#যেদিন_তুমি_এসেছিলে
#পর্ব_১৫
#মুন্নি_আক্তার_প্রিয়া
_____________
আহনাফের কথা শুনে বজ্রাহত হলেন আমেনা বেগম। আহনাফ যে কাউকে পছন্দ করতে পারে এটাই তো সে কখনো ভাবতে পারেনি। এখন শুনছে তার বড়ো ছেলে কেয়াকে পছন্দ করে! কেয়া মেয়েটা ভালো। কিন্তু ও’কে আহনাফ কতদিনই বা চেনে যে বিয়ে করার কথাও ভেবে ফেলেছে।
বিস্ময় চাপা দিয়ে তিনি ছেলেকে সুধালেন,’ভেবে বলছিস?’
‘বিয়ের মতো একটা ব্যাপার। না ভেবে কেন বলব?’
‘না, মানে। আমি তো ভেবেছিলাম তোর গার্লফ্রেন্ড আছে। কেয়াই কি তোর গার্লফ্রেন্ড? তোদের কি আগে থেকেই সম্পর্ক আছে?’
‘উনার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। দেখা বা কথাও তেমন হয়নি। ভালো লাগে এটাই জানি। আর আমার গার্লফ্রেন্ড আছে ভেবেছ মানে?’
তিনি এবার সরু চোখে ছেলের দিকে তাকিয়ে বললেন,’তাহলে তোর হাতে খামচির দাগ কেন ছিল? কে দিয়েছিল?’
মায়ের কথা শুনে আহনাফ হেসে ফেলে। অর্ষার কথা মনে পড়ে যায়। সে হেসে হেসে বলে,’ওটা কোনো গার্লফ্রেন্ডের নয়। তবে তোমার ভাষায় তাকে অ-প্রেমিকা বলা যায়।’
‘তাহলে ঐ অ-প্রেমিকাকেই কেন বিয়ে করতে চাচ্ছিস না?’
‘এটা কেমন ধরণের প্রশ্ন ছিল মা? বললাম তো, আমার কেয়াকে ভালো লাগে। ও’কে কি তোমার পছন্দ নয়? না হলে বলে দাও। বিয়েটিয়ে করা লাগবে না। বাদ।’
‘রাগ করছিস কেন? আমি তো এমনিই জিজ্ঞেস করলাম। কেয়াকে নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। তুই যখন ও’কেই বিয়ে করতে চাচ্ছিস তখন আমি প্রস্তাব পাঠাব। তুই চিন্তা করিস না।’
‘চিন্তার কিছু নেই। বিয়ে তো আর নিজের হাতে না। আল্লাহর হাতে।’
‘এভাবে বলিস কেন? আমার ছেলে কি ফেলে দেওয়ার মতো নাকি?’
‘সন্তানদের নিয়ে মায়েরা সবসময়ই বাড়াবাড়ি করে।’
‘হয়েছে। চুপ থাক।’
আহনাফ সত্যি সত্যিই চুপ হয়ে গেল। তার ক্লান্ত লাগছে এখন। ঘুম দরকার। তাই সে এই ব্যাপারে আর কোনো কথা না বলে নিজের ঘরের দিকে চলে যায়।
_________
‘অর্ষা তোর দু’চোখে দেখতে চাই প্রেমের বর্ষা। তুই কেন প্রেমে পড়িস না সহসা?’ কবিতা বলে আশিক শার্টের কলার খানিকটা পেছনের দিকে টেনে দিলো। ভাবখানা এমন যে এই মাত্র সে অস্কারপ্রাপ্ত একটা কবিতা বন্ধুদের শুনিয়েছে।
বাকিরা ওর দিকে গম্ভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে। তবে তিয়াস ভীষণ খুশি। মুখে হাত দিয়ে হাসছে। কী বুঝে হাসছে কে জানে! সকলের রিয়াকশন দেখে আশিক একটু থতমত খেয়ে যায়।
আমতা আমতা করে বলে,’তোদের দৃষ্টি দেখে মনে হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্রে গেলে বোম লাগত না। একেকজনের দৃষ্টি বিদ্রো’হী, রাজা’কারদের দিকে দিতি আর ওরা ঠুসঠাস চোখের আগুনে ভষ্ম হয়ে যেত।’
জুঁই ঠাস করে চপেটাঘাত করে আশিককে। আশিক অবুঝ বাচ্চার মতো গালে হাত দিয়ে তাকিয়ে থাকে।
দাঁত কিড়মিড় করে জুঁই বলল,’মাত্র এসে দাঁড়িয়েছি আমরা। একটু স্বস্তি তো নিতে দিবি? তার আগেই তোর আজা’ইরা কবিতা শোনানো শুরু করে দিলি।’
আশিক গাল ফুলিয়ে বলল,’বিয়াইত্তা মহিলা; না থুক্কু হাফ বিয়াইত্তা মহিলা কথায় কথায় এত মারস ক্যান? বিয়ের ঘরে এক পা দিয়ে রাখছস তাও তোর কুইকুই কমে না। আর আমি যদি বলি একটু ছুঁই, শুরু হয়ে যায় তোর গাঁইগুঁই।’
জুঁই বিরক্ত হয়ে দু’হাত ওপরে তুলে আকাশপানে তাকায়। ফরিয়াদ করার ভঙ্গিতে বলে,’ইয়া আল্লাহ্! এই অ’সভ্য বান্দাটাকে তুমি তুলে নাও।’
আশিক খ্যাঁক করে ওঠে। বলে,’তোর কোন পাকা ধানে মই দিছি রে আমি?’
