#ভোরের_আলো
৫৩.
-মেয়ের ফ্যামিলির কেমন রিএ্যাক্ট ছিলো?
– নরমাল। কারণ, পুরো সাড়ে পাঁচবছর পর মেয়েটা বাসায় ফিরে এসেছে৷ তারউপর তানিয়ার ফিজিক্যাল কন্ডিশন ঐ মূহুর্তে বেশ খারাপ ছিলো। একা একটা মেয়ে ছোট্ট একটা বাচ্চাকে নিয়ে পুরো ছয়মাস কাটিয়েছে। হাজবেন্ডের কোনো খোঁজ খবর ছিলো না। মেয়েটা কি খাচ্ছে বাচ্চাটা কি খাচ্ছে তার কোনো খবর লোকটা নেয়নি।
– কার কাছে শুনেছেন সেসব? তানিয়ার কাছে?
– উহুম। ওর ভাইয়ের সাথে পরে আমার কথা হয়েছিল। তখন শুনেছি।
– কিভাবে পারলো লোকটা এতবড় অন্যায় করতে?
-একজন বিবেকহীনের কাছ থেকে এরচেয়ে বেশি আর কিইবা আশা করা যেতে পারে তাই না?
– তারপর?
– ওকে বাসায় আনার পর ওর বাবা চাচারা মিলে ঐ লোকের খোঁজ করা শুরু করলো৷ পুরো দু’সপ্তাহ খোঁজ করার পর ঠিকানা পেয়েও গেলো। সাথে করে এটাও জানতে পারলো এই লোক বিবাহিত। তানিয়া বিশ্বাস করছিলো না। তানিয়ার বাবা চাচা ভাই মিলে তানিয়াকে ওর বাচ্চাসহ নিয়ে এলো ঐ লোকের বাসায়৷ ওদের চেঁচামেচিতে আশপাশের দুই চার বিল্ডিংয়ের পরিবেশ গরম হয়ে গেলো একদম। সেদিনই পুরো এলাকা ডাক পড়ে গেলে এই লোক বউ থাকা সত্ত্বেও আরেকটা বিয়ে করেছে। সেইঘরে আরেকটা বাচ্চাও আছে৷ পাশের বাড়িতেই থাকতাম আমরা। আমাদের জানালা আর ঐ লোকের বাসার ড্রইংরুমের জানালাও পাশাপাশি ছিলো৷ স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম। সব শুনতে পাচ্ছিলাম৷ তানিয়া মেয়েটাকে আমি একটা টু শব্দ করতে শুনিনি৷ ও শুধু নিষ্পলক ওর হাজবেন্ডের দিকে তাকিয়ে ছিলো৷ ওর চোখ থেকে কোনো পানিও পড়তে দেখা যায়নি। কথার এক ফাঁকে মেয়েটা বাচ্চাটাকে কোলে নিয়ে উধাও হয়ে গেলো। আমার কানন ছাদে ছিলো কৌশিককে নিয়ে৷ ঘুড়ি উড়াতে গিয়েছিলো দুইভাই৷ তোমার আংকেল সেদিন বাসায় ছিলো না৷ বাসায় শুধু আমি আর আমার ননদ ছিলাম। আমরা দুজন খুব মনোযোগ দিয়ে ওদের ঘরের তর্ক শুনছিলাম। হঠাৎ করে শুনি আমার কানন চিৎকার করছে,
– ওকে ফেলছেন কেনো? ফেলবেন না। ও মরে যাবে।
ওর চিৎকার শুনে আমরা দুজন নড়েচড়ে উঠলাম। পাশের ঘরের ওরা তখনও ঝগড়া করে যাচ্ছে। এর কিছুক্ষণ পরই আবার আরেকটা চিৎকার শুনলাম,
– আপনি নামুন এখান থেকে।
