মন চায় তোকে পর্ব-১৪

0
1948

#মন_চায়_তোকে
#পার্ট_১৪
#নিশাত_জাহান_নিশি

—-“আমাকে কেউ পাঠায় নি। আপনি আমাকে এভাবে চেঁপে ধরেছেন কেনো? এটা কোন ধরনের অসভ্যতা?”

অন্তর মৃদ্যু চিৎকার দিয়ে বলল,,,,,

—-“চোরের মায়ের বড় গলা তাই না? তুই আমাকে সভ্যতা শিখাবি? ভালো ভালোয় বলে দে তোকে কে পাঠিয়েছে?”

মাঝখান থেকে মল্লিকা অন্তরের দিকে তেঁড়ে এসে বলল,,,,,

—–“কি হচ্ছে কি অন্তর? আপনি লোকটাকে এভাবে চেঁপে ধরেছেন কেনো? লোকটা তো ভালো ই। আমাকে খাবার সার্ভ করে দিয়েছে। আমার সাথে ভালো ব্যবহার ও করেছে। আপনি খামোখা চিৎকার চেঁচামেচি করে এমন ওভার সিনক্রিয়েট করছেন কেনো?”

অন্তর চোখ লাল করে মল্লিকার দিকে তাকিয়ে বলল,,,,,

—-“তুমি জাস্ট চুপ থাকো মল্লিকা। আমি খামোখা সিনক্রিয়েট করছি না। চুপচাপ আমার পাশে দাঁড়িয়ে থাকো। আর চোখ মেলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখো আমি কি করি।”

অন্তরের ধমকের আওয়াজে মল্লিকা কিছুটা নড়েচড়ে উঠল। চুপ হয়ে মল্লিকা অন্তরের পাশে এসে দাঁড়ালো। ভয়ে মল্লিকার চোখে পানি ও চলে এসেছে। অন্তর আরো বেশি করে মল্লিকাকে ঘাটিয়ে দিলো। অন্তর এখনো ছেলেটার কলার চেঁপে ধরে রেখেছে। নিশ্বাস নিতে ছেলেটার কষ্ট হচ্ছে। এরপর ও ছেলেটা মুখ খুলছে না। লজ ম্যানেজার দৌঁড়ে এসে অন্তরের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলল,,,,,

—- “What’s going on, boss? Please let the boy go. You’re overreacting. Look how scared everyone is.”
(এসব কি হচ্ছে বস? প্লিজ ছেলেটাকে ছাড়ুন। আপনি কিন্তু বেশি বাড়াবাড়ি করছেন। দেখুন, আপনার ভয়ে সবাই কেমন গুটিয়ে আছে।)

অন্তর এবার লজ ম্যানেজারকে উদ্দেশ্য করে বলল,,,,,

—- “I’m not exaggerating, sir. Tell a scientist from your health department right now. Only then will the matter be clear to you. Please keep my request, sir. Please.”
(আমি কোনো বাড়াবাড়ি করছি না স্যার। আপনাদের হেলথ ডিপার্টমেন্ট থেকে একজন সাইন্টিস্ট খবর দিন এক্ষুনি। তাহলেই আপনাদের কাছে ব্যাপারটা ক্লিয়ার হবে। প্লিজ আমার রিকুয়েস্টটা রাখুন স্যার। প্লিজ।)

—- “Calm down boss. Are you sure? Scientist, can we really know the real truth?”
(শান্ত হোন বস। আপনি সিউর? সাইন্টিস্ট আসলে আমরা আসল সত্যিটা জানতে পারব?)

