লুকোচুরি ভালোবাসা💖পর্ব:১৮

0
3259

#লুকোচুড়ি_ভালোবাসা💖
#লেখিকা: তানজিনা আক্তার মিষ্টি ( Tanjina Akter Misti)
#পর্ব: ১৮

মিষ্টি কানে হাত দিয়ে এই পযর্ন্ত বিশ বার সরি বলেছে তিথি কে কিন্তু তিথি ফিরে ও তাকাচ্ছে না। মেয়ে টা কেকেন যে আমি রাগাতে গেলাম আল্লাহ এখন একে মানাতে আমার কতো ক্ষণ যায় কে জানে।

–কি রে সরি বললাম তো এবারের মতো মাপ কর ভা আর জীবনে আমি তোকে ধমক দেব না?

–কথা বলবি না আমি কে যে আমাকে সরি বলছিস। কে আমি আমাকে কি তুই নিজের কেউ ভাবিস ভাবিস না। তাহলে এসবের মানে কি সামান্যতম কষ্টের কথাও তুই আমায় বলিস না সব কিছু নিজের মাঝে রাখিস লুকিয়ে কেন? রাখবে আর কখনো জিগ্গেস ও করবো না তুই তোর মতো আমি আমার মতো।

–আরে বোন ক্ষমা কর প্লিজ, খুব মন খারাপ আমার। তুই আমাকে বুঝবি না একটু এখন রাগ দেখাবি।

নরম গলায় কথা টা বলল মিষ্টি। মিষ্টি কান্না মাখা কথা শুনেই তিথির রাগ উবে গেল। আবার চিন্তা হতে জিগ্গেস করতে লাগলো কি হয়েছে সরি উল্টো বলতে লাগলো। মিষ্টি জানতে এমন ই করবে তাই এই কান্নাকাটি শুরু করেছে।

গেটের বাইরে দাড়িয়ে আছি গাড়ির জন্য তিথি আর মিষ্টি।

–তুই চলে যা তোর ওনি তো আবার বাসায় আসছে কেন রে খারাপ ব্যবহার করলি?

–ওই হাধারামের কথা বাদ দে তো। এমনে কিন্তু একবার না আজ ডিসটার্ব করে মেরেছে খচ্চর এ আমাকে আমি বলি পরে কথা বলবো তাও আর রাগছি বলে বাসা চলে আসতে হবে এমনিতে তো একশ বার বলে তার সময় বের হয় না দেখা করার।

–ওই সব বাদ দে তো আমার জন্য কিনা ভাইয়া কে এভাবে রাগ জারলি। বেচারা কতো না ভালোবাসে তোকে আহা এমন যদি আমাকে কেউ বাসতো।

–ওরে ব্যস বলিস কি? তুই কি প্রেম করবি নাকি?

–হুম করুম কোন ভালো ছেলে থাকলে বলিস। সবাই করতে পারশে আমি বাদ যাব কেন?

–রাজ ভাই দিবো নি তোরে। এটা মুখে ও আনিস না মনে নেই নবীন বরণে কি করছিলো।

–বাদ দে তত সে নিজের করতে পারবে আমি করলেই দোষ আমি ও করবো কে সে যে তার কথা শুনতে হবে।

–খুব তো বলছিস এখন। সামনে আসলে তো মিনমিন করতে থাকিস।

— কি বললি আমি মিনমিন করি!

–হুম

–তোকে তো আজ আমি

বলেই মিষ্টি দৌড় দিলো তিথির পেছনে,

তিথি সামনে আর মিষ্টি পেছনে দৌড়ে যাচ্ছে হঠাৎ কারো সাথে ধাক্কা লেগে তার সাথে জরিয়ে ধরলো মিষ্টি। নিজেকে ঠিক করে সরি দাড়ালো সামনের লোকটার দিকে তাকিয়ে আকাশ থেকে পরলো,

–হুয়াট এ সারপ্রাইজ মিষ্টি তুমি আমি তো বিলিভ করতে পারছি না। কেমন আছো? আগের থেকে আর ও সুন্দর হয়ে গেছো দেখছি।

মিষ্টি হা করে তাকিয়ে আছে এ এখানে কি করে।

মিষ্টি কিছু বলতে যাবে হঠাৎ কেউ ঝরের গতিতে কেউ হাতে টান মারলো পেছনে ফিরে দেখে রাজ। আগুন চোখে তাকিয়ে আছে লাল টকটকে যা দেখেই শুকনো ঢোক গিলল, মিষ্টি ভয়ে জান যায় যায় অবস্থা।

রাজ কিছু না বলে টেনে গাড়িতে এনে বসায় মিষ্টি কে,

–হাত ছারুন কি হয়েছে কি?

