লাভ রেইন পর্ব-১৫

0
2349

#লাভ_রেইন
#তারিন_জান্নাত
#পর্বসংখ্যাঃ১৫

৩৮.
সর্ব মুহূর্তে সাইলেন্ট মুডে থাকা ফোনটি আজ তীব্র সুর তুলে বেজে উঠলো। উপুর হয়ে বেডে শুয়ে থাকা তেহভীনের চোখ,কপাল কুঁচকে গেলো তৎক্ষনাৎ । ফোনের তীব্র স্বরে বিরক্ত হয়ে অপর পাশ থেকে তুলতুলে নরম বালিশ তুলে মাথা উপর রেখে দু’কান চেপে ধরলো।ব্যর্থ প্রচেষ্টা তৎক্ষনাৎ বিফলে গিয়ে তীক্ষ্ণ সুর কর্ণ ভেদ করতে সক্ষম হয়। প্রচণ্ড ক্ষোভ মনে আসলেও তেহভীন সেটাকে চেপে রাখলো।রাগ-ক্ষোভ নিয়ে ঘুমন্ত চোখ না মেলাটাই উচিত। এতে মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলতে পারে।
ঘুমন্ত চোখ মেলে জোরে নিঃশ্বাস ফেললো তেহভীন। ফোন হাতে নিয়ে দেখলো তার বাবা ফোন করেছে। খানিকটা হকচকিয়ে যায় সে। ভাবনার ঘোরে প্রবেশ করার পূর্বে মি.মেথেউ এ্যাসফোর্ডের কল পূনরায় ঢুকলো। তেহভীন কয়েক পলক চেয়ে ফোন রিসিভ করলো, মি.মেথেউ অপরপাশ থেকে গম্ভীর স্বরে বলল,

— হাউ আর ইউ টেহভীন,

–আই এম গুড ড্যাড,ইউ?

— মি টু… টেহভীন তুমি আমার অনুমতি ছাড়া
ব্যাংক থেকে কার্ডে টাকা তুলেছো কেন?

— আমার প্রয়োজন ছিলো ড্যাড।

— আমাকে জানাওনি কেন?

— আমি ফোন দিয়েছি।

— তুমি বাড়িতে?

— নো ড্যাড,আমি একটু শহরের বাইরে।

— কোথায়?

তেহভীন চট করে একটা মিথ্যে বলে ফেললো,

— ড্যাড,আমি ওল্ড টাউনে এসেছি।আমার বন্ধুদের সাথে। আমার বন্ধু ম্যারজি আছে পাশে কথা বলবে?

— না তার দরকার নেই। আমি আমার ঘুমানোর সময় থেকে তোমাকে ফোন দিয়েছি।যথাসময়ে বাড়ি ফিরে যেও,এটা আমার অর্ডার। আমার অনুমতি ছাড়া আর কখনো টাকা তুলবেনা। মাইন্ড ইট।

তেহভীন কন্ঠ খাদে নামিয়ে বলল,

— ওকে ড্যাড।

অপাশ থেকে ফট করে লাইন কেটে গেলো। লাইন কাট হতেই তেহভীন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো। তানজিদ পাশে শোয়া ছিলো। সে মাথা উঁচিয়ে তাকিয়ে আছে।ফোন কাট হতে দেখে তানজিদ বলল,

— এভাবে মিথ্যে বলেছো? যদি কখনো ড্যাড
জানতে পারে?

— ড্যাড জানবে না ব্রো, মম বলে এসেছি। আর সিস
তো জানেই আমি এখানে এসেছি।ড্যাড কে ম্যানেজ করার কাজ সিস এর।

তেহভীনের দৃষ্টি হঠাৎ ঘড়িতে গিয়ে আঁটকালো। তখনি মনে পড়লো সিলিভিয়ার কথা। সিলিভিয়াকে বলে এসেছিলো আজ ওকে ঘুরতে নিয়ে যাবে।

— শিট! ব্রো, তুমি থাকো আমি একটু বেরুচ্ছি।

তানজিদ ভ্রুঁ কুঁচকে বলল,

— বাইরে বের হচ্ছো? কেন? তোমার
বাইরে কি কাজ?

