#শেষ বিকেলের আদর❤️
#রিত্তিকা ইসলাম
পর্ব : ৪৭
🌼
“আমি শুনেছি সেদিন তুমি সাগরের ঢেউয়ে চেপে
নীল জল দিগন্ত ছুঁয়ে এসেছো
আমি শুনেছি সেদিন তুমি নোনাবালি তীর ধরে
বহুদূর বহুদূর হেঁটে এসেছো
আমি কখনও যাইনি জলে, কখনও ভাসিনি নীলে
কখনও রাখিনি চোখ ডানা মেলা গাংচিলে
আবার যেদিন তুমি সমুদ্র-স্নানে যাবে
আমাকেও সাথে নিও, নেবে তো আমায়?
বলো, নেবে তো আমায়?
আমি শুনেছি সেদিন নাকি তুমি, তুমি, তুমি মিলে
তোমরা সদলবলে সভা করেছিলে
আর সেদিন তোমরা নাকি অনেক জটিল ধাঁধা
না বলা অনেক কথা, কথা তুলেছিলে
কেন শুধু ছুটে ছুটে চলা, একে একে কথা বলা
নিজের জন্যে বাঁচা নিজেকে নিয়ে?
যদি ভালোবাসা না-ই থাকে, শুধু একা একা লাগে
কোথায় শান্তি পাবো, কোথায় গিয়ে?
বলো, কোথায় গিয়ে?
আমি শুনেছি তোমরা নাকি এখনও স্বপ্ন দেখো
এখনও গল্প লেখো, গান গাও প্রাণ ভরে
মানুষের বাঁচা-মরা এখনও ভাবিয়ে তোলে
তোমাদের ভালোবাসা এখনও গোলাপে ফোটে
আস্থা হারানো এ মন নিয়ে আমি আজ
তোমাদের কাছে এসে দু’হাত পেতেছি
আমি দু’চোখের গহব্বরে শূন্যতা দেখি শুধু
রাত-ঘুমে আমি কোনো স্বপ্ন দেখি না
তাই স্বপ্ন দেখবো বলে আমি আমি দু’চোখ পেতেছি
তাই তোমাদের কাছে এসে আমি দু’হাত পেতেছি
তাই স্বপ্ন দেখবো বলে আমি আমি দু’চোখ পেতেছি। ”
মৌসুমি ভৌমিক এর এই গানটা শুনেই ঘুম ভাঙল রোশনির।আড়মোড়া ভেঙে বিছানার মাঝ বরাবর উঠে বসে চোখ পিটপিট করে পাশে তাকিয়ে অধিরকে চোখে পড়ল না তার
।রোশনি লম্বা একটা হাই তুলে দেওয়াল ঘড়িতে চোখ বুলাতেই দেখল আটটা চল্লিশ বাজে।রোশনি চমকে তাকালো।এতো বেলা অবধি ঘুমিয়েছে সে?রোশনি দ্রুত বিছানা ছেড়ে ফ্রেশ হতে চলে গেল।নয়টা বাজার মিনিট পাঁচেক আগে বসার ঘরে এসে উপস্থিত হল সে।এদিক ওদিক তাকিয়েও অধিরের হদিস পাওয়া গেল না।সোফায় আধশোয়া হয়ে ফোনে ব্যস্ত আদি।মাঝে মাঝেই মিটিমিটি হাসির রেখা ফুটে উঠছে তার কোমল ঠোটের কোনে।রোশনি গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে এসে সোফায় বসল।আদির সেদিকে খেয়াল নেই।তার পুরো এ্যাটেনশন ফোনের স্ক্রীনে।রোশনি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আদির দিকে তাকিয়ে আছে।প্রেয়সীর সাথে এখন ঠিক কোন লেভেল এর কথোপকথন চলছে সেটা খুব একটা আন্দাজ করা যাচ্ছে না।খানিক বাদে আদির নজর যখন রোশনির কুচকানো মুখের দিকে পড়ল সাথে সাথেই চমকে উঠে বসল আদি।কিছুটা অপ্রস্তুত হাসার চেষ্টা করে বলে উঠল,
-আরে ভাবি!!তুমি কখন এলে?গুড মর্নিং…
-মর্নিং। এসেছি তো বেশ কিছুক্ষন আগে।
-তুমি আমায় ডাকবে তে?আমি তো খেয়ালই করি নাই।
-ফোনের ভেতর এভাবে ঢুকে থাকলে কি আশে পাশে খেয়াল করা যায়?তা এবারেরটার নাম কি?
