মেঘে_ঢাকা_চাঁদ (পর্ব ৩০

0
897

#মেঘে_ঢাকা_চাঁদ (পর্ব ৩০)
সায়লা সুলতানা লাকী

“না বাবা আমি তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না। বাবা, তুমি আমার জান । তুমি সুস্থ হও আগে। দেখো আমরা আবার একসাথে ক্রিকেট খেলবো, একসাথে ঘুরবো। বাবা আমি তোমাকে প্রমিজ করছি বাবা। তুমি আগে সুস্থ হও। ” লিখন রুশকে জড়িয়ে ধরে কথাটা বলল। লাবন্য অবাক চোখে তা তাকিয়ে দেখল। রুশের কান্নাটা লাবন্যকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। তাই হয়তো আর কোন কথা বলতে পারল না। চুপচাপ ভাইয়ের হাত পা ভিজা রুমাল দিয়ে মুছে দিতে লাগল নিরবে। কেন জানি ওরও চোখ ভিজে উঠতে লাগল বারবার, সবকিছু কেমন জানি ঝাপসা হয়ে উঠল।

সকালে ডাক্তার এসে দেখে গেলো রুশকে। জ্বরটা তখন ছিলো না। হাতের ফোলাটার লাল ভাবটা এখনও আছে, ভয়েও নাড়াতে চাচ্ছে না। ঔষধগুলো নিয়মিত করতে বলে গেলেন ডাক্তার। লাবন্য রুশকে নাস্তা করাচ্ছিলো তখনই দেখল ওদের জন্য নাস্তা দিয়ে গেল সার্ভিস বয় । লিখন একটু বেশি ব্যস্ত মোবাইল নিয়ে। বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলছে, ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে আছে তাও জানাচ্ছে সবাইকে। কোথায় যেন কল দিয়ে জানালো আজকের মিটিং ক্যান্সেল করতে। লাবন্য সবই শুনছে কিন্তু কোন কথা বলছে না। হঠাৎ করেই শুনতে পেলো লিখন একটু রুড হয়েই বলছে
“আমি জানি আমার কি করতে হবে, আমার বাচ্চাদের চেয়ে বড় কিছু আমার জীবনে নাই। কথাটা মনে রাখা উচিত তোমাদের। আজ আমার জন্য আমার রুশ হাসপাতালে আছে আর কি চাও তোমরা আমার কাছে? মা কী একা আমার? মা তোমাদেরকে জন্ম দেয়নাই? তোমাদের তার প্রতি কোন দায়িত্ব নাই? তোমরা যা বুঝো তাই করো আমাকে বিরক্ত করবে না। বৌ নিয়ে তোমাদোর কোন অভিযোগতো এখন আমি শুনবো না। আগেরটা আমার ইচ্ছেতে করেছিলাম তারটাতো সব শুনেছি, এবারেরটা কেন শুনবো? তোমরা বিয়ে করিয়েছো এখন তোমরাই শুনো। আমি বাসায় আসার আগ পর্যন্ত আমাকে কেউ কোন ডিস্টার্ব করবা না। আমি ক্লিয়ার করে বললাম, আমি জানি আমার কোথায় কি দায়িত্ব আছে।কাউকে আর আমার দায়িত্ব কি তা শিখাতে আসতে হবে না৷ অনেক শিখেছি। আর না, এখন রাখলাম।” কথাটা বলেই কলটা কেটে দিল।

লাবন্য চুপচাপ বসে সবটাই শুনল। মনে মনে একটু হাসলো আর বলল “যাক শেষ অব্দি জবাব বের হয়েছে মুখ দিয়ে। ”

“কিরে লাবু খাস নাই এখনও? খেয়েনে মা, ঠান্ডা করিস না। ” বলে খাবারের ট্রে টা এগিয়ে দিল।
লাবন্য কেন জানি অনেক কিছু বলতে চেয়েও কিছু বলতে পারলো না। ট্রে টা নিয়ে নামিয়ে রাখল শুধু।আর ওর আব্বু সাথে সাথে ওয়াসরুমে ঢুকে গেল।

“আপু,তুমি কি রাগ করেছো আমার উপর? খাচ্ছো না কেন?” রুশ বেশ ভয় নিয়েই কথাটা বলল

“না কোন রাগ করিনিরে৷ খাবোতো, তুই চুপচাপ একটু রেস্ট নে। এখন জ্বরটা নাই, দেখ ঘুম আসে কি না।”

“জানো আপু, ওই সেকশনের মন্টি বলেছে আব্বুর নাকি আরও বেবি হবে, তারপর আব্বু আর আমাদের কাছে আসবে না। আব্বু নাকি তখন অন্য মানুষের আব্বু হয়ে যাবে। কথাটা কি সত্য? ”

“জানি নারে ভাই, কি সত্য তা শুধু মাত্র সময় বলতে পারবে। আমি কিছুই জানি না। তবে তুই এই মন্টির সাথে লাগতে গেলি কেন? কেউ কিছু বলল আর অমনি রাগ চড়ে গেল মাথায়, এটা কোন একটা কাজ হলো?”