— বলতে পারছি না।

— তারমানে ডেটে যাচ্ছো?

তানজিদের কথায় থেমে যায় তেহভীন।তানজিদের দিকে ফিরে বলল,

— তোমার কেন মনে হলো আমি ডেটে যাচ্ছি?

— তোমার ফেইস দেখে। আমার তোমাকে অস্থিরও দেখাচ্ছে বেশ, ব্যাপার কি বলো তো?

তানজিদের কথায় নিভে গেলো তেহভীন। পূনরায় বেডে বসলো। ফ্লোরে চোখ রেখে বলল,

— ব্রাদার ‘আমরা’ শুধুই বন্ধু। অন্যকিছু নয়।

তানজিদ ছোট করে হাসলো। এরপর বলল,

— ঠিক আছে যাও। ড্রাইভারকে সাথে নিয়ে যেয়ো।

তেহভীন আর এক মুহূর্ত বসে সময় নষ্ট করলো না।ফ্রেস হয়ে এসে ফরমাল ড্রেস আপ করে চটপট ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে গেলো। যেতে যেতে ভাবলো সিলিভিয়ার জন্য একটা উপহার কিনবে।

৩৯.

ড্যাবিয়ান যে আস্ত একটা ঝামেলা সেটা প্রসেসারের কক্ষ থেকে এবং ‘সাথের গেইট’ দিয়ে বের হওয়ার পর আন্দাজ করতে পেরেছে সিলিভিয়া। একদম নাছোরবান্দা হয়ে আছে,তাকে খাওয়াতে নিয়ে যাওয়ার জন্য।অথচ ক্যাডি আর আমারাও সাথে যেতে চাইছিলো।তাতে উত্তর দিলো, তার কাছে ডলার কম। আপাততে সে সিলিভিয়াকে খাওয়াতে পারবে।
সাউথ হল রোড দিয়ে হেঁটে আসছে চারজনে।পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পিচঢালা রাস্তা।।ক্যাডি আর আমারা ড্যাবিয়ানের সাথে ঝগড়া করছে। সিলিভিয়া নীরব থেকে তেহভীনের অপেক্ষা করতে লাগলো।আবার দেরী হয়ে যাওয়াতে আশা ছেড়ে দিলো। অনেকক্ষণ পর তারা তিনজন চুপ হলো।ড্যাবিয়ান সিলিভিয়ার পাশে এসে দাঁড়িয়ে বলল,

— ওরা খুব খারাপ সিলিইইভিয়া।

জবাবে স্মিত হাসলো সিলিভিয়া। ডরমেটরির কাছাকাছি চলে এসেছে তারা। সিলিভিয়া আর ড্যাবিয়ান পাশাপাশি টুকটাক কথা বলতে বলতে এগোচ্ছিলো।বিষয় ছিলো বাংলাদেশ সম্পর্কে। ড্যাবিয়ান খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে সিলিভিয়ার কাছ থেকে জানতে লাগলো। তখনি এ্যাশ কালারের একটা গাড়ি এগিয়ে আসলো,এমন ভাবে এগিয়ে আসলো যেটা দেখে ড্যাবিয়ান আর সিলিভিয়া ভয়ে আতঙ্কে দু’দিকে ছিঁটকে সরে দাঁড়ায়।

গাড়ির উইন্ডো গ্লাস নামার সাথে সাথে তেহভীনের মুখ দেখতে পেলো সিলিভিয়া। ফ্রন্ট সিটে বসে আছে। ড্রাইভিং সিটে একজন ড্রাইভার বসে আছে। তেহভীনের চোখমুখ কেমন যেনো শক্ত হয়ে আছে।সিলিভিয়ার তাই মনে হলো একটুর জন্য। তার ভাবনাকে মিথ্যে করে দিয়ে তেহভীন হালকা হেসে বলল,

