লাভ রেইন পর্ব-১

0
5379

#লাভ_রেইন
#তারিন_জান্নাত
#পর্বসংখ্যাঃ০১

১.
নিরিবিলি রাস্তায় সাদা শার্ট পরিহিত দু’জন ছেলেকে ড্রামভর্তি পানি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চমকে গেলো সিলিভিয়া। এই এলাকায় সে রোজ আসে। এ রাস্তা দিয়ে হেঁটে সে রোজ টিউশনিতে যায়। কিন্তু এমন দৃশ্য চোখে পড়েনি।আজ প্রথম দেখলো। সিলিভিয়ার কপালে সূক্ষ্ম ভাঁজ ফুটে উঠে, সাথে একরাশ কৌতূহলও।কে ছেলেগুলো?কি করতে চাইছে? এমন প্রশ্ন মস্তিষ্কে ঘুরপাক খেতে লাগলো।

তন্মধ্যে লম্বাটে দেহের ছেলেটা চট করে পেছনে তাকিয়ে, তড়িৎ গতিতে মাথা ঘুরিয়ে পূর্বের মতো সামনের দিকে তাকিয়ে রইলো। সিলিভিয়া ছেলেটার মুখ ভালো করে দেখতে পারেনি। তবে ছেলেটির ডান গালের ধবধবে সাদা চোয়ালটা একটুর জন্য চক্ষুগোচর হয়। সাদা শার্টের হাতা গুটানো।কালো প্যান্ট টাখনুর উপর গুটানো।এমন বেশভূষায় কোন ছেলেকে এই এলাকায় দেখেছে বলে মনে হচ্ছে না সিলিভিয়ার।

কৌতূহল নেভাতে ঝটপট এগিয়ে যেতে লাগলো সিলিভিয়া। ছেলেগুলোর কাছাকাছি গেলো,হঠাৎ দু’জনে ড্রাম হাতে তুলে পানি ঢালার ভঙ্গিতে উপুর করে সিলিভিয়ার দিকে তাক করলো। আচম্বিত হয়ে ধপাস করে রাস্তায় বসে পড়লো সিলিভিয়া। চোখমুখ কুঁচকে শরীর গুটিয়ে ফেললো,এই বুঝি ড্রামের সব পানি তার গায়ে এসে পড়লো। সিলিভিয়াকে দেখে হাতের খালি ড্রামটা ফেলে দিলো রাদিফ।আতঙ্কিত স্বরে বলল,

— আম স্যরি, আম স্যরি সিলি আপু। আমি জানতাম না তুমি আসবে।আমার খেয়াল ছিলো না।তোমার তো আজ বিকেলে আসার কথা ছিলো।

সিলিভিয়া রোষাগ্নি চোখে তাকালো রাদিফের দিকে।যেনো চোখের অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে জ্বালিয়ে দিবে। এরপর বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো, কাপড়ে ময়লা ঝাড়তে লাগলো। রাদিফের দিকে তাকিয়ে পাশে থাকা অচেনা,অপরিচিত যুবকটির দিকে আপাদমস্তক তাকিয়ে রাদিফের দিকে চেয়ে বলল,

— এটা কি ধরণের অসভ্যতামি রাদিফ? তোমার আম্মুকে বলবো? এরকম বেয়াদব তো তুমি ছিলে না।আজ এটা কি করতে যাচ্ছিলে।”
বলেই সিলিভিয়া রাস্তার ধারে পড়ে থাকা ফাঁকা ড্রামটির দিকে তাকালো।এতবড় ধোঁকা জীবনেও খায়নি সে।একটুর জন্য সে ভেবেই নিয়েছিলো আজ সে ভেজা অবস্থায় জবুথবু হয়ে বাড়ি ফিরবে।

রাদিফ ভয়ে আতঙ্কে মিঁইয়ে যাওয়া চেহারা নিয়ে একবার পাশে থাকা যুবকটির দিকে তাকালো। যুবকটি কেমন ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।যেনো সে তাদের কথার অর্থ বুঝতে পারছেনা।রাদিফ নিভু নিভু স্বরে বলল,

