মনের_অন্দরমহলে পর্ব ৩৫
#আনিশা_সাবিহা
ধীর পায়ে কেবিনে প্রবেশ করতেই মৃধা এক পুরুষের সুন্দর কন্ঠে এতো গাম্ভীর্যতা দেখে মৃদু কেঁপে উঠল। দুরুদুরু মন নিয়ে সামনে ডিস্কে থাকা নিজের স্বপ্নের পুরুষকে দেখে কাঁপুনি বেড়ে গেল। এই প্রথম সে তার স্বপ্নের পুরুষকে সামনা-সামনি দেখছে ভাবতেই তার হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছে। বুকে আলতো থুথু ছিটিয়ে চোখ বড় বড় করে তাকাল পুরুষটির দিকে। সাদা রঙের ফুল হাতা শার্টের হাতা আলতো করে ওপরদিকে জড়িয়ে রাখা। মাথায় এক সাইডে কালো চুলগুলো রেখে দেওয়া। নাকের মাথায় তিলটা জ্বলজ্বল করছে। ঠোঁটজোড়া হালকা গোলাপির মাঝে কালো কালো ভাবটা এসেছে! খাঁড়া নাকে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে আছে। মৃধা সামনের মানুষটাকে দেখে আরেক দফা ক্রাশ খেয়ে বসল। পলকহীন চোখে যখন আয়াশকে মৃধা দেখেই যাচ্ছিল তখনই আয়াশের ধমকানি শুনেই ভয়ে চমকে উঠল।
–“জুহায়ের? এতো বছর আমার সাথে কাজ করেও আমায় চিনলে না? একটা মেয়েকে নিয়ে এলে আমার এসিস্ট্যান্ট বানাতে? তুমিও যাও সঙ্গে তোমার ভালো রেজাল্ট করা মেয়েটাকেও নিয়ে যাও। আমার কোনো এসিস্ট্যান্ট দরকার নেই। আই উইল ম্যানেজ।”
বলেই চশমাটা ড্রয়ার থেকে বের করে চোখে পড়ে নিল আয়াশ। বিরক্তিতে তার চোখমুখ হালকা কুঁচকে রাখা। চশমা পড়াতে যেন অন্যরকম আয়াশ হয়ে উঠল মৃধার চোখে। আরো বেহায়ার ন্যায় কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে গলা খাঁকারি দিয়ে এক বুক সাহস নিয়ে দুইপা এগিয়ে এলো। এতদূর এসে সে ফিরে চলে যাবে? কখনোই না!
–“স্যা…স্যার, আমি জাস্ট একটা সুযোগ চাই। শুধু একটা প্লিজ। আমি আপনাকে নিরাশ করব না। আমি নিশ্চয় আপনার মন জয় করে নেব।”
আয়াশ মাথা তুলে মৃধার কথায় তীক্ষ্ণ চোখে তাকালো। ওর তাকানোর মানে বুঝতেই ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল মৃধা। জ্বিহ্বা কেটে বলল,
–“সরি স্যার। আমি বলতে চাইছিলাম যে কর্মক্ষেত্রে আপনার মন জয় করে নেব।”
–“বাট আই ডোন্ট নিড ইউ। আমি নিজের স্বার্থ ছাড়া এক পাও এগোই না বা কাউকে নিজের কাজে যুক্ত করি না। অ্যান্ড ওয়ান মোর থিং, কনফিডেন্স ভালো বাট ওভার কনফিডেন্স ভালো নয়। গট ইট? নাউ ইউ মে গো!”
আয়াশের কড়া কড়া কথা শুনে নিমিষেই মুখ ফ্যাকাশে হয়ে এল মৃধার। তার স্বপ্ন এভাবে ভেঙে খান খান হয়ে যাচ্ছে ভাবতেই কেমন জানি লাগল তার। অতঃপরই কিছু একা ভেবে দাঁত কেলিয়ে বলল,
–“স্যার আপনি যদি নিজের স্বার্থ ছাড়া না-ই নড়তেন তাহলে এতোগুলো কেস লড়ে ভালোদের সঙ্গে থেকে তাদের জাস্টিস পাইয়ে দিতেন না।”
আয়াশের দৃষ্টি আরো তীক্ষ্ণ হয়। অন্যদিকে তাকিয়ে স্পষ্ট জবাব দেয়,
–“এখানেও আমার অনেক বড় স্বার্থ জড়িয়ে আছে। যেটা তুমি বুঝবে না। আর জুহায়ের তুমি কি একে নিয়ে যাবে?”
