মেঘের আড়ালে চাঁদ পর্ব:২

0
530

মেঘের আড়ালে চাঁদ
(২)

কি গভীর চোখ দুটো, শ্যামলা গায়ের রঙ, চেহারায় কাঠিন্য থাকলেও ভিতরের নরম মনের আভাস পাওয়া যায়, নাকি আমিই খুঁজে পেতে চাইছি? একটা সাইকোপ্যাথ, খুনি, রেপিস্ট তো মানুষের মতই দেখতে! তার ও রূপ সৌন্দর্য থাকতে পারে , বিশ্বাস যোগ্য বাচনভঙ্গি থাকে।
আমার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে তৌফিক।
•কি মিয়া খুইলা কও আফার কাছে? কি হইছে? কেন আইছ?
•বলব! (কন্ঠস্বরে কি যেন একটা আছে। আমার বুকের ভেতর হুহু করে ওঠে) কিছুদিন পর।
•আপনাকে থাকতে দেয়ার শর্ত হল, আগাগোড়া সবটা সত্য বলতে হবে, পুরো ঘটনা। সামান্য তম মিথ্যা পেলে….
•কি করবেন? পুলিশে দেবেন?
•না না! আমি নিরীহ মানুষ, পুলিশ, কোর্ট কাচারি ভয় পাই!
জ্বলে ওঠে যুবকের চোখ! কঠিন দৃষ্টিতে তাকায় আমার দিকে। মনে হচ্ছে আমার ভিতরটা অব্দি দেখে নিল!
•এই আপনার মত দুর্বল চিত্তের মানুষের জন্য আজ দেশের আইন ব্যবস্থা খোড়া, এক চেটিয়া পুলিশ প্রশাসন কে দোষ দিয়েই খালাশ। তাদের কাজে সাহায্য করেন না। অপরাধ দমনে সাহায্য করেন না, অপরাধী কে শাস্তি দিতে সাহায্য করেন না।
•আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলি, আমি একা বিধবা মানুষ….
•কি এমন বয়স আপনার? এতটা দুর্বল মনে করেন কেন নিজেকে? শুনেছি আপনি লেখিকা, অন্তত লেখা দিয়ে হলেও প্রতিবাদ করুন।
•কিসের প্রতিবাদ?
•আমি সব বলব, কিন্তু আমাকে একটু সময় দিতে হবে। আর আমি বরং এ রুমে না থাকি….
•কেন?
•তারিক ভাই জানলে খুব রাগ করবে।
•কেন?
•তার কাছেই শুনে নিয়েন।
•আমি এনেছি আপনাকে, খুব বাজে নিউমোনিয়া বাধিয়েছেন। এখন গরম জায়গায় না থাকলেই শ্বাসকষ্ট শুরু হবে। এখানেই থাকুন। কোন সমস্যা নেই।
•জি আচ্ছা।
•স্যুপটা শেষ করুন। অনেক প্রোটিন দরকার এখন শরীরে।
•আচ্ছা।
আমি ঘরে ফিরে এসে লেখায় মগ্ন হলাম। তৌফিক শুয়েছে ড্রইংরুমের ডিভানে। ঘুমিয়ে গেছে। আমি কফি বানাতে বের হয়ে দেখি, যুবক রান্নাঘরে,

•কি ব্যাপার?
•তৌফিক ভাই ঘুমাচ্ছেন, তাই আমিই চা করতে এলাম, সব তো কফি মিক্স, কোন চা নেই?
•আমি চা খাই না, তাই সব কফি রাখা,
•ওহ!
•এবেলা কফিতে চালিয়ে নিন। আমিও করছি খাবেন?
•দেন।
•আচ্ছা একটা কথা
•জি?
•আপনার নাম তো জানা হল না। আমি মৃত্তিকা মাহমুদ মিতু।
•আমি মিজানুর রহমান। মিজান বলেই ডাকে সবাই।
•আচ্ছা! নিন আপনার কফি।
•ধন্যবাদ,
বলে সে তার ঘরে চলে গেল। তাহলে সে কোন পলাতক সন্ত্রাসী না? আমি রুমে এসে, ফোনে নেট কিনে তন্ন তন্ন করে খুঁজি গত দুই মাসে কোন ফেরারি আসামির নিউজ পাইনা।

