মেঘকন্যা☁️ Part_21

মেঘকন্যা☁️
Part_21
#Writer_NOVA

জঙ্গলে ঢুকে ইশালের মনে একটু খোটকা লাগলো। সবকিছু শান্ত কেন?সাপ দেখেতো এতক্ষণে পশু-পাখীদের চেঁচামেচি করার কথা।ইশাল বাতাসের বেগে দৌড়ে মেঘাকে যে গাছের সাথে আটকে রেখেছিলো সেখানে চলে এলো।যা ভয় পাচ্ছিলো তাই হলো।বাঁধনের দড়িটা কয়েক টুকরো হয়ে নিচে পরে আছে।আশেপাশে কোন সাপ তো দূরে থাক তাদের খোলসও নেই। ইশাল রাগে ফুঁসতে লাগলো।পুরো জঙ্গল লণ্ডভণ্ড করা শুরু করলো। জোরে জোরে চিৎকার করে বললো।

ইশালঃ আমি তোমাকে ছাড়বো না মেঘকন্যা।কাজটা তুমি ভালো করলে না।তোমাকে যদি ময়ূর রাজ্যের রাজা মুশতাক আবসার ওয়াহাব নিয়ে যায় তাহলে তোমার মৃত্যু আরো ঘনিয়ে আসছে। আমি তোমাকে কিছুতেই আমার মৃত্যুর ছোড়া পর্যন্ত কিছুতেই যেতে দিবো না।তুমি যদি মনে করো ওয়াহাবের কাছে গিয়ে আমার হাত থেকে রেহাই পাবে তাহলে অনেক বড় ভুল ভেবেছো।তোমাকে এখন সামনে পেলে আমি চিবিয়ে খেয়ে ফেলতাম।নয়তো এখনি মেরে ফেলতাম।আমার কোন পূর্ণিমার প্রয়োজন নেই। আমি তোমাকে ঠিক খুঁজে নিবো।কিন্তু তার আগে তোমার স্বামী আবরার আওসাফ আয়িশের ব্যাবস্থা তো করি।তুমি চার আসমানের ওপর কিংবা মাটির সাত স্তর নিচে লুকালেও আমি তোমাকে খুঁজে নিবোই।আমার হাত থেকে তোমাকে আয়িশও বাঁচাতে পারবে না।

ইশাল রাতে যখন মেঘার কাছে আসতে গিয়ে দূরে ছিটকে পরেছিলো তখন ভেবেছে আয়িশ আশেপাশে আছে।তাই ও মেঘার কাছে যেতে পারছে না। তাই হন্যি হয়ে সারা জঙ্গলের এদিক থেকে সেদিক ছুটে বেরিয়েছে। আয়িশকে খুনের নেশা ওর মাথায় চেপে বসেছিলো।পশ্চিম দিকে আবছা টিমটিম আলো দেখে সেদিকে ছুটলো।কিন্তু সেখানে গিয়ে অদৃশ্য শক্তির হাতে বন্দী হয়ে যায়।কারণ ঐ দিকটা জঙ্গলের শেষ প্রান্ত ছিলো।আর সেদিকে আয়িশ যেতে পারে। তাই আয়িশ মেঘার সুরক্ষার জন্য ইশালকে সারা রাত পশ্চিমের শেষ প্রান্তে অদৃশ্য শক্তি দিয়ে আটকে রেখেছিলো।এই শয়তানকে দিয়ে বিশ্বাস নেই। যদি রাতে মেঘার কোন ক্ষতি করে বসে।সকাল হতেই আয়িশের শক্তির ক্ষমতা শেষ হয়ে যায়।আর ইশাল সেখান থেকে ছুটে চলে আসে।কিন্তু সে অনেক দেরী করে ফেলেছে। ততক্ষণে মেঘা ময়ূর রাজ্যে প্রবেশ করে ফেলেছে।

