#ভালোবাসি_আমি_যে_তোমায়_২
#Sohani_Simu
১৬.
ভরসন্ধ্যার অন্ধকারে বাসায় ফিরলো আরাফ।ড্রইং রুমে অন্তকে জারিফের মাথার চুল টানতে দেখে ডাইনিং টেবিলের দিকে এগিয়ে গিয়ে এক গ্লাস ঠান্ডা পানিতে তেষ্টা মেটালো।বেসিনে গিয়ে মাথা আর মুখমণ্ডল ভিজিয়ে সোফায় বসে গা এলিয়ে দিল।জারিফ এতক্ষণ চোখ বন্ধ করে ছিল।অন্তর কথা শুনে চোখ খুললো।অন্ত নিজের চুল থেকে একটা রাবার ব্যান্ড খুলে নিয়ে জারিফের চুল ঝুটি করে দিয়ে বলল,
‘ওই তো আরাফ ভাইয়া চলে এসেছে।’
জারিফ আরাফকে দেখে শান্ত কন্ঠে বলল,
‘তুই?এখানে কেন?’
আরাফ অন্তর দিকে তাকিয়ে বলল,
‘কোথায় ছিল ও?পেয়েছিস আমাকে জানাসনি কেন?’
অন্ত জারিফের পেছনে দাঁড়িয়ে ছিল।জারিফ ঘাড় ঘুরিয়ে অন্তর দিকে তাকিয়ে বলল,
‘কুহেলী কি করছে দেখে আয় তো যা।’
অন্ত মাথা নেড়ে কিচেনের দিকে চলে গেল।জারিফ সোজা হয়ে বসে আরাফের দিকে তাকিয়ে বলল,
‘তোকে জানানোর প্রয়োজন মনে করিনি যেমনটা তুই ওকে বাহিরে নিয়ে যাওয়ার আগে আমাকে জানানোর প্রয়োজন মনে করিসনি।’
আরাফ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
‘কখন পেয়েছিস ওকে?’
জারিফ আবার সোফায় গা এলিয়ে দিয়ে বলল,
‘বিকেলে।চাঁদ নিয়ে এসেছে।চাঁদের পাশের বাসায় একটা ছেলে আছে,সারাদিন ওর কাছেই ছিল।’
আরাফ ভ্রু কুচকে বলল,’ মানে?’
জারিফ ক্লান্ত গলায় বলল,
‘ওকে একা একা বসে থাকতে দেখে ওই ছেলে ওকে বাসায় নিয়ে চলে আসে।দুপুরে আমি একবার নিতে গিয়েছিলাম আসেনি,বিকেলে ঘুমোচ্ছিল চাঁদ ওকে ঘুমের মধ্যেই নিয়ে চলে এসেছে।’
আরাফকে খুব ক্লান্ত দেখে জারিফ আর কথা বাড়ালো না।আরাফও কিছু না বলে নিজের রুমে চলে গেল।ব্যথায় তার মাথা ছিড়ে পরছে।যা কথা বলার একটু রেস্ট নিয়ে বলবে।একটু রেস্ট নেওয়ার নাম করে ক্লান্ত শরীর বিছানায় এলিয়ে দিতেই কখন ঘুমিয়ে পরলো বুঝতেই পারলোনা।
—
রাত আটটা,ঝকঝকে পরিষ্কার আর সাজানো গোছানো একটা রেস্টুরেন্টে বসে আছে নির্ভীক,প্রান্ত আর রিংকু।ওয়েটার ওদের কাছে অর্ডার নিতে গেলে নির্ভীক মেনুবুক রিংকুর হাতে ধরিয়ে দিয়ে যা খুশি অর্ডার দিতে বলে কারন রিংকু আজকে তাকে অনেক বড় একটা হেল্প করেছে।সকালে আরাফ যখন অন্তর সাথে অসভ্যতামি করেছে নির্ভীক আরাফকে প্রোপার লেসন দেওয়ার জন্য মনে মনে ঠিক করে আজকে আরাফের বিয়ে দিবে আর অন্তকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার সাধ জন্মের মতো ঘুচিয়ে দিবে।নির্ভীক আরাফের বাবা-মার সাথে আরাফের বিয়ে নিয়ে কথা বলে।