মেঘের পরে রংধনু পর্ব-৩৮

0
2007

#মেঘের_পরে_রংধনু
#পর্ব_৩৮
লিখা: Sidratul Muntaz

অনেক সময় অতিবাহিত হলো। কিন্তু অরিন দরজা খুললো না। নিশিতা ও নৌশিন ক্লান্ত এবং ক্ষীপ্ত হয়ে সোফায় বসে রইল। এবার হালিমা এসে দরজা ধাক্কালেন। একটু পর অরিন দরজা খুললো। কান্নাকাটি করে চোখ ফুলিয়ে রেখেছে সে। হালিমা নিশিতা আর নৌশিনকে উদ্দেশ্যে করে বললেন,
” দোর খুলেছে নবাবজাদী। এবার তোরা একটু দ্যাখ। ওকে বুঝাতে পারিস কি না৷ পারলে তোদের থেকে একটু সুবুদ্ধি দান কর।”
হালিমা চলে গেলেন। নৌশিন আর নিশিতা দৌড়ে এলো। অরিন আশেপাশে তাকাচ্ছে। নৌশিন হাত ভাজ করে বললো,
” নেই, নেই। চলে গেছে। এবার কি আমরা ঢুকতে পারি তোর ঘরে?”
অরিন মাথা নিচু করে নিশিতা আর নৌশিনকে জায়গা দিল ঘরে প্রবেশ করার জন্য। নিশিতা বললো,
” এইবার আমাকে একটু বলতো তোরা, প্রবলেমটা কি?”
নৌশিন অরিনের দিকে চেয়ে বললো,” বলবো?”
অরিন মাথা নেড়ে নিষেধ করলো। নিশিতা আপু এখন এইসব জানতে পারলে সবার আগে অরিনকে থাপড়াবে। নৌশিন চুপ করে গেল। নিশিতা ওকে খোচা মেরে বললো,
” এই, ও নিষেধ করবে দেখে কি তুইও মুখে কুলুপ এঁটে থাকবি? সত্যি করে বল কি হয়েছে? নয়তো দুটোই মার খাবি।”
নৌশিন পরিস্থিতি সামলানোর জন্য উপস্থিত একটা জবাব তৈরী করে বললো,” আরে তেমন কিছু না। ইলহান ভাইয়ার সাথে ওর ঝগড়া হয়েছে। সেজন্য আজ ইলহান ভাইয়া ওর জন্য সারপ্রাইজ পার্টির প্ল্যান করেছে। কেকের মধ্যে করে ডায়মন্ড রিং এনেছে। দেখো, সুন্দর না?”
নৌশিন তার কূর্তির পকেট থেকে রিংটা বের করলো। যখন এই রিংটা পড়ে গেছিল সে তুলে নিয়েছিল। নিশিতা রিংটা আঙুলে পরে বললো,
” ওয়াও, সুন্দর তো। চয়েজ ভালো আছে। আচ্ছা, ঝগড়া কি নিয়ে হয়েছে?”
