মশারি পর্ব-১৫

0
1012

বর বউয়ের রোমান্টিক ঝগড়ার গল্প :

♠♥♠ #মশারি ♠♥♠

♣♣ পর্ব : ১৫

গল্পকার: #গল্প বুড়ি তিলোত্তমা
!
!
!
!
ভয়ে আমার গলা শুকিয়ে গিয়েছে। সাহিল আমাকে ১ গ্লাস পানি দিলো খেতে। তারপর ওর হাত দিয়ে আমার চোখের পানি মুছে দিল।
আর বললো আমার বউটা যে ছোটই রয়ে গেল তার কি হবে।
!
এই বলেই ওর ঠোঁট জোড়া আমার “””””””””” কপালে ছুয়ে দিল।
!
এরপর দুই গালে ঠোঁট ছুঁয়ে বললো, আমার বউয়ের নাম তো মিষ্টি তবে তার গালটা নোনতা কেন ?
!
!
আমি তার এই আচারনে একটু কেঁপে উঠলাম। যখন সে নোনতা কথাটা বললো, তখন আমি মনের অজান্তেই হেসে উঠলাম।
আর বললাম মিষ্টির উপর লবণাক্ত চোখের পানি পড়েছে। তাই মিষ্টি নোনতা হয়ে গিয়েছে।
!
!
সাহিল আমাকে বিছানায় বসিয়ে, সে নিচে হাটু ভাজ করে বসে। আমার উরুতে ওর হাতের কুনুই দুটো রেখে আলতো করে আমার গালে হাত বুলিয়ে বললো, তুমি এভাবে থাকলে, আমার অনেক ভাল লাগে।
তুমি যখন আমাকে এড়িয়ে চলো তখন আমার খুব কষ্ট হয়।
আর তোমার যদি আমাকে কষ্ট দিতে ভাল লাগে তবে আমি তাতেই খুশি”””””””
!
!
সাহিল যখন এভাবে আমাকে কথাগুলো বলছিল, ওর চোখের ভিতর এক অদ্ভত মায়া কাজ করছিল।
ওর চোখে আমার চোখ পড়তেই যেন ওর চোখ জোড়া আমাকে কাছে না পাবার নালিশ জানান দিচ্ছিল।
!
আমি কিছুক্ষনের জন্য মুগ্ধ হয়ে ওর চোখের দিকে তাকিয়ে রইলাম।
এ এক স্বর্গীয় অণুভুতি”””””””
!
!
সাহিল বলে উঠলো, প্লিজ জান এভাবে তাকিয়ে ও না। আমি তো ঘায়েল হয়েই আছি।
প্লিজ আমাকে আর ঘায়েল করোনা।””””””””””
!
!
আমি লজ্জায় চোখ দুটো বন্ধ করলাম। ও ওর আলতো নরম ঠোঁট দুটো আমার চোখের পাতা দুটোকে ছুঁয়ে গেল।
আমার হৃদয়ে এক ধরনের কম্পন হতে লাগলো। শিহরণে পুরো গা শিউরে উঠলো।

!
আমি কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে বললাম, রাত অনেক হল যে ঘুমাবেন না।
!
!
সাহিল : ধূর”””! কি আনরোমান্টিক বউরে আমার।
একটু রোমান্টিক মুডে ছিলাম তাও ঘেটে দিল।
এই শোন তুমি আমাকে তুমি করে বলার কসম কাটছো কিন্তু।
!

