#রৌদ্রমাখা বর্ষা
আলহীনা ইনাম [ছদ্মনাম]
০৮,,
আফাফ তখনই কোনো উত্তর দেয়নি। সে সাফাতের কাছে সময় চেয়ে নিয়েছে। সাফাত মুখে ঠিক আছে বললেও ওনি যে আশাহত হয়েছেন সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আফাফ নিজেও খুব জোরে ধাক্কা খেয়েছে সাফাতের প্রস্তাবে। ওর ডিভোর্সের জন্যই কি এতোদিন চুপ করে ছিলেন তিনি? আফাফ হিসাব মেলানোর চেষ্টা করছে। এখন সত্যিই ঝিকিমিকির একটা পরিচয়ের প্রয়োজন এই বিষাক্ত সমাজে বাঁধাহীনভাবে বাঁচতে। ওর চিন্তার সুতো কাটে ঝিকিমিকির কান্নার আওয়াজে। মেয়েটা কাঁদে কম। তবে যখন কাঁদে থামতেই চায়না। আফাফ মাতৃসুলভ স্বভাবে বেশ বিরক্তও প্রকাশ করে এতে মাঝে মাঝে। আবার ভেবে প্রশান্তিও পায়, সে একজন ‘মা’ এখন! অদ্ভুত প্রশান্তিময় অনুভূতি।
আফাফ ঝিকিমিকির কান্না থামনোর ব্যবস্থা করে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো। ও ঘুমিয়ে পড়তেই আফাফ বেশ কিছুদিন পর আজ অনলাইনে ঢুকলো। নিউজ দেখতে গিয়েই চারদিন আগের একটা নিউজ দেখে ওর মাথায় যেন আবাসিকের ছাদটা ভেঙে পরেছে। সাধারণ লোকদের তুলনায় টেলিভিশনের সংবাদ পাঠকসহ যেকোনো রিপোর্টারের ধাক্কা সামলাতে বেশি সময় লাগে সাধারণত, যদিনা আঘাত হানার আরো বড় কিছু পায়। তেমনি এটার ক্ষেত্রেও ঘটেছে। আলী, পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে! সে স্মাগলার হিসাবে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছে।
নিউজটা দেখে আফাফের একবার ওর মায়ের মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠলো। ডুকরে কেঁদে উঠলো আফাফ। যতোই হোক, সে আফাফের ভাই। নিউজটা তখনও টাটকা! সাফাত জানা সত্ত্বেও ওকে বলেনি।
নিজেকে সামলে নিতে সময় লেগেছে আফাফের। একবার আঞ্জুমকে ফোন করতে চেয়েছিলো। কিন্তু করেনি। কী বলে সে সান্ত্বনা দিবে? আফাফও এখন একজন মা। সে বুঝতে পারছে কষ্টটা কতোটা গভীর! সন্তান যেমনই হোক না কেন, হারানোর শোক যে বড্ড গভীর!
আফাফ ওদের ছেড়ে আসার পর আর কোনো প্রশ্নই ওঠে না নিদ্রের ওদেরকে টাকা দেওয়ার। ওদের টাকা আসার রাস্তা বন্ধ হলেও ওরা বিলাসিতা থেকে তখনই বের হতে পারেনি। আঞ্জুমের নিদ্রের নামে মামলা ঠোকারও এই কারণ। আলী স্মাগলিং’য়ের সাথে জড়িয়ে পরে বিশাল অর্থলাভের উদ্দেশ্যে। যার পরিণতির সাথে সে ইতিমধ্যে সাক্ষাৎ করে ফেলেছে। সে করতো যা সে করতো। আর সে মূল্য চুকিয়েছে সেটার জন্য।
করিবে বপন যেমন, ফলিবে ফসল তেমন; আফাফ আঞ্জুমের জন্য এই কথাটাই বলতে পারে।
সেদিন সন্ধ্যার পর নীলাভ আসে আফাফের সাথে দেখা করতে। তবে আফাফের জন্য চমক তখনও অপেক্ষা করছে। নীলাভ ঝিকিমিকির জন্য নিজের আনা জিনিসগুলোর পাশাপাশি একটা মোটা স্বর্ণের চেইন ওকে দেয় যেটা নিলা শিকদার পাঠিয়েছিলেন! আফাফ কথাটা শুনে হতভম্ব হয়ে যায়। নীলাভ ওকে আরো বলে, নিলা শিকদারসহ বাড়ির প্রত্যেকেই ঝিকিমিকিকে দেখতে চায়। আর নিদ্র ওকে ফেরত চায়। আফাফ নিদ্রের কথা শোনামাত্র নাকচ করে দেয়। নীলাভ আফসোসের সুরে বলে, আনাবিয়াকে নিদ্র বিয়ে করার পর থেকেই বাড়ির মানুষগুলোর মনোভাব পাল্টাতে শুরু করে আর এখন অনেক পাল্টে গিয়েছে। আনাবিয়া কোনোদিনও সন্তান গর্ভে ধারণ করতে চায়না আর এটা নিদ্রকে সে সরাসরি বলেছে। তার উগ্র চলাফেরা নিলা শিকদারেরও পছন্দ হচ্ছে না। অনেক রাত পর্যন্ত সে বারে কাটায়, ড্রাংক