ইশাল জোরে একটা হুংকার ছেড়ে জঙ্গলে থাকা মাঝারি সাইজের গাছ তুলে দূরে ছিটকে মারে। তাতেও তার রাগ কমেনি।চোখ দুটোয় আগুনের ফুলকি দপ করে উঠে।চোখের থেকে আগুন ছুঁড়ে মারে মাটিতে থাকা শুকনো পাতায়।সঙ্গে সঙ্গে দাউ দাউ করে আগুন ছেয়ে যায় সারা জঙ্গলে।

ইশালঃ প্রস্তুত থাক আয়িশ।এই যুদ্ধেও আমি বেঈমানী করবো।তোদের মেঘরাজ্য আমি ধূলিসাৎ করে দিবো।মেঘকন্যা শুধু আমার। ওকে আমার চাই। আমি হেরে যাবো না। নতুন ফন্দি এঁটে আবার ফিরে আসবো এই ধরণীর বুকে। এবার আমার জয় হবে নিশ্চিত।

চারিদিকে ধোঁয়া কুন্ডলী পাকিয়ে আকাশে উঠে যাচ্ছে। জঙ্গলের পশু-পাখি চিৎকার, চেঁচামেচি শুরু করলো। ছোটাছুটি, কিচিরমিচির শব্দে কানে তালা লাগার জোগাড়। ইশাল মুখটাকে রক্তবর্ণ করে নিজের রাজ্যে রওনা দিলো। আর জঙ্গলটা ধীরে ধীরে আগুনে
ছেয়ে যাচ্ছে।কালো ধোঁয়ায় সব অন্ধকার হতে লাগলো।

🌨️🌨️🌨️

মেঘরাজ্য…….

বিষন্ন মনে বাগানে বসে আছে আয়িশ।মেঘাকে ময়ূর রাজ্যে পাঠানোর পর থেকে ওর মনে শান্তি নেই। বড্ড আনচান করছে। ওয়াহাবের মতি গতি ওর কাছে ঠিক মনে হচ্ছে না। কি থেকে কি করে বসে তা একমাত্র আল্লাহ মালুম। শুধুমাত্র আল্লাহর ভরসায় আজ সে মেঘাকে ছেড়েছে।শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে বড় একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো।তখনি ওর কাঁধে কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে ঘুরে তাকালো।ওর জানের দোস্ত সেনাপতি রাকিন ওর দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।

রাকিনঃ কি হয়েছে আবরার?তোকে এতো চিন্তিত দেখাচ্ছে কেন?

আয়িশঃ কি হবে বল?তুই তো সবটা জানিস।কত কষ্ট করে কাঠ-খড় পুড়িয়ে মেঘাকে পেলাম।আমার মনে হচ্ছে ওকে আমি ধরে রাখতে পারবো না। সবার নজর আমার বউয়ের ওপর।

রাকিনঃ চিন্তা করিস না।সব ঠিক হয়ে যাবে।আল্লাহ আছে তো আমাদের সাথে। তুই নামাজ আদায় করে দোয়া করিস।দেখবি সব ঠিক হয়ে গেছে। মেঘকন্যার কিছু হবে না।তাছাড়া সে এখন নিজের শক্তি ব্যবহার করতে পারে।নিজেকে রক্ষা করতে পারবে।

আয়িশঃ তারপরেও মনটা সায় দেয় নারে।আকুপাকু করেই যাচ্ছে। মস্তিষ্কে নানা ভয়ের আশঙ্কা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমাকে কুঁড়ে কুড়ে খাচ্ছে।বিশ্বাস কর ওকে ছাড়া একটা মিনিট আমার একেকটা বছর মনে হচ্ছে। ওর কিছু হলে আমি বাঁচবো না।

রাকিনঃ উল্টো পাল্টা কথা বলিস না।কিছু হবে না। সবকিছু আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে থাক।

