#মেঘের_পরে_রংধনু
#পর্ব_৩৭
লিখা: Sidratul Muntaz
নাসির তাচ্ছিল্যের স্বরে বললো,” ধূর, এইটা কোনো রিজন হলো ব্রেকাপ করার? শুধু শুধু ঝগড়াটা করলি। আর এইখানে তো আমি অরিনের কোনো দোষই দেখছি না৷ তুই নকল বিয়ের নাটকটা না করলে তো এমন হতো না।”
ইলহান কোনো জবাব দিল না। নাসির বললো,
” দ্যাখ দোস্ত, যা ঘটার ছিল ঘটে গেছে। আর কিছু ঘটতে দিস না। এইবার অন্তত সব ঠিক করে ফেল। প্লিজ লাগে।”
” আমার রিলেশন নিয়ে তোর এতো মাথাব্যথা কেনো?”
” নিজে সুখী আছি তো। তাই আশেপাশের মানুষদেরও সুখী দেখতে ভাল্লাগে। তুই আমার সামনে দুঃখী দুঃখী চেহারা নিয়ে ঘুরবি এইটা কি আমার দেখতে ভাল্লাগবে বল?”
ইলহান ঠোঁট বাঁকা করে হাসলো। নাসির বললো,
” অরিনের সাথে ঝামেলাটা মিটিয়ে ফেল এবার। অরিনের কাছে যা, ওকে বোঝা। এতোদিন পেছনে ঘুরতে পেরেছিস আর এখন তো শুধু একটা স্যরি বলার বিষয়। এইটা পারবি না?”
ইলহানের মোবাইলের স্ক্রিনে অ্যাংকারের ছবিটা ভাসছে। ইলহান সেদিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে বললো,
” তুই বললেও আমি ওর কাছে যাবো, না বললেও যাবো। ওর কাছে তো আমাকে যেতেই হবে।”
নাসির খুশি হয়ে বললো,” ভেরি গুড। যা মামা যা। বেশি দেরি করিস না কিন্তু।”
অরিন বিমর্ষ মুখে নৌশিনের কাছে সমস্ত ঘটনার বর্ণনা দিল। নৌশিন জীভে কামড় দিয়ে মাথায় হাত রেখে বললো,
” ছি, ছি, আমি তো ভাবতেই পারছি না। ভাইয়া এমন কাজ কিভাবে করলো?”
অরিন হাঁটুতে মুখ গুঁজে হাউমাউ করে কেঁদে ফেললো। নিঃশ্বাস আটকে আসার মতো বললো,
” আমার খুব কষ্ট হচ্ছে নৌশিন। আমি সহ্য করতে পারছি না। একটা মানুষ এতো অভিনয় কিভাবে জানে? সে সবকিছু করেছে শুধু আমাকে ভোগ করার জন্য? ওর জন্য অ্যাংকারকে আমি অবিশ্বাস করেছিলাম। এখন ভীষণ আফসোস হচ্ছে। অ্যাংকারের সামনে দাঁড়ানোর মুখও আমার নেই।”
” কাঁদিস না অরিন। তোর এই কথা আন্টি-আঙ্কেলকে জানানো উচিৎ না? ওরা যদি তোকে জোর করে ইলহান ভাইয়ার সাথে বিয়ে দিয়ে দেয় তুই কি করবি?”
” এটা অসম্ভব। ও আমাকে জীবনেও বিয়ে করবে না নৌশিন। দ্যাখ, পাঁচদিন কেটে গেল। আজ অবধি একটা ফোন পর্যন্ত দেয়নি। কালরাতে শুধু একবার হোয়াটসঅ্যাপে মিসডকল দিয়েছিল। আমি অনলাইনে ছিলাম না তাই ধরতে পারিনি। নাহলে ওর ফোনের জন্য তো আমি চাতকপাখির মতো অপেক্ষা করছি। একবার যদি ও বলতো, সবকিছু ভুল ছিল। ও শুধু আমাকেই ভালোবাসে, আমি মনে হয় গলে যেতাম। কিন্তু এটা কখনও হওয়ার নয়। এতো জঘন্য কাজ করার পরেও ও আমাকে একটা স্যরি পর্যন্ত বলেনি। এখন কি মনে হচ্ছে জানিস? ওকে আমি ছোট খালামণির বাসায় নিয়ে বিরাট ভুল করেছি। ওরা যখন জানবে ইলহানের সাথে আমার বিয়ে হয়নি তখন কি ভাববে বলতো?”
