গল্প: ভুলের মাশুল
পর্ব: ১
লেখক: হানিফ আহমেদ
-দুই দিন আগে অর্ণিরে ধর্ষণ করেছি! তোরে বলতে ভুলেই গেছিলাম। (অর্ণব কথা গুলো বলে হানিফের কাঁধে হাত রাখে।)
ফোনে গেইম খেলছিলাম, আমার দৃষ্টি এখন অর্ণব এর দিকে,
-তুই কি সিরিয়াসলি কথাটা বললি?
-হুম, “তোরে দুই দিন আগে অনেক টা কল দিছিলাম” মনে আছে তোর?
-হুম আছে’ আপুর বাসায় ছিলাম তাই তখন ব্যাক করতে পারিনি।
-ওওও
– সব বলতো, কেন এমন করলি? পুলিশ পর্যন্ত গেছে তাইতো! এখন যদি অর্ণি আত্মহত্যা করে? তুই কেন করলি এমন ওর সাথে’ ও তো তোকে ভালোবাসতো।
– হাহাহাহা ভালোবাসতো! ওর এফবি একাউন্টে ডুক? কিছুটা প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবি?
~ওর কথায় অর্ণির আইডিতে ডুকে দেখলাম ঠিক তিনদিন আগে একটা ভিডিও, যেটাতে অর্ণি আর আরো তিনটা মেয়ে টর্চার করতেছে, খুব খারাপ ভাবে বিহেভ করেছে অর্ণব এর সাথে~
“ভিডিওতে কি আছে ডাইরেক্টলি বলি”
[অর্ণির এক ফ্রেন্ড ভিডিও করছে ১৬মিনিট ৫৪ সেকেন্ড এর ভিডিও।
অর্ণি- অর্ণব আর কিভাবে বুঝালে তুমি বুঝবা আমি তোমায় কতো টুকু ভালোবাসি?
অর্ণব- ক্যামেরা অফ করো মিরা?
মিরা- তা তো হবে না, এটা অর্ণির অর্ডার।
অর্ণব- অর্ণি ওরে বলো ক্যামেরা অফ করতে এসব করে তুমি কি বুঝাতে চাইছো! আমায় ভালোবাসো এটা? তোমার ধারণা ভুল’ “আমি তোমায় কখনো ভালোবাসিনি, আর বাসবোও না। শুনেছো কি বলছি? আর কখনো আমার সামনে আসবা না তুমি”
অর্ণি- কেন? আমি দেখতে কি কুৎসিত, নাকি আমার মধ্যে কোনো ঘাটতি আছে? আজ তোমাকে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে?
অর্ণব- তোমার প্রশ্নের উত্তর দিতে আমি বাধ্য না।
অর্ণি- বাধ্য তুমি, আমি তোমায় ভালোবাসি, কেন বাসো না সেটা আজ বলতেই হবে?
অর্ণব- তোমার প্রতি আমার ফিলিংস কাজ করে না। বুঝলে, তোমায় আমি ভালোবাসবো না আর কখনো ভালোবাসিনি!
অর্ণি- কি বললি তুই আমার প্রতি তোর ফিলিংস কাজ করে না, কি নেই আমার মধ্যে? নাকি,,
অর্ণব- নাকি কি?
অর্ণি- তোর পুরুষত্ব নেই? আমায় এটা বলতে তুই বাধ্য করলি, কোনো মেয়েকে দেখে যদি তোর ফিলিংস না জাগে মনে,তাইলে তো তোর পুরুষত্ব নাই। হায়! হায়! আমি এতোতো দিন একটা হি*** কে ভালোবাসলাম।
(অর্ণি আর ওর ফ্রেন্ডরা তখন হাসতে থাকে,সব কয়টা স্লোগান দিচ্ছে,হি**** হি*** বলে)
অর্ণব- কি বলছো তুমি ভেবে বলছো ত, এখন কি সেটার প্রমাণ দিতে হবে?
অর্ণি- তোর পুরুষত্ব নাই তুই কি প্রমাণ দিবি রে হি****
অর্ণব- বেশি হয়ে যাচ্ছে, তোমাদের সাথে কথা বলে আমার টাইম নষ্ট করার ইচ্ছা নাই। গেলাম আমি,আর হ্যা ভিডিও ডিলিট করে দিও যদি আমায় ভালোবেসে থাকো?
অর্ণি- যা যা, যার পুরুষত্ব নাই তারে আবার নাকি ভালোবাসি আমি]
,,,
অর্ণব আর কিছুই বলে নি,সে বাসায় চলে আসে আর ঘুমিয়ে পরে।
————
রাতে অর্ণব কে মৌ ফোন দিয়ে বলে
মৌ- অর্ণব তুই কোথায়?
অর্ণব- বাসায় ঘুম থেকে উঠলাম মাত্র।
মৌ- অর্ণির আইডিতে ডুকে দেখ ও কি করছে?
অর্ণব- আচ্ছা ফোন রাখ তুই,
মৌ- হুম নিজের খারাফ কিছু করবি না, তুই দেখ, আমরা তোর বাসায় আসছি।
অর্ণব- হুম, কি এমন?
মৌ ফোন কেটে দেয়
অর্ণব তাড়াতাড়ি করে অর্ণির আইডিতে ডুকে দেখে তার ওই বিকেলের ভিডিওটা,
ভিডিও তে অর্ণব চলে আসার পর, অর্ণি অর্ণবকে নিয়ে আরো খারাপ খারাপ কথা বলে, আর তারপর ভিডিওটা অর্ণির আইডিতে আপলোড করে দেয়,
অর্ণব আরো দেখে অবাক সেই ভিডিওর ৫০০+ শেয়ার, আর ২+কে লাইক,
আর কমেন্টে সবাই ওরে নিয়ে অনেক খারাপ মন্তব্য করছে।
অর্ণব তখন আর নিজের মধ্যে নাই সামনে যা পাচ্ছে তাই ছুড়ে মারছে,
অর্ণিকে ফোন দিলো
অর্ণি- কি রে হি* কি জন্যে ফোন দিছিস?
অর্ণব- ভিডিওটা ডিলিট দাও, খুব পস্তাবে তুমি খুব পস্তাবে, জানো না তুমি কি করছো, কিসের সাথে খেলা করছো তুমি জানো না অর্ণি, এতক্ষণ চুপ ছিলাম, কিন্তু তুমি সহ্যের মাত্রা চারিয়ে গেছো।
অর্ণি- যা যা আমি ডিলিট করবো না, কি করতে পারিস করিস তুই!
এসব বলে ফোন কেটে দেয়।
অর্ণবের মনে হচ্ছে এখনি সে মরে যেতে,
অর্ণি না আমায় ভালোবাসে তাইলে কেমনে পারলো এসব করতে আমার সাথে , এর মাশুল অর্ণিকে দিতে হবে খুব বড় ভুল করলো অর্ণি, এই বলেই চাকু দিয়ে হাতের রগ বরাবর টান দিলো , মুহূর্তেই দেহটা ঠাণ্ডা হয়ে গেলো।
(গল্পের ভুল গুলো দেখিয়ে দিবেন আশা করি, এই টুকু গল্প পড়ে কেও খারাপ মন্তব্য করবেন না প্লিজ। আশা করি গল্পের সাথেই থাকবেন সবাই)
ভালো থাকবেন
ঘরেই থাকবেন।