উনারা মনে প্রাণে চান নিপার সাথে আরাফের বিয়ে হোক তাই নির্ভীকের কথায় আরাফের মা অসুস্থ হওয়ার অভিনয় করেন যা নির্ভীক,আরাফের বাবা-মা আর ডক্টর ছাড়া কেউ জানে না।সকালে রিংকু স্কুলে যাচ্ছিল, রাস্তায় নির্ভীক ওকে বাইকে তুলে নিয়েছিল আর তখনই কিছুক্ষণের জন্য নির্ভীক অন্তদের গাড়ি হারিয়ে ফেলে কিন্তু পরে আবার পেয়ে যায়।আরাফ যখন অন্তকে রেখে ফোনে কথা বলতে গিয়েছিল তখন অন্তকে একা পেয়েই নির্ভীক রিংকুকে অন্তর কাছে পাঠিয়ে দেয়।রিংকুকে দেখেই অন্ত খুব খুশি হয়েছিল।নির্ভীকের কথা অনুযায়ী রিংকু অন্তকে নিয়ে নির্ভীকের কাছে যায়।নির্ভীকের মাথায় হেলমেট থাকার জন্য অন্ত নির্ভীককে চিনতে পারেনি অবশ্য হেলমেট না থাকলেও চিনতে পারতো না।রিংকু আর অন্তকে একটা গাড়িতে তুলে দিয়ে নির্ভীক বাইক নিয়ে ওদের পেছন পেছন এসে রিংকুদের বাসায় নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।অন্ত সারাদিন রিংকুর সাথেই থাকে।আরাফকে দিশেহারা হতে দেখে নির্ভীকের রাগ কিছুটা কমে যায়।নির্ভীক এখন রিংকুকে ট্রিটদিতে একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে এসেছে। রিংকু মেনুতে থাকা সবগুলো খাবার অর্ডার দিয়ে নির্ভীকের দিকে তাকিয়ে বলল,
‘তোমরা কি খাবা?’
প্রান্ত রিংকুর হাত থেকে মেনু কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে নিজের আর নির্ভীকের জন্য কাচ্চি অর্ডার দিয়ে রিংকুকে বলল,
‘তুই এত গুলো খাবার খেতে পারবি?’
রিংকু ভ্রু কুচকে বলল,
‘হু পারবোনা কেন?না পারলে প্যাক করে বাসায় নিয়ে যেয়ে পরে খাব।’
প্রান্ত মনে মনে বলল রাক্ষস একটা!কিন্তু মুখে হাসি ঝুলিয়ে বলল,
‘নিজের দিকে একবার দেখেছিস ভাইটি আমার?শরীরে এমন চর্বি হলে মেলা সমস্যা হয়।আমার একটা কাজিন আছে সেও তোর মতো মোটা।চর্বি বেশি হয়ে যাওয়ায় ওর ওইটা তো বড় হচ্ছেনা,বিরাট সমস্যা!মেইন জিনিসই যদি অপুষ্টিতে ভুগে তাহলে আর এত খেয়ে লাভ কি বল?তুই বরং রুটি জাতীয় কিছু খা।নান রুটি খাবি গ্রীল দিয়ে?’
রিংকু প্রান্তর কথা শুনে নির্ভীকের দিকে তাকিয়ে অভিযোগ করে বলল,
‘চাঁদ ভাইয়া দেখো প্রান্ত ভাইয়া আমাকে সব খেতে দিবেনা বলছে।’
নির্ভীক এতক্ষণ নিজের ফোন নিয়ে ব্যস্ত ছিল।ফোন পকেটে ঢুকিয়ে মনোযোগী হয়ে বলল,
‘তোর যা ইচ্ছে খা ওর কথা কানে নিতে হবেনা।ও তো একটা অকর্মা জীবনেও ওকে দিয়ে কোনো কাজ হয়না আর তুই এত ছোট হয়েও কত বড় কাজ করেছিস।শোন তোকে কিন্তু আরেকটা কাজ করতে হবে।’
রিংকু উৎসুক হয়ে বলল,
‘আরেকটা মিশন হবে?মিশন নাম্বার টু?অন্তকে আবার লুকিয়ে রাখতে হবে?’
