মনের_অন্দরমহলে পর্ব ৩১

মনের_অন্দরমহলে পর্ব ৩১
#আনিশা_সাবিহা

–“একটা কথা বলো তো আকাশ! অন্যসময় যখনই আমার এসব ইনজেকশন আর মেডিসিনের প্রয়োজন পড়েছে তখনই তুমি পাবলিক প্লেসে স্বাভাবিকভাবে এসব আমাকে দিয়ে চলে গেছো। আজকে হঠাৎ করে এমন ডিজগাস্টিং জায়গায় ডাকলে কেন? ইউ নো না? আমি অপরিষ্কার আর নোংরা জিনিস পছন্দ করি না?”

আয়াশের এমন প্রশ্নে আকাশ নামক লোকটি খানিকটা থতমত খেয়ে তাকালেন সেটা আমি বেশ বুঝতে পারছি। তারপরই যেন নিজেকে ধাতস্ত করে বললেন,
–“এটা আমার দাদুর ফ্যাক্টরি। এদিকে আমার কিছু কাজ ছিল তাই ভাবলাম তোমাকেও এখানেই ডেকে নিই।”

–“অন্যসময় হলে আমি আসতাম না। এটা আমার প্রয়োজন ছিল বলে এসেছি। আর তুমি আমার কলেজ লাইফের ফ্রেন্ড সেকারণে আজ কিছু বললাম না। পরের বার থেকে এমন জায়গায় ডাকার সাহস করবে না। কথাটা যেন মাথায় থাকে।”

–“ঠিক আছে। কিন্তু তুমি একটা কথা বলো! তোমাকে খুঁড়িয়ে আসতে দেখলাম। আবার শার্টে কীসের যেন দাগ দেখছি। কি হয়েছে?”

আয়াশ নিজের শার্টের দিকে তাকান। কফির দাগ শার্টে। আর পায়ে তো কাঁচের টুকরো এখনো লেগেই রয়েছে। উনি অপরিচ্ছন্নতা একদমই পছন্দ করেন না। তাই শার্টে কফির দাগ দেখে চোখমুখ জড়িয়ে ফেলে বললেন,
–“ইয়াক! কফি পড়ে গিয়েছিল গায়ে। আর পায়ে কাঁচ লেগেছে।”

–“তুমি এই অবস্থাতে এসব নিতে চলে এসেছো আয়াশ?”

–“তো? কি করতাম আমি? তুমি জানো আমার মাথা যন্ত্রণায় ছিঁড়ে যায়। টেল মি ওয়ান থিং! এই মাথাব্যাথার একবারে শেষ করে দেওয়ার কি কোনো উপায় নেই?”

আয়াশের কন্ঠে কাতরতা স্পষ্ট উপলব্ধি করতে পারছি আমি। উনি যন্ত্রণায় ভেতরে ভেতরে যে কতটা ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যাচ্ছেন সেটা স্পষ্ট বুঝতে পারছি। ইচ্ছে করছে উনার কাছে ছুটে যেতে। আর উনাকে জড়িয়ে ধরে বলতে, ‘আপনি কষ্ট পাবেন না আয়াশ। এর নিশ্চয় কোনো সমাধান আছে। সৃষ্টিকর্তা সবকিছুরই সমাধান দিয়েছেন।’

কিন্তু তা আর হলো না। আমাকে এখানেই ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকতে হলো। আকাশ নামক ব্যক্তিটির উত্তরের অপেক্ষা করলাম আমি। দেখি লোকটা কি উত্তর দেয়! আকাশ বলে ওঠেন,
–“এটা আমি বলতে পারছি না। কারণ তোমার এই মাথাব্যাথা স্বাভাবিক নয়। তবে এই ইনজেকশন নিতে থাকো। ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে।”