জুহায়ের এর দিকে ভ্রু কুঁচকে বলে আয়াশ। জুহায়ের মৃধার দিকে তাকায়। মৃধাও অসহায় চোখেমুখে তাকিয়ে বুঝিয়ে দেয় যে সে অনেক আশা নিয়ে এখানে এসেছে। জুহায়ের এবার আয়াশের দিকে তাকিয়ে ঠোঁট উল্টে বলে,
–“ও স্যার? প্লিজ একবার সুযোগ দিয়ে দিন। আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি আপনি নিরাশ হবেন না।”
–“জুহায়ের, তুমি অলওয়েজ আমার সঙ্গে কাজের সময় বলতে তুমি রাইট টাইমে এন্ট্রি নেবে গ্যারান্টি! এই গ্যারান্টি কি কখনো কাজে লেগেছে? কখনো কি আসতে পেরেছো টাইমে?”
–“না স্যার।”
আয়াশের প্রশ্নে মাথা চুলকে জবাব দেয় জুহায়ের। আয়াশ নিজের চেয়ারে বেশ আয়েশ করে বসে বলে,
–“তাহলে তুমি ভাবলে কি করে এবারও তোমার গ্যারান্টি টিকবে?”
জুহায়ের কিছু বলতে উদ্যত হলেই আয়াশ ইশারায় থামিয়ে দিয়ে বলে,
–“নো মোর এক্সকিউজ। তুমি যাও আর ওকেও যেতে বলো।”
মৃধা চোখমুখ কালো করে ফেলল। তার স্বপ্ন কি পূরণ হবে না? আর যাই হোক তার স্বপ্নের পুরুষের সঙ্গে কাজ করলে তার মনটাতে প্রশান্তি বয়ে যেতো। অন্ততপক্ষে মানুষটাকে তার চোখের সামনে দেখতে পেতো। সে শুধু চায় আয়াশকে দেখতে আর মাঝে মাঝে কথা বলতে এবং তার কথা শুনতে। আয়াশ ধমকে কথা বললেও তার প্রবলেম নেই। তার কানে সেটাই সুমিষ্ট হয়ে ঠেকবে। এই ভেবে মুচকি হেঁসে তাকায় আয়াশের দিকে মৃধা। তৎক্ষণাৎ নিজের মাথায় টোকা মেরে মনে মনে বলল,
–“ওহ হো মৃধা! এতো এক্সট্রা ভাবিস কেন আগে? স্যাট তো তোকে রাখতেই চাইছে না। আগে স্যারকে মানা তো!”
এই ভেবেই আরো দুইধাপ এগিয়ে আসে সে। এক নিশ্বাসে মনে যা এল গড়গড় করতে বলতে শুরু করল।
–“স্যার, আপনার সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে আমার অনেকদিনের। এমনকি আমার ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার ইচ্ছে ছিল কিন্তু হইনি শুধু আপনার জন্য। মানে আপনাকে দেখার পর থেকে লইয়ার হওয়ার ইচ্ছেটা জাগল। আপনার সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে থেকেই আমি LAW নিয়ে পড়ছি। প্লিজ, প্লিজ, প্লিজ স্যার আপনি যা বলবেন আমি তাই করব। এমনকি আপনি যদি বলেন রাত জেগে কাজ করতে সেটাই করব। যখন আপনি ডাকবেন তখনই ছুটে আসব। সেটা যদি আপনার বাড়ি হয় তবুও চলে যাব। আর দরকার পড়লে আপনার সকল যাবতীয় কাজ আমি করে দেব। আর…”
এতো কথা বলার পর থামল মৃধা। সে আর কিছু খুঁজে পাচ্ছে না। মাথার চুলে হাত বুলাতে বুলাতে অসহায়ের মতো আয়াশের দিকে তাকাতেই তার রাগি চোখজোড়া দেখে ভড়কে ওঠে মৃধা। বোকা বোকা হাসার চেষ্টা করেও যেন পারে না। আচ্ছা সে কি কোনো ভুল কিছু বলে ফেলেছে? সে কি কি বলেছ সেসব মনে করতে থাকল। তারপরই নিজের চোখ বড় বড় করে ফেলল সে। কাঁদো কাঁদো হয়ে তাকালো আয়াশের দিকে।
আয়াশ চোয়াল শক্ত করে জুহায়ের এর দিকে তাকালো। জুহায়ের কাঁচুমাচু হয়ে তাকিয়ে আছে। আয়াশ মৃধার দিকে ইশারা করে দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
–“লুক এট হার! এতো বাচাল মেয়ে কোত্থেকে পেলে তুমি? এইজন্যই মেয়েদের পছন্দ নয় আমার। কাজ কম কথা বেশি বলে। চলে যেতে বলো ওকে।”
বলেই চশমা খুলে রেখে চোখের দুটো কোণায় আঙ্গুল রেখে চোখ বন্ধ করল আয়াশ। সে কথাগুলো বেশিই জোরে বলে ফেলেছে। একে তো এতো কম্পলিকেটেড কেস। তার ওপর এমন এসিস্ট্যান্ট। এমন হলে সে এই কেস জিততে পারবে না। আয়াশ আর যাই হোক হার মেনে নিতে পারবে না। জুহায়ের মৃধার দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়ায়। এর অর্থ হলো সে আয়াশকে মানাতে ব্যর্থ হয়েছে।
মৃধার চেহারায় ভেসে ওঠে মলিনতার ছাপ। একটু হলে কান্নাই করে ফেলতে সময় লাগবে না তার। সেই মূহুর্তেই রুম থেকে বেরিয়ে যেতে নিলেন আয়াশ আচমকা পিছু ডাকে।
–“লিসেন!”
