#ভালোবাসি_প্রিয়
(রিপোস্ট)
#পর্ব_১২
©জারিন তামান্না
চুলায় চায়ের পানি বসিয়ে উপরের সেল্ফ থেকে দুধ- চিনি, চা পাতা এসব বের করছে নিশাত। পাশে দাঁড়িয়ে পলক উশখুশ করছে। কিভাবে জিজ্ঞেস করবে কথাটা সেটাই ভাবছে। পলককে এভাবে উশখুশ করতে দেখে নিশাতের ভ্রু কুচকে গেল। নিশাতের এভাবে তাকানো দেখে তটস্থ হয়ে গেল পলক। বোকার মত হাসলো খানিক। পলকের এহেন হাবভাব দেখে সন্দিহান গলায় নিশাত জিজ্ঞেস করলো।
_কি রে..সমস্যা কি.. কিছু বলবি কি?
নিশাতের এমন সরাসরি প্রশ্নে অপ্রস্তুত গেল পলক। তার বোধয় কোন চুরি ধরা পড়ে গেল গেল। আমতা আমতা করে বললো,
_আ..হ্যাঁ। বলছিলাম কি…ফ্রিজে কাবাব আছে না কতগুলা। ওগুলাও নিয়ায়। মুড়ির এর সাথে ওইগুলা খাওয়া যাবে।
পলকের এই কথায় এবার প্রচন্ড রকমের বিরক্ত হলো নিশাত। তার এখন ছবি গুলা দেখার তাড়া। আর বোন তার আরও দেরি করানোর প্ল্যান করছে।কিন্তু,সিফাতের সাথে ওমন আচরণের কারণে পলকের উপর এমনিতেই সে নারাজ। কথা বলে না ঠিক করে ক’দিন ধরে। তাই বেশি কিছু না বলে ফ্রিজ থেকে কাবাবের বক্স বের করে আনলো। ততোক্ষণে পলক চুলা জ্বালিয়ে কড়াইতে তেল গরম হতে দিয়ে দিয়েছে। তেল গরম হতেই তাতে কাবাব দিতে দিতে নিশাতকে জিজ্ঞেস করলো।
_হ্যাঁ রে নিশু,এতসব প্ল্যান কখন করলি রে তোরা?
_কিসের প্ল্যান? পলকের প্রশ্নটা বুঝতে না পেরে পাল্টা প্রশ্ন করলো নিশাত।
_এই যে পানচিনির। কই আমাকে তো আগে কিছু বললি না কেউ।
_বললে কি তুই করতে দিতি?
নিশাতের এমন সরাসরি প্রশ্নে দমে গেল পলক।কারণ, সত্যিই তো আগে থেকে জানলে সে সময় সে অনুষ্ঠানটা কিছুতেই হতে দিত না। তাই চুপ করে গেল। তারপর অপরাধী গলায় বললো,
_আমি কি জেনে বুঝে কিছু করছিলাম নাকি। সবটাই ভুল বোঝাবুঝি ছিল। আমি তো স্যরি বলছি উনাকে এই জন্য।
পলক সিফাতকে স্যরি বলেছে এটা শুনে খুব স্বস্তি পেল নিশাত। খুশিও হলো খুব।তারমানে এখন আর কোন সমস্যা নেই তাদের দুজনের মাঝে। কিন্তু তাও সে আগের মতই কঠিন হয়ে রইলো। কাঠকাঠ গলায় বললো,
