মুহূর্তে পর্ব-৬

0
872

#মুহূর্তে
পর্ব-৬
নিলুফার ইয়াসমিন ঊষা

কবিতা বিরক্ত হয়ে বাসায় রিকশায় একাই যাওয়ার জন্য রওনা দেয়। গলির সামনে কিছু শব্দ শুনতে পায় সে। কারও চিৎকারের শব্দ। কবিতা রিকশা থামায়। সে দেখে তিন চারজন মিলে একটা লোককে মারছে। কবিতা ভয় পেল ভীষণ। সে একবার সেদিকে যেতে চাইলেও থেমে গেল। একা একটা লোককে ফেলে যাবে সে?

কবিতা অবাক হয়ে বলল, “কী আজব ব্যাপার! এতগুলো লোক তাদের পাশ কাটিয়ে হেঁটে যাচ্ছে অথচ কেউ তার সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছে না?”
রিকশাওয়ালা হাসে কবিতার কথা শুনে, “এলাকার পোলাপানগো লগে পাঙ্গা নিয়া ফাঁসবো না’ক্কি? এমনিতেই শুনছি এই এলাকায় না’কি অনেক গুন্ডামী হয়। আপা আপনি কী করবেন এ-সব দিয়া। আপনাকে বাসায় দিয়া আসি।”
“মামা এভাবে উনাকে একা ফেলে যাব?”
“আপা গেলে চলেন, নাইলে টাকা দিয়া নাইম্মা যান। আমারে এইসবে ফাঁসাইবেন না।”
“আজব তো একজন মানুষকে এভাবে মারা হচ্ছে আর আপনি এভাবে রেখে যাবেন? মনুষ্যত্ব বলতে কিছু আছে না’কি?”
“দেখেন আপা আমি গরীব মানুষ। নিজের পোলাপানগো পেট পাইলা মনুষ্যত্বের কথা ভাবা লাগে। আমি গেলে যদি আমার রিকশা ভাইঙ্গা দেয় মনুষ্যত্ব দিয়ে পেট ভরব আমগো?”

কবিতা টাকা দিয়ে রিকশা থেকে নেমে যায়। সে এগিয়ে যায় সেদিকে কিন্তু হঠাৎ ভয়ের অনুভূতি তাকে কাবু করে নিলো। কবিতা হাতে থাকা ব্যাগটা আঁকড়ে ধরে। সাহস নিয়ে এগিয়ে যায় সেদিকে। একটুখানি এগোতেই সে দেখতে পায় ধ্রুব একটি বাইকে বসে চিপ্স খাচ্ছে। আর দেখে যাচ্ছে দৃশ্যটা।

কবিতা হতবাক। ধ্রুব কিছু না করে এভাবে বসে আছে কেন?
“ধ্রুব ভাইয়া…” কন্ঠ শুনে কবিতার দিকে তাকাল সেখানে উপস্থিত সকলে। কবিতা দেখতে পায় সেখানে তীর্থ ও লিমনও উপস্থিত। সে ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করে, “আপনারা এইখানে এইসব কী করছেন?”
“তুমি এইখানে কী করছ?” ধ্রুব অবাক হয়ে উল্টো কবিতাকে প্রশ্ন করে। কবিতা তার ফোন বের করে ঝাঁজালো গলায় বলে, “দাঁড়ান আমি এখনই তাহিরা আপুকে কল করে আপনার কান্ড বলছি। আপনার মা’ও আপুর সাথে।”

তীর্থ সেখানে এক মুহূর্তও না দাঁড়িয়ে কবিতার হাত ধরে তাকে অন্যদিকে নিয়ে গেল। যাওয়ার সময় ধ্রুবকে ইশারা করেও কিছু একটা বলল।