— ব্যাকসাইডে উঠে বসো সিলভার।

তেহভীনের কথায় হালকা হেসে ক্যাডি আর আমারা থেকে বিদায় নিয়ে গাড়িতে বসলো সিলিভিয়া।ক্যাডি আর আমারা আগে থেকে অবগত ছিলো এ ব্যাপারে। সেজন্য তারা হাসিমুখে যেতে সায় দিলো সিলিভিয়াকে।মাঝখানে ড্যাবিয়ান বোকা হয়ে হা করে তাকিয়ে ছিলো।

চলন্ত গাড়িতে চুপচাপ বসে আছে সিলিভিয়া।উইন্ডো দিয়ে বাইরে পরিষ্কার সুন্দর রাস্তা,শফ,হাউজ সব সিলিভিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। মাঝেসাঝে তেহভীনকেও পর্যবেক্ষণ করছে সে। সিলিভিয়ার খারাপ লাগছে তেহভীনের আচরণে।মনে হচ্ছে তেহভীন তার উপর বিরক্ত। নাহলে নিশ্চয় আগের মতো হাসিখুশি ভাবে কথা বলতো। এখন অদ্ভুত ভাবে চুপ করে আছে সে।সিলিভিয়ার চোখ জ্বলতে লাগলো। একটু পর চোখ দিয়ে পানি চলে আসলো। টিস্যু দিয়ে বারবার চোখ মুছতে লাগলো। সিলিভিয়া মনে মনে গালি দিলো, ‘বেহায়া চোখ’।

গাড়ি গিয়ে থামলো ‘ফ্রী-হাউজ’ এর সামনে। তেহভীন সিট বেল খুলে গাড়ি থেকে নেমে গেলো।ব্যাকসাইডের দরজারটা খুলে হালকা ঝুঁকে সিলিভিয়ার দিকে তাকালো। সিলিভিয়া তখন তেহভীনের দিকে তাকালো।

— নেমে এসো সিলভার।আগে কিছু খেয়ে নিই।
তারপর কোথাও যাবো।

সিলিভিয়া চুপচাপ অপর পাশ দিয়ে নামলো। তেহভীন আর সিলিভিয়া পাশাপাশি হেঁটে এগিয়ে যেতে লাগলো। এই ফ্রি-হাউজে ইনসাইড এবং আউটসাইড দুই জায়গা বসে খাওয়া-দাওয়া করা যায়। ঠাণ্ডা বাতাসের সাথে আজ মেঘে ঢেকে আছে আকাশ।সুন্দর ওয়েদার উপভোগ করার জন্য বাইরে ছাউনি তলে রাখা চেয়ারে বসলো। সবুজ গাছগাছালি, প্রকৃতির মাঝে স্থানটা বেশ নিরিবিলি হওয়ায় সিলিভিয়ার ভালো লাগছে। তবে মুখে প্রকাশ করলোনা। মৌন থাকলো।

— সিলভার,কি খাবে বলো? অর্ডার করে আসি।

সিলিভিয়া ম্যেনুকার্ড দেখে বিড়ম্বনা পড়লো।কোনটা রেখে কোনটা অর্ডার দিবে।কোনটা সে খেতে পারবে।আর কোনটার স্বাদ কেমন।সব মিলে এলোমেলো দৃষ্টিতে ম্যেনুকার্ডে চোখ বুলাতে লাগলো।এতোদিন সহজলভ্য খাবারগুলো খেয়েছিলো সে। সিলিভিয়ার অবস্থা দেখে বলল,

— আমাকে দাও আমি অর্ডার করছি।

সিলিভিয়া চুপচাপ দিয়ে দিলো। তেহভীন দুই’পেজে চোখ বুলিয়ে চেয়ার থেকে উঠে বসলো। ভেতরে গিয়ে অর্ডার করে এসে পূনরায় সিলিভিয়ার সামনে বসলো।তেহভীন সরল কন্ঠে বলল,

— সিলভার,আমি কি কথা বলবো বুঝতে পারছিনা।একচুয়ালি কোন ট্রপিক নিয়ে বলবো সেটা নিয়ে কনফিউজড,তুমি শুরু করো।এভাবে চুপ থেকো না।

সিলিভিয়া তেহভীনের কথার পিঠে বলল,

— আমি যখন খুবই বিরক্তবোধ করি তখন আমার চোখে প্রচণ্ড ঘুম আসে।আপনি কি করেন?