_উদ্ধার করছো আমাদের। নইলে তো নিজের পায়ে কুড়াল মারার খুব জোর বন্দোবস্ত করে ফেলছিলা তুমি। সে তো ভাগ্য ভালো যে এমন বোঝদার মানুষকে পাইছো নিজের লাইফে। তার জায়গায় অন্য কেউ হলে তো এমন কান্ড করার পর তোরে বিয়ে করার বোকামিটা আর করতে আসতো না।
_আমাকে বিয়ে করা বোকামি? -মন খারাপ করা গলায় বললো পলক।
পলকের গলার আওয়াজেই নিশাত বুঝে গেল বোন তার কষ্ট পেয়েছে এমন কথায়। এভাবে বলাটা তার মোটেও ঠিক হয়নি। কিন্তু সেই বা কি করতো সিফাতের সাথে ওরকম আচরণটা করাটাও তো ঠিক
হয়নি পলকের। এতটা অবুঝ সে কি করে হলো সেটাই ভেবে পায় না নিশাত। যদিও সিফাত বারবার করে বলেছিল পলক তার অতীত অভিজ্ঞতার কারণেই এমন আচরণ করে ফেলেছিল।এটা জাস্ট একটা ভুল বুঝাবুঝি।কিন্তু তবুও তার বোনের মত বোঝদার, শান্ত,ধৈর্যশীল মেয়ের এমন আচরণ সে কোন মতেই মানতে পারেনি।।রাগ হয়েছিল তার খুব।তবুও শুধুমাত্র সিফাতের কথা রাখতে গিয়ে না বোনকে কিছু বলতে পেরেছে আর না খারাপ কোন ব্যবহার করেছে। শুধু ভেতরের রাগটাকে যথা সম্ভব দমিয়ে রাখতেই ওমন দূরত্ব রেখে চলেছিল বোনের সাথে।
_স্যরি রে নিশু। কিন্তু সত্যি বলছি আমার তখন কি হয়েছিল আমি নিজেও জানি না। এত রাগ ক্ষোভ কই থেকে আইসা ভর করলো আমায় আর আমি ঝোঁকের বশে এত কিছু বলে ফেলছি। -ভারী ভারী গলায় বললো পলক। কান্না পাচ্ছে তার এখন। আর সে যথাসম্ভব চেষ্টা করছে কান্না না করার।
এদিকে বোনের এমন অপরাধবোধ আর কান্না কান্না মুখখানা দেখে ভীষণ মায়া লাগলো নিশাতের। দ্রুত পায়ে কাছে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো বোনকে। খারাপ লাগছে তারও। তবুও নিজেকে সামলে নিয়ে বললো,
_থাক। কাঁদতে হবে না এখন আর। যা হওয়ার হইছেই। তুই নিজের ভুল বুঝতে পারছিস এটাই ইনাফ। কিন্তু একটা কথা মাথায় রাখিস বুবু,তুই সত্যিই খুব লাকি যে ভাইয়ার মত একজন সুন্দর মনের মানুষকে নিজের লাইফপার্টনার হিসেবে পাইতেছিস। তারে কখনো ভুল বুঝে হার্ট করিস না।
_হু। কান্নাজড়িত কন্ঠে বললো পলক।
পলকের এমন কান্না কান্না ভাব দেখে নিশাত ঠিক বুঝতে পারছে,কতটা অনুতপ্ত তার বোন নিজের কাজের জন্য। তাই বোনকে শান্ত করার জন্য কথার প্রসঙ্গ পাল্টে দিয়ে উৎফুল্ল কন্ঠে বললো,
_হ্যাঁ রে..শুনবি না আমরা ক্যাম্নে এত সব প্ল্যানিং করলাম?!
