ভালোবাসি তাই পর্ব-২৩

0
2603

#ভালোবাসি তাই
part:23
Writer:Afifa Jannat Maysha

🍁

“আলসেমী “নামক শব্দটা বোধহয় আমার জন্যই কোনো এককালে তৈরী করা হয়েছিলো। সবকিছুতেই চরমরকম আলাসেমী লাগে আমার। এমনকি চুপ করে বসে থাকতেও আলসেমী লাগে । এখনও রাজ্যের আলসেমী জেকে বসেছে আমার মাঝে।

বিয়ের শপিং করতে যেতে হবে। দুইবোনের বিয়ের শপিং করা একা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আমাদের চাচা-চাচীদেরকে আগেই চলে আসতে বলা হয়েছে। যাতে সব কাজিনরা মিলে শপিং করা যায়। কথামতো তারাও চলে এসেছে আজ সকালে।

এখন সবাই মিলে শপিং করতে যাওয়ার তোরজোর চলছে। সবার সে কি আনন্দ! মনে হচ্ছে আনন্দের সাগরে ভাসছে তারা। কিন্তু এদিকে আমি আর আপু গা-ছেড়ে দিয়ে বসে আছি। যেনো তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ চলছে না এখানে। এজন্যই বোধ হয় বলে ” যার বিয়ে তার হুশ নেই, পাড়া পড়শীর ঘুম নেই “। এই কথাটা যে একদম সত্য তা হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছি আমি আর আপু।

– কিরে তুই এখানে চুপচাপ বসে আছিস কেনো? তৈরী হবি না? মালিশা তো চলে গেছে তৈরী হতে।

নাজিবা আপুর কথা কানে আসছে ঠিকই কিন্তু তার উত্তর দিতেও কষ্ট হচ্ছে। মুখ খোলতেই ইচ্ছে করছে না আমার। তবুও কথা তো বলতেই হবে।

-আপু তোমরা সবাই যাও না। আমি যাবো না প্লিজ। ভালো লাগছে না আমার।

– মানে কি? তোর বিয়ের শপিং করবো আর তুই যাবি না?

– যেতেই হবে এমন তো কোনো কথা নেই। তোমরা চুজ করে কিনে আনবে আমার জন্য।

– তুই কি বোকা? কিসব পাগলের মতো কথা বলছিস৷ তুই যাবি মানে যাবি। এখন তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আয়। তোর ফ্রেন্ড সারাকেও তো বলা হয়েছে যাওয়ার জন্য। এখন যদি তুই-ই না যাস তাহলে তো বেচারীর খারাপ লাগবে।

– হয়েছে হয়েছে বুঝেছি। আমার যেতেই হবে। যাচ্ছি…..

অলস পায়ে হেঁটে চলে গেলাম তৈরী হতে। তৈরী হয়ে ড্রয়িংরুমে আসতেই দেখলাম সকলেই প্রস্তুত। আপু নীল একটা শাড়ি পরেছে আজ। কোমড় পর্যন্ত লম্বা চুলগুলো খুলে রেখেছে সে। চোখে কাজল বাদে অন্য কিছুই ইউস করে নি মুখে। এটুকুতেই যেনো তার রূপের বর্ণণা প্রকাশ করা যাচ্ছে না। লাস্ট দুই বছর ধরে একদিনও আপুকে নীল শাড়ি পড়তে দেখিনি আমি। শেষ তাদের ভারসিটির কোনো এক প্রোগ্রামের দিন পড়েছিলো। আজ এতোদিন পর এই শাড়িতে জাস্ট ওয়াও লাগছে।

আপুকে দেখে আমারও চুল ছেড়ে দিতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু আমার চুলতো হাঁটু পর্যন্ত লম্বা। এতো লম্বা চুল ছেড়ে দিয়ে বাইরে গেলে লোকে পাগল ছাড়া আর কিছুই ভাববে না আমায়। তাছাড়া আমার ড্রেসের সাথে খোলা চুল মানাবেও না তেমন।তাই ইচ্ছেটাকে নিজের মাঝেই দমিয়ে রাখলাম আমি।

– সায়ন ভাইয়ারাও বেরিয়ে পরেছে চাচী। রাহুল ভাইয়ারা কোন পর্যন্ত?