বলেই একটা অদ্ভুত হাসি দিলেন ওই আকাশ। সেটা আয়াশের নজরে না পড়লেও আমার নজরে ঠিকই পড়ল। আয়াশ তো উনার হাতে থাকা ব্যাগ ঘাঁটাঘাঁটি করতে ব্যস্ত। তবে হাসিটা আমার সুবিধার মনে হলো না। আচমকা আয়াশ বলে উঠলেন,
–“তোমার বাবার সাথে দেখা করতে চাই আমি। উনাকে প্রশ্ন করতে চাই।”

–“অ…অন্যদিন। তুমি তা…তাড়াতাড়ি যাও। তোমার পায়ে লেগেছে। আমারও কাজ আছে।”

–“অন্যদিন নয়। আমি যেদিন বলব সেদিনই। মাইন্ড ইট।”
বলেই সেখান থেকে হনহন করে বেরিয়ে গেলেন আয়াশ। আমি এখনো সেখানেই দাঁড়িয়ে। বুঝতে পারছি না এটা ঠিক কীসের ইনজেকশন। এখানে এসেও বিশেষ কোনো লাভ হলো না আমার।

আকাশের চেহারা কেমন জানি ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছে। তার কারণ বুঝতে পারছি না আমি। তবে আমি নিশ্চিত আয়াশের এই মাথাব্যাথার দুর্বলতাকে কায়দা করে অন্য কোনো অপব্যবহার করা হচ্ছে। এমন কিছু আয়াশকে দেওয়া হচ্ছে যেটা উনার জন্য একেবারেই ঠিক নয়।

মুখটা বিষণ্ণ করে পা বাড়ালাম বাইরের দিকে। আমি ভুল না হলে আয়াশ এখন বাড়ির দিকেই যাবেন। আর আমাকে না পেলে উনি কি করতে পারেন তা জানা বাকি নেই। দুইধাপ ফেলতেই ফোনের রিংটোন বেজে ওঠায় খানিকটা হকচকিয়ে তাকালাম আকাশের দিকে। আকাশ ফোনটা রিসিভ করেই পৈশাচিক হাসি দিয়ে বলে উঠলেন,
–“কাজ হয়ে গেছে। আয়াশকে ড্রাগ দিয়ে দিয়েছি। বাকিটা আয়াশ নিজে করবে। নিজে নিজের শরীরে পুষ করবে।”

আঁতকে উঠলাম আমি। নিমিষেই যেন আকাশ থেকে পড়লাম। চোখে রাজ্যের ভীতি সঙ্গে বিস্ময়। আয়াশ ড্রাগ নেন তবে? ভাবতেই কেঁপে উঠল ভেতরটা। মুখ দুইহাত দিয়ে চেপে ধরে দাঁড়িয়ে আছি। আবার আকাশের কথা কানে এল,
–“বাট একটা সমস্যা! ও আমার বাবা আই মিন আয়াশ জানে এই মেডিসিন আমার বাবা রেকমেন্ড করেছে তাই ও বাবার সঙ্গে দেখা করতে চায়। তাও যেকোনো দিন!”

মস্তিষ্ক এবার শূন্য হয়ে পড়ল। চারিদিকে দিশেহারা লাগল নিজেকে। যা শোনার শুনে নিয়েছি। এখানে থাকা মানে যেকোনো সময় ধরা পড়ে যাব। ভয়ের চোটে এবার পা টিপে টিপে না গিয়ে দ্রুত ছুটেই পালিয়ে এলাম।

ধড়ফড়িয়ে একটা অটো ধরে উঠে পড়লাম আমি। এখনো মুখ চেপে ধরে আছি। চোখেমুখে অজস্র ভয়ের ছাপ! এখন যেকোনো ভাবে আয়াশকে ওইসব ড্রাগস নেওয়া থেকে আটকানো দরকার নয়ত এর ফল অনেকটা মারাত্মক হতে পারে। হতে পারে আমি উনাকে হারিয়ে ফেললাম তাও চিরতরে! ভাবতেই মাথা ঝাঁকালাম জোরে জোরে। বড় বড় শ্বাস নিয়ে শান্ত করতে থাকলাম নিজেকে।

এপার্টমেন্টে পা রাখতেই সামনে পড়লেন স্বয়ং আয়াশ। থমকে গেলাম ভয়ে উনাকে দেখে। চোখমুখের রঙ বদলে লাল হয়ে গিয়েছে আয়াশের। কপালে ভাঁজ ফুটে উঠেছে তার মধ্যে রগ ফুলে উঠেছে। আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে উনি বেশ শান্ত গলায় বললেন,
–“কোথায় গেছিলে?”

