মেঘের আড়ালে চাঁদ পর্ব:৩

0
363

মেঘের আড়ালে চাঁদ
(৩)

দ্বিতীয় দিনের মত গল্পের আসরে আমরা বসেছি,
আমার কাছে এটা এখনো গল্পই লাগছে।
তারিকের পাঞ্জাবিতে অদ্ভুত সুন্দর লাগছে মিজান কে। আমি কখনো কোন পুরুষের দিকে এভাবে দেখিনি, শিশির ছাড়া। আবার চা আর বিস্কুট নিয়ে বসেছি,
শুরু করি? জিজ্ঞেস করে মিজান।

•হুম প্লিজ, চা নিন।

•পরপর তিন দিন অফিসে এলো না আসফি, এবার সবাই ভয় পেয়েছে, কেউ আমার কথা মানছিল না। আমি অনুপম আর পলি গেলাম আসফির হোস্টেলে, পলি হোস্টেল চেনে, আমি যাইনি কখনো। গিয়ে দেখি, আসফির বাবা বারান্দায় বসে আছেন, হাটু মুড়ে, দুই হাতের উপর মাথার ভর দিয়ে। ভীষণ হতাশ দেখাচ্ছে তাকে।

•আংকেল কেমন আছেন? পলি প্রশ্ন করে।

•বাবা তোমরা এখানে কেন ? অফিস ছুটি? আমার মেয়েটা? আসরাফুন্নেসা? সে কোথায়? আমি তো সারাদিন বসে আছি, মনেই ছিল না মেয়ে চাকরি করে। ওর রুমে তালা, রুমমেট ও বাইরে …

•চাচা ও অফিসে আসেনা তিন দিন হল?

•কি? তিন দিন?

•জি চাচা

•ওর ফোন ও বন্ধ, তিন দিনের বেশি, হতাশ কন্ঠে বলেন আসফির বাবা

•কখন থেকে বন্ধ চাচা? পলি প্রশ্ন করে৷

•তিন তারিখ রাত এগারোটায় আমি ও কে ফোন করি, গ্রামে দশটার দিকেই ঘুমিয়ে পড়ি, কিন্তু মেয়েটা বলেছিল অফিসে অনুষ্ঠান আছে, ফিরতে রাত হবে, রাতে কথা হবে না, ভোরে উঠে যেন আমি কল দেই, কিন্তু আমি দুশ্চিন্তায় ঘুমাতে পারছিলাম না, তাই এগারোটা থেকে কল করা শুরু করি, ভাবি ব্যাটারি ডাউন, তোমাকেও কল দিয়েছি, বোধহয় বুঝতে পারনি। আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন।

•হ্যা চাচা, কল পেয়েছি, তখন উবারে, মানে ভাড়া গাড়িতে, বাসায় ফিরে আর কল ব্যাক করতে মনে নেই, গাড়িতে হই হুল্লোড় ছিল।

•হ্যা বুঝেছি বাবা, তাও ভালো তোমরাও খোঁজ করছ…. এ শহরে আমার কেউ নেই, আমি বড় একা। মাথা নিচু করে দাড়িয়ে থাকেন আসফির বাবা, উনাকে স্বান্তনা দিয়ে আমরা ফিরতি পথ ধরলাম, হঠাৎ পলি বলে আমাদের কি পুলিশ কে ইনফর্ম করা উচিত না?

•অনুপম বলে, ধুশ! এই বয়সে একটা মেয়ে যাবে কোথায়, হারিয়ে যাবে নাকি? আমরা ও কে অফিসের মাইক্রো বাসে দেখেছি, বেমালুম চেপে গেল। আমি কিছু বলতেই আমার হাটুর কাছে প্যান্ট খামচে ধরল, আমি থেমে গেলাম। দোয়া করতে লাগলাম ও যেন ফিরে আসে।

