বিয়েটা করেই ফেলল রিশাদ তার অর্থ আর ক্ষমতার জোরে।বাড়িতে তার তিন মাসের ছেলেকে রেখে এসেছে সৎ মায়ের কাছে।রিশাদের ধারণা অর্থ দিয়ে সে সব নিজের করতে পারে। আর তাইতো ওই দুধের বাচ্চার জন্য আজ মাও কিনতে এসেছিলো। বিয়েটা তো করতে পারলো কিন্তু সংসারটা করবে কি করে? বউ নিয়ে বাড়ি আসার সময় তার সদ্য বিয়ে করা বউ পালিয়েছে মাঝপথেই। মেহউইশ গলা শুকিয়ে গেছে বলেই গাড়ি থামাতে বলল রিশাদকে। আর রিশাদও ভাবলো মেয়েটাকে বিয়ে তো করেই নিয়েছে এখন আর কষ্ট দিয়ে লাভ কি? খুব গরম না হলেও বিয়ের ভারী লেহেঙ্গায় ঘেমে নেয়ে কাহিল মেয়েটা। তার ঘর্মাক্ত মুখের দিকে তাকিয়েই রিশাদ ড্রাইভারকে গাড়ি থামাতে বলেছিলো। মেহউইশ গাড়ি থেকে নামতে গেলে রিশাদ ড্রাইভারকে বললো সামনে দোকান থেকে কোল্ড ড্রিংক আর পানি আনতে। ড্রাইভারও কথামত বেরিয়ে যেতেই মেহউইশ আবারও বলল, ‘আমি কি একটু গাড়ি থেকে বের হতে পারি? দমবন্ধ লাগছে।’
রিশাদ নিজেও অস্বস্তি বোধ করছিলো গরমে সিল্ক পাঞ্জাবী পরে৷ আর তাই সে বলল, ‘হুম!’
সে কি জানতো তার এই এক সম্মতি তার নতুন বউয়ের পালানোর পথ তৈরি করে দিবে! মেহউইশ গাড়ি থেকে বের হয়ে একপলক এপাশ ওপাশ দেখলো। রাত দশটা বাজেনি এখনও। রাস্তায় মানুষ খুব বেশি না হলেও কম নয় আর জায়গাটা মেইন রোডে হওয়ায় যানবাহন ছিলো অনেক৷ ফুটপাথে মানুষ কম আবার একটু পর পরই একটা করে গলির মোড়। মেহউইশ সুযোগ বুঝে একটা গলির ভেতর ঢুকে গেল। রিশাদ প্রথমে খেয়াল করেনি মেহউইশ গাড়ির সামনে থেকে চলে গেছে। ড্রাইভার যখন কাছে আসলো তখনই খেয়াল হলো মেয়েটা মানে তার বউ এখানে নেই। রিশাদ দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলো, ‘মেবিশ কোথায়?’
ড্রাইভার অবাক হয়ে তাকালো রিশাদের দিকে যার অর্থ সে কি করে জানবে বউ কোথায়? কিন্তু মুখে এই কথাটাই বলার সাহস হলো না ড্রাইভারের। কারণ, রিশাদ মনিব সে কর্মচারী।তারওপর রিশাদের ভয়ংকর স্বভাবগুলো ড্রাইভারের খুব ভালো করেই জানা। এই লোক কখনো কারো প্রতি দয়ামায়া দেখায় না। নিজের ভুলেও অন্যকে শাস্তি দেয়। রিশাদ ক্রোধে ফেটে যাচ্ছে মেহউইশ কি করে পালালো তার সামনে থেকে! মেয়েটা বিয়েতে রাজী ছিলো না শুরু থেকেই কিন্তু এতো তার দেখার বিষয় না। তার তিন মাসের বাচ্চাটাকে যেদিন অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল নিয়ে গেল সেদিন খুব কাঁদছিলো সেদিন মেহউইশ নামের ওই নার্সই একমাত্র তাকে শান্ত করতে পেরেছিলো। আর ডাক্তারও বলছিলো, ‘মা ছাড়া এতটুকু বাচ্চাকে কি করে বাঁচাবে!’ ব্যস ওই কথাটাই রিশাদকে পাগল করে দিলো। তার ছেলের জন্য মা হিসেবে মেহউইশকে নিতে৷ সে চাইলেই পারতো মেহউইশকে আয়া হিসেবে নিজের বাড়িতে রাখতে। কিন্তু তার সৎ মা জেবুন্নেসা ইশারা ইঙ্গিতে বুঝিয়েছে সন্তান কখনো আয়ার হাতে ভালোভাবে মানুষ হয় না। এই তো সে নিজেই আয়ার কাছে বড় হয়ে কেমন অমানুষ হলো। রাগ,ক্রোধ দমিয়ে রাখাটাই তো শেখাতে পারলো না তাকে আয়ারা। অথচ মা হিসেবে সৎ হলেও তিনি রিশাদের ভালোই চেয়েছেন সবসময়। এই ব্যপারটাই রিশাদকে প্রচণ্ড ভাবিয়েছিলো কদিন আর তারপরই নিজের ছেলের জন্য এই সৎ মায়ের ব্যবস্থা করা। সে একবারও ভাবেনি মেহউইশ মেয়েটা তার ছেলেকে মা হিসেবে কখনও ভালোবাসবে কিনা? তার ভাবনাশক্তি শুধু অর্থবিত্তে আর তার রাগে পর্যন্তই যেন সীমাবদ্ধ।