নাঈমা আপুর প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময়ও যেনো নেই মায়ের। তিনি তো মহাব্যাস্ত। দুই মেয়ের বিয়ে একসাথে দিতে গেছে যখন তখন তো ব্যাস্ত থাকতেই হবে৷ ব্যাস্তভাবেই মায়ের উত্তর

– রাহুল, সায়ন সবাই পৌঁছে গেছে শপিং মলে। আর আমরাই এখনো পারলাম না বাসা থেকে বেরোতে। কি যে হবে? কি ভাববেন সবাই।

– আরে চাচী এতো হাইপার হওয়ার কিছু নেই। একটু ওয়েট করুক না। এতো সহজে আমাদের বাড়ির মেয়ে নিয়ে যাবে নাকি? অপেক্ষা তো করতেই হবে।

– আজাইরা কথাবার্তা ছেড়ে তারাতাড়ি আয়। গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে সামনে।

– ও হ্যাঁ হ্যাঁ। চলো।

বাড়ির দুই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে এলাম শপিং মলের উদ্দেশ্যে। সামনের গাড়িতে সব বড়রা আছে আর আমরা ছোটরা সবাই পেছনের গাড়িতে।

জানালার পাশে বসে আছে আপু। তার পাশেই আছি আমি। আপুকে আজ কেমন অন্যরকম লাগছে। কেমন লাগছে বুঝতে পারছি না কিন্তু একটু আলাদা লাগছে সেটা বুঝতে পারছি। বাকি সবাই নানান কথা বলে বলে কান ব্যাথা করে দিচ্ছে। তাদের মধ্যে একজন হলো সারা। সে কোথাও আছে আর সেখানে নিরবতা বিরাজ করছে এটা ভাবা অনেকটা অমাবস্যায় চাঁদ দেখতে চাওয়ার মতো। তবে আজকে আমার সাথে নয় আমার কাজিনদের সাথে বকবক করে চলেছে সে। তাই একটু রেহাই পেয়েছি আমি।

– একটা কথা জিজ্ঞেস করবো আপু?

– হুম কর। এভাবে বলার কি আছে?

– আজ অনেকদিন পর নীল শাড়ি পড়লে তুমি। তাই না?

– হুম।

– হঠাৎ ইচ্ছে হলো যে?

– ইচ্ছে হওয়ার কারণটা আমার নিজেরই অজানা। শুধু জানি ইচ্ছে হয়েছে তাই পড়েছি।

– ওহ।

কেনো যেনো মনে হচ্ছে আপুর শাড়ি পড়ার কারণটা কোনোভাবে সায়ন ভাইয়া নয়তো? এটা ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে আমার। আপুকে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছে। আবার ভয়ও হচ্ছে। যদি আমার ভাবনাই সত্যি হয়? এটা ভেবেই বা কি হবে। পড়তেই পারে। আর মাত্র চার দিন। চারদিন পর থেকে তো আপুর অনেক কাজের একমাত্র কারণ হিসেবে সায়ন ভাইয়াই থাকবে। এসব ভেবে একটা বড় শ্বাস নিয়ে আপুকে জিজ্ঞেস করেই ফেললাম

– সায়ন ভাইয়ার জন্য শাড়ি পড়েছো আপু?

