মেঘপিয়নের_ডাকে পর্ব ১৬

0
3894

#মেঘপিয়নের_ডাকে
পর্ব ১৬

রাতের খাবার টেবিলে জুবায়ের রহমানের সাথে অবনীর পরিচয় হল। তিনিও বেশ ভালো মানুষ। বেশ হাসি খুশী। জুবায়ের রহমান জুনায়েদকে উদ্দেশ্য করে বললেন
–ভাইজান অসুস্থ নাহলে তো তোদের সাথে আমাদের দেখাই হতোনা। তোরা ফিরে আসার আগেই আমরা চলে যেতাম।

জুনায়েদ খাবার মুখে পূরে বলল
–তোমরা বল নি কেন আসছ। তাহলেই তো প্ল্যান ক্যান্সেল করতাম।

সেলিনা ভীষণ কঠিন গলায় বলল
–প্ল্যান ক্যান্সেল করবি মানে কি? বিয়ের পর বউ নিয়ে প্রথম বেড়াতে গিয়েছিস। আর প্ল্যান ক্যান্সেল করবি বলছিস?

জুনায়েদ বেশ শান্ত চোখে তাকাল। স্বাভাবিকভাবেই বলল
–বউ যেহেতু আমার তাই আমি তাকে নিয়ে যখন ইচ্ছা তখন বেড়াতে যেতে পারি। এতে নিশ্চয় কোন শিডিউল নেই যে বিয়ের পরেই যেতে হবে। পরেও তো যেতে পারতাম। তাছাড়া বউ তো আমার কাছেই থাকছে। পালিয়ে যাচ্ছে না।

জুবায়ের রহমান হেসে উঠলেন শব্দ করে। বললেন
–তুই একদম চেঞ্জ হস নি। আগের মতোই কথা বলিস।

সবাই হো হো করে হেসে উঠলো। কিন্তু অবনীর ভীষণ অসস্তি হল। লজ্জায় তার চেহারা লাল হয়ে গেলো। চোখ তুলে কারো দিকে তাকাতে পারছে না। এমনকি কথা বলাতেও জড়তা কাজ করছে। এমন একটা কথা বলে এই পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য জুনায়েদের উপরে তার ভীষণ রাগ হল। জুনায়েদ অবনীর দিকে তাকিয়ে সবটা বুঝতে পেরেই মুচকি হাসল। সবার খাওয়া শেষ। টেবিল ছেড়ে সবাই উঠে গেলেও জুনায়েদ বসেই থাকলো। ফোনের দিকে ভীষণ মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে আছে। ম্যালিনা টেবিল গুছিয়ে নিচ্ছে। আর অবনী তাকে বুঝিয়ে দিচ্ছে সব। জুনায়েদ ফোন থেকে চোখ সরিয়ে ম্যালিনার দিকে তাকাল। চোখে চোখে কিছু একটা ইশারা করলো। বেখেয়ালি অবনী সেদিকে খেয়াল করলো না। ম্যালিনা রান্না ঘর থেকে জুস ভর্তি গ্লাস এনে অবনীকে দিলো। অবনী বেশ বিরক্ত হয়ে বলল
–প্রতিদিন এই সময় আমাকে এটা কেন দাও বলতো?

ম্যালিনা মলিন মুখে জুনায়েদের দিকে তাকিয়ে দৃষ্টি নত করে ফেললো। জুনায়েদ অবনীর দিকে তাকিয়ে বলল
–কারণ আমি বলেছি তাই। এই জুস অনেক হেলদি। এটা খেলে তুমি সুস্থ থাকবে। আর না খেলে তুমি এই ওয়েদারে অসুস্থ হয়ে পড়বে। তখন বাবা সম্পূর্ণ দোষটা আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দেবে। তার উড়ে এসে জুড়ে বসা ছেলের বউয়ের অসুস্থ হওয়ার জন্য ছেলের হাত আছে। এই দোষ আমি কোনভাবেই ঘাড়ে নিতে রাজি না। তাছাড়াও বউ যেহেতু আমার দায়িত্বটাও তো আমারই।

অবনী জুসের গ্লাসটা টেবিলে রেখে কৌতূহলী কণ্ঠে বলল
–আপনি আজকাল কেমন অদ্ভুত কথা বলছেন।

জুনায়েদ শান্ত দৃষ্টিতে তাকাল। বলল
–কেমন অদ্ভুত?