নৌশিন অরিনের দিকে তাকালো। অরিন জানালায় দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললো, “তেমন কিছু না। আমার ওকে পছন্দ হয়নি৷ তাই বিয়ে করবো না।”
নিশিতা বললো,” একদম সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিস। এতো সুন্দর ছেলে বিয়ে করার প্রশ্নই আসে না। এইরকম ছেলেদের চরিত্র সবসময় ডাউন মার্কেট হয়। শোন অরিন, তোর জন্য ভালো পাত্রের অভাব হবে না। আর তোর না একটা বয়ফ্রেন্ড ছিল রায়হান নামের? ওইটা এখন কোথায়? বিয়ে করলে ওইটাকে কর।”
অরিন কিছুটা সন্দেহ নিয়ে নিশিতার দিকে তাকালো। নিশিতা হঠাৎ ইলহানের বিরুদ্ধে কথা বলছে কেনো? সে নিজে ইলহানকে পছন্দ করেছিল এজন্য নয় তো? নৌশিন বিরোধিতা করে বললো,” ওমা কেনো? ইলহান ভাইয়া খারাপ কোথায়? সে তো অরিনকে অনেক ভালোবাসে৷ তুমি জানো সে অরিনের জন্য এই পর্যন্ত কি কি করেছে? তার পাগলামির ইতিহাস তো কিছুই জানো না তুমি। আর রায়হানের কথা বলছো? ওই বেটা তো আস্তো ধাপ্পাবাজ। ফেইক আইডি থেকে প্রেম করতো অরিনের সাথে। দেখতে শুনতেও ভালো ছিল না। গোবর-গণেশ টাইপ চেহারা। কিছুদিন পর তার বিয়ের ছবি অরিনকে পাঠিয়ে ব্লক মেরে দিল। তখন আবার অরিন শ্যানিনের কাজিনের বিয়ে খেতে চট্টগ্রাম যাচ্ছিল। সেইখানে এই অবস্থা। ও তো কষ্টে ট্রেন থেকেই ঝাঁপ দিতে নিয়েছিল। ইলহান ভাইয়া না বাঁচালে..”
অরিন সঙ্গে সঙ্গে ডাকলো,” নৌশিন!”
নৌশিন জীভ কাটলো।
” স্যরি, মুখ ফশকে বেরিয়ে গেছে।”
নিশিতা চোখ-মুখ কুচকে বললো,” তুই সুইসাইড করার ট্রাই করেছিলি অরিন? দাঁড়া আমি এখনি খালাকে বলছি।”
নিশিতা বের হয়ে গেল। নৌশিন নিশিতাকে থামাতে ওর পেছনে যেতে নিচ্ছিল। অরিন তখন বললো,
” বাদ দে নৌশিন। ভালো লাগছে না। যার যেটা ইচ্ছা করুক।”
নৌশিন এইবার অরিনের কাছে এসে বললো,” প্লিজ মাফ করে দে না অরিন। ইলহান ভাইয়াকে আমার ভালো মানুষ মনে হচ্ছে। আর ভুল তো মানুষেরই হয়। তিনি না হয় একটা ভুল করেই ফেলেছেন। তাই বলে তুই এইভাবে তাকে শাস্তি দিবি?”
অরিন প্রসঙ্গ বদলে ফেললো।
” জানিস নৌশিন, আজকে রায়হানেরও বার্থডে।”
নৌশিন হালকাভাবে অরিনের গালে একটা চড় দিল। ধমক মেরে বললো,
” তুই কি হ্যাঁ? যে মানুষটা তোর বার্থডে সেলিব্রেশনের জন্য এতো আয়োজন করলো তুই তার কথা চিন্তা না করে এমন একজনের কথা চিন্তা করছিস যে তোকে এক বছর আগে নিজের বিয়ের ছবি পাঠিয়ে ছ্যাঁকা দিয়ে ব্লক মেরেছিল?”
অরিন ছলছল দৃষ্টিতে বললো,” রায়হান কখনও আমাকে কষ্ট দিতে পারে না নৌশিন। আমি ওকে চিনি। আমি নিশ্চিত ওই বিয়ের ছবিটা ওর ছিল না। হয়তো ওটা কোনো পরিকল্পনা ছিল। যাতে আমি ওর থেকে দূরে সরে যাই। ওর নিশ্চয়ই আমার সামনে দাঁড়াতে কোনো কঠিন দ্বিধা ছিল। নাহলে হঠাৎ করে ও কেনো এতো বদলে যাবে? যে মানুষটা একসময় আমার সাথে কথা না বলে থাকতেই পারতো না সে হঠাৎ করে আমাকে কেনো এতো কষ্ট দিবে? কি অপরাধ আমার?”
” তার মানে তুই বলতে চাইছিস রায়হান নামের যেই ছেলেটির ছবি তোর কাছে আছে সে রায়হান নয়?”
