লাভ রেইন পর্ব-৩০

0
1928

#লাভ_রেইন
#তারিন_জান্নাত
#পর্বসংখ্যাঃ৩০

৭৭.
ক্যাম্পগ্রাউন্ড প্লেসটা যেহেতু পাহাড়ের উপরে, সে অনুযায়ে আগে থেকে কি করবে না করবে তার প্রস্তুতি নিয়েই এসেছে তেহভীন। ক্রিকেট খেলার জন্য বেট-বল,তারপর বেডমিন্টন খেলার জন্য কক-বেট, ইত্যাদি সামগ্রী সব আলাদা একটা বেগে করে নিয়ে এসেছে তানজিদ। তানজিদ আর তেহভীন দু’ভাই মিলে টুকিটাকি জিনিসগুলো বের করছে। এলসা আর সিলিভিয়া পাশাপাশি বসে তাদের কাজ দেখছে। রাত নামার সাথে সাথে শীতের আমেজটা হঠাৎ বেড়ে গিয়েছে। কাপল শুধু তারা নয়,আরো অনেকে এখানে এসেছে। তাদের পর পর বাকিরা এসে এখানে তাঁবু বসিয়েছে। সিলিভিয়া বারকয়েক পলক ফেলে আশেপাশে তাঁকালো। মনে হচ্ছে কেউ তার দিকে অতি ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে চেয়ে আছে।

সিলিভিয়া সেটাকে তেমন পাত্তা দিলো না। এলসার সাথে আলাপে মত্ত হয়ে গেলো। অনেকক্ষণ পর তেহভীন আর তানজিদ বেডমিন্টন খেললো। মাপ আর কোর্ট ছাড়া মাঝখানে নেট টাঙানো। সিলিভিয়া এবার তেহভীনের খেলায় মনোযোগ দিলো। ইচ্ছে করেই তানজিদকে নানা ভাবে হয়রান করছে তেহভীন। বড় ভাই হওয়ার কারণে সহ্য করছে হাসিমুখে। তানজিদের অসহায়’করুণ মুখ দেখে তেহভীন আমোদিত হয়ে হাসছে। তেহভীনের হাস্যময় মুখ দেখে সিলিভিয়ার ঠোঁটেও হাসি ফুটে উঠলো। টার্ন আসলো তানজিদ আর এলসার। সে উঠে গিয়ে অনেক্ষণ খেললো। আশেপাশে কয়েকজন ছেলে তাদের খেলা দেখে এগিয়ে এসে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করলো। ব্যস,এতেই সকলে সশরীরে এসে খেলায় যোগদান করলো।তন্মধ্যে সবচেয়ে মস্তবড় যে ভুলটা তানজিদ করলো সেটা হলো সে এতক্ষণ উইথআউট মাস্কে ঘুরাঘুরি করছিলো।আর সেজন্য সেখানে উপস্থিত ব্রিটিশ আমেরিকান দুই-তিনজন মেয়ে তাঁকে চিনে ফেললো। পড়লো সে বড়সড় ফ্যাসাদে। কখনো অটোগ্রাফ,তো কখনো পটোগ্রাফ দিতে হচ্ছে। তবে তারা এতোটাও বিরক্ত করছেনা তানজিদকে। কিন্তু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা তেহভীন তানজিদের অবস্থা দেখে বেশ হাসতে লাগলো। দু’পা পিছিয়ে যেতে যেতে নিজের হাসিটা বজায় রাখলো। কিঞ্চিৎ সময়ের জন্য পুরুষ্ট চোখজোড়া ভিজে আসলো তেহভীনের। ভাগ্যিস,তার রিলিজ হওয়া মুভির পর সে কখনো মিডিয়া বা ক্যামরার সামনে এসে নিজের পরিচয় পেশ করেনি।করলে হয়তো তার জন্য অনেক সমস্যায় পড়তো। ড্যাড জেনে যেতেন,এবং কষ্ট পেতেন। পেছাতে পেছাতে একদম পাহাড়ের কিনারায় চলে আসলো তেহভীন। আর এক’পা পিছুলেই সোজা আঁধার রাতের নিকষ কালো সমুদ্রের তলায় মিলিয়ে যাবে।
তেহভীন তার সশরীর ঘুরিয়ে সমুদ্রের দিকে ফিরে দাঁড়ালো। এরপর ঘাসের উপর বসে পড়লো। সিলিভিয়া চাপা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। তেহভীনের হয়তো মন খারাপ হয়ে গেছে এখন। নাহলে এভাবে সবার থেকে দূরে গিয়ে বসে থাকতো না।সিলিভিয়া পায়ে পায়ে এগিয়ে তেহভীনের পেছনে দাঁড়ালো। আলতো করে তেহভীনের কাঁধ স্পর্শ করলো। তেহভীন সিলিভিয়ার উপস্থিত পেয়েও চুপ থাকলো। তেহভীনের ব্যাকসাইডে দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখে বলল,

— সবার সব স্বপ্ন পূরণ হয়না তেহভীন।
আবার কারো স্বপ্ন লক্ষ্যের কাছাকাছি গিয়েও ভেঙে
যায়।তুমিও তাদের মতো একজন। যা পেয়েছো,তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকো! প্লিজ?”

