#মনের_মানুষ ❤️
#সপ্তম_পর্ব❤️
#কলমে_সাঁঝবাতি 🌸
ফাগুনের রঙে সেজে উঠেছে প্রকৃতি…… পলাশ আর কৃষ্ণচূড়া ফুলের এক আলাদাই সৌন্দর্য্য আছে।আহেলি একদৃষ্টে সারি দেওয়া গাছগুলোর দিকে তাকিয়ে ছিলো…..প্রতিটা গাছ ফুলে পরিপূর্ণ।গাছের তলায় অব্দি ফুলের ছড়াছড়ি…….নিচু হয়ে হাতের মুঠোয় কয়েকটা ফুল নিলো আহেলি!তৎক্ষনাৎ সেটা আবারো উড়িয়ে দিলো হাওয়ায়।
পারফেক্ট……
চমকে উঠে আহেলি পাশে তাকাতেই দেখলো প্রান্তিক হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছে।ওর গলায় ঝোলানো ক্যামেরাটা এখন হাতের মধ্যে বন্দি আর তার লেন্স আহেলির দিকেই…..
“আপনি কি আমার ছবি তুললেন?”
“হ্যাঁ!কোনো আপত্তি আছে নাকি?আসলে আমি ক্যান্ডিড মোমেন্ট ভালো ক্যাপচার করতে পারি,তাই ভাবলাম এতো সুন্দর মুহূর্তটা হাতছাড়া করবো কেনো?”
“কৈ দেখি কেমন তুললেন ফটো?”
আহেলি এগিয়ে আসতেই প্রান্তিক ওর ক্যামেরাটা আহেলির দিকে এগিয়ে দিলো…..ছবিগুলো দেখে আপনাআপনি আহেলির ঠোঁটে হাসি ফুটে উঠলো।যে সময় আহেলি ফুলগুলো ওপরের দিকে ছুড়ে দিয়ে হাসিমুখে সেদিকেই তাকিয়েছিলো,ঠিক সেই মুহূর্তটা বন্দি হয়েছে ক্যামেরায়।
“বাহঃ!আপনি তো দারুন ফটো তোলেন……”
“যাক শেষঅব্দি আমার প্রশংসা শুনলাম আপনার মুখে”
“এরকম সুন্দর সুন্দর ফটো তুললে প্রশংসা না করে থাকা যায়?”
“ওই আর কি।ছোটো থেকেই ফটোগ্রাফির প্রতি নেশা আমার…..তবে ভয়ের চোটে বাবাকে কখনো বলা হয়নি।মোবাইলের ক্যামেরা দিয়েই কাজ চালিয়ে নিতাম প্রথম প্রথম…..আর যখন থেকে নিজে উপার্জন করতে শিখলাম তখন ফটোগ্রাফির কোর্সটা করলাম”
“দারুন ব্যাপার কিন্তু…..আমি তো পড়াশোনা থেকে অন্যদিকে মন দিতেই পারি না।আর আপনি…..একজন ডক্টর হয়ে,এতো কাজ সামলেও ঠিকই নিজের প্যাশনটা ধরে রেখেছেন।”
“সেরকম কোনো ব্যাপার না….তবে আপনার সাথে এভাবে স্বাভাবিক কথাবার্তা হতে পারে এটা আমার ধারণার বাইরে।”
“কেনো?আমায় দেখে কি ঝগরুটে মনেহয়?”
“এইইই একদম না!আসলে সেই প্রথম আলাপ থেকেই তো আপনার সাথে বনিবনা হয়নি তাই আর কি”
“আপনি কোন হসপিটালের ডক্টর?কিছুতে স্পেশালাইজেশন আছে?”
“হুমমমম।ভগবানের দয়ায় আমি মোট দুটো হসপিটালে ডিউটি করি,আর স্পেশালস্ট বলতে গেলে হার্টের ব্যামো সারাই।”
“কিহ?হার্টের ব্যামো?!”