আমার কথা শুনে হালকা হাঁসলো আপু। তারপরেই বললো

– বললাম না ইচ্ছে হয়েছে। আমার ইচ্ছের প্রাধান্য দিতেই পড়েছি। কারণ স্বরূপ কারো নাম মাথায় আসে নি। কাউকে কারণ হিসেবে রেখে কোনো কাজ করা ঠিক না। তাহলে তার অনুপস্থিতিতে অন্য কাউকে কারণ হিসেবে গ্রহণ করতে কষ্ট হতে পারে৷

– সায়ন ভাইয়া তো তোমার জীবনে পাকাপোক্তভাবে উপস্থিত করতে চলেছে আপু। উনার অনুপস্থিতি তোমাকে অনুভব করতে হবে বলে মনে হয় না।

আমার কথা শুনে কেমন টলটলে চোখে তাকালো আপু। যেনো পলক ফেললেই গরিয়ে পরবে এক ফোটা নোনাজল। কেমন ধরা গলায় সে বললো

– নিশ্চয়তা আছে? কখন কি হয় আমরা কি জানি? তাই আগে থেকে বলা ঠিক না। কার সাথে কখন কি হয় বলা যায় না।

– কদিন ধরে তুমি কেমন ম্যাথ টিচারের মতো কঠিন ভাষায় কথা বলো আপু। কিছুই মাথায় ঢুকেনা আমার।

এবার জোরে জোরে হেঁসে উঠলো আপু। হাঁসতে হাঁসতে যেনো পেটে খিল ধরে যাচ্ছে তার।

– তাই নাকি? আচ্ছা সরি। আর বলবো না। হ্যাপি?

– হুম হ্যাপি।

– কিরে জান আজ তো দেখি আমায় ভুলেই গেলি তুই।

সারার অভিমানী কন্ঠে বলা কথায় হেঁসে দিলো সবাই। সবার মধ্য থেকে রিয়াদ ভাইয়া বলে উঠলো

– এই যে মিস। মাইশাকে জান, জানু, বাবু এসব ডাকা বন্ধ করুন। এখন এসব ডাকার অধিকার আপনার নেই।

– কিসব বলছেন ভাইয়া? এটা শুধুমাত্র আমার অধিকার। আমি কাউকেই দিবো না। প্রয়োজন পড়লে মাইশার বিয়েই হবে না। তবুও জানু, বাবু বলে ডাকা আমি বন্ধ করবো না।

– আপনি বললেই তো আর হবে না।

– আমি বললেই হবে। আপনি আমায় না বলার কে ভাইয়া?

– আমি আপনার কোন কালের ভাই, মিস?

– কেনো? আপনি তো আমার সাম্প্রতিক কালের ভাইয়া। মাইশার ভাইয়া হিসেবে আপনি আমারও ভাইয়া। তাই না ভাইয়া?

– প্রত্যেক লাইনে লাইনে ভাইয়া বলে মনে করিয়ে দিতে হবে না যে আমি আপনার ভাইয়া।

– ওকেহ ভাইয়া।

– ওহ রাবিশ, ডোন্ট কল মী ভাইয়া।

রিয়াদ ভাইয়া যে সারাকে পটানোর ধান্দায় আছে সেটা এতক্ষনে সবারই বুঝা হয়ে গেছে প্রায়। সব জায়গায় মেয়েদের সাথে ফ্লার্ট করাটা তার অভ্যাস। তবে সারাও তো আর কম নয়। তবুও রিয়াদ ভাইয়ার সাথে পেরে উঠবে কিনা সন্দেহ।

🍁

গাড়ি এসে থেমেছে মলের সামনে। বড়রা আস্তে আস্তে নামছে তাদের গাড়ি থেকে। আমরাও নেমে গেলাম তারতাড়ি করে। সবাই মিলে একটা শাড়ির দোকানে আসতেই সায়ন ভাইয়া আর রাহুল ভাইয়াদের দেখতে পেলাম। দুজন একসাথে দাঁড়িয়ে কথা বলছে। রাহুল ভাইয়া সব কথার শেষেই বড় বড় হাঁসি দিচ্ছেন। সায়ন ভাইয়াও হাঁসছেন। তবে মুচকি মুচকি।

আমরা তাদের কাছে যেতেই এগিয়ে এলেন খালামনি। খালামনি প্রথমেই আপুর দিকে তাকিয়ে বললেন