–চুপ বেশি কথা বললে কিন্তু কানে নিচে দেব একটা।

— দিন দিতে বাদ রেখেছেন নাকি? এতো দিন পর সুজয় দেখলাম আর আপনি আমায় নিয়ে এলেন। ছারুন আমি ওর সাথে কথা বলবো।

–কথা বলবে সিরিয়াসলি,[ অবাক হয়ে]

–হ্যা,

–ও তোমাকে প্রপোজ করেছিল ভুলে গেছ তাও ওর সাথে তুমি দাড়িয়ে ছিলে।

–তো করতেই পারে আপনার কি আগে জিগ্গেস করেছি আজ ও বলছি আপনার কি ও যদি আমায় পছন্দ করে। ভালোবাসতে চায় তাতে আপনার কি আপনি কেন বাধা দিচ্ছেন। নিজে তো ঠিকই প্রেম করে বেরান আমি করলেই দোষ সব সময় আপনি এই নিয়ে আমার সাথে খারাপ বিহেভ করেন কখনো কিছু বলি না তাই বলে এই না যে আপনার কথা সব সময় শুনবো। আগে আপনার সমস্ত বাজে বিহেভ মেনে নিয়েছি যখন তখন গায়ে হাত তুলেছেন আর মানবো না কে আপনি কেন এতো অধিকার দেখান?

সাহস করে মিষ্টি এক দমে কথা বলে গেল আমলে আর বলতে পারবে না ও জানে মুখে বললেও রাজের বিরুদ্ধে যাওয়ার সাহস ওর নেই। কথা গুলো বলে রাজের চরম শাস্তি পাওতার অপেক্ষায় চোখ বন্ধ করে আছে যা সব বলেছে এতে রাজ কি যে করবে। অনেক ক্ষণ হয়ে গেল রাজের রিয়াকশণ নাই কি তাই এক চোখ খুলে পরিস্থিতি বুঝতে দেখতে লাগলো রাজ ড্রাইবিং সিটে বসে আছে চোখ বন্ধ করে হাত মাথায় রেখে।

কি করছে বুঝতে পারছে না মিষ্টি দুচোখ খুলে রাজের দিকে তাকিয়ে আছ এতো শান্ত হয়ে আছে কি করে? চিন্তার বিষয় বড় কোনো শাস্তির কথা ভাবছে নাকি।
কিন্তু রাজ কিছু বলল না গাড়ি শান্ত ভাবেই চালিয়ে চলে এলো বাসা সারা রাস্তায় আমি অবাক হতে হতে এলাম রাজ একবার ও আমার দিকে তাকায় নি।

বাসায়

–মামুনি কি করছো?

–তোর আন্কেলের জন্য পায়েস রাধি।

–আন্কেলের না মিষ্টি খাওয়া বারণ?

–হুম কাল থেকে পাগল করে খাচ্ছে আর বলছে মরে গেলে বলবে খাওয়াতে পারলাম না তখন আফসোস করে ও কোল কিনারা পাবে না। তাই মিষ্টি কম দিয়ে করছি।

–ওহ করো ভাইয়া কই?

–রুমেই আছে মনে আজ তো আর বেরুলো না।

— আচ্ছা।

বলেই মামুনির কাছে থেকে রাজের রুমে এলাম। দরজায় কাছি দাড়িয়ে উকিঁ দিচ্ছি কি করছে ঘরে আমাকে কিছু বলল না কেন?কথা টা আমাকে ভাবাচ্ছে দরজার আড়ালে দাড়িয়েই কথা ভাবছি হঠাৎ দরজা খুলে বেরিয়ে আসতে যাবে রাজ আমি সেখানে দাড়িয়ে ছিলাম পরে যাচ্ছি কোন রকম রাজের হাত ধরে পরা থেকে বাচলাম।
কিন্তু বেচে গিয়ে ও মরলাম পা দরজায় বেজে রাজ কে নিয়ে নিচে পরে গেলাম। আমি বড় বড় চোখ করে রাজের দিকে তাকিয়ে আছি রাজ ও একই অবস্থা, নিচে থেকে শব্দ শুনে মামুনি ও চিৎকার করে জিগ্গেস করছে কি হয়েছে কে পরলো,

–হোয়াট দ্যা হেল, তুমি এখানে কি করছো?

–আমি তো আসলে কি করছিলাম যেন,

— উঠো আমার উপর থেকে ডিজগাসটিং,

–হুম

বলেই মিষ্টি তারাতারি উঠে পরলো,

— সরি সরি আসলে আমি খেয়ার করি নি।

–তুমি আড়ালে দাড়িয়ে কি করছিলে?

–কই কিছু না তো আমি তো আপনাকে ডাকতে এসেছিলাম?

–আমাকে কেন?

–আপনি তো খান নি তাই[ কি বলবে ভেবে না পেয়ে বললে আল্লাহ না জেনে খাওয়ার কথা বললাম এখন খেয়ে থাকলে কি হবে ]

— সত্যি নাকি মিথ্যে।

রাজ হালকা তাকিয়ে বেরিয়ে যেতে লাগলো মিষ্টি হাফ ছেড়ে বাচলো তার মানে খায় নি খুব বাচা বেচে গেছি। মিষ্টি আবার পেছনে থেকে ডাকলো রাজকে, রাজ ভ্রু কুচকে তাকালো,

–একটা কথা জিগ্গেস করি?

চোখের ইশারায় করতে বলল,

–বলছিলাম কি সরি? আসলে তখন….

রাজ আমার কথা অগায্য করে চলে গেল,

— আরে শুনুন তো,

চলবে❤

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here