“ইয়েস….সাম্মানিক অর্থে যেটাকে হার্ট সার্জেন্ট বলা হয়।”
প্রান্তিকের কথায় আহেলি হাসতে শুরু করলো।প্রান্তিক নিজেও হেসে ফেললো…আহেলির দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেলো প্রান্তিক।একদৃষ্টে আহেলির হাস্যজ্বল চেহারার দিকে তাকিয়ে রইলো।
সকলে মিলে একসাথে বেরিয়েছিলো ঘুরতে…..বাকিরা আগেই টোটো করে এগিয়ে গেছে।আহেলি আর প্রান্তিক পরের টোটোয় যাচ্ছিলো ওদের সাথেই…..রাস্তার ধারে হঠাৎই আহেলি দাঁড়াতে বলে ড্রাইভারকে তারপর টোটো থেকে নেমে সামনের পলাশ ফুল গাছের দিকে এগিয়ে যায়।প্রান্তিক নিজেও ওর পিছু নেয়…..তারপরই এতো সুন্দর একটা মুহূর্তের সৃষ্টি হয়।
ঘোরাঘুরি করে ক্লান্ত হয়ে সকলে মিলেএকটা হোটেলে এসে বসলো…..সেই সকালে খাওয়ার পর থেকে কারোরই পেটে কিছু পরেনি তাই প্রান্তিক সকলের জন্য লাঞ্চ অর্ডার করলো।কালকে একটা অন্য হোটেলে খাওয়া দাওয়া সেরেছিলো তবে আজ একগাল ভাত মুখে দিতেই আর দ্বিতীয়বার খাওয়ার ইচ্ছা হলো না।রান্নার স্বাদ একেবারেই ভালো নয়…..ওরাও খিদের চোটে ভালো করে খোঁজ না করে সামনে যা পেয়েছে সেখানেই ঢুকে পরেছে।যাহোক করে খাওয়ার পর সকলেই নিরাশ হয়ে বেরোলো……দুপুরের সময় আর না ঘুরে ওরা সকলে মিলে গাছপালা ঘেরা নিরিবিলি জায়গায় বসলো।সকলের প্রথমে সৌমিলি বললো,,,,,
“বিশ্বাস কর ভাই….এতো বাজে রান্না আমি অব্দি করিনা।”
“যা বলেছিস।এরথেকে তোর হাতের ডিমভাজার অনেক টেস্ট…..একেবারে চুমু লেভেলের রান্না”
সপ্তকের কথায় সকলেই হেসে উঠলো।অনুশ্রী ছোট্ট একটা নিশ্বাস ফেলে বললো,,,,
“ইয়ার্কি না করে রাত্রে কোথায় খাবি সেটা ডিসাইড কর….কাল তবু খেয়েছি কিন্তু আজ যা হলো তাতে বোধহয় সন্ধ্যের সময় লাঞ্চ করতে হবে।”
“আমার কাছে একটা আইডিয়া আছে….”
প্রান্তিকের কথায় সকলেই উৎসুক দৃষ্টিতে তাকালো….মুচকি হেসে প্রান্তিক বললো,,,,
“এখান থেকে বেশ কিছুটা দূরে একটা ছোট্ট গ্রাম আছে…..ওখানের লোকগুলো ভীষণরকম ভালো,ওরা আমাদের মতো এতটাও আল্ট্রা মডার্ন হয়নি। আমি যখন সদ্য ডাক্তারি শেষ করেছি তখন প্রথমবারের মতো এসেছিলাম শান্তিনিকেতনে,ঘুরতে ঘুরতে আমি একদম গ্রামের দিকে চলে গেছিলাম….ওখানের সকলের মধ্যে এতো আন্তরিকতা যে কি বলবো।সারাদিন কাটিয়ে সন্ধ্যের সময় যখন ফিরবো তখনই শুনলাম কোনো একটা বাড়িতে একটা বাচ্ছা ভীষণ অসুস্থ্য…..কিন্তু ওর জন্য ডক্টর পাওয়া যাচ্ছে না।আমিই তখন গেলাম ওখানে…..ছেলেটার অসুস্থ্যতা দেখে প্রয়োজনীয় ওষুধের নাম লিখে দিলাম।ছেলেটার বাবা আর মায়ের মুখের দিকে তাকাতেই বুঝলাম ওদের হাতে টাকা নেই…..আমি নিজেই তখন ওখান থেকে বেরিয়ে একজনের সাইকেল নিয়ে বেরোলাম।গ্রাম থেকে অনেকটাই দূরে ওষুধের দোকানটা…..সময়মতো ওষুধ পেতে সুস্থ্য হলো ছেলেটা।ওর বাবা মা তখন পারলে আমায় হয়তো প্রণাম করতো….আমি যত বলি এটা আমারই দায়িত্ব তাও কিছুতেই মানবে না।এমনকি ওনারা আমার থেকে আমার রিসোর্টের এড্রেস চাইছিলেন যাতে পরেরদিন টাকা ফেরত দিয়ে যেতে পারেন……আমি কিছুতেই রাজি না হওয়ায় ওনারা বললেন এরপর থেকে যখনই শান্তিনিকেতন আসবো তখনই যেনো ওনাদের বাড়ি যাই।তারপর থেকে আমি এইনিয়ে মোট পাঁচবার এলাম…..প্রতিবার ওনাদের বাড়ি থেকে ঘুরে আসি।ওই কাকিমার হাতের রান্না অমৃতের মতো…..তোমরা চাইলে আজ সন্ধ্যেটা আমরা সকলে ওখানে যেতে পারি।একটা দারুন অভিজ্ঞতা হবে সাথে ভালো খাওয়াও হবে।এবার তোমরা কি বলবে?”