—- “Hmm sir sure.” (হুম স্যার সিউর।)

ম্যানেজার আর দেরি না করে ছুটে গেলো হসপিটাল ডিপার্টমেন্টে। ছেলেটি ভয়ে দরদর করে কাঁপছে। শরীর থেকে ও অঝড়ে ঘাম ঝড়ছে। অন্তর কিছুক্ষন ছেলেটির দিকে তাকাচ্ছে তো কিছুক্ষন টেবিলে থাকা জুসের গ্লাসটার দিকে তাকাচ্ছে। টেনশানে মল্লিকার কথা মাথা থেকে বের হয়ে গেছে অন্তরের। অন্তর ভাবছে মল্লিকা ওর পাশেই আছে। আদৌ কিন্তু না। মল্লিকা অনেকক্ষন আগেই অন্তরের সাথে রাগ করে কোথাও এক্টা চলে গেছে।

প্রায় দশ মিনিট পর। লজ ম্যানেজার একজন সাইন্টিস্ট নিয়ে রেস্টুরেন্টে ঢুকে পড়ল। অন্তর বেশ উওেজিত হয়ে সাইন্টিস্টের দিকে তাকিয়ে বলল,,,,,

—- “Sir, take the glass of juice from the table. And check if there is anything mixed in the glass of juice. Suppose there is something poisonous.”
(স্যার টেবিলের উপর থেকে জুসের গ্লাসটা হাতে নিন। আর পরীক্ষা করে বলুন জুসের গ্লাসটাকে কিছু মিশানো আছে কিনা। ধরুন বিষ জাতীয় কিছু।)

সাইন্টিস্ট ভালো করে জুসের গ্লাসটার দিকে তাকিয়ে বলল,,,,,,

—- “Young man. You can’t be caught like this. You have to be tested in the lab. You come with me.”
(ইয়াং ম্যান। এভাবে তো ধরা যাবে না। ল্যাবে নিয়ে টেস্ট করতে হবে। তুমি আমার সাথে চলো।)

অন্তর ছেলেটাকে নিয়ে সাইন্টিস্টের পিছু পিছু হেলথ ফ্যাকালটিতে চলে গেলো। মল্লিকাকে আশেপাশে না দেখে অন্তর মনে মনে বিড়বিড় করে বলল,,,,,

—-“ইসসস আমার বউটা খুব রাগ করেছে। এমনিতেই আমার উপর রেগে আছে এক্টু আগে আবার ধমকিয়েছি। নিশ্চয়ই রুমে বসে বসে কাঁদছে। ব্যাপার না। এই দিকটা সামলে নেই। এরপর রুমে গিয়ে আমার নীলান্জ্ঞনার রাগ ভাঙ্গাব।”

এর মাঝেই অন্তর ল্যাবে এসে হাজির হয়ে গেলো। সাইন্টিস্ট এক্টা মেশিন দিয়ে খুব মনযোগ সহকারে জুসের গ্লাসটা পরীক্ষা করছে। অন্তর এখনো ছেলেটার কলার ধরে দাঁড়িয়ে আছে। অন্তরের পাশে ম্যানেজার ও দাঁড়িয়ে আছে। ছেলেটা সুযোগ খুঁজছে পালানোর। কিন্তু অন্তরের শক্তির কাছে পেরে উঠছে না। ছেলেটা বিড়বিড় করে বলছে,,,,,,

—-“কিভাবে পালাবো আমি এখান থেকে? সত্যিটা বললে এখনি আমাকে ছেলেটা মেরে দিবে। মিথ্যেটা বলার ও কোনো ওয়ে নেই। ছেলেটা বেশ চালাক। বুদ্ধি খাটিয়ে সাইন্টিস্ট ডেকে নিয়েছে। এক্টু পরেই সবাই বুঝে যাবে জুসটাতে সত্যি সত্যি বিষ মিশানো আছে। কি জবাব দেবো আমি সবাইকে? এখান থেকে বেঁচে ফিরতে পারলে ও জায়গা মতো গিয়ে বাঁচতে পারব না। ওরা দুজনই আমাকে মেরে দিবে। সেন্সলেস হওয়ার ভান ও ধরতে পারব না। কজ পাশেই ডক্টর দাঁড়িয়ে আছে। তাহলে কি সত্যিটা বলে দিবো? ছেলেটার কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে নিবো? ছেলেটা হয়তো আমাকে মাফ করবে! কিন্তু ওরা কি আমাকে মাফ করবে? নিশ্চয়ই করবে না। উল্টে মেরে দিবে। বেশি লোভ করতে গিয়েছিলাম। তাই এর সাজা এখন জীবন দিয়ে দিতে হবে। এই দিনটার জন্য আমিই দায়ী। এর ফল ও আমাকেই ভোগ করতে হবে।”