নির্ভীক রিংকুর মাথায় একটা চাটি মেরে বলল,
‘আজকে যা হয়েছে খবরদার কাউকে বলবিনা।বললে কিন্তু তোর ওইটা একদম নাই করে দিব তারপর শুধু অন্তকে কেন কাউকে কোনদিন বিয়ে করতে পারবিনা।’
রিংকু ভ্রু কুচকে বলল,
‘কোনটা নাই করে দিবা।’
প্রান্ত রিংকুর পিঠে একটা থাপড়া দিয়ে বলল,
‘তোর মুতু করার মেশিনটা।এটায় বুঝিসনা আমবলদ কোথাকার!’
রিংকু ভয় পেয়ে একবার নির্ভীকের দিকে তাকায় তো একবার প্রান্তর দিকে কিন্তু খাবার চলে আসায় তার আর কোন ভয় থাকলো না।গপাগপ খাওয়া শুরু করে দিল।নির্ভীক কাঁটা চামচ হাতে নিয়ে ঝাল ফ্রাইয়ের একটা ছোট টুকরো মুখে পুরে বলল,
‘আরাফ ভাইয়ার তো বিয়ে করিয়ে দিলাম এবার হানিমুনটাও করিয়ে দিই কি বলিস তোরা?’
প্রান্ত ভ্রু কুচকে বলল,
‘কিভাবে?শালা তো বউ রেখে চলে এসেছে।’
নির্ভীক বাঁকা হেসে বলল,
‘সব ব্যবস্থা করে দিয়েছি এখন শুধু সকাল টা হওয়ার অপেক্ষা।’
রিংকুর সামনে নির্ভীক আর প্রান্ত কিছু বলল না।ওরা খাওয়া দাওয়া শেষ করে প্রান্ত নিজের বাসায় চলে গেল নির্ভীক ও রিংকুকে বাসায় দিয়ে নিজের বাসায় চলে গেল।
—
সকালে ঘুম থেকে উঠেই আরাফ নিপার কাছে ফোন করল।একবার রিং হতেই নিপা কল রিসিভ করলো আর সাথে সাথেই আরাফ রাগী কন্ঠে বলল,
‘আমি ডিভোর্স পেপার পাঠিয়ে দিব কোনো ভণিতা না করে সাইন করে দিবি।’
নিপা কিছু না বলে কল কেটে দিল।আরাফ চোখমুখ শক্ত করে ঘর থেকে বের হতেই জারিফের সাথে দেখা।জারিফ কিছু না বলে আরাফের হাতে ইউএস যাবার জন্য প্লেনের টিকিট ধরিয়ে দিল।আরাফ রাগী কন্ঠে বলল,
‘বলেছিতো যাব না ওখানে।’
জারিফ শান্ত কন্ঠে বলল,
‘আমি তোকে ওখানে থাকতে পাঠাচ্ছিনা।কাগজপত্র সব তুলে নিয়ে একবারে এখানে চলে আয়।’
আরাফের মুখে হাসি ফুটলো।জারিফকে জড়িয়ে ধরে বলল,
‘আমি কিন্তু দশদিনের মধ্যেই ফিরে আসবো।’
জারিফ মুচকি হেসে আরাফের পিঠে হাত রেখে বলল,
‘দুটো টিকিট আছে।নিপাকে নিয়ে যাবি।ফুপ্পির ভাল লাগবে।বিয়েটা যেহেতু জোর করে হয়েছে তাই ওরা খুব টেনশনে আছে।এখন তোরা একটু সহজ হলে ওদের ভাল লাগবে।’
আরাফ জারিফকে ছেড়ে দিয়ে চোখমুখ লাল করে বলল,
