#যদি_বলি_ভালোবাসি♥
#PART_16
#FABIYAH_MOMO
বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি। আমাদের গাড়ি বৃষ্টির কবলে পড়েছে… তাও থেমে ধীরে চলমান। এখন বাসায় ফিরে যেতে হবে, তাই গন্তব্য হিসেবে সোজা রওনা দিয়ে চলছি সকলে। রেস্টুরেন্টে যাওয়ার টাইম পাইনি।। কেননা আমাদের বাসায় যেয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ সামাল দিতে হবে। গাড়ির ভেতর সবগুলো বেঘোরে ঘুম দিয়েছে। মুগ্ধ আমাকে টেনে তুলে কোলে বসিয়ে ধরে আছেন। উনার বুকে কপাল লাগিয়ে কাধে হাত জড়িয়ে আমিও চোখজোড়া বন্ধ করে বসে আছি। উনি আমার মাথায় থুতনি রেখে দুইহাতে জড়িয়ে রেখেছেন। আমার শরীরে শক্তি বলতে শক্তি নেই, কাল রাত থেকে কিচ্ছু খাইনি, সকালে এক গ্লাস পানি আর গাড়ির কাছে এসে মনিরার হাতে যতটুকু পানি গিলেছিলাম…ওটুকু পানির জোরে টিকে আছি। মুগ্ধকে কিছু জানাইনি।কিছু বললেই কানের নিচে চড় মেরে লালবাতি জ্বালিয়ে দিবেন। ঘুমের জন্য চোখের পাতা তিনরাত ধরে লাগেনা, কি টেনশনেই না ছিলাম, আল্লাহর মেহেরবানিতে আমরা কেউই বিফলে যাইনি। আলহামদুলিল্লাহ সব বাধা পার করে এক হতে পেরেছি। সামনে কি আছে, উপর ওয়ালার নিকটেই রেখে দিলাম। যা করবেন সব মঙ্গলের জন্য করবেন।
মুগ্ধের বুকে কপাল লাগিয়ে আছি।। গাড়িতে উঠার পর থেকে উনার শরীর গরম গরম ঠেকছে, বিষয়টা প্রথম প্রথম নাকোচ করে দেখলেও এখন বিষয়টা গুরুতর আকার ধারন করছে। কপাল উঠিয়ে উনার দিকে তাকাতেই উনি মাথাটা সিটে হেলিয়ে আস্তে করে বলে উঠলেন-
–ঘুমা প্লিজ, আমি জানি তুইও না ঘুমিয়ে রাত পার করেছিস। একটু ঘুমা।
গলা দিয়ে কথা বলতেও উনি স্বাভাবিক ভাবে কথা বলছেননা। উনার কাধ থেকে হাত নিয়ে কপালে রাখতেই হাতটা আমার পুড়ে উঠলো যেমন! ভীষণ গরম হয়ে আছে। গলায়, গালে হাতের উল্টো পিঠ লাগিয়ে দেখলাম একই রকম গরম। ভয়ে ভেতরটা মুচড়ে আসলো! খেয়াল করিনি কেন! উনার জ্বর চলে এসেছে! খোদা!
উনি জ্বরের ঘোরে বলে উঠলেন-
–একটু ঘুমা প্লিজ…আমার বুকে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে ছিলি না প্লিজ আবার আগের মতো ঘুমা…শরীর খারাপ করবে…ঘুমা না প্লিজ….
উনি জ্বরতপ্ত অবস্থায় ঠিক করে কথা বলছেন না, উল্টা পাল্টা কথা বলছেন। মনিরাকে একটা ধাক্কা দিয়ে সজাগ করে আবির ভাইয়াকে বলে উঠলাম-
–ভাইয়া, পিছে তাকাও! ভাইয়া! জ্বর…জ্বর চলে আসছে…
আবির ভাইয়া মাথা ঘুরিয়ে আমাদের দিকে উল্টো হয়ে বসলেন। অস্থিরতার সুরে বলে উঠলেন-
–এই কার জ্বর আসলো? সিনু তোর! সিনু !!