” হতেই পারে এটা রায়হানের ছবি না। কারণ রায়হানের আইডিটা ফেইক ছিল। কোনো রিয়েল ইনফরমেশন ছিল না ওই আইডিতে। ”
” যার আইডি ফেইক তার ভালোবাসা কি করে রিয়েল হয়? প্লিজ অরিন তুই এই রায়হানের ভূত মাথা থেকে বের কর। ইলহান ভাইয়ার কথা চিন্তা কর। উনি তোর জন্য সব করতে পারে। আজকে তুই যখন ঠাস করে উনার মুখের উপর দরজাটা বন্ধ করে দিলি তখন তার চেহারা দেখে আমার যে কি খারাপ লেগেছে আমি তোকে বুঝাতে পারবো না। আই থিংক হি রিয়েলি লভস ইউ।”
” হুম। এজন্যই তো নকল বিয়ের নাটক সাজিয়ে বিছানায় নিয়ে গেছিল।”
” উফফ, বার-বার এক কথা বলা বন্ধ করবি তুই? একটা মানুষের কি ভুল হতে পারে না? তুই উনার ভালো দিকগুলো ফোকাস না করে শুধু একটা অন্যায় নিয়েই পড়ে আছিস। আচ্ছা তুই আমাকে একটা কথা বল, ইলহান ভাই যদি আসলেই তোকে ভালো না বাসতো তাহলে ছোটফুপির বাড়িতে যখন তোর জ্বর এলো তখন ইলহান ভাইয়া কি করেছিল? সে কি তোকে জোর করে কিছু করেছে? উনি কিন্তু তোকে একটুও কষ্ট দেয়নি। বরং সারারাত জেগে তোর সেবা করেছে তাই না? তুই নিজেই তো বলেছিস। উনার উদ্দেশ্য খারাপ থাকলে কি উনি এসব কখনো করতেন?আর তোর জন্য উনার কতবড় একটা এক্সিডেন্ট হয়েছে কয়দিন আগে ভুলে গেছিস? ছেলেগুলো তোকে টিস করেছিল বলে ইলহান ভাইয়া কতবড় একটা লাইফ রিস্ক নিয়ে ফেললেন৷ সবকিছু তোর জন্য করেছেন। তোর জন্য ডেলিভারিম্যানের চাকরি পর্যন্ত করেছেন। যেনো তোকে বিয়ে করতে পারে। তুই এতোকিছু না দেখে শুধু নকল বিয়ের ব্যাপারটা নিয়েই পড়ে থাকবি? একটা সেকেন্ড চান্স কি উনাকে দিবি না?”
অরিন অনেকক্ষণ চুপ মেরে থেকে বিরক্ত হয়ে গেল। এরপর নৌশিনকে ধাক্কিয়ে ঘর থেকে বের করে দিতে দিতে বললো,
” প্লিজ যা তো এখান থেকে। আমার কিছু ভালো লাগছে না। এইসব কথা বলার হলে তুই আর কখনও আমার সামনে আসবি না।”
নৌশিন নিজে আরও দ্বিগুণ বিরক্ত হলো। অরিন প্রচন্ড ঘাড়ত্যাড়া। ওকে কিছু বুঝিয়ে লাভ নেই। অরিন নৌশিনকে বের করে ঘরের দরজা বন্ধ করলো। তারপর আবার জানালার সামনে এসে বসলো। অ্যাংকার আবার ফোন করেছে। অরিন এখন অ্যাংকারের ফোন কিছুতেই ধরবে না। কারণ অ্যাংকারের সাথে কথা বলার মুখ তার নেই। সে ইলহানের জন্য অ্যাংকারকে অবিশ্বাস করেছিল ভাবতেই লজ্জা লাগছে। অন্যসময় হলে অরিন ইলহানকে এতোবড় অপরাধের জন্য খুন করে ফেলতো। কিন্তু এখন সে এটা চাইলেও পারবে না। কারণ সে নিজেই ইলহানের মায়া থেকে বের হতে পারছে না।

