ভালোবাসার_ফোড়ন পর্ব_১৩

ভালোবাসার_ফোড়ন পর্ব_১৩
#মিমি_মুসকান ( লেখনিতে )

পুরো ৩ ঘন্টা পড়াশোনা করানোর পর অবশেষে আমায় ছাড় দেন তিনি। এতোক্ষণ পড়াশোনা করে আমার অবস্থা খুব খারাপ, কিন্তু উনি দিব্যি ভালো আছে। উনি উনার চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বলে..

– আজকের মতো এতটুকু থাক। আবার কাল পরাবো।
কি? বলে কি আবার কাল! কাল ও এমন করে ৩ ঘন্টা পড়াবে নাকি আমাকে। আমি অবাক হয়ে আমি উনার মুখে’র দিকে তাকিয়ে আছি। আমার উওর না পেয়ে উনি আবার আমাকে জিজ্ঞেস করে..

– কি হলো? এমন করে তাকিয়ে আছো কেন?
আমি কপাল কুঁচকে তাকায়ে বলি…
– আপনি কাল ও আমাকে এতোক্ষণ পড়াবেন।

– কেন একদিন পড়েই কি ব্যারেস্টারি কমপ্লিট করে ফেললে নাকি।

আমি কিছু না বলে মুখ ফুলিয়ে চলে আসলাম। উনি আমাকে অপমান করলো এটা বেশ বুঝতে পেরেছি। কিন্তু হঠাৎ বই’র কথা মনে পড়ায় আবার ঘরে ঠুকলাম। উনি আমাকে দেখে জিজ্ঞেস করেন…
– কি হলো ফিরে এলে যে, তা ঝগড়ার টপিক পেলে বুঝি।

আমি রেগে উনার দিকে তাকিয়ে বলি…
– আপনি বলতে চান আমি সবসময় আপনার সাথে ঝগড়া করি।

– তাহলে কি প্রেম করো।

আমি চোখ বড় বড় করে উনার দিকে তাকাই। এটা কি বললেন উনি। আমার এমন চাহনি দেখে উনি আমাকে জিজ্ঞেস করে…
– কথায় কথায় এমনভাবে তাকিয়ে থাকো কেন?

– আপনি একটু আগে বললেন এটা?

– কেন কানে শুনতে পাও না তুমি যে দু’বার বলতে হবে।

– না আমার মনে হলো আমি ভুল শুনেছি।

– না ঠিক শুনেছো। আমি ঠিকই বলেছি। তুমি ঝগড়া ছাড়া আর কিছু করতে পারো না আমার সাথে। পাজি মেয়ে একটা।

– এই দেখুন দেখুন.. ( উনার সামনে গিয়ে আঙ্গুল তুলে বলি )

উনি কপাল কুঁচকে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি সাথে সাথে আঙ্গুল নামিয়ে নেই। উনি বলে উঠে…
– নতুন কি দেখাবে তুমি!

– মানে!

– মানে তোমার তো…

– কি আমি!

– কিছু না বলো কি বলছিলে!

– কি বলেছিলাম? হ্যাঁ মনে পড়েছে আমাকে একদম পাজি মেয়ে বলবেন না।

– কেন ভালো মেয়ে তুমি!

– আপনার কি মনে হয়!

– যেটা মনে হয় সেটা বলেই দিয়েছি।
উনি কি রকম শান্ত ভাবে কথা বলছে কিন্তু প্রত্যেকটা কথাই আমাকে অপমান করে বলছে। খুব রাগ হচ্ছে তাই আর কথা বাড়ালাম না। উনাকে মুখ ভেংচি দিয়ে বই নিয়ে বের হতে যাবো এমন সময় উনি “নিহা” বলে ডাক দেন। কিন্তু আমি উনার কথার জবাব না দিয়ে চলে আসি। উনি আবার ও “নিহা” বলে ডাক দেন। কিন্তু আমার রাগ বেড়ে যাচ্ছিল তাই আমি আর পিছু তাকাই না।