ভাইয়া আমাকে প্রশ্ন করছেন আমার কানে ঢুকলেও মুগ্ধের বলা অনবরত জ্বরের ঘোরে কথাগুলো আমার ভয় বাড়িয়ে দিচ্ছে!বাইরে বৃষ্টি! আশেপাশে কোনো হসপিটালও নেই…আমরা সাথে কোনো মেডিসিনও আনিনি। কে জানতো মুগ্ধের জ্বর চলে আসবে? মনিরা আমাকে পানির বোতল ধরিয়ে বলল-
–দোস্ত শান্ত হ। ভয় পাইস না। পানি খাওয়া ভাইরে। বোতল নে।
ওর হাত থেকে পানির বোতল নিয়ে উনার ঠোটে ধরলাম। কে শোনে কার কথা! উনি বোতল থেকে মুখ সরিয়ে আবোলতাবোল বলেই যাচ্ছেন।
–তুই আমাকে ভালোবাসিস না, আমার বুকে ঘুমাস না। তুই বেয়াদপ…তুই ইডিয়ট! তুই পচা! আমাকে সবসময় তোর কথায় ফাসিয়ে রাখিস…তুই আমাকে আদর করিস না…আমি মরে গেলে তুই খুজে পাবি না…বেচে থাকব না দেখিস, চলে যাব!! চলে যাব আমি..
একনাগাড়ে কি যা তা বলছেন আমি যে খুব ভয় পাচ্ছি ! আবির ভাইয়া সাফিন ভাইয়ের সাথে গুগল ম্যাপে হসপিটাল ট্রেস করছেন। কিন্তু বৃষ্টির কারনে নেটওয়ার্কের লোডিং ঘূর্নায়মান হয়ে কোনো ফলাফল পাবলিশ করছেনা!! উনার জ্বর বেড়ে চলছে, আমি কি করবো! কীভাবে জ্বর কমাবো! মেডিসিন নেই!ডাক্তার নেই! কপালে আবার হাতের উল্টো পিঠটা রাখলাম… এখনো গরম। উনি কপালে আমার হাত চেপে ধরেছেন, গাড়ির ইনার লাইটের কারনে উনার চোখগুলো দেখতে পাচ্ছি। জ্বরের আগুনে চোখে পানি জমে দুইকোনা থেকে পড়ছে।
–পাকনি তুই ভয় পাচ্ছিস? আমি সুস্থ তো। ভয় পাচ্ছিস কেন? ভয় তোকে মানায় না, তুই আমার কাছ থেকে ছোটাছুটি করছিস কেন? কান্না করে দিচ্ছিস? কান্না আমার ভালো লাগে না…বসে থাক না…কপালে তোর হাত দিয়ে রাখ, কিছু হবেনা দেখিস…
মনিরা ওর ফোনে নানান দিক থেকে কল করার চেষ্টা করছে, বৃষ্টির বৈরি আবহাওয়ায় নেটওয়ার্ক নেই। নেটওয়ার্কের কোঠা একদাগ হয়ে আছে। উনি আমার হাত ছাড়ছেন না, কপালে সর্বশক্তি দিয়ে ধরে রেখেছেন। আমি একহাতে এদিকেও যেতে পারছিনা ওদিকেও বসতে পারছিনা, কেন্দ্রীভূত হয়ে উনার কোলেই বসে অবস্থা দেখছি। কাদোকাদো গলায় ভাইয়ার দিকে তাকালাম, ভাইয়া হাতের তালুতে ফোন আছড়ে মারছেন। ফোনের কি দোষ…নেটওয়ার্ক নেই!! ভাইয়া উনার ফোনটা অবশেষে আছাড় মেরে পার্টে পার্টে খন্ড করেই শান্ত হলো।ঝাঝালো গলায় চেচিয়ে উঠল-
–শালার নেটওয়ার্কের গুষ্ঠি ****! কাজের টাইমে নেটওয়ার্কই থাকেনা! আর এই শালারে কি করা দরকার! **** শালায় কাল রাতে তিনঘন্টা লাগায়া গোসল করছে! জ্বর আসবো না তো কি আসবো ওর!