রাত তখন একটা পনেরো। ড্রয়িংরুমের সোফায় বসে আছে রিশাদ পাশেই জুবুথুবু হয়ে বসে আছে মেহউইশ।একটু আগেই তাকে পুলিশ অফিসার কাইয়ূম মেহউইশদেরই মহল্লা থেকে ধরে এনেছে। মেহউইশ যখন পালিয়ে গেল তখনই রিশাদ কাইয়ূমকে ফোন করলো। কাইয়ূম পেশায় পুলিশ হলেও সে কাজ বেশি রিশাদেরই করে। কারণ মাস শেষে সরকারি বেতন আর রেশন কাইয়ূমের পেটের এক কোণাও ভরাট করতে পারে না আর তা সে রিশাদের টাকাতেই ভরে। রিশাদের ফোন পেয়ে কাইয়ূম তার রাতের খাবারটাও খায় নি। ফোর্স নিয়ে বেরিয়ে প্রথমেই সে তল্লাশি চালায় সেই গলিতে যে গলির দিকে মেহউইশ পালিয়েছিলো। এরপর দু চারজনের সাথে কথা বলে অনুমান করলো মেহউইশ নিজের মহল্লার দিকেই গেছে।
রিশাদ বউ ছাড়া বাড়ি ফিরেছে দেখেই তার খালা মানে সৎ মা জেবু ফিঁচেল হেসে বললেন, ‘ বিয়ে হয়নি বুঝি?’
রিশাদ রাগী চোখে তাকাতেই জেবুন্নেসা আবার বললেন, ‘ একা একাই যাওয়ার কি দরকার ছিলো? আমরা তো বেঁচে আছি সাথে নিলেই পারতে৷ অন্তত বউটা ঠিকঠাক বাসরঘর পর্যন্ত পৌঁছে দিতাম।’
জেবুন্নেসা রীতিমতো টিপ্পনী কেটেই বলছেন রিশাদকে। রিশাদের বাবা রাশেদ দেশে নেই গত একমাস ধরে। তিনি টাকার নেশায় মজে থাকা মানুষ। ব্যবসার উন্নতি যখন যে দেশের দিকে তখন সেদিকেই দৌড়ান। জেবুন্নেসার দু’চোখের বিষ তার স্বামী মুখে না বললেও মনে মনে সবসময় দোয়া করেন যেন তিনি বিধবা হতে পারেন জলদিই। রিশাদকে বারবার বউ নিয়ে খোঁচা মেরে কথা বলায় রাগ দ্বিগুণ হয় তার আর তাই সোফার পাশে ফুলদানীটা উঠিয়ে সজোরে মারে জেবুন্নেসার পায়ের কাছে। রাত একটা পর্যন্ত সে বসার ঘরেই থম মেরে বসেছিলো আর জেবুন্নেসা ভয়ে সেই যে বসার ঘর ছেড়েছে আর আসে নি। এত সময়ের মাঝে একবার এসেছিলো রিশাদের সৎবোন রাইমা। বাচ্চাটা কাঁদছিলো বলে রাইমা তাকে নিয়ে বসার ঘরে আসে৷ ছেলের দিকে তাকিয়েই রিশাদের রাগ কিছুটা কমে যায়। রাইমার কাছ থেকে ছেলেকে নিয়ে রাইমাকে ঘুমোতে পাঠিয়ে দেয়। কাইয়ূম যখন মেহউইশকে ধরে নিয়ে আসে তখন রিশাদ বাচ্চাটাকে সোফায় শুইয়ে দিয়ে প্রথমে কাইয়ূমকে বিদায় করে। এবং তারপরই সে লাগাতার চার, পাঁচটা থাপ্পড় মারে। থাপ্পড়ের কারণে মেহউইশ নিঃশব্দে কান্না করে। সে ভয়ে,আতংকে তার বসে থাকা জায়গা থেকে এক পাও নড়েনি। এখনও ঠিক আগের অবস্থায় বসে আছে। রাতের আঁধার যতো গাঢ় হয়েছে ততোই রিশাদের নিঃশ্বাসের শব্দ মেহউইশকে ভীত,সন্ত্রস্ত করছে। জেগে থাকা মানুষের নিঃশ্বাস বোধহয় সে এতখানি জোর আওয়াজে কখনও শোনেনি। একবার ভাবলো রিশাদ বুঝি হাঁপানি, শ্বাসকষ্টের রোগী। তার তো আগে থেকে রিশাদ সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই। হাসপাতালে একদিন দেখেছে একটা অসুস্থ বাচ্চা নিয়ে এসেছে। যতটুকু বুঝেছে লোকটা দানবের মত এক হাতে তিনমাসের বাচ্চাকে বুকে চেপে ধরেছিলো। গাড়িটাও হয়তো এভাবেই চালিয়েছে। অতি দাম্ভিকতায় ঘাড় উঁচিয়ে হাঁট ছিলো লোকটা। মেহউইশের সামনে আসতেই বলেছে, ‘এখানে বেস্ট শিশু বিশেষজ্ঞ কে আছে?’ কন্ঠে যেন বজ্রপাত ঘটছিলো এত কঠিন আর ভারী কন্ঠ। মেহউইশ হাতের ইশারায় শিশুদের ডাক্তার নাইমা ম্যামের কেবিন দেখালো। তখনই বাচ্চাটা কাঁদতে থাকলে মেহউইশ হাত বাড়িয়ে বাচ্চাটাকে নিতে চাইলো। আর এই দানব লোকটা তাকে অবাক করে দিয়ে পকেট থেকে একটা স্যানিটাইজার পেন এগিয়ে বলল, ‘ হাত জীবাণুমুক্ত করে বাচ্চাকে ধরো।’ ব্যস সেই থেকেই মেহউইশের জীবনে এই দানব লোকের অত্যাচার। হাসপাতাল থেকে ফেরার দুদিন পরই রিশাদের পাঠানো এক লোক এলো হাসপাতালে। প্রথমবার ঠিকানা নিলো,দ্বিতীয়বার বিয়ের প্রস্তাব দিলো এবং তৃতীয়দিন মানে আজকে একদম বিয়ে করে এক বাচ্চার মা বানিয়ে দিলো। মন ভর্তি করা রাগ উপচে পড়ছে মেহউইশের সেই সাথে গাল দুটোতে ভীষণ ব্যথা। বসার ঘরেও বুঝি এসি চলছে! শীতল শীতল অনুভূতি হচ্ছে মেহউইশের। তার ঘরে তো ঠিকঠাক একটা ভালো পাখাও নেই আর এখানে বসার ঘরেও এসি চলে! যারপরনাই অবাক সে রিশাদরা খুব পয়সাওয়ালা তা এ বাড়িতে ঢোকার পথে অর্কিড ফুলের চারা দেখেই আন্দাজ করে নিয়েছে। আমাদের দেশে তো যার তার বাড়িতে এসব ফুল চোখে পড়ে না। কিন্তু এখন গালের ব্যথায় আর রিশাদের ভয়ে ঘাড় উঁচিয়ে ঘরটা একবার দেখতেও পারছে না। তার ওপর এখানে শুধু সোফার এদিকটাতেই আলো বাকি সব জায়গায় অন্ধকার।
প্রায় একঘন্টার মতোই চুপচাপ এক জায়গায় বসেছিলো মেহউইশ। রিশাদ এর মাঝে দু বার উঠেছে। কোন দিকে গেছে তাও খেয়াল করার সাহস হয়নি মেয়েটার।রাত যখন তিনটা তখন রিশাদ এক হাতে বাচ্চাটাকে নিয়ে অন্য হাতে মেহউইশকে অনেকটা টেনে হিঁচড়েই সিঁড়ি বেয়ে নিজের ঘরে নিয়ে গেল৷ এবং বিনা বাক্য ব্যয়ে একটা বালিশ ফ্লোরে দিয়ে নিজে বিছানায় শুয়ে পড়লো। কখন চোখ লেগেছে জানে না মেহউইশ তার ঘুম ভেঙেচে ভোর পাঁচটায় এলার্মের শব্দে। চোখ খুলতেই দেখলো রিশাদ উঠে গেছে। তা দেখে মেহউইশ মনে মনে ভাবলো, ‘চোর হলেও মানুষ ভালো৷ নামাজ পড়তে উঠেছে, বাহ্!’ কিন্তু তার এ ভাবনাতে বালতি পরিমাণ জল ঢেলে রিশাদ তার ছেলের ডায়াপার চেন্জ করলো। তারপরই ফোনে কাউকে ঘরে আসতে বলে নিজে পাঞ্জাবী বদলে টি শার্ট ট্রাউজার পরে তৈরি হলো। মেহউইশের দিকে একটিবার তাকিয়েও দেখেনি সে। মিনিট পাঁচেক এর মাঝেই একজন মধ্যবয়স্ক মহিলা এলো দরজায়। ফোনটা পকেটে ঢুকিয়ে সে দরজা খুলে কিছু বলেই বেরিয়ে গেল।
সারারাতের ধকল সকালেই শরীর জানান দিলো মেহউইশের। কোনমতে ফ্লোর থেকে উঠে মধ্যবয়স্ক সেই মহিলাকে উদ্দেশ্য করে জিজ্ঞেস করলো সে এই বাড়ির কে? মহিলা জানালো এ বাড়িতে আয়া হিসেবে এসেছে গত মাসে৷ এই বাচ্চা মানে রিশাদের ছেলের জন্য আসা। আর এও বলল মেহউইশ যেন দ্রুত কাপড়চোপড় পাল্টে ভদ্রস্ত হয়ে বাচ্চাকে দেখে। বাচ্চার সবরকম প্রয়োজন খুটিনাটি যেন জেনে নেয়। ক্লান্ত, কাহিল শরীরের সাথে এবার মনেরও অবসন্নতা টের পেল মেহউইশ। এত বড় বাড়িতে তাকে আসতে হয়েছে আয়া হয়ে সেও আবার বিয়ের সিলমোহর মেরে!
