#মন_চায়_তোকে
#পার্ট_৩
#নিশাত_জাহান_নিশি
প্রায় বিশ মিনিট পর মল্লিকা ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে টাওয়াল নিয়ে মুখ মুছতে মুছতে রুমে ঢুকে ধপাস করে বিছানায় গাঁ এলিয়ে দিলো।
পরের দিন,,,,,
সকাল আটটা। দরজার খটখটানির আওয়াজে অন্তরের ঘুম ভাঙ্গল। পিটপিট করে চোখ খুলে অন্তর নিজেকে ফ্লোরে আবিষ্কার করল। ফটাফট অন্তর মাথাটা ঝাঁকিয়ে ব্যাথায় নাক, মুখ কুচকে শোয়া থেকে উঠে বসে পড়ল। মাথার ব্যাথায় অন্তর চোখ পর্যন্ত ঠিক করে খুলতে পারছে না। কপালের অনেকটা অংশ ফুলে গেছে। আসাম করে বসে অন্তর কপালের ফোলা জায়গাটায় ডান হাত দিয়ে ম্যাসাজ করছে। হুট করে অন্তরের কাল রাতের কথা মনে পড়ে গেলো। অন্তর ফট করে চোখ জোড়া খুলে বসা থেকে দাঁড়িয়ে দ্রুত পায়ে হেঁটে বেডের পাশে এসে দাঁড়ালো। মল্লিকা কম্বল মুড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে। সে নিজেকে সস্পূর্ন ডেকে রেখেছে। কেবল, চুলগুলো দেখা যাচ্ছে। অন্তর দাঁত কিড়মিড় করে ডেস্কের উপর রাখা পানির জগটা নিয়ে যেই না মল্লিকার গায়ের উপর ঢালতে যাবে এর আগেই দরজার খটখটানির আওয়াজ দ্বিগুন বেড়ে গেলো। অন্তর ওর রাগটাকে কন্ট্রোল করে ডেস্কের উপর পানির জগটা রেখে দ্রুত পায়ে হেঁটে দরজাটা খুলে দিলো।
দরজা খোলার সাথে সাথেই মিসেস অরুনীমা আর অনন্যা হুড়মুড়িয়ে রুমে ঢুকে পড়ল। অনন্যা হলো অন্তরের ছোট বোন। অন্তর মিসেস অরুনীমাকে উদ্দেশ্য করে জোরে চেঁচিয়ে বলে উঠল,,,,,,
—–“আম্মুম্মুম্মুম্মু দেখো ঐ অসভ্য মেয়েটা আমার কপাল ফাটিয়ে দিয়েছে। ফার্স্ট দিনই মেয়েটা আমার সাথে এমন অবস্থা করেছে এবার ভেবো দেখে সারাজীবন মেয়েটা আমার কি অবস্থা করবে। নিশ্চয়ই আমাকে কবরে ঢুকিয়ে দিয়ে আসবে। এই মেয়ের সাথে সারা জীবন আমার কাটানো সম্ভব নয়। আমি আজই এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো এবং এক্ষনি। দয়া করে তোমরা কেউ আমাকে বাঁধা দিতে এসো না।”
মিসেস অরুনীমা আর অনন্যা তব্দা লেগে দাঁড়িয়ে আছে। সত্যি সত্যি অন্তরের মাথাটা সাংঘাতিক ফুলে আছে। ওরা অন্তরের কথার আগা মাথা কিছুই বুঝছে না। মিসেস অরুনীমা কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়ে অন্তরের কপালে হাত দিয়ে বলল,,,,,,
—-“মাথায় কিভাবে চোট লেগেছে অন্তর?”
