#মন_চায়_তোকে
#পার্ট_৫
#নিশাত_জাহান_নিশি
—-“আমার নীলান্জ্ঞনা!”
মল্লিকা মিসেস হৈমন্তীকে লম্বা করে এক্টা সালাম দিয়ে এক গাল হেসে বলল,,,,,
—-“কেমন আছেন ফুফু আম্মু?”
—-“ভালো আছি মা। তুমি কেমন আছো?”
—-“ভালো আছি ফুফু আম্মু। আপনি না দেখতে খুব সুন্দর। আচ্ছা….ফুফা আসে নি?”
—-“তোমার ফুফা কাল আসবে। অফিসের কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত তো তাই!”
মল্লিকা মলিন হেসে বলল,,,,
—-“ওহ্ আচ্ছা।”
হুট করে নুসাইবা মল্লিকার গাল টেনে বলল,,,,,,
—-“এই যে ম্যাম, আমাকে জিগ্যেস করবেন না আমি কেমন আছি?”
মল্লিকা জিভ কেটে বলল,,,,,
—-“স্যরি গো একদম ভুলে গেছি। কেমন আছো ভাবী?”
—-“বেশ আছি। তুমি কেমন আছো?”
মল্লিকা মলিন হেসে বলল,,,,,,
—-“ভালো আছি।”
এক্টু দূর থেকে অনন্যা জোরে চেঁচিয়ে সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলল,,,,,,
—-“উফফফ তোমরা পরে কথা বলো তো। ভীষন ক্ষিদে পেয়েছে আমার। সকাল থেকে এই পর্যন্ত কিছু খাই নি।”
মিসেস অরুনীমা সবাইকে একে একে টেনে টেনে ডাইনিং টেবিলে বসিয়ে দিলো। মিসেস হৈমন্তী চেঁচিয়ে বলে উঠল,,,,,
—-“আরে কি করছ কি অরু। আমরা সবাই লাঞ্চ করে এসেছি তো। এই অবেলায় মুখে কিছু দিতে পারব না।”
মল্লিকা মিসেস হৈমন্তীর হাত চেঁপে ধরে বলল,,,,,,
—-“জ্বি না। আমরা কোনো কথাই শুনব না। তোমাদের সবাইকে আমাদের সাথে খেতে হবে।”
কথাগুলো বলেই মল্লিকা মিসেস হৈমন্তী আর নুসাইবার প্লেইটে খাবার বেড়ে দিলো। অন্তর প্রায় অনেকক্ষন ধরে মল্লিকাকে পরখ করছে। মল্লিকার চঞ্চলতা অন্তরকে খুব টানছে। সাহেদ আর সাহেল অন্তরকে নিয়ে খাবার টেবিলে বসে গেলো। মল্লিকা সবাইকে অল্প অল্প করে খাবার বেড়ে দিচ্ছে। যেহেতু ওরা আগে থেকেই খেয়ে এসেছে।
অন্তরের প্লেইটে খাবার বাড়তে এসে মল্লিকা মাথাটা নিচু করে ফেলল। অন্তরের দিকে একবার ও তাকাচ্ছে না। অন্তর হা করে মল্লিকার দিকে তাকিয়ে আছে। মল্লিকা অন্তরের প্লেইটে খাবার বেড়ে অন্তরের পাশের টেবিলে বসে পড়ল। সবাই এবার খাওয়ায় মনযোগ দিলো। অন্তর খাচ্ছে কম মল্লিকার দিকে তাকাচ্ছে বেশি। মল্লিকা মনযোগ দিয়ে খেয়ে চলছে।
প্রায় পনেরো মিনিট পর সবার খাওয়া শেষ হলো। এর মাঝেই সারফারাজ চৌধুরী হন্তদন্ত হয়ে বাড়ির ড্রইং রুমে চলে এলো। সবাইকে এক সাথে দেখে সারফারাজ চৌধুরীর রাগ উবে গেলো। তবে উনি বার বার তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে অন্তরের দিকে তাকাচ্ছে। সারফারাজ চৌধুরীকে দেখে মিসেস হৈমন্তী, সাহেল, সাহেদ, নুসাইবা বেশ খুশি হয়ে উনার সাথে আলাপচারীতায় মগ্ন হয়ে পড়ল। এর মাঝেই সারফারাজ চৌধুরী সাহেল, সাহেদ আর অন্তরকে উদ্দেশ্য করে বলল,,,,,,