আয়িশঃ তাই করতে হবে।তারপরেও দুশ্চিন্তারা আমায় নানাভাবে ঘিরে রাখবে।

রাকিন আয়িশের পাশে ঘাসের উপর বসে পরলো।আয়িশকে সে এভাবে নিতে পারছে না।কখনো এতটা ভেঙে পরতে দেখেনি।অন্য দশটা রূপকথার গল্পের রাজপুত্র, সেনাপতি পুত্রের মতো ওদের মাঝে বন্ধুত্বটা বেশ অটুট। দুজন সমবয়সী। একে অপরের জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত।কোন কথা লুকায় না।একজনের বিপদে আরেকজন মুহূর্তের মধ্যে হাজির।

রাকিনের বাবা-মা কেউ নেই।ওর বাবাও সেনাপতি ছিলো। মেঘার বাবা যে যুদ্ধে মারা যায়। ওর বাবাও একি যুদ্ধে মারা যায়।মা মারা যায় তার কয়েক বছর পর।ছোট বেলা থেকে একসাথে বড় হয়েছে রাকিন ও আয়িশ। রাকিনের বাবা-মা মারা যাওয়ার পর থেকে মেঘরাজ্যের রাজা ওকে নিজের প্রাসাদে আয়িশের সাথে রেখে দিয়েছে। মেঘরাজ্যের রাজা, রাণী ওকে নিজের সন্তানের চোখে দেখে।কোন কিছুর কমতি রাখেননি তারা।দুজনকে একি চোখে দেখেছেন।আর আয়িশ ও রাকিন তো ভাইয়ের থেকেও বেশি কিছু। কখনো নিজেদের মধ্যে কোন কিছু নিয়ে মারামারি তো দূরে থাক মুখ কালোও করেনি।সবকিছুতে তারা ছিলো একে অপরের পরিপূরক।

আড় চোখে একবার আয়িশের দিকে তাকালো রাকিন।ওর মুখ এখন ঘন কালো মেঘে ঢাকা।রাকিন এক হাতে ওকে জরিয়ে ধরলো। আয়িশ ওকে জরিয়ে ধরে চোখের পানি ফেলতে শুরু করলো।

রাকিনঃ তুই এভাবে ভেঙে পরলো কিভাবে চলবে বল?তোকে তো শক্ত হতে হবে।তুই যদি মেঘকন্যাকে নিজের দূর্বলতা ভাবিস তাহলে তোর শত্রুরা, তোর এই দূর্বলতাকেই হাতিয়ার বানিয়ে তোকে পরাজিত করবে।ভাই,নিজেকে শক্ত কর,নিজের মনকে শক্ত কর।তুই এভাবে নত হচ্ছিস কেন?ধূর বোকা,কিছু হবে না।আমি আছিতো তোর পাশে।আমি তোদের কিছু হতেই দিবো না।প্রয়োজনে নিয়ে নিজের জীবন বিসর্জন দিবো।তবুও তোর বা মেঘকন্যার কোন ক্ষতি আমি হতে দিবো না।

আয়িশঃ আমার মনটা খুব অস্থির লাগছে।আমি মেঘার মনের কোন কথা শুনতে পাচ্ছি না।পৃথিবীতে থাকলেই আমি ওর অবস্থান ও কথা বুঝতে পারবো।কিন্তু এখানে তা সম্ভব নয়। অন্য দিকে যুদ্ধের দিনক্ষণ
ঘনিয়ে আসছে। এই অবস্থায় আমি পৃথিবীতে গিয়ে বসে থাকতে পারি না।মেঘপুত্র হিসেবে আমারো তো রাজ্যের প্রতি দায়িত্ব আছে।অন্য দিকে মনটা কু ডেকেই যাচ্ছে। মনে হচ্ছে খারাপ কিছু হতে চলছে। আমি নিজেকে শক্ত করতে পারছি না।