রোশনির কথায় মাথা চুলকাতে লাগল আদি।খানিক লজ্জা পেয়ে আমতা আমতা করে বলে উঠল,
-তুমিও ইদানীং নাতাশা আপুর মত কথা বলছো?তোমাদের কি উচিত বলো,,, এভাবে অবুঝ একটা নিষ্পাপ ছেলেকে লজ্জায় ফেলা?
রোশনি সন্দিহান চোখে তাকালো।চোখ ছোট ছোট করে বলে উঠল,
-কে ছোট ছেলে?তুমি…!!!প্রেম আর ফ্লার্ট করার সময় তো ছোট ছেলে থাকো না।আর এখন নিজেকে ছোট নিষ্পাপ ছেলে বলে দাবি করছো?
-তুমি আমায় এভাবে বলতে পারলে ভাবি?মেয়েদের সাথে একটু ফ্লার্ট করি দেখে আমাকে তুমি এভাবে বলতে পারছো?আমার কি দোষ বলো? মেয়েরা যদি আমার গায়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ে সেটা কি আমার দোষ?
-থাক হয়েছে।আর ড্রামা করতে হবে না।একটা কথা বলো?তোমার ভাইয়াকে কোথাও দেখছি না।কোথায় উনি? জানো কিছু?
হঠাৎ করেই আদির ঠোটে দুষ্টু হাসি ফুটে উঠল।সোফার উপরে পা তুলে আরাম করে বসে দুষ্টু হেসে বলে উঠল,
-কি ব্যাপার বলো তো ভাবি? আজ কাল ভাইয়াকে একদম চোখে হারাচ্ছো দেখছি।ভাইয়া হঠাৎ কি জাদু করলো?বলো….
রোশনি খানিক লজ্জা পেলেও ধরা দিল না।আদি উত্তরের আশা না করেই ফোনে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।ফোনের স্ক্রীনে চোখ রেখে বলে উঠল,
-ভাইয়া তো ঢাকা চলে গেছে।
-ঢাকা চলে গেছে মানে?
-হ্যা ভাইয়া তো ভোরেই ঢাকা চলে গেছে।তুমি জানো না?
রোশনি অবাক হল।অধির ঢাকায় চলে গেছে?একটা বার তাকে জানানোর প্রয়োজনবোধও করল না অধির?কিন্তু কেন? হঠাৎ কেন তাকে ঢাকা যেতে হবে?তাকে একা করে চলে যাওয়াটা কি খুব বেশি প্রয়োজনীয়?অধিরের চলে যাওয়ার কারনটাও আর জানতে চাইল না রোশনি।বুকটা চাপা অভিমানে ভার হয়ে আসছে।রোশনি কিছুক্ষন চুপ করে বসে থেকে উঠে দাড়াল।রোশনিকে দাড়াতে দেখেই আদি বলে উঠল,
-কি হল ভাবি?তুমি ঠিক আছো?না মানে…কেমন যেন দেখাচ্ছে তোমাকে।
রোশনি একটু হাসার চেষ্টা করে বলে উঠল,
-আমি ঠিক আছি আদি।ডোন্ট ওয়ারি।আচ্ছা তুমি থাকো।আমি একটু রুম থেকে আসি।