আমি : দেখুন আপনাকে, সরি তোমাকে প্রথম প্রথম তুমি বলতে আপনে মুখে আসতেই পারে। পরে আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।
প্লিজ আমাকে উঠতে দেন/ না দাও। আমার বড্ড ঘুম পাচ্ছে, আমি ঘুমাবো।
!
!
সাহিল :২০ টা বছর তো কতই ঘুমালে। এখন কয়েকদিন না ঘুমালেও চলবে (দুষ্ট হাসি দিয়ে)
!
!
আমি : সত্যিই দেরি হচ্ছে। শুয়ে শুয়েও তো কথা বলা যাবে।
!
!
সাহিল : আরে বাহ””!
আমার বউ তো হেব্বি স্মার্ট । সত্যিই তো শুয়ে শুয়ে গল্প করার মজাই আলাদা।
!
!
আমি উঠে ব্যাগে থেকে আমার সালোয়ার কামিজ বের করে ওয়াশরুমে ঢুকবো। তখনি ও”””””
!
!
সাহিল : এই তুমি কি আবার চলে যাবে নাকি? কাপড় ব্যাগ থেকে নামাচ্ছ না।
আর
শাড়ী খুলে এসব পড়বে নাকি ? শাড়ীটা না পাল্টালেই নয়””’!
!
!
আমি : হুম “! কিন্তু কেন?
শাড়ী না পড়লে সমস্যা কি?
জানি তো মনে সব বদমতলব গুলো পিংপং বলের মত লাফাচ্ছে “””
!
!
সাহিল : না মানে”””” তোমাকে শাড়ীতেই বেশি সুন্দর লাগে তো । তোমার যদি সমস্যা হয় চেন্জ্ঞ করতেই পারো””
!
!
আমি : আসলে সমস্যা বলতে, একে তো #মশারির নিচে ঘুমাতে হচ্ছে,আর এই গরমে শাড়ী পড়ে শোয়া জাস্ট অসহ্য।
!
!
সাহিল : ওকে ‘”‘! তোমার comfortable feel করাটাই first priority.
!
!
আমি শাড়ী বদলে হালকা গোলাপি কালারের থ্রী পিস পরলাম। সব গহনা গুলো ড্রেসিং টেবিলের উপর খুলে রাখলাম। আর আমার প্রতিদিনের নতুন চাকরী #মশারি টানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি ।
!
!
ফাজিল টা বলে উঠলো ওফারের কিন্তু মেয়াদ যায় নি। রিচার্জ করলেই স্টার্ট হবে।
!
!
আমি : আমার কোন অফারে interest নেই। যদি ফাউ ফাউ বোনাস পাই। তবে রিচার্জ করে এক্সর্টা খরচ করার কি দরকার।
!
!
আর কিছু কিছু অফার একবার চালু হলে, বন্ধ হওয়ার নামি নেয় না।
তাই আমি যেন আছি তেমনি ভাল।
!
!
ন্যাড়া একবারই বেল তলাতে যায়””””””
আমার কি মাথা খারাপ নাকি যে, নিজে যেচে বাঘের মুখে হাত দিবো “”””
!
!
#মশারি টানিয়ে লাইট টা অফ করে শুয়ে পরলাম।
লাইটের আলোতে আমার একদম ঘুম আসেনা।
!
“!
বিছানায় যেতে যেতে শুরু হল কসম পুরোনের তাল বাহানা।
!
!
কিছু বলতেও পারছিনা আবার সইতেও পারছিনা।
!
!
এই গরমে একদম গা ঘেষে কাছে আসছে। ইচ্ছে তো হচ্ছে কুনই দিয়ে পেটের মধ্যে দেই এক খোচা। কিন্তু না কসম করছি যে। এখন কি করি?
!
!
আমি : আপনাকে একটা কথা বলবো ?
!
!
সাহিল : হুম বলো। এই তুমি আবার আপনি বললে।
!
!
আমি : না মানে “””’ সরি “”‘!
শুনছো আমাদের তো এ্যারেন্জ্ঞ ম্যারিজ । তাও আবার কেউ কাউকে না দেখেই বিয়ে। যদিও আপনি না তুমি আমাকে দেখেছো বা আমার সম্পর্কে জেনেছো। কিন্তু আমি তো তোমাকে দেখিনি বা কিছু জানিনি।
!
!
সাহিল : তো “”” কি “” বলতে চাইছো?
!
!
আমি : না মানে “”! দেখুন মানুষ পালিয়ে বিয়ে করলেও জানে তার বিয়ে আর আমি নিজেই জানলাম না আমার বিয়ে। জানেন আমার বিয়ে নিয়ে কত স্বপ্ন ছিল। কত কল্পনা জল্পনা ছিল। সব তো বানের জলে ভেসে গিয়েছে। (একদমে)
!
!
সাহিল : ধীরে ধীরে ! এত অস্থির হইও না জান ! এখন বল আমি কি করতে পারি ?
!
!
আমি কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললাম । আমরা আগে দুজন দুজনকে ভাল করে জানবো। তারপর আমরা যা করার করবো “””।