প্রায় আধ ঘন্টা পর। অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সাইন্টিস্ট লজ ম্যানাজারের দিকে তাকিয়ে বলল,,,,,

—“The boy is right. The juice contained ‘hemlock’ poison. Whoever went to his stomach would gradually lose his body and death would be confirmed.”
(ছেলেটা ঠিক বলেছে। জুসটাতে ‘হেমলক’ বিষ ছিলো। যার পেটেই যেতো ধীরে ধীরে তার শরীর অবস হয়ে মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে যেতো।)

অন্তরের চোখ থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে। অন্তর যদি এক্টু কেয়ারলেস হতো তাহলে আজ মল্লিকার মৃত্যু নিশ্চিত ছিলো। মল্লিকাকে হারানোর ভয়ে অন্তরের ভিতরটা তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে। চোখের সামনে বার বার মল্লিকার মুখটা ভেসে উঠছে। অন্তর নিজেকে কিছুটা কন্ট্রোল করে ছেলেটাকে এলোপাথারী কিল, ঘুষি মারছে আর চেঁচিয়ে বলছে,,,

—-“বল কে তোকে পাঠিয়েছে? তোকে যে স্যাল্টার দিয়েছে তাদের নাম গুলো বল। না হয় এক্ষনি তোকে মেরে পুতে ফেলব। কেউ আমাকে বাঁধা দিতে আসবে না।”

লজ ম্যানাজার ছেলেটাকে উদ্দেশ্য করে বলল,,,,,

—- “Give the right answer to what the man is asking. You have been in the post of my lodge employee for several days. So I am asking you in good health. Tell the truth to the boy. Or I will kill you and then hand you over to the police.”
(লোকটা যা জিগ্যেস করছে তার সঠিক উওর দাও। তুমি বেশ কয়েকদিন ধরে আমার লজে কর্মচারীর পোস্টে আছো। তাই তোমাকে সুস্থভাবে জিগ্যেস করছি। সত্যিটা ছেলেটাকে বলে দাও। না হয় তোমাকে আধমরা করে এরপর পুলিশের হাতে তুলে দিবো।)

অন্তর এলোপাথারী ছেলেটাকে মারছে। মারতে মারতে রক্তাক্ত করে ফেলেছে। ছেলেটা আধখোলা চোখে অন্তরের দিকে তাকিয়ে মিনমিন করে বলল,,,,,,

—–“লোভে পড়ে আমি এই জঘন্য কাজটা করেছি স্যার। আমাকে দিয়ে দুজন লোক এই কাজটা করিয়েছে। একজন ছেলে আরেকজন মেয়ে। ওদের সাথে আমার ফোনে যোগাযোগ হয়েছে। ওদের ফেইস আমি দেখি নি। বিষটা উনারা আরেকজনের হাতে করে পাঠিয়েছে। লোকটাকে আমি চিনি না। বলেছে কাজ শেষ হওয়ার পর ওরা আমার একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দিবে। আমাকে মাফ করে দিন স্যার। দরকার হলে আমাকে জেলে ঢুকিয়ে দিন। এরপরে ও আমাকে আর মারবেন না স্যার। আমি আর নিতে পারছি না।”