সাফিন ভাই ড্রাইভিং সিটে বসে আবির ভাইয়ার মুখ খারাপ করতে বারন করছেন। ইতি মাথায় হাত দিয়ে ফোনের পর ফোন ট্রায় করছে। মিরা আপুরও একইরকম। মুগ্ধ কিসব গোঙানি শুরু করেছেন আমার কেদেঁ বসে উপায় নেই। জানালায় বৃষ্টির ঝাপটা এসে ঘোলা করে স্বচ্ছ বানিয়ে দিচ্ছে। তাকিয়ে তাকিয়ে কাদছি, আমার পাপের শাস্তি উনার উপর দিয়ে যাচ্ছে? না খোদা! আমার প্রায়শ্চিত্ত আমিই ভোগ করতে চাই!! উনার শরীরে জ্বরের প্রকোপ ক্রমাগত বাড়ছে। থার্মোমিটার ছাড়াই অনুমানশক্তির সাহায্যে বলতে পারব জ্বর ১০২-১০৩° কাছাকাছি।
পান্জাবীর বাকি বোতাম গুলো খুলে দিলাম। জানালার কাচ নামিয়ে শাড়ির আচল ভিজিয়ে বোতামখোলা অংশটুকু মুছে দিচ্ছি উনি চোখবন্ধ করে আছেন। জ্বরের কারনে বিষম খেয়ে কেপে উঠছেন। যতটুকু সম্ভব আচল বারবার ভিজিয়ে গলার সবদিকে, বুকে, কপালে মুছে দিচ্ছি। জ্বর কমার গতিবিধি কোনোক্রমে দেখছিনা। সাফিন ভাই আমার পাগলামি দেখে বৃষ্টির পিচ্ছিল সড়কে গাড়ি চালিয়ে দিয়েছেন। বৃষ্টির সময় টায়ারের সাথে রাস্তার আকর্ষন খুব কম থাকে বিধায় অনেকসময় টায়ারের সাথে ভরবেগ ঠিক না থাকলে এক্সিডেন্টও হতে পারে।
সাফিন ভাই হসপিটালের খোজ না পেলেও গাড়ি এনে থামিয়েছে এক ফার্মেসীর দোকানে। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ভাইয়া, সাফিন ভাই দুজনেই ঔষুধ আনতে বেরিয়েছেন। মিরা আপু উনার সিটে বসে আমাকে ঠান্ডা হতে বলছেন। মনিরা আমার চুলগুলো এটো করে বেধে দিচ্ছে। সাফিন ভাই দৌড়ে এসে জানালা দিয়ে ঔষুধের পাতা ধরিয়ে গাড়িতে উঠে বসলো। মনিরা আরেকহাতে পানি দিয়ে সাহায্য করলো উনাকে খাইয়ে ছাড়তে। খেলেন উনি। চোখ বন্ধ করে বিনা সুরে ঠোট নাড়িয়ে কথা বলছেন। আমি সবাইকে খারাপ ভাবে না ঝুকতে বলে নরমাল হতে বললাম। সাফিন ভাই গাড়ির ভেতরের লাইটটা অফ করে এবার তুলনামূলক কম স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছেন। মুগ্ধের কপালে ভেজা আচল ধরে নাক টেনে কান্না করছি, উনি চোখের পাতা আলতো একটু খুলে আমার দিকে বলে উঠলেন-
–জ্বর এসেছে দেখে কেদে দিয়েছিস….আরো তো দিন পরেই আছে পাকনি। কত কিছু দেখার বাকি। এখনি কাদলে চলবে? মাই ডেভিল গার্ল….স্টপ ক্রায়িং প্লিজ, ইউর মুগ্ধ ওন্ট বি হ্যাপি রাইট?