!
!
সাহিল : বাসর রাতেই তো আমাকে তোমার আমার ডিটেল বললাম। তারপরে আবার কিসের চেনা জানা।
যা চেনা জানার হয়েছে , তারপরে কি করার কথা যেন বললা””‘”‘
!
!
এ শালায় তো আস্ত একটা লুচু । দুনিয়ার সব পুরুষ মানুষগোলোই এক নাকি। মনডায় চায়তেছে একটা উস্টানি মারি। কিন্তু এক জায়গায় তো মরছি । ধ্যাত ভাল লাগেনা”””!
!
!
সাহিল : চুপ কেন ? তুমিই তো কি যেন বললে”””!
!
!
আমি::: আমি আবার কি বলবো। যা বলি সবি তো উল্টোটা বুঝেন। বলেই বা লাভ কি। আপনারা পুরুষ মানুষ আপনাদের কথাই তো উপরে থাকবে “””
!
!
সাহিল : তনু ঠিক বলে, তুমি এক নাম্বারের ড্রামাকুইন”””!
ড্রামা না করে কি বলবে বল।
আর ম্যাডাম শোনেন কষ্টদায়ক হলেও সত্য,
ঘরে সব সময় বর নয় বউয়ের রাজ্বত চলে।
তা না হলে অনেক কিছুই হয়ে যেত।
!
!
আমি : ঠিক আছে তাহলে তো আমার কথাই চলবে। আগে প্রেম তারপর রোমান্স । আমি ঘুমিয়ে পড়লাম। রাতে যদি ঘুমে ডিস্টার্ব হয় তবে কিন্তু””””””‘
!
!
সাহিল : কিন্তু কি ?
!
!
আমি : আমার খুব কান্না পাবে। হি হি হি
!
!
সাহিল : ছিচ্ কাদুনে মেয়ে “”(শুড়শুড়ি দিয়ে)
!
ভাল হবে না কিন্তু। শুড়শুড়ি দিলে আমার হাত পা যে ভাবে চলে। পরে ব্যাথা পেলে আমার দোষ নেই কিন্তু।
!
!
সাহিল : হায় সবি কপাল “””!
স্বামি মানেই আসামী””””
আর নচিকেতা একটা গান বলছে না, পুরুষ মানুষ দুই প্রকার,★ জীবিত আর বিবাহিত ★
আর আমি তো বিবাহিত
হা হা হা
!
!
আমি : তুমি না খুব”” চুপি রুস্তম””
দেখতে ক্যাবলা কিন্তু এক নাম্বার সিয়ানা”””
!
!
সাহিল আমার গাল টেনে টেনে বললো তাই বুঝি ।
এরপর যে কথাগুলো বললো, সে কথাগুলো আমার মনকে ছুঁয়ে গেল “””
!
!
সাহিল : শোন দুষ্ট বউ প্রথম যেদিন তোমার ছবি তনুর ফোনে দেখেছিলাম। সেদিন ই তোমার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। তনুকে অনেক রিকুয়েস্ট করেছি তোমার ফোন নাম্বার দিতে আর তোমার সাথে প্রেম করিয়ে দিতে। কিন্তু তনু তোমার নাম্বার তো দেইনি। আর কি বলছে জানো ? তনু বলে কিনা প্রেম করতে চাইলে তুমি আমাকে ছেলে ভাববে। তুমি নাকি বলছো জব করা কোন ছেলে প্রেম করতে চাইলে, তার মতলব খারাপ। এ কথা কেন বলছো?
!
!
আমি : কেন বলবো না । একটা ছেলে জবের অভাবে তার পছন্দের মানুষকে বিয়ে করতে পারে না।
কিন্তু ছেলেটার কাছে জব আছে। সে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিলেই তো হয়। তবে তো সবাই মিলে তাদের চার হাত এক করে দেও।
তা না করে, নিজের যোগ্যতা দেখিয়ে মেয়েদের পটিয়ে তারপর আর বিয়ে করে না।
!
!
সাহিল : এই তুমি তো ছেলেদের উপর অনার্স করছো।
!
!
আমি : মানে””” অনার্স বলুন পি.এইচ.ডি। কারন অন্যান্য মেয়েদের কাছ থেকে যা দেখছি তাতে তো বলাই চলে। এজন্য পণ করেছিলাম জীবনেও প্রেম করবো না।
!
!
সাহিল : লে হালুয়া “”’ তখন যদি আমার সাথে প্রেম করতে তবে তো এখন আর প্রেম করতে হত না।
!
!
আমি : শোনেন বিয়ের আগের প্রেম হারাম
আর বিয়ের পরের প্রেম হচ্ছে আল্লহর পক্ষ থেকে নিয়ামত বুঝলেন।।
!
!
সাহিল : তা বুঝলাম । কিন্তু স্বামীর অধিকার সম্পর্কেও তো অনেক কিছু বলছে ইসলাম। আর আমি তো আমার মোহরানার ১১১১১১ টাকা সব পরিশোধ করেছি।
তাহলে এ ব্যাপারে কি বলবে তুমি ?
!
!
আমি : কিছুই বলবো না”””
!

