শেষটা সুন্দর’ পর্ব-৭

0
292

#শেষটা_সুন্দর
#পর্ব৭
#নুসরাত_তাবাস্সুম_মিথিলা
আজ ওয়েদার সম্পূর্ণ ভিন্ন ।পুরো কাঠফাটা রোদ।মনে হচ্ছে শরীরে কেউ আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।এ যেনো গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুর, আজকাল কার আবহাওয়া ঠিক বুঝে ওঠা যায় না । কখনো খুব রৌদ্র আবার কখনো বা বৃষ্টি । এই গতকালকেই তো বৃষ্টিতে মনে হয় পুরো ঢাকা শহর ভেসে যাচ্ছিল আর আজ , সত্যি বড়ই অদ্ভুত। এদিকে আমি কখন থেকে মুগ্ধতার জন্য অপেক্ষা করছি , ওর তো কোনো খবর ই নেই । এতোক্ষন হয়ে গেলো ও এখনো এসে পৌঁছেনি।রাস্তাঘাটে কোনো সমস্যা হলো নাকি ? কি করি? ওকে কল করবো? হ্যা তাই করি।
ইস একটা রিকশাও পাচ্ছিলাম না । যাও বা পেলাম ভাড়া শুনে তাড়িয়ে দিয়েছি । এখন হাটছি কিন্তু এভাবে তো অনেক দেরি হয়ে যাবে । একটা রিক্সা পেলে ভালো হতো , কতো লেট হয়ে গেলো রেহান বোধ হয় অপেক্ষা করছে আমার জন্য । ঠিক তখনি ফোন বেজে উঠলো,
হ্যালো রেহান ,রিক্সা পাচ্ছি না তো ?
তুমি ওখানেই দাড়াও আমি রিক্সা নিয়ে আসছি । তোমার লোকেশন কোথায়?
————এই খানে আছি আমি।
ওকে ওয়েট করো আমার দশ মিনিট লাগবে ।
ওকে ।
আমি এসে দেখি মুগ্ধতা গরমে ঘেমে একদম অস্থির হয়ে উঠেছে। ওকে রিক্সায় উঠতে বললাম।
কি হলো তোমার কি খুব খারাপ লাগছে ? বাসায় যাবে ।
আরে না । গরমে একটু অস্বস্তি হচ্ছিল , এখন ঠিক আছি ।
মুগ্ধ , আমরা ডুয়েট এ তো দুই গান গাইবো । একটা বাংলা আর একটা হিন্দি ।
হুম, কিন্তু কি গাওয়া যায় বলোতো ? আর তোমার সাথে আমি গাইলে খুব বাজে লাগবে । আমার যা কণ্ঠ !
খবরদার ফালতু কথা বলবে না, হিন্দি তুমি সিলেক্ট করো আর বাংলাটা আমি করি ।
আচ্ছা , আমি ভাবছি SUR মুভির A BHI JA গানটার কথা।
ওয়াও গ্রেট ! আর আমি ভাবছি আমার পরান যাহা চায় ।
ঠিকাছে এই দুটোই ফাইনাল । আমাদের হাতে তিনদিন সময় আছে । আমাদেরকে আমাদের বেস্টটা দিতে হবে।
শিওর ।
চলে এসেছি , এসো নামো ।
হ্যাঁ, আমি নামছি।
মামা কত হয়েছে ভাড়া?
সত্তর টাকা।
এই নাও।
রেহান ভাড়াতো পঞ্চাশ টাকা তুমি সত্তর টাকা দিলে কেন ?
আজকের গরমটা দেখছো মুগ্ধ ? উনি এই গরমের মাঝেও এতো কষ্ট করে রিকশা চালাচ্ছেন ।
এই সামান্য সাহায্যটাতো আমি উনাকে করতেই পারি ।
সত্যিই তো ! এভাবে কখনো ভেবে দেখিনি ।
হ্যাঁ, হয়েছে ভেতরে চলো।
আমাদের মাঝে কথা হলো যে, আমি রেহান এর জন্য আর রেহান আমার জন্য ড্রেস চয়েজ করবে। আমি বললাম যে , বিল কিন্তু আমি দিবো।
ও বলল যে , আমারটা তুমি আর তোমারটা আমি দিবো ঠিক আছে না?
আমি হাসলাম , ছেলেটা কথার প্যাঁচে ফেলতে জানে। দোকানে ঢুকে এটা দেখছি ওটা দেখছি কিন্তু কিছুই তেমন ভালো লাগতেছিল না। হঠাৎ একটা পাঞ্জাবিতে আমার চোখ আটকে গেলো । ওটা ব্ল্যাক এন্ড রেড কালার এর
কম্বিনেশন এ তৈরী । রেহান যেহেতু বেশ ফর্সা আর সুদর্শন , ওকে পাঞ্জাবীটা খুব মানাবে । তাই আমি ওর জন্য ওই পাঞ্জাবীটা নিয়ে নিলাম।
ঠিক তখনি , ও আমার জন্য শাড়ি নিয়ে চলে এলো । দেন আমাকে বললো শাড়িটা দেখতে , আশ্চর্য ব্যাপার এই যে আমাদের দুই জন এর ড্রেসই সেম কালার । এতো মিল আমাদের ? লাল পাড়ের কালো রঙের তাঁতের শাড়ি , তার সাথে ম্যাচিং চুড়ি আর কিছু পাথরের কাজ করা গহনা। সবটা মিলিয়ে জাস্ট অসাধারণ । ওর পছন্দ আছে বলতে হবে।
কালো পাঞ্জাবিতে লাল রঙের বর্ডার আর তাতে গর্জিয়াস কাজ করা , ওর পছন্দ বেশ সুন্দর । আর ওর জন্য আমার কাছে মনে হলো এই শাড়ীটাই বেস্ট । ওকে কালো রং খুব মানায় ।
বাড়িতে ফিরে আসলাম । আজকের বিকেলটা খুব স্পেশাল ছিল আমার জন্য । ঘটনাগুলো ভাবছিলাম আর ব্ল্যাশিং করছিলাম। যদিও আমাদের মাঝে কিছু নেই , কিছু ঘটেনি। তবুও ওর সাথে কাটানো সময়টা বেস্ট ছিল।
#চলবে
[রি চেইক হয়নি।ভুলত্রুটি মাফ করবেন]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here