হঠাৎ করেই আমার শাড়ি কিছুর সাথে টান খায়। মেজাজ যায় আরো বিগড়ে। দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠি…
– শাড়ি’টা কেন সবসময় আটকে যাই বুঝি না। আর তখন আটকায় যখন আমার মেজাজ তুরুক্ষির থাকে।

বলেই পিছনে ঘুরি কিসের সাথে আটকে গেলো সেটা দেখার জন্য। কিন্তু পিছনে তাকিয়ে আমার চোখ কপালে উঠে গেল! আমি হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। কারন আমার শাড়ির আঁচল আহিয়ান ধরে আছে‌। এটা কি আদৌও সম্ভব। আমি চেঁচিয়ে বলে উঠি…
– আপনি!

কিন্তু উনি আমার কথার কোনো উওর দেয় না। পরক্ষনেই মনে পড়ল আমি ঘরের বাইরে। আমি সাথে সাথেই আশপাশ তাকাই। দেখি সব সার্ভেন্ট আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। এটা দেখে আমি উনার দিকে তাকাই। উনি চোখ রাঙিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
উনার এমন চাহনি তে আমি শুকনো ঢোক গিলি। উনি হুট করেই শাড়ির আঁচল ধরে ঘরে চলে যায়। আমিও তার পিছু পিছু ঘরে যাই।

ঘরের একপাশে উনি দাঁড়ানো আর এক পাশে আমি। উনি আমার শাড়ি’র আঁচল এতোক্ষণ ধরে রেখেছিলেন এখন সেটা তার হাতে গিটুও দিচ্ছে। আমি অবাক হয়ে উনার কান্ড কারখানা দেখছি। হুট করেই বলে উঠি..
– কি করছেন?

শান্ত গলায় বললেন…
– দেখতেই পাচ্ছো কি করছি! বোকার মতো জিজ্ঞেস করছো কেন?

দাঁতে দাঁত চেপে…
– হ্যাঁ দেখতে পাচ্ছি আর তাই জিজ্ঞেস করছি কেন করছেন এরকম!

– জানি না কিন্তু ভালো লাগছে করতে!

উনার কথায় আমার রাগ মাথায় চড়ে যাচ্ছে। ইচ্ছে করছে নিজের চুল নিজের টানতে। আমি উনার কাছে গিয়ে বলি…
– ডাকছিলেন কেন বলুন!

– বাহ্ তুমি বুঝে গেলে।‌ ভালোই তো দু’বার ডাকলাম শুনলে না আর এখন শাড়ি’র আঁচল ধরায় বুঝে গেলো। তাহলে তো আজকের পর থেকে তোমাকে না ডেকে সোজা শাড়ি’র আঁচল ধরে টানবো তাহলেই হবে। আমার কষ্ট করে তোমার নাম নেওয়া লাগবে না।

– দরকার পড়বে আপনার আবার ডাকতে কষ্ট হবে কেন?

– কি করবো বলো তুমি তো ডাক দিলে শোন না।
মুখ ফুলিয়ে বলি…
– এখন বলুন কি লাগবে।

– মাথা ব্যাথা করছে এক কাপ চা নিয়ে এসো আর হ্যাঁ চিনি ১ চামচ দিবা বুঝলা। আর হ্যাঁ রং চা না দুধ চা আনবা, আর হ্যাঁ পানি বেশি ক্ষন ফুটাবা না তাহলে চা খেতে ভালো লাগে না আর তাতে কিন্তু…

– আবার কিন্তু….

– হ্যাঁ তো!