অবনী চিন্তিত মস্তিস্কে বলল
–ঐ যে তখন বললেন বউ…। কিসব থাকা পালিয়ে যাওয়া। আবার এখন…।

মাঝপথেই অবনীকে থেমে দিলো জুনায়েদ। কণ্ঠে কৌতুক মিশিয়ে বলল
–বউ বলে ভুল করেছি? গার্ল ফ্রেন্ড বলা উচিৎ ছিল?

অবনী রেগে গেলো। বলল
–এমন অসভ্যের মতো উদ্ভট কথা কেন বলছেন?

–আমি যথেষ্ট সভ্য। এই তিনদিনে আমার সাথে থেকে নিশ্চয় এটা ভালো করেই বুঝতে পেরেছ। অসভ্য হলে সেটার প্রমাণও এই কয়দিনেই পেয়ে যেতে। তখন এই কথাটা বললে আমি মেনে নিতাম। আর শুনতেও ভালো লাগতো যে বিয়ে করা বউ তার হাসবেন্ড কে কোন এক বিচিত্র কারনে অসভ্য উপাধি দিচ্ছে। এখন এটা অপবাদ। আর এই অপবাদ আমি কিছুতেই মানতে পারছি না।

অবনীর মুখ হা হয়ে গেলো। তার কথা শেষ হওয়া মাত্রই জুনায়েদ কথা শুরু করেছে। যেন সে জানত অবনী কি বলবে আর ঠোঁটের আগায় সেটার উত্তর গুছিয়েও রেখেছিল। ম্যালিনা এতদিন এই বাঙালী বাড়িতে থাকার সুবাদে বাংলা ভাষা ভালভাবে আয়ত্ত করতে না পারলেও সবটাই বুঝতে পারে। তাই জুনায়েদের এমন কথা শুনে সে ঠোঁট চেপে হাসল। অবনী তার দিকে রক্তিম চোখে তাকাতেই মুখে হাত দিয়ে হাসিটা লুকিয়ে ফেললো। অবনী বিড়বিড় করে বাংলায় বলল
–এমন ভাবে হাসছে যেন সব বুঝে গেছে। পাগল কোথাকার।

ম্যালিনা কথাটা শুনতে পেলো আর বুঝতেও পারলো। তাই ভাঙ্গা ভাঙ্গা শব্দ উচ্চারন করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করলো
–পাগল না। আমি বুঝেছি। বউ।

অবনী বোকা চোখে তাকাল। জুনায়েদ ঠোঁট চেপে হেসে ফেললো। অবনী তার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ফেরাতেই সে উঠে চলে গেলো ঘরে। যেতে যেতে বলল
–জুসটা শেষ করে তাড়াতাড়ি ঘরে আসো।

অবনী সব কাজ করে ঘরে গিয়ে দেখে জুনায়েদ শুয়ে পড়েছে। ভারী নিশ্বাস ফেলার শব্দ শুনেই বুঝতে পারলো ঘুমিয়ে পড়েছে। সারাদিনে অনেক ক্লান্ত। অনেক ধকল গেছে তার। তাই কোন আওয়াজ না করে সাবধানে পাশে গিয়ে শুয়ে পড়লো। দুজনের মাঝে একটা বালিশ রেখে দিলো। জুসের মধ্যে ঘুমের ঔষধ মেশানোয় দ্রুত ঘুমিয়ে পড়লো অবনী। অবনী ঘুমিয়ে পড়েছে বুঝতে পেরেই জুনায়েদ পাশ ফিরে শুয়ে গভীর ভাবে তাকাল তার দিকে। ঘুমন্ত মুখটার দিকে কয়েক মুহূর্ত তাকিয়ে থেকে মুচকি হাসল। তারপর পাশ থেকে বালিশ সরিয়ে ফেলে অবনীকে আলতো করে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লো।