হয়ে ঘরে ফেরে। বাড়ির মানুষগুলোর সাথে তার আচরণও রুক্ষ। তারা আফাফের অভাব অনুভব করতে পারে। গত সপ্তাহে নিদ্রের সাথে তার কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সে ড্রাংক অবস্থায় স্বীকার করে নিয়েছে আর নাহিনের হাইপোথিসিস সত্যি হয়েছে। শেষ মূহুর্তে সে এতোটাই উত্তেজিত ছিলো যে, ঘোরের মাঝেই নিলা শিকদারের গায়ে হাত তুলতে গিয়েছিল। নিদ্র আবারও ডিভোর্সের আবেদন করেছে। আর এতে আনাবিয়া মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেছে। তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে তালাক হয়ে যাবে খুব শীঘ্রই।
আফাফ কথাগুলো শুনে কেবল তাচ্ছিল্যের হাসি হাসলো। নিদ্র চেয়েছিলো, ঝিকিমিকিকে তার থেকে কেড়ে নিয়ে আনাবিয়ার সাথে ওকে নিয়েই পরিপূর্ণ সুখী একটা পরিবার হতে। নিদ্র সেটাই বলেছিলো ওর পরিবারকে। আজ সেই আনার সাথে আবারও সম্পর্কের ভাঙন! যাই হোক, আফাফ আনাবিয়ার কাছে যথেষ্ট কৃতজ্ঞ। ঝিকিমিকির পৃথিবীতে আসায় তার অবদানও কম নয়।
নীলাভ চলে যাওয়ার পর আফাফ যেন উভয় সঙ্কটে পরেছে। তার অস্বস্তির মাত্রা বাড়ছে। সে সাফাতকে বিয়ে করলেও তার জীবনে অতীতের অনধিকার প্রবেশ আটকানো নিয়ে সে দ্বিধায় আছে। আফাফ এবিষয়ে সুনিশ্চিত যে, সে সাফাতকে বিয়ে করলে যুক্তিসঙ্গত কারণেই সুখী হবে। আর ঝিকিমিকি! তার জীবনটা তো শুরুই হয়নি এখনো। সাফাতের মতো একজন মানুষ তাকে পরিচয় দিলে তার চলার পথটাও হবে অধিকাংশ সাধারণ বাচ্চাদের মতোই নিত্য আর অনাক্রম্য। আফাফ বরাবরই সতর্ক থাকে তার অনুভূতির বিনিময়টুকু নিয়ে। সাফাতের সাথে তার অনুভূতির বিষয়ে সে আরো বেশি সতর্ক এবং রক্ষণশীল। তার কোনোপ্রকার অনুভূতি নেই সাফাতের প্রতি। আফাফের কাছে সে কেবলই, তার আশ্রয়দাতা চমৎকার একজন মানুষ, আর অবশ্যই একজন ভালো বন্ধু। প্রথম থেকে হয়তো সময়টা এমন যাবে, সাফাত যদি শুধু দয়া দেখিয়ে বা মায়ার বশবর্তী হয়ে বিয়ে করে থাকে তবে তারা একে অপরকে “সহ্য” করবে এবং ঝিকিমিকিকে ভালোবাসবে। সাফাত ঝিকিমিকিকে যথেষ্ট স্নেহ করে এবং ভালোবাসে। এরপর তারা একসাথে থাকতে থাকতে স্নেহের আভাস আসবে তারপর প্রেম আসলেও আসতে পারে। আফাফ এটাও জানে, সাফাত খুব ভালোভাবে পরিচিতি পাবে যাকে বলে ‘ফ্যামিলি ম্যান’ হিসাবে।
ঘরে উপস্থিত ছোট খাটটা এবং আলনা, একটা কাঠের নড়বড়ে টেবিল এবং একটা প্লাস্টিকের চেয়ার আর একটা স্টিলের ছোট ট্রাঙ্ক সবকিছুই যেন ওদের উপর নজর রাখার দৃষ্টিতে চেয়ে আছে। মাঝে মাঝে যেন পরামর্শ প্রদান করছে নির্বাকভাবে, যা বোঝার ক্ষমতা আফাফ একসময় অর্জন করেছিলো এবং এখন আবারও হারিয়ে ফেলেছে ঝিকিমিকির প্রতি যত্নশীল হতে গিয়ে।
পরদিন অনাকাঙ্ক্ষিত এক ব্যক্তির আগমনে আফাফ যেমন হতবাক হয়ে গেলো তেমনি শিউরে উঠলো। অজানা ভয় মূহুর্তে তাকে গ্রাস করে ফেললো। নিদ্র এসেছে! সে তার মেয়েকে দেখতে এসেছে। সে আবাসিকের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে। আফাফ প্রথমে ভেবেছিলো ওর সাথে দেখা করবে না। তবে পরবর্তীতে নিজের লোভ সামলাতে পারলোনা তাকে একনজর দেখার।
কেতাদুরস্ত সিঙ্গেল ব্রেস্টেড একটা কোটে তাকে সবসময়ের মতোই ফর্মাল এবং পরিপাটি দেখাচ্ছে। ব্যক্তিগত জীবনের অস্থিতিশীলতা তার জমকালো ভাব এবং আভিজাত্যে কোনো ছাপই ফেলেনি। সেই ব্যক্তি, যে কিনা বিধ্বংসী সুদর্শন!