অরিন ইদানীং মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া শুরু করেছে। সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এখন থেকে আর কিছু নিয়ে ভাববে না। শুধু লেখাপড়া করবে। ইলহানকে ভোলার জন্য তাকে কোনো না কোনো বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকতেই হবে। ইলহান যাতে তার বাড়ি না আসতে পারে সেজন্য অরিন কড়া নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। মাকে বলেছে ইলহানকে আর কখনও বাসায় ঢুকতে দিলে সে নিজেই বাসা থেকে বেরিয়ে যাবে। প্রয়োজনে অর্ণভের কাছে গিয়ে থাকবে। ইলহান এই কথার পর আর বাসায় আসেনি। কিন্তু অরিন বাসা থেকে বের হলেই সে ফলো করে। অরিন যেখানেই যায় ইলহান তার পিছু পিছু আসে। এজন্য একবার অরিন রাস্তার মধ্যেই তাকে চড় মেরেছিল। তারপর ইলহান ফলো করা কমিয়ে দিয়েছে। কিন্তু পুরোপুরি পিছু ছাড়েনি। অরিন ইলহানের ফোন ধরা থেকেও বিরত থাকছে। দিনে অগণিত ম্যাসেজ পাঠিয়ে ইলহান অরিনের ইনবক্স ভর্তি করে ফেলছে। কিন্তু অরিন সবকিছু ইগনোর করছে। এখন অরিন নিয়মিত ভার্সিটি যাওয়া শুরু করেছে। আগে সে মাসে একবার ভার্সিটি যেতো৷ এখন ইচ্ছে করেই নিয়মিত যায়। বাসায় বসে থাকলে শুধু ইলহানের কথা মনে হয়, কান্না আসে। কষ্টে বুক ভার হয়ে থাকে। অরিন এতো কষ্ট সহ্য করতে পারছে না। ভার্সিটি থেকে ফেরার পথে একদিন একটা ঘটনা হলো। অনেক দূর থেকে অরিন দেখলো কমলা রঙের জ্যাকেট পড়ে ইলহান সিপি ফাইভস্টারের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। অরিন নিশ্চিত ইলহান এখানে তার জন্যই অপেক্ষা করছে। এখন সে এই রাস্তা দিয়ে গেলেই ইলহান তাকে ফলো করবে। তাই অরিন দাঁড়িয়ে রইল। যতক্ষণ না ইলহান ওই জায়গা থেকে সরবে, অরিন এক পাও এগুবে না। হঠাৎ একটা ময়লা কাপড়-চোপড় পরা বাচ্চা ছেলে ইলহানের কাছে ভিক্ষা চাইতে আসলো। সে সারাদিন কিছু খায়নি বলে অসহায়ত্ব প্রকাশ করলো। অরিনের আগ্রহ জন্মালো দেখার জন্য যে ইলহান বাচ্চাটার সাথে কেমন ব্যবহার করে। তারপর অরিন যেটা দেখলো, তাতে কিঞ্চিৎ অবাকই হলো। ইলহান বাচ্চাটার হাতে টাকা দেয়নি। কিন্তু সিপি ফাইভস্টার থেকে তাকে সসেজ কিনে দিয়েছে। এইটা দেখে আরও কিছু বাচ্চা এসে ভীড় জমালো। তারাও একইভাবে ভিক্ষা চাইতে লাগলো। ইলহান সবাইকে দোকানে বসালো। তারপর দোকানদারকে তার ওয়ালেট দিয়ে বললো, সবগুলো বাচ্চাকে লাঞ্চ করিয়ে দিতে। এইটুকু পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। খুব বড় বিষয় না এটা। কিন্তু অরিন বেশি অবাক হলো যখন দেখলো প্রত্যেকটা বাচ্চাকেই ইলহান একে একে জড়িয়ে ধরে চুমু খাচ্ছে এবং নিজেও ওদের