————–
কলোরাডোতে আজ দুপুরে রোদের দেখা মিলেছে। খুব সুন্দর রোদ। কিছুক্ষন আগেই দুপুরের খাওয়া শেষ করে অবনী তার রুমে এসেছে। একটু রেস্ট নেবে। কিন্তু বাইরের আবহাওয়া এতো সুন্দর যে এখন আর ঘুমানোর কোন ইচ্ছা নেই। অবনী ঘরের সামনেই রোদের মাঝে চেয়ার নিয়ে বসে আছে। ভীষণ মিষ্টি রোদটা গায়ে লাগতেই মনটা ফুরফুরে হয়ে উঠলো। বেশ লাগছে ওর। জুনায়েদ জুবায়ের রহমানকে নিয়ে অনেক সকালে বের হয়ে গেছে। আজ তার বাবাকে বাসায় আনবে। তিনি এখন একদম সুস্থ। অবনী ঘুম থেকে উঠে জুনায়েদকে দেখতে পায়নি। কখন আসবে সেটা জেনে নেয়া দরকার। তাই ফোন করবে বলে সেটা হাতে নিতেই মেইন গেটে চোখ পড়লো। জুনায়েদের গাড়ি আসছে। মুচকি হাসল অবনী। তার মানে তারা চলে এসেছে। দ্রুত নিচে নেমে এলো। ওরা দরজায় দাঁড়ানো মাত্র দরজা খুলে গেলো। সবাই অবাক হয়ে গেলো। অবনী মুচকি হেসে জায়েদ রহমানকে বলল
–কেমন আছেন বাবা?

জায়েদ রহমান হেসে উঠলেন। বললেন
–ভালো আছি মামনি। তুমি কেমন আছো?

অবনী দরজা থেকে সোরে যেতে যেতে বলল
–ভালো আছি বাবা।

সবাই একে একে ভেতরে ঢুকল। জুনায়েদ সবার শেষে ঢুকে বলল
–তুমি কিভাবে জানলে আমরা এসেছি?

অবনী মৃদু হেসে বলল
–আমি বারান্দায় বসে ছিলাম। আপনাদেরকে আসতে দেখেছি।

জুনায়েদ কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে থেকে ঠোঁট বাকিয়ে হেসে বলল
–অপেক্ষা করছিলে বুঝি আমার জন্য?

অবনী তাকাল। স্বাভাবিক ভাবেই বলল
–করছিলাম। তবে আপনার জন্য না বাবার জন্য।

বলেই চলে গেলো। জায়েদ রহমানকে তার ঘরে নিয়ে গেছে। জুনায়েদ মুচকি হেসে অবনীর পেছনে চলে গেলো। সবাই ঘরের মাঝে ভিড় করেছে। জায়েদ রহমানের সাথে কথা বলতে। ডক্টর শাহেরও তাদের সাথে এসেছেন। কি যেন গুরুত্বপূর্ণ কথা বলছে। সবাই খুব মনোযোগ দিয়ে তার কথা শুনছে। অবনী ভেতরে গিয়ে দাঁড়াতেই জায়েদ রহমান হাত বাড়িয়ে বললেন
–আমার কাছে আসো মামনি।

অবনী এগিয়ে গেলো। জায়েদ রহমানের পাশে বসল। তিনি মাথায় হাত দিয়ে বললেন
–আমার জন্য তোমাদেরকে চলে আসতে হল। আ…।

অবনী তার কথা মাঝ পথেই থামিয়ে দিয়ে বলল
–আপনার চেয়ে কোন কিছুই ইম্পরট্যান্ট নয় বাবা। ঘুরতে তো আমরা পরেও যেতে পারব। তাছাড়া আপনি অসুস্থ শুনলে কি আমাদের ঘুরতে ভালো লাগতো?