অন্তর বেশ ঝাঁঝালো কন্ঠে বলল,,,,,,,
—-“কাল রাতে আমাকে যে মেয়েটার সাথে এই রুমে রেখে গেছো সেই মেয়েটাই আমার মাথা ফাটিয়েছে। লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে আমার মাথায়। মগজ, ঘিলু সব নাঁড়িয়ে দিয়েছে। সারা রাত আমি সেন্সলেস অবস্থায় ছিলাম।”
মিসেস অরুনীমা মুখে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। অনন্যার তো চোখ বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। মল্লিকা কম্বলের তলায় শুয়ে শুয়ে ভয়ে কাঁপছে। অন্তরের প্রথম চিল্লা চিল্লির আওয়াজেই মল্লিকার ঘুম ভেঙ্গে গেছে। মল্লিকা ভয়ে ডান হাতের তর্জনী আঙ্গুল কামড়াচ্ছে আর বিড়বিড় করে বলছে,,,,,,
—–“কাল তো কিছু না বুঝে শুনেই এতো বড় এক্টা কুকর্ম টা করে ফেললাম। অথচ এটাই মাথা থেকে বের হয়ে গিয়েছিলো যে, কুকর্ম করার পর এর ফলটা কি হবে! পরিবারের সবাই ব্যাপারটাকে কি ভাবে নিবে। নিশ্চয়ই এখন শ্বাশুড়ী আম্মু খুব ক্ষেপে গিয়ে আমার আব্বুকে কল করে সব কুকর্ম ফাঁস করে দিবে। লজ্জায় আব্বুর মাথা নিচু হয়ে যাবে। আব্বু খুব কষ্ট পাবে। হয়তো আমার সাথে আর কথাই বলবে না। আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে। ঐ বাড়িতে আমাকে আর ঢুকতে দিবে না।”
মল্লিকা কিছুক্ষন ভেবে চিন্তে আবার বলল,,,,,
—–“না এভাবে ভেঙ্গে পড়লে চলবে না। পরিস্থিতি কন্ট্রোলে আনতে হবে। আমিই যেহেতু ক্রাইম করেছি, এর থেকে বের হওয়ার উপায় আমিই বের করব।”
কথাগুলো বলেই মল্লিকা কম্বলটা মুখ থেকে সরিয়ে বড় এক্টা হাই তুলে শোয়া থেকে উঠে বসে পড়ল। চোখ দুটো বন্ধ করে রেখেছে মল্লিকা। ঘুমের ভান ধরে আছে সে। অন্তর অন্য দিকে ফিরে আছে। কিছুতেই সে মল্লিকার দিকে তাকাবে না।
মিসেস অরুনীমা আর অনন্যা তেড়ে গেলো মল্লিকার কাছে। অনন্যা মল্লিকার পাশে বসে মল্লিকাকে ঝাঁকিয়ে বলল,,,,,,
—–“ভাইয়া এসব কি বলছে ভাবী? তুমি নাকি ভাইয়ার মাথা ফাঁটিয়ে দিয়েছ?”
মল্লিকা ফট করে চোখ জোড়া খুলে অবাক হওয়ার ভান ধরে মুখটা অসহায়ের মতো করে বলল,,,,,,
—-“বুঝলাম না অনন্যা। কি বলছ এসব তুমি?”
মিসেস অরুনীমা তেজি কন্ঠে মল্লিকাকে উদ্দেশ্য করে বলল,,,,,
—–“এমন ভাব করছ মনে হচ্ছে তুমি কিছুই জানো না? তাহলে কি আমার ছেলেটা মিথ্যে বলছে?”
মল্লিকা চট জলদি বিছানা ছেড়ে উঠে মিসেস অরুনীমার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলল,,,,,,
—–“সত্যি বলছি শ্বাশুড়ী আম্মু আমি কিছুই জানি না। বাই দ্যা ওয়ে….আপনার ছেলে কি বলেছে আপনাকে?”
অনন্যা ক্ষেপে গিয়ে মল্লিকাকে বলল,,,,,,
—–“তুমি আমার ভাইয়ার মাথা ফাঁটিয়ে দিয়েছ। কপালের অনেকটা জায়গা ফুলে গেছে। মাথা ব্যাথায় ভাইয়া সারা রাত সেন্সলেসস হয়ে পড়েছিলো।”
মল্লিকা মুখে হাত দিয়ে চোখ দুটো বড় বড় করে বলল,,,,,,
—–“এমা আমি এসব করেছি নাকি? আমার তো বিশ্বাস ই হচ্ছে না। কই দেখি দেখি আমার হাজবেন্ডের কোথায় লেগেছে!”