“আপু আমার অনেক কষ্ট লাগছিলো মনে। আব্বুকে শেয়ার করার ভয়টা খুব কষ্ট দিচ্ছিলোতো।”

“আব্বু আবার বিয়ে করছে, সেখানে তার বেবি হতেই পারে। এসবতো এখন আমাদেরকে মানতে হবে। এতটা অস্থির হলে কি আর চলবে?”

“আপু আমি আমার আব্বুকে অন্য কাউকেই দিব না, কখনও না। ” বলেই রুশ কেঁদে ফেলল। লাবন্য উঠে রুশকে জড়িয়ে ধরে ওর মাথাটা নেড়ে দিতে লাগল ঠিক ওই মুহুর্তে কি বলবে তা ঠিক করতে পারল না।

দুপুরের দিকে নানুকে নিয়ে হিমেল আসল হাসপাতালে। নানু এসেই লাবন্যকে বললেন
“লাবু তুই এবার বাসায় যা, গোসল করে লম্বা একটা ঘুম দে, রুশসোনা এখন অনেকটাই সুস্থ আছে। ডাক্তারতো বললেন জ্বর না থাকলে আগামীকাল ছেড়ে দিবেন।”
“তুমি জানলে কীভাবে?”
“ডাক্তার আর আমি একই লিফটে উঠলাম তখন কথা হল।”
“জি আম্মা, আজ জ্বরটা না আসলেই হল, আর হাতের ফোলাটা এখন একটু কমেছে। আর রুশও একটু একটু নাড়াতে পারছে।”

“তুমিও যাও, বাসায় যাও। একটু ফ্রেশ হও। আমি আর হিমু আছি, টেনশন করো না।”
“না আম্মা আমি কোথাও যাবো না। রুশকে নিয়েই বাসায় ফিরব।”
নানুর কথায় রুশের মুখটা কিছুটা মলিন হয়েছিল আবার ওর আব্বুর কথায় হাসি ফিরে এল। লাবন্য দূরে দাঁড়িয়ে সবটাই খেয়াল করল। এরই মধ্যে হিমেল বলে উঠল
“চল বন্য তোকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে আমি আবার যাব এক কাজে। চল জলদি যাই।”
“আমি যাব না। রুশের কাছেই থাকবো।”
“আহ লাবু, ছেলেমানুষী করিস না। তুই বাসায় যা। খাবার খেয়ে তারপর ঘুমাবি।সব কিছু গোছানোই আছে। যা বাসায় যা। আর রুশের রুমটাও একটু গুছিয়ে রাখিস। কাল বাসায় গিয়ে থাকতে যাতে কোন অসুবিধা না হয়। ”

এবার আর কোন কথা বলতে পারলো না। চুপচাপ বের হয়ে এল হিমেলের সাথে। কষ্টটা ঠিক কোথায় দানা পাকাচ্ছে তা বুঝতে পারছে না কিন্তু কষ্টের ভারটা খুব ভোগাচ্ছে মনে। মনে হল ভারটা লাবন্য নিতে পারছে না। অযথাই চোখ ভিজে যাচ্ছে বারবার। এই এলেমেলো জীবনটা কি কখনোই আর ঠিক হওয়ার নয়। রুশের চাহিদাটাতো অমূলক নয় তবে কেন তা পূরণ করা অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে। এমন সব আগরমবাগরম কথাগুলো যখন খুব জ্বালাচ্ছিল ঠিক তখনই। হিমেল ওকে বুকে টেনে নিল। ও খেয়াল করল, ওরা এখন লিফটে।

“কি করছো?”
“কাঁদছিস কেন? রুশ ঠিক হয়ে যাবে।ডাক্তারতো তাই বলল।”
“কিচ্ছু ঠিক হবে না, আমাদের এলোমেলো জীবন এলোমেলোই থাকবে। ” বলে লাবন্য কেঁদে ফেলল জোরে।
“ধুর বোকা, কি বলিস এসব? বোকার মতো কাঁদবি না।” বলতে বলতে লিফট এসে থামল গন্তব্যে।
দুজন বের হয়ে এল। বাইকটা পার্ক থেকে বের করে আনতেই লাবন্য উঠে বসল। হিমেল খুব আস্তে আস্তেই টানতে লাগল। একটা সময় লাবন্য হিমেলের পিঠে মাথাটা হেলান দিয়ে বসল। ওর চোখের পানি থেকে থেকেই ঝড়ছে।
“বুঝলাম না৷ তুই এত কাঁদছিস কেন? তুইতো এমন নারে বন্য? ”
“রুশ চায় না আমাদের আব্বুকে কারো সাথে শেয়ার করতে, বলোতো তা কি এখন আর সম্ভব? কখনওই সম্ভব না। আমরা জানি অসম্ভব তারপরও মনে মনে বিশ্বাস করতে চাই। কি অদ্ভুত আমরা। তাই না?”

