মরুর বুকে বৃষ্টি পর্ব-২

0
3455

#মরুর_বুকে_বৃষ্টি💖
#লেখিকা-Mehruma Nurr
#পর্ব-২

★আদিত্য গাড়ির সিটে হেলান দিয়ে মাত্রই চোখটা বন্ধ করেছিল, হঠাৎ ওর ফোনটা বেজে উঠল। আদিত্য তাকিয়ে দেখলো ওর চাচী ফোন করেছে। আদিত্যর ভালো করেই জানা আছে ওর চাচী কেন ফোন দিচ্ছে। তাই ফোন রিসিভ করে কোনরকম ভনিতা ছাড়াই বলে উঠলো।
–আপনার একাউন্টে টাকা পৌঁছে গেছে চাচী, আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন। ওকে রাখছি। কথাটা বলে আদিত্য ফোনটা কেটে দিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। সামনের মিররে তাকিয়ে দেখলো বিহান ওর দিকে কেমন রাগী চোখে তাকিয়ে আছে। বিহানের এই রাগের কারণ আদিত্য ভালো করেই জানে। তাই দুষ্টুমি করে বলে উঠলো।
–কিরে এভাবে তাকিয়ে আসিছ কেন? মেরে টেরে ফেলবি নাকি? এক্সিডেন্ট করে আমাকে ফেলার প্ল্যান করে থাকলে, তাহলে বলবো এটা এ্যাপসুলেটলি ফ্লপ আইডিয়া। কারণ এতে আমার থেকে তোরই উপরে যাওয়ার টিকেট আগে কাটবে।

বিহান তিরস্কার করে বললো।
–হা, হা,হা ভেরি ফানি। মোর হাচিতো থামাইবারই ফারতাচি না।

–তো আটকাচ্ছিস কেন? হাস না। তোর দাঁত গুলা দেখাতো।

–আদি মুই এক্কারেই মশকারির মুডে নাইক্কা। তুই গোচ্ছা হরলেও আজ মুই না কইয়া থাকবার পারতাচিনা । মুই ভাইব্বা পাইনা যার সামনে হগ্গলে ঝুইক্কা থাহে। হেই তুই ওই গোল্ড ডিগার মহিলার সামনে বারবার ঝুইক্কা যাচ ক্যালা? তুই কি বুঝবার পারচ না ওই মহিলা তোর টেহা ছাড়া আর কিচ্ছুই বুঝেনা?
(বিহান সবসময় এভাবেই কথা বলে। যদিও আদিত্যর সাহায্যে বিহান লেখাপড়া করেছে। তবুও ও এই ভাষা ছাড়তে পারেনা। আদিত্যও আর কিছু বলে না।)

–দেখ বিহান, আমি সবই বুঝি। তবুও সে যেমনই হোক না কেন সে আমার চাচার স্ত্রী। আর সেই হিসেবে আমার চাচী। আর তুইতো জানিসই বাবা মা মারা যাওয়ার পরে চাচাই আমাকে মানুষ করেছে। সে না থাকলে আমি হয়তো কখনো এ পর্যন্ত পৌঁছাতেই পারতাম না। তার উপকারের প্রতিদান আমি আমার সারাজীবনেও চুকাতে পারবোনা। আর আবির আর আয়াত ওরাও তো আমার ভাই বোন।

–হেইয়া হইলেও..

–আরে বাদ দেনা। আমার এতো টাকা পয়সা দিয়ে আমি কি করবো? ওরা নাহয় একটু খরচ করছে করুক।

