মন_পাড়ায় পর্ব_৫৪

মন_পাড়ায়
পর্ব_৫৪
#নিলুফার_ইয়াসমিন_ঊষা

ঝিনুক উদাসীন কন্ঠে বলল,
“প্লিজ অঞ্জলি আজ না।”
“সে এসে বসে আছে ক্যান্টিনে।”
“কে?”
“মোহিনী।”
চকিতে তাকায় সে অঞ্জলির দিকে। জিজ্ঞেস করে,
“যার সাথে সৈকতের…..”
অঞ্জলি তার কথা কেটে বলে,
“আমি তোকে মোহিনীর সাথে কথা বলার পর সবটা বলব।”

ক্যান্টিনে বসে আছে তিনজন। মোহিনীর কোলে একটা ছোট বাচ্চা। ঝিনুক সে বাচ্চাটার দিকে তাকিয়ে ছিলো। মোহিনী বলল,
“তুমি ঝিনুক তাই না? সৈকত তোমাকে নিয়ে খুব কথা বলে। বিশেষ করে তোমার হাসিটা নিয়ে।”
ঝিনুক মোহিনীর দিকে তাকাল কিন্তু কিছু বলল না। তার গলা দিয়ে কোনো শব্দই যেন বের হচ্ছে না। একদিনে তার সাথে আর কত কি হবে এবং সে এইসব কিভাবে সামলাবে তাই ভাবছে সে।
মোহিনী আবার বলল,
“এত বছর পর এই ভার্সিটিতে এসে অনেক ভালো লাগছে। পুরনো অনেক স্মৃতি ভাসছে চোখের সামনে। থ্যাঙ্কিউ অঞ্জলি আমার সাথে যোগাযোগ করার জন্য, নাহয় আমি হয়তো কখনো আর এই অনুভূতি উপভোগ করতে পারতাম না।”
অঞ্জলি হেসে বলল,
“বাবুর নাম কী আপু?”
“সাগর।”
ঝিনুক বিভ্রান্ত দৃষ্টিতে তাকায় মোহিনীর দিকে। তার বুকের ভেতর দলা বাঁধে একরাশ ভয়। ‘সাগর’ নামটা সৈকতের সাথে মিলানো।

অঞ্জলি মোহিনীকে জিজ্ঞেস করল,
“আপু সৈকত ভাইয়া জানে যে আপনারা এসেছেন?”
“তুমি মানা করেছ দেখে আর জানাই নি। আচ্ছা যেজন্য এসেছি তা বলি?”
অঞ্জলি মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিলো। মোহিনী বলতে শুরু করল,
“আমি ক্লাস নাইনে থাকতে একটা ছেলের সাথে সম্পর্কে যাই যা। প্রায় ছয়মাস পর জানতে পারি ছেলেটা আমার সাথে টাইমপাস করছিলো। কিন্তু আমি আমার ভবিষ্যৎ ওর সাথে দেখতে শুরু করেছিলাম। আমি নিজেও ভেঙে পড়ি। ও যখন অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্কে যায় তখন আল্লাহ জানে মাথায় কি ভূত চাপে আমি কয়েকটা করে ছেলের সাথে সম্পর্কে যেতে শুরু করি। এর মধ্যেই আমি দুইবার প্রেগন্যান্ট হয়েছিলাম। আর এবরশনও করিয়েছি। পরে আমার বন্ধুত্ব হয় সৈকতের সাথে। সত্যি বলতে ওকে আমি পছন্দও করতাম। সৈকতকে চেনার পর ওকে কে না পছন্দ করবে? খুব চেষ্টা করেছিলাম ওকে পাওয়ার। এর মধ্যেই ভার্সিটিতে গুজব আমাদের মধ্যে সম্পর্ক আছে। কিন্তু সৈকত বলেছিল ও অন্য কাওকে ভালোবাসে আর কোনো ভাবেই মেয়েটার বিশ্বাস ভাঙবে না। মেয়েটার চোখে কোনোমতে কান্না দেখতে পারবে না সৈকত। আমি এইসব নিয়ে ডিস্টার্ব ছিলাম তখন আবার একজনের সাথে সম্পর্কে যাই এবং প্রেগন্যান্টও হই। প্রেগ্ন্যাসির রিপোর্ট একদিন একটা বইয়ে থেকে যায় ভুলে সে থেকেই ক্লাসে সবাই জানে যে আমি প্রেগন্যান্ট। এইসব নিয়ে অনেক কিছু হয় তখন। আমি এবরশন করাতে যেতাম কিন্তু সৈকত এর আগেই সব জেনে যায় এবং আমাকে অনেক বুঝালো। বুঝালো যে আমি যা করছি তা কত খারাপ। শুধু আমি নিজের না আরও অনেকের জীবন নষ্ট করছি। ওই ছেলেটা আমার সাথে যা করেছে আমি কতগুলো ছেলের সাথেও তা করছি। সাথে হত্যা করছি কয়টা প্রাণের, আমার অংশের।
সাগরের বাবা কোনো কিছুতেই রাজি ছিলো না ওকে মেনে নেওয়ার জন্য। ও বিশ্বাস করতে পারবে না যে এইটা তার বাচ্চা। ওর মতে আমার মতো চরিত্রহীন মেয়েকে ও বিশ্বাস করতে পারবে না। কিন্তু এখানে বাচ্চা নিয়ে থাকাটা আমার পক্ষে জটিল হয়ে যায়।