কথাগুলো বলেই মল্লিকা অন্তরের মুখো মুখি দাঁড়ালো। অন্তর কপালে হাত দিয়ে চোখ জোড়া বন্ধ করে রেখেছে। মল্লিকা উঁকি চুকি দিয়ে অন্তরকে দেখার চেষ্টা করছে। লাল ঠোঁট জোড়া আর নাকের এক্টু অংশ ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছে না অন্তরের। ঠোঁট জোড়ার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে মল্লিকা বিড়বিড় করে বলল,,,,,,
—–“ছেলেটার ঠোঁট দুটো এতো লাল কেনো? দেখছি, আমার ঠোঁটের চেয়ে ও বেশি লাল। নিশ্চয়ই ঠোঁটে লিপস্টিক মেখেছে। আমাকে ইমপ্রেস করার জন্য। লিপস্টিক, আলতা, কাজল লাগিয়ে ও আমাকে ইমপ্রেস করা যাবে না। বুঝেছিস মাথা মোটা?”
মল্লিকা বিড়বিড় করে আবার অন্তরের দিকে তাকালো। অন্তরের চোখে মুখে বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট। মল্লিকা গলাটা ঝাঁকিয়ে শান্ত স্বরে অন্তরকে উদ্দেশ্য করে বলল,,,,,,
—–“এই যে শুনছেন? আমি কি আপনার কপালটা এক্টু দেখতে পারি?”
মল্লিকার ভয়েস শুনে অন্তরের গাঁ জ্বলে যাচ্ছে। চোয়াল শক্ত করে অন্তর কপাল থেকে হাতটা সরিয়ে চোখ লাল করে মল্লিকার দিকে তাকালো। মুহূর্তেই অন্তরের চোখ দুটো মল্লিকার চোখে আটকে গেলো। অন্তর মুগ্ধ নয়নে মল্লিকার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। মল্লিকা মুখটা হা করে অন্তরের দিকে তাকিয়ে আছে। দুজনই দুজনের দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
মল্লিকা অন্তরের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বলছে,,,,,,,
—–“হাউ কিউট হি ইজ। এই রকম হ্যান্ডসাম ছেলে তো আমি আমার বাপের জন্মে দেখি নি। নীলের চেয়ে ও অধিক হ্যান্ডসাম আর ড্যাশিং। তাহলে, এবারের পছন্দটা ও আব্বুর বেস্ট ছিলো। খামোখা আমি আব্বুকে দোষ দিচ্ছিলাম!”
অন্তর মল্লিকার চোখের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বলছে,,,,,
—-“এই দুটো নীল চোখ ই তো আমি এতো দিন ধরে খুঁজছিলাম। তাহলে কি এই সেই চোখ? যে চোখের মায়ায় আমি অনেক আগেই ডুব গেছিলাম? ইসসস যদি আমার সেই মনোহরনীর পুরো মুখটা দেখতে পারতাম, তবে এই মেয়েটারর সাথে মিলিয়ে দেখতাম। আসলেই সে ঐ মনোহরিনী কিনা!”