–“আ…আমি ওই বা…বাইরে….”

–“বাইরে কোথায়? তখন নিচে নেমেছিলে বাইরে যাওয়ার জন্য? আর ফুলকিকে কি বলে গেছো? আমার সঙ্গেই তুমি যাচ্ছো?”

আয়াশ কথাগুলো শান্ত কন্ঠে আওড়ালেও সুরে রয়েছে বেশ হিংস্রতা। আমি শুধু এদিক ওদিক তাকাচ্ছি আর ভাবছি যে আসল কথা বললে কি উনি বিশ্বাস করবেন?

–“কার সঙ্গে দেখা করতে গেছিলে?”

–“কারো সঙ্গে নয় আয়াশ। আমি তো শুধু…”

–“নীলাদ্র?”
আমাকে থামিয়ে দিয়ে আবারও নীলাদ্রের নামটা উচ্চারণ করতেই আঁতকে উঠে তাকালাম। আমাকে আর কোনো কথা বলার সুযোগই দেওয়া হলো না। আমার হাত টেনে ধরে হাঁটতে শুরু করলেন আয়াশ।

–“আয়াশ শুনুন!”

আমার ডাকলে উনি থেমে আমার দিকে রক্তচক্ষু নিয়ে তাকান।
–“কি শুনব বলো? তুমি মিথ্যা বলে কেন বেরিয়েছিলে বলো? সত্যি বলে বের হলে আমি বুঝতাম।”

–“আপনিও তো মিথ্যে বলে বেরিয়েছেন। আমি জানি আপনি কোনো হাওয়া খেতে বের হননি। অন্য কোথাও গেছিলেন।”

আমার হাত আরো জোরে চেপে ধরলেন আয়াশ। কপাল জড়িয়ে এলো আমার। চোখ বন্ধ করে ফেললাম আমি। আয়াশ সেটা দেখে হয়ত হাত আলগা করে দিলেন।
–“কি জানো তুমি?”

আমাকে হিসহিসিয়ে জিজ্ঞেস করলেন আয়াশ। আমি প্রতিত্তোরে বললাম,
–“ঘরে চলুন।”

–“না আগে বলো। কি জানো তুমি?”

–“আগে ঘরে যাবেন? এখানে অনেকে যাওয়া-আসা করে।”

আয়াশ আর কথা বাড়ালেন না। লিফটে উঠে ঘরে এলাম আমরা। ঘরে আসতেই আমার সামনেই ইনজেকশন হাতে তুলে নিলেন আয়াশ। ইনজেকশনের সিরিজ হাতে নিয়ে বললেন,
–“আগে নিজের মাথাব্যাথা ঠিক করে নিই। তারপর তোমার সঙ্গে কথা বলছি।”

সঙ্গে সঙ্গে ইনজেকশন হাতের কাছে নিয়ে যেতেই ঝড়ের গতিতে গিয়ে সেটা ছিটকে ফেলে দিতেই রক্তিম চোখে তাকালেন উনি আমার দিকে। রাগে কাঁপতে কাঁপতে চারিদিকে চোখ বুলিয়ে গর্জন দিয়ে উঠলেন উনি,
–“এই মেয়ে? কি সমস্যা তোমার? আমি চাইছি না কোনো খারাপ কিছু ঘটুক তোমার সঙ্গে সেটা বুঝছো না? এমনটা কেন করলে?”

