বর বউয়ের রোমান্টিক ঝগড়ার গল্প :
গল্পের নাম ধাঁধার মাধ্যমে দিলাম।দেখি কে কে বলতে পারে?
♠♠♠♠♠
( ঘরের ভিতর ঘর, তার ভিতরে বসে আছে বউ আর বর)
♣♣ পর্ব: ১
গল্পকার: #গল্প বুড়ি তিলোত্তমা
!
!
!
!
আজ হুট করেই আমার বিয়ে হয়ে গেল ।
কথায় আছে না,
উঠ ছেরি তোর বিয়ে লো ।
ঠিক এভাবেই বিয়ে টা হয়ে গেল।।
বিয়ে নিয়ে কত স্বপ্ন ছিল আমার । কিন্তু আজ তা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল।
আর যা হল সব বাবার জন্য ।
মনে মনে এত রাগ হচ্ছে কি বলবো। যার সাথে বিয়ে হয়েছে তার নাম পর্যন্ত জানিনা,আর তাকে চেনা তো দূরেই থাক।
!
!
আজ সকালের কথাই বলছি,
ছাদের বাগানে পানি দিচ্ছিলাম । পিছন থেকে বাবা বললো তিলোত্তমা মা কি করছিস।
তোর কাছে একটু দরকার ছিল।
আমি : বাবা তোমার চোখের সমস্যা বেড়ে গিয়েছে নাকি? দেখছো না কি করছি।
বাবা: কেন রে মা এভাবে বলছিস কেন ?
আমি : কেনই বলবো না বল। কারন যখনি তুমি এভাবে ডাক আমাকে, তখনি তুমি কিছু না কিছু তোমার উদ্দেশ্য থাকে।
বল কাজ টা কি ?
কাপড়া আয়রন করে দিতে হবে নাকি মাথায় মেহেদি লাগিয়ে দিতে হবে ?
বাবা: কেন কাজ দেওয়া ছাড়া বুঝি, তোর সাথে কোন দরকার থাকতে পারে না।
তুই কি এটাই বিশ্বাস করিস ?
আমি সব সময় তোকে দরকারের জন্যই ডাকি।
আমি : বাবা তুমি এতোটা সিরিয়াস হলে কেন? আমি কি কখনও বলেছি তোমাকে বা আমার আচারণে বুঝিয়েছি । কি বলবে বল, আমি তোমার কথা শুনছি।
বাবা: হ্যা মা বলছি।
তুই তো এবার অনার্স ২য় বর্ষে। তোর দুই ভাই তুষার – তুহিনের ও বিয়ে দিয়েছি।
আর আমি আর তোর মা হজ্বে যাওয়ার নিয়ত করেছি। তাই আর কি —–
আজ বাবার হাবভাব অন্যরকম লাগছে। জানি না কেন যেন মনে হচ্ছে বিষয়টা সিরিয়াসলি কিছু হবে।
ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না।বাবা কি বলবে আমায়।
ভাবনার জগৎে ডুবে গেলাম। ঠিক তখনি বাবার কথার শব্দে ধ্যান ভাঙ্গলো।
বাবা: এত কি ভাবছিস।?)