আমার মা বাবা ডিভোর্সের পর আলাদা হয়ে যায় তাই অনেক আগে থেকেই হোস্টেলে থাকতাম আমি। তারা মাসে টাকা পাঠাতেন এই পর্যন্তই তাদের দায়িত্ব ছিলো। সৈকত তাদের সাথেও কথা বলে। তারা শুরুতে অনেক রাগ করে, আমাকে মেয়ে মানতেও নারাজ ছিলো তারা। তারপর সৈকত উনাদের বলেছিলো আমাকে সঠিক শিক্ষা দেওয়ার জন্য তাদের প্রথমে সময় বের করা উচিত তারপর আমাকে দোষারোপ করা উচিত। আমার বাবা থাইল্যান্ডে থাকতো। সৈকত আমাকে দূরে পাঠিয়ে দেয়, আমার বাবার কাছে। আমি সেখানে খুশি আছি। পড়াশোনা করছি। দিনকাল ভালোই যাচ্ছে। সৈকতের সাথে এখনো যোগাযোগ হয় আমার তবে শুধু বন্ধু হিসেবেই। ও কখনো আমার দিকে খারাপ নজরে তাকায়ও নি। ও তো তোমাকে ছাড়া অন্যকোনো মেয়ের কথা কখনো ভাবেও নি। এত বছর ধরে ভালোবেসেই আসছে। তুমি যখন ওর থেকে দূরে ছিলে তখনও ও তোমার খেয়াল রাখতো। তুমি তোমার বান্ধবী মিথিলাকে জিজ্ঞেস করতে পারো আমার কথা বিশ্বাস না হলে।”
মোহিনী ঝিনুকের হাতের উপর হাত রেখে বলল,
“তুমি অনেক ভাগ্যবান ঝিনুক যে সৈকত তোমাকে ভালোবেসেছে।”