বিহান আরকিছু বললো না। ও জানে আদিকে বলে কোন লাভ নেই। ও এমনই।
________

রাত ৮-৩০
আদিত্য মাত্রই বাসায় এসে পৌঁছাল। ভেতরে ঢুকে সোফায় বসে শরীর টা এলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে নিল। বাসায় আসলে আদিত্যর মনটা কেন যেন আপনা আপনি বিষন্ন হয়ে ওঠে। ও যে এই দুনিয়ায় শুধুই একা, এই ফাঁকা অট্টালিকা টা ওকে সেটা হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দেয়। সারাদিন বাইরে বাইরে থাকলেও রাতে যখন বাসায় ফেরে তখন এই একাকিত্ব ওকে কুঁড়ে কুড়ে খেতে চায়। এই একাকিত্ব যেন ওকে আঙুল দেখিয়ে তিরস্কার করে বলছে,দেখ আদিত্য এত অর্থ প্রাচুর্য থাকা সত্বেও তুই কত অভাগা। নিজেকে তখন সবচেয়ে অসহায় ব্যাক্তি মনে হয়। যার নিজের একান্ত আপন বলতে কেউ নেই।

আদিত্যর জীবন সবসময় এমন ছিলোনা। বাকি সবার মতো ওরও জীবন ছিল হাসিখুশি। বাবার স্নেহ আর মায়ের মমতায় ঘেরা সুখের জীবন ছিল ওর। আদিত্যের বাবা একটা সরকারি চাকরি করতো। আদিত্যর পৃথিবী জুড়ে ছিল ওর বাবা মা। কিন্তু হঠাৎ এক কালবৈশাখী ঝড়ে ওর পৃথিবীটা তছনছ হয়ে গেল। কেড়ে নিয়ে গেল আদিত্যের সবকিছু। আদিত্যের যখন ১০ বছর বয়স তখন এক এক্সিডেন্টে আদিত্যের বাবা মা একসাথেই মারা যান। সেদিন থেকেই শেষ হয়ে যায় আদিত্যের সুখের জীবন। আদিত্য পুরো একা হয়ে যায়। আদিত্যকে দেখার মতো কেও থাকেনা। আদিত্যর নানা নানী অনেক আগেই মারা গিয়েছিল শুধু একটা মামা ছিল। কিন্তু সে আদিত্যর দায়িত্ব নিতে চাইনি। আদিত্যর দাদা দাদীও মারা গিয়েছিল। ওর বাবারা দুই ভাই এক বোন ছিল। আদিত্যর ফুপুর বিয়ে হয়ে গিয়েছিল, তাই আদিত্যকে নিজের কাছে রাখার জন্য তার শশুর বাড়ির লোক মানতো না। শেষমেশ আদিত্যের চাচা ওর সব দায়িত্ব নেই। আদিত্যকে ওর চাচা নিজের ছেলের মতোই ভালোবাসতো। আদিত্যও তার চাচাকে অনেক শ্রদ্ধা করতো। কখনো চাচার কথার অবাধ্য হতোনা। তবে আদিত্যের চাচী আদিত্যকে মোটেও পছন্দ করতো না। তারমতে আদিত্য শুধু একটা বাড়তি বোঝা ছাড়া আর কিছুই ছিল না। এরজন্য আদিত্যর চাচী ওর সাথে অনেক খারাপ ব্যবহারও করতো। তবে আদিত্যের চাচার সামনে সবসময় ভালো সেজে থাকতো। তবে আদিত্য কখনো কোন প্রতি উত্তর করতো না। চুপচাপ সবকিছু সহ্য করতো। ওর মতে তার চাচা এখানে থাকতে দিয়েছে,খাইয়ে পড়িয়ে লেখাপড়া করাচ্ছে এইতো অনেক। সেখানে নাহয় একটু সহ্য করলাম।

আদিত্য লেখাপড়ায় অনেক ভালো ছিল। তাই এইসএসসি পাস করার পর স্কলারশিপ পেয়ে লন্ডন চলে যায় স্টাডির জন্য। সেখান থেকে স্টাডি শেষ করে এসে বাংলাদেশে নিজের বিজনেস সেটাপ করে। ধীরে ধীরে আদিত্যর বিজনেস বড় হতে থাকে এবং আদিত্যর সফলতা আসমান ছুতে থাকে। এখন বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আদিত্যর ব্রাঞ্চ আছে। আদিত্য এখন সফলতার শীর্ষে। বিজনেস ছাড়াও আদিত্যের একটা মাফিয়া গ্যাং আছে। যদিও সেখানে কোন অনৈতিক বা অবৈধ কাজ হয়না। বরং যারা অন্যায়, অবৈধ কাজ করে তাদের শাস্তি দেওয়াই হলো এই গ্যাংয়ের মূল কাজ।

