি মজা”
সৈকত ও এক টুকরো কেক হাতে নিয়ে মেঘের মুখে মাখানোর জন্য এগিয়ে যায়।
মেঘ রুমের ভিতরে বিছানার চারিদিক দিয়ে ঘুরতে থাকে ।
সৈকত বিছানার উপর উঠে মেঘের কাছে এগিয়ে যায় এবার কোথাই পালাবে ??
মেঘ দৌড়ে আরেকটু সরে যেতেই আহ করে শব্দ করে বসে পড়ে ।
(চলবে..)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here