মুহূর্তে পর্ব-৫৭

0
1263

#মুহূর্তে
পর্ব-৫৭
নিলুফার ইয়াসমিন ঊষা

কথন একগাল হেসে কক্ষে প্রবেশ করছিল, কিন্তু যে মুহূর্তে কবিতার হাতে তার ডায়েরিটি দেখলো তার ঠোঁটের হাসি মলিন হয়ে গেল। মুখে ছড়িয়ে পড়লো ভয় ও চিন্তার ছাপ। কবিতার কাছে এই ডায়েরিটা এলো কীভাবে?

কথন বিস্মিত গলায় জিজ্ঞেস করে, “তোমার কাছে এই ডায়েরি এলো কীভাবে?”
কবিতা উঠে দাঁড়ায়। কথন এর সামনে যে বলে, “ডায়েরি কে দিলো তার থেকে বড় প্রশ্ন তো এটা এই ডায়েরির ভেতর কি লেখা তাই না?”
ভয়ে কথনের দম বন্ধ হয়ে আসছিল। সে কাঁপছিলো। সে চায় না কোনমতে কবিতাকে হারাতে। কবিতা কি প্রতিক্রিয়া দেখাবে তা সে বুঝতে পারছে না। শুধু সে কবিতা থেকে দূরে যেতে চায় না।

“সম্পূর্ণ ডাইরিতে শুধু আমাকে নিয়ে লেখা। এর অর্থ কি?” কবিতার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে না কথন। কেবল মাথা নিচু করে রাখে। উত্তর না পেয়ে সে আবারও জিজ্ঞেস করে, “আপনি আমাকে ভালোবাসতেন?”
এবারও কোন উত্তর দেয় না কথন।
“আজও ভালোবাসেন?”
চোখ নামিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। কবিতা দীর্ঘশ্বাস ফেলে, “ধন্যবাদ।”
এবার কথন চমকে তাকায় কবিতার দিকে, “কী?”
“ধন্যবাদ আমাকে এত ভালোবাসার জন্য। আমি বলেছিলাম আপনি যে মেয়েটিকে ভালোবাসেন সে সৌভাগ্যবান। আমি সে মেয়েটি জেনে ভালো লাগলো কিন্তু অপরাধবোধও হচ্ছে আমার, আমার কারণে আপনি এত কষ্ট পেয়েছেন, এত সহ্য করেছেন।”
“আমি তোমায় ভালোবেসেছি এতে তোমার দোষ কোথায়?”
“জানি না। তবুও আমার গিল্টি ফিল হচ্ছে। আপনি আমায় ভালোবেসে কিছুই পান নি। তাহলে ভালোবাসা ছাড়েন নি কেন?”
“যেহেতু তোমাকে ভালোবাসাটা আমার হাতে ছিলো না, তোমাকে ভুলাটাও আমার বশে নেই। আমি ভেবেছিলাম তুমি রাগ করবে।”
“রাগ করব কেন? কাওকে ভালোবাসা তো অপরাধ নয়। কিন্তু সে ভালোবাসার দোহাই দিয়ে ভুল পথ বাছাই করাটা অপরাধ। আপনি কখনো নিজের অনুভূতি আমার উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন নি। আমার ভেঙে পড়া পরিস্থিতিতে আপনি চাইলেই আমাকে ভুলভাল বুঝিয়ে নিজের স্বার্থে আমার উপর প্রেশার ক্রিয়েট করতে পারতেন। মানুষ ব্রেকডাউনের মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি আবেগী থাকে। সে আবেগের সময় সহজেই তাকে অনুভূতিতে ভাসানো যায়। এই কথাটা আপনিই আমায় বলেছিলেন। কিন্তু আপনি এমন করেন নি। উল্টো আমাকে নিজের জন্য দাঁড়াতে শিখিয়েছেন। নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন। আর সবচেয়ে বড় কথা, আমার সফরে অনুপ্রাণিত করে শক্ত করেছেন। দয়া বা সহানুভূতি দেখিয়ে আমার দুর্বলতা বাড়ান নি। নিঃস্বার্থভাবে এতবছর আমার সাথে থেকেছেন।”
“উঁহু, নিঃস্বার্থভাবে নয়।” কথন একটু এগিয়ে আসে কবিতার দিকে, “স্বার্থ দিয়েই করেছি। তুমি যখন নিজের উপর গর্ব করবে তখন তোমার চোখে আলাদা এক চমক থাকবে, তোমার ঠোঁটে অন্যরকম হাসি থাকবে, তোমার স্বপ্ন পূরণের অন্যরকম অনুভূতি থাকবে। তা দেখার লোভ ছিলো।”
“আমি আপনার ভালোবাসাকে সম্মান করি কিন্তু তা মেনে নিতে পারব না। আমি ভালোবাসা খুব কাছের থেকে দেখেছি। ভালোবাসার মানুষকে পেয়েছি। তার পরিবর্তন দেখেছি। তার বিশ্বাসঘাতকতা দেখেছি। হৃদয় ভাঙ্গার কষ্ট সহ্য করেছি। ভালোবাসা হারিয়েছি। এই ভালোবাসার অগ্নিকূপে আবার পা দেবার সাহস আমার নেই।”