‘ফিরে এসে সবার আগে ওকে ডিভোর্স দিব আর তুই কিন্তু প্রমিস করেছিস অন্ত যদি আমাকে চায় তাহলে ও আমার।’
জারিফ মনে মনে রেগে গেল কিন্তু রাগ প্রকাশ না করে আরাফের কাঁধে হাত রেখে বলল,
‘আমি নিজের কথা রাখি আশা করি তুই ও রাখবি।’
আরাফ জারিফের হাত কাঁধ থেকে সরিয়ে দিয়ে রেগে বলল,
‘অন্তকে যদি না পাই আমি সব কথা ভুলে যাব।ভুলে যাব তুই কে,সব শেষ করে দিব আমি।’
জারিফ মলিন হেসে বলল,
‘আচ্ছা দিস।তোর যা ইচ্ছে তাই করিস,অ্যাজ ইউ উইস।’
বলেই জারিফ চলে গেল।আরাফ চোখমুখ শক্ত করে বলল,
‘তুই বুঝতে পারছিসনা ওর জন্য আমি কি করতে পারি।’
জারিফ শুনতে পেলেও মুখে কিছু বলল না।মনে মনে বলল তুইও বুঝতে পারছিসনা চাঁদ ওর জন্য কি করতে পারে।
আরাফ নিজের ঘরে এসে লাগেজ গুছিয়ে নিয়ে নিচে এসে দেখে আফ্রাও লাগেজ নিয়ে রেডি।অন্ত টেবিলে বসে ব্রেকফাস্ট করছে।কুহেলী ওকে খাইয়ে দিচ্ছে।অন্ত আরাফকে দেখেই বলল,
‘এই তুমি খেয়েছো নাকি ভাইয়ার মতো না খেয়েই অফিসে যাচ্ছ।’
আরাফ মুচকি হেসে অন্তর পাশে চেয়ার টেনে বসে বলল,
‘আমি তো খেয়েই যাব কিন্তু তুমি আমাকে একটা কথা বলো,আমি যদি দশদিন এখানে না থাকি তুমি কি আমাকে ভুলে যাবা?’
অন্ত ভ্রু কুচকে বলল,
‘না ভুলে যাব কেন?এখন তো আমি সুস্থ কিন্তু তুমি এখানে থাকবেনা কেন?’
আরাফ অন্তর মুখে সেদ্ধ ডিম তুলে দিয়ে বলল,
‘আমি তোমার জন্য চকলেট নিতে যাচ্ছি।আর কি নিবা বল?সব নিয়ে আসবো।’
অন্ত ডিম মুখে নিয়ে মন খারাপ করে বলল,
‘ইচ্ছেও চলে গেল তুমিও যাচ্ছ ওই আপুটাও চলে যাচ্ছে,আমার একা একা ভাল লাগবেনা।’
আফ্রা মুখ বাঁকা করে বলল,
‘হুহ ন্যাকা!রাতে ভাইয়ার কাছে বকা খাইয়ে নিয়ে এখন এসেছে দরদ দেখাতে।’
কুহেলী হাসতে হাসতে বলল,
‘টিট ফর ট্যাট।তুই ওর বড় হয়ে ওর পেছনে কেন লাগিস বলতো?’
আফ্রা ভাব নিয়ে বলল,
‘ও আমার পেছনে কেন লাগে?ও লাগে বলেই তো আমি লাগি।’
অন্ত মুখের মধ্যে খাবার রেখে মুখ টোপা করে ভ্রু কুচকে আফ্রার দিকে তাকিয়ে আছে।আরাফ অন্তর একহাত ধরে বলল,
‘আমি দশদিন পরই ফিরে আসবো আর প্রতিদিন তোমার সাথে ফোনে কথা বলবো ওকে?’