সিলিভিয়ার কথায় শান্ত চোখে তাকালো তেহভীন।এরপর আশেপাশে চেয়ে বলল,

— চুপ থাকি অথবা কথা কম বলি।

তেহভীনের সরল মনের স্বীকারোক্তি শুনে মনক্ষুণ্ন হলো সিলিভিয়ার। কথাটা কি অন্যভাবে বলা যেতো না? আচ্ছা ঠিক আছে এটাই শেষবার। আর কথা না হোক আমাদের।

সিলিভিয়া চোখে হাসলো। তন্মধ্যে সার্ভিসম্যান এসে খাবার সার্ভ করলো। চিকেন উইংস,সুইট ফটেটো ফ্রাইস,গ্রিলট ব্রাসেল স্প্রাউট,দু’গ্লাস মারগারিটা নামক সাদা রঙের ঠাণ্ডা পানীয়জল।

—সিলভার,এম.পিল করার পর কি করবে ভাবছো?

সিলিভিয়া জবাবে বলল,

— ভাবছি এখানে সেটেল্ড হয়ে যাবো।
ম্যারেজ,জব, ফ্যামেলি প্ল্যানিং আপাততে এসবের
চিন্তাভাবনা মাথায় ঘুরছে।

সিলিভিয়ার কথায় হেসে দিলো তেহভীন।
তারপর বলল,

— তুমি ম্যারেজের প্ল্যানিং করতে চাইছো।
আর আমি ম্যারেজ নামক রিলেশন থেকে ভাগছি
গত একবছর ধরে। ড্যাড,তো আমাকে পারলে এখনি ম্যারেজ করিয়ে দিবেন।

— তো করছেন না কেন? আঙ্কেল নিশ্চয়
ভালোটাই করবেন।

— হ্যাঁ, ভালো করছেন তাই আমি এনগেজড।

তেহভীনের কথায় সিলিভিয়া খুকখুক করে কেশে উঠলো। পানীয়জল নাক দিয়ে বের হয়ে গেলো।বিস্মিত চোখে তেহভীনের দিকে চেয়ে বলল,

— আপনি এনগেজড?

— ইয়েস! তুমি দাঁড়াও তোমাকে ছবি দেখাচ্ছি।

সিলিভিয়ার আর কিছু বলতে পারলো না। কন্ঠনালি স্তব্দ হয়ে বসে আছে। কান্নার করুন সুর উপচে পড়তে চাইছে তার। নিরুপায় সিলিভিয়া নিজেকে থামানোর প্রচেষ্টায় আঁড়ালে গভীরভাবে শ্বাস নিতে লাগলো। তারপরের সময়টা ঘোরের মধ্যে দিয়ে গেলো সিলিভিয়ার। তেহভীন অনেকগুলো ছবি দেখিয়েছে। সিলিভিয়ার চোখে শুধু ক্যাথরিন নামক মেয়েটির শ্বেতবর্ণ রূপ ধরা পড়েছে। হাহ, আমি সৌন্দর্যের ডেফিনেশন বুঝি না। দুনিয়ার সব মানুষ এক।সুন্দরের মোহে আচ্ছন্ন। তেহভীন নিজেও সুন্দরী মেয়েকে বিয়ে করবে।আর আমি? আমি কার অপেক্ষায় আছি? শুধু শুধু রামিশকে কষ্ট দিয়ে এসেছি। আমার উচিত এখন রামিশকে আনব্লক করে কথা বলা। তাকে অপেক্ষা করতে বলবো।