কিন্তু ফিরে এলো না আসফি, সপ্তম দিনে অফিসে পুলিশ এলো, তারা লাশ পেয়েছে, গাজিপুরের কালিগঞ্জে লাশ পাওয়া গেছে , ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে কি হয়েছিল মেয়েটার সাথে, তার সাথে কোন পার্স, মোবাইল ছিল না, কোন মিসিং কমপ্লেইন করা হয়নি, তাহলে তারা কোথায় পেল অফিসের ঠিকানা, আর লাশ কি আসফির? সত্যি আসফির? আমার ভীষণ অসহায় লাগছে, আমার চোখের সামনে দিয়ে গেল, পুলিশ সবার সাথে জিজ্ঞাসাবাদ করল, আমার সাথেও কথা হল, একমাত্র আমিই নাকি সাংঘর্ষিক বয়ান দিয়েছি, আমাকে পুলিশ স্টেশনে নেয়া হল, সারাদিন বসিয়ে রাখল, আমি বাসায় ফিরে গোসল সেরে, কি মনে করে বাবা কে ফোন করে সব খুলে বলি, বাবা বলেন মেয়েটার ন্যায় বিচারের জন্য যা করতে হয়, আমি যেন করি। কোনভাবেই পিছপা না হই।
এই পর্যন্ত বলে দম নিল মিজান, আমি আর কিছু বানাতে পারিনা। তাই কেক আর পানি এনে দিলাম সামনে, ও সেটাই আগ্রহ করে খেল।

আমি বললাম,
•আপনি চাইলে আজ বিশ্রাম করুন। কাল আবার শুনব।

•আপনি কি ক্লান্ত?

•নাহ! এর চেয়ে কত বেশি টাইপ করতে হয় ঈদের আগে!

•আচ্ছা, তাহলে বলি, সময় বেশি নেই,কাজ শুরু করতে হবে,

•আমাকে দিনের পর দিন পুলিশ ফোন করে করে হেনস্থা করত।অফিসে অনেকটা একঘরে হলাম। অনুপম, রিফাত, সিহাব কেউ সাক্ষ্য দেবে না। আসফির বাবা পুলিশ স্টেশনে চক্কর কেটে কেটে হয়রান, বেচারা বৃদ্ধ মানুষটার জন্য মায়া হয়। যেসব মেয়েরা সে রাতে আসফিকে বসের সাথে বের হতে দেখেছে তারাও মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে। পুলিশ সাক্ষীর অভাবে কেস ক্লোজ করে দিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও নাকি কিছু আসেনি। সিসিটিভি ফুটেজেও ওদের এক সাথে দেখা যায়নি। সাক্ষী নেই, প্রমাণ নেই কিসের ভিত্তিতে কেস হবে?
একা এই অসম লড়াইয়ে, নিজের অজান্তেই জড়িয়ে গেলাম। দিন এক ভাবে কাটছিল, অফিসে কেউ আর কোন কাজে সাহায্য করত না, সবাই একদিক, আমি আরেক দিক।

•বস একদিন ডেকে পাঠালেন,

•আসব স্যার

•হ্যা আসুন। বসুন

•ধন্যবাদ

•পুলিশের কাছে কি বলেছেন? কি পাবেন মিথ্যা বলে? সিহাব,রিফাত, অনুপম সাহেব কিছু দেখেননি, আপনি এত দূর থেকে কি এমন দেখে নিলেন?

•ওরাও দেখেছে, অনুপম নিজে বলেছে……

•দেখুন, প্রোমোশন চান?

•চাই স্যার!

•হাহা! চাকরির ঠিক নাই! প্রোমোশন কোথায় পাবেন?

•মানে?

•এভাবে প্রতিদিন পুলিশ স্টেশনে কাটিয়ে আসেন, কোন কাজ তো হয়না। সাত দিনে প্রেজেন্টেশন রেডি করতে পারেননি, তাছাড়া অফিসের রেপুটেশনের সাথে যায় না। দেখা যাবে হয়তো আপনিই রেপ করে জঙ্গলে ফেলে এসেছেন, নাম দিয়েছেন আমাদের! হাহা!