জেবুন্নেসা ঘুম থেকে উঠেই দোতলা থেকে ফোন দিলেন তার রান্নাঘরের মেইড সুফিয়াকে। জানতে চাইলেন রিশাদ বাড়িতেই আছে কিনা। কিন্তু মেইড জানালো রিশাদ দৌড়াতে চলে গেছে। নতুন বউ বাচ্চাকে নিয়ে বসার ঘরে হৈ চৈ বাঁধিয়ে বসেছে। মেইডের কথায় চমকে উঠলেন জেবুন্নেসা।
নতুন বউ!
‘হ্যাঁ’ সামনে দাঁড়িয়ে জবাব দিলো রাইমা৷ সেও আজ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছে। রাতে দেরি করে ঘুমালেই তার ঘুমের সমস্যা হয়। কিন্তু কাল রাতে দাদাভাই বিয়ে করতে যাবে বলে নির্জন মানে রিশাদের ছেলেকে রেখে গিয়েছিলো মায়ের কাছে। মা দাদাভাইয়ের নতুন বউকে দেখে কিছু কটুবাক্য বলবেন ভেবে প্রস্তুতি নিয়ে বসেছিলো। আর তাই নির্জনকে রাইমার কাছে ছেড়ে দিয়েছিলো। এতেই ঘুমের বারোটা বেজেছে রাইমার। এখন সে মায়ের ঘরে ঢুকতেই মায়ের ফোনালাপ শুনে জবাব দিলো।
– ‘রিশাদ তো কাল একা ফিরলো দেখলাম।’ জেবুন্নেসা মেয়েকে প্রশ্ন করলো।
-হুম, ফিরেছে একাই। নতুন ভাবীকে তো পুলিশ ধরে নিয়ে এলো।
‘পুলিশ!’
হ্যাঁ, পুলিশ রাতে একটার সময় নিয়ে এসেছে।
ওহ!
‘তুমি আবার নতুন ভাবীকে ঘাটতে যেয়ে না। দাদাভাইয়ের মুড খারাপ হলেই বাড়িতে সবার কপালে শনি লাগে। প্লিজ আব্বু ফিরে আসা অব্দি অন্তত লাগতে যেয়ো না।’ অনুনয়ের সুরে বলল রাইমা। কিন্তু তার এ কথায় বেশ ক্ষেপে গেলেন জেবুন্নেসা।
‘চুপ কর মুখপুড়ী। বাপের মতোই হয়েছিস সব ক’টা। তোদের কি মনে হয় রিশাদের বউয়ের সাথে আমি কেন লাগতে যাবো? সম্পর্কে আমি ওর সৎ মা হওয়ার আগে ওর মায়ের বোন খালা ছিলাম। হারামীগুলা একটাও আমায় বুঝলিনা।’ কালো মেঘের মতোই মুখের ওপর ঘোর অন্ধকার নামলো জেবুন্নেসার।
রিশাদ তার প্রতিদিনকার মতো দৌড় শেষ করেই বাসায় ফিরলো। ততক্ষণে ঘড়ির কাটা ছয়টা পেরিয়ে গেছে। নিজের ঘরে ফিরতেই সে টি-শার্টটা খুলে ছুঁড়ে ফেলল ময়লা কাপড়ের ঝুড়ির দিকে। তারপরই বাথরুমের দরজা খুলতেই চিৎকার কানে এলো তার। বাথরুমের ভেতর চোখ পরতেই ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল সে।
‘তুমি!’
মন_গহীনের_গল্প
রূবাইবা_মেহউইশ
পর্ব-১
(ভালো না লাগলে আশা করি জানিয়ে দিবেন সবাই কমেন্টে)