নিজের সাথে কথাগুলো শেষ করে সিলিভিয়া আধখাওয়া খাবারের দিকে চেয়ে বলল,

— চরম শিক্ষা হয়েছে আমার।
এসব ফিরেঙ্গি ছেলে আমার জন্য নয়।
আমার দেশের ছেলেই আমার জন্য ফারপেক্ট।

তেহভীন খাওয়ার ফাঁকে সিলিভিয়াকে দেখছিলো। অদ্ভুদ ক্ষমতা আছে তার।চোখ আর মুখভঙ্গি দেখলে সে বুঝতে পারে কার মনে কি অভিসন্ধি তাকে নিয়ে।
কেমন ছটপট করছে ‘সিলভার’। দেখেই বুঝা যাচ্ছে। তেহভীন নিজেও চাইছিলো না সিলিভিয়াকে কষ্ট দিতে। কিন্তু আশা দিয়ে কাউকে অপেক্ষায় রাখাটাও অন্যায়।সেই অন্যায় তেহভীন করতে চাইছেনা। পরে কষ্ট পাওয়ার চেয়ে এখনি কষ্ট পেয়ে নিক। পরে হালকা হয়ে যাবে।
তেহভীন সিলিভিয়ার দিকে চেয়ে মনে মনে বলল,

— তোমাকে আমার ভীষণ পছন্দ সিলভার।
কিন্তু আমি নিরুপায়। তোমাকে কষ্ট দিতে চাই না।
একটু বুঝো আমাকে।

সিলিভিয়ার ক্ষণিকের অচল মস্তিষ্ক সক্রিয় হয়ে একটা কাজ করে ফেললো। ফোন বের করে রামিশের সাথে তুলা কয়েকটা ছবি স্ক্রিনে আনলো।
আজ যদি কাজটা না করে তাহলে নিজের কাছে নিজেই ছোট হয়ে যাবে সে। সিলিভিয়া ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটিয়ে তেহভীনের দিকে চেয়ে বলল,

— লুক হি ইজ মাই লাইফপার্টনার।

সিলিভিয়ার ফোনের স্ক্রিনে দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখে তেহভীন হাসলো। এবং বলল,

— ছেলেটা তো তোমার ফ্রেন্ড।মিথ্যা বলছো
কেন সিলভার?

তেহভীনের কথায় সিলিভিয়া থমথম খেয়ে যায়।চোখমুখ কুঁচকে চেয়ে থাকলো তেহভীনের দিকে। তেহভীনের ঠোঁটের কোণে দূরন্ত হাসির আভাস। যেনো সিলিভিয়ার কথার পিঠে উচিত জবাব দিতে পেরে ধন্য হতে পেরেছে সে।অগত্যা সিলিভিয়া বলে উঠলো,

— আমার কান্ট্রিতে ফেরার পর আমরা বিয়ে করবো।এডভান্স ইমভাইটেশন ফর ইউ।

তেহভীন তীর্যকপূর্ণ দৃষ্টিতে চেয়ে জবাবে নিগূঢ় হাসলো।
খাওয়া শেষ হলো। ফ্রী-হাউজ থেকে বের হয়ে ‘কলেজ রোড’ দিয়ে নীরবে হাঁটতে লাগলো দুজনে। মুখে কোন কথা নেই। কলেজ রোড ধরে বাঁ দিকে ‘ডোরেন্ট রোড’ দিয়ে হেঁটে ‘কাপ্পা আলফা থেতা’ এসে থামলো। স্ট্রিট ভিউ ভীষণ সুন্দর, তাই মুগ্ধ হয়ে সিলিভিয়া আশেপাশে দেখতে লাগলো। তেহভীন চুপচাপ সিলিভিয়া চুলের দিকে তাকিয়ে থাকলো। এই চুল ভীষণ পছন্দের তেহভীনের।

(চলবে)

দেরী হওয়ার জন্য দুঃখীত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here