হুট করে মল্লিকা অন্তরের থেকে চোখ সরিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বিড়বিড় করে বলছে,,,,,
—-“ছি ছি এ কি করছি আমি? নীলকে রেখে অন্য ছেলের দিকে এভাবে মুগ্ধ নয়নে তাকাচ্ছি? আমার তো পাপ লাগবে! ধুর ছাই আমার মাথাটা পুরো গেছে। এখন তো নীলের দিকে তাকালে আমার পাপ লাগবে। কজ আমি ম্যারিড। বর ছাড়া অন্য পুরুষের দিকে তাকানো যাবে না। ভাবতেই কি খুশি খুশি লাগছে নীলের চেয়ে ও আমার হাজব্যান্ড অধিক হ্যান্ডসাম। যার সামনে আমি দাঁড়িয়ে আছি।”
মল্লিকা মাথাটা নিচু করে ফেলাতে অন্তর বেশ রেগে গেলো। অন্তর মুখটা কালো করে বিড়বিড় করে বলল,,,,,,
—-“মেয়েটা আমার থেকে চোখ সরালো কেনো? ভালোই তো লাগছিলো! আচ্ছা আমি আবার ভুল করছি না তো? পৃথিবীতে অসংখ্য মেয়ে ই তো নীল চোখধারী আছে। হয়তো এদের মধ্যে এই মেয়েটা ও আছে। আমার মনে হচ্ছে না এই মেয়েটা আমার সেই মনোহরিনী। চোখ দুটো এক ঠিকই, তবে ভিতরের মনটা এক না। আমার বেনামী ভালোবাসা কখনো এই মেয়েটার মতো মিথ্যাবাদী আর জংলী হবে না। সে যথেষ্ট ভালো মনের মেয়ে। কারন, সে সবার সাথেই খুব ভালো ব্যবহার করে। ঐ দিন তো আমি নিজের চোখেই দেখলাম সে কেমন তার ফ্রেন্ডের জন্য রেজিস্ট্রি অফিসে ফ্রেন্ডের মা বাবার সাথে লড়েছিলো। পরে আবার বুঝিয়ে শুনিয়ে সবাইকে এক করে দিয়েছিলো। আমি মুগ্ধ হয়ে তার চোখ জোড়া দেখেছিলাম। দূর থেকে দেখেছি তাকে। ভয়েজটা শোনার ও সুযোগ হয় নি। বোরকা পড়ে মুখ ঢেক রেখেছিলো বলে মুখটা দেখার ও তৌফিক হয় নি।”
এর মাঝেই মল্লিকা মাথায় শয়তানী বুদ্ধি এঁটে ঠোঁট উল্টে কেঁদে কেঁদে মিসেস অরুনীমাকে উদ্দেশ্য করে বলল,,,,,,,
—–“শ্বাশুড়ী আম্মুম্মুম্মুম্মু…..আমার ভুল হয়ে গেছে। আমাকে মাফ করে দিন প্লিজ। আমি ইচ্ছে করে আপনার ছেলের মাথা ফাটাই নি। একচুয়েলি আমার ঘুমে হাঁটার অভ্যাস আছে। মাঝে মাঝে সামনে যাকে পাই তাকেই মেরে বসি। কাল তো আপনাকে ও মারতে বসেছিলাম শ্বাশুড়ী আম্মু। সব তো আপনার চোখের সামনে। এরপরে ও যদি আপনার বিশ্বাস না হয় তবে আমার আব্বুকে ফোন করে জিগ্যেস করতে পারেন। তখনই সবটা আপনাদের কাছে ক্লিয়ার হবে।”
কথাগুলো বলেই মল্লিকা কাঁদতে কাঁদতে অন্তরেরর হাত ধরে বলল,,,,,,
—–“আমার প্রানপ্রিয় স্বামী প্লিজ আমাকে মাফ করে দিন। আর কখনো এমন ভুল হবে না। আমি অনুতপ্ত, লজ্জিত, শোকাহত, ব্যথিত, অনুশোচিত। শেষ বারের মতো আমাকে ক্ষমা করে দিন প্লিজ। না হয় আমি কখনো নিজেকে ক্ষমা করতে পারব না। মরে যাবো আমি। বাঁচতে পারব না এই অপরাধের বোঝা মাথায় নিয়ে। প্লিজ স্বামী মাফ করে দিন আমায় প্লিজ।”
মল্লিকার কথা শুনে মিসেস অরুনীমা আর অনন্যা গলে গেছে। দুজনই মায়া ভারা দৃষ্টিতে মল্লিকার দিকে তাকিয়ে আছে। অন্তর বেশ বুঝতে পারছে মল্লিকা এসব নাটক করে বলছে। অন্তর দাঁত কিড়মিড় করে মনে মনে বলছে,,,,,
—-“আমি সিউর এই অসভ্য মেয়েটা সারাদিন বাড়িতে বসে বসে বাংলা সিনেমা দেখে। তাই তো এতো ভালো করে ডায়লগ গুলো মুখস্ত করে নিয়েছে। ময়না পাখির মতো ফড়ফড় করে বলেই যাচ্ছে। ড্রামাবাজ কোথাকার। নিশ্চয়ই এর মাথায় গ্যাস্ট্রিক আছে।”
অন্তর কপালে বিরক্তির ছাপ ফুটিয়ে এক ঝটকায় মল্লিকার হাতটা সরিয়ে তেজী কন্ঠে বলল,,,,,,
—–“এই মেয়ে, কোন সাহসে তুমি আমার হাত ধরলে? আমি তোমাকে অধিকার দিয়েছি আমার হাত ধরার?”