কথন কবিতার হাত নিজের হাতে নিয়ে বলল, “আমি তোমার সাথে কখনো এমন করবো না কবিতা। তোমাকে তো রাণীর মতো রাখবো।”
“মানুষ সময়ের সাথে কখন কিভাবে পরিবর্তন হয় তা আমরা নিজেও জানি না। মানুষকে নয়, এখন ভালোবাসাকে বিশ্বাস করতে ভয় হয়। আর আমার না করার কারণটা ঠিক আপনি নয়, আমি। এই’যে আপনাকে বললাম, আমি ভালোবাসাকে বিশ্বাস করতে পারবো না, ভালোবাসতে পারব না। আপনি অনেক ভালো কথন। আপনি এমন এক মেয়েকে ডিসার্ভ করেন যে আপনাকে অনেক ভালোবাসবে। নিঃস্বার্থভাবে। আমাকে ভালোবেসে আপনি এত বছরের মতো কষ্ট ছাড়া কিছুই পাবেন না। আর আমি তা চাই না।”
কবিতা তার হাত সরিয়ে নিলো। কথন কিছুক্ষণ শুন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো কবিতার দিকে। কবিতা আবারও বলল, “আমি নিজে আপনার জন্য মেয়ে দেখব। আপনার মন মতো। আমার থেকে হাজারগুন ভালো হবে ও। আপনাকে ভালোবাসবে, আপনার যত্ন নিবে, আপনাকে…. ”
কথাটা শেষ হবার পূর্বেই কথন কবিতার হাত ধরে নিজের দিকে টেনে আনে। চোখে চোখ রেখে বলে, “আমার অন্য কাউকে নয়, কেবল তোমাকে লাগবে।”
“আপনি বুঝতে পারছেন না কেন? আপনি আরও ভালো কাওকে ডিসার্ভ করেন।”
“তোমার থেকে ভালো কাওকে আমি পাই নি।”
“এটা আপনা ভুল ধারণা। আমার থেকে সব দিকে হাজারোগুণ বেশি ভালো মেয়ে আপনি পাবেন।”
“তবুও আমার কেবল তোমাকে লাগবে।”
কবিতা করুণ চোখে তাকায় কথনের দিকে। তার গলা কেঁপে উঠে, “দয়া করে এমন করেন না। আপনিও জানেন যে আমি…আমি আর কখনো ভালোবাসতে পারবো না। বিয়েও করতে পারবো না। আপনি কেন একথা বুঝতে পারছেন না?”
“তুমি আমাকে ভালোবাসবে এবং আমাকেই বিয়ে করবে। তার জন্য যত সময় লাগুক আমি অপেক্ষা করবো।”
“উফফ আপনি এত জেদ কেন করছেন? আমি বারবার বলছি আপনি আরও ভালো কাওকে পাবেন।” কবিতা আর্তনাদ করে উঠে। বিরক্ত হয়ে পিছিয়ে যায়। কিন্তু কথন তবুও শান্ত গলায় বলে, “দেখ বিয়ে করলে আমি মেয়েটাকে ভালোবাসতে পারবো না। এদিকে আমি তোমাকে আবারও হারিয়ে কষ্ট পাব আর মেয়েটা আমার সাথে থেকেও আমাকে না পেয়ে। আর আমি এমন করতে পারবো না। ভাগ্য আমার বড় এক সুযোগ দিয়েছে তা হাতছাড়া করাটা বোকামি ছাড়া কিছুই না।”
“আর আপনি চেষ্টা না করে কিভাবে বুঝলেন যে আপনি অন্যকাওকে ভালোবাসতে পারবেন না?”
“ট্রাই করেছিলাম বুঝেছ। কিন্তু কোনো মেয়েকেই আর মনে ধরে নি। তোমার মতো এলিয়েন এক পিসই আছে।”
“আমাকে দেখে আপনার পাগল মনে হয়?”
“দেখ এই কয়বছর একটু গম্ভীরমুখে থেকেছ বলে এই না যে তোমার মাঝের এলিয়েনগিরি ছুঁ মন্তর হয়ে গেছে।”
“আপনার সাথে গম্ভীরভাবে কোনো কথা বলা যাস্ট ইম্পসিবল।”
কবিতার রাগে হনহন করে বেরিয়ে যেতে নিলো। কথন হাত ধরে নিলো তার। তার সামনে যেয়ে দাঁড়িয়ে বলল, “এতদিন তো তোমাকে হারানোর ভয় ছিলো তাই কিছু করি নি। কিন্তু এখন তোমাকে পাবার কোনো সুযোগ আমি ছাড়বো না। তুমি আমাকে ভালোবাসবে কবিতা। তোমার হৃদয় আমার নামে লিখে দিতে বাধ্য হবে তুমি।”
“একটি নারী আপনাকে ভালোবাসতেও পারে, একটি মা না। এখন আমার জন্য আমার থেকেও বেশি আমার সন্তানরা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ঘিরেই আমার জীবন। তাই বলছি, জেদ ছেড়ে দিন। আপনার সামনে সম্পূর্ণ জীবন পড়ে আছে।”
কবিতা নিজের হাত ছাড়িয়ে চলে গেল সেখান থেকে। কথন পিছনে ফিরে কবিতার যাবার দিকে তাকিয়েই রইলো।
.
.
আজ শুক্রবার। অনু প্রতি শনিবার কুহু এবং কাব্যকে তীর্থের বাসায় নিয়ে যায়। কবিতা ডিভোর্সের সময় তীর্থকে ওয়াদা করেছিলো কাব্য এবং কুহুর থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন করবে না তাকে। অবশ্য সেখানে বেশিক্ষণ থাকে না তারা। তাই অনুর সেখানেই থাকতে হয়।