অরিন এতোবেশি কাঁদছে যে কান্নায় ওর মুখ দিয়ে কথাও বের হচ্ছে না। নৌশিন ওর পিঠে হাত বুলাতে বুলাতে বললো,
” কিছু হবে না। ছোটফুপি কাউকে কিছু বলবে না। তিনি তোকে অনেক ভালোবাসে না? তিনি বিষয়টা বুঝবেন। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে সবাইকে এই বিষয়টা বলে দেওয়া উচিৎ। ইলহান ভাইয়ের একটা শিক্ষা অবশ্যই হওয়া উচিৎ। এতোবড় সাহস তার। সবাই তো তাকে ফেরেশতা ভাবছে। তুই কেনো কাউকে কিছু বলছিস না?”
” লজ্জায় বলতে পারছি না। এইখানে তো আমারও দোষ আছে। আমি কেনো লুকিয়ে বিয়ে করতে গেছি? আর মা যদি জানে আমি ইলহানকে নিয়ে ছোটখালার বাসায় গিয়েছিলাম তাহলে খুন করে ফেলবে আমাকে।”
নৌশিন এইবার চুপ করে রইল। একটু পর বললো,
” তুই বলতে ভয় পেলে আমাকে বল। আমি সবাইকে বুঝিয়ে বলবো৷ তাও আমার মনে হয় এইটা সবাইকে জানানো উচিৎ। ”
” আমি এতোবড় একটা শক থেকে স্বাভাবিক হতে পারছি না নৌশিন। আগে আমি নিজে স্বাভাবিক হই, মনকে স্থির করি। তারপর সবাইকে আস্তে-ধীরে জানাবো। এখন আমার এইসব নিয়ে ঘাটতে একদম ভালো লাগছে না।”
” ঠিকাছে, তুই সময় নে।”
অরিন পরিবারকে তার সাথে ঘটে যাওয়া ভয়ানক সর্বনাশের কথাটি জানানোর জন্য সময় চেয়েছিল। নিজের মনের গাঢ় ক্ষতটা ম্লান হওয়ার অপেক্ষা করছিল। কিন্তু বেশিদিন সে সময় পেল না। তার আগেই আরেকটা ঘটনা ঘটলো। একদিন সন্ধ্যায় অরিন ঘুম থেকে উঠে দেখলো পুরো বাড়ি অন্ধকার। ইদানীং অরিনের ঘুম, খাওয়া-দাওয়ার কোনো ঠিক নেই। যখন যেটা খুশি করে ফেলে। যেখানে সেখানে ঘুমিয়ে পড়ে। আজকে অরিন ঘুমিয়ে ছিল অর্ণভের ঘরে। অর্ণভের বাড়ি ফেরা নিষেধ। একদিন সে বাড়িতে ঢুকেছিল বলে ফয়সাল সাহেব প্রচন্ড রাগারাগি করেছেন। তারপর অর্ণভ নিজের যাবতীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে বাড়ি থেকে একেবারে বের হয়ে যায়। অর্ণভ চলে যাওয়ার পর অরিন আরও ভেঙে পড়েছে। জীবনের এই কঠিন সময়টাতে বড়ভাইয়ের সমর্থন তার প্রয়োজন ছিল। অরিন ঘুম ভেঙে ড্রয়িং রুমে এসে দাঁড়ালো। তার অদ্ভুত লাগছে সবকিছু। বাসায় কি কেউ নেই? পুরো বাড়ি এতো অন্ধকার কেনো হয়ে আছে? অরিনের হাত-পা কাঁপতে লাগলো। মনে হচ্ছে এখনি সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলবে। কয়েক সেকেন্ডর মধ্যে পুরো ড্রয়িংরুম আলোকিত হয়ে উঠলো। মায়ের হাতে বিশাল চকলেট কেক আর নৌশিনের হাতে পায়েসের বাটি। দু’জনই হাসিমুখে হ্যাপি বার্থডে অরিন বলতে বলতে এগিয়ে এলো। মা অরিনের কপালে চুমু দিলেন আর নৌশিন অরিনকে জড়িয়ে ধরলো। পায়েসের বাটি থেকে এক চামচ পায়েস খাইয়ে দিল। মা বললেন,
” এইবার কেক কাট।”
অরিন আবেগে আপ্লুত হয়ে গেল। খুব আনন্দ নিয়ে বললো,” তোমাদের আমার জন্মদিনের কথা মনে ছিল?”