ামার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোন। তারপর যা বলার বলবি।
আজ তোকে দেখতে আসছে।
ছেলে কম্পিউটার ইনজ্ঞিনিয়ার।
বাবার একমাএ ছেলে, আর একটা বোন আছে।
শিক্ষিত ফ্যামেলি।সব মিলিয়ে ভাল।
যদি তাদের সব পছন্দ হয়। তবে আজকেই বিয়ে।
কারন ছেলের বাবা- মা ও আমাদের সাথেই হজ্বে যাবেন।
তাই একটু জ্বলদি মা-বাবার ফরয কাজগুলো শেষ করার।
এসব কথা বলে বাবা চলে গেলেন।
কথাটা শোনা মাত্র চোখ কপালে উঠল। বাবা কি বলছে এসব। ছেলে দেখতে কেমন, কি এসব একশত প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
তারা হজ্বে যাবেন বলে আমাদের কেন কোরবানি করছেন। আল্লাহ গো, মনে হয় কোরবানির আগেই কোরবানি হয়ে যাবো।
কিন্তু কিছুই করার নেই, বাবা যখন বিয়ে ঠিক করেছে। বিয়ে তো করতেই হবে।
কারন বাবাকে যতটা সহজ ভাবছেন, বাবা ততটা সহজ না। তিনি এক কথার মানুষ আর বিষণ জেদি। বাড়ির কাউকেও কিছু বলে লাভ হবে না।
কারন বাবার কথার উপর কেই কোন কথা বলে না।
বাবার কথা রাখতেই নিজেই নিজের কোরবানি দিলাম ।
এখন আমি আমার বাসর ঘরে বসে আছি। আমার ননদ সায়লা আমাকে এই রুমে বসিয়ে দিয়ে গেল।
আমি বসে বসে রুমটা দেখছি।
আর এরকম অদ্ভুত বাসর ঘর কখনোই দেখি নি অথবা যেগুলো দেখেছি তা বাসর ঘর ছিল না বাসর খাট ছিল।
কারন এই পুরো ঘরটা ফুলে ফুলে সাজানো।
কিন্তু বিছানা বা তার আসেপাশে কোন ফুল নেই। কেমন যেন একটু অন্যরকম মনে মনে ভাবছি।
হঠাৎ দরজার শব্দ পেয়ে আমি চুপটি করে বসে আছি। বৌমা ডাকে মাথা তুললাম।
আমি তো পুরা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাচ্ছি। বাসরঘরে শুনেছি ননদ আসে, জা আসে কিন্তু শ্বাশুড়ি মা কেন এলো ?
মা: বৌমা তোমায় কিছু কথা বলবো তুমি শুনবে ?
আমি : হুম বলেন।
মা: আমার ছেলেটা খুব লাজুক স্বভাবের ও মুখ খুলে কাউকেই কিছু বলে না। তুমি আমার ছেলেটাকে একটু বুঝে নিও মা। আর হ্যা আমার ছেলেটার না কোয়েলে এ্যালর্জি আর মশায় কামড়ালে জ্বর হয়। তাই মশারি টানাতে ভুলনা। কারন ও এ ব্যাপারে বড় অলস। এত কিছুর পরেও ও জীবনেও মাশারি টানাবে না।
এতদিন আমি টানিয়ে দিতাম। কিন্তু এখনতো তা কেমন দেখায়। তাই বললাম আর কি।
আর মশারিটা খাটের ড্রোয়ারে আছে এই বলে মা চলে গেলেন।
এ কথাগুলো শুনে মনে হয়, আমার মাথায় বাজ পরার অবস্থা।
কারন আমি জীবনেও মশারি টানিয়ে ঘুমাই না।
ামার মশারির ভিতরে কবর কবর লাগে , দম বন্ধ হয়ে আসে।
আর বিয়ের দিন কোন শ্বাশুড়ী ছেলেকে মাশারি টানানোর কথা বলে।
বললে অন্য কথা বলে।
এখন বুঝলাম হজ্বে যাওয়ার আগে মশারি টানানোর জন্য লোক ানলেন।
মশারি টানানোর জন্যই বিছানার আশেপাশে কোন ফুল নেই এখন বুঝলাম।
আজ মনে হয় হচ্ছে আমি বিটিভির আবহাওয়া বার্তা শুনছি। একের পর এক উড়া ধুরা খবর।এখন কি করবো আমি?
আর কিছুই ভাবতে পারছি না,মনে হয় যদি অদৃশ্য হয়ে যেতে পারতাম। রাগে দুঃখে কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে। ভাবছি কিছু তো উপায় করতেই হবে।
তখনি কারো হালকা কাশির শব্দ কানে এলো—–
!
!
!
চলবে—–
!
!
!
আমার লেখা প্রথম পর্ব গল্প।
আর কত কাল ধার করা গল্প পোস্ট করবো।
তাই সাহস করে লিখে ফেললাম।
জানি না কেমন লাগবে সবার। তবে চেষ্টা করবো ভাল করার।
কমেন্টে প্লিজ জানাবেন কেমন লাগলো ।?