“আমরা এতজন গেলে ওনাদের সমস্যা হবে না?”
আহেলির প্রশ্নে প্রান্তিক মুচকি হেসে বললো,,,,
“আমি যতদূর জানি হবে না।ওনারা অতিথি আপ্যায়ন করতে ভীষণ পছন্দ করেন…..আমরা নয় বাজার করে নিয়ে যাবো আর রান্নার সময় একটু হেল্প করে দিলেই হবে”
“দ্যাটস গ্রেট!তাহলে আজ সন্ধ্যেটা একেবারে জমে যাবে মনে হচ্ছে”
সপ্তকের কথায় সকলেই উৎসাহিত হয়ে সায় জানালো।
বিকেলে ওরা একটা বাজার থেকে শাক-সবজি আর মাংস কিনলো।তারপর সকলে মিলে প্রান্তিকের সাথে গেলো সেই গ্রামের দিকে।
ওরা যখন খড়ের চাল দেওয়া বড়ো মাটির বাড়ির সামনে উপস্থিত হলো তখন সন্ধ্যে নেমেছে…..একজন মহিলা মাথায় ঘোমটা দিয়ে তুলসী মঞ্চের সামনে প্রদীপ দেখাচ্ছিলেন।কয়েকজন ছেলে মেয়েকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে প্রদীপ রেখে বেড়া দিয়ে তৈরি গেটের সামনে এগিয়ে এলেন…..প্রান্তিক পেছন থেকে সামনে এগিয়ে যেতেই ওই মহিলার মুখে হাসি ফুটে উঠলো।প্রান্তিক সবাইকে দেখিয়ে বললো,,,,,
কাকিমা।এরা আমার বন্ধু…..তুমি তো জানোই বসন্ত উৎসব আমি এখানেই কাটাই।তবে এবার অত্যাচার হয়তো বেশিই হবে তোমার ওপর….তোমার রান্নার প্রশংসা করতেই সকলে আজ রাত্রে এখানে খাবে বললো তাই আমিও নিয়ে এলাম।
খুব ভালো করেছো…..তোমার কাকা মাঠ থেকে এক্ষুনি চলে আসবেন।দাঁড়াও আমি খোকা কে ডাকি….ওতো তোমার কথা সবসময় বলে।
মহিলার ডাকে একটা দশ-এগারো বছরের ছেলে বেরিয়ে এলো ঘর থেকে…..প্রান্তিক কে দেখে ছেলেটি ছুটে এগিয়ে এসে বললো,,,,
“প্রান্ত দাদা তুমি?আমি জানতাম তুমি আসবে….”
“তাই নাকি বাবলু?তা তোমার পড়াশোনা কেমন চলছে?”
“ভালোই।তুমি জানো দাদা এবছর আমি সেকেন্ড হয়েছি…মাত্র দুনম্বরের জন্য আমি ফার্স্ট হতে পারিনি”
“তাতে আর কি বাবলু?ফার্স্ট হওয়া বা সেকেন্ড হওয়াটা কোনো ব্যাপার নয়….তুমি তোমার লক্ষ্যে স্থির থাকলেই হবে।”
আচ্ছা অনেক হয়েছে।প্রান্ত দাদা আর সবাইকে নিয়ে এবার ওপরে এসো দেখি।
মাটির বারান্দায় মাদুর বিছিয়ে দিতেই ওরা সকলে মিলে বসলো…..আহেলির প্রথমে কেমন কেমন লাগছিলো কিন্তু ওই মহিলার নম্র আর বিনয়ী ব্যবহারে আহেলির অস্বস্তিবোধ কেটে গেলো।কিছুক্ষণের মধ্যেই বাবলুর বাবা মাঠ থেকে চাষের কাজ সেরে ফিরলেন এবং সকলকে দেখে অবাক হওয়ার সাথে সাথে ভীষণ খুশি হলেন।উনি তক্ষুনি বাজারে যাচ্ছিলেন কিন্তু প্রান্তিক বাজার করে এনেছে জেনে প্রথমে মনখারাপ করলেও তারপর ওদের আপ্যায়নে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন।
আহেলি তখন ওদের বাড়িটা দেখছিলো…..কিসুন্দর খোলা উঠোন,বেড়ার গায়ে লতিয়ে লতিয়ে লাউ-কুমড়ো শাক গজিয়েছে।একদিকের একটা ঘর থেকে গোরুর ডাক আসছে……আহেলির বেশ লাগছে।একেবারে অন্যরকম একটা অভিজ্ঞতা…..
