বেলীফুল পর্ব-৩১

0
1005

#বেলীফুল
পর্ব- ৩১

ইলা আর কানন মিলে বাড়িটা মোটামুটি বাসযোগ্য করো তুলেছে। প্রথমদিন যতটা পারা যায় ঝেড়ে ধুলো পরিষ্কার করেছে। ফার্নিচারের মধ্যে যেসব অক্ষত আছে সেগুলো পাঠিয়েছে মেরামত আর বার্নিশ করতে। কিছু জায়গায় প্লাসার খসে পড়েছিল৷ সেসব ঠিকঠাক করে ফেলল মিস্ত্রি এনে। বাসার সামনে একসময় বাগান ছিল, এখন জঙ্গল হয়ে গেছে। পেছনে সারি সারি সেগুন আর মেহগনি গাছের পাতা বছরের পর বছর পড়তে পড়তে মোটা স্তর হয়ে গেছে। দু’জনে মিলে মোটামুটি পরিষ্কার করে আনল সেসব।

সময় নিয়ে কাজ করলে অনেক তাড়াতাড়ি হয়ে যেত সব, কিন্তু কাননের অফিসের কারনে সেটা হচ্ছে না। আর শুক্রবার তো ইলার বাবা মা বাড়িতে থাকে। সেদিনও সম্ভব না। শনিবার কাননের ছুটি থাকে, ইলার মা বাবাও থাকে না। সেদিন তারা যেতে পারে। আর অন্যান্য দিন কানন কিছু সময়ের জন্য এসে ইলাকে নিয়ে গিয়ে ঘরদোর গোছায়। এজন্য এটুকু করতেই অনেকদিন লেগে গেল।

আজ শনিবার। ঘর রং করা হবে। রং আগেই ইলার পছন্দে কিনে আনা হয়েছ। কিন্তু কানন রংমিস্ত্রি ঠিক করতে ভুলে গেছ।

ইলা বলল, “চলেন আমরা রং করি।”

“আমরা পারব? পরে বিশ্রী হবে।”

“হলে হবে। আবার করাবেন। চলুন না, আজকে সারাদিন সময়।”

কানন বুঝল ইলা তার সাথে থাকতে চাইছে। আজকে কোনো কাজ না করলে বাসায় চলে যেতে হবে। সে রঙের কৌটোর মুখ খুলতে খুলতে বলল, লেটস স্টার্ট!”

ইলা হালকা পেস্ট কালারটা নিয়ে বারান্দার দেয়ালে রং করতে লেগে গেল। কানন গোলাপি রং নিয়ে গেল শোবার ঘরে রং করতে।

কিছুক্ষণ পর হঠাৎ ইলার চিৎকার শোনা গেল। কানন গিয়ে দেখল একটা গাবদা মাকড়সা দেয়ালে পা ছড়িয়ে আরামসে বসে আছে। দেখে কানন হেসেই খুন! একটা মাকড়সা দেখে কেউ ভয় পায়?

ইলা বলল, “এটাকে তাড়ান প্লিজ!”

কানন চোখ মটকে বলল, “তুমি জানো না মাকড়সা মারা গুনাহ?”

“মারতে কে বলেছে? তাড়িয়ে দিন। আমি খুব ভয় পাই।”

“উহু, জীবে প্রেম করে যে জন, সেই জন সেবিছে ইশ্বর। শোনোনি কথাটা? এই বেচারাকে একটু আশ্রয় পেতে দেবে না?”

“উফ আমি ভয় পাই তো!”

“ভয়কে জয় করতে হবে।” বলে কানন মাকড়সার দিকে এগিয়ে গেল। ইলা প্রচন্ড রাগে হাতের ব্রাশটা কাননের হাতে ঘষে দিল। কানন হা করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল। তার ব্রাশ সে রেখে এসেছে। হাতে লেগে থাকা রং ঘষে দিল ইলার নাকে।

ইলা চোখ পিটপিট করে তাকাতেই কানন হাসতে হাসতে বসে পড়ল। কোনোরকমে বলল, “তোমাকে কার্টুনের খরগোশের মতো লাগছে, শুধু দুটো লম্বা কান হলে পারফেক্ট হতো!”