কবিতা সাধারণত কাজ থেকে ছুটি নেয় না। সাপ্তাহে প্রতিদিনই তার কাজ থাকে। শুক্রবার এবং শনিবারে তো কাজের চাপ সবচেয়ে বেশি থাকে। আজও রীতিমতো রাতে আসে সে কাজ থেকে। বাসায় এসে দেখে বাচ্চারা খেলা করছে তাহিরার সাথে। অনু অফিসের কাজ করছিলো। সে অনুর সাথে বসে বলে, “আপু আজ থেরাপির জন্য যায় নি তাই না? তাকে জোর করে না নিলেই যাবেই তো না। একদম বাচ্চাদের মতো করে। আগামীকাল জোর করে নিয়ে যাব। আচ্ছা শুন কি হয়েছে, আগামী শুক্রবার একটি পার্টির আমন্ত্রণ পেয়েছি। সেখানে না ব্যবসায়ী অনেকে আসে। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম যাব না। আমি সেখানে যেয়ে আরও অস্বস্তিবোধ করবো। কিন্তু পরে ভাবলাম এটা ব্যবসার জন্য ভালো হবে। আমি তো বেশি কাওকে চিনিও না। তাই সেখানে গেলে ….”
কবিতার সম্পূর্ণ কথা শেষ হওয়ার পূর্বেই অনু বলে, “তীর্থের বিয়ের জন্য মেয়ে ঠিক করেছে।”

কবিতা থমকে যায়। চমকে তাকায় অনুর দিকে। এক ঢোক গিলে। তারপর আচমকায় স্বাভাবিকভাবে উঠে ব্যাগ আলমারিতে রাখতে রাখতে বলে, “তো আমি কী করবো? তার জীবন। সে বিয়ে করুক বা না করুক আমার কী?”
“আমি বুঝতে পারছি না, সে লোক তোকে এত যন্ত্রণা দিয়ে জীবনে এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু তুই পারছিস না? মেয়েটা তাদের বাসায়ও এসেছে। কোন আত্নীয় লাগে তাদের। কেমন যেন মেয়েটা, ভালো না খারাপ তাও বুঝতে পারছিলাম না। এত সুন্দর মতো খোঁটা মেরে মেরে কথা বলছিলো ভাই। আর আজ সারাদিন তোর শাশুড়ী…মানে এক্স-শাশুড়ীকে দেখলাম। উনার মতো ভালো মানুষ যেন পৃথিবীতে দুইটা নেই। আর তোর সময় কত জল্লাদগিরি করতো। জানিস বিয়েটা কেন করছে? তার ব্যবসায়ের ক্ষতিপূরণের জন্য। তার সব ব্যবসা তো ডুবেই গেছে। আবার নতুন করে শুরু করার জন্য তো টাকা লাগবে। কত খবিশ চিন্তা কর। তোকে এত কষ্ট দেবার পর নিজে নেচে নেচে বিয়ে করছে। আমার যে তখন কত রাগ উঠছিলো। ইচ্ছা করছিলো জুতা দিয়ে কয়টা পিটিয়ে আসি। আর মেয়েটাও কি জিনিস রে ভাই, সব জেনেশুনে তাকে বিয়ে করছে? ওর সাথে বিয়ের পর অন্য মেয়ের কাছে যাবে না এর গ্যারান্টি কী?”
“আমাদের এত ভাবতে হবে কেন? তারা যা ইচ্ছা করুক।”
“কারণ তুই করছিস না। সে অন্য মেয়েকে বিয়ে করতে পারলে তুই কথন ভাইয়াকে কেন বিয়ে করতে পারবি না?”
“কারণ এটা আমার ইচ্ছা। আমি তাকে বিয়ে করতে চাই না। আমি কাওকেই বিয়ে করতে চাই না। আমি আমার বাচ্চাদের এবং তোদের সাথে খুশি আছি। অন্যকোনো ঝামেলায় ফাঁসতে চাই না আমি। তীর্থের বিয়ে হলে কাব্য এবং কুহুর উপর কোনো প্রভাব পড়বে না। আমার ব্যাপার ভিন্ন। তাদের পরিবার বলতে এখন কেবল তাদের মা আছে।”
“কথন ভাইয়া তোর আগে তোর বাচ্চাদের নিজের দিকে করে রেখেছে।” বিড়বিড় করে বলল অনু। কবিতা জিজ্ঞেস করে কী বলছিস?”
“আমি? কিছু না তো।”
“কিছু না বললেই ভালো। আমি যেন এই ব্যাপারে আর কোনো কথা না শুনি। আমি গোসল করে আসি।”