রোশনি আর দাড়ালো না।রুমে এসে বিছানায় বসতেই বুক ফেটে কান্না আসল ।চোখ দুটো অভিমানে জ্বালা করে উঠছে।সদ্য প্রেমে পড়া কোনো এক কিশোরির মতই অজানা ব্যথায় ডুঁকরে উঠছে মন।এলোমেলো কিছু শূন্য অনুভূতির একেকটা দির্ঘশ্বাসে উথালপাতাল হচ্ছে ভেতর।রোশনি ছোট্ট শ্বাস টেনে নিজের মনেই বিড়বিড় করে উঠল,
-কেনো চলে গেলেন আমায় ফেলে? চলেই যখন যাওয়ার ছিল তখন আসার কি প্রয়োজন ছিল?আমাকে একটা বার জানানোর প্রয়োজনবোধও করলেন না?আপনি ভিষন খারাপ অধির।ভিষন খারাপ।আপনি আমায় কষ্ট দিয়েছেন।আমি আপনাকে কখনো ক্ষমা করবো না।কখনো না।
কথাগুলো নিজের মনে আওড়াতেই চোখ থেকে এক ফোটা নোনা পানি গড়িয়ে পড়ল রোশনির।ডানহাতে পানিটুকু মুছে নিতেই চোখ গেল ড্রেসিং টেবিলের উপর পেপার ওয়েট দিয়ে চাপা দেওয়া সাদা রঙের চিরকুটের দিকে।রোশনি ছোট ছোট পা ফেলে উঠে এসে চিরকুটটা তুলে নিয়ে চোখের সামনে ধরতেই চিরপরিচিত সেই বর্ণগুচ্ছ স্পষ্ট হল।কালো কালিতে লেখা সেই গুটি গুটি শব্দ গুলোকে পড়তেই আবারো বুক ভারি হয়ে এল রোশনির।চাপা অভিমান নিয়ে চিরকুটটাকে দুমড়ে মুচড়ে ছুঁড়ে মারল দূরে।কান্নার গতি বাড়ল।অনবরত ভিজে যাচ্ছে চোখ। বার বার মুছেও বিশেষ কোনো লাভ হচ্ছে না।অভিমানীরা আজ বৃষ্টি হয়ে ঝরছে।এতো সহজে তারা থামবে না।রোশনি ছোট ছোট পা ফেলে টেবিলের তলা থেকে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া কাগজের টুকরোটা তুলে নিয়ে ফ্লোরে বসে খাটের সাথে হেলান দিলো।কুচকে যাওয়া কাগজটাকে খুব যত্নে মেলে ধরতেই আবারো ঝাপসা হয়ে এল চোখ।বাম হাতে নোনা পানিটুকু মুছে নিয়ে দ্বিতীয় বারের মত পড়তে শুরু করল রোশনি,
“সরি সুইটহার্ট।তোমাকে না জানিয়েই ঢাকা ব্যাক করতে হল।কি করবো বলো?ঘুম কুমারীকে যে একদম জাগাতে ইচ্ছে হল না।আমি খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসবো সুইটহার্ট। তোমাকে ছাড়া যে আমার একদমই চলবে না।আচ্ছা শুনো….ভালবাসি!!!
তোমার এই পাগল বরটা তোমায় ভিষন ভালবাসে তিলোককন্যা ।তার প্রতি একটু তো দয়া করো সুইটহার্ট। এবার একটু সময় করে তাকেও তোমার ভালবাসায় জ্বালিয়ে দাও তো…….”