“সব কিছু এত জটিল করে দেখিস না। বিশ্বাসতো রাখতেই হবে। কাউকে যদি বিশ্বাস করতে না পারি তবে চলব কীভাবে? আল্লাহর উপর ছেড়ে দে সব। দেখ তিনি কি করেন তার বান্দার জন্য। ”

“ঠিকই বলছো কারউ উপর বিশ্বাস করতে না পারলে চলব কীভাবে? এই যে আমি জানি, কাজটা ঠিক না তারপরও ক্লান্ত এই মাথাটা তোমার পিঠে ঠেকিয়েছি একটু স্বস্তির জন্য। ” কথাটা বলেই একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল।

“কি ঠিক আর কি ঠিক না তা সময়ই বলে দিবে। এখন এসব নিয়ে না ভাবলেও চলবে। তুই শুধু এখন নিজের আর রুশের কথা ভাব। রুশকে মনে হল ও ভেতর ভেতর খুব ভেঙে পড়ছে। আংকেলের সাথে লেপ্টে ছিলো হঠাৎ করেই বিচ্ছিন্ন হওয়াটা ও সহ্য করতে পারে নাই। বারবার বলছিলো আমার আব্বু, আমার আব্বু।ওতো এমন করে কথা বলে না।”

“হুমম, তাতো বুঝতে পারছি। জানো ও গতরাতে কি করেছে?”
“কি?”
লাবন্য রাতের কথাগুলো সবটাই হিমেলকে বলল। হিমেল কোন কথা বলল না চুপচাপ শুনলো শুধু। এরই মধ্যে বাসায় চলে আসল। বাইকটা নিচে রেখে হিমেল উপরে আসতে চাইল কিন্তু লাবন্য বাঁধা দিলো। বলল
“তুমি এখন যাও। বাসায় আসার দরকার নাই। আমি আর বাড়তি কোনো ঝামেলা চাই না। লোড নিতে পারবো না।” বলে নিজে নিজে উপরে উঠে গেল।
হিমেলের কি হল ও দাঁড়িয়ে গেল। কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেল। আর উপরে না গিয়ে ফিরে এল নিজের কাজে।

পরেরদিন রুশকে নিয়ে বাসায় চলে আসল সবাই। রুশ কেনজানি নিজের রুমে থাকতে চাইলো না। ওর আব্বুর গলা জড়িয়ে ছিল তার কোলে। খুব বায়না করার স্বরেই বলল
“আব্বু আমি তোমার সাথে তোমার রুমেই থাকব। আমার রুমে একা থাকবো না। প্লিজ আব্বু আমার একা ভয় লাগবে।”
লাবন্য কিছুটা অবাক হল ভাইয়ের আবদার শুনে। চুপ করে দেখতে চাইল কি করে ওর আব্বু আর কি বলে?
লাবন্যকে আরও অবাক করে দিয়ে ওর আব্বু তার রুমেই নিয়ে গেল রুশকে। লাবন্যের নানি তাসলিমাকে ডেকে একটু ভালোমন্দ রান্না করতে বললেন যা লিখন পছন্দ করে খেতো সেসব আইটেম থেকে ।

লাবন্য নিজের রুমে ফিরে এল, নিজের মনকে বলল “কেন যে এরা মিথ্যা বাঁধনে আব্বুকে বাঁধতে ব্যস্ত হয়ে আছে তা বুঝতেছি না। সে’তো আর একা নাই। সে এখন অন্য একজনের হাজবেন্ড। তার আলাদা একটা সংসার আছে। সে কীভাবে এখানে থাকবে? তবে আর যাই হোক, এসব বাহানায় তার ওয়াইফকে নিয়ে যদি এখানে এসে থাকতে চায় তবে তা কখনোই হতে দিবো না। অসম্ভব, তা সব সময়ই অসম্ভব। ”