উনি গরম হাতে আমার চোখ মুছে দিলেন। আবার সেই স্তব্ধ গলায় বলে উঠলেন-
–গরম শরীরে মাথা দিয়ে ঘুমাতে পারবি? প্লিজ…
ভেজা আচলটা উনার জ্বরের তাপে গরম হয়ে গেছে। ঔষুধ খেয়েছেন, কাজ করতে সময় লাগবে। উনি মনিরার দিকে পাশ ফেরে বলে উঠলেন-
–কিউট শ্যালিকা প্লিজ ওকে বলোনা আমার বুকে ঘুমিয়ে পড়তে, ও আমায় অবহেলা করছে শ্যালিকা, প্লিজ তুমি বলো। তোমার বান্ধুবী ও, তোমার কথা ফেলবে না। বলোনা…প্লিজ…. আমার কথা শোনে না ও।
কেমন বাচ্চার মতো আবদার করছেন মনিরার কাছে। উনার জ্বর দেখে আমি জিকির করছি উনি ঘুমানো নিয়ে মন গলানোর উপায় ঠাওড়াচ্ছেন। মুগ্ধ ঠোট ফুলিয়ে বাচ্চাদের মতো করে বললেন-
–প্লিজ পাকনি প্লিজ…
হাত বারিয়ে জানালার বাইরে বৃষ্টির পানিতে আচল ভিজিয়ে উনার ঘাড়ে চেপে বুকে মুখ লুকিয়ে ঘুম। শান্তি উনার বুকে, পরম শান্তি। সব ক্লান্তির কায়েন্টটাকে ন্যস্ত করতে পারদর্শী উনার ছোয়া।
বৃষ্টি নেই। মুগ্ধের হাত ধরে দরজার সামনে দাড়িয়ে আছি, কলিংবেল বাজাবো কিনা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আবির ভাইয়া আর মিরা আপু বাদে সবাইকে বিদায় দিয়ে আব্বু আম্মুর কাছে এসেছি। মুগ্ধের শরীরে এখনো জ্বর, তবে স্কেলে মাপলে ১০১° ডিগ্রির দাগকাটায় পারদের সীমা থামবে বৈকি। আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি উনার। আমি সাহস করে কলিংবেল বাজালে এক/দুই মিনিট পর আম্মু দরজা খুলে চোখ রাঙিয়ে দাড়ান। আমাদের দিকে তাকিয়ে আব্বুকে একটা হাক ছাড়লেন-
–আবিরের বাবা আসো আসো, দেখে যাও। তোমার নাক কাটিয়ে নষ্টামেয়ে জামাই ধরে এসেছে!
আম্মুর মুখে ‘নষ্টামেয়ে’ শুনে মুগ্ধ আমার হাত ছেড়ে দিয়েছেন। আবির ভাইয়া ‘আম্মু তুমি শুনো….’ বলতে নিলে আম্মু ভাইয়াকে আঙ্গুল উচিয়ে থামতে বলেন। আব্বু এসে হাজির। আব্বুর যখন মাথায় রাগচড়ে বসে তখন উনি চোখের নিচে, নাকের ডগায় ঘাম ছোটাতে থাকেন। এখন সেই উল্লেখযোগ্য কাজটা করছেন। আব্বুকে উদ্দেশ্য করে বললাম-
–আমি বিয়ে করে এসেছি আব্বু। আমি মুগ্ধ ভাইকে বিয়ে করেছি। তোমরা আমাদের কি বলবে জানি না, আমার ভুলের জন্য মুগ্ধ ভাইকে কিছু বলো না আব্বু। উনার কোনো দোষ নেই।
মুগ্ধ আমার কথায় তাকিয়ে আছেন। ছেড়ে দেওয়া হাতটা আবার ধরে আব্বুর সামনে চোখ নিচু করে বলে উঠলেন-
–আঙ্কেল, আপনার মেয়ে মিথ্যে কথা বলছে। আমি দোষ করেছি। দোষারোপ করলে আমায় করুন। মমকে আপনারা দূর করে দিবেন না প্লিজ। আমার ভুল।
আব্বু পিছনে দুইহাত দিয়ে রক্তিমভাবে রাগান্বিত হয়ে আছেন। হঠাৎ আব্বু দরজার চৌকসের বাইরে এসে “ঠাসস” করে মুগ্ধের গালে থাপ্পর বসিয়ে দিলেন। মুখ ফসকে ঘটনাক্রমে বলে উঠি-
–উনার জ্বর আব্বু! চড় দিলে?