এতদিন পরে বোনকে আবার আগের মতই কাছে পেয়ে এতক্ষণে অনেকটা শান্ত হয়ে এসেছে পলক।নিশাতকে ছেড়ে চোখের কার্ণিশে উঁকি দেওয়া জল দু’হাতে চেপে মুছে নিয়ে আগ্রহী গলায় বললো,
_হু,শুনবো।
চায়ের পানি ফুঁটতে শুরু করেছে। তাতে চা পাতা দিতে দিতেই নিশাত বলা শুরু করলো।
_সেদিন রাতে তোর এমন কান্ড করার পর খুব খারাপ লাগছিল বিষয়টা ভাইয়ার। তুই সে সময় কিছু শোনার বা বোঝার মত অবস্থায় ছিলি না বলেই পরের দিন তোরে নাকি বেশ কয়েকবার কল করছিল। কিন্তু তুই রিসিভ করিস নাই। আর তারপর থেকে নাম্বার ব্লক পাওয়ায় দুদিন পরে আমারে কল দিয়ে তোর কথা জিজ্ঞেস করলো।
_আমার কথা?! কি জিজ্ঞেস করছেন উনি? অবাক স্বরে জিজ্ঞেস করলো পলক।
_হ্যাঁ,তোর কথা। তুই কই আছিস। কেমন আছিস। আমি খুব অবাক হইছিলাম জানিস। তোর কথা তোরে জিজ্ঞেস না করে আমারে ক্যান জিজ্ঞেস করতেছে। ব্যাপারটা ঠিক সুবিধার না লাগায় আমি ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করলাম কি হইছে! ভাইয়া বললো ফোনে না বলে মুখোমুখি বলবে। তাই,সেদিন কলেজের পরে উনার সাথেই দেখা করতে গেলাম। ভাইয়া সব খুলে বললো তুই কি কি কান্ড করছিস। শুনে আমার ভীষণ রাগ হইছিল জানিস তোর ওপর। এমন স্টুপিডের মত কাজ তুই ক্যাম্নে করলি এইটা ভাইবা। আমি তো মনে মনে ভেবেই নিছিলাম বাসায় আইসাই তোর সাথে ঝগড়া লাগাবো এইটা নিয়া। কিন্তু, ভাইয়া আমাকে বুঝলাইলো যে তুই ভুল বুঝে এসব করছিস। তোরে যেন এই নিয়ে কিছু না বলি আমি। যা বলার উনিই বলবেন। সাথে এটাও বললো, বৃহস্পতিবারে উনি উনার ফ্যামিলি নিয়া আসবে পানচিনি করতে। কিন্তু তোরে যেন এটা নিয়া আগে থেকেই কিছু না জানাই। ওখানে বসেই সব প্ল্যান করলাম কিভাবে কি করবো। বাসার আসার পর মা বললো আন্টি মানে ভাইয়ার মা নাকি ফোন করছিলেন। পানচিনির কথা বলতে। আমি তখনই আম্মাকে বলে দিছিলাম যেন তোরে কিছু না জানায়। তোরে সারপ্রাইজ দিবো এই বাহানা দিয়া তারেও আটকায় দিলাম। আর আম্মা আটকাইলো আব্বা রে। ওই মানুষটা তো এম্নিতেও কথা কম বলে। তোরে আর কি বলতো! বলেই সকৌতুক হাসলো নিশাত। আর তুই তো বৃহস্পতিবারে এম্নিতেও বাসায় থাকবি না। তাই তুই যাওয়ার পরেই মামী ফুপুরা আসছে।রান্না বান্নাও সবাই মিলেই করছি। তুই সারা রাত পড়ে পড়ে ঘুমাইছিস আর আমি আর আম্মা আধা রাত অবদি সব রান্নার গোছগাছ করছি। বলেই একটা ক্লান্তির শ্বাস ছাড়লো নিশাত।যেন এই দুদিন আগের ক্লান্তি এখন এসে ভর করেছে তাকে।
আর এদিকে এতসব কথা শুনে পলক বিস্মিত।খারাপও লাগছে কিছুটা। তার জন্য এসব করতে গিয়ে কতটা খাটতে হয়েছে নিশাত আর মা কে।সে একটুও হেল্প করতে পারে নাই। কিন্তু সর্বোপরি এত এত সব কাহিনী শুনে সে হতবাক।ফ্যালফ্যাল চোখে তাকিয়ে নিশাতের হাসি দেখছে সে।