—-“কেনো আপনার হাত কি মিউজিয়ামে সংরক্ষতি করে রাখা কোনো মহান ব্যক্তির পেন্টিং যা হাত ধরা যাবে না। ধরলেই জরিমানা দিতে হবে?”
অন্তর দাঁত গিজগিজ করে বলল,,,,,
—-“তোমার মতো অসভ্য মেয়ের সাথে কথা বলাটাই বেকার।”
কথাগুলো বলেই অন্তর মিসেস অরুনিমার দিকে তাকিয়ে বলল,,,,,,
—-“আমি এখনি এই বাড়ী থেকে বের হয়ে যাচ্ছি। এই আধ পাগল মেয়ের সাথে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না। প্লিজ আমাকে পেছন থেকে বাঁধা দিতে এসো না।”
কথা গুলো বলেই অন্তর ল্যাকেজ গুছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। মল্লিকা ক্ষেপে গিয়ে অন্তরের শার্টের কলার চেঁপে ধরে বলল,,,,,
—–“আপনার এতো বড় সাহস আপনি আমাকে অসভ্য বলেন? এই…. আপনি অসভ্যতার কি দেখেছেন? এখনই আপনি এই বাড়ি থেকে বের হয়ে যাবেন। কেউ আপনাকে আটকাতে আসবে না।”
মিসেস অরুনীমা তেড়ে এসে মল্লিকাকে উদ্দেশ্য করে বলল,,,,,,
—-“এসব তুমি কি বলছ মল্লিকা? তুমি আমার ছেলেকে না আটকিয়ে উল্টে ওকে এই বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলছ?”
অন্তর রাগী চক্ষু নিয়ে মল্লিকাকে ধাক্কা দিয়ে মল্লিকার দিকে তেড়ে এসে বলল,,,,,
—–“বাড়ি টা তোমার না। বাড়িটা অনলি আমার। আমার যখন ইচ্ছা হবে তখন আমি এই বাড়ি থেকে বের হবো। তোমার কমান্ডে আমি চলব না। তাছাড়া, তোমাকে আমার একদম সহ্য হচ্ছে না। বিরক্তিকর তুমি।”
মল্লিকা কিছুটা নত হয়ে ন্যাকা ন্যাকা ভাব নিয়ে অন্তরের দিকে তাকিয়ে বলল,,,,,,
—-“স্যরি, আসলে ঐ সময় রাগ করে আপনাকে বের হয়ে যেতে বলেছি। প্লিজ আপনি যাবেন না। আমার শ্বাশুড়ী আম্মু খুব কষ্ট পাবে।”
মল্লিকার কথায় পাওা না দিয়ে অন্তর ব্যাগ গুছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। মিসেস অরুনীমা আর অনন্যা অনেক জোরাজুরি করে ও অন্তরকে আটকাতে পারছে না। মল্লিকা কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে মনে মনে শয়তানী হাসি দিয়ে বিড়বিড় করে বলল,,,,,
—–“যা না যা। তাড়াতাড়ি এই বাড়ি থেকে বিদেয় হ। তোর সাথে এক বাড়িতে থাকার কোনো ইচ্ছেই আমার নেই। তুই বাড়ি থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে আমি ও ফুড়ুৎ করে উড়াল দিবো আমার নীলের কাছে।”
#চলবে,,,,,,,