!
সাহিল : আমি জানি তোমাকে জোর করে হয়তবা আমি অনেক কিছুই আদায় করতে পারবো “”‘
!
কিন্তু তোমাকে জোর করে ভালবাসা আর সম্মান আদায় করতে পারবো না। আমি চাই তুমি আমাকে ভালবাসো সম্মান করো তারপর সব। কারন তোমরা একটা পরিবেশ থেকে আরেকটা নতুন পরিবেশে আসো। তোমাদের মানিয়ে গুছিয়ে নেবার সময় দেয়া উচিৎ । কোন কিছু জোর করে চাপানো টা ঠিক না।
আরেকটা কথা কি জানো
“”” আগুনের তাপে তো মোম গলবেই””””
!
!
আর তুমি হচ্ছো সেই আগুন যার আচমকা ছোঁয়ায় আমিও মাঝে মাঝে গলে যাই।
তাই বলে ভেবোনা, আমার চরিত্র খারাপ। লুচু টাইপের ছেলে।
!
!
আমি ওর কথাগুলো খুব মনযোগ দিয়ে শুনছিলাম আর ভাবছিলাম। আমি তাকে কতটা ভুল বুঝেছি। সে আমার জন্য কতটা ভাবে। কত বোকা দিয়েছি এসব ভেবে খুব খারাপ লাগছে। আর চোখ থেকে মনে হয় ঘুম উড়ে গেছে।
তাহলে কি করা যায়? রাত প্রায় ১:৩০ টা।
!
!
সাহিল : কি ঘুমিয়ে পড়েছো “”?
!
আমি : না “””। ঘুম আসছেনা ।
একটা গান শোনাবেন প্লিজ””””””””!!!
!
!
সাহিল : মাথা খারাপ নাকি? এত রাতে গান গাইবো””””‘
!
!
আমি : থাক গাইতে হবে না।
মানুষ গান গাইতে পারলে তার যে কত দাম”””
!
একথা বলতেই দেখি সে “”””
!
হয়তো তোমারি জন্য
হয়েছি প্রেমে যে বন্য
তবে তুমি অনন্য
আশার হাত বাড়ায়
যদি কখনো একান্তে
চেয়েছি তোমায় জান্তে
শুরু থেকে শেষ প্রান্তে
ছুটে ছুটে আসি তাই
হুম””””‘ হুম”””” হুম”””
লা”””লা”””” লা””””
আমি যে নিজেই মত্ত
জানিনা তোমার শর্ত
যদি বা ঘটে অনর্থ
তবুও তোমাকে চাই””””””
!
!
গান শুনতে শুনতে কখন যে ঘুমিয়েছি ঠিক জানি না ।
৪:৩০ বাজতেই এলার্ম বেজে উঠলো। আজ উঠতেই ইচ্ছা করছিল না।
সাহিল আমাকে বার বার ডাকছে। উঠো নামায পড়।
ভোর হল কিন্তু “””.
আমি চোখ মেলে দেখি ওনি নিজেই শুয়ে আছে আবার আমাকে ডাকছে।
বেচারা উঠবে কি করে, আমি যে তাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছি যে।
আমি তাড়াতাড়ি করে তাকে ছেড়ে উঠে পরলাম।
এখন দেখি আমার ওড়না নেই।
ছি ছি ছি “”’ আজ মান সম্মান সব শেষ।
লাইট জ্বালিয়ে দিলে আমি লজ্জায় শেষ।
!
সাহিল : লাইট জ্বালিয়ে খাটের পাশে থেকে ওড়নাটা আমাকে দিল।। আর বললো,যে ভাবে গলায় ওড়না প্যাচাও কবে যে ফাঁসি লাগবে।
আর আমি হব আসামী”””
!
আমি কোন কথা না বারিয়ে ওযূ করে নামায পরলাম। নামায পড়তে পড়তেই ভোরের আলো ফুটে গিয়েছে।
!
তারপর ও আবার শুয়ে পরলাম।
দরজা নকের আওয়াজে ঘুম ভাঙ্গো ।
ঘড়িতে দেখি ৮:৩০ বাজে।
আরেকজনও পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে।
!
!
আমি তাড়াতাড়ি করে উঠে ফ্রেশ হয়ে শাড়ী পরলাম।
মা কি করছে দেখার জন্য রান্না ঘরে গেলাম।
গিয়ে দেখি মা সব নাশতা বানিয়েছেন। মাকে সালাম দিলাম। তারপর খাবার টেবিলে নিয়ে সার্ভ করলাম।
মা বাবা সায়লা নাশতা করছে ।
আমি সাহিল কে ডাকতে গেলাম। ওনি তো ঘুমে বিভোর হয়ে আছেন।
ওকে দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল। ইচ্ছে করছিল ওর কপালে আমার ঠোঁট দুটো ছুঁয়ে দেই।
কিন্তু লজ্জা লাগছিল বলে দিতে পারিনি।
!
!
আমি তাকে ডেকেই চলছি আর ওনি বলছে আরো একটু ঘুমাবো প্লিজ!
এই বলেই আমার হাতে দিল টান আর আমি”””””””‘””””
!
!
!

চলবে””””””‘

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here