পলকের এমন চাহনী দেখে আরও একচোট হাসলো নিশাত। বোনের এমন বিস্মিত হতভম্ব চেহারা দেখে খুব মজা পেয়েছে সে। হাসতে হাসতেই চুলা থেকে চায়ের কেটলিটা নামিয়ে নিল সে। কাপে কাপে চা ঢালতে ঢালতে বোনের দিকে এক পলক তাকিয়ে বললো,
_আল্লাহ কারও সাথে অবিচার করে না রে বুবু। জীবনে যত না পাওয়ার হিসাব আমরা করি, সেগুলোর জন্য কষ্ট পাই.. উনি ঠিক সময় সেসব কিছু সুদে আসলে পূরণ করে দেন। আমি তোর থেকে ছোট। তাও আমি বলতেছি,তুই লাইফে আজ পর্যন্ত যত কষ্ট পাইছিস সে সব কিছুর সুদ আসলে তুই ভাইয়াকে নিজের জন্য পাইছিস। মানুষটা সত্যিই বড্ড ভালো রে বুবু। তোর জন্য উনার থেকে ভালো কেউ হবে না। হবে না কি! তোদের জোড় আল্লাহ লিখছিলেন বলেই সেদিন বিয়েটা হতে হতেও হয় নাই। মানুষটাকে ভরসা করিস রে বুবু। কোনদিন ঠকবি না ইন শাহ আল্লাহ। -বলেই একটা স্বস্তির হাসি হাসলো সে।
এদিকে বোনের এমন কথায় আবেগে আপ্লুত হয়ে গেল পলক। মন বন্দরে বইছে অপ্রত্যাশিত খুশির হিমেল হাওয়া।আর অচেনা সুখজলে টলমল করছে তার দুচোখ।
_________________________________
চায়ের সাথে কাবাব আর মুড়ি পেয়ে একেবারে জমজমাট হয়ে উঠলো আসর। সবাই এক এক করে ছবি দেখছে আর এক একটা বিষয় নিয়ে আলাপ করছে। এর মধ্যেই একটা ছবিকে ঘিরে রীতিমতো তুমুল আলোচনা শুরু হয়ে গেল নাজিয়া নিশাত আর মিলির মধ্যে। সিফাত আর পলককে মাঝে বসিয়ে ও বাড়ির সবার সাথে তোলা একটা পারিবারিক ছবি। ছবিটাতে সবাই হাসি খুশি কেবল সারার মুখে কোন হাসি নেই। ছবিটা দেখেই প্রথমে মিলি বললো,
_এই… এইটা বুবুর ননদ না?
_হ্যাঁ। সারা নাম মেয়েটার।পাশ থেকে ছবিটা দেখে নিশাত বললো।
_এর সমস্যা কি রে?এমন ভাব ধইরা আছে ক্যান?(মিলি)
_ক্যান কি হইছে? বিচলিত ভঙ্গিতে জিজ্ঞেস করলো নাজিয়া।
_আরে আপা,দেখো না। কেমন মুখ ভার কইরা রাখছে। যেন কেউ ওর মাথায় বন্দুক ঠেকাইয়া ছবি তুলাইছে। (মিলি)
_হ্যাঁ, আপা। আমিও খেয়াল করছি বিষয়টা। এখানে আসার পর থেকে পুরাটা সময় সে চুপচাপ ছিল।বুবুর সাথে কথা অবদি বলে নাই।রুকু আপু রে দেখছো? কি সুন্দর করে কথা বলে। আমাদের সবার সাথে কি সহজভাবে মিশে গেছিল।আমার তো তাকে খুব ভাল্লাগছে।(নিশাত)
_হু,সেটা আমিও দেখছি। ভাইয়ের বিয়ে অথচ তার ভাব এমন যে সে একটুও খুশি না।-নাজিয়া কথাটা বলতেই তিনজনের টনক নড়লো যেন। একে অন্যের মুখ চাওয়াচাওয়ি করে চোখের ভাষায় কিছু একটা উদ্ধার করলো।তারপর তিনজনে একসাথে সরাসরি তাকালো পলকের মুখের দিকে। পলক চুপচাপ। চোখ নামিয়ে নিল সে চকিতেই। ব্যাপারটা কি সেটা প্রকাশ্যে না বলা হলেও সেখানে উপস্থিত সবাই তা বুঝে গেল। কেবল রিয়া দিয়া ছাড়া।তারপর একটা ছোট্ট শ্বাস ফেলে নাজিয়া বললো,