— সিলি আপু আর হবেনা এমনটা।তেহভীন ভাইয়ার প্র্যাঙ্ক করতে মন চাইছিলো।ওই যে দেখো ক্যামেরা।

সিলিভিয়া তীর্যকপূর্ণ চাহনিতে একবার ক্যামেরার দিকে,আরেকবার সামনে অতিভদ্র বেশে দাঁড়ানো ফরেনারের মতো দেখতে ছেলেটির দিকে তাঁকালো।
ছেলেট কি বোবা?
এতক্ষণে একটা ওয়ার্ড অন্তত খরচ করে আমাকে ‘স্যরি’ বলতে পারতো। বলল না তো,নাকি তার ইগু বেশি?’সিলিভিয়া রাদিফের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়লো,

— আমি যে আসছি সেটা তুমি দেখোনি?

— আমি তাকাতে চেয়েছিলাম।ভাইয়া তাকাতে দেয়নি সিলি আপু।

— কিভাবে বলেছে? আমি তো শুনিনি।

— ফিসফিস কন্ঠে বলছিলো তাই শুনোনি।প্লিজ
আপু আম্মুর কানে তুলিও না।আমাকে বকবে।

সিলিভিয়া পূনরায় গম্ভীর চোখে তেহভীনের দিকে তাকালো। ছেলেটি কে?’ সেটা জানার প্রবল আগ্রহ মনে জাগলেও সেটা ধামাচাপা দিয়ে চুপচাপ সামনের দিকে পা বাড়ালো। কর্ণকোহরে একটা শান্ত পুরুষ্টু কন্ঠস্বর ভেসে আসলো,

— হুয়াট ডিড দ্যা গার্ল স্যেয় রাডিফ?

রাদিফ খাঁটি বাংলায় উত্তর দিলো,
— ধুর বাল। কোন আক্কেলে যে তোর সাথে
প্র্যাঙ্ক-ম্র্যাঙ্কের ফাঁদে পা দিলাম কে জানে। শালা,খবিশ।

—রাডিফ! ইউ ইউসড ইনফরমাল ওয়ার্ড’স উইথ মি।

রাদিফ হকচকিয়ে যায় তেহভীনের কথায়।ডানে বামে মাথা নেড়ে অপরিপক্ক ভাবে বলল,

— নো নো ব্রাদার।আম নট ইউসড ইনফরমাল ওয়ার্ড। সিলি আপু ইজ আওয়ার হোম টিউটর।

তেহভীন ছোট করে হেসে বলল,

— সিলি অর চিলি,উইচ ওয়ান?

—কোনটাই না,আপুর নাম সিলিভিয়া!

তেহভীন রাদিফের থেকে চোখ সরিয়ে সোজা সদূরে তাকালো। সিলিভিয়ার ব্যাকসাইডে হাঁটু বরাবর লম্বা চুলের ঝুলন্ত বেণুনি চক্ষুগোচর হয় তেহভীনের। চোখ সরিয়ে রাদিফের দিকে ফের তাকালো, পূর্বের
ন্যায়ে বলল,

— তোমরা বেংলাডেশের মানুষ অদ্ভুদ!

রাদিফ সন্দিগ্ধ সুরে বলল,

— তেহভীন ব্রো,তোমার মাথায় এই প্র্যাঙ্কের বুদ্ধি কোথায় থেকে এসেছে বলো তো?তুমি তো আগে এসব করতেনা। সকাল থেকে আমাকে জ্বালিয়ে মারছো।

— ভিডিও দেখেছিলাম এমন একটা প্র্যাঙ্কের।তোমাদের কান্ট্রিতে এসে তোমাকে পেয়ে ভাবলাম তোমার সাথে একবার ট্রাই করি। সেভেন্টি পার্সেন্ট সাকসেস কিন্তু পেয়েছি।