•স্যার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আসেনি, রেপ হয়েছে আপনি কিভাবে জানলেন?

•দেখুন আমাদের কর্পোরেট অফিসে গোয়েন্দা প্রয়োজন নেই। নিজের মত করে শার্লক হোমস গিরি করুন।

•স্যার আমি…

•নিজের যোগ্যতা বুঝে পা ফেলতে হয়, ঐ যে একটা প্রবাদ আছে না? নিজের পোশাকের মাপে পা ফেলতে হয়! কাল থেকে আর আসতে হবে না ,একাউন্টস আপনাকে আপনার পাওনা বিকাশ করে দেবে, সময় লাগবে, দয়া করে বারবার এসে সিন ক্রিয়েট করবেন না।

আমি ডেস্ক গুছিয়ে বের হচ্ছি এলাকার ভাই ডাকলেন, বললেন,
তুমি খুব ভালো ছেলে, কিন্তু এই বিষয় গুলোতে নিজের সততা দেখালে চলে না।

•ভাই একটা জীবন চলে গেল।

•তোমার হাজার চেষ্টায় কি তা ফিরবে? এতই যখন বলছ তুমি তাদের দেখেছ, থামাওনি কেন?

•আমি এতটা গুরুত্ব দেইনি, ভেবেছি লিফট দিচ্ছে,

•তোমার মতে তারা মাতাল ছিল, এতগুলো মাতালের সাথে কেমন মেয়ে যায়?

•ভাই ও খুব ভালো মেয়ে, যা হয়েছে, ও না বুঝেই জীবনটা দিয়ে দিল।

•তুমি তোমার জীবন সিকিউর কর। কয়দিন গ্রামে গিয়ে ঘুরে আস, মামা, খালা বাড়িতেই থাক মাস খানেক, তারপর চেষ্টা কর নীলফামারিতেই একটা চাকরির, আমি বলে দেব, হয়ে যাবে, ঢাকায় এসো না।

•কিন্তু কেন? আমি কোন অপরাধ করিনি। আমি কেন পালিয়ে বেড়াবো?

•আরে মাইন্ড ফ্রেস করবা…..পালানোর কি আছে?

•না, আমি কোথাও যাচ্ছি না।

বলে বের হলাম অফিস থেকে, আমার চাকরিটা নেই! এত সহজ একটা মানুষের কাছ থেকে তার রিজিকের উৎস কেড়ে নেওয়া, আল্লাহ কি বিচার করবেন না?

কিন্তু আমার ধারণা সম্পুর্ন ভুল ছিল। মেসের টাকা পরিশোধ করাই ছিল, তাই চুপচাপ কয়টা দিন মেসেই কাটালাম। তারপর পাশের রুমের এক ভাই বাড়ি যাবেন, খুব জরুরি, তার টিউশনি টা দিয়ে গেলেন, ছাত্রর মা খুব ভালো মানুষ, তাই কোন কিছু না বলেই মেনে নিলেন, আমি ভাইয়ের সাইকেলে যাতায়াত করতাম, ঐ কয়দিনের মাইনে আমার পকেট খরচ, চাইলে নিয়েও নিতে পারি, কিন্তু আমার তো সাইকেল নেই ,বাসে ঝুলে এতদূর যাওয়া আসা, পুরাতন একটা সাইকেল ম্যানেজ করতে হবে, ভালোই চলছিল, এক রাতে পড়িয়ে ফিরছি, আমাদের মেস বেশ ভিতরে, গলির মাঝ বরাবর তার বাধা ছিল, আমি আটকে উল্টে পড়ে যাব সেটাই প্ল্যান, কিন্তু একটা বাচ্চা ঘটনা দেখে ফেলে আমার নাম ধরে চিৎকার করতে থাকে আমি থেমে চিৎকারের উৎস খুজতে উপরে তাকাই, জানালায় একটা চৌদ্দ বছরের বাচ্চা ছেলে, চার পাঁচজন মিলে আমাকে ফেলে দিয়ে বেধড়ক মারতে শুরু করে, ঐ পিচ্চি দেবদূত হয়ে আবার এগিয়ে আসে ৯৯৯ এ কল দেয়, সেই সাথে ওর চাচাকে জানায়, ওর চাচা এলাকার ছেলে পেলে নিয়ে এসে আমাকে বাঁচায়,পুলিশের গাড়িতেই হাসপাতালে নেয়া হয় আমাকে, আমার জ্ঞান ছিল না, পরে হাসপাতালে কি কি হয় আমার কাছে ঝাপসা, এই যে গালে কপালে দাগ দেখছেন এগুলো তারই চিহ্ন ,