ইলা এবার রেগে গিয়ে নিজের ব্রাশ রঙে চুবিয়ে কাননের মুখের একপাশটা রং করে দিল। কাননও উঠে ছুট লাগাল ইলার পেছনে।

কিছুক্ষণের মধ্যেই দুজন রং মেখে ভূত হয়ে গেল। নানা রঙে রঞ্জিত হয়ে গেল গায়ের চামড়া। কারোই খেয়াল রইল না বাড়ি ফিরবে কেমন করে।

খুনসুটিতে কাজের কাজ কিছুই হলো না। ঝগড়া থামিয়ে যাই করতে যায়, অপরজন কিছুক্ষণের মাঝে সেখানে উপস্থিত হয়ে বাগড়া দেয়।

দুপুরের কাছাকাছি সময়ে দু’জনেরই বেশ খিদে পেয়ে গেল। কথা ছিল কাছাকাছি একটা হোটেলে গিয়ে খেয়ে নেবে। তাই খায় ওরা এখানে এলে। হোটেলটার বেশ সুনাম আছে। ইলিশ মাছ আর গরুর মাংসটা এত ভালো করে যে খদ্দেররা চেটেপুটে খায়।

ইলা হতাশ হয়ে নিজের দিকে তাকিয়ে বলল, “আমি কেমন করে যাব?”

“শুধু নিজেরটাই ভাবলে স্বার্থপর মহিলা! আমি কী করব?”

“আপনার বাড়ি, আপনার উচিত ছিল একসেট জামাকাপড় রাখা!”

“তোমারও হবু শ্বশুরবাড়ি, তোমারও উচিত ছিল একসেট জামাকাপড় এনে রাখা!”

ইলা কথাটা শুনে ভীষণ লজ্জা পেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেল। কাননও ভাবল একটু বেশি বলে ফেলেছে হয়তো। সে হাতমুখ ধুয়ে কোনোরকমে কিছু রং উঠিয়ে খাবার আনতে গেল।

খাবার নিয়ে ফিরে এসে দেখল কোয়েল এসেছে। ইলার সাথে কথা বলছে। ইলা অপরাধীর মতো মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে।

***

সিরাজউদ্দীন সাহেব মৌরির পাশে বসে বলল, “কী এত ভাবছ মা?”

মৌরি দুপুরের খাবার খেয়ে ডাইনিং টেবিলেই বসে কী একটা আনমনে ভাবছিল। বাবার কথায় চমকে তাকাল।

“বাবা, আমি…” মৌরি ভেবে পেল না কী বলবে। সে ভাবছিল বাগানের ফুলগুলো কত স্বল্পস্থায়ী। ভালোভাবে বাঁচার সময় পায় মাত্র ক’টা দিন! কেউ কেউ তো এক রাতের জন্য ফোটে। সে কেন তাদের মতো ঝরে পড়তে পারে না? বাবাকে এসব বলা যাবে না। বাবার মাথায় একটা নতুন চিন্তা যুক্ত হবে। কিন্তু সে কি আসলেই মানসিক বিকারগ্রস্থ হয়ে পড়ছে?

সিরাজউদ্দীন সাহেব মৌরির মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, “চলো মা, আমরা কিছুদিন ঘুরে আসি দূরে কোথাও। কোথায় যাবে বলো। ইন্ডিয়া? তাজমহলটা দেখে আসি চলো।”

“না বাবা।”

“তাহলে কোথায় যাবে?”

“কোথাও যেতে ইচ্ছে করে না বাবা।”

“কী করতে ইচ্ছে করে?”

“জানি নাহ!”