লিখতে বসলাম, এত অস্থির লাগছে, কিছুই লেখা আসছে না, কফি ঠান্ডা হয়ে গেল, আবার বের হলে, হয়ত সে ভেবে নেবে আমি দেখার ছুতো খুজছি! কি আজব! এসব কি ভাবছি? ঠান্ডা কফি এক চুমুকে গিলে নিয়ে লেখায় বৃথাই মনোনিবেশ করার চেষ্টা করছি। কিছুক্ষণ পর উঠে ঘুমাতে গেলাম, আশ্চর্য ব্যাপার ঘুম এসে গেল! ঘুম ভাঙল দশটায়, আড়মোড়া ভেঙে, ফ্রেস হয়ে বের হয়ে অবাক, মিজান চলে গেছে তারিকের রুমে, আমার জন্য চিরকুট রাখা,

“যে নারীর সম্মানের বিচার চাইতে আজ আমার এই অবস্থা, আমার পরিবার বিপদে আছে, সেই আমি আপনাকে অসম্মানিত দেখতে পারব না। তার চেয়ে নিউমোনিয়াতে মৃত্যু ভালো। আপনি অনুমতি দিলে বিকেলে এসে আমার সব ঘটনা বিস্তারিত বলব, তবে আমারও একটা শর্ত আছে। প্রতিটি লাইন আপনাকে লিখতে হবে, আমার লড়াইয়ে নিজের অজান্তেই জড়িয়ে গেছেন আপনি, আপনাকে এটুকু করতেই হবে। ”

আমি চিরকুট পড়ে হতবিহ্বল হয়ে গেলাম,কোন সাইকো, কিলার, রেপিস্টের লেখা না, কোন জেল পালানো কয়েদির লেখা না, একজন শিক্ষিত, সংবেদনশীল মানুষের লেখা! বুকের ভেতর হুহু করে উঠল, আমি কি তাই চেয়েছিলাম? আমি কি চেয়েছিলাম এসব কিছু একটা হলে পুলিশ ডেকে নিজেকে বাচিঁয়ে নিতাম, কিন্তু আমি যে পারছি না! প্রবল বেগে এই মানুষটার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছি।
তাহলে শিশির? শিশিরকে প্রথম দেখায় বুকে যে শিহরণ জেগেছিল, আজও তাই জাগছে, মরা নদীতে হঠাৎ করে প্রবল বেগে বিধ্বংসী স্রোত জেগেছে….
ফোনের শব্দে সম্বিত ফিরে পাই, স্ক্রিনে শিশিরের বাবার নম্বর,
•হ্যালো আসসালামু আলাইকুম

•ওয়ালাইকুম আসসালাম মা। কেমন আছ?

•জি বাবা, ভালো

•পেমেন্ট পেয়েছ? (প্রতি মাসে ওদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শিশিরের অংশের লভ্যাংশ পাই আমি, আমার ব্যাংক একাউন্টে, কোন মাসে এর ব্যত্যয় ঘটেনি)

•আমি মেসেজ চেক করে জানাবো।

•যাক সে কথা। যে কারণে ফোন করেছি। তুমি এখনো এই পরিবারের সদস্য। আজীবন তাইই থাকবে। তোমার শাশুড়ি ও বেঁচে থাকতে এটাই চেয়েছে, পুরো তিন মাস তোমাকেই আকড়ে বাঁচতে চেয়েছিল।

•জি

•তুমি কোন দাদুভাইয়ের জন্মদিনে আসনা, কোন গেট টুগেদারেও আসনা। এটা তো ঠিক না মা।

•আমি ঢাকার বাইরে

•আমি জানি, তুমি হয়তো শিশিরের স্মৃতি ভুলতেই দূরে গিয়েছ।

•না বাবা, শিশির এখনো আমার অন্তরে জীবিত। শিশিরের স্মৃতি বুকে আগলেই, আমি বেঁচে আছি।