হাসপাতালে জ্ঞান ফিরলে পুলিশ জেরা করল, আমি অন্ধকারে কাউকে দেখিনি, আমার চশমা ভেঙে পড়ে গেছে কোথাও, যাওয়ার আগে পুলিশ বলে গেল,

নিজেকে এত কাছে এসে মেরে যাওয়া লোক দেখেননি আর দূর থেকে কার গাড়িতে কে যায় খুব দেখেন! বলে হেসে চলে যায়, আমি খুব অবাক হই, আসফি মিসিং কেদ এই থানার কেস না, তবে? পুলিশ ও ওদের লোক?

আলম ভাই কার কাছ থেকে খবর পেয়েছেন জানিনা, এসে হাসপাতালে দেখে গেলেন আর বললেন,

•জীবন বাঁচাতে চাইলে গ্রামে ফিরে যাও।

•আপনি কি আমাকে হুমকি দিচ্ছেন?

•আমি তোমার ভালো চাই মিজান।

•আমিও এতদিন তাই ভাবতাম।

উনি আর কথা না বাড়িয়ে চলে যান, যা কিছু সঞ্চয় ছিল পানির মত চলে গেল, হাসপাতাল বিল আর ওষুধে, তাও দেখভালের মানুষ পেয়েছিলাম , ইট পাথরের এই শহরে সেটাই অনেক পাওয়া, যা আসফি পায়নি।

তিন দিন পর ছুটি পেলাম হাসপাতাল থেকে , হাত শুন্য একেবারে, খাওয়ার টাকাও নেই, বাবা কে ফোন করে দেখি কেউ রিসিভ করছেনা, বাড়ি থেকেও কোন ফোন আসেনি, এই তিন দিনে কেউ খোঁজ নেয়নি, ভেবেছিলাম ভালো হল, আমার খবর জানতে পারেনি,
আবার এমন না তো, কিছু লুকাতেই ফোন করেনি বাবা? দুলাভাইকে ফোন করতেই তিনি আমাকে অভয় দিলেন, মা আর মোহনা কে নিয়ে তিনি তার মামা বাড়ি রেখে এসেছেন , খুব ভেতরে, নদী পথ ছাড়া যাওয়া যায় না, সড়কপথ নেই,
এই ঠিকানা তেমন কেউ জানেনা। আমাদের আত্মীয় স্বজনদের জিজ্ঞেস করেও কেউ বের করতে পারবে না সহজে, আর সে তার পরিবার নিয়ে আপাতত তার অফিসের সিলেট ব্রাঞ্চের অফিস কোয়ার্টারে উঠেছে, আমাকে বিন্দু মাত্র তিরস্কার না করে তিনি আমাকে ঠিকানা টেক্সট করলেন, বললেন সোজা ওখানেই যেন যাই…..

সামনে রাখা গ্লাসের পানি এক ঢোকে শেষ করল মিজান। আমি বললাম, আজ থাক। সে ও মাথা ঝাকিয়ে উঠে চলে গেল। আমার মনে হচ্ছে মিজান তার পরিবারকে খুব মিস করছে, ও কে যদি পরিবারের আবহটা দিতে পারতাম! বেশ হত!