কাঁধে থাকা হাতটার উপর তেহভীন নিজের হাতটা রেখে বলল,

—- সিলভার,তুমি যাও এখন। আমার কথা বলতে
ভালো লাগছে না।

সিলিভিয়া কাঁধ থেকে হাত সরালো। এরপর নিঃশব্দে সরে গেলো তেহভীনের পেছন থেকে। সবার দিকে দৃষ্টি রেখে সিলিভিয়ার লোভী মনটা সিঁড়ির দিকে যাওয়ার জন্য আনচান করতে লাগলো। নিচে খুব সুন্দর লাইটিং করা হয়েছে। যাতে দর্শনার্তীদের রাতের অপরূপ দৃশ্য দেখতে পারে। গায়ের সুয়েটরটা ঠিক করে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে লাগলো। বালুচরের সৌন্দর্যটা যেমন দৃষ্টি কেঁড়ে নিচ্ছে,সমুদ্রের জলরাশির উথাল-পাতাল ঢেউয়ের শব্দ কানে ঝংকার তুলছে। কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে একাকী নেমে এলো বিচের কাছে। বিকেলবেলা সমুদ্রের পানি দেখতে নীল ছিলো,আর এখন কালো, সূর্য উদয়ের সময় নিশ্চয় তখন লাল অথবা কমলা রঙের দেখাবে।

মিনিট পনেরো অতিক্রম করার পর তেহভীন নিজের স্বাভাবিক রূপটা ফিরে পেলো। একটু আগের মনঃক্ষুণ্ন ভাবটা ঘায়েব হয়ে গিয়েছে। তেহভীনের যখনই ভাবে তার ড্যাডের কথা উপেক্ষা করেই সে হলিউডের কাজে ফিরে যাবে তানজিদের মতো। তখনই তার ড্যাডের মুখটা ভেসে উঠে। মনে হলো ড্যাডের মিডিয়াতে আপত্তি থাকার কারণটা সিলিভিয়াকে বলে দিলে হয়তো শান্তি পাবে। তাই তেহভীব দৃঢ়ে দৃঢ়ে বলতে লাগলো,

— জানো সিলভার,আমার ড্যাডের প্রথম ওয়াইফ আমার মম নয়।লস এঙ্গেলসের সবচেয়ে সুন্দরী অভিনেত্রী লিউসাক ম্রিডেল। তখনকার সময়ে বেশ জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। ভাগ্যক্রমে ড্যাডের সাথে উনার প্রেম হয় তারপর বিয়ে। উনার এই অভিনয় জগতে করা অনেক রকমের অনৈতিক কাজের কথা ড্যাড জানতেন না।ড্যাড নিজের পেশাগত জীবনে অনেস্ট ছিলেন।কিন্তু একদিন যখন উনার এক্স ওয়াইফের সম্পর্কে জানলেন,তখন মনটা খুব ভেঙে যায় উনার।ড্যাড চেয়েছেন উনার এক্স ওয়াইফকে পাপের পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে,কিন্তু ম্রিডেল আর ফিরে আসেন নি, ড্যাডের সাথে উনার ডিভোর্স হয়ে যায়।দ্যান, মম আর আমরা আসলাম।কিন্তু হলিউড জগতের প্রতি নেতিবাচক ধারণটা ড্যাড আর বদলাতে পারলেন না। আমাদের বাঁধা দিতে লাগলেন। আমি নিজেকে সামলালেও, ব্রাদার পারেনি।

তেহভীন কথাটা বলে থামলো,মৃদু হাসলো। পেছন ফিরে সিলিভিয়ার দিকে তাঁকালো। কিন্তু পেছনে ফিরতেই তার ভ্রূ জোড়া কুঁচকে গেলো সিলিভিয়াকে না দেখে।তেহভীন এবার আশেপাশে, সামনে,তানজিদ আর এলসার দিকে তাঁকালো,তাদের কারো পাশে সিলিভিয়া নেই।চট জলদি বসা থেকে দাঁড়িয়ে গেলো। দৃষ্টি ছুঁড়লো স্টেইরওয়ের দিকে। ওখানটা ফাঁকা। নিচের দিকে তাকালো,কিন্তু এতো উঁচু থেকে নিচে কারো উপস্থিতি টের পাওয়া দুষ্কর। তেহভীন প্রচণ্ড উৎকন্ঠিত হয়ে দ্রুতপায়ে নিচের নামার উদ্দেশ্যে পদযুগল বাড়ালো।

৭৮.