জায়েদ রহমান হেসে মাথায় আদর করে দিলেন। অবনী চোখ নামিয়ে নিলো। ডক্টর শাহের এতক্ষন তীক্ষ্ণ চোখে অবনীকে পরীক্ষা করলেন। গম্ভীর আওয়াজে বললেন
–অবনী মা? তোমার যে কিছুদিন আগে শরীর খারাপ লাগছিল। বলছিলে যে মাথা যন্ত্রণা করত। হাত পা শিরশির করত। এসব কি এখনো হয়?

জুনায়েদ অবনীর দিকে অস্থির দৃষ্টিতে তাকাল। অবনী ভীষণ শান্ত কণ্ঠে বলল
–এখন আর ওরকম হয়না। তবে মাথাটা কেমন ঝিমঝিম করে। ঘুমটা কাটতেই চায়না।

ডক্টর শাহের মৃদু হেসে বললেন
–ঠিক হয়ে যাবে। রেস্ট নেবে আর ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করবে।

ডক্টর শাহের জায়েদ রহমানের দিকে তাকিয়ে বললেন
–তুমি এখন রেস্ট নাও। তোমার রেস্ট দরকার। আমি আজ আসি।

বলেই উঠে চলে গেলেন। জুনায়েদ তার পিছু পিছু বাড়ির বাইরে এলো। তিনি থেমে বললেন
–জুনায়েদ। খবর বেশ ভালো। অবনী এখন সুস্থ। ওর তেমন প্রবলেম নেই। তুমি কাল এক সময় আমার চেম্বারে আসবে। আমি ঔষধের ডোজ কমিয়ে দেবো।

জুনায়েদ হাসল। এটা তার জন্য খুবই খুশীর খবর। অবনী সুস্থ হয়ে উঠছে। ডক্টর শাহের বিদায় নিয়ে চলে গেলেন। জুনায়েদ হাসি মুখেই বাড়ির ভেতরে ঢুকল। অবনী তখন পানি খেয়ে কাচের গ্লাসটা ডাইনিং টেবিলে রাখছিল। জুনায়েদকে এভাবে হাসতে দেখে ভ্রু কুচকে তাকাল তার দিকে। জুনায়েদকে আজ ভীষণ খুশী লাগছে। মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করছে অবনীর। কোন অজানা কারনে তার মনটাও ভালো হয়ে গেলো। সেদিকে তাকিয়ে গ্লাসটা রাখতে গিয়েই সেটা পড়ে গেলো একদম নিচে। ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গেলো। শব্দ শুনেই জুনায়েদ দ্রুত তার দিকে এগিয়ে এলো। বলল
–আর ইউ ওকে?

অবনী নিচের দিকে তাকিয়েই মাথা নাড়ল। সে ঠিক আছে। বসে পড়লো ছড়িয়ে পড়া কাঁচগুলো তুলতে। জুনায়েদ নিচে বসে অবনীর হাত চেপে ধরল। বলল
–রিলাক্স! শুধু গ্লাসটাই ভেঙ্গেছে। বেশী কিছু হয়নি। তুমি ধরবে না। হাত কাটবে।

অবনী জুনায়েদের দিকে তাকাল অদ্ভুত ভাবে। কিছুদিন আগেও লোকটা তাকে সহ্য করতে পারতো না। আর আজকে তার কেয়ার করছে। এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে জুনায়েদ বলল
–এভাবে কি দেখছ? তুমি অনেক কেয়ারলেস। হাত কাটবে তাই আমি তোমাকে এসব ধরতে দেবো না।