আদিত্য এখন নিজের বাড়ি কিনে এইবাড়িতেই থাকে। এত কিছুর পরেও দিনশেষে আদিত্য সেই নিশ্ব একা। মাঝে মাঝে আদিত্যরও ইচ্ছে হয় কেউ একজন ওর একান্ত হয়ে থাকুক। যে ওর জন্য অপেক্ষায় থাকবে। ওর জন্য চিন্তা করবে। যে ওর সুখে হাসবে, ওর দুঃখে কাঁদবে। দিনশেষে কান্ত শরীরে বাসায় ফিরে তার মুখের দর্শনে নিজের সব ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে। মুখে ভেসে উঠবে খুশির রেখা।
আদিত্য জানে ও চাইলেই হাজারো মেয়ে ওর জীবনে আসার জন্য লাইন ধরে যাবে। কিন্তু এরা সবাই শুধু ওর টাকা পয়সা আর বাহ্যিক সৌন্দর্যের জন্য ওর জীবনে আসতে চায়। যেমন ওর চাচী। এই মহিলা আগে ওকে দেখতেই পারতো না আর এখন নিজে থেকেই অধিকার ফলাতে আসে। শুধুমাত্র ওর টাকার জন্য। আদিত্য সবই বোঝে কিন্তু বুঝেও কিছু বলেনা।থাকনা, নামের হলেও তো আপনজন। কেইবা আছে আমার এই নিস্ব জীবনে। একমাত্র বিহান ছাড়া।

বিহান ছোটবেলা থেকেই আদিত্যর সাথে থাকে।আদিত্যর যখন ১২ বছর বয়স, তখন বিহানকে পেয়েছিল আদিত্য। বিহানেরও এইদুনিয়ায় আপন বলতে কেও নেই। রাস্তায় রাস্তায় পানি বিক্রি করতো। একদিন আদিত্য রাস্তা দিয়ে হেটে স্কুলে যাচ্ছিল হঠাৎ ওর দিকে একটা গাড়ি ব্রেক ফেল করে ওর দিকে ছুটে আসতে থাকে সেই মূহুর্তে বিহান আদিত্যকে হাত ধরে টান দিয়ে বাচিয়ে ছিল। সেদিন থেকেই আদিত্য বিহানকে নিজের বন্ধু বানিয়ে নেই। যতটা পারত বিহানকে সবকিছুতে সাহায্য করতো। নিজের বিজনেস শুরু হওয়ার পর থেকে বিহানকে নিজের সাথেই রাখে আদিত্য। তবে আদিত্যের বাড়িতে থাকেনা। আদিত্যের বাকি স্টাফদের মতো স্টাফ কোয়ার্টারে থাকে। আদিত্য অনেক বলেছে ওর সাথে ওর বাসায় থাকতে। কিন্তু বিহানের একটাই কথা, বন্ধু হলেও ও আদিত্যের স্টাফ। তাই ও স্টাফ কোয়ার্টারেই থাকবে। তাই আদিত্যও আর কিছু বলেনা। ওর যেভাবে ভালো লাগে সেভাবেই থাকুক।