কবিতা আতঙ্কিত গলায় জিজ্ঞেস করে, “কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমায়?”
তীর্থ রুক্ষ গলায় জিজ্ঞেস করে, “তুমি এইখানে কী করছ?”
“আমার কথা বাদ দিন। আপনারা সবাই মিলে মানুষটাকে মারছিলেন কেন?”
“তোমাকে উওর দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করছি না।”
কবিতা তীর্থের হাত ছাড়িয়ে তার সামনে এসে দাঁড়ায়, “আমাকে উওর না দিলে আমি সুন্দরভাবে পুলিশের কাছে যেয়ে বলে দিব যে আপনারা রাস্তার মাঝখানে একজনকে অনেক বাজেভাবে মারছিলেন।”
“তোমার মনে হয় আমি তোমার হুমকিতে ভয় পেয়ে যাব?”
“আপনার ভয় পাওয়া উচিত। আমাকে দেখে ছোট মনে হলেও আমার এতটুকু সাহস আছে যে আমি পুলিশের কাছে যেয়ে সব সত্যি বলতে পারব। বাই দ্যা ওয়ে আমার বড় ভাইয়াও পুলিশ। ”
তীর্থ ভ্রু কুঁচকে কিছুক্ষণ কবিতার দিকে তাকিয়ে থেকে তার পাশ কাটিয়ে বেপরোয়াভাবে বলে বলল, “লোকটা মিদুলের বাবা। ধ্রুব উনাকে শাস্তি দিতে চেয়েছিলো এবং আমি অনেকদিন ধরে কাউকে মন মতো ধোলাই করি নি। তাই সুযোগ বুঝে কাজ সেরে নিলাম।”

তীর্থ একটি সিগারেট বের করে ঠোঁটের মাঝে রাখল। পকেট থেকে লাইটার বের করতে যাবে আর কবিতা তার সামনে এসে সিগারেটটা তার কাছ থেকে নিয়ে বলল, “লামিয়া আপুর হাসবেন্ড শাস্তি ডিজার্ভ করে বলে মাফ করলাম, যেহেতু আমার মনে হচ্ছে লামিয়ার আপুর পরিবার তাকে কোনো শাস্তি দিবে না। কিন্তু আপনি সিগারেট খেতে পারবেন না।”
“আর তুমি বলার কে আমি কি করতে পারব?” কঠিন গলায় উওর চাইলো তীর্থ।

কবিতা কিছুক্ষণ ভেবে বলল, “আমি কেউ না কিন্তু আমি এখন আপনার পাশে আছি। সিগারেটের ধোঁয়ায় শুধু নিজের না, আশেপাশে যারা থাকে তাদেরও ক্ষতি হয়। আর আমার কাছে নিজের জীবন অনেক প্রিয়। আমার সিগারেটের গন্ধ অসহ্যকর লাগে। তাই আপনি সিগারেট খেতে পারবেন না।”
“আর কেন আছ তুমি আমার পাশে?”
“কারণ আপনি আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে এসেছেন।”
তীর্থ এই কথার আর উওর দেয় না।

কবিতা তার আশেপাশে লাফালাফি করতে করতে নিজের কথা বলতে থাকে, “আর আপনি এখন আমাকে তাহিরা আপুর বাসায় পৌঁছে দিচ্ছেন যেন আমি সেইফলি সেখানে পৌঁছাতে পারি। আর আপনি মাত্র মিথ্যা বললেন, লোকটা ভুল করেছে জেনেই আপনি রাগে তাকে মেরেছেন। আর যেহেতু আজ আপনি মিথ্যা বললেন সেহেতু গতকালও আপনি মিথ্যা বলেছেন। আমার হাই আই-কিউ বলছে আপনি ঐরকম টাইপের মানুষ যে অন্যকে সাহায্য করে মহান হওয়ার জন্য তা স্বীকার করতে চান না। কিন্তু এর মধ্যে আপনি একজায়গায় ভুল করলেন গতকাল আমার সামনে ঐ ছেলেটাকে মেরে এখন আবার বলছেন অনেকদিন ধরে কাউকে না মারার কারণে লোকটাকে ধোলাই দিলেন। আর গতকাল আপনি যেভাবে মিদুলের বাবার দ্বিতীয় বিয়ের কথা শুনে রাগ করলেন এর অর্থ আপনার এই বিষয়ে ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা আছে। সব কথা ঠিক বললাম না? আমার ডিটেকটিভ মাইন্ড দেখেছেন?”