এরপরই ছেলে আমার গলা ফাটিয়ে আমাকে ডাকা শুরু করলো। নিচ থেকে লোকজনের চিল্লাচিল্লির আওয়াজ আসতে থাকলো। আমি আর আমার ননদ দৌড়ে ছাদে গেলাম। গিয়ে দেখি কানন ভয়ে কাঁপছে আর ছোটটা ভাইয়ের চিৎকার শুনে গলা ফাটিয়ে কাঁদছে। নিচে তাকিয়ে দেখি তানিয়া মেয়েটা ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়েছে। কৌশিককে আমার কোলে দিয়ে কানন দৌড় দিলো পাশের বাড়ির উদ্দেশ্যে। বিশ্বাস করো অর্পিতা, মেয়েটার লাশ দেখে আমারই মনে হচ্ছিলো দম আটকে যাবে৷ আমি বুঝি মারা যাবো। মাথা ফেটে মগ…… থাক ওদিকটাতে আর না এগোই৷ জ্বলজ্যান্ত একটা মানুষ যাকে পাঁচ মিনিট আগেও দেখলাম, মাত্র কয়েকমিনিটের ব্যবধানে মানুষটা মারা গেলো। কানন পাশের বাড়ির ছাদে গিয়ে একটা বাচ্চাকে কোলে নিয়ে বললো আম্মু ওকে কি করবো?
তাকিয়ে দেখি ঐ মেয়ের বাচ্চাটা। পরে ওকে বললাম, নিয়ে আয় আমার কাছে। এরপর তো লাশ নিয়েই টানাটানি। পুলিশ আসলো। ঐ লোককে ধরে নিয়ে গেলো। যাওয়ার সময় বাচ্চার মামা বাচ্চাকেও নিয়ে গেলো। এর পাঁচ ছয়দিন পরই এই লোক কিভাবে যেনো জেল থেকে ছাড়া পেয়ে গেলো৷ কোনো কারসাজি করেছিলো হয়তো! দুপুর নাগাদ লোকটা ঘরে এসে ঢুকলো, বিকেলেই বাচ্চার মামা আর নানা মিলে বাচ্চাকে বাবার কাছে দিয়ে গেলো। যাওয়ার সময় বলে গেলো এই বাচ্চার কোনো প্রকার দায়ভার এরা নিবে না। এদের মেয়ে যেহেতু নেই এই বাচ্চার কোনো প্রয়োজনও এদের নেই৷
– বাচ্চাটাকে ঐ শয়তানের কাছে দেয়ার মানে কি?
– জানি নাহ্। ওদের যুক্তি ওরা ভালো বুঝে।
– বাচ্চাটাকে ঠিকঠাক রেখেছিলো তো?
– আর ঠিক রেখেছে! আগের বউটা আর ছেলে দুইটা অকারনে ওকে মারতো। ক্ষুধায় বাচ্চাটা কি যে কান্না করতো! খাবার দিতো না ঠিকমত। বাসার নিচে বা আশপাশের বিল্ডিংয়ের কোনো বাচ্চা কিছু খেলে হা করে তাকিয়ে থাকতো। কি যে কষ্ট লাগতো! আমার কৌশিকের বয়সীই তো ছিলো৷ কয়েকদিন কাননকে দিয়ে খাবার পাঠিয়েছি। খাবার খেয়েছে কিনা কৌশিককে দিয়ে জিজ্ঞেস করাতাম। বলতো মা নাকি দেয়নি। ভাইয়েরা খেয়ে ফেলেছে।
– মানুষ এত খারাপ কি করে হয় আন্টি?
পানি ছলছল করছে অর্পিতার চোখে। নিঃশ্বাস ক্রমশ ভারী হয়ে আসছে। কথাগুলো বলতে বলতে থেমে গেলেন রাজিয়া৷ অর্পিতার কথার উত্তরে কিছুই বলছেন না তিনি। গায়ের ওড়নার একাংশ দিয়ে চোখের কোনটা মুছে নিলেন। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন,
– আমার সহ্য হতো না এসব। আমার আর কাননের ঘর থেকে ওদের ঘরের তিনটা রুম স্পষ্ট দেখা যেতো৷ শব্দগুলো শোনা যেতো৷ শেষমেশ অসহ্য হয়ে আমি অন্য রুমে শিফট হয়ে গেলাম। চোখের সামনে এসব কি সহ্য করা যায় নাকি?