আদিত্যর ভাবনার মাঝেই এক সার্ভেন্ট এসে মাথা ঝুকিয়ে বললো।
–সার আপনার ডিনার রেডি।

আদিত্য চোখ খুলে সোজা হয়ে বসে বললো।
–ওকে ইউ ক্যান গো নাউ।

সার্ভেন্ট টা আস্তে করে মাথা ঝাকিয়ে চলে গেল। আদিত্য একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে নিজের বেডরুমে এগুলো। বেডরুমে এসে ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে হাতের ঘড়ি খুলে, গায়ের ব্লেজারটা খুললো।শার্টের বোতাম খুলে শার্টটা খুলতেই নিচে কিছু একটা পড়ার শব্দ হলো। আদিত্য ভ্রু কুঁচকে নিচে তাকিয়ে দেখলো চকলেটের প্যাকেট। নিচু হয়ে চকলেট টা হাতে নিল আদিত্য। চকলেট টা দেখে হঠাৎ নূরের কথা মনে পড়ে গেল। মেয়েটির নিষ্পাপ চেহারা, তার হাসি,তার বাচ্চামো আচরণ গুলো মনে পড়তেই আদিত্যর ঠোঁট দুটো আপনা আপনি প্রসারিত হয়ে গেল। মেয়েটা সত্যিই নিষ্পাপ। দুনিয়া দাঁড়ির কোন ভাবাবেগ নেই ওর ভেতর। নেই কোন লোভ লালসা, চাওয়া পাওয়া। একদম নূরের আলোর মতোই নিষ্পাপ নূর। আমাকে বলে কিনা হিরো।
কথাটা ভেবে আদিত্যর ঠোঁটের হাসি আরও একটু হয়ে গেল।

আদিত্য চকলেট টা ড্রেসিং টেবিলের ওপর রাখতে গেলে আয়নায় চোখ পড়ে যায়। আয়নার দিকে ভালো করে তাকাতেই কিছুক্ষণের জন্য থমকে যায় আদিত্য। নিজের ঠোঁটে ঝুলে থাকা হাসিটা দেখে নিজেই অবাক হয়ে যায়। ও হাসছে? সত্যিই হাসছে?তাও আবার একটা মেয়ের কথা ভেবে? লাইক সিরিয়াসলি?
আদিত্য আবরও ভালো করে তাকিয়ে দেখলো, এখনো ওর ঠোঁটে হাসির রেখাটা লেগে আছে। আর এটা কোন দেখানো বা সৌজন্যমূলক হাসি না। এটা মন থেকে আসা সত্যিকারের খুশির হাসি। যেটা শুধু ওর ঠোঁটে না চোখে মুখেও ছড়িয়ে পড়েছে।আদিত্যর মনে নেই শেষ কবে ও এমন মন থেকে হেসেছিল।

রাত ১২ টা
আদিত্য বেডে শুয়ে চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু কিছুতেই ঘুম আসছে না।আদিত্যের সবকিছু টাইম টু টাইম হয়। খাওয়া, কাজ, ঘুমানো সবকিছু টাইম মতো করে। কিন্তু আজ টাইম পার হয়ে গেছে তবুও ওর চোখে ঘুম নেই। চোখ বন্ধ করলেই বারবার শুধু নূরের হাসিমুখ টা ভেসে উঠছে। কিছুতেই ঘুমাতে পারছে না।কেমন যেন অস্থির অস্থির লাগছে। আদিত্য আর না পেরে উঠে বসে বিহানের নাম্বারে ফোন দিল।

বিহান ঘুমে কাদা হয়ে আছে। এদিকে ওর ফোনটা বেজেই যাচ্ছে ওর কোন খেয়াল নেই। ফোন না ধরায় আদিত্য আরও বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে। চারবারের বার বিহান ফোন ধরে ঘুমো ঘুমো কন্ঠে বললো।
–কোন হারামি রে? রাইতবিরাতে ফোন দিয়া মোর স্বাদের ঘুমডা ভাইঙ্গা দিসোচ। মনে চাইতাছে ফোনের মধ্যে ঢুইক্কা তোরে পিডাইয়া আহি।

–আচ্ছা আয়। মেরে যা। দেখি তোর কতো দম।

আদিত্যের কন্ঠ শুনে বিহান বেকুবের মতো ফোন সামনে এনে ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখলো আদিত্য কল করেছে। বিহান একটা ঢোক গিলে ফোন কানে নিয়ে বললো।
–আদি তুই? তোরে আবার এত রাইতে কিসে কামরাইলো? তোর তো এতক্ষণে ঘুমের পয়লা ডোস কমপ্লিট হইয়া যাওয়ার কথা? তুই কি মোরে স্বপনে ফোন দিসোচ?