মৃধা অনুভূতি শূন্য হয়ে পিছু ফিরে তাকায়। চোখে পানি টলটল করছে তার। আয়াশ হাত বাড়িয়ে থমথমে কন্ঠে বলে,
–“তোমার ফাইলটা দেখি।”
মৃধা আগপাছ না ভেবে ফাইলটা এগিয়ে দেয়। ফাইলটা নিয়ে খুলে ফাইলে চোখ রাখে আয়াশ। মৃধার প্রত্যেকটা রেজাল্ট ভালো করে দেখতে থাকে। রেজাল্টগুলো দেখে বেশ হতবাক হয় সে। জুহায়ের এর থেকেও তার রেজাল্ট বেশ ভালো। এখন কি করা উচিত ভাবতে থাকল সে। বেশ কিছুক্ষণ ভেবে মৃধার দিকে তাকিয়ে বলে,
–“ইউ আর সিলেক্টেড মিস. মৃধা! বাট খুব হ্যাপি হওয়ার দরকার নেই। কারণ এই কেসটাতে তোমায় আমি দেখব। তুমি কেমন কাজে সেটা আমি ফলো করব। তাহলে তুমি পারমেন্টলি আমার এসিস্ট্যান্ট হতে পারো।”
এতটুকুই যথেষ্ট ছিল মৃধার মুখে খুশির রেখা টানার জন্য। সে খুশিতে আত্মহারা হয়ে জোরে বলে উঠল,
–“ইয়াহু! আই গট ইট।”
বলেই মুখ চেপে ধরে সে। নিজের ওপরই বেশ রাগ হয় তার। কেন যে মাঝে মাঝে এমন বেক্কলের মতো কাজ করে কে জানে! আয়াশ নিজের ভ্রুকুটি কুঁচকে ফেলেছে। তা দেখে মৃধা মাথা নিচু করে বিনয়ের সুরে বলল,
–“সরি স্যার। আই এম এক্সট্রেমলি সরি। এক্সাইটেড হয়ে পড়েছিলাম।”
–“বি সিরিয়াস। আর একটা কথা! কথা কম আর কাজ বেশি আন্ডারস্ট্যান্ড?”
–“ইয়েস স্যার। আই আন্ডারস্ট্যান্ড। দরকারের আগে মুখই খুলব না।”
হাসি মুখে বলে মৃধা। তার মনে বইছে আনন্দের ঢেউ। গান গাইতে ইচ্ছে করছে, ‘আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে!’
কলেজ থেকে এপার্টমেন্টে সবেমাত্র ফ্লাট খুলে ঢুকলাম আমি। ক্লান্তি মাখা চোখমুখ নিয়ে আশেপাশে তাকালাম। আমি ছাড়া কেউ নেই এখানে। কিন্তু কারো অনুপস্থিতিতেও এক ব্যক্তিত্বের অস্তিত্ব বাতাসে মো মো করে। এখানকার প্রতিটা কোণায় আয়াশের অস্তিত্বের প্রমাণ দেয়। সার্বক্ষণিক মনে হয় না থেকেও যেন উনার চোখজোড়া আমার ওপরেই। কিন্তু উনি নেই। এসব ভাবতে ভাবতে নিজের ভাবনা ও মস্তিষ্ক পাগল করে ফেললাম আমি। দ্রুত মাথা নাড়িয়ে হেঁসে দিয়ে বললাম,
–“ওহ হো আনিশা! কি হয়েছে তোর? আজকাল এমন চিন্তাভাবনা কেন তোর? তোর প্রতিটা শব্দে আয়াশের বিচরণ কেন? তার প্রতি মত্ত হয়ে যাচ্ছিস? পাগল হয়ে যাচ্ছিস তার ভালোবাসায়?”