– ঐ লোক কিছু বলতো না?
– কখনো বলতো। কখনো বলতো না। চুপ থাকতো৷ আমি আর তোমার আংকেল দুই তিনবার ঐ লোকের কাছে গিয়েছি বাচ্চাটাকে অফিসিয়ালি এডপ্ট করার জন্য। উনি দেয়নি। আর উনার বউ প্রতিবারই যা তা আচরন করতো আমাদের সাথে। তবু যেতাম বাচ্চার জন্য।
– আশ্চর্য! বাচ্চাকে আদর করবে না আবার কারো কাছে দিবেও না। এসব কি ধরনের ঢং?
– আমার কি মনে হতো জানো? বাচ্চাটাকে টর্চার করে মহিলা নিজের মনের জ্বালা মিটাতো। হাজবেন্ড আরেকটা বিয়ে করলে নিশ্চয়ই একটা মেয়ে খুশি হবে না৷ মনে আগুন ধরাটা খুব স্বাভাবিক।
– মনের জ্বালা হাজবেন্ডের উপর মেটাক৷ বাচ্চার দোষ কোথায়?
– এখানে আসার মাস ছয়েকের মধ্যে আমার কৌশিকের সাথে ওর বেশ সখ্যতা হয়ে গেলো৷ প্রায়ই আসতো ছেলেটা আমার বাসায়। আসলে একদম ভালোমতো খাইয়ে দিতাম। কয়েক মাস পর ও আমার বাসায় এসে আর কিছু খেতে চাইতো না। শুরুতে বলে নি। পরে অনেক পীড়াপীড়ি করার পর আমাকে বললো,
আন্টি আপনার বাসায় যে আমি খাই এজন্য মা আমাকে মারে। বাবার সাথে এগুলো নিয়ে আবার ঝগড়াও করে৷ আমাকে দুবেলা আর খেতে দেয় না৷
বিশ্বাস করো অর্পিতা, সেদিন ইচ্ছে হচ্ছিলো ঐ মহিলার দুগালে কষে দুটো থাপ্পর লাগিয়ে আসি। সেদিন তোমার আংকেলকে বললাম দেখো কোনোভাবে ওর মামার বাড়ির খোঁজ পাও কিনা৷ তোমার আংকেল কোত্থেকে যেনো ওর মামার বাড়ির ঠিকানা নিয়ে এলো। আমরা দুজনে মিলে গেলাম ওর নানার বাসায়। অনেকক্ষণ রিকুয়েষ্ট করলাম বাচ্চাটাকে তাদের কাছে রাখার জন্য। ওরা রাখবে না। ওদের কথা হচ্ছে বাচ্চার শরীরে ঐ কুকুরের রক্ত আছে। এসব কুকুর টুকুর এরা ঘরে রাখতে রাজি না।
– ছোট্ট একটা বাচ্চা! ওকে কুকুর বললো কোন হিসেবে?
– মাথার বুদ্ধিতে যতটুকু এঁটেছে ততটুকুই তো বলবে। ছেলেটা ওভাবেই বড় হতে থাকলো। একটু বড় হওয়ার পর বুঝলো সৎ মা আর আসল মায়ের পার্থক্য৷ ঐ মহিলাকে মা ডাকা ছেড়ে দিলো। নিজের মাকে ঘৃনা করা শুরু করলো।
– ওমা! কেনো?