– বাহ, নীল শাড়িতে তো বড্ড মানিয়ছে আমার বউমাকে। লোকে বলে বিয়ে ঠিক হওয়ার পর মেয়েদের সৌন্দর্য আরো বেড়ে যায়। আজ মনে হচ্ছে কথাটা একদম ঠিক।

– আপা, এসব কথা পরে হবে। এখন কেনাকাটা শুরু করি।

মায়ের কথায় কপাল কুচকে এলো খালামনির। যেনো প্রচন্ড বিরক্ত তিনি। কুচকানো কপালকে আরও কুচকে নিয়ে বললেন

– দোকান কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে? নাকি দোকানিরা পালিয়ে যাচ্ছে? কোনোটাই না। তাইতো? তাহলে এতো তাড়া কিসের তোর? শান্তিমতো দেখতেও দিবি না নাকি? এখনো তো আরেক কনেকেই দেখা হলো না। মাইশা কোথায়?

খালামনির প্রশ্ন করতে দেরি হলেও হতে পারে। কিন্তু সারা ঝড়ের গতিতে আমায় দেখিয়ে বললো

– রাহুল ভাইয়ার বউ এখানে আন্টি।

সারার এমন উত্তরে সবাই হেঁসে উঠলেও সায়ন ভাইয়া দাঁড়িয়ে রইলেন ভাবলেশহীন ভাবে। কোনো প্রতিক্রিয়া নেই উনার মাঝে। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে একটু হলেও যদি উনি রেগে যেতেন!

আমার ভাবনাত মাঝেই গালে কারো হাতের স্পর্শ পেলাম আমি। তাকিয়ে দেখি রাহুল ভাইয়ার মা দাঁড়িয়ে আছেন আমার সামনে।উনার সৌন্দর্য যেনো আরো বেড়ে গেছে আজ। উনি মিষ্টি করে হেঁসে বললেন

– আমার বউ মাও কিন্তু কম না আপা।

আন্টির কথায় খালামনি একটু ভাব নিয়ে বললেন

– এই যে বললেন না “আমার বউমা “? এই কথাটা বলার কোনো সুযোগই আমি আপনাকে দিতাম না আপা। যদি আমার আরেকটা ছেলে থাকতো। দুই বোনকেই আমার ঘরে তুলতাম।

– এখন ভাব নিলেও ভাব নেই আপা৷ আমার ছেলের বউ হিসেবেই মানতে হবে।

– রাহুল কি শুধু আপনার ছেলে? না তো। রাহুল আমারও ছেলে। সে হিসেবে মাইশা আমারও বউমা।

উনাদের এসব কথায় বড়রা মজা পেলেও ছোটরা বোর হয়ে গেছে। তাই সারা ঠাস করে বলে উঠলো

– এই যে, মাইশার দুই শাশুড়ি। আমরা যেনো এখানে কি করতে এসেছি? আমি মনে হয় ভুলে গেছি। তোমাদের কারো মনে আছে?

সারার সাথে সবাই সম্মতি জানিয়ে মাথা নাড়লাম। মানে আমরাও ভুলে গেছি। রিয়াদ ভাইয়া তো অভিনয় করে বলতে লাগলো

– আমি তো আমার নামই ভুলে গেছি গাইজ। আমার নাম কি?

সারা অবাক হওয়ার মুখভঙ্গি করে বললো

– এমা তাই নাকি?

– হুম

– আমি বলবো? আপনার নাম কি?

– বলুন না মিস। আমিও জানি আমার নামটা কি?