যেই ভাবা সেই কাজ,
তারিককে বললাম পুরো পরিবার কাল আমার বাসায় দুপুরে দাওয়াত,
পরদিন সকাল সকাল উঠলাম,
তারিক খুব ভালো করেই জানে আমি রান্না তেমন ভালো জানিনা, তাই সে নিজেই হাত লাগিয়েছে বৌয়ের সাথে, তৌফিক আর মিজান বাইরে, তাসলিমা মেয়েটাকে কোলে নিয়ে হাটছে,
তারা দুজন মিলে শুকনো পাতা তুলে বস্তায় ভরছে, আমি দেখলাম গাছের নিচটা ঝকঝকে তকতকে পরিস্কার, আমাকে দেখে হাসল মিজান, তৌফিক সালাম দিল।

•আমি বললাম, বাহ চমৎকার লাগছে দেখতে

•মিজান বলল, আরো চমৎকার লাগবে গাদা ফুলের চারা সারি দিয়ে লাগালে

•সে তো শীতের ফুল

•কি করা যাবে? শীতের শুরুতে তো আমি ছিলাম না!

•আমি হাসলাম, গাছ লাগিয়ে, আনন্দ পেলে, করুক

•আমি ভিতরে এলাম, সকালে তেমন কিছু খাওয়া হয়না

•তারিকের বৌ জোর করে চা আর পাউরুটি টোস্ট দিয়ে গেল

•আমি খাচ্ছি আর মনোযোগ দিয়ে ওদের কাজ দেখছি, আগে কখনো মনে হয়নি রান্নাটা শেখা উচিত! নিজেকে আবার তন্বী তরুণী মনে হচ্ছে।
রান্না শেষ করে, সবাই এক সাথে নামাজ পড়ে খেতে বসা হল, তারিকের বৌকে জোর করে বসিয়ে আমি বেড়ে দিচ্ছিলাম, মিজান খুব তৃপ্তি করে খাচ্ছে, আমার খুব ইচ্ছে করছে, সে আমার রান্না এভাবে খাক, তারিক যেভাবে তার স্ত্রীর দিকে প্রশংসার দৃষ্টিতে দেখছে, মিজান আমায় এভাবে দেখুক, আমি জানি সেটা অসম্ভব!

মিজান খুব খুশি, সে আজ ভাত ঘুম দেবে, তাই আমারও ছুটি, আমি একটা প্রেমের মুভি চালিয়ে বসলাম, নায়ক নায়িকা কাশ্মীরে স্কুল শিক্ষক, একে অপরকে না দেখেই অপরিসীম ভালোবাসা, আমি বাংলা, হিন্দি মুভি দেখিনা, কারণ প্রেম থেকে আমি নিজেকে শত হাত দূরে রেখেছি আজীবন, শিশির আমার প্রথম, শিশির আমার শেষ পুরুষ হোক সেটাই মনে প্রাণে চেয়েছি, লেখালেখির সুবাদে অনেক মানুষের সাথে পরিচয় ছিল, অনেকেই আগ্রহ দেখাত, কিন্তু নিজেকে কোনদিন সহজলভ্য করিনি, আজ কি হল আমার? মিজান আশরাফুন্নেসার কেস সলভের পর নিজের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবে, হয়তো ওর গ্রামে পছন্দের মানুষ আছে…..
নিজের সাথে নিজেই অদ্ভুত যুদ্ধে লিপ্ত হলাম। আলমারি থেকে আমার আর শিশিরের ছবি বের করে হু হু কেঁদে দিলাম। আমার রাইটার্স ব্লক গায়েব!
ঈদ, পূজা সব সংখ্যার লেখা শেষ করে, নতুন থ্রিলারে হাত দিতে গিয়ে মনে হল, মিজানের কাহিনি টাই হবে আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ থ্রিলার, এটা ফুটিয়ে তুলতে পারি কিনা…… পারব কি আশফির জন্য বিচার চাইতে? পারতেই হবে আমাকে।

(চলবে)

🚩🚩🚩পড়ে অবশ্যই আপনার মন্তব্য জানাবেন। আপনার মন্তব্য আমার লেখার অনুপ্রেরণা। 🚩🚩🚩

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here