বাবলু গ্রামের স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে….ওর বাবা চাষের কাজ করেই ছেলেকে অনেকদূর অব্দি পড়াতে চায়।বাবা মা আর ছেলের ছোট্ট দারুন সুখী পরিবারের জলছবি…..বাবলু ওর খাতা বই এনে সকলকে দেখাচ্ছিলো তখন হঠাৎই কিছু একটা মনে পরতে প্রান্তিকের দিকে তাকিয়ে বললো,,,,
“প্রান্ত দাদা আমার চকলেট?”
বাবলুর কথায় প্রান্তিক জিভ কেটে বললো,,,,
“সরি রে বাবলু….একদম ভুলে গেছি।একদম ভুলে গেছি কিনতে।আচ্ছা কাল আমি যাওয়ার আগে ঠিকই কিনে দেবো।”
হঠাৎই আহেলি নিজের ব্যাগ থেকে একটা চকলেট বের করে বাবলুর দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,,,
“তোমার প্রান্তিক দাদা ভুলে গেছে জেনেই আমি এনেছি….আমার থেকে নিতে কোনো অসুবিধা নেই তো?”
বাবলু দুদিকে ঘাড় নেড়ে না জানিয়ে চকলেট নিলো..আহেলি খুশি হয়ে বাবলুর গাল টিপে দিতেই বাবলু বললো,,,,
“আচ্ছা প্রান্ত দাদা..প্রতিবার তুমি একাই আসো আর মা জিজ্ঞাসা করে বউকে নিয়ে কবে আসবে।এবারে তো একজনকে সঙ্গে এনেছো।এরমধ্যে কোনটা তোমার বউ?এইই দিদিটা….যে তোমার হয়ে আমায় চলকেট দিলো?”
বাবলুর কথার বসে থাকা সকলেই অবাক হয়ে গেছে….আহেলি তো কি রিয়েকশন দেবে সেটাই বুঝে উঠতে পারছে না।প্রান্তিক গলা খাকরে বাবলু কে বললো,,,,
“তুই বড্ড পেকেছিস আজকাল…এরকম করলে কিন্তু হবে না।দেখি তো তোর আঁকার খাতাটা…..”
অনুশ্রী আহেলির কানের কাছে সরে এসে ধীর গলায় বললো,,,,
“কি অবস্থা রে?ঋষভদা জানলে কি হতো?তার হবু বউকে অন্যকারোর বউ বানিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
অনুশ্রীর কথায় আহেলি হাসলো।বাবলুর ড্রয়িং খাতা দেখার ফাঁকে আড়চোখে আহেলি কে দেখে প্রান্তিক নিজেও ঠোঁট কামড়ে হাসলো।
🌸🌸🌸🌸
“ঋষভ প্লিস!!আরেকবার….আরেকবার লাস্ট একটা চান্স দাও আমায়।”
“এটা হয় না শ্রেয়া।আমি অলরেডি কমিটেড…”
“সো হোয়াট?তুমি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলোতো…..আমায় তুমি সত্যিই ভুলে গেছো?আমায় আমার ভুলের এতো বড়ো শাস্তি দিও না।”
“ট্রাই টু আন্ডারস্ট্যান্ড শ্রেয়া…..আমার আর তোমার মধ্যে যে সম্পর্ক ছিলো তা অনেকদিন আগেই শেষ হয়ে গেছে।তুমি আজ ইন্দ্রের কাছে ঠকেছো বলেই আমার কাছে ফিরে আসতে চাইছো।এভাবে হয় না…..আমি আহেলি কে ভালোবাসি।”
“ব্যাস অনেক হয়েছে।আমি অন্যকোনো মেয়ের নাম শুনতে চাই না তোমার মুখে…..তুমি একবার আমার দিকে তাকাও ঋষভ।আই লাভ ইউ…..একবার আমায় তোমায় ভালোবাসার সুযোগ দাও।প্লিস”
“শ্রেয়া দিস ইস টু মাচ….আমায় ডেকে তুমি এসব বলবে জানলে আমি কখনো আসতাম না।”
“তাই নাকি?তাহলে আমার অসুস্থ্যতার কথা শুনেই ছুটে এলে কেনো?কারণ তুমি এখনো আমায় নিয়ে ভাবো….মাঝের দূরত্ব যতই হোক না কেনো তুমি আজো আমাকেই ভালোবাসো।আহেলিকে বিয়ে করছিলে হয়তো আমায় মন থেকে মোছার জন্যই।”
শ্রেয়ার কথায় ঋষভ অন্যদিকে তাকালো…..শ্রেয়া এগিয়ে এসে ঋষভের বুকে মাথা রেখে বললো,,,,
আর আমায় কষ্ট দিও না ঋষভ…..আমি কিন্তু উল্টোপাল্টা কিছু করে ফেলবো।
নাহ…..
ঋষভের উত্তেজিত কন্ঠ শুনে হাসি ফুটে উঠলো শ্রেয়ার মুখে।
চলবে………