“পড়াশোনা শুরু করবে? তুমি চেয়েছিলে পিএইচডি করতে।”

“এখন আর ইচ্ছে নেই।”

সিরাজউদ্দীন সাহেব উঠে গেলেন। মেয়ের দিন দিন শুকিয়ে আসা মুখটা তার অসহনীয় লাগে।

***

ইলা দরজা খুলেই চমকে উঠেছিল। সে ভেবেছিল কানন বুঝি ফিরে এসেছে। কিন্তু যখন দেখল কাননের বোন, তখন তার কলিজায় যেন মোচড় দিয়ে উঠল। কী বলবে বুঝতে পারল না। চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল।

কোয়েল কিছুক্ষণ অবাক বিষ্ময়ে তাকিয়ে থেকে বললেন, “তোমার এই অবস্থা কেন?”

ইলা ঢোক গিলে বলল, “রং করছিলাম।”

কোয়েল ঘরের চারদিকে তাকাল। সব দেয়ালে বিভিন্ন রঙের ছিটেফোঁটা। সুন্দর করে কিছুই করা হয়নি।

“তুমি কি ওয়াল পেইন্টিং করছিলে নাকি নিজেকে?”

ইলা দেবার মতো কোনো উত্তর খুঁজে পেল না। এমন সময় কানন উপস্থিত। কোয়েল কাননের আপাদমস্তক দেখে বলল, “কী চলছিল এখানে? তোমাদের যে বিয়ে হয়নি সেটা মনে আছে নাকি ভুলে বসে আছ?”

কানন মৃদু স্বরে বলল, “তেমন কিছু না। আসলে….”

কোয়েল দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, “কানন, তুই একটু অন্য ঘরে যা তো। আমি ওর সাথে কথা বলব।”

“কিন্তু তুমি ভুল বুঝছ আপা!”

“চুপ! যেতে বলেছি যা।”

কানন চলে গেল।

কোয়েল ইলার দিকে ফিরে একটু কড়া গলায় বলল, “শোনো মেয়ে, তোমার কথা কাননের কাছে অনেক শুনি। তুমি খুব ভালো মেয়ে বলেই জানি। তাহলে এসব কী? হ্যাঁ, আমার ভাইয়ের ওপর বিশ্বাস আছে আমার। সে খারাপ কিছু করবে না। কিন্তু তুমি তো একটা মেয়ে। যা করছ সেটা কি ঠিক? ভাবছ না কেন সবকিছু সবসময় মানায় না। যত ভালোই সম্পর্ক হোক না কোন তোমাদের! বিয়ের পর যা খুশি কোরো, কেউ দেখতে যাবে না। এখন তো লোকজন দেখছে। আজকে আমার চোখেই বিষয়টা কেমন বাজে লাগছে, বাইরের লোক দেখলে কী বলবে? এভাবে কেমন করে বাইরে যাবে তোমরা? ভেবে কাজ করা উচিত। তোমাকে আমার সেন্সিবল মনে হয়েছিল।”

ইলার চোখে পানি এসে পড়েছে। সে কোনোরকমে চোখের পানি লুকিয়ে ধরা গলায় বলল, “আমি চলে যাচ্ছি আপু।”

“এভাবে?”

“আর জামাকাপড় নেই…”

“আমি ব্যবস্থা করছি। আর একটা কথা..”

“জি?”

“এখানে যে এসেছ সেটা তোমার মা বাবা জানে?”

ইলা ডানে বায়ে মাথা নাড়ল।

“জানতাম! আর এখানে আসবে না। কাননের বাড়ি সে নিজেই ঠিক করতে পারবে। বিয়ের পর তোমার বাড়ি হবে, তখন নিজের মতো সাজিয়ে নিও। এখন সেসবের কোনো প্রয়োজন নেই। ঠিক আছে?”

“জি আপু।”

“যাও এখন খেয়ে নাও।”

“আপনি খাবেন না?”