উনার হাত থেকে শাড়ি ছাড়িয়ে…
– রাখেন তো আপনার কিন্তু! যেমন চা বানিয়ে আনছি সেটাই খাবেন বুঝলেন।

বলেই উনাকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে হন হন করে এলাম। আরে আজব তো এক কাপ চা খাবে তাতে এতো বর্ণনা কিসের। সব চা’ই তো এক রকম।

বির বির করতে করতে রান্না ঘরে এলাম। চুলোয় চায়ের জন্য পানি বসিয়ে চিনি, দুধ সব খুঁজতে লাগলাম। কিন্তু কিছুই পাচ্ছি না। একটা সার্ভেন্ট কে বলায় সে সব বের করে দিলো কিন্তু ‌সে মিটিমিটি হাসতে লাগল। এটার কারন বুঝতে বেশিক্ষণ লাগল না। কারন হলো একটু আগে উনার পাগলামি। রেগে চা বানিয়ে রুমে নিয়ে গেলাম। উনি বিছানায় শুয়ে ছিল আমাকে দেখে উঠে বসলেন। আমি তার হাতে চা ধরিয়ে দিয়ে বের হতে নিলাম। কিন্তু আবার আমার শাড়ি আটকে গেলো। আমি জানি এটা উনি’ই ধরেছেন। কোমরে হাত দিয়ে উনার দিকে ফিরলাম। উনি এক হাতে চায়ের কাপ আর এক হাতে শাড়ির আঁচল ধরে আমার তাকিয়ে আছে।

আমি বলে উঠি…
– এখন আবার কি হলো। চা ঠিক ঠাক হয় নি!

শান্ত গলায় বলে ওঠে..
– হয়েছে তো কিন্তু বিস্কিট কোথায় আমার!

উনার কথায় আমি অবাক বলি…
– বিস্কিট! আপনি বিস্কিট এর কথা কখন বললেন!

– তুমি আমার পুরো কথা শুনলে কোথায়।

উনার কথা শুনে কপালে হাত দিয়ে বলি..
– বসুন আনছি আমি।

– তাড়াতাড়ি আনবা চা ঠান্ডা হয়ে গেলে কি দিয়ে খাবো।

– আঁচল ছাড়ুন আগে যাচ্ছি।

-উনি আঁচল ছেড়ে দিলো। আমি তাড়াতাড়ি করে নিচে গিয়ে বিস্কিট নিয়ে আবার রুমে আসি। বির বির করে বলতে থাকি…
– কে জানতো এক কাপ চা খেতে উনি এতো কথা বলবেন।‌ বলে কিনা আমার পুরো কথা কোথায় শুনলে!আচ্ছা কে জানতো উনি এতো কথা বলবে চায়ের এতো বর্ণনা না দিয়ে সোজা বলতেই পারতো চা আর বিস্কুট নিয়ে আসো। না তা না শুধু আমাকে খাটানোর ধান্দা।

উনি বলে উঠে…
– নিহা তোমাকে খাটাতে আমার বেশ লাগে!
রেগে বিস্কিট গুলো বিছানায় রেখে বই নিয়ে বের হয়ে এলাম। এখানে থাকলে আমার আর বই পড়া হবে না সেটা আমি বুঝতে পেরেছি।‌

আমি বই নিয়ে ডয়িংরুমে এসে বসেছি। সোফায় বসে পড়তে শুরু করলাম। প্রায় অনেকক্ষণ পরার পর খেয়াল হলো সব নিস্তব্ধত এর কারন কি? আচ্ছা উনি এখন কি করছেন? ঘুমিয়ে পড়েছেন নাকি। বই টা রেখে উঠে যেতে নিলাম দেখি মা এসছেন। আর যাওয়া হলো না। মা’র সাথে বসে গল্প করতে শুরু করি। অনেকক্ষণ ধরেই দু’জন গল্প করছি এর মাঝে আমি মা’র জন্য চা নিয়ে আসি।