অবনী হেসে ফেলে বলল
–ঠিক আছে।

জুনায়েদ মুচকি হেসে এক হাতে অবনীর হাত ধরে আরেক হাতে কাঁচের টুকরো তুলতে তুলতেই গলা তুলে রোজকে ডাকল। রোজ এসে দাঁড়াতেই জুনায়েদ তার দিকে তাকাল। অসাবধানতা বশত হাত দিতেই তার হাতে কাঁচের টুকরো ঢুকে গেলো। জুনায়েদ ব্যাথায় চোখ মুখ খিঁচে বন্ধ করতেই অবনী হাত ধরে ফেললো। বিচলিত হয়ে বলল
–ব্লিডিং হচ্ছে।

জুনায়েদের হাত থেকে রক্ত টুপটুপ করে মেঝেতে পড়ছে। অবনী রোজকে ফাস্ট এইড বক্স আনতে বলেই জুনায়েদকে হাত ধরে সোফায় বসাল। নিজের শাড়ির আচল দিয়ে হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে বলল
–আশ্চর্য! আপনি এতো কেয়ারলেস কেন? কতোটা ডিপ হয়ে গেছে দেখেছেন?

থেমে সেদিকে তাকিয়ে ভীষণ ব্যথাতুর কণ্ঠে বলল
–ইশ! কত ব্লিডিং হচ্ছে।

জুনায়েদ যেন কোন কথাই শুনল না। হাতের দিকে তাকিয়ে বলল
–শাড়িটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অবনী। এটা না তোমার অনেক পছন্দের। হাত ছেড়ে দাও। শাড়িটা চেঞ্জ করে ওয়াশ করতে দাও। আমি ম্যানেজ করে নেবো।

অবনী ক্ষিপ্র দৃষ্টিতে তাকাল। ভয়ংকর আওয়াজে বলল
–এই মুহূর্তে আপনার থেকে ইম্পরট্যান্ট কিছুই নয়। এরকম হাজারটা শাড়ী নষ্ট হলেও আমার কিছুই যায় আসবে না।

জুনায়েদ অবাক হয়ে তাকাল। এভাবে এর আগে তাকে কখনো রাগ করতে দেখেনি। নরম কণ্ঠে বলল
–রেগে যাচ্ছ কেন? আমি তো জাস্ট শাড়িটা…।

–একদম চুপ। আর কোন কথা নয়।

অবনীর ধমকে জুনায়েদ চুপ হয়ে গেলো। রোজ তখনই ফাস্ট এইড বক্স এনে দাঁড়ালো। অবনী তার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে ধমকে উঠলো
–এতো দেরি করলে কেন? প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো হাতের কাছে রাখতে পারো না?

জুনায়েদ অবাক হয়েই তাকিয়ে আছে। রোজ অপরাধীর মতো মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে। অবনী খুব যত্ন করে জুনায়েদের হাতের ব্যান্ডেজটা চেঞ্জ করে দিলো। ভীষণ আহত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। জুনায়েদ ঠিক কতোটা ব্যাথা পাচ্ছে সেটা উপলব্ধি করতে না পারলেও অবনীর যে বেশ কষ্ট হচ্ছে সেটা বুঝতে পারছে ভালো করেই। হাসল জুনায়েদ। অবনী কাজ শেষ করেই জুনায়েদের দিকে তাকাল। তার মুখে হাসি দেখেই রেগে বলল
–হাসছেন কেন? এখানে কি মজার কিছু হয়েছে?

জুনায়েদ ধমক খেয়ে নিজেকে স্বাভাবিক করে নেয়ার চেষ্টা করলো। কিন্তু হাসি কিছুতেই আটকাতে পারলো না। ঠোঁট চেপে আবারো হাসতেই অবনী প্রচণ্ড রেগে ধমকে উঠে বলল
–আপনার এই হাসি সব নষ্টের মূল। আপনার হাসি দেখতে গিয়েই এতো বড় একটা এক্সিডেন্ট ঘটে গেলো। এতো সুন্দর করে কেন হাসেন? মনে হয় দুনিয়ার সব মুগ্ধতা ঐ হাসির মাঝেই।

চলবে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here