কবিতা পিছন দিক দিয়ে হেঁটে তীর্থের সাথে মুখোমুখি হয়ে কথা বলার চেষ্টা করছিলো। পিছন থেকে একটি বাইক দ্রুত গতিতে এলো। তীর্থের তার দিকে নজর যেতেই সে কবিতার বাহু ধরে একটানে তাকে নিজের কাছে নিয়ে এলো। একদম ছুঁয়ে গেল বাইকটা কবিতাকে। ভাগ্যিস সঠিক সময়ে তাকে বাঁচাতে পারলো।

কবিতা স্তব্ধ। এই মুহূর্তে সে তীর্থের বুকে। এই প্রথম কোনো ছেলের বুকে সে। এই প্রথম একটি পুরুষের ঘ্রাণ পায় সে। এই প্রথম কোনো পুরুষের এতটা কাছে আসে সে। তার হৃদয়ের স্পন্দন অস্বাভাবিকভাবে দ্রুত। সে একটিবার চমকে তার পাশের বাইকের দিকে তাকিয়ে আবার তীর্থের দিকে তাকাল। তীর্থ তার দিকেই তাকিয়ে ছিলো। হঠাৎ করেই কেঁপে উঠে কবিতা। সাথে সাথে চোখ নামিয়ে নেয় সে। সে মিইয়ে যায়। দ্রুত পিছিয়ে যায়। তার ফর্সা মুখখানা গোলাপি আভায় ঢেকে যায়। অস্বস্তির কারণে সে আর চোখ উঠিয়ে তাকায় না তীর্থের দিকে। চুপচাপ তীর্থের পাশে এসে হাঁটতে থাকে।

তীর্থ কবিতার দিকে তাকিয়ে একবার মুচকি হাসে। এই মেয়েটা লজ্জা পেতেও জানে এই ধারণা তার ছিলো না। লজ্জা পেলে একটু বেশিই সুন্দর লাগে তাকে। কথাটা জানাতে ইচ্ছা হয় কবিতাকে কিন্তু তীর্থ তা জানায় না।

তাহিরার বাসার কাছাকাছি এসে পড়ে দুইজন। এতক্ষণ পর তীর্থ জিজ্ঞেস করে, “তোমরা না হাস্পাতালে গিয়েছিলে? তাহিরা কোথায়?”
কবিতা মৃদুস্বরে উওর দেয়, “আমি একা এসে পড়েছিলাম। আপুকে মেসেজে বলেছি।”
“গতকাল ঢাকায় এলে আর আজ একা এসে পড়েছ? মেয়েদের এত সাহস দেখাতে নেই।”
কথাটা শুনে কবিতা ভ্রু কুঁচকে তাকায়, “অন্যভাবে বলতে পারতেন। মেয়েদের কথা বললেন কেন? ঢাকায় এসে যেকেউ হারাতে পারে সে ছেলে হোক বা মেয়ে।”
“দেখ তুমি যে একটু আগে ঝামেলার স্থানে একা গিয়েছিলে অন্যকোনো ছেলে হলে খারাপ…. ”
কবিতা তীর্থের কথা কেটে কঠিন গলায় বলল, “আমি
ঢাকায় প্রথমবার আসি নি। ছোটবেলা আমার ঢাকাতেই কেটেছে। আর আপনার কথা শুনে আমার বড় ভাইয়ের কথা মনে পড়লো। আপনাদের ধারণা অনুযায়ী মেয়েদের ঘরের থেকে বের হতে নেই। বের হলেই খারাপ কিছু হবে।”
কবিতা বিরক্তি নিয়ে যেতে নিলেই তীর্থ দ্রুত তার হাত ধরে নেয়। সে বলতে চাইলো, “আমি এভাবে বলি নি। শুধু তোমার চিন্তা হচ্ছিলো।” কিন্তু সে বলল না। মুখে কঠিন ভাব নিয়ে কবিতার হাত ছেড়ে দিলো।
কবিতাও আর সেখানে দাঁড়ায় না নিজের বাসায় চলে যায়।