নৌশিন বা হালিমা কেউই জবাব দিলেন না। একে-অপরের দিকে চেয়ে হাসলেন। নৌশিন বললো,
” পেছনে দেখ।”
অরিন পেছনে চেয়ে দেখলো ফুল, বেলুন দিয়ে খুব সুন্দরভাবে চারদিক অলংকরণ করা হয়েছে। লাল-নীল আলো জ্বালানো হয়েছে। বাড়িতে উৎসবের আমেজ ভর করেছে। মাঝখানে একটা ছোট্ট টেবিল রাখা হয়েছে। সেই টেবিলে অনেক গিফট। হালিমা সেই টেবিলে কেকটা রাখলেন। অরিন চিৎকার দিয়ে বললো,
” তোমরা এইসব কখন করলে?”
হালিমা খুব জোরে হেসে দিলেন। নৌশিন বললো,” সব জানবি। আগে কেক কাট।”
অরিনের খুব কান্না পাচ্ছে। ভাইয়া যদি এইসময় এখানে থাকতো, কতই না ভালো হতো। ভাইয়াই তো সবসময় অরিনের জন্মদিন নিয়ে সবচেয়ে বেশি মাতামাতি করে। এইবার ভাইয়া নেই তাই অরিন ভেবেছিল তার জন্মদিনের কথা কারো মনেও থাকবে না। কিন্তু মা মনে রেখেছে দেখে খুব ভালো লাগছে। অরিন মাকে জড়িয়ে ধরে বললো,
” মা, আই লভ ইউ।”
হালিমা বললেন,” হয়েছে, হয়েছে, এইবার কেক কাট। ছবি তুলবো না?”
অরিন বুঝতে পারছে না কেক কাটার জন্য সবার কেনো এতো তাড়াহুড়ো। সে কেক কাটতে গিয়ে এইবার রহস্য বুঝতে পারলো। চকলেট কেকের মধ্যে সাদা চকলেট দিয়ে ইংরেজি অক্ষরে লেখা, ” Happy Birthday, Maya Pori. ”
তারপর একটু নিচে আরও সুন্দর করে লেখা,”Will u marry me?”
অরিন অবাক হয়ে নৌশিন আর হালিমার দিকে তাকালো। ভ্রু কুঞ্চিত করে বললো,
” এসব কি?”