•দেখ মা, আমি তোমাদের বিয়েতেও অমত করিনি। তোমার শাশুড়ির কিছুটা অমত ছিল ব্যবসায়ী পরিবারে সাহিত্যের মানুষ। আমি বলেছি ভালো তো, সাহিত্যিক রা জীবদ্দশায় সুখ স্বাচ্ছন্দ্য পায়না, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম কেউ ব্যবসা দেখবে, কেউ সাহিত্যের অঙ্গনে পা দেবে। তারপর সে আর অমত করেনি। তার পরেও আমি বহুবার ভেবেছি তোমাকে আবার বিয়ের কথা বলব। কিন্তু বলা হয়ে ওঠেনি। খুব কিন্তু দেরি হয়নি মা।

•কিন্তু বাবা….

•দেখ মা, আমি কিছু চাপিয়ে দেয়া পছন্দ করিনা। কিন্তু এই বিষয়ে আমি জোর না করে পারছিনা। আমার জীবন তো শেষের পথে, তোমার আরো অনেক লম্বা রাস্তা একাই হাটতে হবে, কারো স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকা যায়, কিন্তু একটা সময় ডাক্তারের চেম্বারে ওয়েটিং রুমে বসে থাকার জন্য কাউকে চাই। একটা হাত, যে হাত ধরে তুমি এক সাথে বৃদ্ধ হবে।

•বাবা আমি যদি কোন সিদ্ধান্ত নেই? আপনাকে পাশে পাব?

•অবশ্যই পাশে পাবে।

• ধন্যবাদ বাবা।

ফোন রেখে আমার ভীষণ কান্না পেল। ছাদে উঠে গেলাম, মাঘের শেষ প্রায়, বসন্তের আগমনী বার্তা প্রকৃতিতে, ঠান্ডা হাওয়ায় কাপুনি ধরে গেল, শালটা ভালোমত গায়ে জড়িয়ে নিলাম।

“হোক, তবু বসন্তের প্রতি কেন এই তব তীব্র বিমুখতা?”
কহিলাম “উপেক্ষায় ঋতুরাজে কেন কবি দাও তুমি ব্যথা?”
কহিল সে কাছে সরি আসি-
“কুহেলী উত্তরী তলে মাঘের সন্ন্যাসী-
গিয়াছে চলিয়া ধীরে পুষ্পশূন্য দিগন্তের পথে
রিক্ত হস্তে। তাহারেই পড়ে মনে, ভুলিতে পারি না কোন মতে।”

কবি সুফিয়া কামাল যেন আমার বুকের দীর্ঘশ্বাস টাই ফুটিয়ে তুলেছেন! আমি কি এই বসন্ত বরণ করে নেব? রোদে পিঠ দিয়ে মিজান খবরের কাগজ পড়ছে খুব মনোযোগ দিয়ে, সে কাগজের পাতা উল্টাতেই আমি সরে গেলাম, কি মনে করবে ছেলেটা? কি ভীষণ নির্লজ্জ আমি!