হঠাৎ করেই রুশের হাসির শব্দে লাবন্যের মনটা ভালো হয়ে গেল। ও এমন খিল খিল করে হাসছে কেন? ভাবতেই দৌড়ে বের হল রুম থেকে দেখার জন্য। মায়ের রুমের কাছে এসে থমকে গেল। লিখন বাসায় পরার একটা ট্রাউজার পরা। রুশকে গোসল করিয়েছে চেয়ারে বসিয়ে। এখন গায়ে লোসন মেখে দিচ্ছে। মনে হল সেই ছোট বেলার কথা রুশের কাতুকুতুটা বেশি আর ওর আব্বু সুযোগ পেলেই ছেলেকে কাতুকুতু দিয়ে হাসাতে শুরু করতো। আজও তাই করছিল বাপ ছেলে মিলে।
লাবন্যকে দেখে রুশ হাসতে হাসতেই বলল
“আপু দেখো না আব্বু কেমন দুষ্টমি করছে, থামতে বলে না!”
লাবন্য কিছু সময়ের জন্য পেছনে হারিয়েছিল, এমন যখন করত তখন ওর আম্মু এসেই থামাতো লিখনকে। আজ সবটা আগের মতো হচ্ছে শুধু আম্মুই নাই থামানোর জন্য। কেনজানি ওর চোখ ভিজে উঠল আবার। পেছন থেকে ওর নানির গলা শুনতে পেল
“লিখন এগুলো কি করছো? ছেলেটার কষ্ট হচ্ছে না। এমনিতেই পা’টা প্লাস্টার করা, নড়তে পারছে না ঠিক মতো। তুমি কি এসব বুঝো না?”

“আম্মা অনেকদিন পর ছেলেটার এমন প্রানখুলা হাসি শুনলাম, তাই আর লোভ সামলাতে পারলাম না।” বলতে বলতে লিখন রুশকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে রাখল। লাবন্য কোন কথা না বলে নিজের রুমে চলে এল। “রুশের মতো মনখুলে হাসতে যে আমিও এখন ভুলে গেছে তা কি আব্বু তুমি জানো?” বিরবির করে বলতে বলতে নিজের চোখ মুছতে লাগল দুই হাত দিয়ে।

খেতে বসে লাবন্য রুশের জন্য খাবার এগিয়ে দিতে চাইল তখন রুশই বলল
“আপু নানুমনি দেখো আমার জন্য বিরিয়ানি রান্না করেছে, আমি এটা একাই খেতে পারব।”

লাবন্য একটু বিরক্তই হল রুশকে এভাবে টেবিলে নিয়ে আসার জন্য। একটা চেয়ারে পা তুলে দিয়ে রেখেছে। ওর মনে হল রুশের খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু ওর আব্বুকে কোন কিছু ও বলতে চাচ্ছে না। রুশ ভালোমন্দ বুঝবে না শুধু শুধু মন খারাপ করবে।

হঠাৎ খেয়াল করল ওর আব্বু ওর প্লেটে কতগুলো স্যালাদ তুলে দিতে দিতে বলল
“মেয়েটা সবসময়ই এটা মিস করে। এটা ছাড়া বিরিয়ানি মজা লাগে নাকি? খা, এবার খেয়ে দেখ কত মজা! আম্মা সত্যি বলছি আপনি অসাধারণ রান্না করেন, রেশমা প্রায় সময় বলতো আপনার রান্নার কথা। আপনার ক্ষীর নাকি হয় অমৃত। প্রায় সময়ই রেশমা বলতো ওর নাকি খুব খেতে ইচ্ছে করতো। আপনার বানানো আমের মুরোব্বা নাকি ও চুরি করে খেয়ে ফেলতো। আমাকে প্রায় সময় বলতো যদি কোনদিন আমাকে আপনার হাতের রান্না খাওয়াতে পারতো তবে নাকি আমি আপনার রান্নার ভক্ত হয়ে যেতাম। ওর চাওয়া আল্লাহ কবুল করেছিলো। দেখেন আজ কিন্তু আমি আপনার হাতের রান্না করা বিরিয়ানি খাচ্ছি, আর আপনার রান্নার ভক্তও হলাম শুধু রেশমাই দেখলো না, জানলো না। সবই উপর ওয়ালার ইচ্ছা, আমাদের কারউই কিছু করার নাই।”

লাবন্যের নানি আঁচল দিয়ে চোখ মুছছেন বারবার। তারপরও স্রোত ঠেকাতে পারছেন না। তার ভিতরটা দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে যেতে লাগল কষ্টে। লাবন্য খাবার নাড়াচাড়াই করতে লাগল তা আর মুখে তুলতে পারলো না। লিখনকে দেখা গেলো সে ব্যস্ত ছেলেকে খাওয়াতে।

রাত টা ছেলের কাছে থেকে সকালে লিখন বেড়িয়ে গেল অফিসের কথা বলে। লাবন্য মনে মনে ঠিক করল রুশকে বেশ ঠান্ডা মাথায় বাস্তবতাটা বোঝানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু ঠিক কীভাবে শুরু করবে তাই গোছাতে পারল না।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here