রাকিনঃ এগুলো সব তোর মনের ভুল।মনটাকে সতেজ কর।দেখবি সব আগের মতো হয়ে গেছে। পৃথিবীতে থাকতে থাকতে সেখানকার মানুষের মতো চিন্তাধারা হয়ে গেছে তোর।সবসময় বাজে চিন্তা করিস।যেটা প্রয়োজন সেটাকে গুরুত্ব দিস না।

বিশ্বাস্ত একটা হাত ও আশ্বাসের বাণী দেওয়া মানুষ সবার থাকে না।আজকাল স্বার্থপর ঘেরা সৃষ্টির জগতে কে বা কার জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত।সবাই নিজেতে বিভোর। আয়িশ মনে মনে বেশ সাহস পেলো।রাকিন প্রতিবারের মতো এবারো ওকে সামলে নিয়েছে। এই ছেলেটাকে আয়িশ চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে পারে।রাকিনের মতো একটা বন্ধু পেয়ে সে নিজেকে ধন্য মনে করে।ঠোঁটের কোণে মৃদু হাসির রেখা ফুটে উঠলো।

🌨️🌨️🌨️

রাতের অন্ধকার চারিদিকে ছরিয়ে পরেছে।রুপোলী থালার মতো করে বিশাল বড় চাঁদ উঠেছে। আজ দুদিন হতে চললো ময়ূর রাজ্যে।দিনের বেলাটা তাজিনের সাথে এদিক সেদিক কাটিয়ে কোনমতে চলে যায়।কিন্তু রাতটা কাটতেই চায় না।ঘুম পরী মনে হয় আমার সাথে আড়ি দিয়ে নিজের রাজ্যে চলে গেছে। রাতে চোখ বন্ধ করে পরে থাকলেও একটু চোখের পাতা দুটোকে এক করতে পারি না।চোখে শুধু আয়িশের মুখটা ভেসে উঠে।ওর সাথে কাটানো সময়গুলো উঁকি মেরে মনটা খারাপ করে দিয়ে যায়।কে জানে কেমন আছে পাগলটা?আমাকে ছাড়া তো একমিনিটও থাকতে পারতো না।অদৃশ্য হোক কিংবা দৃশ্যমান হয়ে আমার ছায়ার মতো পেছনে ঘুরতো।অথচ আজ দুদিন হলো আমার সাথে ওর দেখা নেই। ওর জ্বালাতন ও ভালোবাসা গুলো অনেক মিস করছি।কতদিন ওকে ছাড়া থাকতে হবে আল্লাহ ভালো জানে।

দরজা খুলে বারান্দায় এসে দাঁড়ালাম। চাঁদটাকেও আজ বড্ড বিষন্ন লাগছে আমার কাছে।প্রিয়জন পাশে থাকলে সামান্য জিনিসও অসামান্য লাগে।আর প্রিয়জন হীন অতি মূল্যবান বস্তুটিকে মূল্যহীন মনে হয়।আমি আজ এই কথার মর্মটা বেশ ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারছি।

আমার পরনে হালকা আকাশি রঙের একটা বিশাল ড্রেস।আজ ময়ূর ড্রেস পরিনি।আকাশি রংটা আয়িশের খুব পছন্দ। তাই আজ সে রঙের ড্রেস পরেছি।আচ্ছা আয়িশকে সেই সূদুর মেঘরাজ্য থেকে আমায় দেখতে পাচ্ছে। মাথার ওপর নাম না জানা সাদা ফুলের ডাল।এখানে যাবতীয় জিনিস সাদা রঙের। রাজপ্রাসাদ, অন্দরমহলের কক্ষ,ফুলের বাগানের ফুল সবকিছু শুধু সাদা আর সাদা।সারাদিন সাদা দেখতে দেখতে চোখ ঘোলা হয়ে আসছে।ওয়াহাবের সাথে বেশি একটা কথা হয় না।আমার পাশাপাশি থাকতে চাই। কিন্তু আমিই দূরত্ব বজায় রাখি।তবে আমার কাজ সিদ্ধির জন্য তার আশেপাশে থাকতে হবে।কিন্তু মনটা সায় দেয় না।