বাসায় যেয়ে বেশ ক্লান্ত ছিলো কবিতা। ঘুম আসছিলো, ক্ষুধাও লেগেছিলো। ফ্রিজ থেকে ব্রেড বাটার বের করেই খেয়েই রুমে যেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। গভীর ঘুমে ছিলো সে। তার ঘুম ভাঙ্গে বিকেলে। ঘুম ঘুম চোখেই সে রান্নাঘরে যেয়ে দেখে তাহিরা রান্না করছে।

“আপু ক্ষুধা লেগেছে।” কবিতার কন্ঠ শুনে তাহিরা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকায় তার দিকে। ঝাঁজালো গলায় বলে, “এভাবে একা আসলি কেন তুই? জানিস কত ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমার জান গলায় আটকে গিয়েছিলো।”
“মেসেজ দিয়েছিলাম তো তোমাকে।”
“তো বাসায় আসার পর ফোন করেছিলি? এত কল করলাম ধরলিও না।”
কবিতা বাচ্চাদের মতো মুখ করে ড্যাবড্যাব করে তাকায় তাহিরার দিকে। আর কান ধরে বলে, “সরি আপু। আর হবে না, প্রমিজ।”
“এর পর এমন কিছু হলে খবর আছে তোর। তখন কিউটনেস দেখিয়ে লাভ নেই।”
কবিতা একগাল হেসে তাহিরাকে এসে জড়িয়ে ধরে বলল, “ওকে মাই সুইট আপু।”
তাহিরা হাসে কবিতার কথায়, “তোর জন্য টেবিলে খাবার রেখেছি খেয়ে নেয় আর তোর পছন্দের পুডিংও বানাচ্ছি। রাতে খেতে পারবি।”

“রাতে কবিতাকে নিয়ে আমি একটু বাহিরে যাচ্ছি।” আবিরের কথা শুনে কবিতা পিছনে তাকিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করে, “কোথায়?”
“কবির ভাইয়ার এক বন্ধুর বিয়েতে।”
“তো আমরা কেন যাব?”
“কবির ভাইয়া বলেছে তাই।”
“ধ্যুর এখানে এসেও শান্তি নেই।”
কবিতা মেজাজ গরম করে মেঝেতে লাথি মেরে সেখান থেকে চলে গেল। রুমে একবার ঢুকার পর আবার ফিরে এসে নিজের খাবারের প্লেট নিয়ে যায়।
.
.
রাতে বিয়েবাড়িতে যায় আবির ও কবিতা। মেজাজ খারাপ লাগছে কবিতার। একতো আবির তাকে জোর করে এখানে নিয়ে আসে, এর উপর তাকে ছেড়ে নিজে যেয়ে গল্প করছে বরের সাথে। কবিতার চোখ যায় জুসের স্টলের উপর। তার তৃষ্ণাও পেয়েছে ভীষণ। তাই সে স্টলের কাছে যেয়ে একটি জুস নিলো। জুস নিয়ে তার আগের দাঁড়ানো স্থানে যেতে নেয় সে। এমন সময় তার ফোনে একটা মেসেজ আসে। সে ফোন চেক করতে করতে হাঁটে। না দেখে হাঁটার কারণে ধাক্কা লাগে কারও সাথে। তার হাতের জুস পড়ে যায়। তার উপর এবং তার সাথে ধাক্কা লাগা মানুষটার উপরও।

“সরি আসলে আমি…..”কবিতা চোখ উঠিয়ে দেখতে পায় কথনকে। কথনকে দেখেই সে চুপ হয়ে যায়। কবিতা এবার উদাসীন ও ক্ষোভভরা কন্ঠে বলে, “আপনি আবারও? কেন? আপনি আমার পিছু নিচ্ছেন তাই না?”