রাদিফ তেহভীনের হাত ধরে বলল,

— বুঝেছি, ভাইয়া বাসায় চলো। আমাকে পড়তে বসতে হবে।

— তুমি যাও রাডিফ,আমি একটু ঘুরাঘুরি করি।

— আল্লাহর ওয়াস্তে চলো,এখানে তুমি ঘুরাঘুরির বদলে কোন জগতে চলে যাবে সেটার খেয়াল থাকবে না তোমার।পরে ফুফি আমাদের কাউকে ছাড়বেনা।চলো।

রাদিফ মানলোনা,তেহভীনের বলিষ্ঠ স্ব-শরীর টানতে টানতে বাসার দিকে পা বাড়ালো। তার মতো একটা ক্লাস টেন পড়ুয়া পিচ্চি ছেলে এত বড় দামড়া ছেলেকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।ভাবতেই গর্বে রাদিফের বুক ফুলে ফেঁপে উঠছে। তেহভীন চুপচাপ এগিয়ে যেতে লাগলো। নিজের কান্ট্রি হলে সে পুরো এলাকা চষে বেড়াতো।কিন্তু আফসোস,এটাতো বেংলাডেশ।আমার মায়ের কান্ট্রি।সো,এখানে এটা চলবে না।

পায়ের জুতা জোড়া বাইরে রেখে লিভিংরুমে প্রবেশ করলো সিলিভিয়া।সামনে এগোতেই তখনি কিছু নতুন মুখের প্রদর্শন হয়। সম্পূর্ণ অচেনা,অপরিচিত হওয়ায় সিলিভিয়া সামনে এগোতে বিব্রতবোধ করে।
রাদিফের মা-কে ও দেখা যাচ্ছেনা।নাহলে সিলিভিয়া অন্য কোথাও বসতো। রাদিফ আর রাইসাকে সে লিভিংরুমে বসে পড়ায়। সিলিভিয়া চায়না আলাদা রুমে গিয়ে পড়াতে।যদি পড়ায় হয়তো গার্ডিয়েনকে আলাদা রুমটায় এসে কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর চ্যাকিং দিতে হবে।যেটা মোটেও সিলিভিয়ার ভালো লাগে না। সে কারো অভিযোগ সহ্য করতে পারে না। স্বাধীনভাবে পড়াতে চায়।

সিলিভিয়াকে দেখে আগুন্তকঃ পুরুষটি বলল,

— টামান্না, তোমার আন্টি ডেকে দাও।

টামান্না নামের মেয়েটি তৎক্ষণাৎ সোফা ছেড়ে বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো। মাঝখানে ফোনে চোখ নিবদ্ধ রাখা মহিলাটিও চোখ তুলে সিলিভিয়ার দিকে তাকালো। সিলিভিয়াকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে জিজ্ঞেস করলেন,

— তুমি কে? চিনলাম না তো?

সিলিভিয়া জবাব পেশ করতে যাবে তার আগে রাদিফের মা রুবাইয়াত রহমান এগিয়ে আসতে আসতে বললেন,

— সিলি! এসেছো তুমি? খুব দুঃখীত তোমাকে সকালে আসতে বলার জন্য।আসলে বিকেলে আমাদের আউটিং এর প্ল্যান আছে।তাই তোমাকে সকালে আসতে বললাম।তুমি রাদিফের রুমে গিয়ে বসো আমি ওদের দু’জনকে ডেকে আনছি।

বলেই উনি অন্য একটি রুমে ঢুকে পড়লেন। সিলিভিয়া তখন সোফায় বসে থাকা মহিলাটির দিকে চেয়ে মৃদু হেসে সালাম দিলো। মহিলাটিও হেসে সালামের উত্তর দিয়ে বলল,

— তুমি তাহলে রাদিফ-রাইসাকে পড়াও?

— জ্বী আন্টি!

— আচ্ছা ঠিক আছে যাও এখন।

সিলিভিয়া রাদিফের রুমের দিকে পা অগ্রসর করলো। তখন সোফায় বসা মহিলাটিকে বলতে শুনলো,

— তামান্না তেহভীন কোথায়?

— আই ডোন্ট নোউ মম!