বিকেলে মিজান এলো,
খুব ভদ্র ভাবে সোফায় বসে আছে, আমি দুই কাপ আর বিস্কুট নিয়ে এলাম ট্রেতে করে, উঠে দাঁড়ালো মিজান।
•প্লিজ বসুন
•জি ধন্যবাদ।
•খাতা কলম না নিয়ে আমার কোলে ল্যাপটপ দেখে মিজান অবাক।
•এতে লিখবেন?
•হুম
•বেশ, আমি মিজানুর রহমান। বাড়ি নীলফামারির এক প্রত্যন্ত গ্রামে। বাবা মা, দুই বোনের সংসার, বাবা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক, বর্তমানে কৃষক, কৃষি কাজ আগেও করত। মা কিছু করেনা! বড় বোন…
•কি? মা কিছু করে না?
•না ঐ চাকরি বাকরি তো কোনদিন করেনি।
•বলুন হোম মেকার। বিয়ের পর থেকে সংসারে তিনি যে শ্রম দিচ্ছেন, ঘন্টা হিসেবে তার বেতন যদি গণনা করা যায়, তবে আপনার চেয়ে বেশি হবে।
•জি কথা ঠিক। বড় বোন প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক, বিবাহিত, ছোট বোন স্কুলে পড়ে ক্লাস নাইন।
•আচ্ছা!
•একটু দম নিয়ে বলে, আমি নীলফামারী থেকেই ডিগ্রি পাস করি। আমার জানা ছিল না এই পাসের কোন দাম নেই ঢাকায়। ঢাকায় সবকিছু অন্যরকম। আমি পাস করে চাকরির আশায় নীলফামারি ছাড়ি। ঢাকায় এসে গ্রামের এক পরিচিত আলম ভাইয়ের বাসায় উঠি।
উনি পরদিন সকালেই মেসের খোঁজ দেন, আমি তাতে উঠে যাই। ছাত্র পড়িয়ে, পার্ট টাইম ডেলিভারি বয়ের কাজ করে চলছিল কোন রকম, কিন্তু বাড়িতে টাকা পাঠাতে পারতাম না। এর ফাঁকে পড়াশোনা শুরু করি মাস্টার্সের। সেটাও পাস করি বহু কষ্টে, পাঁচ বছর কেটে গেছে, আলম ভাই একদিন কল দিলেন, নিজের অফিসে ডাকলেন, আমি উনার কাছে কৃতজ্ঞ, ঢাকা শহরে মাথা গোজার ঠাই, আর এক বেলা ভাত দিয়েছেন, এটাই বা কে করে?

•হুম ঠিক।

•অফিস সহকারী পোস্টে আমাকে নিতে চাইলেন, বললেন কাজ শিখে গেলে পদোন্নতি হবে, আমার কাছে তো মেঘ না চাইতেই জল! সাথে সাথে রাজি। কাজ শুরু করলাম। ছয় মাস কেটে গেল নির্বিঘ্নে । অফিস করি আর ছাত্র পড়াই, বাড়িতেও টাকা পাঠাই। এরপর অফিসে জয়েন করে আমাদের গ্রামের একটি মেয়ে নাম আশরাফুন্নেসা।

•এইটুকু বলে পানি খায়। আমিও আড়মোড়া ভেঙে নিলাম, সত্যিই টাইপ করেছি আমি মিজানের আত্মকথন। যদিও অবিশ্বাস করার মত কিছু এখনো সে বলেনি। কিন্তু এভাবে পালিয়ে বেড়ানোর বিশ্বাস যোগ্য কারণ ও সে বলেনি।

•ও কে অফিসে আসফি ডাকা হত, ধীরে ধীরে ঢাকার হাওয়া লাগতে শুরু করল ওর গায়েও, ওর বাবা যেদিন অফিসে দিতে এসেছিলেন, আমাকে বলেছিলেন,

•বাবা তোমার হাতে দিয়ে গেলাম মেয়েটাকে, তোমার ছোট বোনের মত। ও কে দেখে রেখ।

•জি আংকেল অবশ্যই।

আমি আসফি কে ছোট বোনের দৃষ্টিতেই দেখতাম। মাস ছয়েক নির্বিঘ্নে কাটল, আমার প্রমোশন হল, বেতন বাড়ল, ভীষণ খুশি, তার এক মাস পর বেতন পেয়ে প্রমোশন পার্টি দিতে হল, অফিস কিছু বড় অর্ডার পেয়েছে, সব মিলিয়ে জমজমাট পার্টি, আমি এসবে অভ্যস্ত নই, বাকিরা জানেই, তাই নিজেরাই বন্দোবস্ত করে নিয়েছিল, আমার বস সহ আরো তিন চার জন জটলা করে পান করছিল,
আর বাকিরা শখ করে একটু আধটু গ্লাসে ঢেলে তার থেকে অনেক বেশি বরফ নিয়ে চেখে দেখছিল, মেয়েদের জন্য বিয়ার ছিল, কেউ জ্যুসের মিলিয়ে খেল, আমাকেও ভীষণ ভাবে সাধল, কিন্তু আমি খাই না ওসব, বহু কষ্টে এড়িয়ে তাড়াতাড়ি মেসে ফিরব ঠিক করলান।