অন্ত নিজের হাত টান দিয়ে আফ্রার দিকে তাকিয়ে বলল,’কিন্তু তুমি কবে আসবা?’
আফ্রা খেতে খেতে বলল,
‘আমি তোর মতো বেকার নই,আমার পড়াশুনা আছে।সারাদিন তোর কাছে পরে থাকলে আমার চলবেনা।’
অন্ত মন খারাপ করে আরাফের দিকে তাকালো।আরাফ মুচকি হেসে বলল,
‘ওই পাঁজিটার কথা শোন না।তাড়াতাড়ি ব্রেডটা শেষ কর,মেডিসিন খেতে হবে তো।’
অন্ত কিছু না বলে খেতে লাগলো।খাওয়া শেষ করে আরাফ অন্তকে জোর করে জড়িয়ে ধরে অন্তর কপালে চুমু দিয়ে আফ্রাকে নিয়ে চলে গেল।অন্ত আরাফের কাজে বিরক্ত হলেও ওরা যাওয়ার পর কিছুক্ষণ কান্নাকাটি করলো তারপর কুহেলীর সাথে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত হয়ে গেল।ঢাকায় ফিরে আরাফ নিজের বাসায় যেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে এয়ারপোর্ট চলে যায়।জোর করে বিয়ে দিতে পারলেও এবার আর কেউ জোর করে নিপাকে আরাফের সাথে পাঠাতে পারলোনা।নিপার মন খারাপ হলেও সে নিজেকে আগেই শক্ত করে নিয়েছে।সে জানে বিয়ের পর আরাফ তার সাথে যথেষ্ট খারাপ ব্যবহার করবে।সে আরও জানে ভালোবাসা কোনো সামান্য বস্তু নয় যে হাত বাড়ালেই পেয়ে যাবে।ভালোবাসা দূর্লভ বস্তু।ভালোবাসা পেতে হলে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়।ত্যাগ থেকেই আসে সুখ।নিপার বিশ্বাস সেও একদিন ভালোবাসার সুখ পাবে।যদি নাও পায় তাও সে সুখী হবে কারন ভালোবাসাকে ভালোবাসার মধ্যেও সুখ থাকে।আরাফকে ভালোবাসতে পারলেই সে সুখী।
—
ইচ্ছেমতি ফিরে আসায় অন্তর খুশি দেখেকে।এক মিনিটের জন্যও চোখের আড়াল হতে দিচ্ছে না।বেচারি ইচ্ছেমতি পরেছে মহা ফ্যাসাদে।অন্তর জন্য ক্লাসে যেতে পারছেনা এমনকি ওয়াশরুমে ঢুকলেও অন্ত ওয়াশরুমের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকছে।ইচ্ছেমতি যা করছে অন্তও তাই করছে।দুদিন ধরে অন্তকে অতিরিক্ত হাসিখুশি দেখাচ্ছে।জাপান থেকে মেডিসিনের ডোজটা চলে আসায় ডক্টর নির্ভীকের সাথে কথা বললেন।নির্ভীক আরও দুদিন সময় নিল।মনে মনে সে খুব ভয় পাচ্ছে।রাযীনের আরও পরে রাজশাহীতে আসার কথা ছিল কিন্তু অন্তর জন্য আগেই চলে আসলো।রাযীন আসায় নির্ভীক একটু সাহস পেল।অন্তর ট্রিটমেন্ট বাসাতেই শুরু করা হল।প্রথম ডোজ দেওয়ার পর অন্ত দুদিন বিছানা থেকে উঠতে পারেনি।সারাদিন রাত ঘুমিয়েছে।শরীর খারাপ হয়েছে।হাসিখুশি মুখ মলিন হয়ে গিয়েছে।সব সময় মাথার মধ্যে কুট কুটে যন্ত্রণা হওয়ায় কান্না করেছে।অন্তর এমন অবস্থা দেখে সবাই উত্তেজিত কিন্তু ডক্টর চিন্তার কোন কারন নেই বলে সবাইকে থামিয়ে রেখেছে।
চলবে……………..