হালিমা বললেন,” ইলহানই তো সব ব্যবস্থা করেছে। আমার তো তোর জন্মদিনের কথা মনেই ছিল না। ও এসে না বললে জানতামই না। তোদের মধ্যে নাকি ঝগড়া হয়েছে? এজন্য ও এসেছে স্যরি বলতে। আর দ্যাখ, তোর মান ভাঙানোর জন্য কতকিছু নিয়ে এসেছে।”
হালিমার কথা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই ইলহান রান্নাঘর থেকে বের হয়ে এলো। অরিনের সামনে দাঁড়িয়ে নিচু গলায় কান ধরে বললো,
” স্যরি।”
হালিমা হেসে ফেললেন। অরিনের কাঁধে হাত রেখে বললেন,” দেখেছিস? একেই বলে ভালোবাসা।”
অরিন রাগে গজগজ করে উঠলো। ওর হাতে যেই ছুড়িটা ছিল সেটা শক্তভাবে কেকের মধ্যে ডুবিয়ে রাগ প্রকাশ করলো। কেক ফেটে একটা ছোট্ট ডায়মন্ড রিং বেরিয়ে এলো। ভেতরে একটা বড় চকলেট বার ছিল। যার মধ্যে খুব সুন্দরভাবে খোদাই করে লেখা ছিল, ” ও আমার প্রিয়তমা, তুমি আমার কাছে সবচেয়ে সেরা। শুধু ক্ষমা করো একবার, ভালোবাসবো হাজারবার।” অরিনের দুম করে ছুড়ি বসানোর কারণে লেখাটা অনেকটুক ফেটে গেছে। ফেটে গেছে ইলহানের মনটাও। অরিন এসব কিছুই খেয়াল করলো না। সে হনহন করে নিজের রুমে চলে গেল। হালিমা অপ্রস্তুত হয়ে বললেন,
” আরে, আরে, এইটা কি হলো অরিন?”
নৌশিন দ্রুত গিয়ে অরিনের হাত ধরে বললো,” প্লিজ অরিন। মাফ করে দে। আমার মনে হয় ভাইয়া সত্যি অনুতপ্ত।”
অরিন অবাক না হয়ে পারলো না। চোখ সরু করে বললো, “তুই এই কথা বলতে পারলি? মা না হয় জানে না। কিন্তু তুই তো সব জানিস। তাও ওর মিষ্টি কথায় ভুলে গেলি? আজ থেকে আমার সাথে কোনো কথা বলবি না।”
অরিন ঠাস করে দরজা আটকে দিল। ইলহান হতাশ হয়ে সোফায় বসে পড়লো। হালিমা বললেন,
” তুমি কিছু মনে করো না। বাপের মতো হয়েছে। রগচটা। ওর ভাইটাও এমন।”
ইলহান হাসার চেষ্টা করে বললো,” ইটস ওকে আন্টি।”
হালিমা মলিন মুখে বললেন,” রাতে খেয়ে যাবে কিন্তু।”
ইলহান ঠোঁট টিপে মনখারাপের ভঙ্গি করে হতাশের মতো বললো,” না আন্টি।”
” কেনো?”
এরই মাঝে কলিংবেল বাজলো। নৌশিন অরিনের ঘরের দরজা ধাক্কাচ্ছে। ওকে একবার দরজা খুলতে অনুরোধ করছে। হালিমা তাই নিজে গেলেন মেইন দরজা খুলতে। নিশিতা এসেছে। হালিমা নিশিতাকে দেখে চমকে গেলেন। ভ্রু কুচকে বললেন,
” কিরে তুই?”
নিশিতা মায়াবী মুখ করে বললো,” আসতে পারি না? তোমাদের ঝগড়া হয়েছে মা-বাবার সাথে। আমার সাথে তো হয়নি। তাহলে আমি কেনো শাস্তি পাবো? আজকে অরিনের জন্মদিন ছিল। তাই আমি ওর জন্য কতকিছু কিনে এনেছি দেখো। ওকে সারপ্রাইজ দিবো।”
হালিমা স্নেহের হাসি দিয়ে বললেন,” ভেতরে আয় মা। কিন্তু এখন আর সারপ্রাইজের প্রয়োজন নেই। আমরা অলরেডি ওকে সারপ্রাইজ দিয়ে ফেলেছি।”
” তাই নাকি? কখন করলে এইসব? আমাকে জানালে না কেনো?”
” আমি কিছুই করিনি। সব ইলহানের কাজ।”
” ইলহান কে?”
” অরিনের যে ছেলেটির সাথে বিয়ে হওয়ার কথা, সে।”
” ও, হ্যাঁ মনে পড়েছে। সে কি আছে নাকি? কোথায়?”