ঝিনুক স্তব্ধ হয়ে রইলো। তার চোখটা সিক্ত হয়ে এলো। সে কাঁপা-কাঁপা কন্ঠে বলল,
“কিন্তু রিপোর্টে যে বাবার নামের জায়গায় সৈকতের নাম ছিলো আর ডাক্তারের কেবিনের সামনে যে আপনারা দুইজন ছিলেন?”
“সাগরের বাবা তো ওকে মানতেই রাজি না উনার নাম দিতামই বা কীভাবে? সৈকতই সব করেছে সাগরের জন্য। আজ সাগর বেঁচে আছে তো শুধুমাত্র সৈকতের জন্য। আজ আমি মাতৃত্বের মধুর স্বাদ উপভোগ করছি তাও ওর কৃপায়, নাহলে আমি তো আবার অমানুষের মতো আরেকটা প্রাণ নিয়ে নিতাম। তাই ওর নামের সাথে মিল রেখেই সাগরের নাম রাখা। আমার এই অবস্থা থাকায় প্রথমে সৈকত তোমাদের ব্রেকাপ সম্পর্কে জানায় নি। পরে যখন জানতে পারি তখন তোমাকে সত্যি বলতে চাইলেও সৈকত দেয় নি। আমি জানি না কেন!”
“কিন্তু আমি জানি।”
মোহিনী ও ঝিনুক তাকাল অঞ্জলির দিক। ঝিনুক মৃদুস্বরে জিজ্ঞেস করল, “কেন?”
অঞ্জলি তাকে সবটা খুলে বলল। ওদিন সৈকত তাকে ছাদে যা বলেছিলো, সব।
সব কথা শুনে মোহিনী বলল,
“ছেলেটা সারাটা জীবন অন্যের জন্যই কাটালো। নিজে কী পেল কষ্ট ছাড়া?”
ঝিনুক চোখ বন্ধ করে রইলো। তার দমটা আটকে আসছে যেন। মাথায় ঝিম ধরে আছে। সে তার কপালে হাত রেখে অনেকক্ষণ বসে রইলো। তারপর উঠে দাঁড়ালো। ব্যাগ নিয়ে বলল,
“আমাকে যেতে হবে।”
অঞ্জলি প্রশ্ন করল,
“কোথায়?”
উওর দিলো না ঝিনুক। দ্রুত গতিতে হাঁটা শুরু করল। দরজায় একবার দেখা হয় সাবের ও অর্ণবের সাথে। অর্ণব ঝিনুককে দেখে জিজ্ঞেস করে,
“কোথায় ছিলে তুমি এতদিন? কল দিয়েছিলাম তুমি……”
ঝিনুক উত্তর না দিয়েই হাঁটা শুরু করল। ফোনে ডায়েল করছিলো কারও নাম্বার ।
সাবের বিস্মিত কন্ঠে বলল,
“এই মেয়েটার আবার কী হলো?”
“দেখে আসব?”
অঞ্জলি তাদের সামনে এসে দাঁড়িয়ে হাত আড়াআড়ি ভাঁজ করে বলল,
“ওকে দেখা লাগবে না। কিন্তু আপনাদের কারও সাথে দেখা করানোর ইচ্ছা আছে।”
“কার সাথে?” প্রশ্ন করল অর্ণব।
অঞ্জলি তাকে নিয়ে গেল ভেতরে। ভেতরে যেয়ে সে দেখতে পায় মোহিনীকে। সে বিস্ময়ের শীর্ষে।
মোহিনী মিষ্টি হেসে জিজ্ঞেস করল,
“আরে তোমরা আমার ক্লাসে ছিলে না? কেমন আছ তোমরা?”
সাবেক উত্তর দিলো,
“আমরা তো ভালো। তোমার খবর কী? তুমি তো আর দেখাই দিলে না।”
অর্ণব কিছু বলল না। তার গলা দিয়ে কোনো শব্দ বের হচ্ছে না।
.
.
ঝিনুক ফোনটা কানের কাছে নিয়েই বলল,
“সে মেয়েটার সাথে সৈকতের কোনো সম্পর্ক ছিলো না ভাইয়া। সৈকত শুধু ওর সাহায্য করার জন্য রিপোর্টে নিজের নাম দিয়েছে। আর এইজন্যই সৈকত মোহিনীর সাথে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলো কিন্তু তোমার বন্ধু মিথ্যা বলল কেন যে সে সৈকত ও মোহিনীকে কিছু গভীর মুহূর্তে ব্যয় করতে দেখেছে? মিথ্যা বলেছে কেন তোমার বন্ধু ভাইয়া?”
ফোনের ওপাশে পরিশ। সে কথাগুলো শুনে অনেকক্ষণ স্তব্ধ রইল। তারপর বলল,
“আপাতত এইসব কথা বলার সময় না ঝিনুক। বাবা হার্ট অ্যাটাক করেছে, আমি সেখানে যাচ্ছি। প্রভা ও দুলাভাই রওনা দিয়েছে। তুই কী যাবি না’কি এখানে থাকবি?”
মুহূর্তে যেন ঝিনুকের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো। আজ কী হচ্ছে তার সাথে?
সে আতঙ্ক নিয়ে জিজ্ঞেস করল,
“খালু….খালু ঠিক আছে তো ভাইয়া?”
“হাস্পাতাল নিয়ে গেছে। আমি ঘুম থেকে উঠেই খবরটা পাই। প্রভা ও দুলাভাই আমাকে না নিয়েই চলে গেছে। আমিও রওনা দিচ্ছিলাম। তুই কি আসবি?”
“আসবো না মানে? আমি এখনি আসছি।”
“বাসস্ট্যান্ডে আছি আমি। লোকেশন পাঠাচ্ছি, তাড়াতাড়ি আয়৷ তোর ভার্সিটির কাছেই।”
ঝিনুক এক দুই চিন্তা না করে চলে গেল। সে কখনো তার বাবাকে দেখে নি। কিন্তু তার খালু তার বাবার থেকে কম না।