–শাট আপ ইডিয়ট। কখন থেকে আবোল তাবোল বলে যাচ্ছিস। আমকে কিছু বলতে দিবি?

–হ হ ক না মামা কি কবি?

আদিত্য একটু গলা খাঁকারি দিয়ে বললো।
–আমার নূরের সব ডিটেইলস চাই, সকালের ভেতরই।

বিহান ভ্রু কুঁচকে বললো।
–এই নূর ফুর আবার ক্যাডা মামা?

–আজ বিকেলে যে মেয়েটির সাথে দেখা হয়েছিল, যাকে আমার গাড়িতে বসিয়েছিলাম।ওই মেয়েটির কথা বলছি।

–আইচ্চা,ওই মাইয়াডা? তা তুই ওই হাফ মেন্টাল মাইয়ার ইনফো দিয়া কি করবি?

আদিত্য দাঁতে দাঁত চেপে বললো।
–ওর নাম নূর। বেশি কথা না বলে তোকে যা বললাম তাই কর।সকালের ভেতর সব ডিটেইলস চাই আমার ব্যাস।
কথাটা বলে আদিত্য ফোন রেখে দিল।

বিহান ব্যাঙ্গ করে বিড়বিড় করে বললো।
–সব ডিটেইলস চাই আমার ব্যাস। আরে হালুয়া নাকি? কইলেই ওইয়া গেল? শালা নিজেতো কইয়াই খালাস। আর মোর স্বাদের ঘুমডা হারাম কইরা দিল।
_________

সকাল ৮ টা
আদিত্য ফ্রেশ হয়ে নিচে এসেছে ব্রেকফাস্ট করার জন্য। তখনি বিহান এসে সোফার টি টেবিলের ওপর একটা ফাইল ঠাস করে রেখে সোফায় গা এলিয়ে দিয়ে বললো।
–এই ল, এইটুক চময়ে খালি ঠিকানাই যোগাইবার পারচি। এর বেশি আর হইতো না। বাহিডা পরে করুমনে।

আদিত্য কিছু না বলে ফাইল হাতে নিয়ে দেখতে লাগলো। তারপর আস্তে করে বললো।
–হুম, আপাতত এইটুতেই চলবে। এখন চল ব্রেকফাস্ট করে বের হবো আমরা।

–বাইর হমু মানে?গাঞ্জাখোর গো মতো কতা কচ ক্যালা? তুই তো কইয়াই খালাস হইয়া আরামে ঘুুম দিছচ। আর মুই যে শিয়ালের মতো জাইগ্গা জাইগ্গা ইনফো জোগায়লাম। এহন আবার তোর লগে যাইবার কচ। তাইলে মুই ঘুমামু কহন?

আদিত্য ভাবলেশহীন ভাবে বললো
–দুই মিনিটের ভেতর উঠে ব্রেকফাস্ট শেষ কর।নাহলে কিন্তু না খেয়েই বের হতে হবে।

বিহান সোজা হয়ে বসে বললো।
–কেসটা কি কতো মামা? হঠাৎ ওই মাইয়াডার লাই এত ইন্টারেস্ট দেখাইবার লাগচ ক্যালা? কুচ কুচ লোচা হে কেয়া? তুই আবার ওই হাফ মেন্টাল মাইয়ার পিরিতে ফুল মেন্টাল হইয়া গ্যালা নি?

আদিত্য কিছু না বলে ব্রেকফাস্ট করতে লাগলো।
বিহান মনে মনে আদিত্যকো শক্তপোক্ত কয়েকটা গালি দিয়ে ব্রেকফাস্ট করতে বসলো।

চলবে……
(আমি ঢাকাইয়া ভাষা তেমন জানিনা। তবুও দেওয়ার চেষ্টা করেছি।কিছু ভুল হয়ে গেলে ক্ষমার চোখে দেখবেন সবাই ।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here