– ওর মা ওকে এমন অবস্থায় রেখে সুইসাইড কেনো করলো এটাই ছিলো ওর সবচেয়ে বড় ক্ষোভ৷ ওর কথা একবারও ভাবলো না৷ প্রায়ই কৌশিককে বলতো দুনিয়াটা খুব স্বার্থপর৷ আমার মা আরও বড় স্বার্থপর।
বড় ভাই দুটো রাস্তাঘাটে ওকে জারজ বলে ডাকতো। মারতো। ওর সৎ মা সারাক্ষণ ওকে ওর মা তুলে গালাগালি করতো। কখনো খাবার পেতো। কখনো পেতো না। বহুবার বলেছি আমার ঘরে এসে খাবি। কখনো খাওয়াতে পারিনি৷ খেতো না। বলতো ঐ মহিলা জানলে আবার ঝামেলা করবে। তবে ওর বাবা জীবনে একটা উপকার ওর করেছে। সেটা হচ্ছে ওকে পড়ালেখা করিয়েছে। ইন্টারে পড়াকালীন সময়ে ওর বাবার বন্ধুর মেয়ের সাথে শুরু হলো প্রেম। ছেলেটার জীবনে তখন একটু একটু রঙ ফিরে আসা শুরু হয়েছে। জীবনের ভালোবাসার ঘাটতিটুকু মেয়েটার কাছ থেকে পুষিয়ে নিতে শুরু করেছে। খুব খুশি থাকতো তখন। দু তিনটা টিউশনি জুটিয়েছিলো। টিউশনির টাকা দিয়ে যা পারতো সব কিনে দিতো মেয়েটাকে৷ প্রচন্ড অসুখী মানুষ যখন একটু সুখ পায় তখন তাদের দেখলে মনে হয় জগতের সবচেয়ে সুখীমানুষ বুঝি ওরাই। ওকে দেখলেও তখন তাই মনে হতো৷ খুব বলতো রাত্রীর কথা৷ রাত্রী এমন, রাত্রী তেমন। কত যে প্রশংসা! বারবার একটা কথাই বলতো, রাত্রী আমাকে খুব ভালোবাসে খালাম্মা। খুব বেশি৷ আমার জীবনে আর কোনো কষ্ট থাকবে না৷ এই তো আর কয়টা বছর। এরপরই গ্র্যাজুয়েশনটা কমপ্লিট করে রাত্রীকে বিয়ে করে নিবো। এখানে আর থাকবো না৷ আমি আমার বউ নিয়ে অন্য বাসা ভাড়া নিবো৷ হতে পারে বাসাটা আমার ছোট হবে, কিন্তু সুখ আর ভালোবাসা থাকবে অনেক৷ রাত্রী বলেছে আমাকে, কখনো আমাকে আর কষ্ট পেতে দিবে না৷ আমরা আমাদের মত করে বাঁচবো। জীবনে যতগুলো অবহেলা আমি পেয়েছি সবটুকু ও পুষিয়ে দিবে৷
আমি শুনতাম আর হাসতাম। কেমন নির্লজ্জের মত ওর প্রেমকাহীনি আমাকে শোনাতো। তবে খুব ভালোও লাগতো ওর চকচকে মুখটা দেখে। খুশি ওর চেহারায় চিকচিক করতো রাত্রীর গল্প আমাদেরকে বলার সময়।
– যাক অবশেষে মানুষটার জীবনে সুখ ফিরে এলো।
– সুখ? শেষটা আগে শুনে নাও।
– মানে কি আন্টি? আরো খারাপ হওয়ার বাকি আছে?