—-“তোমরা বউভাতের এরেন্জ্ঞমেন্ট শুরু করে দাও। কাল আমার কয়েকজন ক্লাইন্ড আসবে। এছাড়া ও পাড়া প্রতিবেশীরা আসবে। সো এখন থেকে তোড় জোড় শুরু করতে হবে। রাতের মধ্যেই পুরো বাড়িটা সাজিয়ে তুলতে হবে। আমি রুম থেকে ফ্রেশ হয়ে আসছি।”
কথাগুলো বলেই সারফারাজ চৌধুরী নিজের রুমে চলে গেলো। নুসাইবা, অনন্যা, মল্লিকা ড্রইং রুমে বসে খোশগল্পে মেতে উঠল। মিসেস অরুনীমা আর মিসেস হৈমন্তী নিজেদের মধ্যকার সাংসারিক আলাপ করছে। সাহেদ অন্তরকে বুঝিয়ে শুনিয়ে একজন ডেকোরেটিং ডিজাইনার কে কল করে বাড়িতে নিয়ে এলো। উনার সাথে আরো চার, পাঁচজন লোক এসেছে। ওরা সবাই মিলে প্যান্ডেলের কাজ সামলাচ্ছে। প্যান্ডেলের কাজ শেষে বাড়ির ভিতরটা সাজানো হবে। এভাবে কাজে কাজেই বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো।
সন্ধ্যা সাতটা,,,,,
মল্লিকা রুমে গিয়ে দরজাটা আটকিয়ে ব্যালকনীর গ্রীল ধরে আকাশপানে তাকিয়ে আছে। পুরো বাড়িতে আলো আর রোশনাই। এতো আলোর ভীড়ে ও মল্লিকা ওর কষ্ট গুলো লুকাতে পারছে না। বার বার মনে নাড়া চাড়া দিয়ে উঠছে। মল্লিকার চোখে নোনাজল চিকচিক করছে। আর এক্টু হলেই হয়তো গড়িয়ে পড়বে। নীলের বিশ্বাসঘাতকতা মল্লিকার মনটাকে পিষিয়ে দিয়েছে। মল্লিকা অঝড়ে কাঁদছে আর বিড়বিড় করে বলছে,,,,,,
—-“অঢেল ভালোবাসার বিনিময়ে আমাকে ঠকতে হলো। অনেকেই আমাকে নীল সম্পর্কে অনেক বাজে কথা বলেছে। অথচ আমি অন্ধের মতো নীলকে বিশ্বাস করে গেছি। এমনকি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড রজনীর সাথে ও বাজে ব্যবহার করেছি। যে রজনীকে আমি রিস্ক নিয়ে পিয়াস ভাইয়ার সাথে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করিয়েছি। সেই রজনীকে আমি ভুল বুঝেছি। এমনকি ওর গালে চড় ও মেরেছি। জঘন্য পাপ করেছি আমি। যে করেই হোক রজনীর সাথে দেখা করে আমাকে ওর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। সবকিছু ঠিক করতে হবে। এভাবে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। বউভাতের পর দিনই আমাকে বের হতে হবে। দরকার হলে রজনীর সাথে দেখা করতে আমি চট্টগ্রাম যাবো। রজনীর মনে আমার জন্য রাগ পুষিয়ে রাখতে দেবো না। নীলকে ও আমি ছাড়ব না। নীলের জীবনটা আমি নষ্ট করে দেবো। কজ এই পর্যন্ত নীল অনেক মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে। আমার জীবনটা ও নষ্ট করে দিতো যদি না আমি নিজের চোখে সত্যিটা না দেখতাম।”
এর মাঝেই দরজায় টোকা পড়ল। মল্লিকা চোখের জল মুছে তাড়াতাড়ি করে দরজাটা খোলে দিলো। দরজা খোলেই মল্লিকা অন্তরকে দেখতে পেলো। অন্তরকে দেখা মাএই মল্লিকা দরজাটা ছেড়ে বেডের উপর মাথা নিচু করে বসে পড়ল। অন্তর মল্লিকার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,,,,,,
—-“কাঁদছেন কেনো আপনি? কি হয়েছে?”