আব্বু আরেকটা চড় মেরে দিলেন উনাকে। একই জায়গায় খুব জোরে। উনি একটু আগে জ্বরে কাতরাচ্ছিলেন। গাড়ি থেকে নেমে আমার জন্য ভালো সেজে দাড়িয়ে আছেন। উনাকে চড় মারলেন কেন? আমি ভুল করেছি!! লাগাতার আব্বু চড় দিয়েই যাচ্ছেন। চোখ ঝাপসা হয়ে যাচ্ছিলো আমার। উনি শেষ চড়টা খেয়ে মাথা ধরে পড়ে যাচ্ছিলেন আবির ভাইয়া পিছন থেকে আগলে ধরেন। আব্বুর কাজে ডুকরে কেদে দিলাম। হাতজোড় করে মিনতির সুরে বলে উঠলাম-
–আমি চলে যাব আব্বু। আর জীবনেও তোমাদের কাছে আসবো না কসম। আমি তোমাদের একটা মাত্র কথা অমান্য করেছি, তাতে তোমরা যে কষ্ট দিয়ে আঘাত করলে ভুলবো না আব্বু। ছোট থেকে সব চাওয়া পূরন করে আমার জীবনটা ধ্বংসের হাতে তুলে দিচ্ছিলে। আমার প্রতিবাদ করাটাই পাপ ছিলো তোমাদের নজরে! ঘোর পাপ। চলে যাচ্ছি আব্বু। আর আসবো না। তোমরা কষ্ট দিলে আব্বু… আসবো না আমি,
আম্মু আব্বুকে পাশ কাটিয়ে আমার হাত নামিয়ে চুলের মুঠি শক্ত করে ধরলেন। দাতে দাত চেপে কটমট করে বলে উঠলেন-
–তোর নষ্টামী মুখ দিয়ে আমাদের যদি বাপ-মা ডাকতে শুনছি! বটি এনে গলা নামিয়ে যাবো! তোর কলঙ্কিত কলুষিত চেহারা আমরা বেচে থাকতে দেখতে চাইনা! সম্মান খসিয়ে তুই কোন মুখে আমার বাড়ির দরজায় খটে দাড়িয়ে আছিস!!
হুহু করে কেদে দিয়েছি। আম্মু চুলের মুঠি ছিড়ে আনছেন এমন ব্যথা পাচ্ছি। মুগ্ধ আবির ভাইয়াকে ছেড়ে আম্মুর কাছ থেকে ছাড়ানোর জন্য আকুতি করছেন।
–আন্টি আন্টি ছেড়ে দিন ওকে আন্টি। আন্টি ওর দোষ নেই, আমি তুলে নিয়ে বিয়ে করেছি আন্টি। আমার ভুল আমি স্বীকার করছি ছেড়ে দিন…..
আম্মু ধাক্কা মেরে আমাকে ছেড়ে দেন। মুগ্ধ আমাকে বুকে আগলে ধরে আম্মুর দিকে অশ্রু চোখে তাকিয়ে আছেন। আব্বু ফ্লোরে আমাদের উদ্দেশ্যে ‘থু’ মেরে ভেতরে চলে গেলেন। আম্মু মিরা আপুর বাহু ধরে টেনে ভেতরে নিয়ে আমাদের মুখের উপর দরজা লাগিয়ে দেন। আবির ভাইয়া দরজা ধাক্কা এবং নক করতে থাকলে মুগ্ধ আমাকে নিয়ে চলে আসেন। কান্নায় অশ্রান্ত আমি। উনি মাথায় ঠোট ছুয়িয়ে চুপ হতে বলছেন। পথ খোলা একটা….মুগ্ধের বাসা।
-চলবে
-Fabiyah_Momo