রোশনির কান্নার গতি বাড়ল।ভেতরটা আবারো কঁকিয়ে উঠল অজানা ব্যথায়।সামান্য এই দূরত্বে এতো কেন কষ্ট? যদি কখনও এই দূরত্বের সীমা বাড়ে তখন কি করবে সে? অধির সব সময় বলে সে নাকি তার অভ্যাস।অভ্যাসকে সহজে বাদ দেওয়া যায় না।আর না সেই অভ্যাসকে ছেড়ে থাকা যায়।রোশনি আজ উপলব্ধি করছে সে না চাইতেও অধির তার অভ্যাসে পরিনত হয়ে গেছে।এখন এই অভ্যাসকে ছেড়ে থাকা তার পক্ষে সম্ভব নয়।রোশনি আবারো ফুপিয়ে উঠল।প্রিয় মানুষটার জন্য শব্দহীন কান্নার সাক্ষী হতে থাকল পুরো নিস্তব্ধ রুম।
——–
বিকেলের দিকে রোশনি রুম থেকে বেরোলো।সারা দিন রুমে থেকেই কাটিয়েছে।সকাল থেকে অধির একটা বার ফোন পর্যন্ত দেয় নি।রোশনি বার কয়েক দ্বিধা আর অস্বস্তি নিয়ে ফোন করলেও বার বার বন্ধ এসেছে।সাহিলের থেকে অবশ্য জেনেছে,, অধির কিছু মিটিং নিয়ে ব্যস্ত আছে।কথাটা শুনে অধিরের প্রতি অভিমানের পাল্লাটা তরতর করে বেড়েছে।চোখ থেকে দু’ফোটা অশ্রুও গড়িয়েছে।তিক্ত কিছু দির্ঘশ্বাস নিয়ে নিজেকে সামলেছে।অভিমানের পাল্লাটা আরো কিছুটা বাড়িয়ে নিজের মনেই বিড়বিড় করেছে। মনে মনে ঠিক করেছে অধিরের সাথে সে আর কথা বলবে না।তাকেও বুঝতে হবে তার চলে যাওয়াতে সে কষ্ট পেয়েছে।রোশনি ছোট ছোট পা ফেলে মিসেস আনোয়ারার ঘরের দিকে পা বাড়াল। দরজার কাছাকাছি যেতেই মুখোমুখি হল ময়নার সাথে।ময়না চোখ নামিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে আসতে নিতেই প্রশ্ন ছুঁড়ল রোশনি,
-ময়না রানি…?
ময়না বিষ্ময় নিয়ে তাকাল।কিছুক্ষন নিরব চেয়ে থেকে বোকা বোকা চোখে তাকিয়ে বলে উঠল,
-জ্বি ভাবি।
-তোমার হাতের কি অবস্থা? ব্যথা কমেছে?
ময়না কিছুক্ষন ওভাবেই তাকিয়ে থাকল।রোশনিকে আজ অন্যরকম মনে হচ্ছে।তার আচরনও আজ ভিন্ন।ময়না একটু হেসে বলে উঠল,
-জ্বি ভাবি।আগের থেকে ব্যথা কমেছে।
আরো কিছু বলার আগেই ডাক পড়ল ময়নার।রোশনির দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বিদায় নিতেই ছোট্ট শ্বাস টেনে ভেতরের দিকে পা বাড়াল রোশনি। আনোয়ারা চৌধুরি তখন বালিশে হেলান দিয়ে বসে পান চিবুচ্ছিলেন।রোশনিকে আসতে দেখেই মুচকি হাসলেন তিনি।ইশারাই কাছে ডাকতেই ওনার পাশে গিয়ে বসল রোশনি।রোশনিকে মাথা নিচু করে বসে থাকতে দেখে কপাল কুঁচকে এল আনোয়ারা চৌধুরির।কাশার পাত্রে পানের পিক ফেলে সরু চোখে তাকিয়ে বলে উঠলেন,
-কি হয়েছে আমার নাত বউ এর? বরের জন্যে মন খারাপ করছে নাকি তার?
ওনার কথায় কিছু অপ্রস্তুত হল রোশনি।শান্ত চোখে ওনার মুখটা দেখে নিয়ে আবারো মুখ নামাল।সময়ের সাথে সাথে তরতর করে বাড়ছে অভিমানের পাল্লা।ক্রমেই অভিমানটা রাগে রুপান্তর হচ্ছে।অধিরের মাথা ফাটানোর মত বিশ্রী কিছু চিন্তা ভাবনাও মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।অধিরের প্রতি তেতে ওঠা মনটা আরো কিছুটা তেতে ওঠার আগেই হাতে একটা বাটি নিয়ে প্রবেশ করল ময়না।মুখে কিশোরি হাসি ফুটিয়ে বলল,
-ভাবি,,,আসেন চুলে মেহেন্দি পাতা লাগিয়ে দেই।আপনার চুল মাশআল্লাহ অনেক সুন্দর।মেহেন্দি পাতা দিলে আরো সুন্দর দেখাবে।দিবেন?