– আপনার নাম হলো “আমার ভাইয়া “।

– এই, এই মনে পরেছে। আই থিঙ্ক আমার নাম রিয়াদ।

এবার সবাই আবারও হেঁসে উঠলো একসাথে। কিন্তু আমি তাকিয়ে আছি সায়ন ভাইয়ার মুখের দিকে। উনি সোজা সামনের দিকে তাকিয়ে আছেন। চেহারা পুরো স্বাভাবিক। যেখানে ভাসছে না কোনো হাঁসি বা কষ্টের ছোপ।

🍁

প্রায় সব কেনাকাটা শেষ করে আসা হলো শাড়ি কিনতে। বড় একটা দোকানে বসে আছি সবাই। উদ্দেশ্য বিয়ের বেনারসি চুজ করা। আন্টি, খালামনি আর মায়ের পছন্দ একরকম। আবার আমার কাজিন সিস্টারদের পছন্দ অন্যরকম। এই নিয়ে বেধেছে বিরাট থেকে বিরাটতম ঝামেলা। কোন শাড়ি কেনা হবে তা দেখে কনফিউজড সবাই। অবশেষে সবার সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিলো সারা। তার বক্তব্য হলো

– সবাই যখন পছন্দ নিয়ে কনফিউজড। তখন আমার মতামত হলো যার যার বউ সে সে শাড়ি পছন্দ করুক।

– ওহ তাহলে আপনার ড্রেস আমি পছন্দ করে দিই মিস?

রিয়াদ ভাইয়ার কথায় রাগ করার কথা থাকলেও রাগলো না সারা। হেঁসে উত্তর দিলো

– আপনি বোধ হয় আমার কথা বুঝতে পারেন নি ভাইয়া। আমি বলেছি বররা বউদের শাড়ি পছন্দ করবে। ভাইরা বোনদের নয়।

– হুম বুঝলাম।

– ভালো। তো কি বলেন আন্টিরা?

মা বললো

– ঠিক বলেছো সারা। এটাই ঠিক হবে।

সারার বুদ্ধি মতো রাহুল ভাইয়া আর সায়ন ভাইয়ার উপর শাড়ি চুজ করার দ্বায়িত্ব পরলো।রাহুল ভাইয়া খুশিমনে এটা মেনে নিলেও সায়ন ভাইয়া যেনো চরম বিরক্ত। তবুও মেনে নিলেন উনি। রাহুল ভাইয়া একে একে অনেক শাড়ি দেখলেও আমার পছন্দ হচ্ছে না একটাও। হঠাৎ চোখ পরলো একটা হালকা গোলাপি শাড়িতে। শাড়িটা হাতে নিয়ে সামনে থাকা আয়নায় তাকালাম আমি। বুঝতে পারছি না ভালো লাগছে কিনা।

আয়না থেকে চোখ সরাতে যাবো তখনই দেখলাম সায়ন ভাইয়াও তাকিয়ে আছেন আমার দিকে। দুজনের চোখাচোখি হতেই উনি চোখ দিয়ে ইশারা করলেন। যার অর্থ ” এটাই ভালো “। উনার ইশারায় এক চিলতে হাঁসি ফিটে উঠলো ঠোঁটের কোণে।

সবশেষে সিদ্ধান্ত হলো আমি এই শাড়িটাই নেবো। আপুর অন্য কোনো শাড়ি পছন্দ না হওয়ায় সেও সেইম শাড়ি নিলো। আপাত্ত সব কেনাকাটা শেষ। পরে কোনোকিছু প্রয়োজন হলে কেনা হবে। সবাইকে বিদায় জানিয়ে বাসায় চলে এলাম আমরা।

বাসায় এসেই সবাই ফ্রেশ হতে চলে গেলেও আমি চলে এলাম আয়নার সামনে। হাতে আছে সেই শাড়িটা। কেনো জানিনা শাড়িটাকে জরিয়ে ধরেই বসে থাকতে ইচ্ছে করছে আমার। ভাবতেই পারছি না এটা সায়ন ভাইয়া পছন্দ করে দিয়েছে। আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনে আমারই সবচেয়ে প্রিয় মানুষের পছন্দ করা শাড়ি পরবো আমি। কি ভাগ্য আমার!

চলবে…….

[ঈদের আগে আর বাসায় ফেরা হবে না গাইস। গ্রামের বাড়িতেই থাকবো। তাই রেগুলার গল্প না দিতে পারলে অপেক্ষা করবেন না প্লিজ। ধন্যবাদ ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here