সিলিভিয়া একদম রেয়েশ পয়েন্টের লাইটহাউজের কাছে চলে গেলো। এখানেও অনেক মানুষজন রয়েছে। এতক্ষণ ধরে যে লাইট দেখা যাচ্ছিলো, সেসব লাইটের মূল কেন্দ্রবিন্দু এই লম্বা টাওয়ারের ন্যায় দেখতে ‘কেপ চুড লাইটহাউজ’। সাদা রঙের একটা টাওয়ার এবং লাইটহাউজ। স্টেইরওয়ে থেকে পাহারের কোল ঘেঁষে থাকা রাস্তাটিতে দাঁড়িয়ে থাকলো সিলিভিয়া। আর দশ কদম সামনে উপর-নিচ এগুলেই ধু ধু বালুচর,তার আরো দশ কদম সামনে সমুদ্রের জলরাশি।উপর থেকে মনে হয়েছিলো খুব কাছে,এতোটা পথ নেমে আসার পর সিলিভিয়া বুঝলো সে আর নামতে পারবে না। পা ব্যাথা করছে এখন। সিলিভিয়া যেখানে দাঁড়িয়ে আছে তার ঠিক ডানপাশে খুব সুন্দর ছোটখাটো ফুলের বাগান রয়েছে। ফুলগুলোর রঙ লাল।কিন্তু আপাতত সিলিভিয়ার দৃষ্টিগোচর হলো চকচকে সাদা রঙের লম্বাটে চেয়ারটি। সিলিভিয়া এগুলো চেয়াটির ধারে, তৎক্ষনাৎ সজোরে হাতে একটা টান অনুভব করলো । সিলিভিয়া চোখ বড়বড় করে পেছনে তাঁকালো। কাঙ্খিত মুখটা দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে তার মুখের দিকে চেয়ে মৃদু হাসলো।
সিলিভিয়ার হাসি উপেক্ষা করে তেহভীন শক্ত
কন্ঠে বলে উঠলো,
— আর ইউ ক্রেজি সিলভার?
আমাকে না বলে এখানে একা চলে এসেছো কেন?
ভয় করেনি তোমার?

সিলিভিয়া আবারও ছোট করে হেসে বলল,
— ভয় করবে কেন?

তেহভীন যতটা রাগ নিয়ে এখানে এসেছিলো,
তার কিঞ্চিৎ পরিমাণ অবশিষ্ট নেই,সব হাওয়ায় ভেসে গিয়েছে। প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে তেহভীন বলল,

— স্ট্রেঞ্জ! তুমি এভাবে হাসবে না একদম।
আমি রাগ ধরে রাখতে পারছি না।

সিলিভিয়া আবারও হেসে উঠলো। তেহভীন
আশেপাশে চেয়ে বলল,

— নিচে যাবে? নাকি তাঁবুতে ফিরবে?

— নিচে যাবো না,পায়ে ব্যাথা করছে।

তেহভীন দু’দিকে মাথা নেড়ে বলল,
— আমি যাবো।

তারপর আর কোন কথা না বলে বাম হাতটা বাড়িয়ে সিলিভিয়ার কোমড় পেঁছিয়ে নিজের সাথে জড়িয়ে উপরে তুলে ফেললো।আকস্মিক ঘটনায় সিলিভিয়া ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে চেঁচিয়ে উঠলো,তেহভীন হেসে দিলো সিলিভিয়ার ভয়ার্ত মুখ দেখে,মজাও পেলো খুব। তাই তেহভীন বলল,

— ডোন্ট শাউট!