কথাগুলো বলেই ছেলেটা সেন্সলেস হয়ে গেলো। অন্তর মাথায় হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল। লজ ম্যানেজার ছেলেটাকে উঠিয়ে কেবিনে শিফট করে দিলো। ছেলেটা সুস্থ হলেই পুলিশে দেওয়া হবে। অন্তর আর এক মুহুর্ত দেরি না করে ছুটল মল্লিকার উদ্দেশ্যে ওর রুমে। অনেক ছুটাছুটির পর অন্তর সফল হলো ওর রুমে পৌঁছাতে। রুমে ঢুকেই অন্তর পুরো রুমে চোখ বুলিয়ে ও মল্লিকাকে খুঁজে পেলো না। হম্বিতম্বি হয়ে অন্তর ব্যালকনী থেকে শুরু করে ওয়াশরুম সব জায়গা ঘেটে ফেলল। কোথাও মল্লিকা নেই। অন্তর মাথায় হাত দিয়ে মৃদ্যু চিৎকার দিয়ে বলল,,,,,

—–“কোথায় তুমি মল্লিকা? কোথায় চলে গেলে আমার সাথে রাগ করে? ক্ষমা চাওয়ার সুযোগটা পর্যন্ত দিলে না আমায়।”

কথাগুলো বলেই অন্তর হম্বিতম্বি হয়ে রুম থেকে বের হয়ে পুরো লজটা ঘুরে ঘুরে মল্লিকাকে খোঁজা আরম্ভ করল। এক পর্যায়ে অন্তর ব্যর্থ হয়ে হাঁটু দুটো ভাঁজ করে ধপ করে মাটিতে বসে পড়ল। অন্তর চিৎকার করে কাঁদছে আর বলছে,,,,,

—–“নিশ্চয়ই মল্লিকাকে ঐ দুই শয়তান মিলে কিডন্যাপ করে নিয়েছে। মল্লিকাকে সামলে রাখতে পারলাম না আমি। বর হয়ে ও স্ত্রীর খেয়াল রাখতে পারলাম না আমি। আমার এক্টু অসর্তকতার জন্যই আজ মল্লিকাকে হারালাম। কোথায় খুঁজব আমি মল্লিকাকে? এই শহরের কাউকেই তো চিনি না আমি। কে হেল্প করবে আমায়?”

পিছন থেকে লজ ম্যানেজার অন্তরের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে শান্ত কন্ঠে বলল,,,,,

—- “Boss, come with me. I’ll make a police diary. I’ll find your wife today.”
(বস আমার সাথে চলুন। পুলিশ ডায়েরী করব। আপনার ওয়াইফকে আজকের মধ্যেই খুঁজে বের করব।)

অন্তর বসা থেকে উঠে চোখের জল গুলো মুছে বলল,,,,,,

—- “Come on sir. I wasn’t getting the courage alone. I have to find my wife soon. Or they’ll really kill my wife this time.”
(চলুন স্যার। আমি একা সাহস পাচ্ছিলাম না। খুব শীঘ্রই আমার ওয়াইফকে খুঁজে বের করতে হবে। না হয় ওরা আমার ওয়াইফে এবার সত্যি সত্যি মেরে দিবে।)

লজ ম্যানেজার আর দেরি না করে অন্তরের হাত ধরে লজের গেইটের বাইরে পার্ক করে রাখা গাড়িটায় উঠে পড়ল। ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে ছুটে চলল পুলিশ স্টেশানের উদ্দেশ্যে।

প্রায় পনেরো থেকে বিশ মিনিট পর গাড়ি পৌঁছে গেলো পুলিশ স্টেশনের সামনে। লজ ম্যানেজারের আগেই অন্তর গাড়ি থেকে নেমে সোজা পুলিশ স্টেশনে ঢুকে গেলো। লজ ম্যানেজার ও অন্তরের পিছু পিছু পুলিশ স্টেশনে ঢুকে গেলো। পুলিশের মুখোমুখি চেয়ারে বসে অন্তর কিছুটা হাঁফিয়ে সম্পূর্ণ ঘটনা পুলিশ অফিসারকে খুলে বলল। পুলিশ অফিসার ভ্রু যুগল কুঁচকে বলল,,,,,

—- “Sure you have kidnapped your wife?” (আপনি সিউর আপনার ওয়াইফ কিডন্যাপ হয়েছে?)