বিকেল সাড়ে চারটা বাজে। সৈকত রমনায় বসে ছিলো। বারবার কল করছিলো ঝিনুককে তার কল ধরার নামই নেই। প্রভা থেকে কল করে জানতে পারে ঝিনুক তার খালার বাসায় চলে গেছে।

রাত একটা বাজে ঘুম ভাঙে ঝিনুকের। সে উঠে দেখে সে তার রুমে। তার মাথায় এলো সে বাসে বসে ছিলো হঠাৎ করে কীভাবে তার চোখ লেগে এলো সে বুঝতেই পারলো না। তার মনে হলো গতকালের ঘুমের ঔষধের কারণে এই অবস্থায়। পরক্ষণেই তার মনে পড়লো তার খালুর কথা। সে দৌড়ে বের হয় হাস্পাতালে যাওয়ার আসায়। কিন্তু খালুর রুমে তাকে পেয়ে আবারও অবাক হয় ঝিনুক। তার না হাস্পাতালে থাকার কথা?

পরিশের রুমের সামনে যেয়ে দরজায় টোকা দেয় ঝিনুক। তার উত্তর লাগবে পরিশ ভাইয়া থেকে। সে মিথ্যা কেন বলল? পরিশ দরজা খুলে না। কিন্তু জিজ্ঞেস করে,
“কে?”
ঝিনুক উওর না দিয়ে রুমে ঢুকে পড়ে। সে রাগের মাথায় কিছু বলতে নিয়েছিলো কিন্তু রুমের অবস্থা দেখে সে স্তব্ধ হয়ে গেল। তার বিছানার সামনেই পরে আছে দুইটা মদের বোতল, গ্লাস, ড্রাগসের প্যাকেট ও তিনটা আধো খাওয়া সিগারেট এবং হাতে সিগারেট। এইসব দেখেই ঝিনুক আকাশ থেকে পড়লো। সে সারাজীবনে পরিশকে সিগারেট ধরতেও দেখে নি আর এই অবস্থা দেখে সে বুঝে উঠতে পারছে না কি এইসব!