ময়নার আগ্রহ দেখে হাসল রোশনি।মেয়েটা অন্যরকম।এই বয়সী মেয়েদের চোখে পরিপক্ব সুদর্শন কোনো পুরুষকে দেখে মুগ্ধ হওয়া স্বাভাবিক।সেই সুবিশালদেহী পুরুষকে নিয়ে স্বপ্ন দেখাটাও স্বাভাবিক।স্বপ্নের সেই পুরুষের সামনে লজ্জা পাওয়াটাও বোধ হয় স্বাভাবিক।অন্যদিকে নিজের স্বামির দিকে পরনারী নজর দিলে কোনো বউ এর পক্ষেই সেটা স্বাভাবিক বলে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।পৃথিবীটা যেমন বিচিত্র। তেমনই বিচিত্র পৃথিবীতে বসবাস করা মানুষগুলো।প্রিয় মানুষটাকে নিজের করে বেধে রাখার প্রয়াসটাও কম বিচিত্রময় নয়।
———–
মিটিং শেষ করে বোর্ডরুম থেকে বের হতে হতে ছয়টা বাজল।ক্লান্ত পা নিয়ে দ্রুত হেটে আসতে আসতেই চির পরিচিত মুখটা দেখে থেমে গেল অধির।সামনে দাড়ানো সুদর্শন পুরুষটাকে দেখেই ঠোটের কোনে হাসি ফুটল।সামনে দাড়ানো যুবকটার মুখেও প্রাপ্তির হাসি।অধির দেরি না করে সামনে দাড়ানো যুবকটাকে জড়িয়ে ধরতেই সেও এক হাতে জড়িয়ে নিল অধিরকে।
-হোয়াট আ প্লেজেন্ট সারপ্রাইজ!!! শালা!!! আসার আগে একবার জানাবি না?
কথাটা শেষ করেই সোজা হয়ে দাড়ালো অধির।আগুন্তক অধিরের পেটে ঘুষি মেরে বলে উঠল,
-আরে মিয়া!! তুই আমারে শালা কস ক্যান?আমার বোনরে তো বিয়া করলি না।শালা তো এখন আমার বলা উচিত মিয়া।
-আচ্ছা তাহলে সেজন্যেই বিডিতে আসা? বাই দা ওয়ে,,, তিনি কোথায়?
-সে তো বাড়িতে।কিছুটা টায়ার্ড তাই রেস্ট নিচ্ছে মেবি।
ওর কথার মাঝেই বড় বড় পা ফেলে এগিয়ে এল সাহিল।সামনে দাড়ানো ব্যক্তিকে হাগ করে বলে উঠল,
-দেমির,,,,,!!!শালা তুই বিডিতে আসছিস জানাবি না একবার?
-আরে ভাই,,, তোরা যে হারে আমারে শালা ডাকতাছোস আমি তো মিয়া টেনশনে পইড়া যাইতাছি।দেখ ভাই,,,, বোন আমার একটাই।তারউপর তোরা দুইটাই বিয়া কইরা ফেলছোস।এখন তো আমারে শালা বইলা লাভ নাই।ম্যারিড পোলা পাইনের লগে আমি আমার বোনরে বিয়া দিমু না।অযথা আমারে শালা ডাকিস না।পরে আমি গইলা গেলে আমার বেচারি ভাবির দুইডার কপাল পুড়বো।এইডা আমি মাইনা নিতে পারুম না।
দেমিরের কথায় সাহিল আর অধির দুজনেই ভ্রু কুচকে তাকিয়ে রইল।ওদের এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে অপ্রস্তুত চোখ করে তাকাল দেমির।
-ইজেন্ট ফানি..??ব্যাটা তোরা দয়া দেখাইয়াও তো একটু হাসতে পারোস।আমার কদর তোরা বুঝলি না আজও।আদি থাকলে দেখতিস?হাসতে হাসতে কাইন্দা ফেলতো।
দেমিরের কথা শুনে বিড়বিড় করে উঠল অধির,
-তোরা দুইটাই এক।এক জোকারের কথা শুনে আরেক জোকার হাসবে এটাই স্বাভাবিক।আচ্ছা চল বাড়ি ফেরা যাক।তোর এই সব ফালতু কথা বাড়িতে গিয়েই না হয় শুনবো।
চলবে……