মল্লিকা চোখের জল গুলো ভালো করে মুছে বলল,,,,,,,
—-“কিছু হয় নি। ভুল দেখছেন আপনি। আমি কাঁদছি না।”
অন্তর মল্লিকার দিকে তেড়ে এসে বলল,,,,,
—-“একদম মিথ্যে বলবেন না। আমি কিন্তু বেশ বুঝতে পারছি আপনি কান্না করছেন!”
মল্লিকা চুপ হয়ে বসে আছে। কিছু বলছে না। নীরবে চোখের জল ফেলছে। অন্তর কিছুটা পেরেশান হয়ে মল্লিকার পাশে বসল। মল্লিকার চোখে জল দেখে অন্তরের কেমন খারাপ লাগা শুরু করল। হুট করে অন্তর মল্লিকার থুতনী ধরে মল্লিকার মুখটা উপরে তুলে মল্লিকার চোখের জল মুছে দিয়ে বলল,,,,,
—-“কি হয়েছে মল্লিকা? প্লিজ আমাকে বলো?”
মল্লিকা ছলছল চোখে অন্তরের দিকে তাকিয়ে আছে। অন্তর মলিন হেসে মল্লিকার দিকে তাকিয়ে বলল,,,,,
—-“সকালে আমার জন্যই তোমার আম্মুর হাতের চড় খেয়েছ। এর জন্য আ’ম স্যরি মল্লিকা। তুমি হয়তো এর জন্যই কাঁদছ তাই না?”
মল্লিকা চোখের জল ছেড়ে বলল,,,,
—-“আপনাকে স্যরি বলতে হবে না। সকালের ঘটনার জন্য আমিই দায়ী। আমার দোষেই আমি চড় খেয়েছি। আপনি শুধু শুধু নিজেকে দোষারোপ করবেন না। একচুয়েলি আব্বুর কথা মনে পড়ছিলো তো তাই কাঁদছিলাম। দেট’স ইট।”
অন্তর মল্লিকার মুখটা ছেড়ে গলা ঝেঁড়ে বলল,,,,,
—-“মন খারাপ করার কিছু নেই মল্লিকা। কালই তো ঐ বাড়িতে যাবে। কয়েকদিন পরিবারের সাথে কাটিয়ে আসলে হয়তো মন ভালো হয়ে যাবে।”
মল্লিকা মলিন হেসে বলল,,,,,
—-“ঠিক বলেছেন!”
কথাটা বলেই মল্লিকা কাবার্ডের কাপড় গুছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। অন্তর মল্লিকার দিকে তাকিয়ে মিনিমিন করে বলল,,,,,,
—-“আমি সিউর মল্লিকা আমার থেকে কিছু হিডেন করছে। হয়তো আমাকে বলতে চাইছে না। অন্য কোনো বিশেষ কারণে সে কান্না করছে। যে করেই হোক মল্লিকার মন ভালো করতে হবে। সে আদৌ কখনো চট্টগ্রাম গেছে কিনা তাও আমার জানতে হবে।”
কথা গুলো বলেই অন্তর মল্লিকার মুখোমুখি দাঁড়ালো। মল্লিকা বেশ ব্যস্ত কাবার্ডের কাপড় গুছাতে। অন্তর মলিন হেসে মল্লিকার দিকে তাকিয়ে বলল,,,,,
—-“আচ্ছা মল্লিকা….. আমি কি তোমার সাথে ফ্রেন্ডলি কথা বলতে পারি?”
মল্লিকা কিছুটা আনমনা হয়ে বলল,,,,
—-“হুম বলুন।”
—-“আচ্ছা….তোমার পুরো নাম কি?”
—-“আয়ানা হায়াত মল্লিকা।”
—-“তোমার পুরো নামটাই খুব সুন্দর।”
বিনিময়ে মল্লিকা মুচকি হেসে বলল,,,,
—-“নামটা আমার আব্বু রেখেছে। আচ্ছা….. আপনার পুরো নাম কী?”