—- “Yes sir I am 100% sure. I know the people who kidnapped my wife very well. They had a personal enmity with me. Because of that enmity they kidnapped my wife. One of their relatives also lives in this city. I know. But I don’t know their address. I think they kidnapped my wife at the house of those relatives. ”
(জ্বি স্যার আমি ১০০% সিউর। যারা আমার ওয়াইফকে কিডন্যাপ করেছে তাদের আমি বেশ ভালো ভাবেই চিনি। আমার সাথে পার্সোনাল শত্রুতা ছিলো ওদের। সেই শত্রুতার জেরেই ওরা আমার ওয়াইফকে কিডন্যাপ করেছে। ওদের একজন রিলেটিভস ও এই শহরেই থাকে। রিলেটিভসকে ও আমি চিনি। বাট ওদের এড্রেসটা জানি না। আই থিংক আমার ওয়াইফকে ওরা ঐ রিলেটিভসের বাড়িতেই কিডন্যাপ করে রেখেছে।)

—- “Do you have pictures of those relatives?” (ছবি আছে আপনার কাছে ঐ রিলেটিভসের?)

—- “Yes sir there is a wait.” (জ্বি স্যার আছে ওয়েট।”)

কথাটা বলেই অন্তর প্যান্টের পকেট থেকে ফোনটা বের করে গ্যালারীতে ঢুকে অনন্যা আর একজন মেয়ের পাশাপাশি এক্টা ছবি দেখিয়ে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলল,,,,,

—- “Sir, my sister is wearing a blue dress. The girl next to her is wearing a white dress. The girl’s name is Maisha. They were two best friends. This Maisha girl got married to a boy from Singapore a few days ago. The boy is settled in this country. The girl is the cousin of the kidnappers. I think they kidnapped my wife at this girl’s house.” (স্যার নীল ড্রেস পড়া মেয়েটা আমার বোন। ওর পাশে যে মেয়েটি হোয়াইট ড্রেস পড়া দেখছেন ঐ মেয়েটির নাম মাইশা। ওরা দুজন বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলো। এই মাইশা মেয়েটির কিছুদিন আগে সিঙ্গাপুরের একজন ছেলের সাথে বিয়ে হয়। ছেলেটা এই দেশেই স্যাটেল্টেড। আর এই মেয়েটিই কিডন্যাপারদের কাজিন। আই থিংক এই মেয়েটির বাড়িতেই আমার বউকে ওরা কিডন্যাপ করে রেখেছে।)

ইন্সপেক্টর বসা থেকে উঠে অন্তরের ফোনটা হাতে নিয়ে আরেকজন পুলিশ ইন্সপেক্টরের হাতে দিয়ে বলল,,,,,,

—- “I want the whole history of the girl. Collect it in ten minutes.”
(মেয়েটির পুরো হিস্ট্রি চাই। দশ মিনিটের মধ্যে কালেক্ট করে দিন।)

—- “Source must be installed, sir.”
(সোর্স লাগাতে হবে স্যার।)

—- “Hmm, do it.” (হুম তাই করুন।)

ঐ পুলিশ ইন্সপেক্টর টি চলে গেলো। অন্তর ও বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে পড়ল। যে পুলিশের কাছে অন্তর কেইস ফাইল করেছে উনি আবার বসে পড়ল। ইশারা দিয়ে উনি অন্তরকে ও বসে পড়তে বলল। অন্তর ও চুপচাপ বসে পড়ল। পুলিশ টা মলিন হেসে অন্তরের দিকে তাকিয়ে বলল,,,,,