আফাফ তার সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই তার প্রথম প্রশ্ন ছিলো, ‘আমার মেয়ে কোথায়?’
আফাফ তাকে আনেনি। সে কোনোপ্রকার সংকোচ ছাড়াই বললো,
‘আপনার মেয়ে কে? দুঃখিত, আমি তাকে চিনি না।’
আফাফের তাকে সরাসরি প্রত্যাখ্যানের সাথে তার কৌতুক করাটা নিদ্রের পছন্দ হলোনা। নিদ্র বিরক্তি নিয়ে বললো,
‘তাকে নিয়ে এসো আফাফ। আমি আমার মেয়েকে ফেরত চাই। চাইলে তুমিও চলো আমার সাথে।’
‘ও কেবল এবং কেবলই আমার মেয়ে। আর কোনো পরিচয়ের প্রয়োজন নেই ওর। আপনার সাথে ওকে যেতে দেবো ভাবলেন কি করে?’
‘আফাফ, তোমার জেদ দেখার সময় আমার হাতে নেই। ওকে দ্রুত নিয়ে এসো।’
নিদ্র এখনো মনে করে আফাফ ওর গম্ভীর কন্ঠের ধার ধরে। তবে ওকে অবাক করে দিয়ে আফাফ দৃঢ়কণ্ঠে ওর কথার অবাধ্য হয়ে ফিরে আসলো আবাসিকের ভিতরে। নিদ্র প্রথমে অবাক হলেও দ্রুত সেই পর্যায় থেকে নেমে এসে নিজেও ঢুকলো আবাসিকে। যদিও এটা অশোভন। জায়গাটা মেয়েদের জন্য সংরক্ষিত আর কেবল কয়েকজন অনুমতি নিয়ে এখানে ঢোকে যার ভিতর সাফাত একজন।
নিদ্র ভিতরে ঢুকেই অস্তিত্বতে পরার পাশাপাশি বেশ বিরক্ত হলো। ওর অহংকার আর দাম্ভিকতা এই পরিবেশটাকে ওর কাছে নিকৃষ্ট করে তুলছে। নিদ্র আফাফের ফিরে আসার বেশ পরেই ঢুকেছে বিধায় এখানে পাশাপাশি ঘরগুলোতে খুঁজে পাচ্ছে না সে কোনটায় থাকে। একজন মহিলার কাছে থেকে শুনে সে আফাফের ঘরে গেলো। অনুমতি না নিয়েই ঢুকে পরলো। আফাফ কাঁদছিলো তখন ঝিকিমিকিকে বুকে আঁকড়ে ধরে। নিদ্র ব্যথিত হলো ঘরটায় চোখ বুলিয়ে। তার মেয়ে এমন একটা পরিবেশে থাকছে!!