উত্তরে অর্ষা বলে,’ওর কোন পাকা ধানে মই দিছিস আমরা কেউ জানিনা। কিন্তু তুই আমার প্রেম নিয়ে পড়ছিস কেন?’
‘এইতো পয়েন্টে আসছিস। আমি কিন্তু সব দেখছি।’
‘কী দেখছিস?’
আশিক জমিয়ে জমিয়ে সকলকে বলল,’আহিলের ভাইয়ের সঙ্গে তোমার কী চলে ময়নাপাখি?’
সকলের দৃষ্টি গিয়ে পড়ে অর্ষার দিকে। অর্ষা হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে থেকে বলে,’মানে কী? এসব আবার কেমন কথা?’
‘ইশ! একটু আগেও তো তুই তার সাথে ছিলি। আমি তো বাজারেই ছিলাম। তুই গাড়ি থেকে নামার পরই না আমি এলাম।’
অর্ষা রেগে বলল,’আজেবাজে কথা বলবি না আশিক। পথে উনার সাথে দেখা হয়ে গেছিল। আর তিয়াস গাড়িতে ওঠার জন্য কান্না করছিল তাই উঠেছি।’
গাড়ির কথা শুনে তিয়াস বলল,’বুম! বুম! বুম দাব! (যাব)’
রেশমি এবার কিল বসায় আশিকের পিঠে। ‘সবসময় খালি পণ্ডিতগিরি।’
দিদার মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে বলে,’তোর কেন লাগছে তা কিন্তু আমরা জানি। এখন তো তুই আর অর্ষাই সিঙ্গেল। এজন্য জ্বলে তাই না?’
রেশমি রেগেমেগে বলল,’ফাল’তু!’
অর্ষা বলে,’থামবি তোরা? এতদিন পর দেখা হলো। কই একটু আড্ডা দেবো ভাবলাম! আর তোরা ঝগড়া শুরু করছিস।’
আহিল হেসে বলে,’তাও অযথা টপিক নিয়ে ঝগড়া। ভাইয়া সম্ভবত বিয়ের জন্যই এসেছে এবার।’
লামিয়া, জুঁই আর রেশমি প্রায় সমস্বরে বলে উঠল,’বলিস কী?’
‘হুম। মা এবার নাছোড়বান্দার মতোই ভাইয়াকে ধরেছে। বিয়ে না করে উপায় নেই।’
.
.
সন্ধ্যে নামার মুখে কুসুমের জরুরী ফোন পেয়ে বাড়িতে এসেছে রুহুল আমিন। বারান্দায় বসে কুসুম ফল কাটছিল।
রুহুল জিজ্ঞেস করে,’কী হয়েছে? এত জরুরী আসতে বললে কেন? এমন হুটহাট ছুটি আনা যায় নাকি?’
কুসুমের একবার ঘরের দিকে তাকিয়ে ফিসফিস করে বলল,’আহিলের বাবা-মা আর আহনাফ এসেছে।’
‘কেন?’
‘জানিনা। ফলমূল, মিষ্টি সব ওরাই এনেছে। ঘটনা তো সুবিধার লাগছে না।’
‘দেখছি আমি। অর্ষা আর তিয়াস কোথায়?’
‘জানিনা। তিয়াসকে নিয়ে বেরিয়েছিল। এখনো আসেনি।’
‘আচ্ছা।’ বলে ঘরের ভেতর ঢোকে রুহুল আমিন। আমেনা বেগম এবং জহির চৌধুরীকে সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করে,’আসসালামু আলাইকুম আঙ্কেল-আন্টি। ভালো আছেন?’
তারা সালামের উত্তর নিলেন,’ওয়া আলাইকুমুস-সালাম।’ এরপর জহির চৌধুরী বললেন,’আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো। কুসুমকে দিয়ে আমরাই ফোন করিয়ে আসতে বলেছি। তোমার সমস্যা হয়নি তো?’