” ওইতো, সোফায় বসে আছে। যা দেখা কর। আমি তোদের জন্য পায়েস নিয়ে আসছি।”
নিশিতা হাসি-খুশি ভাব নিয়ে ইলহানের সামনে গেল। ইলহান মাথা নিচু করে ছিল৷ নিশিতা হাত বাড়িয়ে বললো,
” হ্যালো।”
ইলহান মাথা তুলে তাকাতেই নিশিতা নিজের শিরদাঁড়ায় ভয়ংকর এক ব্যথা অনুভব করলো। ওর চোখ দু’টো স্থির হয়ে গেল। মুখের শব্দ বন্ধ হয়ে গেল। হাত-পা নড়াচড়া করার ক্ষমতাও হারিয়ে গেল। ইলহান হেসে বললো,
” হাই, আমি ইলহান মাহদী।”
নিশিতার বাড়িয়ে দেওয়া হাতটা চেপে ধরলো ইলহান। নিশিতা কাঁপতে লাগলো। ইলহান ইচ্ছে করেই খুব জোরে চাপ দিয়ে রাখলো হাতে। নিশিতা হাতও ছাড়াতে পারছে না আবার মুখে কথাও বলতে পারছে না। কি ভয়ংকর ব্যাপার! নিশিতা হাত ছাড়ানোর প্রাণপণ চেষ্টা করতে লাগলো। আর ইলহান জোর করে হাতটা ধরে রাখলো। হালিমাকে আসতে দেখেই ইলহান হাত ছেড়ে সোজা হয়ে দাঁড়ালো। হালিমা ইলহানকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
” তুমি মনে হয় ওকে আগে দেখোনি তাই না? ও অরিনের খালাতো বোন। আমার বড়আপার মেয়ে।”
ইলহান এইবার হাসি দিয়ে বললো,
” ভালো আছেন আপু?”
নিশিতা টলমল চোখে নিজের হাতের দিকে তাকালো। হাতটা কেমন লাল হয়ে গেছে! আর কি ব্যথা! নিশিতার এখনি বলতে ইচ্ছে করলো,
” এই ছেলের সাথে অরিনের বিয়ে হতে দিও না খালা! কক্ষনও দিও না।”
হালিমা বললেন,” বসো তোমরা। পায়েস খাও।”
তারপর হালিমা ইলহানের কাঁধে হাত রেখে বললেন,
” বসো। অরিন আর কতক্ষণ রাগ করে থাকবে? একটু পর ঠিকই বেরিয়ে আসবে।”
ইলহানের ফোন চলে আসলো। সে তাড়াহুড়ো করে বললো,
” আন্টি, আমার এখন খুব জরুরী একটা জায়গায় যেতে হবে। আমি আরেকদিন আসবো। এখন যাই।”
হালিমার খুব মনখারাপ হলো। কিন্তু তিনি ইলহানকে বিদায় দিলেন। ইলহান বাসা থেকে বের হয়েই ফোন রিসিভ করলো। ওই পাশ থেকে শ্যানিন বললো,
” ভাইয়া, কোথায় তুই? আজ তোর জন্মদিন ছিল ভুলে গেছিস? মা কি সুন্দর চকলেট কেক বানিয়েছে। তুই আসবি না?”
ইলহান হাঁটতে হাঁটতে বললো,” আমার কিছু ভালো লাগছে না শ্যান। পরে কথা বলবো।”
ইলহান ফোন কেটে দিল। তার জীবনের সমস্ত সেলিব্রেশন ততদিন বন্ধ থাকবে যতদিন না সে অরিনকে পুনরায় নিজের করে পাচ্ছে।
নৌশিন দরজায় টোকা দিয়েই চলেছে। এবার নিশিতাও দরজা ধাক্কাতে আসলো। অরিনকে ডাকতে লাগলো। অরিন মেঝেতে হাঁটু গেঁড়ে বসে শুধু কাঁদছে। আজ অনেকদিন পর আবারও রায়হানের কথা খুব বেশি মনে পড়ছে। অরিন রায়হানকে প্রচন্ড মিস করছে। কারণ তার আর রায়হানের জন্মদিন একই দিনে ছিল।
চলবে