_কাঁটার আঘাত সহ্য করেই গোলাপ ধরে রাখতে হয় রে সাজি। তবে সিফাত তোরে ভালো রাখবে এইটুকু ভরসা আমার আছে। বাকিটা আল্লাহ আর তোর উপর।-পলক চুপচাপ শুধু শুনলো কথাটা। প্রত্যুত্তরে কিছুই বললো না।
নিশাত আর মিলিও আর কথা বাড়ালো না এই নিয়ে।বরং পরিস্থিতি হালকা করতে পলককে উদ্দেশ্য করে নিশাত বললো,
_তুই জানিস বুবু…ভাইয়ার মা বলছেন বিয়ের সব অনুষ্ঠান নাকি তাদের ফার্ম হাউজে করবে। সব ফাংশন ওখানেই করবে তারা। আমরা ৭ দিন আগে যাবো ওখানে।
_হ্যাঁ,জানি। মা বলছে কাল রাতে। নিরস গলায় বললো পলক। তার এমন ভাব দেখেই বোনেরা বুঝলো পলকের মন খারাপ হয়ে গেছে। তাই তাকে আর বেশি ঘাঁটলো না। পরমূহুর্তেই ওখানে কাছের মসজিদে মাগরিবের আযান শোনা গেল।আর সবাই আসর ছেড়ে উঠে গেল নামাযের উদ্দেশ্যে।
_________________________________
অনেকদিন হলো পলক অনলাইনে যায় না। সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতেও ঢু মারা হয়নি অনেকদিন।তাই আজ ফেইসবুকে লগ ইন করতেই একগাদা নোটিফিকেশন আর ম্যাসেজ এসে জ্যাম লাগিয়ে দিল পলকের আইডিতে। কিন্তু এতসব নোটিফিকেশনের মধ্যে একটা নোটিফিকেশন দেখেই আলতো এক সুখানুভূতি এসে ছুঁয়ে দিল পলকের মনে। “Got engaged with Sajiya Mehrin”. দুদিন আগে এই পোস্টটা সিফাত নিজ আইডি থেকে পলককে ট্যাগ করেছে। ৩’৭k react পেয়েছে পোস্টটা।সাথে ১’৩ k comments. সেগুলোর বেশিরভাগ সিফাতের ফ্রেন্ডস আর ফলোয়ারেরই। পলকও এবার নিজের আইডিতে রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস পাল্টে লিখে দিল, engaged। বেশ সুখ সুখ লাগছে তার। লজ্জাও লাগছে খানিক।মৃদু হেসেই লগ আউট হলো ফেইসবুক থেকে। এবার ম্যাসেঞ্জারে ঢুকতেই চক্ষুচড়ক গাছ তার। ৫৩ টা ম্যাসেজ। সেগুলোর বেশিরভাগই তাকে অভিনন্দন জানিয়ে ম্যাসেজ করা হয়েছে। আর এই এত এত অভিনন্দনের মাঝে একটা অপ্রত্যাশিত অভিনন্দনও ছিল। যেখানে লেখা ছিল,
“অভিনন্দন পলক। আশা করি এই মানুষটার সাথে সুখী হবে তুমি। ”
এই দুই লাইনের ম্যাসেজটা ক্রমশ পলকের হার্টবিট বাড়িয়ে দিচ্ছে। পুরোনো একটা ক্ষত থেকে গলগলিয়ে রক্তক্ষণ শুরু হয়ে গেল ভেতরটায়। অথচ পলক তখনো জানে না এ রক্তক্ষরণের স্রোত ঠিক কিভাবে তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে এক অতল অতীতে।খেঁই হারাবে তার ভবিষ্যৎ। ভূত ভবিষ্যৎ এর বেড়াজালে আটকে যাবে তার অনাগত জীবন।
চলবে..