‘না, না আঙ্কেল। গরীবের বাড়িতে আপনারা এসেছেন এতে আমি ভীষণ খুশি হয়েছি।’
একটু থেমে রুহুল আহনাফকে জিজ্ঞেস করে,’ভালো আছো ভাই? বিদেশ থেকে কবে আসলে?’
‘আলহামদুলিল্লাহ্ ভাইয়া। আজ সকালেই এসেছি।’
‘আছো তো এখানে কয়েকদিন?’
‘হ্যাঁ।’
জহির চৌধুরী বললেন,’কাজের কথায় আসি রুহুল। বলছিলাম যে, তোমার শালিকা মানে কেয়াকে আমার বড়ো ছেলের খুব পছন্দ হয়েছে। কেয়াকে আমাদেরও ভীষণ পছন্দ। ছেলেকেও বিয়ে করানোর জন্য মেয়ে খুঁজছিলাম আমরা। ভাবলাম, চেনাশোনা ঘরের মেয়ে থাকতে বাইরে থেকে কেন আনব? তোমরা তো আমাদের ঘরেরই মানুষ। কী বলো?’
‘হ্যাঁ, আঙ্কেল। আপনারা এত বড়োলোক হয়েও আমাদের মতো গরীবদের সাথে এত ভালো সম্পর্ক রেখেছেন এটা তো পরম সৌভাগ্য।’
কুসুম খাবার এনে পাশে দাঁড়িয়েছে। খাবারগুলো টেবিলের ওপর রেখে চোখের ইশারায় রুহুলকে কিছু বলে চলে যায়। ইশারা বুঝতে পেরে রুহুল বলে,’এসব কথাবার্তা খালি মুখে বলা যায় না আঙ্কেল। আগে আপনারা নাস্তা করুন। আমিও একটু ফ্রেশ হয়ে আসতাম ততক্ষণে; যদি কিছু মনে না করতেন।’
‘হ্যাঁ, হ্যাঁ। যাও তুমি।’
রুহুল সরাসরি কুসুমের কাছে গেল পাশের ঘরে। বলল,’কী হয়েছে?’
‘কী হয়েছে মানে? খবরদার বলে দিচ্ছি কেয়ার সাথে ঐ ছেলের বিয়েতে রাজি হবে না।’
রুহুল অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। কুসুম বদমেজাজি মেয়ে হলেও ইগো, আত্মগরিমা অনেক ওপরে। যা তার লোভের চেয়েও অধিক প্রাধান্য পায় সর্বদা। আহনাফের সেদিনের ব্যবহারের জন্য তিনি দু’চক্ষে আহনাফকে দেখতে পারেন না।
রুহুল বিস্মিতকণ্ঠে জানতে চায়,’সমস্যা কী?’
কুসুম চাপাস্বরে বলে,’ওমন বেয়াদব ছেলের কাছে আমি আমার বোনকে বিয়ে দেবো না।’
রুহুম আমিন সব জানে। সেদিন অর্ষাকে সাপোর্ট করে আহনাফ কুসুমের সাথে রাগারাগি করায় বেজায় ক্ষেপে আছে সে।
রুহুল বুঝিয়ে বলে,’রাগ কোরো না। কবে কেমন না কেমন একটু রাগ দেখিয়েছে, এরজন্য এখন ভুল সিদ্ধান্ত নিও না। কেয়ার সাথে বিয়ে হলে ভালোই হবে। কত বড়ো লোক না ওরা? কেয়া ভালো থাকবে আর আমরাও।’
‘দরকার নাই। আহিলের সাথে তোমার বোনের বিয়ে হলেই হবে।’
‘আহা! আহিল আর অর্ষা বন্ধু। ওদের বিয়ে হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। যদি আমাদের এই আশা পূরণ না হয়? তখন তো সব যাবে জলে। আহনাফ যখন কেয়াকে বিয়ে করতে চাচ্ছে তখন রাজি হয়ে যাও। আর আহিলের সাথে যদি পরে অর্ষার বিয়ে হয় তাহলে তো আরো ভালো হবে আমাদের। ওরা চারজনই সুখে থাকবে আর আমরাও।’
কুসুম প্রথম প্রথম গড়িমসি করলেও রুহুল আমিন এক পর্যায়ে এসে কুসুমকে মানাতে সক্ষম হয়। দুজনেই ভেতরের ঘরে গিয়ে বিয়ের ব্যাপারে আলোচনা করে এবং পাকা কথা দেয়।
________
অর্ষাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আহিল বাড়িতে ফেরে আর বাড়িতে গিয়েই মায়ের কাছে খুশির খবরটা শুনতে পায়। কেয়াকে তার ভাই পছন্দ করে শুনে প্রথম প্রথম অবাক হলেও পরে আবার খুশিও হয়। এজন্য অবশ্য সে তার ভাইকে ক্ষেপাতেও ছাড়েনি।