ওহ! তাহলে মেয়েটির নাম তামান্না। আর ফিরেঙ্গি লোকটা তামান্না কে ‘টামান্না’ বলে ডাকে। আর ওই ছেলেটাকে? তাকে কি ‘টেহভীন’ ডাকে। হাউ রিডিকিউলাস।সিলিভিয়া আপন মনে নিজের সাথে কথা বলতে বলতে রাদিফের রুমে গিয়ে জানালার ধারে পড়ার টেবিলের নিকটে গিয়ে চেয়ারে বসলো।

রাদিফ তেহভিনকে নিয়ে লিফট থেকে বের হলো।দরজার সামনে এসে হঠাৎ তেহভীন থেমে যায়। রাদিফ পেছনো ফিরে তাকালো। তেহভীন শান্তভাবে হেসে বলল,

— রাডিফ,তুমি যাও, আমি একটা কল
এ্যাটেন্ড করে ফিরছি।

রাদিফ তেহভীনের হাত ছেড়ে দিলো। মাথা নাড়িয়ে ভেতরে প্রবেশ করলো। তেহভীন আশেপাশে সতর্ক দৃষ্টিতে তাঁকালো। পরবর্তী দৃষ্টি ছুঁড়লো নিচে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকা কুচকুচে কালো লেডিস-সু জোড়ার দিকে। নিচের ঠোঁট কামড়ে তাকিয়ে রইলো একটু। এরপর একটা ‘সু’ পা দিয়ে ঠেলে ঠেলে জুতা রাখার রেকের পেছনে স্বযত্নে পাঠিয়ে দিলো। একলা পরে থাকা সু – টার দিকে চেয়ে বলল,
— আই ডিড নাথিং,আই এ্যাম ভেরি ইনোসেন্ট বয়!

২.
বেলা দশটায় চোখের ঘুম হালকা হতেই,কোমড়ে নিচের অংশে চিপচিপে ভেজা অনুভব করলো জুলিয়া। মস্তিষ্ক সংকেত দিলো সে আবারও বিছানায় প্রস্রাব করেছে। তৎক্ষনাৎ লাফিয়ে চোখে মেলে উঠে বসলো সে। বিছানা থেকে নামতেই দেখলো ভিজে আছে।এবং নীল রঙা বেডকভারে ভেজা অংশ স্পষ্ট দৃশ্যমান। চোখমুখের অবস্থা করুন করে ফেললো জুলিয়া। আজ সহ চারদিন ধরে সে লাগাতার বিছানা নষ্ট করে যাচ্ছে।বিশ বৎসর জীবনে সে কখনো বিছানাতে প্রস্রাব করেনি। একুশে পা দেওয়ার পর পর এমনটা হচ্ছে।সমস্যা টা কোথায় বুঝতে পারছেনা।পানি কম খাচ্ছে,যতক্ষণ পর্যন্ত জেগে থাকে ততক্ষণে প্রস্রাব করছে। তারপরও কেন এমন হচ্ছে।লজ্জায় কাউকে বলতে পারছেনা।আর না ডাক্তারের কাছে যেতে।

সায়মন দু’থলে বাজার নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করলো। দু’তলেতে সমান বাজার।একটা থলে সায়মন তার মা রুজিনাকে ডেকে দিলো।অন্যটা দেওয়ার জন্য জুলিয়াকে ডাকলো।কিন্তু জুলিয়ার কোন সারা শব্দ নেই। ফলস্বরূপ বাজারের তলেটা সে নিজ হাতে নিয়ে জুলিয়ার রাঁধুনিঘরে রাখলো। রুজিনা এক গ্লাস পানি এনে ছেলের হাতে দিলো।স্মিত হেসে সায়মন বলল,

— মা আজ ইলিশ এনেছি।ইলিশ পোলাও করো।

রুজিনা আমতা আমতা করে বলল,
— তোর বউ? সে যদি আবার রাগে?