“আমি খেয়ে এসেছি।”

কোয়েল বেরিয়ে গেল। কোথায় গেল বলে গেল না।

খেতে বসে ইলা প্রায় কিছুই খেতে পারল না৷ ঘাটাঘাটি করে রেখে দিল। কানন বলল, “মন খারাপ করো না। আপা বড়, একটু শাসন করেছে নাহয়। আমাকেও সাইজ করবে। আপা একটু স্ট্রিক্ট, তবে ওর মন খুব ভালো।”

ইলার চোখ বেয়ে অনেকক্ষণের জমে থাকা পানি গড়িয়ে পড়ল। কানন ওর চোখের পানি মুছে দিয়ে বলল, “বোকা মেয়ে! কাঁদছ কেন? কিছু হয়নি তো!”

ইলা কাননের দিকে তাকাল। এই মানুষটা কিছুদিন আগেও রগচটা পাগলাটে ধরনের ছিল। কোনো অনুভূতিই যার মধ্যে কাজ করত না সে কেমন করে বদলে গেল! আজ ওকে সান্ত্বনা দিচ্ছে। ঠিক অবিভাবকের মতো বোঝাচ্ছে। ইলার মনে হলো বাবা মা যেমন ভরসার জায়গা, কাননও তেমন একটা ভরসার জায়গা। এতদিন প্রেম প্রেম অনুভূতি শুধু কাজ করত। এখন যত মানুষটাকে দেখছে, সেই অনুভূতি আরও নানা রঙে মিশে শুধু গাঢ় হচ্ছে!

ইলার মন খারাপ ভাবটা কেটে গেল। সে বলল, “কিছুই খেতে পারলাম না। খাইয়ে দেবেন?”

কানন নিজের প্লেটের এঁটো ভাতের দিকে চেয়ে বলল, “এটা খাবে?”

“হুম!”

কানন ইলাকে খাইয়ে দিতে শুরু করল। সে যে এই কাজে খুব একটা ভালো তা না, তবু ইলার এত ভালো লাগল! মনে মনে ঠিক করল বিয়ের পর তারা আলাদা খাবে না৷ এক প্লেটে খাবে। যে কোনো একজন খাইয়ে দেবে অপরজনকে।

***

বিকেলের দিকে সিরাজউদ্দীন সাহেব বেরোতে যাচ্ছিলেন একটু হেঁটে আসতে। সে সময় পথে দেখা হয়ে গেল রইসুদ্দিনের সাথে। দু’জন নানা গল্প করতে করতে এগিয়ে যেতে থাকলেন৷

রইসুদ্দিন এক পর্যায়ে বললেন, “আমি আপনার বাড়িতে যেতাম আজ কালের মধ্যে।”

“কেন বলুন তো?”

“আপনার মেয়ের ব্যাপারে কথা বলতে।”

সিরাজউদ্দীন সাহেবের কেমন যেন ভয় করতে শুরু করল। মেয়ের কথা উঠলেই তার মন অস্থির হয়ে ওঠে। তিনি ভয়ে ভয়ে বললেন, “কী কথা?”

রইসুদ্দিন একটু হেসে বললেন, “এভাবেই বলব? চলুন চলুন ওই মিষ্টির দোকানে গিয়ে একটু বসি।”

“না মশাই, লোকজনের সামনে আমার মেয়ে নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না।”

“আরেহ মিষ্টিমুখ ছাড়া এই কথা বলাই যাবে না।”

রইসুদ্দিন একপ্রকার জোর করে সিরাজউদ্দীনকে নিয়ে গেলেন মিষ্টির দোকানে। ডায়বেটিস থাকা সত্ত্বেও দু’জনে পেটভরে রসগোল্লা খেয়ে নিয়ে কথাটা পাড়লেন রইসুদ্দিন।

“মৌরিকে আমার বাড়ির বউ করতে চাই। আপনার মেয়েটাকে আমার ভারি পছন্দ হয়েছে।”