গল্প করতে করতে অনেকক্ষণ হয়ে গেল। এর মধ্যে কলিং বেল বেজে উঠল, সার্ভেন্ট এসে দরজা খুলে গেল। তাকিয়ে দেখি বাবা আর আপু এসেছে। দু’জনকে দেখে বেশ ক্লান্ত লাগছিলো। বাবা এসে আমার দিকে তাকিয়ে রুমে চলে গেলেন। মা বাবা’র পিছন পিছন গেল। আপু আমাকে দেখে মুচকি হাসল। তারপর সেও রুমে চলে গেল। আমি কিছুক্ষণ বসে থাকার পর তাদের দু’জনের জন্য চা বানাতে গেলাম। বাবা এর মধ্যেই ফ্রেশ হয়ে চলে এলেন। একটা সাদা পাজামা আর পাঞ্জাবি পড়া। তিনি এসে সোফায় বসলেন, মা রান্না ঘরে আসতে নিলে আমাকে চা বানাতে দেখে চলে গেলেন। কিছুক্ষণ পর আমি চা নিয়ে বাবা’র সামনে গেলাম। উনি আমার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে চা নিলেন। অতঃপর চায়ে চুমুক দিলেন কিন্তু কিছু বললেন না।

তাই আমি জিজ্ঞেস করি…
– বাবা চা ঠিক আছে।

উনি “হুম” বলে চা আবার চায়ে চুমুক দেন। আমি মা’র পাশে এসে বসি। আপু”ও এসে পরে আমি ওকেও চা দিই। সে মুচকি হেসে চা হাতে নিয়ে বলে “ধন্যবাদ”.
সবাই নানান কথাবার্তা বলছে আমি শুনছি কিন্তু আহিয়ান এর কোনো খবর পাচ্ছি না। হুট করেই বাবা বলে উঠে…
– আহি কোথায়?

বাবা’র কথায় মা আমার দিকে তাকান। আমি বলে উঠি…
– মা আমি তো ঘরে দেখেছিলাম। হয়তো ওখানেই আছে।

মা বললেন…
– যাও ডেকে নিয়ে এসো।

– আমি মাথা নেড়ে সিঁড়িতে উঠার জন্য পা বাড়াই। এর মধ্যে আপু বলে উঠে…
– আহি!

আপু’র কথা শুনে আমি পিছনে ঘুরে তাকাই। দেখি উনি বাইরে থেকে আসছে। কিন্তু উনি বাইরে গেলেন কখন? এটা কিভাবে হতে পারে! আমি তো এতোক্ষণ নিচেই ছিলাম। তাহলে উনাকে যেতে দেখলাম না কেন? আমি অবাক হয়ে গেলাম,কারন উনাকে দেখে অনেক ক্লান্ত মনে হচ্ছে। উনি এসে ধপাস করে মা’র সামনে মেঝেতে বসে পড়ে। মা উনার মাথায় হাত বুলাতে থাকেন। আমি গুটি গুটি পায়ে সেখানে এসে দাঁড়াই। উনি আমার দিকে তাকিয়ে বলে উঠল…

– এভাবে তাকিয়ে আছো কেন যেন মনে হচ্ছে ভূত দেখেছো।

আমি অবাক হয়ে…
– আসলেই।

– কিহহ?

আপু বলে উঠে…
– আসলে নিহা ভেবেছিল তুই উপরে তাই এভাবে দেখে চমকে গেলো।

উনি শব্দ ছেড়ে নিঃশ্বাস ছেড়ে বলে ওঠে…
– ওর চোখ আছে যে দেখবে! ওর সামনে দিয়েই গেলাম কিন্তু ও দেখেনি। কি কানা মেয়ে রা বাবা।

আমি মুখ ফুলিয়ে উনার দিকে তাকালাম। মা আর আপু আমার দিকে তাকিয়ে একটু হাসল।
হঠাৎ বাবা বলে উঠেন…
– কিন্তু কোথায় গিয়েছিলে? এতো ক্লান্ত কেন লাগছে তোমাকে?

– একটু বাইরে গিয়েছিলাম বাবা। মা মাথা টা একটু টিপে দাও না ব্যাথা করছে।
মা উনার মাথা টিপতে থাকে। আমি ভাবছি উনার মাথা ব্যাথা এখনো কমে নি। ভাবনার ছেদ ঘটল বাবা’র ডাকে। উনি আমাকে নিহা বলে ডাকলেন। আমি তাড়াতাড়ি করে উওর দেই…
– জ্বি বাবা!