থেকে চুমু নিচ্ছে। তাদের সাথে সেলফিও তুললো। পথের শিশুদের টাকা দিয়ে সাহায্য করতে সবাই পারে। কিন্তু নির্দ্বিধায় তাদের আদর করতে কয়জন পারে? অরিনের খুব ভালো লাগলো। আচ্ছা, ইলহান যে বাচ্চাদের সাথে ছবি তুলেছে সেই ছবিটা কি সে ফেসবুকে আপ্লোড করবে? ইলহানের টাইমলাইনে নজর রাখতে হবে। যদি ইলহান সত্যিই ফেসবুকে আপ্লোড করে তাহলে বুঝতে হবে সব নাটক। আর যদি না করে তাহলে ঠিকাছে। অরিন এইসব চিন্তা করতে করতে একটা রিকশা নিল। ইলহান তখনি ফাইভস্টার থেকে বের হচ্ছিল। অরিনকে দেখে ফেললো। আর দেখেই হাত ইশারা করে ডাকলো,
” অরিন দাঁড়াও।”
অরিন রিকশাওয়ালাকে চোখ রাঙিয়ে বললো,” মামা যান তো, একদম থামবেন না।”
রিকশাওয়ালা চলে গেল। অরিন পেছন ফিরেও একবার দেখলো না। সে জানে ইলহানের কাছে এখন টাকা নেই। সে তার ওয়ালেট ফাইভস্টারের দোকানদারকে দিয়ে দিয়েছে। এখন সে রিকশা নিয়েও অরিনকে ফলো করতে পারবে না। এজন্যই অরিন রিকশা নিয়ে ইলহানের সামনে দিয়েই চলে এসেছে। নয়তো সে আরও কিছুক্ষণ লুকিয়ে থাকতো। রাতে অরিন ইলহানের টাইমলাইন চেক করলো। সে কোনো ছবি আপ্লোড করেনি। তাহলে ছবি তুলেছিল কেন? শুধুই কি বাচ্চাদের খুশি করার জন্য? না, ইলহানের মন এতো পরিষ্কার হতেই পারে না। অরিন নিজের ভাবনাগুলো জোর করে মাথা থেকে তাড়িয়ে দিল। সে আর ইলহান নামক মায়াজালে আটকাতে চায় না। পরদিন অরিন ভার্সিটি গিয়ে একটা অদ্ভুত বিষয় জানতে পারলো। সে সচরাচর পেছনের গেইট দিয়ে ভার্সিটিতে প্রবেশ করে। আজকেও তাই করেছিল। ক্যাম্পাসে ঢুকেই অরিন সবাইকে বলা-বলি করতে শুনলো, বিদেশী টাইপ দেখতে একটা অত্যাধিক সুন্দর ছেলে তার গার্লফ্রেন্ডের রাগ ভাঙানোর জন্য ভার্সিটির মেইন গেইটে আন্দোলন শুরু করেছে। আন্দোলনের মূল স্লোগান হলো,” যদি না দাও ক্ষমা করে, আজ যাবো না ঘরে ফিরে।”
অরিনের প্রথমে খটকা লাগলো। এরপর মারিয়া এসে বললো,” অরিন, ইলহান ভাইয়া এসব কি শুরু করেছে? পোস্টার-টোস্টার টানিয়ে একদম রাস্তাঘাট ভরিয়ে ফেলেছে। রাস্তার মাঝখানে সাইনবোর্ড নিয়ে বসে আছে। প্রত্যেকটা সাইনবোর্ডে তোর নাম লেখা। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এইসব কি? ইলহান ভাই তখন বললেন তোকে ডেকে আনতে।”
অরিন রাগে কাঁপতে লাগলো। মারিয়ার হাত ধরে হিংস্র কণ্ঠে বললো,” কতবড় ফাজিল দেখেছিস?চলতো, গিয়ে একটা থাপ্পড় মেরে আসি।”

চলবে

( আপনাদের কি মনে হয় গাইজ? ইলহানকে ক্ষমা করা উচিৎ নাকি না?😴
সবাই মতামত জানিয়ে যাবেন।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here