—-“শাহরিয়া চৌধুরী অন্তর।”
—-” আপনার নামটা ও কিউট।”
অন্তর মৃদ্যু হেসে বলল,,,,,
—-“জানো মল্লিকা….তোমার চোখ গুলো খুব সুন্দর। আচ্ছা তুমি কি চোখে লেন্স ইউজ করো?”
মল্লিকা কিছুটা রেগে বলল,,,,,
—-“জ্বি না। জন্ম থেকেই আমার চোখ নীল। কেনো আপনার সমস্যা আছে?”
—-“না কোনো সমস্যা নেই। তবে তোমার চোখ গুলো খুবই সুন্দর আর এটরেকটিভ।”
মল্লিকা এক ভ্রু উঁচু করে বলল,,,,,
—-“সত্যি সত্যি বলছেন, নাকি আমাকে মিথ্যে শান্তনা দিচ্ছেন?”
অন্তর কিছুটা সিরিয়াস হয়ে বলল,,,,
—-“সত্যিটা বললাম। তোমার সাথে খামোখা মিথ্যে বলতে যাবো কেনো?”
—-“ওকে মানলাম।”
—-“আচ্ছা মল্লিকা….চট্টগ্রাম তোমার কোনো রিলেটিভ আছে?”
—-“রিলেটিভ নেই, তবে আমার বেস্টুর বাড়ি চট্টগ্রাম।”
অন্তর বেশ আগ্রহ নিয়ে বলল,,,,,,
—-“আচ্ছা তুমি কি কয়েক মাস আগে চট্টগ্রাম গিয়েছিলে?”
—-“গিয়েছিলাম তো। তবে অন্য এক্টা কাজে।”
—-“কি কাজ?”
—-“আপনাকে বলা যাবে না?”
—-“কেনো?”
—-“কারণ কাজটা সিক্রেট। আমার ফ্যামিলির কানে কথাটা গেলে আমাকে খুব বকবে।”
—-“আমি বলব না তোমার ফ্যামিলিকে। প্লিজ বলো না কি কাজে গিয়েছিলে?”
মল্লিকা কপাল কুঁচকে অন্তরের দিকে তাকিয়ে বলল,,,,,
—-“আপনি জেনে কি করবেন?”
অন্তর অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,,,,,
—-“এক্টা বিশেষ দরকার ছিলো।”
অন্তরের আগ্রহ দেখে মল্লিকা ফিসফিস করে অন্তরের কানের কাছে এসে বলল,,,,
—-“আমার বেস্টুর বিয়ে দিতে গেছি। রেজিস্ট্রি ম্যারেজ বুঝেছেন? বাড়ি থেকে লুকিয়ে গিয়েছিলাম। আব্বু আম্মু শুনলে আমাকে ভর্তা বানিয়ে ফেলত। খুব রিস্ক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম। একচুয়েলি, আমার বেস্টু এক্টা ছেলেকে পছন্দ করত। ছেলেটা আমাদের এলাকার। আমার বেস্টু কলেজ হোস্টেলে থাকত। হুট করে ওর ফ্যামিলি ওকে ফোন দিয়ে বাড়ি নিয়ে গেলো। বাড়ি গিয়ে সে জানতে পারল ওর ফ্যামিলি ওর বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে। সে তো অস্থির হয়ে কান্নাকাটি জুড়ে দিলো। এরপর পিয়াস ভাইয়া মানে আমার বেস্টুর বয়ফ্রেন্ড আমাকে নিয়ে চট্টগ্রাম যায়। চট্টগ্রামের রেজিস্ট্রি অফিসেই ওদের কোর্ট ম্যারেজ হয়। স্বাক্ষী হিসেবে আমি ওদের পাশে ছিলাম। এই হলো কাহিনী। আপনি প্লিজ ভুলে ও আম্মু, আব্বুর কানে এসব দিবেন না। তাহলে আমার খুব প্রবলেম হয়ে যাবে। বুঝেছেন তো আমি কি বলেছে।”
হুট করে অন্তর হাসতে হাসতে মল্লিকাকে জড়িয়ে ধরে বলল,,,,,,
—-“আচ্ছা…তুমি কি ঐদিন কালো বোরখা পড়েছিলে?