– তোমার মামা মামী চলে গেছেন?

– জ্বি বাবা, দুপুরে গেছেন।

– ওহ্ আচ্ছা। তো কোনো খামতি ছিল না তো তাদের খেদমতে।

– না বাবা!

মা বলে উঠল…
– তোমার সাথে দেখা করতে চেয়েছিল তারা।

বাবা বলে উঠেন…
– ব্যস্ত থাকায় এবার সম্ভব হয় নি কিন্তু পরের বার ঠিক’ই দেখা হবে।

আপু বলে উঠে…
– হুম। কিন্তু নিহা তোমার ছোট ভাই টাকে দেখার খুব ইচ্ছে ছিল কিন্তু হলো না।

আহিয়ান বলে উঠলো…
– চিন্তা করিস না আবার নিয়ে আসবো।

মা বলে উঠেন…
– জানিস আহি শুভ কে বলেছে যেন তাকে আহি বলে ডাকে! তার মুখে কথাটা অনেক সুন্দর লাগছিল আহি এটা করবো, আহি এটা খাবো। এতো দিন পর পুরো বাড়ি টা যেনো মেতে উঠেছিল।

আপু বলে উঠল….
– চিন্তা করো না মা তোমার ছেলে তোমার সেই সাধ খুব তাড়াতাড়ি পূরণ করবে। ( আমার দিকে তাকিয়ে )

আপু’র কথা’র মানে বুঝতে আমার অনেক সময় লাগলো। আর যখন বুঝতে পারলাম তখন মাথা নিচু করে নিলাম। কারন লজ্জা না, কারন হলো তাদের এই আশা কখনো হবে না। না আমি আহিয়ান কে ভালোবাসি আর না সে আমাকে ভালোবাসে।

আহিয়ান বলে উঠল…
– বাবা তোমার মেয়ে কে বিয়ে দিয়ে দাও।

বাবা বলে উঠেন..
– মেয়ে’র যখন সময় হবে সে ঠিক’ই করে নেবে এটা নিয়ে আমাকে ভাবতে হবে না। আমার মেয়ে কে আমি জোর করবো না।

বাবা’র কথাটা খুব ভালো লাগল। আসলে আপু কে অনেক স্বাধীনতা দিয়েছেন তিনি। আর আশা ও অনেক। আহিয়ান এর বউ হিসেবে যাকে চেয়েছিলেন হয়তো তার প্রতি ও অনেক আশা ছিলো কিন্তু আমার জন্য তা হলো না। এটা ভেবে মনের কোথায় একটু ক্ষয়প্রাপ্তি হলাম।

বাবা আহিয়ান কে জিজ্ঞেস করল…
– তা কাল ভার্সিটিতে যাচ্ছো তো!

– জ্বি বাবা।

– আর নিহা!

– হ্যাঁ যাবে আমার সাথে।

– ওর খেয়াল রেখো, সবসময় ওর সাথে থেকো। মনে রেখো ওর নামের সাথে এখন চৌধুরী বাড়ি জুড়ে আছে।

বলেই বাবা উঠে নিজের ঘরে চলে গেলেন। বাবা’র কথায় কোথায় আমি একটু স্নেহ পেলাম, একটু ‌ভালোবাসা পেলাম আমায় নিয়ে। আমাকে নিয়ে চিন্তা করছেন তিনি তাহলে। কথা গুলো একটু কড়া বললেন যাতে আমি বুঝতে না পারি কিন্তু মা আপু দের মুখ দেখে বিষয়টা বুঝলাম। তারা বাবা’র চলে যাওয়াতে মিটিমিটি হাসছেন।

#চলবে….
আগের পর্বের লিংক
https://www.facebook.com/groups/371586494563129/permalink/414240263631085/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here