সেদিন যখন ময়ূর ড্রেস পরে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম তখন আয়মায় তাকিয়ে নিজেই আৎকে উঠি। কারণ আমার গায়ের রংটা উজ্জ্বল শুভ্র মেঘের মতো হয়ে আছে।চোখের মনির রংটা পাল্টে আকাশি রং ধারণ করেছে। প্রথমে ভয় পেলেও পরবর্তীতে মনে পরে আয়িশ বলেছিলো আমার শক্তি সম্পর্কে আমি সব জানলে এবং শক্তি ব্যবহার করলে আমার শরীরের মাঝে কিছু পরিবর্তন দেখা যাবে।আমি তো জঙ্গলে ইশালের হাত থেকে নিজেকে শক্তি ব্যবহার করে রক্ষা করেছি।তাই হয়তো আমার এরকম পরিবর্তন।

হাতে থাকা আংটির সাথে কথা বলতে শুরু করলাম।আমার মনে হচ্ছে আমি আয়িশের সাথেই কথা বলছি।

আমিঃ খুব মিস করছি তোকে আয়িশ।আমি সত্যি তোকে ছাড়া ভালো নেই। আমি জানি তুইও ভালো নেই। নিশ্চয়ই আমার কথা ভেবে ভেবে নিজের শরীরের প্রতি যত্ন নিতেও ভুলে গেছিস।খাবার তো একদমি ঠিকমতো খাচ্ছিস না।আল্লাহ আমাদের কোন পরীক্ষায় ফেলেছে আমি তা জানি না। তবে খুব শীঘ্রই আমি সারাজীবনের জন্য তোর হয়ে যাবো।তোকে কত কষ্ট দিয়েছে গত কয়দিন। তারপরেও তুই আমাকে দূরে ঠেলে দিস নি।বরং ভালোবেসে আরো কাছে টেনে নিয়েছিস।তোর মতো কেউ আমাকে ভালোবাসবে না।আমি তোর না হলে কখনি অন্য কারো হবো না।নিজেকে শেষ করে দিবো।তবুও তোর স্থানে আমি অন্য কাউকে বসাতে পারবো না।তুই আমার প্রথম ও শেষ ভালোবাসা। তোকে আমি নিজের স্বামী হিসেবে গ্রহণ করেছি।তাহলে অন্য কারো কি করে হই বলতো?আমার জন্য হলেও তোকে নিজের যত্ন নিতে হবে। নয়তো আমি এসে তোকে আচ্ছা করে পিটুনি দিবো।মনে রাখিস কথাটা।

রেলিঙে পিঠ ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে পরলাম।আজও ঘুম আসবে না। বাইরের দিকে পিঠ থাকায় হালকা বাতাস এসে পিঠে লাগছে।চারিদিক স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে চাঁদের আলোয়। আমার শরীরের রংটাও মাঝে মাঝে ঝিলিক মেরে উঠছে।চুলগুলো উড়ে এসে থেকে থেকে মুখে বারি খাচ্ছে। মনে মনে পরবর্তী পরিকল্পনার জন্য ফন্দি আঁটতে শুরু করলাম।তখনি______

#চলবে

আজকে পার্ট-টা অনেকটা অগোছালো হয়ে গেছে,আমি দুঃখীত তার জন্য 😔।আজ গল্প দেয়ার কোন ইচ্ছে ছিলো না। অনেকে হয়তো অপেক্ষা করছেন তাই দিয়ে দিলাম। আপনাদের হয়তো গল্পটা ভালো লাগছে না।যার কারণে রেসপন্স কমে গেছে। ভালো না লাগলে বলবেন।আমি জলদী কয়েক পার্টে শেষ করে দিবো। রি-চেইক দেওয়া হয়নি।ভুল-ভ্রান্তি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here