– ওর তখন ইন্টার পরীক্ষার রেজাল্ট মাত্র বের হয়েছে। আমরা পুরো পরিবার মিলে ঢাকার বাহিরে গিয়েছি বিয়ের দাওয়াতে। আমার ভাতিঝির বিয়ে ছিলো৷ আমরা যেদিন গেলাম সেদিন রাতে ওর বাবা সাফ গলায় ওকে বলে দিলো,
তোমার জন্য যতটুক করা দরকার ছিলো করেছি৷ আমার দ্বারা আর সম্ভব না৷ আমার বড় দুই ছেলের নামে আমি সমস্ত প্রপার্টি ট্রান্সফার করে দিয়েছি। ওরা কেও তোমাকে আর এই বাড়িতে রাখবে না৷ শুনেছি রাত্রীর সাথে তোমার সম্পর্ক আছে৷ সামনের মাসে আমার বড় ছেলের সাথে ওর বিয়ে। সে এখন থেকে তোমার ভাবী৷ আজ থেকে ওর সাথে সম্পর্কটা তুমি আরো রাখছো না৷ এই বাড়ির আমরা কেউই আর তোমার সাথে সম্পর্ক রাখতে ইচ্ছুক না৷ তোমার প্রয়োজনীয় যা আছে সব নিয়ে কাল সকালে চলে যেও। আজকে রাতেই গেলে আরো বেশি খুশি হবো।
– অবিচার করার তো একটা লিমিট থাকে আন্টি? মেয়েটা কি রাজি ছিলো বিয়েতে নাকি জোর করে…?
– রাজি ছিলো। মেয়েটা তখন মুহুর্তেই খুব বাস্তববাদী হয়ে গেলো। প্রেমিকের নামে ওর বাবা কিছু দেয়নি৷ বলতে পারো ও তখন একপ্রকার ফকির। দুঃখে জর্জরিত একটা মানুষ৷ আর ওর হবু বরের তো অনেক প্রপার্টি। ওখানে ওর একটা ব্রাইট ফিউচার আছে৷ লোকজনের সামনে পরিচয় দেয়ার মত একটা অবস্থা আছে যেটা ওর প্রেমিকের নেই৷
– ছেলেটার উচিত ছিলো মেয়েটাকে মেরে ফেলা। উনি ঐ মেয়েটাকে কিছু বলেনি?
– জানি না আমি৷ গিয়েছিলো, তবে কি কথা হয়েছে তা জানি না। এসব শোনার মত ধৈর্য্য আমার আর ছিলো না৷ তাই আমি আর সেসব জানতে চাইনি৷
– মেজাজ কতটুকু খারাপ হচ্ছে আপনাকে বোঝাতে পারবো না। মানুষের জীবনটাই কতটুকু? এতটুকু জীবনে এত কষ্ট! মেয়েটা সব জেনে ছেলেটার
সাথে এমন প্রতারণা কিভাবে করলো?
– তোমাকে ওর জীবনের গল্পটা খুব সংক্ষেপে শুনিয়েছি। ওর সমস্ত কষ্টগুলো, অনুভূতিগুলো আসলে আমি পুরোটা বলতে পারবো না৷ বছরের পর বছর অবহেলা পাওয়াটা খুব যন্ত্রণার অর্পিতা। সেটা হয়তোবা তুমি আমি কখনোই ওর মত করে অনুভব করতে পারবো না।
জানো, সেদিন প্রথমে ওর মা ওকেই ছাদ থেকে ফেলতে চেয়েছিলো। এরপর নিজে ঝাঁপ দিতে চেয়েছিলো৷ ওকে রেলিংয়ের বাহির পর্যন্ত এনেছিলোও। পরে আবার কি মনে করে ওকে আর ফেলেনি৷ রেলিংয়ের ভেতর এনে ছাদে দাঁড় করিয়ে নিজে ঝাঁপ দিলো। বাচ্চাটার চিৎকার, ওর মায়ের আত্মহত্যা পুরো ব্যাপারটা কানন দেখেছিলো নিজ চোখে। এখনও পুরো ঘটনাটা প্রায়ই আমাদেরকে শোনায়৷ এখন পর্যন্ত ঐ একটা গল্প হাজারবার শুনিয়ে ফেলেছে আমাদেরকে। গল্প বলার শেষে একটা কথাই বলে,
– মা, ওর জীবনে সুখ কবে আসবে? সেদিন ওর মায়ের সাথে ও মরে গেলেই বোধহয় ভালো হতো!
– উনি এখন কেমন আছে আন্টি?
– তোমার হাজবেন্ড এখন কেমন আছে অর্পিতা?
– মানে?
– গল্পটা আশফাকের।
(চলবে)