সিরাজউদ্দীন সাহেব প্রথমটায় হতবাক হয়ে গেলেন। তারপর তার চোখে পানি চলে আসল। কী বলবেন ঠিক ভেবে না পেয়ে রইসুদ্দিনের একটা হাত ধরে বসে রইলেন তিনি।

অগত্যা বললেন, “আমার কিছু বলার নাই ভাই। আপনার অমন ছেলের জন্য আমার মেয়েকে চেয়েছেন এত ভাগ্য আমার ছিল! কিন্তু আমার মেয়ে… সে রাজি হবে কি না জানি না। নইলে এখুনি পাকা কথা বলে যেতাম।”

রইসুদ্দিন একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে একটু ঝুঁকে এসে বললেন, “আপনার মেয়ে কি ফেলনা? একটা ঘটনা ঘটেছে বলে সে কি অপবিত্র হয়ে গেছে বলে মনে করেন? সমাজ মনে করে, কিন্তু আমাদের নিয়েই তো সমাজ। নিজেদের বদলাতে হবে আমাদের। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে মেয়েরা আর কত নিগৃহীত হবে বলেন তো! আপনার মেয়েকে আজকে গিয়ে বলবেন, সে আগে যা ছিল, এখনো তাই আছে। কারো মান ইজ্জত এত সহজে যায় না। সম্মান গেলে ওই ছেলেগুলার গেছে। মৌরির ইচ্ছের অবশ্যই দাম আছে। সে যদি বিয়ে করতে চায় তাহলে হবে, না চাইলে আমি একটুও মাইন্ড করব না।”

সিরাজউদ্দীন সাহেব এবার কেঁদে ফেললেন।

***

ইলা আর কাননের জন্য দুই সেট জামাকাপড় নিয়ে এলো কোয়েল। দুজন পরিপাটি হয়ে এলে বাড়ির দিকে ফিরে চলল সবাই। কোয়েল এর মাঝে ইলার সাথে তেমন কথাবার্তা বলল না, তবে ইলা যখন চলে যাচ্ছে তখন পেছন থেকে ডেকে বলল, “তুমি এত লক্ষী একটা মেয়ে! এতগুলো কথা বললাম একটা প্রতিবাদ করলে না। অন্য কেউ হলে আমাকে কথা শোনাতে ছাড়ত না। আমার ওপর রাগ করে থেকো না। যা বলেছি ভালোর জন্য বলেছি।”

ইলা এতক্ষণ জড়োসড়ো হয়ে ছিল। কোয়েলের কথা শুনে খুশিতে তাকে জড়িয়ে ধরল। কোয়েল ওর চুলে হাত দিয়ে বলল, “ইশ, যত্ন নাও না চুলের? কাল তৈরি থেকো, তোমাকে নিয়ে পার্লারে যাব।”

“আচ্ছা আপু।”

বাড়িতে ফিরে ইলা দেখল মা চলে এসেছে। কপালে দুঃখ তার তখনো ছিল। কোথায় গিয়েছিল বলতেই মা গরম হয়ে প্রচুর বকাবকি করলেন। তুলনের যা অবস্থা হয়েছে তারপরেও ইলা এই কাজ করবে তিনি স্বপ্নেও ভাবেননি, ইত্যাদি ইত্যাদি….

ইলার খুশি মন আবার বেজার হয়ে গেল। সে রাতে ঘুমাতে গেল মুখ ভার করে। শুয়ে মোবাইল হাতে নিতেই দেখল কাননের মেসেজ।

“এই ইলা, আমি ভাবছি বিয়ের পর অনেক রকমের গুড়ো রং কিনব। তারপর ইচ্ছেমতো রং খেলব। শুধু হাত আর মুখে রং মেখে ঠিক মন ভরে নাই।”

এত ভয়ানক একটা কথা কানন লিখতে পারে ইলার বিশ্বাস হতে চাইল না। সে মুখে বালিশ চাপা দিল।

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here