ঝিনুক কাঁপা-কাঁপা কন্ঠে জিজ্ঞেস করল,
“এই….এইসব কী ভাইয়া? তুমি কবে থেকে…..”
পরিশ তার কথা কেটে বলল,
“তুই এইখানে কী করিস সোনা? যা নিজের রুমে যা।”
“ভাইয়া তুমি নিজের কী অবস্থা করেছ? আর তুমি আমাকে মিথ্যা বলে আনলে কেন? খালু হাস্পাতালে না নিজের রুমে।”
পরিশ উঠে এগিয়ে এলো। সে ভালোভাবে হাঁটতেও পারছিলো না। যা দেখে ঝিনুকের কান্না এসে পরলো। নিজের ভাইকে কখনো তার এমন অবস্থায় দেখতে হবে সে ভাবতেও পারে নি। পরিশ হাত সামনে এসে দাঁড়ালো। কেমন করে হেসে বলল,
“তোর আমার জন্য কষ্ট হচ্ছে? এই’যে দেখ তুই আমাকে কত ভালোবাসিস! আর বাবা বলে তুই না’কি আমাকে ভালোই বাসিস না।”
পরিশ পরে যেতে নিলেই ঝিনুক তার বাহু ধরে তাকে সামলিয়ে নিলো। ঝিনুক বলল,
“আমি অবশ্যই তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তুমি আমার ভাই হও।”
সাথে সাথে পরিশ ঝিনুকের হাত এক ঝটকায় ছাড়িয়ে হাত বাহু চেপে ধরে দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
“আমি তোর ভাই? কীভাবে আমি তোর ভাই? তুই আর আমি কী এক মায়ের সন্তান না তোর আর আমার রক্তে মিল আছে?”
কথাগুলো শুনে ঝিনুক থমকে গেল। পরিশ কি বলল তার বুঝতে সময় লাগে ভীষণ। সে স্তব্ধ রইল অনেকক্ষণ।
পরিশ নিজেই আবার ঝিনুককে ছেড়ে তার গালে আলতো করে হাত রেখে বলল,
“আমার সোনা ময়নাপাখি তুই না ছোট বেলায় পুতুল খেলার সময় বলতি তুই বড় হয়ে আমাকে বিয়ে করবি? আমরা দুইজন আগামীকাল যেয়ে বিয়ে করে আসব ঠিকাছে?”
“আমি বিবাহিত ভাইয়া। ভাইয়া তুমি নেশায় আছ যেয়ে ঘুমাও প্লিজ। তোমার হুশ নেই তুমি কি বলছ।”
পরিশ চেপে ধরে ঝিনুকের গাল। রাগান্বিত স্বরে বলে,
“ওই হারামজাদা সৈকতের জন্য সব শেষ হয়ে গেছে। আমি তোদের এত কিছু করে আলাদা করলাম অথচ অবশেষে ওই কুত্তাই তোর কপালে জুটলো। কিন্তু এইবার এমন হবে না। তুই শুধু আমার হবি। আর কারও না। বুঝতে পারছিস তুই?”
ব্যাথায় কুঁকড়ে গেল ঝিনুক। সাথে এমন কথা শুনে সে নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না। সে অবিশ্বাস্য কন্ঠে বলল,
“ভাইয়া তুমি সৈকতের নামে সব মিথ্যা বলেছ? কিন্তু কেন? তুমি জানো আমি ওকে কত ভালোবাসি তাও তুমি….. ”
পরিশ ঝিনুকের গাল ছেড়ে গলা চেপে ধরলো। অন্যহাত দিয়ে তার বাহু খামচে ধরে বলল,
“কেন তুই ওকে ভালোবাসবি? আমি তোকে ভালোবাসি তা তোর চোখে পড়ে না? ছোট থেকে তোর সব যত্ন আমি করছি তুই ওকে কেন ভালোবাসবি? ওকে কেন বিয়ে করবি? অনেক সহ্য করেছি আর না। তুমি আমার হবি। শুধুই আমার। আমি আগামীকালই তোকে বিয়ে করবো।”

চলবে…….

[আশা করি ভুল ক্রুটি ক্ষমা করবেন ও ভুল হলে দেখিয়ে দিবেন।]

পর্ব-৫৩ঃ
https://www.facebook.com/828382860864628/posts/1273956466307263/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here