সায়মন দু’দিকে মাথা বলল,
— ওর রাগে আমার কিছু যায় আসেনা মা।
আমি তোমার হাতে রান্না খাই। সে হাঁড়ি আলাদা
চেয়েছিলো,পেয়েছেও। আমি কোথায় খাই, না খাই
সেটা দেখার বিষয় তার নয়।

সায়মান রুমে চলে আসলো। দেখলো জুলিয়ে সোফায় গুটিসুটি মেরে বসে আছে। সায়মনের চোখ বিছানায় গড়িয়ে পড়লো। মুখমণ্ডল স্থিরপূর্ণ রেখে বলল,

— কি ব্যাপার,আজো বিছানার চাদর পাল্টেছো?

জুলিয়া এদিক-ওদিক চোরা দৃষ্টি ছুঁড়ে বলল,

— জুহান বিছানায় হিসু করেছে।

সায়মন বিরক্ত হয়ে বলল,
— বস্তা বস্তা ডায়পার আনছি কারজন্য?
তুমি পড়ার জন্য?

অন্যসময় হলে জুলিয়া রেগে,তেতে,ক্রুদ্ধ হয়ে যেতো।আজ রাগলোনা।বরং বুদ্ধি কাটিয়ে সন্তপর্ণে সায়মনকে বলল,

— আমাদের সাইজের ডায়পার আছে?আসলে আমার অনেকদিনের শখ বড় ডায়পার পড়বো।
আছে? আনবে আমার জন্য?

সায়মন পকেটের ওয়ালেটটা বালিশের নিচে রাখতে রাখতে বলল,

— আমার একটা মাত্র বউ। গোল্ড,ডায়মন্ড তো চায়নি।একটা ডায়পার পড়তে চেয়েছে।সে শখ ও আমি পূর্ণ করবো না?

সায়মন শুয়ে পড়লো। বাইরে আজ ডিসেম্বরের রেইন হচ্ছে। কনকনে ঠাণ্ডায় দোকানে যেতে ইচ্ছে করছেনা সায়মনের,লস হলে হোক। বিছানায় শায়িত থেকে একমাত্র বোনটি টিউশন থেকে ফিরছে কি-না দেখতে চাতক পাখির ন্যায় দরজার দিকে চেয়ে থাকলো।

৩.
দুই ঘন্টা পর রাদিফ-রাইসাকে পড়ানোর শেষ করে বের হলো সিলিভিয়া। দরজার বাইরে পদযুগল রাখতেই কপালে সূক্ষ্ম ভাঁজ তুলে চারপাশে চোখ বুলালো। নিজের মধ্যে একটু ধৈর্য ধারণ করে আশে পাশে নজর দিলো। জুতা একটা আছে অন্যটা গায়েব।আশ্চর্য!

–এটা রাদিফের সাইবেরিয়ান হাসকির কাজ নয়তো?

আপনমনে কথাটা বলে হঠাৎ দেখলো রেকের পাশে অবহেলায় জুতাটা কাত হয়ে শুয়ে আছে।এবার নিশ্চিত হয় সিলিভিয়া।কাজটা হাসকি-ই করেছে। মুখের মধ্যে জুতা নিয়ে সে এদিক-ওদিক ছুঁড়ে।এটা সিলিভিয়ার ধারণা।নিজ চক্ষে কখনো দেখেনি।আন্দাজে বলল।
জুতা জোড়া পায়ে পড়ে এ্যাপার্টমেন্ট থেকে বের হয় সিলিভিয়া।বাইরে প্রচুর ঠাণ্ডা, কুয়াশাচ্ছন্ন, বৃষ্টিতেও আচ্ছন্ন। কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে প্রকৃতির এই দশা।ছাতাটা ও সঙ্গে রাখেনি।এই বৃষ্টি শরীরের সংস্পর্শে আসলে নির্ঘাত তুমুল শরীর খারাপ বাঁধিয়ে ফেলতে পারি।সো,নো রিস্ক!

#লাভ_রেইন
#তারিন_জান্নাত
#পর্বসংখ্যাঃ০১

আসসালামু আলাইকুম!
নতুন গল্প হাজির।এখন সবাই তাড়াতাড়ি বলুন কেমন হয়েছে।ভালো না হলেও বলুন।আমি আর সামনের দিকে আগাবো না।প্রথম পর্বের পর আর পাবলিশ করবোনা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here