সিলিভিয়া ব্যালেন্স ধরে রাখতে দু’হাতে তেহভীনের গলা জড়িয়ে ধরলো। তেহভীন সোজা নিচে নেমে একদম বালুচরের উপর সিলিভিয়াকে দাঁড় করালো। এতক্ষণ জান যায় যায় অবস্থা ছিলো সিলিভিয়ার।এই বুঝি তেহভীনের হাত ফসকে সে নিচে পড়ে যাবে। কিন্তু বলিষ্ঠ দেহের পুরুষ তেহভীন। দু’হাতে দুইজনকে নিতে সক্ষম। যদিও কখনো সে চেষ্টা করেনি। আজই প্রথম সিলিভিয়াকে কোলে তুলেছে সে।হাতের ভাঁজে শক্ত করে চেপে জরিয়ে রেখেছে সিলিভিয়াকে। তার আগে কোন রমণী এই স্থান দখল করতে পারেনি। দু’জনে আশেপাশে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করলো, পানিতে নেমে পা’জোড়া ডুবিয়ে রেখে হাঁটলো। এখানে যে যার মতো সময় কাটায়, নিজের ইচ্ছেখুশীতে ঘুরাফেরা করে। কেউ সেদিকে নজর দেয় না। কিন্তু তেহভীন একটা কাজ করে ফেললো, তাদের থেকে অনেকটা দূরে একজোড়া কাপোত-কাপোতিদের ওষ্ঠ চুম্বনের দৃশ্য দেখে ফেললো সে।সিলিভিয়ার মনোযোগ পেতে হালকা কাশলো তেহভীন।সিলিভিয়া তখন পায়ের তলায় থাকা ভেজা বালিগুলো পায়ের উপর তুলছিলো। কাশির শব্দে মাথা তুলে তাঁকালো। তখনি তেহভীন আঙুল তুলে তাদের দিকে তাক করলো।সিলিভিয়া সেদিকে চেয়ে হকচকিয়ে গেলো। সেখান থেকে চোখ সরিয়ে এলোমেলো দৃষ্টি আশেপাশে ছুঁড়লো। চেহারায় অনিমন্ত্রিত লজ্জাকে আঁড়াল করার যথা চেষ্টা চালালো। তেহভীন বলল,

— আমরাও এভাবে করি?

সিলিভিয়া জবাব দিতে পারলো না। তেহভীনের ঠোঁটের কোণে মৃদু হাসির আভাস। তেহভীন সিলিভিয়ার হাত মুঠোয় নিয়ে চলে আসতে আসতে বলল,

— ডোন্ট বি শাই গার্ল! ইট’স সিম্পেল ম্যাটার।

সিলিভিয়া প্রতিউত্তর করলো না। জবান আঁটকে আছে তার। যতই নিজের লজ্জা ভাবটা আঁড়াল করতে চায়,সেটা আরো নিবিড় ভাবে এসে জড়িয়ে ধরে তাকে।

৭৯.

উঁচু পাহাড়ের উপর থেকে সানরাইজ ভিউটা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য মনে হলো সিলিভিয়ার কাছে। কতো সুন্দর করে উদয় হচ্ছে। ভোরবেলায় হিমেল হাওয়া থাকবে এটা স্বাভাবিক। সিলিভিয়ার বেশ শীত শীত অনুভব হচ্ছে। এলসা এক মগ কপি এনে সিলিভিয়ার হাতে দিয়ে বলল,

— তুমি উঠেছো দেখে আমি আর শুয়ে
থাকতে পারিনি।

— ভিউটা দেখো কতো সুন্দর।

— আসলেই।

এলসা একটু চুপ থেকে বলল,

— তোমাদের রিলেশন কতোদিনের সিলিইইভি?

—- পাইভ মান্থ!

—- অহ,আচ্ছা তোমার বয়ফ্রেন্ড,টেহভীন?
সে-কি ভা/র্জি/ন? কখনো জিজ্ঞেস করেছো?

এলসা অনেকটা স্বাভাবিক ভাবে কথাটা জিজ্ঞেস করেছে। কেননা,ওয়েস্টার্ন কান্ট্রিতে ছেলে-মেয়ে উভয়ে ষোল-সতেরো বছরের শুরুতে নিজেদের ফিজিক্যালি নিড পূরণ করে ফেলে। সেক্ষেত্রে বিষয়টা খুবই নরমাল। কিন্তু সিলিভিয়ার মস্তিষ্ক ব্যাপারটা নরমালি নিতে পারলো না। অজানা আশঙ্কায় মনটা সন্দেহপ্রবন হয়ে উঠলো। সিলিভিয়া আর মনোযোগ দিয়ে সানরাইজ দেখতে পারলো না,আর না পারলো ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া কফিতে চুমুক বসাতে।পরক্ষণে ভাবলো তেহভীন সম্পূর্ণ আলাদা এবং বিশুদ্ধ পুরুষ। অন্যদের তুলনায় সে অনেক ভালো। নাকি চোখের দেখায় কোন ভুল আছে।সবসময় যা চোখে দেখা হয়,সেটা সঠিক না ও হতে পারে। তাহলে কি সত্যিই তেহভীন….?
সিলিভিয়া তীর্যকপূর্ণ দৃষ্টিতে চেয়ে পূনরায় নিজের তাঁবুতে ফিরে গেলো।

(চলবে)

টাইপ মিস্টেক যাদের চোখে পড়বে,কমেন্টবক্সে কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়ার অনুরোধ রইলো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here