বলেই আয়নার দিকে চোখ রাখলাম আমি। কয়েকদিন নিজেকেও অন্যরকম লাগে। যেন আমার অস্তিত্ব অন্য কারো সঙ্গে মিশে গিয়েছে। চোখে স্পষ্ট দেখতে পেলাম গালে গোলাপি রেখা! লজ্জার রেখা ফুটে উঠেছে সেটা বুঝতে সময় লাগলো না। মৃদু হেঁসে আয়নার পাশ থেকে সরে এলাম আমি।
পিহুর ডাকে একটু চমকে তাকালাম। ধীর পায়ে এগিয়ে গেলাম পিহুর কাছে বেলকনিতে। পিহু নিজ সুরে গান গেয়ে চলেছে। আমাকে দেখে থামল সে। আমার দিকে ছোট চোখজোড়া নিয়ে তাকাল। আমি একটু নিচু হতেই মুখ ঘুরিয়ে আমাকে লেজ দেখিয়ে গাইতে শুরু করল সে। এই বজ্জাত পাখিটার আজকাল খুব বেশি ভাব বেড়েছে। আজকাল আয়াশ একে একটু বেশি সময় দেয়। সেকারণেই হয়ত উনার মতোই ভাবওয়ালা হয়ে যাচ্ছে। আমি একটু খাঁচা ঝাঁকিয়ে বললাম,
–“বজ্জাত পাখি! বেইমান! এতোদিন তোকে খাইয়ে-পড়িয়ে মানুষ করলাম তার এই প্রতিদান?”
পিহু নিজের নাম ধরে ডেকে উঠল। আমিও ভাব দেখিয়ে বললাম,
–“আচ্ছা যা তোকে ক্ষমা করলাম!”
এতটুকু বলে থেমে ভাবুক হয়ে পড়লাম আমি। অন্যমনস্ক হয়ে বললাম,
–“আচ্ছা পিহু? যার ভালোবাসা দেখে আমি ভালোবেসেছি তাকে কি জানানো উচিত?”
পিহু কিছু বলল না চুপচাপ চেয়ে রইল। আমি ভেংচি কেটে বললাম,
–“কি দরকার বলার? আমার কর্মকান্ডে নাকি উনি সব বুঝে নিতে জানেন! তাহলে বুঝে নিক।”
সন্ধ্যে গড়িয়ে এলো। আয়াশের আজ আসার নাম নেই। অস্থির হয়ে উঠেছে উনার জন্য মন। বার বার ফোনের দিকে তাকাচ্ছি। অন্যদিন লেট হলে কল করে জানিয়ে দেন। আজ একবারও কল করেননি। জানালা দিয়ে বার বার রাস্তার দিকে তাকাতে থাকলাম। আয়াশ এলেন না। এতোক্ষণ ভাবছিলাম আয়াশ এবারের কেস নিয়ে বেশ ব্যস্ত তাই কল করে ডিস্টার্ব করতে চাইনি। কিন্তু এবার ফোন হাতে নিতেই হলো! ফোনের লক খোলার আগেই আয়াশের নম্বর থেকে ফোন আসতেই তড়িঘড়ি করে রিসিভ করি আমি।
–“হ্যালো আয়াশ? আপনি এতো ইরেসপন্সিবল কেন হ্যাঁ? বাড়িতে একা একটা মেয়ে রয়েছে জানেন না?”
–“সরি বাট আমি আয়াশ বলছি না!”
অপরিচিত গলা শুনে বুক ধক করে উঠল। কাঁপা কাঁপা গলায় বললাম,
–“আয়াশের ফোনে আপনি কি করছেন?”
–“এডভোকেট আয়াশ রায়হানকে হামলা করা হয়েছে তাও খুবই জখমভাবে। উনাকে আমরা হসপিটালে নিয়ে এসেছি। ফোনটা ভাঙাচোরা ছিল ঠিক করে যেই নম্বর আগে এলো সেটাই কল করলাম। আপনি যদি আয়াশ রায়হানের কেউ হয়ে থাকেন তাহলে প্লিজ চলে আসুন।”
বলেই কলটা নিজের মতো কেটে গেল। আর আমার হৃৎপিণ্ড যেন কেউ খুব জোরে আঘাত করল। শক্তি হারিয়ে ফেলেছি আমি। মস্তিষ্ক ক্রমশ শূন্য হয়ে পড়ছে। সকালবেলা লোকটা স্বাভাবিক ভাবে ছিলেন আর এখন এই খবর আমার মন আর মস্তিষ্ক কোনোটাই মেনে নিতে পারছে না। ভেতরে সবটা চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যাওয়ার আওয়াজ পাচ্ছি। সেই ভেঙেচুরে যাওয়া ভেতরটার যন্ত্রণা সহ্য না করতে পেরে চোখ বেয়ে পানি পড়ে গেল। কি যে অসহ্যকর যন্ত্রণা!
চলবে….
[বি.দ্র. গল্পের নতুন মোড় এসে গেছে। আর হ্যাঁ গল্পটা আমি ইচ্ছে করে বাড়াচ্ছি না যেমনটা ভেবে রেখেছি সেই হিসেবেই এগিয়ে যাচ্ছি। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।]