কবিতা বাথরুমে যেয়ে ঝর্ণা ছেড়ে তার নিচে দাঁড়ায়। নীরব সে, নিস্তব্ধ। চোখ বন্ধ করে তাকায় উপরের দিকে। তার চোখের সামনে ভেসে উঠে তার এবং তীর্থের কাটানো কতগুলো স্মৃতি। কাঁপতে থাকে সে। মাথা ঘুরিয়ে উঠে। বুকের ভেতর জ্বলতে থাকে। দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে মেঝেতে বসে পড়ে সে। সে খুব করে চেষ্টা করছে তার চোখের জল আটকানোর। কিন্তু তারা অবাধ্য। কবিতা তার মুখ চেপে ধরে। ভেঙে পড়ে কান্নায়। আচ্ছা কারও জন্য হৃদয়ে চরম ঘৃণা থাকলেও কি তাকে ভালোবাসা যায়?
.
.
পরের সাপ্তাহে কবিতা চিন্তা অনুযায়ী পার্টিতে যায়। সেখানে কেমন অদ্ভুত লাগে তার। সে আগে কখনো এমন বিজনেস পার্টিতে আসে নি। তাই কীভাবে কেমন করে কথা বলতে হয় সে জানে না। তার সব কাজ এতদিন অনলাইনেই হয়েছিলো। তাই হঠাৎ এসব দেখে ভয় লেগে যায় তার। সেখানে তার পরিচিত বলতে অল্পকয়জন ছিলো। কিন্তু তাদের সাথে কথা বলতে যেয়েও ভয়ে কলিজা শুকিয়ে আসছিলো কবিতার। সে আলাদা যেয়ে দাঁড়ালো একটু। পানি পান করে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করল। আবার আগের স্থানে যেতে নিলেই কবিতা থেমে যায়। নড়তে পারে না। তার পা দুটো যেন খুব ভারী হয়ে গেছে। নিশ্বাসও ফেলতে কষ্ট হচ্ছে তার। তার সামনে তীর্থ দাঁড়ানো। একটি লোকের সাথে কথা বলছে। তার পাশে একটি মেয়ে দাঁড়ানো। মেয়েটাকে সে চিনে। তীর্থের দূরের আত্নীয় হয়। নাম নদী। ওর সাথেই কী তীর্থের বিয়ে ঠিক হয়েছে? ভাবতেই বুকের ভেতর কামড়ে উঠে তার।

ভাবতে ভাবতেই তীর্থের দৃষ্টিও তার দিকে পড়ে। তার চোখেমুখেও বিস্ময়ের ভাব। আজ কতমাস পর দু’জনে একে অপরের মুখোমুখি হলো। দুইজনে কিছু মুহূর্ত একে অপরের দিকে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো। তীর্থ তার দিকে এগিয়ে আসতে নেয়। তখনই তার বাহু ধরে নেয় নদী। কবিতার চোখ যেয়ে আটকায় সে হাতে। তার বুকের যন্ত্রণা বাড়ে। নিজে অনিচ্ছাতেই চোখ দিয়ে গড়িয়ে বলে এক বিন্দু অশ্রুজল। ঠিক সে মুহূর্তেই কেউ একজন তার চোখের উপর হাত রাখে। কানের কাছে মুখ এনে মুগ্ধতা ভরা গলায় বলে, “তোমার কাজলমাখা নয়নে আমার প্রাণ আসে যায় কিন্তু সে নয়নে আমার জল সহ্য হয় না।”

চলবে…

[বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন। গল্পটা কেমন লাগছে জানাবেন। ধন্যবাদ।]

সকল পর্ব
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=381227816949915&id=100051880996086

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here