–“ওটাতে ড্রাগস আছে আয়াশ। আপনি ওটা নেবেন না তাহলে সমস্যা হবে আপনার।”

ভ্রু কুঁচকে স্তব্ধ হয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন উনি। তৎক্ষনাৎ ধমকে উঠলেন।
–“হোয়াট দ্যা হেল! কি আজেবাজে কথা শুরু করেছো? ড্রাগস কোথা থেকে আসবে এখানে? পাগল হয়েছো? নাকি তুমি কোথায় গেছিলে সেই প্রসঙ্গ পাল্টাতে এসব বলছো?”

–“আমি আপনি যেখানে গেছিলেন সেখানেই গেছিলাম। যার কারণে আজকে সব পরিষ্কার। আপনি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন সেটা বোঝার চেষ্টা করুন।”

আয়াশ অবিশ্বাস্য চোখে তাকালেন আমার দিকে। যেন আমি কোনো মনগড়া কথাবার্তা বলছি। কিন্তু আদোও তা নয় সেটা আমি কি করে উনাকে বোঝাব। আয়াশ আমার কপালে হাত দিলেন। তারপর হাত সরিয়ে নিজের কপালে হাত রাখলেন। অতঃপর বললেন,

–“তোমার তো শরীর খারাপও হয়নি। কিসব উল্টাপাল্টা বকে চলেছো? তুমি কি জানো কলেজে নিজের লাইফ নিয়ে আমি কতটা ডিপ্রেসড হয়ে পড়েছিলাম? বাঁচার ইচ্ছেটা মরে গেছিল। কারণ যতটুকু ধোঁয়াশা ছিল সবটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। সবসময় সিগারেট খেতাম নয়ত মদের নেশায় ডুবে থাকতাম। আমাকে রিহাবে পর্যন্ত পাঠানো হয়। আমি সেখান থেকে বের হওয়ার পর অতিরিক্ত টেনশন আর ডিপ্রেশনে মাথাব্যাথা করত। সারাদিন খিটখিটে মেজাজে থাকতাম। চিৎকার করতাম সবসময়। তখন আকাশের সাথে আমার পরিচয় হয়। আর সে আমাকে ইনজেকশন দিতে বলে। আমি প্রথমে না চাইলেও দিয়ে ফেলি যাতে অন্তত মাথা যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে পারি। আর কাজ হয় তাতে। আজ যদি আমি সুস্থ থাকি তাহলে আকাশের কারণে।”

আমি সবটা মনোযোগ দিয়ে শুনলাম। তারপর বেশি কিছুক্ষণ চুপ থাকলাম। আয়াশের মুখের দিকে চেয়ে থাকলাম। আজকে উনার চোখেমুখে আমার থেকে নিজের বন্ধুর প্রতি বিশ্বাস আমার অসহ্য লাগছে। উনি আমাকে অবিশ্বাস করছেন? এটা ভাবতেই রাগে ফেটে পড়লাম আমি। বিদ্রুপাত্মক সুরে বললাম,

–“আপনার মাথাব্যাথা আর আপনার ডিপ্রেশন এটারই সুযোগ নিয়েছে আপনার প্রাণপ্রিয় বন্ধু আকাশ। কারণ যেসব মানুষ অতিরিক্ত ডিপ্রেসড থাকে তাদের মাথায় তখন কিছুই থাকে না। কোনটা ভালো কোনটা খারাপ সেটা ভুলে যায়। বাচবিচার করতে ভুলে যায়। আর এসবের সৎ ব্যবহার করে আকাশের মতো মানুষজন। এভাবেই মানুষ ড্রাগ এডিক্টেড হয়। আপনিও হয়েছেন। আপনার চিকিৎসা দরকার।”

–“প্রথমত তুমি আমায় অবিশ্বাস করেছো। যার কারণে আমাকে ফলো করতে করতে তুমি সেই পর্যন্ত গেছো। কেন করছো এমন? আমাকে কি ইনজেকশন না দিয়ে অসুস্থ করে মেরে ফেলতে চাও তুমি? তাহলে তো তুমি নিজের প্রেমিকের সঙ্গে পালাতে সক্ষম হবে রাইট?”