মল্লিকা অন্তরের থেকে নিজেকে ছাড়ানোর জন্য বেশ ছুটাছুটি করছে আর বলছে,,,,,,
—-“হুম কালো বোরখা আর কালো নিকাব পড়েছিলাম।”
অন্তর খুশিতে মল্লিকাকে আরো টাইট করে জড়িয়ে ধরে বলল,,,,,,
—-“আমি পেয়ে গেছি তাকে, যাকে আমি এতোদিন ধরে খুঁজছিলাম।”
মল্লিকা ছুটাছুটি বন্ধ করে অবাক দৃষ্টিতে অন্তরের দিকে তাকিয়ে বলল,,,,,,
—-“কাকে খুঁজে পেয়েছেন?”
অন্তর মুখ খুলে যেই না কিছু বলতে যাবে এর আগেই দরজায় খটখট আওয়াজ হলো। মল্লিকা অন্তরের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে দরজা খুলে দিলো। সাথে সাথেই সাহেদ রুমে ঢুকে পড়ল। রুমে ঢুকেই সাহেদ কোমড়ে হাত দিয়ে অন্তরের দিকে তাকিয়ে বলল,,,,,,
—-“তুই এখানে আর আমি তোকে পুরো বাড়ি খুঁজছি। বিয়ে তোর আর আমরা কিনা খেটে খেটে মরব? চল আমার সাথে। বাইরে অনেক কাজ পড়ে আছে। ভাবীর সাথে পরে ও ইটিস পিটিস করতে পারবি।”
কথাগুলো বলেই সাহেদ অন্তরকে টানতে টানতে রুম থেকে বের হয়ে সোজা বাড়ির বাইরে চলে গেলো। অন্তর বেশ বিরক্তি নিয়ে সাহেদকে উদ্দেশ্য করে বলল,,,,,
—-“ধ্যাত আর টাইম পেলি না? রং টাইমেই তোকে এন্ট্রি নিতে হলো?
—-“কেনো রোমান্স করছিলি নাকি?”
অন্তর সাহেদের হাতটা ছেড়ে সাহেদের কাঁধে হাত রেখে মৃদ্যু হেসে বলল,,,,,,
—-“সাহেদ আমি তাকে পেয়ে গেছি!”
—-“কাকে?”
—-“আমার নীলান্জ্ঞনাকে!”
—-“মানে? কোথায় পেলি?”
—-“আমার রুমে আছে সে!”
—-“তার মানে ভাবীই সে মেয়েটি?”
—-“হুম।”
—-“কিভাবে বুঝলি?”
—-“সে আমাকে গড়গড় করে সব বলে দিয়েছে। কিভাবে সে চট্টগ্রাম গেছে আর রেজিস্ট্রি অফিস ই বা কেনো গেছে!”
সাহেদ এক ভ্রু উঁচু করে বলল,,,,,
—-“তুই কি এখন ভাবীকে ভালোবাসার কথাটা বলে দিবি?”
অন্তর বাঁকা হেসে বলল,,,,
—-“এখন বলব না। আগে মল্লিকার মনে আমার জন্য ভালোবাসা তৈরি করতে হবে। এরপর আমি ওকে আমার মনের কথা বলব।”
—“বাঃহ গুড আইডিয়া। এবার তাহলে মনযোগ দিয়ে আপনার বউভাতের কাজে লেগে পড়ুন। এখন তো আপনার পৌষ মাস চলছে।”
অন্তর হু হা করে হেসে সাহেদের সাথে কাজে লেগে পড়ল।
অন্যদিকে,,,,,,
মল্লিকা রুমের দরজা লাগিয়ে রাগে গিজগিজ করছে আর বলছে,,,,,,
—-“বলা নেই কওয়া নেই হুট করে গায়ের সাথে চিপকে গেলো। অসভ্য ছেলে এক্টা। এখন তো মনে হচ্ছে কাল রাতে মাথা ফাটিয়ে ভালোই করেছিলাম। না হয় আমার সব মান সম্মান লুটে নিতো।”
কথাগুলো বলেই মল্লিকা কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়ল।
#চলবে,,,,,,,,,
- (টাইপিং করতে করতে হাত ব্যাথা করছিলো, তাই পার্ট টা ছোট হয়ে গেছে। যাদের গল্পটা ভালো লাগছে না, দয়া করে ইগনোর করবেন।)