হিজাবী আসফি কে সেদিন প্রথম বার খোলা চুলে দেখি, রিবন্ডিং করা সোজা, চকচকে নিখুঁত চুল, পোশাকেও যথেষ্ট পরিবর্তন হয়েছে, জিজ্ঞেস করতে বলল, বসের গিফট, আর তার চাকরিটা ভীষণ প্রয়োজন, নিজেকে সবসময় বাচিঁয়ে রেখে বোধহয় কর্পোরেট জব করা যায় না…. আমি ওর চোখে অজানা বেদনা দেখলাম, কিসের? অনুশোচনার? জানিনা!

•আমি থামিয়ে দিলাম। বললাম কথাটা ভুল। সব পেশাতেই ভালো মন্দ থাকার সুযোগ আছে।

মিজান মেনে নিল। ও সহ আরো তিনজন, সিহাব,অনুপম, রিফাত বের হল।
রাত নটা বাজতেই বেরিয়ে পড়ে, খুব ক্লান্ত ছিল তারা, আগের দিন ফ্যাক্টরি ভিজিট করে এসেছে, উবারের অপেক্ষায় দাড়িয়ে, একই মেসে থাকে তারা, অফিসের উর্ধ্বতন কর্মকতাদের জন্য নির্ধারিত মাইক্রোবাস দাঁড়ানো, কারো অপেক্ষা করছে যেন,
ওরা উবার কল দেয়, ড্রাইভার আসবে বলে আসেও না, অপেক্ষা করাতে থাকে, ওরা অফিসের মাইক্রো বাসের চালককে অনুরোধ করে নামিয়ে দিতে,

•তার জবাব, স্যরি স্যার বিশেষ কাজের জন্য আমি এখানে অপেক্ষা করছি। আমরা একটু দূরে সরে দাড়াই, আমাদের মধ্যে একজন পাগলা সিগারেটখোর তার ব্যাপক নেশা পেয়েছে, এদিকে কারো কাছেই নেই, অগত্যা চারজন মিলেই কিনতে গেলাম সিগারেট, চা ছাড়া সিগারেট জমেনা, তাই চাও খাওয়া হল, আমি সিগারেট খুব একটা খাইনা, ঐ দিন চায়ের সাথে আয়েশ করে টানছি, চায়ের দোকান অফিসের গেটের সামনেই, অফিসের মাইক্রো বাসটা বের হল, আমাদের বস সহ আরো দুই জন আর আসফি! আমার দেখাদেখি বাকি রাও দাঁড়িয়ে গেল,

•অনুপম গালি দিয়ে বলল এই তিন মালখোরের সাথে আসফি কই যায়?

•তার আমি কি জানি? সিহাব জবাব দেয় ।

•আমি জমে পাথর। কি হবে মেয়েটার, কি করবে ওরা মেয়েটার সাথে,ও কি স্বেচ্ছায় গেছে? নাকি…

আমরা আরো বিশ মিনিট পরে উবার পাই, তারপর বাসায় ফিরে যাই। পরদিন অফিসে এসে শুনি বস সহ বাকি দুই জন ছুটিতে! প্রতি অফিস পার্টিতেই এরা অতিরিক্ত মদ্যপান করে পরদিন ছুটিতে থাকে, কেউ এদের ঘাটায় না। কিন্তু আসফি? আসফি অনুপস্থিত! তার ফোন ও সুইচড অফ,
আমি সিহাব, অনুপম,রিফাতকে সব বলি। ওরা বলল, হয়ত ব্যাটারি ডাউন, অসুস্থ ও হতে পারে মেয়েটা, এ জন্য অফ রেখেছে ফোন, যাতে কেউ ডিস্টার্ব না করে, আমিও ওদের স্বান্তনার বাণীতে নিজেকে শান্ত করলাম। আমিও জানতাম না কত বড় দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে আমার জন্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here