অনুভূতি শূন্য হয়ে গেল আমার ভেতরটা। আয়াশ এমন কথা কি করে বলতে পারলেন সেটা ভেবেই মাথার ভেতরটা ফাঁকা হয়ে গেল। চোখে ইতিমধ্যে অশ্রু এসে হানা দিয়েছে। বারবার কান্না রোধ করতে ঢোক গিলে চলেছি। আয়াশ আমার কানের নিচে ঘাড় দিয়ে চুলের ভেতরে হাত দিয়ে নিজের মুখ কাছে নিয়ে এসে বলেন,
–“কি ঠিক বলেছি তো আমি? বলো? যদি তাই হয় তাহলে শুনে রাখো আমি মারা যাবার আগে কিন্তু তোমায় খুন করব নিশাপাখি! তবুও তোমায় কারো হতে দেব না। কারো মানে কারোর নয়।”

বলেই আমায় ধাক্কা দিয়ে একপ্রকার ছুঁড়ে ফেললেন উনি। আমি হতবাক হয়ে তাকিয়ে রয়েছি। মুখ দিয়ে কোনো শব্দ বের হচ্ছে না। শুধু মন বার বার এক কথা বলে যাচ্ছে যে এই আয়াশকে আমি চিনি না। উনি অন্য আয়াশ। যেই আয়াশ সবসময় আমার পরোয়া করেন, আমাকে সবথেকে বেশি বিশ্বাস করেন সেই আয়াশ ইনি নন।

কোনোমতে আমি উঠে দাঁড়ালাম। সামনের চুলগুলো পেছনদিকে ঠেলে দিয়ে কান্না দমন করে অস্পষ্ট গলায় বললাম,
–“একমুহূর্তের জন্য নিজের বন্ধুর চেয়ে আমায় বিশ্বাস করে দেখতে পারতেন। আজকে আমার থেকে আপনার কাছে আপনার ওই বন্ধু বড়। ভালোবাসার মানুষকে বিশ্বাস করতে জানতে হয়। আপনাকে বলার ছিল তাই বললাম। বাকিটা সিদ্ধান্ত যে আপনি কাকে বিশ্বাস করবেন।”

বলেই ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে চলে এলাম আমি। যাওয়ার আগে ওই ইনজেকশনের ব্যাগটাও হাতে করে নিয়ে এলাম। কিন্তু কেন নিয়ে এলাম তা জানি না। লোকটা এতোটা হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলবেন ভাবতে পারিনি। শুধু কান্না আসছে আমার।

সূর্য ঢলে পড়ে নিখোঁজ হয়েছে অনেকক্ষণ। বেশ রাত হয়েছে বলা যায়। আমি সেই দুপুর থেকেই কাঁচের বারান্দায় বসে রয়েছে। যেখানে রাখা আছে পিয়ানো। আমি কাঁচের সঙ্গে মাথা ঠেকিয়ে বসে আছি। বার বার ইনজেকশন হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখছি। সকাল থেকে একবারও খাবার মুখে দেওয়া হয়নি। খাওয়ার ইচ্ছেও হারিয়েছে। আয়াশ কি করছেন তাও অজানা। আমার কাছে একবারের জন্যও আসেননি।

জোনাকি পোকার আগমন ঘটছে মাঝে মাঝে। সেদিকে লক্ষ্য করতেই একজোড়া শক্ত হাত আমার কোমড় পেঁচিয়ে ধরল।

চলবে….

[বি.দ্র. আজকে গল্প দেওয়ার কোনো ইনটেনশন ছিল না। তবুও লিখে দিলাম। প্রবলেম থাকাতে লিখতে রাত হয়ে গেল বেশি। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here