—- “Don’t worry. We’ll find your wife very soon. We’ll get her address in ten minutes. We’ll raid her house right away.” (চিন্তা করবেন না। আপনার স্ত্রীকে আমরা খুব জলদি খুঁজে বের করব। দশ মিনিটের মধ্যেই আমরা ঐ মেয়েটির এড্রেস জোগাড় করে ফেলব। সাথে সাথেই আমরা মেয়েটির বাড়িতে হানা দিবো।)

অন্তর মলিন হাসল। তবে ভিতরে ভিতরে সে কষ্টে মুর্ছা যাচ্ছে। মল্লিকার চেহারাটা বার বার চোখের সামনে ভাসছে। কিছুতেই নিজেকে স্থির রাখতে পারছে না। মনটা কেমন ছটফট ছটফট করছে। সব মিলিয়ে দম আটকে আসার মতো অবস্থা।

প্রায় দশ মিনিট পর। সোর্সের মাধ্যমে পুলিশ মাইশার এড্রেসের সন্ধান পেয়েছে। পুলিশ ইন্সপেক্টর আর দেরি না করে অন্তরকে নিয়ে পুলিশের গাড়িতে উঠে পড়ল। লজ ম্যানেজার উনার লজে ফিরে গেছে। জরুরী কাজ চলে এসেছে উনার। তাই উনাকে বাধ্য হয়ে যেতে হলো। অন্তর বেশ উওেজিত হয়ে আছে। কখন সে মল্লিকার কাছে পৌঁছাবো, মল্লিকাকে সুস্থ অবস্থায় দেখবে সে চিন্তায় আছে। পুলিশ ইন্সপেক্টর খুব স্পিডে গাড়ি ছেড়ে দিলো। ব্যাক সিটে পাঁচ জন পুলিশ সোর্স ও আছে। পুলিশ স্টেশন থেকে মাইশার বাড়িটা খুব বেশি দূরে না। জাস্ট আধ ঘন্টার রাস্তা। অন্তরের মনের ভয়টা আস্তে আস্তে বেড়ে চলেছে। মল্লিকা আদৌ সুস্থ আছে কিনা সেই টেনশানে টেনশানে অন্তর নাজেহাল।

প্রায় এিশ মিনট পর গাড়ি এসে পৌঁছে গেছে মাইশার বাড়ির সামনে। অন্তর তাড়াহুড়ো করে গাড়ি থেকে নেমে পড়ল। পুলিশ ইন্সপেক্টর গাড়ি থেকে নেমে সোর্স দের ইশারা করে বলল বাড়িটা ঘিরে রাখতে। সোর্সরা মাথা নাঁড়িয়ে সায় জানিয়ে পুরো বাড়িটা ঘিরে দাঁড়ালো।

পুলিশ ইন্সপেক্টর অন্তরকে নিয়ে দ্রুত পায়ে হেঁটে বাড়ির ভিতর ঢুকে গেলো। মাইশাদের বাড়িটা বিশাল বড়। তিনতলা বিশিষ্ট বড় বিল্ডিং এর পাশাপাশি আরেকটা ছোট এক্টা ফার্ম হাউজ জাতীয় কিছু দেখা যাচ্ছে। অন্তর পুলিশ ইনস্পেক্টরের কানে বিড়বিড় করে বলল,,,,

—- “Sir, I think the kidnapper is in ambush at this farmhouse. You stay here with the police sources. I’m going in first.”
(স্যার আই থিংক এই ফার্ম হাউজটতেই কিডন্যাপার রা ঘাপটি মেরে আছে। আপনি পুলিশ সোর্সদের নিয়ে এখানেই থাকুন। আমি প্রথমে ভেতরে ঢুকছি।)

—- “There may be a risk. We’re coming along.” (রিস্ক থাকতে পারে। আমরা সহ আসছি।)

—- “Believe me sir please.” (বিশ্বাস রাখুন স্যার প্লিজ।)

#চলবে,,,,,,,,

(দুটো গল্প একসাথে কনটিনিউ করতে হয় বলে গল্পের পার্ট গুলো ছোট হয়ে যাচ্ছে। তার জন্য আমি দুঃখিত।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here