কথন রাগে দাঁতে দাঁত চেপে রাগে কটমট করে কিছু মুহূর্ত। তারপর তার পাশে দাঁড়ানো একটি লোককে বলে, “দুলাভাই শুধু একবার বলো আমি হ্যালুসিনেশন করছি। প্লিজ বলো আমার সামনে কোনো মেয়ে দাঁড়িয়ে নেই। এর জন্য আমার ডাক্তার দেখাতে হলেও আমি রাজি। শুধু বলো আমার সামনে এমন কোনো মেয়ে দাঁড়িয়ে নেই যে একদম টমাটোর মতো দেখতে।”
“আমি আপনাকে সকালে বললাম না এইটা বলবেন না আমায়। আপনি নিজে কোনো রাজকুমারের মতো দেখতে না।”
কথন বেপরোয়া ভাবে হেসে তার মুখের সামনে তুরি বাজিয়ে বলল, “ও হ্যালো স্কুল, কলেজ, মেডিকেল স্টাডির ক্ষেত্রে মেয়েদের মধ্যে সবচেয়ে পপুলার ছিলাম আমি। এখনো আছি।”
“সব মেয়েদের চোখে কি সমস্যা ছিলো?”
কথনের দুলাভাই ফিক করে হেসে দেয় কবিতার কথা শুনে। এইবার লাগে কথনের ইগোতে। সে চোখ রাঙিয়ে একবার তার দুলাভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আবার কবিতার দিকে তাকিয়ে বলে, “তোমার পিছনে কয়জন ঘুরেছিলো শুনি। লেট মি গেস, একজনও না কারণ তোমার ভাই তোমাকে ছেলেদের আশেপাশে ঘুরতে দেয় নি।”
“দেখেন জ্বলায় লবণ, লাল মরিচ, সবুজ মরিচ, গুড়া মরিচে আর যত মরিচ আছে তা লাগাবেন না। একদম… একদম…একদম কিছু একটা করে ফেলব।”
“যা করার পরে করো আগে বলো তো তুমি কি আমার শার্ট পাঞ্জাবি নষ্ট করার কন্ট্রাক্ট কারও কাছ থেকে নিয়েছিলে? সকাল থেকে যতবার দেখা হয় আর শার্টের উপর এত জুলুম করো কেন তুমি?”

কথনের দুলাভাই এইবার জিজ্ঞেস করে, “তোরা একে অপরকে আগের থেকে চিনিস?”
“দুলাভাই সকালের এক সাইকোর কথা বলছিলাম না, এইটাই সে মেয়ে। মাথা নষ্ট করে রেখেছে সকাল থেকে।”
কথনের দুলাভাই একগাল হেসে বললেন, “আরে কত পার্ফেক্ট স্টোরি। নায়ক নায়িকার প্রথমে দেখা হয় তারপর খুনসুটি হয় তারপর ভালোবাসা হয়। তারপর বিয়ে হয়। অথবা বিয়ের পরেও ভালোবাসা হতে পারে। একদম পার্ফেক্ট লাভ স্টোরি।”
“অসম্ভব।” কবিতা ও কথন দুইজনে একত্রে কথাটি বলে একে অপরের দিকে বিরক্তি নিয়ে তাকাল। আবার বিরক্তিসহ চোখ ফিরিয়ে নিলো।

চলবে….

[বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন। গল্পটা কেমন লাগছে জানাবেন। ধন্যবাদ।]

লেখকের কথাঃ আপাতত গল্পে অতীত দেওয়ার বিশেষ কারণ হলো সবার চরিত্র কেমন যেন আপনারা বুঝতে পারেন। চরিত্র নিয়ে একবার ধারণা দেওয়া শেষ হলে তাদের ভালোবাসাটা জলদি দেখিয়ে বর্তমানে এসে পড়ব। কিন্তু চিন্তার কিছু নেই বর্তমানের ফাঁকে তাদের মিষ্টি ভালোবাসার মুহূর্তও পাবেন। কিন্তু যেহেতু বর্তমানটা গল্পের মেইন প্লট তাই অতীত বেশি টানতে চাচ্ছি না।

আগের পর্বঃ
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=381227816949915&id=100051880996086

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here