ঘরে গিয়ে সবার আগে খবরটা বন্ধুমহলে দেয়। অর্ষা তো বাড়িতে গেলে এমনিতেই সব জানতে পারবে। তাই ম্যাসেঞ্জারের গ্যাঞ্জাম পার্টির গ্রুপে গিয়ে গ্রুপ কল করে আহিল।
ফেরার পথে আহিল আর অর্ষা বাদে আশিক, দিদার, রেশমি, জুঁই এবং লামিয়া একসাথেই ফিরছিল। তার আগে ওরা একটু শপিং-এ যায় বলে এখনো বাড়ি ফেরেনি। ডাটা অন ছিল বিধায় পাশাপাশি থেকেও সকলে গ্রুপ কলে জয়েন হয়। আর যথারীতি সকলের মতো এই খবরটা শুনে ওরাও স্তব্ধ হয়ে যায়।
কথা বলা শেষ হলে লামিয়া ভেংচি কেটে বলে,’দেখলে তো মনে হয় ভাজা মাছটাও উলটে খেতে জানে না। অথচ দেখো তলে তলে ঠিকই কেয়া আপুকে পছন্দ করেছে।’
ওর কথায় বাকিরা মৃদু হাসে। দিদার বলে,’আগে চল কেয়া আপুর থেকে একটা ট্রিট নিয়ে আসি।’
আশিক হাত ঘড়িতে সময় দেখে বলে,’গেলে তাড়াতাড়ি চল। আপুর কিন্তু ছুটি হবে এখন।’
ওরা দুটো রিকশা নিয়ে শো-রুমের সামনে চলে যায়। কেয়াও তখন শো-রুম থেকে বের হচ্ছিল। ওদেরকে একসাথে দেখে বলে,’কীরে বান্দ’রের দল তোরা এখানে কেন?’
আশিক বলে,’ঢং কইরো না আপু। ট্রিট দাও তাড়াতাড়ি।’
‘কেন রে? তোর গার্লফ্রেন্ডের বিয়ে নাকি? ব্রেকাপ হয়েছে? তাহলে এই খুশিতে তো তোর ট্রিট দেওয়া উচিত। কারণ তোর থিওরি অনুযায়ী, একটা গেলে দশটা পাওয়া যায়।’
দিদার বলল,’ওর ব্রেকাপ হলে আমরা কি আর তোমার কাছে আসি? ওরে ফান্দে ফেলে কীভাবে ট্রিট আদায় করতে হয় তা আমরা জানি। আমরা এখন তোমার কাছেই এসেছি।’
‘আচ্ছা বুঝলাম। কিন্তু কারণটা কী? কেন ট্রিট দেবো?’
রেশমি অবাক হয়ে বলল,’তুমি কি সত্যিই জানো না? নাকি মজা করছ?’
‘কী আজব! মজা করব কেন? তোরা অর্ষার ফ্রেন্ড। তাই সম্পর্কে তোরাও আমার বেয়াই-বেয়াইন। কিন্তু বিশ্বাস কর, এই মুহূর্তে আমার মজা করার মতো মুড কিংবা এনার্জি কোনোটাই নাই। আমি ভীষণ ক্লান্ত।’
সবার চোয়াল এবার ঝুলে পড়ার মতো। যার বিয়ে ঠিক হয়েছে তাকেই জানানো হয়নি কিছু?
জুঁই বিস্মিতকণ্ঠে বলল,’কী অদ্ভুত ব্যাপার-স্যাপার! তোমার বিয়ে ঠিক হয়েছে। অথচ তোমাকেই কেউ জানায়নি।’
এবার কেয়ার বিস্মিত হওয়ার পালা। শুধু বিস্ময় নয়। কোন শব্দ দিয়ে এই বিস্ময়কে বিশ্লেষণ করা যাবে সেটাও তার বোধগম্য হচ্ছে না। অস্ফুটস্বরে বলে,’বিয়ে!’
‘হু। আহিলের বড়ো ভাই আহনাফ ভাইয়ের সাথে তোমার বিয়ে ঠিক করা হয়েছে। একটু আগে আহিল আমাদের ফোন করে জানাল।’
‘মজা করছিস নাকি সত্যি বলছিস?’
‘সত্যিই বলছি। তুমি কি সত্যিই জানতে না?’
‘না। আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। অর্ষা জানে?’
‘এতক্ষণে তো জানার কথা। কিন্তু আমরা সত্যিই মজা করছি না আপু।’
কেয়া বলল,’অসম্ভব! আমি এই বিয়ে করব না।’
চলবে…
[কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ।]