রাস্তার শব্দ এখানে আসে না। সিলিং ফ্যানের পাখার ধারগুলো ঝুলকালিতে মাখা, ঢাকার বিখ্যাত দূষিত হাওয়ার এক অনন্য বিজয়গাঁথা যেন, তারা সগর্বে তাদের বিজয়ের পতাকা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। নিদ্রের ফুসফুসের জন্য সৌভাগ্যজনকভাবে, সে শুধু কিছু সময়ের জন্যই এখানে এসেছে। অথবা অন্তত সে এটাই আশা করে।
নিদ্রের হঠাৎই আফাফের জন্যও মায়া অনুভূত হচ্ছে, যার কারণ হিসাবে ও মনে করে, আফাফ তার সন্তানের মা। হয়তো সে ‘সহ্য’ করে নিতে পারবে তাকে। আফাফ পিঠ ঘুরিয়ে বসে ছিলো আর তার কান্না থেমে গেলো নিদ্রের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টায়। নিদ্র অহেতুক কেশে ওর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে সফল হয়েছে।
আফাফ চকিতে ফিরে তাকিয়ে ঘুমন্ত ছোট্ট পরীটাকে যেন লুকিয়ে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। নিদ্র উঁকি দিয়ে একবার দেখলো তার মেয়েটাকে। তীব্র আকাঙ্ক্ষা জাগছে মনে তাকে একবার কোলে তুলে নিতে।
নিদ্র আফাফের দিকে এগিয়ে আসতেই আফাফ চিৎকার করে বলে উঠলো,
‘আপনাকে আমি বলেছি, ওকে আমি দেবোনা।’
আফাফের চিৎকারে নিদ্রের ভাবান্তর না হলেও যা হলো তা হলো ঝিকিমিকি জেগে গিয়ে কেঁদে দিয়েছে। আফাফ এবার তাকে সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পরলো। নিদ্র কোমল কন্ঠে বললো,
‘প্লিজ আফাফ, ওকে নিয়ে চলো এখান থেকে।’
আফাফ হতবাক হয়ে গিয়েছে নিদ্রের কন্ঠ শুনে। এতোটা মায়াভরা কন্ঠে নিদ্র কোনোদিনও ওর সাথে কথা বলেনি। নিদ্র আবারও বললো,
‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী। নতুন করে আবার সবকিছু শুরু করার একটা সুযোগ দাও অন্তত আমাকে। আমার সাথে ফিরে চলো। তুমি বিশ্বাস করবে না ……।’ নিদ্র থামলো। ওর সংকোচ বোধ হচ্ছে।
‘কি বিশ্বাস করবোনা আমি?’ আফাফ প্রশ্ন ছুঁড়লো।
‘আমার তোমাদের প্রয়োজন।’ আসল কথাটা এড়িয়ে গেলো যেটা সম্পর্কে সে নিজেই অনিশ্চিত। আফাফ চলে আসার পর থেকে ওর ভিতর সৃষ্টি হওয়া শূন্যতা! যা পূরণে সে নিজের উপর জেদ ধরেই আনাবিয়াকে বিয়ে করেছিলো একটা মিথ্যা ভ্রম থেকে। এরপর তার ধারণাকে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত করে সেটা সেই শূন্যতা পূরণের বদলে হাহাকার আরো তীব্র করলো।
আফাফ একপেশে হেসে বললো,
‘কেন? ও আপনার মেয়ে সেটা সবাই জানলে ছিঃ ছিঃ করবে যে শিকদার বাড়ির মেয়ের অবস্থা দেখো? নাকি সত্যিই টান অনুভব করছেন আর ওকে আমি ছাড়বোনা বিধায় আমাকেও যেতে বলছেন?’
নিদ্র চোখ বন্ধ করে গভীর একটা শ্বাস নিয়ে বললো,
‘তোমার যেটা মনে হয় ভাবতে পারো। কিন্তু ও আমার মেয়ে যে আরো অনেক বেশি প্রত্যাশা করে। এখানে ও থাকবে কি করে? ওর পরিচয়ের কি হবে?’
‘ওর পরিচয় নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না। আমি ওর জন্য যথেষ্ট।’
‘আফাফ, বোঝার চেষ্টা করো। আমার যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে। তুমি জানো না আনা কেমন। তোমার পরিবারকে তো বারবার সুযোগ দিয়েছো। একবার শুধু মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে আমাকে…।’
নিদ্রের কথা শেষ হওয়ার আগেই আফাফ ওকে বেরিয়ে যেতে বললো। নিদ্রের নত হওয়াটা আফাফের ভালো লাগছে না, সে যার কাছেই হোক না কেন। নিদ্রের যে ব্যক্তিত্বের সাথে আফাফ পরিচিত, তার সাথে যায়না এটা। ওর গিরগিটীয় স্বভাবটাও আফাফের কাছে ভালো লাগছে না।
#চলবে
ডিয়ার রিডার্স, আপনারা বলে দিন আফাফ কার? যার পক্ষে সমর্থন বেশি আসবে সেই মেল লিড ক্যারেক্টর হবে। এই গল্পে পূর্ণ স্বাধীনতা আপনাদের। তবে গণতান্ত্রিক মনোভাবে যে বিজয়ী হবে সেই হবে বিধায় আরেক পক্ষ প্লিজ মনে কিছু করবেন না। আশা করি তাড়াতাড়ি শেষ হবে গল্পটা।